মানচিত্রে বাগামোয়ো। আফ্রিকা মহাদেশের মূল ভূখণ্ডে যেখান থেকে শুরু হয় স্ট্যানলের অভিযান।
বাগামোয়োতে প্রথম দিনই যাদের সঙ্গে দেখা হয়েছিল, তাদের মধ্যে ছিল আলি বিন সালেম। বিখ্যাত সৈয়দ বিন সেলিমের ভাই। আলি আগে বার্টন ও স্পেকের কাফেলার প্রধান ছিলেন, পরে স্পেক ও গ্রান্টের অভিযানেও গিয়েছে। বার বার সেলাম করছিল। তা ছাড়া, ওর ভাই উন্যামওয়েজিতে আমার এজেন্ট হবে, কাজেই আমি তার সাহায্য করার প্রস্তাব গ্রহণ করতে দ্বিধা করলাম না। তবে, হায় রে আমার সাদা মুখ আর মানুষকে বিশ্বাস করার স্বভাব! দেখা গেল এই আলি বিন সেলিম একটা ঘাসের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সাপ, একটা গায়ে বিঁধে থাকা খচখচে কাঁটা—আমার সর্বক্ষণের বিরক্তির উৎস। তার আরামপ্রদ বাড়িতে আমাকে কফি খাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ করল, আমিও গেলাম। কফিটা ভালো, যদিও চিনি-ছাড়া। অজস্র প্রতিশ্রুতিও দিল, তবে পরে দেখা গেল সেসবই ফক্কা। আমাকে বলল, “আমি আপনার বন্ধু; আপনার সেবা করতে চাই; আপনার জন্য কী করতে পারি?” আমি বললাম, “বাধিত হলাম। আমার একজন ভালো বন্ধু খুব দরকার, যে উন্যামওয়েজির ভাষা ও রীতিনীতি জেনে-বুঝে আমার দরকার-মতো কুলি জোগাড় করে দেবে যাতে আমি দ্রুত রওনা দিতে পারি। তোমার ভাই শ্বেতাঙ্গদের সঙ্গে পরিচিত, সে জানে যে আমরা যে কথা দিই, সে কথা রাখি। আমাকে একশো চল্লিশজন কুলি জোগাড় করে দাও, যা দাম বলবে তাই দেব... ” খুবই তেল মেরে সে বলল, “বন্ধু, এই সামান্য কাজের জন্য আমার কিছুই চাই না। আপনি আরামে বিশ্রাম করুন। এখানে আপনাকে পনেরো দিনও থাকতে হবে না। কাল সকালে আমি আসব, আর আপনার মালপত্র দেখে নেব যাতে কী করা দরকার তা বোঝা যায়।” আমি তো ভারী খুশি হলাম যে তাহলে শীঘ্রই উন্যানয়েম্বের পথে যাত্রা শুরু করতে পারব। সানন্দে তাকে বিদায় জানালাম।
বাগামোয়ো থেকে আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অভিযান শুরু করে দেওয়ার জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা করছিলাম। তার পিছনে দুটো খুবই গুরুত্বপুর্ণ কারণ ছিল। প্রথমত আমার মনে হয়েছিল যে লিভিংস্টোন এমন একজন মানুষ যিনি একবার যদি শোনেন যে আমরা তাঁরই খোঁজে যাচ্ছি, তাহলে আমাদের সঙ্গে নিজের দূরত্ব কমানোর কোনো চেষ্টা তো করবেনই না, উলটে আমাদের থেকে আরও দূরে চলে যাবেন। আর আমার এত দূর ছুটে আসাও পুরো বিফল হবে। তাই আমরা যে তাঁকে খুঁজছি সে খবর লিভিংস্টোনের কাছে পৌঁছানোর আগেই আমি উজিজি পৌঁছাতে চাইছিলাম। দ্বিতীয়ত, অল্পদিনের মধ্যেই ‘মাসিকা’ বা দীর্ঘ বর্ষাকাল চলে আসার কথা, যদি বাগামোয়োতে থাকতে থাকতে বর্ষা শুরু হয়ে যায়, তাহলে যতদিন না বৃষ্টি শেষ হয়, আমার অভিযানও বন্ধ। মানে চল্লিশ দিন বা আরও বেশির ধাক্কা। এখানে আমি যেসব লোকের সংস্পর্শে এসেছি, সবাই বলেছে এখানে একটানা চল্লিশ দিন ধরে বৃষ্টি পড়ে। এইরকম বৃষ্টি যে কী বিচ্ছিরি ব্যাপার তা আমার খুব জানা ছিল। যেমন ধরুন, ভার্জিনিয়ার বৃষ্টি আর সেই সঙ্গে স্যাঁতসেঁতে ভাব, সবকিছুতে ছাতা-পড়া, কম্পজ্বর, বাতের ব্যথা ইত্যাদি সব বর্ষাকালীন ভীতি; তারপর ধরা যাক, ইংরেজদের বর্ষা, জঘন্য টিপটিপানি বৃষ্টি আর সেই সঙ্গে বিষণ্ণতা; তারপর অ্যাবসিনিয়ার বর্ষার কথা ধরুন, আকাশ ফুটো করে সর্বত্র ঝরঝরিয়ে জল পড়া, কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই যেখানে আধখানা মহাদেশ ডুবে যায়; আর শেষে বলি, ভারতবর্ষের মুষলধারে বর্ষার কথা, ঘরবন্দি-করে-রাখা একটানা বৃষ্টি। পূর্ব আফ্রিকার ভয়াবহ মাসিকাকে এর মধ্যে কোন্টার সঙ্গে তুলনা করব? উজারামোর কালো কাদা নিয়ে বার্টন কি যথেষ্ট লেখেননি? যে দেশের মাটিকে শুকনো অবস্থাতেই কালো কাদা বলা হয়, চল্লিশ দিনের বৃষ্টি আর ক্রমাগত কুলি ও গাধাদের পায়ের চাপে সেটা কী চেহারা নিতে পারে বলে মনে হয়? সেই সময়ের পরিস্থিতিতে এসবই খুব স্বাভাবিক ভাবনা, ফলে আমি অনেকটাই মানসিক চাপে ছিলাম।
আলি বিন সেলিম যেমন কথা দিয়েছিল, সেই অনুসারে খুবই রাসভারী চালে পরদিনই আমার শিবিরে এল, আর কাপড়ের গাঁটরির স্তূপ ভালো করে দেখে আমাকে জানাল যে সেগুলোকে বস্তায় পোরা দরকার। এও জানাল যে মাপজোখ নেওয়ার জন্য সে একজনকে পাঠাবে, আর সে ঠিক দামই বলবে কাজেই আমি যেন দাম নিয়ে কোনো দর কষাকষি না করি।
আলি বিন সেলিম যে একশো চল্লিশ জন কুলি পাঠাবে বলেছিল, তাদের জন্য কী অসীম ধৈর্যের সঙ্গেই না অপেক্ষা করছিলাম! সেই ফাঁকে আমরা অস্বাস্থ্যকর উপকূল-অঞ্চল পেরোনোর প্রস্তুতি হিসেবে যা যা করা দরকার বলে মনে হচ্ছিল সেইসব কাজও সারছিলাম, যাতে ওই ভয়ানক জ্বরে হতাশ হয়ে পড়ার আগেই আমরা রওনা হয়ে যেতে পারি। বাগামোয়োতে অল্প কদিন থেকেই বোঝা গেল আমাদের মালপত্রের মধ্যে কীসের অভাব, কোন্টা অতিরিক্ত আর কীই বা প্রয়োজনীয়।
এক রাতে খুব ঝড় হল, সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি। আমার তাঁবুতে পনেরশো ডলার দামের কুলিদের কাপড় ছিল। সকালে উঠে দেখি ও হরি! আমার তাঁবু যে ড্রিল কাপড় দিয়ে তৈরি, তার মধ্যে দিয়ে চালুনির মতো ঝরঝরিয়ে জল ঢুকেছে। আর কাপড়ের প্রতিটি অংশ ভিজে ঢোল। সেই সব কাপড় শুকিয়ে তারপর ভাঁজ করে তুলতে গোটা দুদিন সময় লাগল। ড্রিলের তাঁবুটা ফেলে দেওয়া হল আর তখনই একটা পাঁচ নম্বর শনের ক্যানভাসের তাঁবু তৈরি করা হল। একমাত্র তার পরেই আমার কাপড়ের বোঝা, এক বছরের গোলাবারুদের নিরাপত্তা বিষয়ে নিশ্চিত হলাম—এরপর মাসিকাকে আর পরোয়া করি না।
জাঞ্জিবার থেকে বেরোনোর তাড়ায় আর কেমন করে গাঁটরি তৈরি করতে হবে সে বাবদে বিশেষ কিছু জানা না থাকায়, যেসব মালপত্র বয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, সেগুলো বাঁধাছাঁদার কাজটা আমি একজন অভিজ্ঞ, বিবেচক জেট্টা মানে কমিশন বণিকের উপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। সে লোকটা একের পর এক মার্কিন, কানিকি, বারসাতি, জামদানি, জোহো, ইস্মাহিলির থান স্তুপ করে দড়ি দিয়ে বেঁধে গাঁটরি বানিয়েছে, কিন্তু সেগুলোকে ওজন করেনি। এক-দুজন কুলি আমার কাছে এল আর দরাদরি শুরু করল; শেষ দর দেওয়ার আগে তারা বোঝাগুলো দেখতে চাইল। বস্তা তোলার চেষ্টা করল—উফ আফ! নড়াতেই পারল না, হাল ছেড়ে দিল। একটা সূক্ষ্ম সল্টারের স্প্রিং ব্যালেন্স লাগানো হল আর হুকের থেকে একটা গাঁটরি ঝুলিয়ে দেওয়া হল। দেখা গেল সেটার ওজন একশো পাঁচ পাউন্ড মানে তিন ফ্রাসিলা। মানে ওজনে পঁয়তিরিশ পাউন্ড বা এক ফ্রাসিলা বেশি। সব কটা গাঁটরিকেই ওজন করে বোঝা গেল, জেট্টার ‘অভিজ্ঞতা-জাত আন্দাজ’ একটা বড়ো ঝামেলার মূলে।
জাঞ্জিবারের মহিলাদের পরনে মার্কিন কাপড়ের তৈরি পোশাক (ছবিসৌজন্য zanzibarhistory.org)
সৈন্যদের বসিয়ে দেওয়া হল সব খুলে ফের গাঁটরি বাঁধতে। এ যাত্রায় যেভাবে করা হল সেটা বলি। জাঞ্জিবারের বাজারে মার্কিন কাপড় সাধারণত তিরিশ গজ ২.৭৫ ডলারে বিক্রি হয়। সেই কাপড় থেকে আমরা এক ডটি বা চার গজ কাপড় নিয়ে বিছিয়ে দিলাম। এবার এক থান মার্কিন কাপড় নিলাম। নাশুয়া ও সালেম মিলে যেমন দুফেরতা করে ভাজ করে, তার বদলে সেটাকে তিন-ফেরতা করে ভাঁজ করা হল যাতে ভাঁজটা চওড়ায় এক ফুট হয়। এই টুকরোটা হল প্রথম স্তর, ওজন নয় পাউন্ড। এর পরের স্তরে আসবে ছটি কানিকির থান, আমেরিকার নীল জিনস বা ফ্রান্সের ব্লাউজ বানানোর কাপড়ের মতোই নীল রঙের কাপড়, যদিও অনেক হালকা। তৃতীয় স্তরে আবার গেল দ্বিতীয় মার্কিনের থান, চতুর্থে গেল আরও ছয় থান কানিকি, পঞ্চমে মার্কিন, ষষ্ঠে ফের কানিকি, সপ্তম বা সবশেষে আবার মার্কিন থান। এইভাবে প্রতি গাঁটরিতে চার থান মার্কিন কাপড়, ওজন ছত্তিরিশ পাউন্ড আর আর আঠার থান কানিকি যার ওজনও ছত্তিরিশ পাউন্ড মানে মোট বাহাত্তর পাঊন্ড, দুই ফ্রাসিলার একটু বেশি। তলার কাপড়টা এবার সবকটা পরতের উপর একবার ঘুরিয়ে নিয়ে এক কোণের সঙ্গে অন্যকোণ বেঁধে দেওয়া হল। এরপর এক বান্ডিল নারকেল-দড়ি আনা হল। দুজন লোক গাঁটরিটাকে কাঠের মুগুর দিয়ে পেটাতে লাগল আর চেপে চেপে, নাবিকরা যেমন যত্ন করে জাহাজের দড়িদড়া গুছিয়ে বাঁধে, তেমনই সযত্নে দড়ি দিয়ে বাঁধল।
বাঁধাছাঁদার কাজ শেষ হলে, প্রত্যেকটা গাঁটরি সাড়ে তিন ফুট লম্বা, এক ফুট চওড়া, এক ফুট গভীর একটা শক্তপোক্ত ব্যাপার হিসেবে দাঁড়াল। এই রকম বিরাশিটা গাঁটরি আমাকে উন্যানয়েম্বেতে নিয়ে যেতে হবে, যার মধ্যে চল্লিশটা গাঁটরি শুধু মার্কিন আর কানিকির আর বাকি বিয়াল্লিশটা ছিল মার্কিন আর রঙিন কাপড়ের। এইগুলো পরে হোঙ্গা হিসেবে অর্থাৎ সর্দারদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ব্যবহার হবে। উন্যানয়েম্বে থেকে উজিজি ও উজিজির থেকেও ভিতরে যাওয়ার জন্য আর-এক দল কুলি ভাড়া করতে হবে।
কুলি সংগ্রহের জন্য আলি বিন সেলিম আমার কাছে যে পনেরো দিন চেয়েছিল, সে পেরিয়ে চলে গেল, তবু আমার শিবিরে একজন কুলিরও টিকি দেখা গেল না। গোঁয়ার মাব্রুকিকে পাঠালাম আলি বিন সেলিমের কাছে, আমার সালাম জানাতে আর সেই সঙ্গে তাকে জানাতে যে আমি এখনও আশা করছি যে সে তার কথা রাখবে। আধ ঘণ্টার মধ্যেই মাব্রুকি আরবের উত্তর নিয়ে ফেরত চলে এল যে কয়েক দিনের মধ্যেই সে কুলি জোগাড় করে ফেলবে। কিন্তু, মাব্রুকি আমাকে বলল, “বানা, আমি ওকে বিশ্বাস করি না। ও আমাকে শুনিয়ে জোরে জোরে বলেছে, কেন আমি সাহেবকে কুলি দেব? সৈয়দ বুরঘাস তো আমাকে চিঠি দেননি, চিঠি তো দিয়েছেন জমাদারকে। আমি তার জন্য ঝামেলা ঘাড়ে নেব কেন? আগে তো আমি সৈয়দ বুরঘাসের থেকে এই ব্যাপারে চিঠি পাই, তখন দুদিনের মধ্যে জোগাড় করে দেব।”
বুঝলাম, কিছু একটা করা দরকার। আলি বিন সেলিম যেন বোঝে যে সাহেব এখন রওনা হতে ব্যগ্র, তার সঙ্গে এরকম খেলা করাটা নোংরামো। সে কী বলতে চায় জানতে চেয়ে আমি তার বাড়িতে চড়াও হলাম।
সে বলল, মাব্রুকি মিথ্যে কথা বলেছে, সে যেমন কালো, তেমন মিথ্যুক। সে কখনও এরকম কিছু বলেনি। সে নিজেই আমার দাস হতে পারে, আমার কুলি হয়ে যেতে পারে। আমি এখানেই তার বকরবকর থামিয়ে দিলাম। বললাম যে তাকে তো আমি কুলি হিসেবে কাজে লাগানোর কথা ভাবিনি। আর সেই সঙ্গে সৈয়দ বুরঘাসকে ঝামেলায় ফেলার কোনো ইচ্ছেই আমার নেই, মোটেই আমি তাঁকে বলব না আলিকে সরাসরি চিঠি লিখতে। আর আলি বিন সেলিম একবার আমাকে এরকম ঠকিয়েছে, তার মতো লোকের থেকে কোনো রকম সাহায্য নেওয়ার ইচ্ছেই আর আমার নেই। কাজেই ভালো চাইলে সে যেন আর আমার শিবিরে ঢুকতে না যায়, বা কোনো প্রতিনিধিও না পাঠায়।
সুলতানের চিঠি পাওয়ার পরেও, বাগামোয়োর কাছেই ছোট্টো শহর কেওল-এর জমাদার সাদুর, আমার সঙ্গে একবার শুধু দেখা করেছিলেন। তা ছাড়া তিনি সেই গ্রামের মধ্যে তাঁর দুর্গের মতো বাড়িতে বসেছিলেন। আমার উপকারার্থে এক পাও নড়েননি। ফলে আমার পনেরোটা দিন জলে গেল। নারানজি, কেওলের শুল্ক বিভাগের এজেন্ট, মহান লুধা দামজির কথায় ওঠেন-বসেন। তিনি অনেক হ্যাঁ-হ্যাঁ, হুঁ-হুঁ করলেন, চোখ টিপলেন, আর অনেক প্রতিশ্রুতি দিলেন। লুধা তাঁকে কুলি জোগাড় করে দেওয়ার জন্য পরিষ্কার অনুরোধ করেছিলেন। তা সত্ত্বেও তিনি কিছুই করলেন না। আর আলি বিন সেলিমের হাতে আমি কেমন নাকাল হয়েছিলাম সে তো এইমাত্রই বললাম। এই চরম দুর্দশার সময় আমার মনে পড়ল যে জাঞ্জিবারের মহান সওদাগর, তারিয়া টোপন, এক ভারতীয় মুসলমান, বলেছিলেন যে তিনি আমাকে সুর হাদজি পাল্লু বলে একজন যুবকের কাছে চিঠি দিয়ে দেবেন। বাগামোয়োতে কুলি জোগাড় করার জন্য সে সব থেকে ভালো লোক। সেলিম, আমার আরব দোভাষীকে, একটা ধাওতে চড়িয়ে জাঞ্জিবারে পাঠালাম, ক্যাপ্টেন ওয়েবের কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ জানিয়ে যে তিনি যেন অবিলম্বে তারিয়া টোপনের থেকে একটি পরিচিতিপত্র জোগাড় করে দেন। এটাই আমার শেষ অস্ত্র।
(ক্রমশ... পরের কিস্তি পড়ুন পরের বৃহস্পতিবার)
পড়তে এত ইন্টারেস্টিং লাগছে যে গুটেনবার্গের সাইট থেকে ইপাব জোগাড় করে পড়া শুরু করে দিয়েছি আগামী পর্বগুলো,সঙ্গে ম্যাপ খুলে যাত্রাপথ মার্ক করে দেখছি, শহর বা গ্রামগুলো এখন কি অবস্থায় সেসব ব্যাপারে পড়ছি। খুব ভালো কাজ।