খাওয়াদাওয়ার এত গল্প করলাম, ভাইবোনেদের কীর্তিকলাপের এতকিছুই যখন বললাম, তখন খ্যাঁটনের সর্বোচ্চ অনুষ্ঠান, মানে মহোৎসব দুর্গাপুজোর কথা তো বলতেই হবে।
আইবুড়ো ষষ্ঠী
দুর্গাপুজোর খাওয়ার মেনু ঠিক করায় বাবাই ছিল নায়ক, সূত্রধর – সবকিছু। ষষ্ঠীর দিন বাবার হাফ-ডে হয়ে পুজোর ছুটি পড়ত। আমরা অপেক্ষা করে থাকতাম। বিকেল থেকে শুরু হত ঠাকুর দেখা। ঐদিন বাবা একটু ক্লান্ত থাকত বলে, খুব দূরে কোথাও না গিয়ে, কাছাকাছির মণ্ডপগুলোতে যাওয়া হত। আমাদের হাউজিংয়ের মাঠে পুজো হত। ষষ্ঠীর বোধনের পর প্রতিমার মুখ খুলে দেওয়া হত। মণ্ডপের শেষ মূহূর্তের কাজ চলত, প্রতিমারও কিছু সাজসজ্জা বাকি থাকত। সেই প্রতিমা দর্শন করে শুরু হত প্রথম দিনের অভিযান। তখন তৃতীয়া-চতুর্থী থেকে ঠাকুর দেখার কথা কেউ কখনও শোনেনি। পাতিপুকুর, লেকটাউন, বাগুইআটি, দমদম পার্ক হয়ে মোটামুটি নাগেরবাজার পর্যন্ত অলিতে, গলিতে আমরা ঠাকুর দেখে বেড়াতাম। সঙ্গে টুকটাক মুখ চলত। রাস্তায় রোল আর চাউমিন তখনও তেমন চালু হয়নি। ঝালমুড়ি, আলুর চপ, ঘুগনি – এসবই চলত। ন’টা-সাড়ে ন’টা নাগাদ আবার ব্যাক টু লেকটাউন। জোড়া সিনেমা হল ছিল জয়া আর মিনিজয়া। বারাসাতে পিসির বাড়ির কাছে ছিল বিজয়া। মা বলত, তিনটে মিলে একটা চেন। একই মালিকের হল। কলকাতায় আরও এমন চেন ছিল – মিনার-বিজলী-ছবিঘর, রূপবাণী-অরুণা-ভারতী, উত্তরা-ঊজ্জ্বলা-পূরবী, শ্রী-প্রাচী-ইন্দিরা। এগুলোর মধ্যে শুধু হাতিবাগানেরগুলো চিনতাম, যেমন মিনার, শ্রী, উত্তরা, রূপবাণী। কারণ ওগুলোতেই সব সিনেমা দেখা হত। যাই হোক, মিনিজয়ার সিঁড়ি দিয়ে উঠে, দোতলায় একটা রেস্টুরেন্ট ছিল। সেখানে মোগলাই পরোটা দিয়ে ডিনার সেরে ব্যথা পা নিয়ে বাড়ি ফিরতাম। আর একঘুমে মহাসপ্তমীর সকাল হত। ঘড়িতে প্রায় আটটা। সারাবছর বাবা ঘড়ি ধরে সকাল ছ’টায় ঘুম থেকে তুলে দিত, কোনোদিন নড়চড় হয়নি। কিন্তু আজ আর বাকি দিন তো এক নয়, তাই এই ছাড়টা ছিল এক বিরাট পাওয়া। কিছুদিন আগে, এই লকডাউনেই, খবরের কাগজে পড়লাম মিনিজয়ায় আগুন লেগেছে। সিস্টার থেকে পথভোলা, বর্ন ফ্রি থেকে বেবিজ ডে আউট, সঙ্গে বায়না করে পাওয়া চিপস আর পপকর্ন – পরপর স্লাইড ভেসে উঠল চোখের সামনে। কি জানি, হয়ত এটাও শপিং মল হতে চলেছে। সেই ফুটপাথে, লোহার কড়ায়, বালিতে ভাজা পপকর্ন আর নেই। এখন সিনেমা-হলে অবিশ্বাস্য বেশি দামে পপকর্ন পাওয়া যায়, খাওয়ার পর সারা মুখে, দাঁতে – মশলা চিটচিট করে।
আইবুড়ো সপ্তমী
সপ্তমীর সকালে একটু তাড়াহুড়ো হত। বাবা ভোরবেলায় ভালো দোকানে লাইন দিয়ে খাসির মাংস আনত। আমি ছোটো থেকেই মাছের কাঁটা, হাড়, চর্বি – এসব খেতে পারি না। কিন্তু বাড়ির বাকি তিনজন একেবারে উল্টো। মানে আমি অড ম্যান আউট। বাবা আমার জন্য আলাদা করে পেছনের পায়ের মাংস আনত, আর মেটে তো আনতই। দুপুরে তাড়াতাড়ি মাংসের ঝোল ভাত খেয়ে আমরা বাসে উঠে পড়তাম, নামতাম একেবারে কলেজ স্কোয়ার। ধৈর্য ধরে লাইনে দাঁড়াতে হত। পুকুরের চারপাশ ঘিরে, মাঠ জুড়ে – শুধু আলোর খেলা। আলোর পাখি, আলোর গাছ, আলোতেই বল দৌড়োয়, ছেলে শট মারে, আলোতেই কোনো মেয়ে প্রদীপ মাথায় নাচে। কিন্তু একটাই মুশকিল, ছেলেদের লাইন আর মেয়েদের লাইন আলাদা। বোনকে কোলে নিয়ে বাবা আলাদা হয়ে যেত। মা আর আমি থাকতাম মেয়েদের লাইনে। বাবা পুকুরের একটা কোণা দেখিয়ে বলে দিত – ঠাকুর দেখা হয়ে গেলে, মাকে নিয়ে এখানে চলে আসবি। আমি না আসা পর্যন্ত কোথাও যাবি না। তাই হত। চারজন এক হলে অকাল বোধন, ঠনঠনিয়া, সিমলে ব্যায়াম সমিতি, বিবেকানন্দ রোড হয়ে বিডন স্ট্রিট ঘুরতাম পায়ে হেঁটে। বাবার উৎসাহ ছিল সবচেয়ে বেশি। কোনো গলির ঠাকুর অবধি বাদ পড়ত না। বড় মণ্ডপ হলেই, সেই আলাদা হওয়া আর দড়ি ফেলে দর্শকসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা চলত। সিমলে স্ট্রিটের কাছে, সাত নম্বর মধু রায় লেনে ছিল সেজ জ্যাঠাইমার বাপের বাড়ি। আর কলেজ স্ট্রিট বাটার পিছনে গলির মধ্যে ছিল সেজজেঠুর বাড়ি। ইচ্ছে হলে সেখানেও ঢুঁ মারা হত।
সারাবছর মা ফুচকা খেতে দিত না। নোংরা জল, ফুচকাওয়ালার নোংরা হাত ইত্যাদি নানাবিধ ভয় ছিল মা’র। কিন্তু পুজোর রাতে বাবা নিজে যখন ফুচকাওয়ালার সামনে গিয়ে সকলকে ফুচকা দিতে বলত, তখন কি যে আনন্দ হত, সে আর বলার নয়। বিভিন্ন দোকানে নানারকম খাবারের স্বাদ নেওয়া হত। দিলখুশার ফিশ কবিরাজি, নতুন কোনো স্টলের মাছের কচুরি, চিংড়ির কাটলেট, লুচি – আলুরদম, পুঁটিরামের কচুরি, প্যারামাউন্টের সরবত ইত্যাদি নানাবিধ খাওয়া তো চলতই, মানে হাঁটতে হাঁটতে যখন যেটা সামনে পড়ে যেত, খেয়ে নেওয়া হত। কপাল ভালো থাকলে, অরেঞ্জ ফ্লেভারের কাঠি আইসক্রিমও পেয়ে যেতাম। চুষে চুষে ঠোঁট, জিভ সব কমলা হয়ে যেত। তবে আমার আর বোনের চোখ থাকত কোকাকোলার বোতলের ওপর। তখনকার কোকাকোলা ছিল ঝাঁঝালো, এখনকার মত গুড়জল নয়। আমরা ইস্কুলে বন্ধুরা বন্ধুদের ধাঁধা ধরতাম - হাফ সার্কেল, ফুল সারকেল, হাফ সার্কেল, ফুল সারকেল, হাফ সার্কেল, ফুল সারকেল, রাইট অ্যাঙ্গেল এ – বল তো কি? উত্তর সকলেই জানত, তবু ঐ উচ্চারণেই আবেশ আসত। আর দোকানে খাওয়ার মধ্যে আমাদের লোভ ছিল চাচার দোকানের শিককাবাবের ওপরে। আধভাঙা গোলমরিচ ছড়ানো, সোনালি কাবাব। তুলতুলে মাংসের টুকরোর কানাগুলো হাল্কা পোড়া পোড়া। পাশে পাতলা স্লাইস আলু সেদ্ধ আর একটু স্যালাড। আজও মনে পড়লে জিভে জল আসে।
দোকানে কাবাব, ফিশফ্রাই, কাটলেট – এগুলো খাওয়ার একটা বিরাট আকর্ষণ ছিল আমাদের দু’ বোনের, কারণ ওগুলো খেতে ছুরি আর কাঁটা চামচ দেয়। বাড়িতে তো আর ওসব নেই। মা-বাবা দু’জনেই শিখিয়ে দিত, কোন হাতে কিভাবে কোনটা ধরতে হবে। ছুরি দিয়ে চাপ দিয়ে কীভাবে খাবারটা ছোটো টুকরো করতে হবে, কাঁটায় গেঁথে মুখে তুলতে হবে। বাবা দেখালে কত সোজা, কিন্তু নিজে করতে গেলেই কাটলেট প্লেট থেকে লাফিয়ে ওঠে। তবু চেষ্টা চালিয়ে যাই। শেষ পর্যন্ত অবশ্য হাত লাগাতেই হয়। মা-বাবা যখন দেখছে না, টুক করে একটু প্লেট আর আঙুল চেটে নিই। ধরা পড়ে গেলে বকুনি খাব। দোকানে বসে লোকের সামনে এরকম করতে নেই। সবাই ভাববে, পরিবারের শিক্ষা নেই, হ্যাংলা। রাত দশটা, সাড়ে দশটা অবধি টৈ টৈ করে ঘুরে বাসে উঠে বাড়ি। সেদিনের মত দোল ফুরোল।
আইবুড়োষ্টুমী
মহাষ্টমীর দিন নিরামিষ। মামা-মাসিদের শিকড় বাগবাজারে, তাই ঐ বাগবাজারি টানে আমরা বলতাম ওষ্টুমী। অবশ্য সপ্তমীকেও সোপ্তুমী বলা হতো। মা লুচি করত। তবে জলখাবারে না হয়ে দুপুরে, রাতে লুচি হলে বলা হত, আজ ময়দা খাওয়া হবে। সেদিনও দুপুর দুপুর আমরা বেরিয়ে পড়তাম। আজ ভাবি, মা একা হাতে রান্না করে, বাসন মেজে, ঘর-দুয়ার তকতকে করে, তবে তো বেরত। তারপর অত হাঁটত! ফিরে এসেই আমরা ঘুমিয়ে পড়তাম। মা আবার সব গোছাত। কি করে এত পরিশ্রম করত, অবাক লাগে।
অষ্টমীতে আমাদের ঠাকুর দেখার রুট আলাদা। আজ বাসে করে নামব মহম্মদ আলি পার্ক। তারপর ছাতুবাবু-লাটুবাবুর বাড়ি হয়ে কুমোরটুলি। কুমোরটুলির রাস্তায় ঢুকতেই বাঁদিকে একটা ছোটো পেতলের দুর্গামূর্তি পুজো হত, আড়ম্বরহীন। ওখানে দাঁড়াতাম প্রতি বছর। ভালো লাগত। আর পাশেই বেনারসী পানের স্টল বসত। এমনিতে যেকোনো পানপাতা মুখে পড়লেই আমার জিভ মোটা হয়ে যায়। কিন্তু বেনারসী পান ভীষণ ভালোবাসি, পেলেই খাই। তখনও বাবার কাছে বায়না করে খেতাম। এখনও বরকে দিয়ে জোর করে কেনাই। নিজে কিনি না। কুমোরটুলিতে দুটো বড় পুজো। সেখান থেকে রাস্তা পেরিয়ে মদনমোহনের বাড়ি। ও’ বাড়ির সিঁড়ি দিয়ে উঠে, বিশাল ঠাকুর-দালান পেরিয়ে, অপরূপ মদনমোহন দর্শন করতাম আমরা চারজন – বাবা, মা, আমি, বোন। তখন ঘুণাক্ষরেও জানতাম না – ইনি বিষ্ণুপুরের মল্লরাজাদের মদনমোহন, যিনি দলমাদল কামান দেগে শত্রু তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। একদিন ঐ বিষ্ণুপুরে আমি দাঁড়াব, বালুচরী নিয়ে পিএইচডি করার জন্য। আর মদনমোহনের মন্দিরে দাঁড়িয়ে শুনব, তিনি তো এখানে নেই, বাগবাজারের গোকুল মিত্রের বাড়িতে বাঁধা পড়ে আছেন। দু’কুড়ি বয়সে মন্দির-চত্বরে এ কথা শুনে ক্ষণিকের জন্য হলেও মাথা দুলে গিয়েছিল আমার। বালিকা-বেলায়, অবোধ বয়সে দেখেছিলাম তোমায়, বড় সুন্দর। তুমিই কি নিয়ে এলে আমায় এখানে গবেষণার জন্য!
যাই হোক, রবীন্দ্র-সরণির ঐ চত্বরেই রসগোল্লার কলম্বাস নবীনচন্দ্র দাসের বাড়ি। বড় সাইনবোর্ড লাগানো থাকে। গোকুল মিত্রের বাড়ির গলি দিয়ে চলে আসতাম জগৎ মুখার্জি পার্কের পুজোয়। তখন নাম ছিল চিলড্রেন্স পার্ক। এবারে সোজা শ্যাম স্কোয়ার। সামনে সেন বাড়ি। তবে ও বাড়িতে দুর্গাপুজো হয় না। অন্নপূর্ণা পুজো হয়। রাজবল্লভ পাড়া হয়ে, বোরোলীন হাউস, নিবেদিতা লেন, গিরিশ ঘোষের বাড়ি পেরিয়ে এইবার বাগবাজার সর্বজনীন। ডাকের সাজের একচালা সাবেকি প্রতিমা যুগ যুগ ধরে একই আছে। মাঠ জুড়ে মেলা। মাঠের ভিতরে, বাইরে নানারকম খাবারের স্টল। কুমোরটুলির পর এইখানে এসে আবার খাওয়াদাওয়া শুরু হত। তবে এদিকে কচুরি, শালপাতায় আলুরদম, ঘুগনি, তেলেভাজা – এগুলোর মধ্যে বেছে কিছুমিছু খাওয়া হত। এবারে শ্যামবাজারের দিকে এগোনো। পাঁচমাথার মোড়ে পৌঁছে, অন্য কোনোদিন হলে নিশ্চিত গোলবাড়ির পরোটা আর কষা মাংস দিয়ে ডিনার করা হত। নতুবা শ্যামবাজারের কালীবাড়ির উল্টো ফুটে মিনার বলে একটা রেস্টুরেন্ট ছিল, সেখানে মাটন চাঁপ আর রুটি খাওয়া হত। গোলবাড়িতে খাবারের সঙ্গে একটা তেঁতুলের চাটনি দেয়। কত জায়গায় খেলাম, অমন কখনও খাইনি। মাংসের চর্বিওলা ঝাল ঝাল ঝোলের চেয়ে ঐ তেঁতুল চাটতে বেশি ভালো লাগত। তখন জানতাম না, যে ভবিষ্যতে একদিন আমার রামনগরে বিয়ে হবে। কাঁথির পাঞ্জাব ফ্যাশনে বাচ্ছার জামা কিনব, আর ঐ দোকানের মালিকই কলকাতার লাডলা গোলবাড়ির মালিক। কাঁথি থেকে মাংস রান্না হয়ে ডেকচি ভরে ভরে লরি করে ভোরবেলায় কলকাতায় আসে প্রতিদিন। সেদিন যে অষ্টমী, তাই এসব দিকে না তাকিয়ে বাসে উঠে পড়তে হত। জীবনে কত কিছু যে জানলাম, আরও কত কিছু জানার বাকি রয়ে গেল, বসে ভাবি। আমার সেদিনের কর্মঠ বাবা, লকডাউনে নানা অসুখে ক্লিষ্ট বাবা, মারা যাবার একমাস আগে আক্ষেপ করেছিল, “এই যে তোরা অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছিস, পরীক্ষা নিচ্ছিস – আমি আছি, তবু কিছু শিখতে পারলাম না, এ কি কম কষ্ট”।
অভিযান এখনও শেষ হয়নি। শ্যামবাজার থেকে বাস ধরে এবার সোজা টালাপার্ক। দুর্গামণ্ডপ ঘিরে টালাপার্কের মেলাটা আয়তনে বাগবাজারের থেকে বড়ো হত। বাসন-কোসন, কৃষ্ণনগরের পুতুল থেকে কাঁচের চুড়ি সবই থাকত। তবে আমরা কিনতাম আচারের স্টল থেকে জোয়ান বড়ি। আড়বেলিয়ায় খাওয়ার পরে ঐ বড়ি খাইয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতাম। মেলা ঘুরে কানায় কানায় পূর্ণ মন আর সমস্ত শক্তি বেরিয়ে নিংড়ানো একটা শরীর নিয়ে অবশেষে বাড়ি ফিরতাম রাত এগারোটা, বারোটা নাগাদ। খাওয়ার ঝামেলা ছিল না। কারণ টালাপার্ক থেকে বেরিয়ে বাবার চেনা একটা গুমটি দোকানে আমরা নিরামিষ রুটি তরকারি খেয়ে নিতাম। বিহারী দোকান। খুব বৃদ্ধ একজন রুটি বানাতেন। যত্ন করে তরকারি বেড়ে দিতেন। সাথে মোটা লঙ্কার আচার থাকত। লঙ্কা দেখে ঝালের ভয়ে কোনোদিনই খাইনি। এখন ভাবি, কি বোকাই না ছিলাম। মোটা লঙ্কা তেমন ঝাল হয় না। স্বাদটা তো নেওয়া হয়নি। এখন ইউটিউব দেখে মাঝে মাঝে চেষ্টা করি লঙ্কার আচার বানানোর। কি জানি, সেই আচারের স্বাদ কেমন ছিল।