-আমার একটা প্রিয় কবিতার দু-লাইন তোমাকে শোনাবো, তোমাদের দেশের এক কবির লেখা। চিনতে পার কিনা দেখি!
-লিলিয়ানা, আমার দেশে ভাষার সংখ্যা অজস্র। ইনডিশ বলে কোন ভাষা নেই! তার মধ্যে হয়তো মেরে-কেটে তিনটে বুঝতে বা বলতে পারি। তবে বলো শুনি। কোন ভাষায় পড়েছো? জার্মানে?
-নিজের ভাষাতেই পড়েছি প্রথম, কিন্তু সেটা তুমি বুঝবে না। তোমাকে জার্মানে শোনাই:
ইখ বিন ঊনরুহিগ
ইখ হাবে ডি জেনজুখট নাখ ডের ফেরনেন
আরও বলব? চিনতে পারছ?
রবীন্দ্রনাথ! আমি চঞ্চল হে, আমি সুদূরের পিয়াসী!
-আমাদের কবি রবীন্দ্রনাথের কবিতা, পরে তিনি সুরও দিয়েছিলেন। তুমি পেলে কোথায়?
-আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সাহিত্যের ক্লাসে। অধ্যাপকরা বিভিন্ন দেশের গদ্য এবং কবিতা থেকে নির্বাচিত অংশ পড়াতেন, বিশেষ করে টাগোর। এটি মনে থেকে গেছে - পৃথিবীটা অনেক বড়ো, তার মানুষ, পাহাড়, বন আমি দেখতে চাই। আমার সেই আকাঙ্ক্ষার প্রতিধ্বনি এই কবিতায় পেয়েছি। তুমি ভারতীয় বলে সেটা শোনানোর আনন্দ পেলাম!
-লিলিয়ানা, নিতান্ত ভাগ্যক্রমে তুমি এমন একজন ভারতীয়কে শোনালে যার মাতৃভাষায়, বাংলায় এই কবিতা লেখা হয়েছিল!
-তাহলে এবার এই বইটা দ্যাখো! ভাষা বুঝবে না, তবে কবির নামটা চিনবে।
স্লোভেনিয়ানে রবীন্দ্রনাথের কবিতার সঙ্কলন!
আমার জার্মান প্রবাসের সূচনা হয় ড্রেসনার ব্যাঙ্কে (সে নাম বিলুপ্ত এখন) ছ-মাসের এক ট্রেনিং পর্ব দিয়ে। সেখানে ইংল্যান্ড, তুরস্ক, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, ইতালি সহ কিছু পূর্ব ইউরোপীয় ব্যাঙ্কার সমবেত হন। আমরা জার্মানির বিভিন্ন শহরে ড্রেসনার ব্যাঙ্কের শাখায় তিন-চার সপ্তাহ করে কাটালেও আমাদের সকলের একটা অস্থায়ী আস্তানার অধিকার ছিল - ফ্রাঙ্কফুর্ট ওয়েস্ট এন্ডের আটচল্লিশ নম্বর শুমান স্ত্রাসের স্টুডিও ফ্ল্যাট। ইয়ুগোস্লাভিয়ার লুবলিয়ানস্কা ব্যাঙ্কের স্বর্ণকেশিনী তরুণী লিলিয়ানা নোভাকোভিচ যখন সেই কোর্সে যোগ দেয়, তখন আমার এই ট্রেনিং নামক ফ্রি ছুটির দিন প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। আর দু-মাস মাত্র বাকি। তারপরে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ফ্রাঙ্কফুর্ট ব্রাঞ্চে গিয়ে খাটাখাটনি করতে হবে!
লিলিয়ানার মুখে জার্মানে ‘আমি চঞ্চল হে’ শুনে অভিভূত হয়ে পড়েছিলাম। একটি ইয়ুগোস্লাভিয়ান মেয়ে তার আপন ভাষায় ‘আমি চঞ্চল হে’ পড়ে সেটি সে এক বাঙালিকে শোনালো জার্মান তর্জমায়! দেশ ছাড়ার আগেই শুনে এসেছি - পূর্ব ইউরোপের বহু দেশে ‘আওয়ারা’ ছবির কল্যাণে রাজ কাপুর একটি সুপরিচিত নাম। পারিবারিক সূত্রেও তার সত্যতা উপলদ্ধি করেছি – শুধু রাশিয়া, ইউক্রেনে নয় - রোমানিয়াতেও রাজ কাপুরের নাম কিছু লোক এখনও মনে রেখেছেন। কিন্তু লিলিয়ানার ভারত রাজ কাপুরের নয়, রবীন্দ্রনাথের। বলকানের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়লে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতির আরও সন্ধান পেয়েছি – এমনকি ভয়ভোদিনার (সার্বিয়া) রাজধানী নোভি সাদ শহরে দেখেছি জাতীয় থিয়েটারের সামনের ফুটপাথে (হলিউডের স্টার ওয়াকের মতন) মার্বেলে খোদিত আছে ‘১৯২৬ সালে রবীন্দ্রনাথ সেখানে পদার্পণ করেছিলেন’।
প্রসঙ্গত, রবীন্দ্রনাথের স্মরণে প্রাগে একটি পথের নাম থাকুরোভ দেওয়া হয়েছে এবং হাঙ্গেরির বিখ্যাত লেক বালাতন (স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য তিনি একবার আসেন) হ্রদের প্রমেনাদ তাঁর নামে আখ্যাত।
আমার স্কুলের ইতিহাস ভূগোলের বইয়েত যে দেশের কথা জেনে এসেছি, তার নাম ইয়ুগোস্লাভিয়া। সে দেশের রাষ্ট্রপতি মার্শাল টিটো মহামতি স্তালিনের দু-মিটার তফাতে চলেছেন, তাঁর সাম্যবাদ দেশের দ্বার রুদ্ধ করে সীমান্তে ওয়াচ টাওয়ার বসায়নি, পশ্চিমের মানুষকে বিনা ভিসায় ক্রোয়েশিয়ার অসামান্য সমুদ্রতটে ছুটি কাটানোর সুবিধে করে দিয়েছে, তাঁর দেশের নাগরিক কর্মসূত্রে বিদেশ পাড়ি দিয়েছে। তিনি আমাদের নেহরু ও মিশরের নাসেরের সঙ্গে মিলে একটি গোষ্ঠী-নিরপেক্ষ আন্দোলন গড়ে তোলেন (নন অ্যালাইনড মুভমেন্ট), যা আমেরিকান পুঁজিবাদ ও রাশিয়ান সাম্যবাদ - দুটোকেই শত হস্ত দূরে রাখতে চেয়েছিল। এক হিসেবে তাঁরাই তৃতীয় বিশ্বের (থার্ড ওয়ার্ল্ড) নাম রৌশন করেন! লিলিয়ানা সেই দেশের মেয়ে। লিলিয়ানাকে বলেছিলাম - এই প্রথম একজন ইয়ুগোস্লাভিয়ানের সঙ্গে করমর্দনের সৌভাগ্য হল। তৎক্ষণাৎ সে আমাকে বলে, আমি স্লোভেনিয়ান, আমার দেশের নাম ইয়ুগোস্লাভিয়া।
ঠিক তো! গ্লাসগোর লোক ইংরেজ নয়। আচ্ছা বিদেশে কারো সঙ্গে আলাপ হলে কি বলি ‘আমি বাঙালি, আমার দেশের নাম ভারতবর্ষ?
ইয়ুগোস্লাভিয়া দেশের নাম। সেটি ছ-টি স্বতন্ত্র রিপাবলিকের সমষ্টি – সার্বিয়া, ক্রোয়েশিয়া, স্লোভেনিয়া, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, মন্টিনেগ্রো এবং মাসিদোনিয়া। এ ছাড়া দুটি স্বয়ংশাসিত প্রদেশ - ভয়ভোদিনা, কসোভো। রাজধানী বেলগ্রেড (সাদা শহর!)। সার্বিয়া, মন্টিনেগ্রো এবং মাসিদোনিয়া অর্থোডক্স ক্রিস্টিয়ান, লেখে সিরিলিক হরফে; ক্রোয়েশিয়া, স্লোভেনিয়া ক্যাথলিক: হাতের লেখা ল্যাটিন হরফে; বসনিয়া-হার্জেগোভিনায় মুসলিম আর অর্থোডক্স ক্যাথলিকদের অবস্থান প্রায় সমানে সমানে: লেখে ল্যাটিন ও সিরিলিক হরফে। মিনি ভারতবর্ষ।
এ বিষয়ে প্রায় শূন্য জ্ঞান নিয়ে দেশ ছেড়েছি। জানতাম সারায়েভোতে অস্ট্রিয়ান রাজকুমারকে হত্যা করার শোধ নিতে অস্ট্রিয়া যুদ্ধ ঘোষণা করে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে, যেটি তালেগোলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আকার ধারণ করেছিল। কখনও মাথায় আসেনি এই যুদ্ধে অস্ট্রিয়ার পক্ষে বসনিয়ার অর্থোডক্স সার্বিয়ান স্লাভ লড়েছিল সার্বিয়ান অর্থোডক্স স্লাভের বিরুদ্ধে। পাশাটা একেবারে উলটে যাবে ১৯৯১ সালের গৃহযুদ্ধে – বসনিয়ার অর্থোডক্স স্লাভ সার্বিয়ার পক্ষ নিয়ে লড়বে ক্যাথলিক ক্রোয়েশিয়ান ও মুসলিম বসনিয়াকের বিরুদ্ধে।
সার্বো-ক্রোয়াটিক ভাষাটিকে আমি তৎকালীন ইয়ুগোস্লাভিয়ার লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা মনে করতাম। ফ্রাঙ্কফুর্টের ট্রাম-বাস স্টপে ইংরেজি-ফরাসির পাশাপাশি টিকিট যন্ত্রের ব্যবহার প্রণালী লেখা থাকতো সার্বো-ক্রোয়াটিকেও। লিলিয়ানা বলেছিল, তার মাতৃভাষা স্লোভেনিয়ান (যেটি ইওসেপ ব্রোজ টিটোর মায়ের ভাষা) অনেকটাই আলাদা। যদিও সার্বো-ক্রোয়াটিক তার কাছে একেবারে দুর্বোধ্য নয়। উদাহরণ দিয়েছিল -
আমি যতটুকু জানি (স্লোভেনিয়ান) - vse kar vem (ভসে কার ভেম)
আমি যতটুকু জানি (সারবিয়ান) - sve što znam (সভে স্টো জনাম)
ড্রেসনার ব্যাঙ্কের পালা শেষ হল আমার। লিলিয়ানা থাকবে আরও তিন মাস। আমার নিয়মিত কাজ শুরু হল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ফ্রাঙ্কফুর্ট ব্রাঞ্চে। ঠিকানা গোয়েথেস্ত্রাসে ২৬-২৮। সেখান থেকে শুমানস্ত্রাসে হেঁটে বড়জোর পনেরো বড়জোর। আর ড্রেসনার ব্যাঙ্কের ইউরগেন পন্টো প্লাতস অফিস থেকেও সমান দূরত্ব। কাজের পরে লিলিয়ানা কখনও সখনও চলে আসত আমাদের স্টেট ব্যাঙ্কের পিছনে পদচারি এলাকা - ফ্রেসগাসেতে। সেখানে ওঙ্কেল মাক্স (মাক্স চাচা) নামের পাবে বসা হত, ড্রেসনার ব্যাঙ্কের প্রাক্তন শিক্ষাসঙ্গীরাও (জার্মানে ভলুনটেয়ার) এসেছে, ইংল্যান্ডের ফিওনা ওডায়ার, ভিয়েনার মাক্সিমিলিয়ান বেক, স্কটল্যান্ডের জন হেরন - এরা সকলেই ছ-মাসের ট্রেনিঙে এসেছে, শেষ হলে দেশে ফিরবে। আমি কেবল থেকে গেছি। আমাদের অফিসের ভারতীয় অফিসারদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিই লিলিয়ানার সঙ্গে – দিল্লির মিস্টার নাগপাল, পালঘাট কেরালার মিস্টার স্বামী, অন্ধ্রের মিস্টার রামামূর্তি। ভারতীয়দের চেহারা এত রকমের হতে পারে তার জানা ছিল না। তাঁরা বললেন, একবার আমাদের অফিসে চলুন – ভারতীয় ব্যাঙ্ক দেখবেন! পূর্ব ইউরোপের কোনো ব্যাঙ্কের সঙ্গে স্টেট ব্যাঙ্ক ফ্রাঙ্কফুর্ট অফিসের সরাসরি যোগাযোগ ছিল না। গুগল অনেক দূরে তখন। অডিট বিভাগের রামামূর্তি এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে বিনামূল্যে তাঁর তথ্যভাণ্ডারে অমূল্য রতন সংগ্রহের চেষ্টায় ছিলেন। লিলিয়ানার কাছে কিছুটা জানা গেলো: ইয়ুগোস্লাভিয়ার ব্যাঙ্কিং পূর্ব ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় সম্পূর্ণ আলাদা – ছ-টি রিপাবলিকের নিজস্ব ব্যাঙ্কিং, তার মালিক সরকার নন, বিভিন্ন কো-অপারেটিভ বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, বলতে পারেন বেনামে সেই সরকার। শ-দেড়েকের বেশি ব্যাঙ্ক সারা দেশে। স্লোভেনিয়ার লুবলিয়ান্সকা বাঙ্কা-র কার্যপদ্ধতি আমাদের দেশের সরকারি মালিকানাধীন ব্যাঙ্কের ধরনে প্রায়। সে ব্যাঙ্ক অন্য রিপাবলিকে - যেমন ক্রোয়েশিয়াতে - আমানত জমা নিতে বা ধার দিতে পারত, ব্যাঙ্ক অফ বরোদার যেমন কোনো বাধা নেই শিলিগুড়িতে কার লোন দিতে। রামামূর্তি প্রশ্ন করতে থাকেন, অর্থনীতিক পলিসি কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় বা কে করে, এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের অবস্থান কী? বড্ড বোরিং হয়ে যাচ্ছিল। লিলিয়ানা বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে! রামামূর্তিকে আর ডাকিনি।
স্টেট ব্যাঙ্ক অফিসের দোতলায় বসতেন আমাদের সহ শাখা প্রবন্ধক বাঙ্গালোরের এস ভি (শঙ্কর ভিনয়) কুমার। তাঁর পদমর্যাদা বা সিনিওরিটির তোয়াক্কা না করে আমাদের মতন অর্বাচীনদের সঙ্গে মিশতেন, পাঁচটা বেজে গেলেই ঘরে ডাক পড়ত - তাঁর দরোজা আমাদের জন্য সর্বদা উন্মুক্ত। সেখানে লিলিয়ানাকে নিয়ে গেছি। বাঙালি কায়দায় আড্ডা - সন্ধ্যে হয়ে গেছে, সেবা করার লোক নেই। মিস্টার কুমার নিজে উঠে গিয়ে কফি বানালেন।
মিস্টার কুমার ছিলেন ভারি মজার মানুষ, যে কোনো ব্যাপারে একটা কমিকাল অ্যাংগল খুঁজে বের করতেন। একবার দেখেন স্টেট ব্যাঙ্ক মাইসোরের ইস্যু করা লেটার অফ ক্রেডিটে (ভারতে আমদানি করতে গেলে যে কাগজটি দিয়ে স্টেট ব্যাঙ্ক বিদেশি বিক্রেতার মনে বল সঞ্চয় করে থাকে – ভারতীয় ক্রেতা দাম মেটাতে অপারগ হলে স্টেট ব্যাঙ্ক কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার মতন অশ্রুসজল চোখে ইউরোপীয় বিক্রেতার দায় উদ্ধার করবে) একটা শর্ত আছে - ক্রেতা জানিয়েছেন, সুইস রপ্তানি কারক তার মাল যেন সুইস বন্দর থেকে জাহাজে তোলে। মিস্টার কুমার স্টেট ব্যাঙ্ক মাইসোরে টেলেক্স পাঠিয়ে জানতে চান – “সুইস বন্দরের নামটি জানালে বাধিত হব”। সত্বর জবাব এল - ‘ওটা পোর্ট নয়, এয়ারপোর্ট হবে। মুদ্রণ প্রমাদ’।
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কর্মপদ্ধতি শুধু নয়, ক্রিকেট এবং ইংরেজি সাহিত্যে তাঁর অসাধারণ দখল: বার্নার্ড শ, পি জি উডহাউসের উদ্ধৃতি দিতে পারে অবলীলাক্রমে, চেপক-এ কোনো টেস্ট ম্যাচ দেখা বাদ পড়েনি, গুন্দাপ্পা বিশ্বনাথকে তিনি গাভাস্কারের ওপরে স্থান দিতেন। কিন্তু সেসব কিসসা লিলিয়ানার বাউন্ডারি সীমানার অনেক বাইরে। তাই তিনি তাকে ভারতীয় ব্যাঙ্কিঙের গল্প শোনালেন - কোন ব্রাঞ্চে গোরুর গাড়িতে করে টাকা আসত, কীভাবে কানের দুল ওজন করে জমা রেখে টাকা ধার দেওয়া হত। চোখ বড়ো বড়ো করে সে সব শোনে। জিজ্ঞেস করলেন, আচ্ছা তোমার বাড়ি কোন শহরে বললে যেন? কী যেন নাম? লিলিয়ানা বলে, ‘লুবলিয়ানা’, লিখে দেখায়। মিস্টার কুমার অত্যন্ত সরল মুখে বলেন, বানান (Ljubljana) দেখে তো তা মনে হয় না? এটার উচ্চারণ কি লুবজুবলানা হবে না?
ফ্রাঙ্কফুর্টের দিন ফুরোলে বিদায় নিতে এসেছিল লিলিয়ানা। তার দেশে কখনও যাওয়া হবে ভাবিনি। দু-বছরের কড়ারে জার্মানি এসেছি, পশ্চিম ইউরোপ দেখা হলেই যথেষ্ট। বিধাতা আমার জীবনের অন্য ম্যাপ এঁকে রেখেছেন জানি না।
ব্যাঙ্কে এসে মিস্টার কুমারের সঙ্গে দেখা করে বলে গেল, ভারত ও ইয়ুগোস্লাভিয়ার আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্কিং সম্বন্ধ শক্ত হবে, যদি একবার আমার শহরে আসেন। আপনাকে ঘুরিয়ে দেখাব। আমাদের ঠিকানা –
লুবলিয়ানস্কা বাঙ্কা
মারসালা টিটা এগারো
লুবজুবলানা!