এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  সমাজ  শনিবারবেলা

  • কাদামাটির হাফলাইফ - ইট পাথরের জীবন

    ইমানুল হক
    ধারাবাহিক | সমাজ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪৯৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • নামাঙ্কনঃ ইমানুল হক। ছবিঃ র২হ

    কথা - ৬


    শনিবারের সকাল মানে আমেরিকার রাত। এ-সব বইয়ে পড়েছি। এখন বন্ধু অনুজরা আমেরিকায় থাকে, টুকটাক কথা হয়। তবু মনে থাকে না। আজ সকালে আমেরিকা প্রবাসী সায়নের হোয়া তাগাদা (লেখা কোথায়?) দেখে মনে পড়ল, লেখা তো পাঠাইনি।

    আসলে গত শনিবার রাতে মনে মনে লিখে ফেলেছিলাম। একটা লটারির দোকান ছিল আমার থাকার জায়গার উল্টোদিকের মূল রাস্তার ওপর। তারপাশে বাঙ্গালির নতুন আমদানি পোল্ট্রি মুরগির দোকান। এবং আমার ঘরের গায়ে এক সাইকেল সারানোর দোকানের মালিকের কাহিনি। মনে মনে ভেবেছি, তাই লেখাও হয়ে গেছে ভেবে স্বস্তিতে ছিলাম। আসলে ২৮ সেপ্টেম্বর পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের বই পার্বণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র সদনে বাসে যেতে যেতে ভাবছিলাম, বেঁচে থাকলে কাদামাটির হাফলাইফ তথা স্মৃতিকথনের তৃতীয় খণ্ডের নাম দেব-- ফাটা রেকর্ড। ও হরি, কিছু পরেই ফেসবুক খুলে দেখি, ক্যালকাটা রেকর্ডস ডট কমের বিজ্ঞাপন হাজির। ব্যাটারা পণ্য পড়তে পারে, লেখা পারে না ক্যান?

    লিখতে বসে দেখি, বাইরে নিম্নচাপের বৃষ্টি, ওদিকে বৃষ্টি মাথায় জেনেও মাধ্যমিক ১৯৮২ ব্যাচের কিছু বন্ধু বান্ধবী বাঁকুড়া মশাগ্রাম ট্রেনে উঠে পড়েছে দীঘা যাবে বলে। আরেকজন এখনো রান্না করছে। ১০-০৫এর কর্ড লোকাল ট্রেন ধরবে। সেই মূল উদ্যোক্তা। ক্লাসের সবচেয়ে চুপচাপ মেয়েদের একজন, শোভা দাস। ডাক্তারের বোন। ওঁর মুখে শুনি, বাবা টিউশন দেননি, ছেলেদের সঙ্গে মিশে যদি বখে যায়। স্কুলে নবম শ্রেণিতে ছিল আলাদা বিভাগ সি সেকশন। ছাত্র ফেডারেশনের হয়ে সদস্য করতে বা ক্লাস ডায়াসিংয়ে গেলে গভীর চোখে তাকাত শোভা। ২৫ পয়সা দিয়ে এসএফআই-য়ের সদস্য পদ নিয়েছিল সবার আগে। সে সময় ২৫ পয়সা অনেক। তিনটে চপ বা পাঁচটা আইসক্রিম হতে পারতো। একটা পাঁউরুটির দাম তখন ১৫ পয়সা। বাপুজী কেক তখন বাজারে আসেনি। আরামবাগের পপুলার বা কোহিনূর কেকের দাম ২০ পয়সা। শোভা এখন ঝাড়া হাত পা। বর অবসরে। বন্ধুদের গ্রুপে কবিতা লেখে আর সবাইকে তাগাদা দেয়, চলো দেখা করি। সে এক্কেবারে তিনদিনের দীঘা ট্যুর ফেঁদেছে। কয়েকজন জুটেও গেছে। প্রসেনজিৎ রায়, সস্ত্রীক নবকুমার, সস্ত্রীক রমেশ, সস্ত্রীক আজম, সস্ত্রীক পীযূষ, নন্দিনী, মালা। প্রসেনজিৎ চুপচাপ ছেলে। পুনর্মিলনে বিরাট ভুমিকা নেয় অনন্তদা, জ্যোতির্ময়, সুবীর রক্ষিতদের সঙ্গে। আছে সস্ত্রীক নবকুমার। সে যে এত রসিকতা জানত বোঝাই যায়নি স্কুলে। এক্কেবারে শান্ত। মন দিয়ে অঙ্ক করতো। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, আরেক শান্ত ছেলে অভিজিৎ-এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে, নবকুমার আর শোভা জমিয়ে রাখে। জুবিলার রমেশ আমার বরাবরের ভালো বন্ধু। ভ্রমণে শোভা আমাকেও দলে রেখেছে! এদিকে গিল্ডের বই পার্বণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দায়িত্ব, বাড়িতে এবং পাড়ায় দুটি কুকুরের শরীর খারাপও। ওষুধ খাওয়াতে হচ্ছে তিনবেলা। ভোর থেকে রাত। মুখ ধরে গলায় ঢুকিয়ে দিতে হয়। না হলে ফেলে দেবে। ওদিকে এই নিম্নচাপের বৃষ্টির হাতছানিতে জীবনে প্রথমবার বন্ধুবান্ধবীদের সঙ্গে হই হুল্লোড়, আবার ডর্মিটরিতে থেকে, সঙ্গে খিচুড়ি ইলিশ। কী যে করি! ওদিকে সায়ন কর ভৌমিক বউ মেয়েকে পূজার মহলায় নিয়ে গেছে সেতার আর সঙ্গীতে। সঙ্গে তাগাদা। ভয়ে মরছি।

    তবে ইলিশ বলতেই মনে পড়ল বাংলাদেশের চাঁদপুরের একখানা ইলিশ শুয়ে আছে ফ্রিজে । খবরের কাগজ মোড়া। ইন্দো বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ভাইয়েরা ডেকে দিয়েছেন। ভাস্কর, শুভদীপদের ফোন, ২৩ সেপ্টেম্বর কোঠায় তুমি? ইলিশ বসে কান্নাকাটি করছে তোমার কড়াইয়ে চাপবে বলে। ২৩ সেপ্টেম্বর তিনটি কাজ। অবনীন্দ্র সভাঘরে তীর্থদের বিজ্ঞানে সাহিত্য নিয়ে বলা, ওদিকে মিনার্ভা থিয়েটারে মানিকতলা খালপাড়ের শিশুদের নাটক, তার সঙ্গে ইলিশের আহ্বান। আজকাল হোয়াটসঅ্যাপ ঠিক মত দেখা হয় না। পড়ে থাকে একা একা বার্তা। ইলিশের আহ্বানটিও তাই! ইলিশ নিয়ে ফেরার পথে পার্ক সার্কাস। পার্ক সার্কাস বাজার এক অদ্ভুত জায়গা। এখানে গোরু শুয়োর দুই মাংসই মেলে। ইলিশ পড়ে আছে অনন্ত শয়ানে।

    আজ ভোর থেকে 'হোয়া' দেখতেই হচ্ছে। বন্ধুরা লোকাল ট্রেনে। হোয়াতেই হাঁক দিচ্ছে। আসছে হাওড়া। আমি ভাবি দুনিয়া কত সুন্দর। আজম, আমার শৈশবের, ন্যাংটোবেলার বন্ধু। সে স্কুলে ছিল চুপচাপ। এখন সবকিছু করছে -- টিকিট কাটা ঘর বুক করা। আরও চুপচাপ শোভা-- সেই অলিখিত চালিকা। বন্ধুদের বউয়েরা আছে বান্ধবীদের বরেরা বাদ এই সফরে। আরেক জন আছে, যাঁকে কত চিঠি লিখতে হয়েছে অন্যের হয়ে, সে শুধু নিত আর বন্ধুটিকে অপেক্ষা করিয়ে রাখতো। আমি ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করতাম, কিছু বললো।
    না, শুধু হাত বাড়িয়ে নিল। বলেই তার ব্যাকুল প্রশ্ন, আশা আছে বলো, বড়ভাই।
    ছেলেটি এখন মস্ত মৎস্যবিজ্ঞানী। জন্মসূত্রে মুসলিম। প্রেমে পড়েছিল এক মেয়ের। মেয়েটি হিন্দু -- আমাদের মনে একবারও আসেনি।
    প্রতি সোমবার টিউশন থেকে বের হয়ে লাল মোরাম রাস্তার ধারে অপেক্ষা করতো ছেলেটি। সোমবার ছিল চিঠি দেওয়ার প্রথম দিন। আমি রবিবার রাতে লিখে রাখতাম। মেয়েটির নামের সঙ্গে মিলিয়ে সোমবার। প্রতি সপ্তাহে দুটি চিঠি।
    লিখতে লিখতেই নন্দিনীকে ফোন করলাম। তখন সব মেয়েদের তুমি বলতাম। এখনও তাই বলি। শুধু নন্দিনীকে তুই তোকারি করছি ইদানীং। ও-ও তাই।
    জিজ্ঞেস করলাম কীরে, নাম দেবো?
    দে।
    বর রেগে যাবে না?
    আরে ন্না, আমার বরের ওসব নাই।
    পৃথিবীটা কত সুন্দর আছে আজও। আমাদের তথাকথিত মফস্বলে। কলকাতায় কেন তবে এত বেশি ভেদ?
    বলতে বলতেই আয়ুবকে ফোন। নাম দেবো?
    দাও। আয়ুব আজও তুমি বলে। আমি বলতাম, তুই।
    বউ কিছু বলবে না?
    আরে সে বয়স কী আছে?
    আয়ুব খুব যত্ন করে খাম কিনত। অসিতদার দোকান থেকে। ১০ পয়সা দামের। সবচেয়ে দামিটা। খামের এমনি দাম, পাঁচ পয়সা। তাতে মাঝে মাঝে গোলাপের পাপড়ি। বাজেট পারমিশন করলে একটা গোলাপ। নন্দিনী নিত। হেসে। কিন্তু কোনদিন উত্তর দিত না। দেয়ও নি। টানা দু বছর সপ্তাহে দুটো করে চিঠি নিয়ে গেছে। আজ হাওড়ায় দেখা হবে, নন্দিনীর সঙ্গে, জিজ্ঞেস করবো, চিঠিগুলো কেন নিত? আর নিয়ে কী করতো? আমার অইসব সাহিত্য কর্ম। এ বই সে বই পড়ে প্রাণের আবেগে একজনের হয়ে লিখে দিতাম চিঠি। এ-রকম কতজনের হয়ে যে লিখেছি!

    এখন লিখছি আর ফোনে কথা বলছি। আয়ুব বন্ধুদের মধ্যে ছিল বড়লোক। কাকা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অফিসার। দৈনিক আট আনা বরাদ্দ। টিফিন খেতো না। পয়সা জমিয়ে খাম কিনতো। আর বন্ধুদের চপ খাওয়াতো।
    আরেকজন ছিল আকবর। ধনী ব্যবসায়ীর ছেলে। অতি ভদ্র। পরে ডাকাতরা এসে খুন করে দিয়ে যায় ডাকাতি করতে এসে।
    আয়ুবের সঙ্গে কথা হতে কত কথা মনে পড়ল। পরেশবাবুর কথা। বাজারের সবচেয়ে ধনী দোকান দীনবন্ধু পালের বাড়ির ছেলে অজয় পালের কথা। অজয় বাড়ি থেকে খাবার আনতো, দোকান থেকে, লুকিয়ে, আয়ুবকে খাওয়াবে বলে।
    বাড়িতে নিয়ে যেত। যাওয়ার আগে প্রথম বার বলে, ঠাকুমাকে আসল নাম বলবি না।
    নিয়ে গিয়ে নিজেই নাম বলে দিল, অমিত পাল।
    প্রণাম করতেই ঠাকুমার জিজ্ঞাসা, কোন পাল? ছোটলোক না ভদ্রলোক?
    ঠাকুমা তো গলে জল, 'ভাই আমার সোনা আমার' বলে যত্ন করে নাতির বন্ধুকে ভাত খাওয়ালেন। পরেও তাই।
    আয়ুব বলছিল, এখন, ছোটলোক আর ভদ্রলোক কী আজও বুঝিনি। কিন্তু ঠাকুমাকে কি সত্যি নাম বলা উ্চিত ছিল? অন্যায় করেছি বলো! চুপ করে যায় আয়ুব।
    আমি বললাম, বললে অজয় কষ্ট পেত। ওতো তোমাকে ভালবাসতো। ভালবাসার মানুষকে বাড়িতে নিয়ে যেতে সে সময় মানুষ কত আনন্দ পেতো। তাকে খাইয়ে তবে শান্তি। আমি অবশ্য স্বনামে সেহারায় সুবীর রক্ষিত, রাজীব চ্যাটার্জি, সুমনা চ্যাটার্জি, সুবীর ভৌমিকদের বাড়িতে খেয়েছি।
    অজয়কে পরে বহু খুঁজেছে আয়ুব, আর পায়নি।

    আর এক উচ্চপদস্থ বন্ধুকে ফোন করি-- দীঘা যাবি না ভাই?
    যাব কী করে? জেলার দায়িত্বে। কোনও ছুটি নাই। তুমি স্কুলে পড়ার সময় কবিতা লিখেছিলে, ক্রীতদাস স্পার্টাকাস আজ করবেই বিদ্রোহ। আমাদের বিদ্রোহ করার ক্ষমতা নাই। আজ আমরা আধুনিক ক্রীতদাস। চাকুরে। যখন তখন হোয়াটসঅ্যাপে নোটিশ । অনলাইন মিটিং। তখন তুমি স্কুলে নাইনে পড়ার সময় পোস্টার লিখতে রোজ। আমাদের তখন সাদা কাগজ কেনার পয়সা নেই। পুরানো খবরের কাগজে লিখতে। টিউশন পড়ে ফেরার সময় স্কুলের গেটে মেরে দিতাম। কত প্রতিবাদ করেছি তোমার সঙ্গে মিলে ১৪-১৫ বছর বয়সে। আজ ক বছর পর অবসর। পয়সা আছে, কিন্তু আর প্রতিবাদের সে ক্ষমতা নাই গো।


    (ক্রমশঃ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪৯৬ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    দূরত্ব - Kunal Basu
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Aranya | 2601:84:4600:5410:1499:df83:8580:***:*** | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০:২১524050
  • বেশ 
  • | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:২০524056
  • বাপুজি কেক দিব্বি ৭৮-৭৯-৮০ সালে খেয়েছি তো। 
  • Eman Bhasha | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:৪৩524058
  • বাপুজি কেক আমাদের ওদিকে যেত না তখন। কলকাতা ও আশপাশে ছিল।
    স্থানীয় অনেক কিছুই ছিল।
    পাঁউরুটি বিস্কুট কাপড় কাচা সাবান সরষে তেল --সব স্থানীয়।
    বিস্কুটের ক্ষেত্রে ব্রিটানিয়া কেবল ব্যতিক্রম।
    আর গায়ে মাখার সাবান বলতে লাইফবয় নিম আর লাক্স।
    @দ
  • Supriyo Mondal | ০১ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:৫৩524096
  • হ্যাঁ, তখন বর্ধমানে পাঁউরুটি বেশি চলত মনে হয় বেরিনার। দে'জ কনফেকশনারির নিজের পাঁউরুটি ছিল কিনা মনে পড়ছে না।
    বাপুজি টিফিন কেক তখন বর্ধমানে চলত না। কলকাতায় বাপুজি বা বরুড়ার টিফিন কেক খেয়েছি। আর কলকাতার প্রান্তবর্তী হোস্টেলে প্রায় সব জিনিস আসত রামকৃষ্ণ বেকারি থেকে। ওদের সাইকেল ভ্যান এসে দিয়ে যেত।
  • Kishore Ghosal | ০৪ অক্টোবর ২০২৩ ২০:৩৬524264
  • বাঃ সুন্দর
  • Eman Bhasha | ০৬ অক্টোবর ২০২৩ ২১:৪৩524343
  • বেরিনা বেকারি ছিল দারুণ।
    আরামবাগের পপুলার বেকারির গুণগত মানও ভালো ছিল ‌
  • Sanghamitra Ghosh (Guin) | 2402:3a80:42f4:2542:8950:841:f802:***:*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৫০537631
  • ইমানূল হক নাম তা দেখে পড়তে শুরু করলাম ,কত স্মৃতি !ছোটবেলাটা চোখের সামনে ভেসে উঠছে ।রানীগঞ্জ এর মোর অসিতদা র দোকান দে'স কনফেক্শনারিজ ।কেক খাওয়া টা বিলাসিতা ছিল । খ্রীষ্টমাস এ জি টি রোড এর ছোট্ট চার্চ এ  গেছি বাবা র সঙ্গে কিন্তু কেক খাবার চল খুব ছিল না। বর্ধমান শহর তা আমার কাছে কার্জন গেট এ শেষ হয়ে যেত ।বাবা র তিনটি প্রিয় জায়গা ছিল দামোদর প্রকাশনী , দামোদর পুস্তকালয় আর রায় ব্রাদার্স . দামোদর প্রকাশনী তে কাউন্টার এর ভিতর উঁচু টুলে বসে নতুনঅনুবাদসাহিত্য পড়তাম ।ঐগুলো বাবা কিনে দিতো না কোনো একদিন ইংরেজি পর্ব  বলে তাই  দোকানে বসেই পরে ফেলা .  গ্রাহক করে রচনাসমগ্র গুলো আসছিলো বাড়িতে , সেগুলো গোগ্রাসে গিলছি তখন. ইমানুল কে ধন্যবাদ ছোট্টবেলা তে ফিরিয়ে নিয়ে যাবার জন্যে ।কখনো যদি সুযোগ হয় তবে লিখবো  
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন