এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • আজ শীতল ষষ্ঠী - অরন্ধনের দিন 

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২৮১ বার পঠিত
  • আজ শীতল ষষ্ঠী – অরন্ধনের দিন

    বাসন্তী পঞ্চমীর পরের দিন মানে সরস্বতী পুজোর পরের দিন শুক্লা ষষ্ঠী তিথিতে পালন করা হয় শীতল ষষ্ঠীর ব্রত। অনেকে আবার একে শিল ষষ্ঠী বা গোটা ষষ্ঠীও বলে থাকেন। এই বিশেষ দিনটির খুঁটিনাটি নানা বিষয়ে বিস্তারিত কথা আলাদা করে বলার আগে বাংলায় ষষ্ঠী পুজোর ইতিবৃত্ত নিয়ে দু এক কথা আলোচনা করি।

    তথাকথিত শাস্ত্রীয় পুজো পার্বণের পাশাপাশি লোকায়ত জীবনের বহমান ধারায় যুক্ত হয় অনেক অনেক দৈশিক আচার অনুষ্ঠান, ক্রিয়াকলাপ। লোক গবেষকদের মতে ষষ্ঠী দেবীর পুজোর আয়োজন এভাবেই হয়তো মান্যতা পেয়েছে লোক সমাজে। দেবী ষষ্ঠী হলেন প্রজননের দেবী, সন্তানের সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য, প্রতিপালনের দেবী। মার্জার বাহিনী এই দেবীর কৃপায় নিঃসন্তান দম্পতিদের সন্তান লাভ হয়, সন্তানদের শতেক বিপদ আপদের হাত থেকে তিনিই রক্ষা করেন। এই বিশ্বাসকে আগলে রেখেই বাংলার গ্রামীণ সমাজে তাঁর আস্থান, অধিষ্ঠান। পুরাণের কাহিনি অনুসারে এই লোকদেবী হলেন আদি প্রকৃতিরই ষষ্ঠাঙ্গ অংশভূতা। আর সেই কারণেই তাঁর নাম ষষ্ঠী দেবী। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এখনও নিশ্চয়ই ষষ্ঠীর থান বা ষষ্ঠীতলাগুলোর অস্তিত্ব একেবারেই লুপ্ত হয়ে যায় নি। সেখানে আজ ভিড় জমিয়েছেন গ্রামের মহিলারা। সন্তানদের মঙ্গল কামনা করছেন।

    আমাদের বাংলা হলো কৃষির আঁতুড়ঘর। নরম পলি মাটির আচ্ছাদন আর মেঘ ঝরানো পরিমিত বৃষ্টিপাতের কারণে আমাদের বাংলাদেশ সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা। শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতদের মতে বছরভর নানান রূপকল্পনায় দেবী ষষ্ঠীর আরাধনার মধ্যেই নিহিত রয়েছে কৃষি নির্ভর বাংলার গ্রামীণ লোক সমাজের একান্ত চাওয়া পাওয়ার রূপটি। বর্ষপঞ্জির গণণা অনুসারে প্রতি বাংলা মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথি দেবী ষষ্ঠীর আরাধনার জন্য নির্দিষ্ট। এই সিদ্ধান্ত অনুসারে জৈষ্ঠ্য মাসে অরণ্য ষষ্ঠী, শ্রাবণ মাসে লুন্ঠন ষষ্ঠী বা লোটন ষষ্ঠী, ভাদ্র মাসে চাপড়া বা মন্থন ষষ্ঠী, আশ্বিন মাসে দুর্গা ষষ্ঠী বা বোধন ষষ্ঠী, অগ্রহায়ণ মাসে মূলা ষষ্ঠী, পৌষ মাসে পাটাই ষষ্ঠী, মাঘ মাসে শীতল ষষ্ঠী,শিল ষষ্ঠী বা গোটা ষষ্ঠী এবং চৈত্র মাসে অশোক ষষ্ঠী ও নীল ষষ্ঠীর আরাধনার পর্ব চলে বাংলার গ্রামীণ সমাজে। এখানেই শেষ নয়। বাড়িতে নবজাতক বা নবজাতিকার জন্মের পর সূতিকা ষষ্ঠী, জন্মের পর ছয়টি দিন পার হলে ঘাট ষষ্ঠী, তিন সপ্তাহ পার হলে একুশে ষষ্ঠী ব্রতের পালন করা হয়। শিশুটি যতদিন না বারো বছরের গণ্ডি পার হচ্ছে ততদিন প্রতি জন্মতিথিতে জল ষষ্ঠী দেবীর পুজোর আয়োজন করা হয়। এখানে একটা বিষয় খুব পরিস্কার যে বাংলাদেশের গ্রাম জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই জড়িয়ে রয়েছে দেবী ষষ্ঠীর কৃপা ও করুণা। ষষ্ঠী হলেন সকল কাজের সঙ্গী, আমাদের মঙ্গল বিধায়িকা। তাই বোধহয় দেবী ষষ্ঠীর এতো জনপ্রিয়তা।

    এমন‌ই এক জনপ্রিয় লোকদেবী যিনি আমাদের লোক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই জড়িয়ে আছেন নিবিড় ভাবে তাঁকে স্মরণ করেই শুক্লা বাসন্তী ষষ্ঠীর দিন বাংলার গ্রামীণ সমাজের একাংশের মধ্যে শীতল ষষ্ঠী,শিল ষষ্ঠী বা গোটা ষষ্ঠী পালনের চল রয়েছে। এইদিন রসুই ঘরের অতি প্রয়োজনীয় উপকরণ শিল নোড়াকে বিশ্রাম দেওয়া হয় কৃতজ্ঞতার নিদর্শ হিসেবে। আসলে সারা বছর ধরে রান্নাঘরের এক কোণের নিভৃতে সংগোপনে থাকে এই দুই উপকরণ। একালের নব্যশহুরে বাবু বিবিদের সংসারে এদের অস্তিত্ব প্রায় নেই অথচ এক সময় পাকশালার অপরিহার্য অঙ্গ ছিল এই দুই পাথুরে উপকরণ। সম্বৎসরের বিস্তর খাটাখাটনির কথা মাথায় রেখেই এদের শীতল ষষ্ঠীর দিন বিশ্রাম দেওয়া হয়। এরা ছুটিতে গেলে হেঁসেলের হাল কী হবে? মশলা পেষাই না হলে রান্নার হ্যাপা সামলাবে কে? অত‌এব এই দিনে হেঁসেল রক্ষক দেবী ষষ্ঠীকে স্মরণ করে রান্নাঘরের রন্ধন কর্মের পূর্ণ বিরতি।

    সরস্বতী পুজোর দিন শীতকালীন সমস্ত সবজি ছয়টি ছয়টি করে গোটা অবস্থায় রান্না করে রাখা হয়। রান্নায় কোনো রকম তেল মশলার ব্যবহার ছাড়াই পঞ্চমী তিথিতে সাধারণত বিকেলের দিকে রান্না করে রাখা গোটা সবজি পরদিন ষষ্ঠী তিথিতে দেবী ষষ্ঠীকে স্মরণ করে খাওয়া হয়। এভাবেই সব কিছু গোটা রান্নার প্রথা চালু হলো। রন্ধনদেবীকে স্মরণে রেখে এও এক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের প্রচেষ্টা আর কি! কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের এমন আয়োজন বঙ্গ সংস্কৃতিরই অঙ্গ। সরস্বতী পুজোর ভুরিভোজের পর খুব সাদামাটা খাওয়া দাওয়া। শিলকে উপলক্ষ্য করে প্রতিদিনের ব্যস্ত রান্নাঘরের এমন বিশ্রামের এই আয়োজন,তাই শিল ষষ্ঠী হলো বঙ্গ জীবনের অপরিহার্য অঙ্গ - রান্নাঘরের ছুটির দিন, অরন্ধন।

    পাশাপাশি এদিনের এই উদযাপন শীতল ষষ্ঠী নামে পরিচিত কেন? অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায় যে বসন্ত পঞ্চমীর পর থেকেই ধীরে ধীরে গরমের প্রকোপ বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। বাইরের বাতাসে এখন বসন্তের ইতিউতি ইশারা। এই ঠাণ্ডা গরমের সন্ধিক্ষণে নানান ধরনের শারীরিক উপসর্গ বিশেষ করে বসন্ত, ভাইরাল জ্বর, ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের আকস্মিক প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। চিকিৎসা গবেষকেরা বলেন যে এই সময় সাবধানে থাকার পাশাপাশি ঠান্ডা বা শীতল সহজ পাচ্য খাবার খাওয়া বিধেয়। শীতল ষষ্ঠী উপলক্ষে যে গোটা সিদ্ধ খাবার নিয়ম রয়েছে তা আমাদের শরীরে এক ধরনের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। না কাটাকাটি করে সব সবজি গোটা খাওয়া হলে তার পুষ্টিগুণ বজায় থাকে। ফলে শরীরের পক্ষে তা অত্যন্ত উপকারী।
    এভাবেই গোটা ষষ্ঠীও আমাদের বাংলায় এক জনখাদ্য সংস্কৃতির চেহারা নিয়েছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • . | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৪:১৫540946
  • তথ‍্যপূর্ণ লেখা। ভালো লাগলো।
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৬:২৬540947
  • heart
    ছোটকাকি - গোটা ষষ্ঠী - শীতল ষষ্ঠী - অর্ধ শতাব্দী ঘুরে এলাম। 
  • Somnath mukhopadhyay | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৬:৩৪540948
  • এই ঘুরিয়ে আনার ম্যাজিক জানতি হয় গো দাদা! 
     
    অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
  • সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় | 223.223.***.*** | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৭:৫২540949
  • খুব ভালো।
  • সৌমেন রায় | 202.142.***.*** | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৮:৫৮540950
  • মন শীতল হল।
  • সাথী সেনগুপ্ত | 2405:201:801f:33:8b5c:bca4:7426:***:*** | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:০৬540951
  • লেখাটা পড়তে বেশ ভালো লাগলো। আমি বাঙাল বাড়ির মেয়ে। তাই শীতল ষষ্ঠী কখনো মানিনি। অন্য একটা ষষ্ঠীর কথা এখানে বলি।

    আমাদের ছোটবেলায় আমার বাবার কোন বোন ছিলনা আর আমরা বোনেরা তখন ছোট ফলে জামাই ষষ্ঠী র কোন পাট ছিলনা। পরবর্তী কালে যখন জামাইদের আগমন ঘটে তখন মা ছুটোছুটি করে জষ্টি মাসের গরমে ঘেমে নেয়ে জামাইষষ্ঠী র আয়োজন করতেন। ক্রমে ব্যাপারটা আমাদের কাছে খুব উপভোগ্য লাগত না। তাই জামাইরা পুরোনো হতে, মেয়ে জামাই দের সম্মিলিত প্রতিবাদে এই অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হল।

    আমি বরং এই দিনে ছোটবেলায় যে ষষ্ঠী ব্রত দেখেছি তার কথাই বলি। শুধু দেখা নয় মা ঠাকুমার সঙ্গে এই মেয়েলি ব্রতে অংশ নিয়েছি। ব্রতর আগের দিন থেকে ব্রতর উপাচার সংগ্রহ করা হত। এই সংগ্রহে ঠাকুমার সঙ্গিনী হতাম। রাশিকৃত দূর্বা, করমচা, কাঁচা সুপুরি, বাঁশের কোড়, তালপাতা, কাঁঠাল পাতা, ধান ইত্যাদি সংগ্রহ করা হত। তারপর ষাটখানা দূর্বা র সঙ্গে করমচা, সুপুরি, বাঁশের কোড় ইত্যাদি সহ পাতলা সাদা ন্যাকড়ার ফালি জড়িয়ে আঁটি বাঁধা হত। সেইসঙ্গে জোড়া থাকত ছোট একটি ন্যাকড়ার পুটুলি যাতে রয়েছে ষাট খানা ধানের খোসা ছাড়িয়ে ষাট দানা চাল। এক এক জন ব্রতিনীর নামে এক একটি আঁটি। সেই ব্রতিনীর তালিকায় আমরা শিশু কন্যারাও আছি। ষষ্ঠী র দিন সকালে স্নান করে সূর্যের দিকে মুখ করে সেই দূর্বার আঁটি দিয়ে ষাট বার জল নাভিতে ছোঁয়া তে হত। এ ব্যাপারটাকে বলা হত নাইয়ের জল নেওয়া। তারপর পুজোর আয়োজন। আটা দিয়ে বা চালের গুঁড়ো দিয়ে ষষ্ঠী ঠাকরুন বানানো হত। পুজোর জায়গায় ষাট খানা কাঁঠালপাতায় চাল কলার নৈবেদ্য সাজানো হত। প্রসাদ হিসেবে বিভিন্ন ফল, সাবু, মুগ ডাল ভেজানো,দই ইত্যাদি দেওয়া হত। তারপর ব্রতকথা বলা হত। ঠাকুমার একটা হাতে লেখা খাতা ছিল। সেটা থেকে পড়া হত। সেই লোভী বৌ, ষষ্ঠী ঠাকরুন আর বেড়ালনীর গল্প। যারা ব্রত করতেন তারা সারাদিন বিভিন্ন ফল, ভেজানো সাবু ইত্যাদি খেতেন।

    জলপাত্রে ভেজানো দূর্বার আঁটি সন্তান কিংবা সন্তান স্থানীয় র মাথায় ষাটবার ছুঁইয়ে আশীর্বাদ করা হত। মায়েরা সন্তানের হাতে সাদা সুতো বেঁধে দিতেন। সেদিন বাচ্চা দের গায়ে হাত তোলা যেত না। কোন কারণেই বেড়াল মারা যেত না।

    এসব কথা সব ভুলেই গিয়েছিলাম। যা যা মনে পড়ল লিখলাম।
  • Somnath mukhopadhyay | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:৩৮540952
  • স্বাতী দিকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন আন্তরিকভাবে স্মৃতি চারণ করার জন্য। আমিও আপাদমস্তক বাঙাল বাড়ির সন্তান। কিন্তু বিষয় চর্চার সীমানা কে বাঁধবে। আর তেমন চেষ্টা হলেই বা মানছে কে? কয়েকটি ছবি জুড়ে দেবার ইচ্ছে ছিল। পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে তা হয়ে উঠলো না। পাঠকদের ঝুলিতে আর যা যা রতন জমা আছে তা মা ষষ্ঠীর চরণে নিবেদন করুন। অন্যরা তার প্রাসাদ পাবেন।
  • Ritabrata Gupta | 2401:4900:76ee:ff8d:2489:6c8b:d72:***:*** | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:৪৫540953
  • অনেক কিছু জানতে পারলাম। ষষ্ঠী সম্পৰ্কে এতো কিছু জানতামই না। কত না উৎসব রয়েছে বাংলায়, যা আমার কাছে এখনো অজানা! ধন্যবাদ সোমনাথদা! আর একটি অসাধারণ লেখার জন্য।
  • অনির্বাণ রায় | 2409:4061:400:e72:8659:d5e1:39ee:***:*** | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:২৬540954
  • বেশ লাগলো দাদা। যেমন প্রতিটা লেখা আপনার ভালো লাগে, ঠিক তেমন । 
     
    তবে এটা একটু অন্যরকম ভাবে , আজ মানে এই শীতল ষষ্ঠী তে অনুভব করলাম। 
     
    বাংলায় আছে না, পেটে খেলে পিঠে সয়। আজ আমার পেটে না খেয়ে কি করে সয়, সেই অভিজ্ঞতা হচ্ছে বাঁকুড়াতে। 
     
    কর্মসূত্রে আমি এখন বাঁকুড়রাবাসী। বাড়ি আর স্কুল এর সরস্বতী পুজো কাটিয়ে আজ ভোরবেলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে সকালে যখন অফিস ঢুকছি, তখন রাস্তাঘাট দেখে কিঞ্চিৎ ভ্যাবাচ্যাকা খাবার জোগাড়। সব প্রায় শুনশান। দোকান বন্ধ, মায় রাস্তার ঠেলা গাড়ির দোকানগুলো পর্যন্ত আজ নেই। রাস্তাগুলো তে আরামে দু চারটে গাড়ি চলছে, toto না থাকায় নিশ্চিন্তে। যে রাস্তা অফিস এর সময় যেতে ১৫ মিনিট লাগে সেই রাস্তা আজ মাত্র দুই মিনিট এ পেরোলাম।
     
    আর এইসবই এই রান্না পুজো বা শীতল ষষ্ঠী এর জন্য। খোঁজ নিয়ে জানলাম বাঁকুড়া আর পুরুলিয়াতে এটাই দস্তুর। এই দিন এমনই অলিখিত বন্ধ চলে এই দুই জেলায়। 
     
    আর সেই গেরোয় পড়ে, কোনো হোটেল খোলা না পাওয়ায় আমার পেটে না খেয়েও বাংলার নতুন এই সাংস্কৃতিক চর্চার জনকারী পাওয়া হলো।
     
    প্রণাম নেবেন দাদা। বেশ লাগলো দাদা।
  • রাজীব দাশ | 202.142.***.*** | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৪৬540956
  • খুব সুন্দর 
  • Somnath mukhopadhyay | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:২০540957
  • অনির্বাণ রায় মশাইয়ের মতামত থেকে একটা বিষয় খুব পরিস্কার যে বাংলার অন্তর্লীন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক যাপন চিত্রের অনেকটাই অমলিন রয়েছে। 
  • kk | 172.58.***.*** | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৫৬540961
  • " সেই লোভী বৌ, ষষ্ঠী ঠাকরুন আর বেড়ালনীর গল্প।"
     
    এই গল্পটা জানার আগ্রহ হচ্ছে। লেখক নিজে অনুমতি দিয়েছেন যে এই সুতোয় ষষ্ঠীপুজো সংক্রান্ত অন্য গল্পও লেখা যাবে। কাজেই সাথী সেনগুপ্তকে বলছি, গল্পটা বলবেন নাকি?
  • ar | .***.*** | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৮:৪৯540984
  • " চৈত্র মাসে অশোক ষষ্ঠী ও নীল ষষ্ঠীর আরাধনার পর্ব চলে বাংলার গ্রামীণ সমাজে। "
    আপনার লেখা পড়ে মনে পড়ে গেল।
    আমাদের ছেলেবেলায় একটা কথা খুব চলত। "নীলের ঘরে বাতি দেওয়া (যাওয়া বা আসা)।" নীল পুজোর দিনে কেউ মারা গেলে বলা হত "নীলের ঘরে বাতি দিয়ে গেল"। আর জন্ম হলে বলা হত, "নীলের ঘরে বাতি নিয়ে এল (বা এই রকম!)"।
  • sarmistha lahiri | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৪৬540988
  • প্রকৃতি দেবীর অকৃপণ দানে সমৃদ্ধ বঙ্গভূমি র  লোকাচার ও উৎসব অনুষ্ঠানে সেই পকৃতিমাকে অর্ঘ্য অর্পন করাই মূল উদ্দেশ্য।গোটাসেদ্ধ বস্তুটির ও অভিনবত্ব আছে। লেখক সুন্দর ভাবে বিষয়টি তুলে ধরেছেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন