১৭
বাবার কাজে অনেক লোকের সমাগম হয়েছিল, বাবা সকলের ভালোবাসার মানুষ ছিলেন। এইভাবে একমাসের এপাশে ওপাশে মা আর বাবা দুজনেই যে চলে যাবেন - একথা আমাদের মত কেউই ভাবতে পারেনি। কিন্তু আমি ভাবি, যদি আবেগের কথা ছেড়েও দিই, তাহলেও এই মৃত্যু হয়ত ততটা অস্বাভাবিক নয়, যতটা আমরা ভাবছি। লকডাউনে, করোনা করোনা করে বয়স্ক মানুষদের অন্য অসুখগুলির ঠিক মত চিকিৎসা হয়নি। একটা দীর্ঘ সময় আমরা কাছে যেতে পারিনি। হার্ড লকডাউন ঐ বয়সের মানুষদের মনে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, কতটা স্ট্রেস তৈরি করতে পারে তা আমাদের অনুভবের অতীত। আমরা বাবা মায়ের জন্য যতটা ভেবেছি, ঐ সময়ে, তার চেয়ে হাজার গুণ বেশি দুশ্চিন্তা তাঁরা করেছেন, আমাদের জন্যে। মা শয্যাশায়ী ছিল, অথচ কোন নার্স, আয়া কারোর সাহায্য পাওয়া যায়নি। বাবা সব একা হাতে করেছে। মাকে বাঁচিয়ে রাখাই ছিল বাবার তখন একমাত্র লক্ষ্য। সেই মা যখন চলে গেল, বাবাও মনে মনে হেরে গেল। বেঁচে থাকার মানেটাই হারিয়ে ফেলল।
আমার কর্তা এমন ব্যবস্থা করেছিলেন যে, যতদিন আমরা আড়বালিয়ায় থাকব, বড়জেঠু, মেজজেঠু, সেজজেঠু কারোর পরিবারে আলাদা হাঁড়ি চড়বেনা, একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া হবে। সে বড়ঘরের ছেলে, বাড়িতে অনেক লোকজনের থাকা খাওয়ার আয়োজনের জন্য কীভাবে সুচারু বন্দোবস্ত করতে হয় - এসব বিষয়ে অল্প বয়স থেকেই বেশ পাকাপোক্ত। তাই আমাকে কিছুই মাথা ঘামাতে হয়নি। ওর এই ব্যবস্থায় আমি খুবই খুশি হয়েছিলাম, কারণ কয়েকদিনের জন্য হলেও আমার ছোটবেলা যেন ফিরে এসেছিল। মা জ্যাঠাইমারা মাথায় কাপড় দিয়ে, আঁচলের প্রান্তটা দুই ঠোঁটের মধ্যে ধরে থাকত। এইভাবে সকলে একসঙ্গে বসে আনাজ কাটত, বাটনা বাটত, রান্না করত। আর আমার দোর্দণ্ড প্রতাপ পিসিমণি এলে তো আর কথাই নেই। একটা মোড়া পেতে বসে সব কিছুর তদারক করত। আগে নিজের মনকেই প্রশ্ন করতাম, মা মাথায় ঘোমটা দিয়ে প্রান্তটা কেন দুই ঠোঁটে ধরে থাকে? - এখন বুঝেছি, এর দুটো কারণ, প্রথমটা খুব সোজা - ঘোমটা যেন মাথা থেকে খসে না পড়ে। তখন এত সেফটিপিন ব্যবহারের চল ছিলনা। আর থাকলেও ঘরে শাড়িতে সবসময়ে সেফটিপিন লাগিয়ে রাখলে, আমাদের সামলাতে বা কোন কারণে টান পড়লে কাপড় ছিঁড়বেই - ঘরে পরার সস্তা ছাপা শাড়ি মা বা জ্যাঠাইমা কারোরই খুব বেশি তো ছিলনা। তাই ঘরে ঐ সেফটিপিনের ঝুঁকি নেওয়া যেতনা। দ্বিতীয়টা হল, আগে চল ছিল রান্নার কাজ করার সময়ে দরকার ছাড়া কথা বেশি বলা যাবেনা - তাতে রান্না অপরিচ্ছন্ন হবার ভয় থাকে। এখন অবশ্য এসব নিয়ম উঠে গেছে, তবুও মায়েদের জায়গায় আজ বৌদিরা, ভাইপো বৌয়েরা যখন সেই একই ভাবে বসে একসঙ্গে কাজ করছিল, একসঙ্গে বসে দুইবেলা খাওয়াদাওয়া হচ্ছিল, গল্পগাছা, এর ওর পিছনে লাগা, খুনসুটি করা চলছিল - তখন দুঃখের মধ্যেও আমার খুব ভালো লাগছিল। ঠিক পিসিমণির মতই আমার অশীতিপর, কিন্তু ডাকাবুকো মেজজ্যাঠাইমা উঠোনে মোড়া পেতে বসে কাজের তদারক করছিলেন, নাতবৌদের নিয়ম কানুন শিখিয়ে দিচ্ছিলেন। সেজজেঠুদের লিচু গাছের তলায়, আজ যেন সেই কত যুগ পরে আমরা ভাইবোনেরা পাত পেড়ে খেতে বসছিলাম। আমি নিশ্চিত, আমার জেঠতুতো দাদা দিদিদেরও মনের অবস্থা আমার মতই হয়েছিল - আলাদা কিছু হতেই পারেনা। লকডাউনের বিষাক্ত মাসগুলো কাটানোর পর, এভাবে যৌথ পরিবারের সান্নিধ্য সকলে উপভোগ করছিলাম। আর একবার সকলে সকলকে জড়িয়ে বাঁচতে চাইছিলাম। আনন্দের সময়ের চেয়ে দুঃখের মধ্যে এক হওয়াটা বেশি গভীর।
সন্ধের সময়ে কথা প্রসঙ্গে আতি চাচা আর সাহেব চাচাকে খুঁজে না পাবার কথাটা উঠে পড়ল। এই সাহেব চাচার ব্যাপারে একটা আশ্চর্য কথা আছে, সেটা না বললেই নয়। একবার আমার শ্বশুর বাড়িতে খেতে বসে টেবিলে গল্পগাছা চলছিল। দেওর তখন একটা অদ্ভুত কথা বললো। ও কাজে গিয়েছিল খেজুরীতে। সেখানে একজন স্থানীয় মানুষকে দেখেছে, যে ফর্সা, কিন্তু রোদে একটা তামাটে পরত পড়েছে। চোখ দুটো নীল। শারীরিক কাঠামো ঠিক বাঙালিদের মতো নয়, অথচ সে বাঙালি। তারপর কাঁথি কলেজের এক অধ্যাপককে জিজ্ঞেস করেছিল। তিনি বলেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের মীরপুরে একটা গ্রাম আছে, লোকে বলে পর্তুগিজ গ্রাম। সেখানে পর্তুগিজ সৈন্যদের বংশধরেরা এখন বাঙালি হয়ে গেছে। বর্গী আক্রমণের সময়ে মহিষাদলের রাজাকে সাহায্য করেছিলো পর্তুগিজরা। সেই সৈন্যরা কয়েকজন বিয়ে থা করে ওখানে থেকে যায়। কারোর কারোর দেহে এখনও পূর্ব পুরুষের চিহ্ন প্রকট হয়ে যায়। আমার দেওর ঐরকমই একজন বাঙালি পর্তুগিজ দেখেছে। ওর কথা শুনে বিদ্যুৎ চমকে ওঠে আমার শিরায়। সেই আলোয় ঝলসে ওঠে আড়বালিয়ার দৃশ্য। শীতের কুয়াশা, রবিবারের হাট, সেই পাটালি কিনতে যাওয়া, বাবার আঙ্গুল জড়িয়ে ছোট্ট আমি। মনের মধ্যে হু হু করে ফ্ল্যাশ ব্যাক চলে। অনেক দিন পর স্মৃতির ভার ঠেলে কোন অতল থেকে সেদিন সাহেব চাচার মুখটা ভেসে উঠলো চোখে। পরনে চেক কাটা লুঙ্গি আর আধ ময়লা ফতুয়া। বাবাকে দেখতে পেলে তার কটা চোখে হাজার ওয়াটের আলো, অনচ্ছ সবুজ সেই চোখের মণি। এক গাল হাসি, আর হাসলে গালের দুপাশে অনেক গুলো কেঠো ভাঁজ। এতো ফর্সা সেই গাল, মনে হতো রক্ত ফেটে পড়বে। তার মুখটা কিভাবে বোঝাবো, অনেকটা চাঁদের পাহাড় সিনেমার আলভারেজের মতো। কিন্তু মানুষটার দৈর্ঘ্য বেশি নয়। গড়পড়তা বাঙালিদের মতোই। বাংলায় পর্তুগিজ গ্রাম আছে যখন, কেউ না কেউ মেদিনীপুর থেকে চব্বিশ পরগণায় আসতেই পারে। সেই দিন থেকে আমার দৃঢ় ধারণা সাহেব চাচাও পর্তুগিজ, মানে পর্তুগিজ বংশোদ্ভূত বাঙালি। বাবা বলতো সাহেবের মতো দেখতে তো - ওকে সবাই সাহেব সাহেব বলে ডাকতে ডাকতে নামটাই সাহেব হয়ে গেছে - আগে যে কী নাম ছিল সকলেই ভুলেছে। আমি জোরের সঙ্গে নিজের বক্তব্য পেশ করাতে দাদা দিদিরাও ভাবতে বসে, ধন্দে পড়ে যায়।
আড্ডার তো আর নির্দিষ্ট কোন দিশা থাকেনা, তা নিজের মনে বিভিন্ন দিকে চলতে থাকে। এবার ওঠে আমাদের বিখ্যাত কাঁঠাল গাছের কথা। ঠাকুরদা আমাদের ভিটের পশ্চিম সীমানায় একটা কাঁঠাল গাছ বসিয়েছিলেন। আমরা জেঠতুত, খুড়তুতো দশ ভাইবোন কেউই আমাদের ঠাকুমা ঠাকুরদাকে দেখিনি, কারণ তাঁরা বাবা নাবালক থাকা অবস্থায় গত হয়েছেন। যা হোক সেই কাঁঠাল গাছ ছিল আমাদের পশ্চিমের পাহারাদার, শৈশবের খেলার সাথী, আমকুড়োনো ঝড়ের অভিযানে যখন প্রবল বৃষ্টি নামত, তখন বাসুকীর মত আশ্রয় দাতা ছাতা - ঠিক যেন আমাদের দশ ভাইবোনের একজন বড় দাদা। আমরা বড় হতে লাগলাম, আর সেই কাঁঠাল দাদার ছাতাও উঁচু আর বিশাল হয়ে উঠল। তার গুঁড়ির বপু বেড়ে বেড়ে এমন হল যে গাছটা এখন আমাদের জমিতে অর্ধেক আর প্রতিবেশীর জমিতে অর্ধেক হল। ঠাকুরদা ডাক্তার ছিলেন, ছেলেদের ভাবনার দিশা পড়াশোনার দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি অকালে গত হওয়ায় বাবা, জেঠুদের তীব্র জীবন সংগ্রাম করে প্রতিষ্ঠিত হতে হয়েছিল। জমিজমার মাপ, গাছগাছালির বিতর্ক, ঝগড়াঝাঁটি কতদূর যেতে পারে সেদিকে অতটা ধারণা ছিলনা। কিন্তু প্রতিবেশী তো তেমন নয়। তারা কাঁঠাল পেড়ে খেতে লাগল, বিক্রি করতে লাগল, শেষ পর্যন্ত বলল যে কাঁঠাল গাছ ধরে সোজা লাইন টানলে যা হয়, সেই বরাবর জমি তাদের। মৌজার মাপ কিছু নয়। এমনকি আমাদের সীমানার লাগোয়া একটি অংশ তারা এক পূর্ব বঙ্গীয় উদ্বাস্তু পরিবারকে বিক্রি করে দিয়েছিল। এইসব হল আমার জন্মের সময়কার ঘটনা। সেই পরিবারটি আমাদের জমির ভিতরে গাছ বসাত। একটু একটু করে যে তাদের প্রসারিত হবার ইচ্ছে ছিল, তাতে কোন সন্দেহ নেই। গ্রাম দেশে এসব ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। বাবা বা জেঠুরা যেহেতু শান্ত স্বভাবের ছিলেন, উঁচু গলায় তাঁদের কথা শোনা যেতনা, তাঁদের জীবনের শেষদিন পর্যন্ত আশঙ্কা ছিল, যে তাঁদের পরে আমরা খুবই বিপদে পড়ব। আমি বাবাকে বোঝাতে যেতাম, যে 'বিপদ কীসের? আমরা বৈধ উত্তরাধিকারী'। বাবা একদিন বলেছিল, 'সে তো কাগজে কলমে। যখন সামনে দাঁড়িয়ে মোকাবিলা করতে হবে, তখন বুঝবি, তুই যতই বৈধ হোস না কেন, ওখানকার ভোটার তো নোস'। বাবার কথা শুনে আমি চমকে গিয়েছিলাম, আমার মনেও ভয় ঢুকেছিল। কিন্তু এই আড্ডায় বসে আজ জানতে পারলাম, যাদের নিয়ে ভয়, সেই পরিবার সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে, যে সীমান্ত সমস্যা তারা মিটিয়ে নিতে চায়, এমনকি যে পরিবারটি গাছ বসাত, তারাও সহমত। আমি, দুই প্রবাসী দাদা সকলে অবাক - হঠাৎ এই মত পরিবর্তনের কারণ কী?
ঘটনা হল, গেল বছর আম্ফানে বাকি আমগাছগুলোর সঙ্গে ঝড়ের লেজের ঝাপটা খেয়ে কাঁঠাল দাদা আর নেই, ধরাশায়ী হয়েছে। কিন্তু সেই সময়ে এত গাছ পড়েছিল, যে গাছ বিক্রি হচ্ছিল না, উল্টে গাছ কেটে পরিষ্কার করে দিলেও যার গাছ তার কাছ থেকে টাকা চাইছিল। এখন আবার গাছ বিক্রি হচ্ছে। ঐ অত পুরোনো কাঁঠাল কাঠের মোটামুটি দাম পাওয়া গেছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, টাকাটা কোন পরিবার পাবে? এই ফয়সালাটা একটা কারণ। তবে বিস্ময়ের আরও কিছু বাকি ছিল। দ্বিতীয় কারণটা আরও গভীর। শুনলাম চারিদিকে নতুন নতুন পরিবার বসে যাচ্ছে, যারা এখানকার আদি বাসিন্দা নয়। ফাঁকা জমি, বাগান থেকে তৈরি বাড়ি তারা যেকোন মূল্যে কিনে নিচ্ছে। সেই ভয়েই ওরা ঝগড়া মেটাতে চাইছে। এই ব্যাপারটি আমি একটু গভীরে বোঝার চেষ্টা করলাম।
— তোরা যে বলেছিলি এবারে চানুদিকে কাজে না নিতে! ঐ ঊষা কে, যাকে কাজে নিলি?
— ঊষা সেই নতুন মানুষদের একজন ।
— তাহলে?
— আরে শোন, যারা আমাদের কাঁঠাল গাছ নিতে চাইত, চানুদি তাদেরই পিসি, বাপের বাড়িতে থাকে। এখন বয়স হয়ে গেছে, শুধু বকবক করে। ছোটকা এলে ও কাজ করত, আর মনে হয় কান পেতে এ বাড়ির কথা শুনে ভাইপোদের কিছু বলত। ছোটকা কলকাতা চলে গেলেই কোন না কোন বিষয়ে আমাদের সঙ্গে ঝগড়া বেধে যেত।
— এ্যাঁ! তখন কিছু জানাসনি তো।
— ছোটকা কয়েকদিনের জন্য আসত, তার বিশ্বাস ভেঙে দেব! - তাই তখন কিছু বলিনি। এখন তোকে বললাম। আর যখন লোক ঠিক করেছি, তখন তো ওরা কিছু বলেনি। বলল তো কাল, তোরা যখন বাড়ি এলি।
— আর ঊষা?
— আমাদের বাড়ির উল্টো দিকের আমবাগানটার দিকে তাকিয়ে দেখেছিস?
— না মানে, দেখার মন ছিলনা, তাকানো হয়নি।
— এখন দেখ।
— একী! একটাও গাছ নেই। এই বাড়িগুলো কার?
— নতুন মানুষেরা জমি কিনে নিয়েছে। একেবারে সামনের বাড়িটা ঊষাদের। ওরে টুম্পা, সে তুই চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতে পারবিনা। প্রথমে সব ছিটেবেড়ার ঘর বানাল, তার পর তার চাল থেকে জমির বাকি অংশে নানান ফসল ফলাতে শুরু করল। হাঁস মুরগি পুষল, ছাগল পুষল। অল্প অল্প ইট কিনে নিজেরাই দেওয়াল তুলে পাকা বাড়ি করে ফেলল।
— মানে?
— নইলে আর বলছি কী! ঊষা আর তার বৌমা মাঠের কাজ করে, ঘরামির কাজ জানে, রান্নার কাজ দিলে তাও করবে। ঘর মোছা, বাসন মাজা, কাপড় কাচা - যা বলবি তাই। কাজের উঁচু নিচু জ্ঞান করেনা। শাশুড়ি, বৌমা মিলে সারাদিন গাধার খাটুনি খেটে, সারারাত সেলাই করে। কখন ঘুমোয়, কী জানি।
— বলিস কীরে, কী সেলাই করে?
— কাঁথা করে, দোকানের নাইটি, ব্লাউজ, সালোয়ার কামিজ - যখন যেমন অর্ডার থাকে।
— শুধু মেয়ে দুটো কাজ করে? আর তাদের বর দুটো?
— তারা বিশ্ব কুঁড়ে। ঊষার ছেলেটা গাঁজা খায়, বরটা তরলের ওপর আছে।
— ইশশ।
— কাল থেকে ঊষা তোর বাড়িতে কাজ করবে, দেখবি তখন। তুই যে চাচাদের জন্য পাগল হয়ে যাচ্ছিস, একথা জানতে পারলে ওরা মোটেও খুশি হবেনা।
— কেন?
— ওসব দিকে ওরা তেমন উদার নয়। ওদের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে বলে, এদিককার পরিবেশ অনেক বদলে যাবে।
সেদিন রাতে শুয়ে শুয়ে ভাবলাম, দাদা, বৌদিদের কথা শুনে মনে হচ্ছে - ঊষা একজন লেডি হারকিউলিস। এখানে এসে আমার যত ব্যস্ততাই থাক, এই মেয়েটিকে আমাকে কাল্টিভেট করতেই হবে।