ডেভিড লিভিংস্টোন। আফ্রিকায় বেপাত্তা। কিংবদন্তি মানুষটির খোঁজে আফ্রিকা পৌঁছেছেন মার্কিন সাংবাদিক হেনরি মর্টন স্ট্যানলে। জাঞ্জিবার থেকে শুরু হল আফ্রিকার গভীরে অভিযান। প্রথম লক্ষ্য বাগামোয়ো শহরে পৌঁছে পাক্কা দেড় মাস আটকে সেখান থেকে একে একে রওনা হয়েছে অভিযানের মোট পাঁচটি কাফেলা। চলছে অভিযানের মূল কাহিনি। স্ট্যানলের সেই বিখ্যাত সফরনামা ‘হাও আই ফাউন্ড লিভিংস্টোন’। এই প্রথম বাংলায়। এ অধ্যায়ে ফের শুরু হল উন্যানয়েম্বের জীবনের বর্ণনা ও মিরাম্বোর সঙ্গে আর এক প্রস্থ যুদ্ধ। তরজমায় স্বাতী রায়
১৩ অগাস্ট। আজ সমুদ্র উপকূল থেকে একটি কাফেলা এল। তাদের থেকে জানলাম যে উইলিয়াম এল. ফারকুহর, যাকে আমি উসাগারার এমপাওয়াপাওয়াতে অসুস্থ অবস্থায় রেখে এসেছিলাম, মারা গেছে। তার রাঁধুনিও আর বেঁচে নেই। আমি উগোগো পৌঁছানর দিন কয়েকের মধ্যেই ফারকুহর মারা গেছে বলে আমাকে জানানো হল। আর তার কয়েক সপ্তাহ পরে তার রাঁধুনির মৃত্যু হয়। আমার প্রথমেই প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছে হল। আমি মনে হয়েছিল যে লিউকোল আমার সাথে প্রতারণা করেছে, নিশ্চয় তাকে বিষ খাইয়ে বা অন্য কোনো উপায়ে মেরে ফেলেছে। তবে যে সোয়াহিলি মানুষটা ফারকুহরের মৃত্যুর খবর এনে দিয়েছিল, তার সঙ্গে নিজে কথা বলার পর আমার সন্দেহ দূর হল। সে বলল যে ফারকুহর ভয়ানক অসুস্থতার কারণেই মারা গেছেন। যা বুঝলাম, ফারকুহার সকালে ঘোষণা করেছিল যে সে বেশ সেরে উঠেছে, এবার রওনা দেবে, কিন্তু ওঠার চেষ্টা করতে গিয়ে পিছন দিকে পড়ে মারা যায়। আমাকে আরও বলা হয়েছিল যে মৃতদের সম্বন্ধে সাগারাদের কিছু কুসংস্কার থাকায় তারা জাকোকে বলেছিল মৃতদেহ বাইরে নিয়ে গিয়ে কবর দিতে। জাকো মরদেহ বইতে না পেরে, সেটা টেনে-হিঁচড়ে জঙ্গলে নিয়ে গিয়েছিল আর সেখানে একটু মাটি বা অন্য কিছু দিয়ে ঢাকা না দিয়েই নগ্ন অবস্থায় ফেলে দিয়ে এসেছিল। “শ, আমাদের একজন চলে গেল, এরপর কে?” সেই রাতে আমার সঙ্গীকে একথাই বললাম।
১৪ অগাস্ট। জাঞ্জিবারে পাঠানোর জন্য কিছু চিঠি লিখলাম। কাল রাতে শ খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিল, জ্বরের থেকে নাকি অন্য কিছুর থেকে তা জানি না। জ্বর বলে মনে তো হয় না। বাজে রকমের যৌন সংক্রমণ বলে সন্দেহ হচ্ছে। কিন্তু আমার কাছে এই রোগের কোন ওষুধ নেই। অগত্যা তিনজন সৈন্যকে জাঞ্জিবারে পাঠাতে হল, দ্রুত ফিরে আসার জন্য ঘুষ হিসেবে প্রত্যেককে পঞ্চাশ ডলার করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হল ।
১৯শে অগাস্ট। শনিবার। আমার সৈন্যদের পুঁতির মালা গাঁথার কাজে লাগানো হয়েছে। শ এখনও বিছানায় পড়ে আছে। শুনলাম যে মিরাম্বো উন্যানয়েম্বের দিকে আসছে। শেখ সৈয়দ বিন সালিম, আরব বসতির পরাক্রান্ত প্রধান সেনানায়ক সেখানে অনেক বারুদ জমা করে রেখেছিল। আজ সকালে আরব ও তাদের ক্রীতদাসদের একটা দল সেই বারুদ নিজেদের দখলে নিতে শুরু করেছে।
২১ অগাস্ট। সোমবার। শ এখনও অসুস্থ। একশ ফান্ডো পুঁতি গাঁথা হয়ে গেছে। মিরাম্বোর বিরুদ্ধে আরেকবার আকস্মিক আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে আরবরা। মিরাম্বো যে উন্যানয়েম্বের দিকে আসছে সেকথা অবশ্য আজ সকালে সৈয়দ বিন সালিম অস্বীকার করেছে।
২২ অগাস্ট। আজ সকালে, তখন সকাল দশটা মতন হবে, আমরা পুঁতির মালা গাঁথছিলাম। হঠাৎ তাবোরার দিক থেকে টানা গুলির শব্দ শুনতে পেলাম। হাতের কাজ ফেলে তাড়াহুড়ো করে সামনের দরজার দিকে ছুটলাম। দরজাটা তাবোরামুখো। ধুমধাড়াক্কা গুলির শব্দ স্পষ্ট শোনা যাচ্ছিল; কুঁড়েঘরের মাথায় উঠে স্পাইগ্লাস দিয়ে বন্দুকের ধোঁয়া দেখতে পেলাম। ব্যাপারটা কী বোঝার জন্য কয়েকজনকে পাঠিয়েছিলাম, তারা ছুটতে ছুটতে ফিরে এসে জানাল যে দুই হাজারেরও বেশি লোকজন নিয়ে মিরাম্বো তাবোরা আক্রমণ করেছে। আর সেই সঙ্গে এক হাজারেরও বেশি তুতার দলও উল্টোদিক থেকে এসে তাবোরার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তুতারা লুঠতরাজের লোভে মিরাম্বোর সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়েছে।
একটা নিচু ঢিবির উপর দিয়ে তাবোরা দেখা যায়। সেইদিকে চোখ রেখে বসেছিলাম। সেদিনই আরও পরে, প্রায় দুপুরের দিকে, দেখতে পেলাম দলে দলে লোক তাবোরার থেকে পালিয়ে সুরক্ষার জন্য কুইহারে আমাদের বসতির দিকে ছুটে আসছে। এই লোকদের থেকে আমরা একটা দুঃখের খবর পেলাম। মহান খামিস বিন আবদুল্লাহ, তার পুঁচকে চেলা খামিস, মোহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ, ইব্রাহিম বিন রশিদ মারা গেছে। নিহত হয়েছে নাসিবের নাতির ছেলে, শেখের নাতি, আলির ছেলে সাইফ।
আক্রমণের বিশদ বিবরণ আর এইসকল আরব কীভাবে মারা গেলেন সেই নিয়ে খোঁজখবর করতে গিয়ে জানলাম যে প্রথম দফার গুলির আওয়াজেই তাবোরার বাসিন্দারা বুঝতে পারেন যে শত্রু ঘাড়ে এসে পড়েছে। তখন খামিস বিন আবদুল্লাহর কাছে কয়েকজন বিশিষ্ট আরব ছিল। সকলকে নিয়ে সে তার টেম্বের ছাদে উঠেছিল আর যেদিক থেকে গুলি এসেছিল স্পাইগ্লাস দিয়ে সেদিক দেখছিল। ভারি অবাক হয়ে দেখে যে তাবোরার চারপাশের সমভূমি বর্বরে ভরে গেছে। আর প্রায় দু’মাইল দূরে, কাজিমার কাছে, একটি তাঁবু খাড়া করা হয়েছে। সেটা মিরাম্বোর বলেই সবাই জানে। তাবোরার আরবদের সঙ্গে যখন মিরাম্বোর সুসম্পর্ক ছিল, তখন তারাই মিরাম্বোকে ওই তাঁবুটা উপহার দিয়েছিল।
খামিস বিন আবদুল্লাহ নিচে নেমে এসে বলল, “চল আমরা ওর সঙ্গে মোলাকাত করতে যাই। বন্ধুরা, বন্দুক নাও, আমার সঙ্গে এসো”। তার বন্ধুরা তাকে বাড়ির বাইরে যেতে অনেক নিষেধ করেছিল। যতক্ষণ প্রত্যেক আরব তার টেম্বের মধ্যে থাকবে ততক্ষণ তারা রুগা রুগা ও তুতাদের সম্মিলিত শক্তি রোখার জন্য যথেষ্টরও বেশি। কিন্তু খামিস অধৈর্য হয়ে পড়ল, বলল ‘‘এই অসভ্যগুলোর ভয়ে ঘরে বসে থাকব? আমার সঙ্গে কি কেউ যাবে?’’ তার মৃত বন্ধুর ছেলে খামিস, তার ক্ষুদে চেলা তার বন্দুক-বহনকারী হয়ে সঙ্গে যাওয়ার আবদার জুড়ল। মোহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ, ইব্রাহিম বিন রশিদ ও আলির ছেলে সাইফ, সব ভাল ভাল পরিবারের আরব যুবক, যারা মহান খামিসের সঙ্গে থাকতে পেরে খুবই গর্বিত ছিল, তারাও তার সঙ্গে যেতে চাইল। খামিস বিচক্ষণ বন্ধুদের পরামর্শ শুনল না। তড়িঘড়ি করে জনা আশি ক্রীতদাসের হাতে অস্ত্র ধরিয়ে দিয়ে আক্রমণ করতে রওনা হল। শীঘ্রই ধূর্ত, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শত্রু মিরাম্বোর মুখোমুখি হল।
আরবরা তার দিকে এগিয়ে আসছে দেখে এই লোকটা তার দলবলকে ধীরে ধীরে পিছু হটতে নির্দেশ দিল। খামিস এই ছলনায় ভুলল আর ওদের পিছনে ধাওয়া করল। হঠাৎ মিরাম্বো তার লোকদেরকে একযোগে ওদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে হুকুম দিল। বাঁধভাঙ্গা বন্যার মত শত্রুদের ছুটে আসতে দেখে খামিসের দাসরা পিছন ফিরে ছুট লাগাল। একবারও আর পিছন ফিরে দেখল না। তাদের প্রভুকে ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিয়ে পালাল। অসভ্য শত্রুরা পাঁচজন আরবকে ঘিরে ধরল। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আরবদের গুলিতে মরেও গেল। তবু তারা এই ছোট দলটিকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতেই থাকল, যতক্ষণ না খামিস বিন আবদুল্লাহ পায়ে গুলি লেগে বসে পড়ে। আর তখনই খামিস প্রথম জানতে পারল যে তার দাসেরা তাকে ফেলে পালিয়েছে। আহত অবস্থাতেও সাহসী মানুষটা গুলি করেই যাচ্ছিল, তবে অল্প পরেই একটা গুলি সোজা তার হৃৎপিণ্ডে এসে বেঁধে। পিতৃসম খামিসকে পড়ে যেতে দেখে, ছোট্ট খামিস চেঁচিয়ে বলেছিল, ‘‘আমার বাবা খামিস মারা গেছেন, আমিও তার সঙ্গেই জীবন দেব’’ আর যুদ্ধ করেই যাচ্ছিল। তবে সামান্য পরেই তার গায়ে গুলি লাগে। মৃত্যু ক্ষত তৈরি হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আর একজনও আরব সেখানে বেঁচে ছিল না।
রাত আরও গভীর হলে এই মর্মান্তিক ঘটনার আরও কিছু বিবরণ পাওয়া গেল। যারা মৃতদেহ দেখেছিল তারা বলল যে, খামিস বিন আবদুল্লাহর মত অভিজাত, সাহসী, মহান একজন মানুষের মৃতদেহের থেকে কপাল, দাড়ি ও মুখের নিচের অংশের চামড়া কেটে নিয়েছে। এছাড়াও নাকের সামনের অংশ, পেট-তলপেটের ওপরের চর্বি আর প্রত্যেকটা গোড়ালি থেকেও কিছুটা করে কেটে নিয়েছে। মিরাম্বোর বর্বর সঙ্গীদের কীর্তি। তার দত্তক পুত্র আর সঙ্গীদের দেহও একই অবস্থায় পাওয়া গেছে। গাঙ্গা বা ওঝারা মৃতদেহ থেকে মাংস ও চামড়া কেটে নেওয়ার কাজটা করেছিল। এসব দিয়ে তারা কড়া ওষুধ বানাবে যা খেলে লোকে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রবল বিক্রম দেখাবে। উগালি আর ভাতের সঙ্গে এই ওষুধ মেশান হবে আর প্রবল বিশ্বাসে খেয়ে নেওয়া হবে। এই ওষুধ খেলে কোন রকম গুলি বা নিক্ষেপিত অস্ত্রই আর কোন ক্ষতি করতে পারবে না। ওষুধের কার্যকারিতার উপর এখানকার লোকের অন্ধ বিশ্বাস।
আমাদের কুইহারার উত্তেজিত বসতি থেকে দেখছিলাম প্রায় পুরো তাবোরা আগুনে জ্বলছে আর শয়ে শয়ে লোক কুইহারাতে এসে ভিড় করছে। অত্যন্ত দুঃখজনক দৃশ্য এটা।
আমার লোকজনেরা আমার পাশে থাকবে এটা বুঝে আমি প্রতিরক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করলাম। টেম্বের শক্ত মাটির দেয়ালে মাস্কেটের জন্য ছোট ছোট গর্ত খুঁড়লাম। খুবই তাড়াতাড়ি সেগুলো করে ফেলা গেল, আর মনে হল যে টেম্বের একটা বেশ ভালমত প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করা গেল। আমার লোকেরা বেশ সাহস পেয়ে গেল। তাবোরা থেকে পালিয়ে আসা বন্দুকধারী এনগওয়ানা শরণার্থীদের প্রতিরক্ষার কাজে সাহায্য করার জন্য আমাদের টেম্বেতে থাকতে বলা হল। লিভিংস্টোনের কাফেলার লোকদের জড়ো করা হল। মিরাম্বোর সম্ভাব্য আক্রমণের বিরুদ্ধে তাদের মালিকের জিনিসপত্র রক্ষায় সাহায্য করার জন্য তাদেরও ডাকা হল। রাতের মধ্যে আমার উঠানে দেড়শ জন সশস্ত্র লোক হাজির, যে যে জায়গা থেকে আক্রমণ হতে পারে তার সব কটা জায়গাতেই লোক দাঁড় করিয়ে রাখলাম। মিরাম্বো হুমকি দিয়েছে যে সে আগামীকাল কুইহারে আসবে। আশা করি সে আসবে, আর একটি বার যদি সে আমেরিকান রাইফেলের সীমার মধ্যে আসে, দেখব যে আমেরিকান গুলির কত গুণ।
২৩ অগাস্ট। কুইহার উপত্যকায় ভারি উদ্বেগে একটা দিন কাটল। খালি খালি হতভাগ্য তাবোরার দিকে চোখ যাচ্ছিল। শোনা গেল যে শুধুমাত্র তিনটি টেম্বে হামলার ধাক্কা সইতে পেরেছে। আবিদ বিন সুলেমানের বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে আর দুই শতাধিক হাতির দাঁত আফ্রিকান বোনাপার্টের সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে। একটা টেম্বের প্রতিরক্ষার উপায় হিসেবে, আর তার গড়নশৈলী অনুযায়ী যতটা সম্ভব আমার টেম্বেকে প্রতিরক্ষার বাবদে ততটাই পোক্ত করা হয়েছে। বাড়ির বাইরে চারপাশে রাইফেল-পিট কাটা হয়েছে এবং যে সমস্ত স্থানীয় কুঁড়েঘরগুলো দেখার পথে বাধা সৃষ্টি করছিল সেগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। গাছ পালা, ঝোপঝাড় যেগুলোতে শত্রু আশ্রয় নিতে পারে সে সব কেটে ফেলা হয়েছে। ছ-দিনের জন্য পর্যাপ্ত খাবার ও জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দু’সপ্তাহ চলার মত যথেষ্ট গোলাবারুদ আছে। আর একটুও গর্ব না করেই বলতে পারি যে, দশ হাজার আফ্রিকান এলেও আমার টেম্বে দখল করতে পারবে না। অবশ্য ৪০০ বা ৫০০ ইউরোপীয়দের একটা দল সহজেই দখল করতে পারবে। কামানের সাহায্য ছাড়াই। আর কামান থাকলে তো কথাই নেই। ৫০ জনের একটা ছোট ইউরোপিয়ানদের দলই পারবে। দেয়ালগুলো তিন ফুট পুরু, আর ঘরের মধ্যে ঘর রয়েছে, শেষ ঘরটা দখল না হওয়া অবধি একটা মরিয়া দল লড়াই চালিয়ে যেতে পারবে।
আমার প্রতিবেশী আরবরা চেষ্টা করছে মুখে সাহসী ভাব দেখাতে, কিন্তু স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে তারা ঘাবড়ে গেছে; গুজব শোনা যাচ্ছে যে তাবোরা হাতছাড়া হলে কুইহারার আরবরা সদলবলে উপকূলের দিকে রওনা দেবে আর এই সব জায়গা মিরাম্বোকে ছেড়ে দেবে। এই যদি উদ্দেশ্য হয়, আর যদি সত্যিই এরা তাই করে, তাহলে তো আমার অবস্থা করুণ হয়ে যাবে! যাইহোক, যদি তারা আমাকে ফেলে পালায়ও, মিরাম্বো আমার ভাণ্ডার থেকে কিচ্ছু পাবে না, লিভিংস্টোনের কাফেলার থেকেও পাবে না, কারণ আমি পুরো বাড়িতে আগুন দিয়ে দেব, সবকিছু পুড়িয়ে দেব; এটাই ঠিক করে রেখেছি। কিন্তু শ'র কি হবে? ওই ডামাডোলের মধ্যে কেই বা তাকে বয়ে নিয়ে যাবে?
(ক্রমশ...)