ন্যাপহিলের সেন্ট জন প্রাইমারি স্কুলে তার সহপাঠিনীর পরিচয় দিলো মায়া, “ বাবা, এর নাম মারটিনা, ওর বাবার নাম মারটিন, বাড়ি স্লোভাকিয়ার মারটিন শহরে!’’
বোঝা গেল মারটিনের পুনরাবৃত্তি তাদের মহলে হাসির খোরাক যোগায়! স্লোভাকিয়ার মারটিন ও হেনরিয়েটা বরতসিগের সঙ্গে আমাদের আলাপ হয় সেই স্কুলের পেরেন্ট টিচার সমাবেশে। তারা দুজনেই কোসিতসের টেকনোলজিকাল ইউনিভারসিটির বিদ্যুতবিদ্যার স্নাতক, তাদের ছেলের নাম অবশ্য মারটিন নয়, ডমিনিক! পরে আমাদের দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠতা ক্রমশ বৃদ্ধি পায়, যা এখনও বজায় আছে। তারা আপন দেশে গেলেই অন্তত এক বোতল জুব্রোস্কা নামক শ্নাপস নিয়ে আসে- তার অ্যালকোহল কন্টেন্ট ৪৫%। ভুরি ভোজনের পরে দু চুমুক দিলে সবই হজম হয়ে যায়। তার বেশি চুমুক দিলে ড্রাইভিং লাইসেন্স গচ্চা যেতে পারে।
দুই দেশের মধ্যে নানা রকম বিষয় নিয়ে গল্প হয়। হাতের কাজে মারটিন অসম্ভব দক্ষ, সে মহা প্র্যাকটিকাল মানুষ। এই রিনিউয়েবল এনার্জি নিয়ে একদিন কথা হচ্ছিল। হাওয়া কল দ্বারা উৎপাদিত বিদ্যুতশক্তির প্রখর বিরোধী মারটিন। তার মতে বাতাস ও তার গতিবেগ দুটোই অনিশ্চিত। সে কল বানাতে ও চালু রাখতে খরচা প্রভূত এবং তা থেকে যে পরিমাণ বিজলি মিলতে পারে তার ওপর ভরসা করা উচিত নয় – আনরিলায়েবল সোর্স অফ সাপ্লাই। জানি ডোনাল্ড ট্রাম্প হাওয়া কলের বিদ্যুৎ সম্বন্ধে সন্দিহান – তাঁর মতে এ থেকে ক্যান্সার হতে পারে! তবে মারটিনের কথার মূল্য বেশি, সে ইলেকট্রিকাল এঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছে। ভেবে চিন্তেই বলছে!
সন্ত মারটিনের নাম আমাদের মোটামুটি জানা আছে। খ্রিস্টাব্দের চতুর্থ শতকে মারটিনের জন্ম হয় এই স্লোভাকিয়ার মারটিন শহরের তিনশো কিলোমিটার পুবে, বর্তমান হাঙ্গেরির সমবাথেলি গ্রামে। আপন ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাঁকে জোর করে রোমান ফৌজে ভর্তি করানো হয়েছিল। প্রভুর আহ্বান পেয়েছিলেন আপন হৃদয়ে। সে কালে ই মেল ছিলো না, সম্রাট ইয়ুলিয়ানকে চিঠি লিখে সৈনিক মারটিন সেনা বাহিনী থেকে মুক্তি চান। যিশু খ্রিস্টের সৈনিক তিনি, রোমান সম্রাটের হয়ে যুদ্ধে নামতে চান না। সম্রাটের কাছ থেকে জবাব না আসা অবধি মারটিনকে কারাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু ততদিনে রোমান শাসন খ্রিস্টানদের বাঘ সিংহের মুখে পাঠায় না, সম্রাট কনস্টান্তিন নিজে সে ধর্মে দীক্ষা নিয়েছেন। তাই শিগগির তাঁকে জেল থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছিল। বাকি জীবনটা কাটে প্রথমে ইতালিতে পরে আধুনিক ফ্রান্সে, ঈশ্বরের নামে মানুষের সেবায়। তুর শহরের বিশপ নামে তিনি অধিক পরিচিত। ফ্রান্সের প্যাট্রন সেন্ট বা রক্ষক সাধু তিনি ( যেমন ইংল্যান্ডের সেন্ট জর্জ, আয়ারল্যান্ডের সেন্ট প্যাট্রিক, স্কটল্যান্ডের সেন্ট অ্যানড্রু )। তাঁর নাম বিশ্বে এতো খ্যাত যে প্রায় দেড়শ শহর বা গ্রাম তাঁর নামটি গ্রহণ করেছে- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেটে অন্তত তিরিশটা মারটিন পাবেন। কলকাতার ব্রেবোরন রোডের সেন্ট অ্যান্দ্রুজ গিরজেটি যার রেপ্লিকা, লন্ডনের ট্রাফালগার স্কোয়ারের সেই ভজনা মন্দিরের নাম সেন্ট মারটিন ইন দি ফিল্ডস। আশ্চর্যের বিষয় এই যে আমাদের নিকটবর্তী হ্যাম্পশায়ারে মারটিন নামের একটি গ্রাম আছে, তারা দাবি করে সে নাম এসেছে, ভাইকিং দস্যুদের ভাষা থেকে, অর্থ গ্রামের সীমানা।
কোন একদিন মারটিনে যাবার ইচ্ছে থেকে গিয়েছিল তার সুযোগ একদিন জুটল। কোসিতসে থেকে ব্রাতিস্লাভা যাবার পথে নেমেছিলাম, খানিকটা কাজে খানিকটা কৌতূহলে।
মারটিনে পথ চলতে চোখে পড়ে বাড়ির গায়ে আঁকা প্রকাণ্ড মুরাল। তারা হয়তো কোন গভীর অর্থ বহন করে, জিজ্ঞেস করা হয়ে ওঠে নি। দক্ষিণ জার্মানির ব্যাভেরিয়াতে দেখেছি এমনি দেওয়ালজোড়া স্থির চিত্র, যাকে জার্মানে বলে হাওয়াই চিত্রকলা (লুফতমালারাই)। তবে তার সাইজ অনেক ছোটো। হোহে তাতরা বা উঁচু তাতরা পর্বতের নাম শুনেছি জার্মানিতে। সেটা যে ঠিক কোথায় জানতাম না, সে আমলে ফ্রাঙ্কফুর্টের পূর্বে কোথায় কি আছে জানার বিন্দুমাত্র আগ্রহ ছিল না। পূর্ব ইউরোপে আসা যাওয়া শুরু হলে জ্ঞান বাড়লো - আল্পস থেকে যে পর্বতমালা শুরু হয়ে টানা হিমালয়ে গিয়ে মিশেছে ইউরোপে তার নাম কোথাও উলিয়ান আল্পস (স্লোভেনিয়া), তাতরা (স্লোভাকিয়া), কারপাত (রোমানিয়া)। এই অখণ্ড শৈলশ্রেণি স্লোভাকিয়ার উত্তরে পোল্যান্ডের সঙ্গে সীমানা নির্দেশ করে। পোলিশ অংশে আছে জাকোপানে যেটি পোল্যান্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্কি রেসর্ট, দীর্ঘদিনের পোলিশ বান্ধবী ক্রিস্টিনা প্রতি বছর স্কি করতে যায়। সেই তাতরার দর্শন পেলাম দক্ষিণ প্রান্ত থেকে। মারটিন শহর তার ছায়ায়, তুরেতস নদীর কোলে আশ্রিত (জার্মান নাম তুরতস সাঙ্কট মারটিন) পথ চলতে দূর পাহাড়কে কাছের মনে হয় সঞ্জীবচন্দ্রের পালামউ ভ্রমণ মনে পড়ে। আরও মনে পড়ে জলপাইগুড়ির দিনগুলি – প্রসন্ন দিনে দিগন্তে হিমালয়ের রেখা, কাঞ্চনজঙ্ঘার ইশারা।
জীবন জুড়ে যেন একটা মন্তাজ দেখে গেলাম, কোন ছবিই স্বতন্ত্র, একক হয়ে দেখা দেয় না।
মাত্র ষাট হাজার মানুষের শহর মারটিন। এখন ফোলকসভাগেনের গিয়ার বক্স, অ্যাক্সেল বানানোর কারখানার কল্যাণে তার পরিচিতি বেড়েছে। কি আশ্চর্য আরেক সমাপতন – ন শো বছর আগে হাঙ্গেরিয়ান রাজাদের আমন্ত্রণে শেপেস অঞ্চলে আসেন রাইনল্যান্ড এবং মোজেল নদীর কূলের কিছু মানুষজন। বহু বছর ধরে জার্মানদের সুনাম ছিল, তাঁরা কাজে কর্মে, চাষে, শিক্ষায় দক্ষ। জমি জমা পেলেন রাজার আদেশে। তাঁরা এসে শেখাবেন বাণিজ্য, চাষ বাসের কায়দা। সে পাঠশালার কাজ আর শেষ হয় নি। থেকে গেছেন পুরুষানুক্রমে, নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে ভিসা নিয়ে তো আর আসেন নি। জার্মানে তাদের নাম তসিপ্সার ডয়েচেন। তাদের কাজে কর্মে খুশি হয়ে হাঙ্গেরির রাজা অনুমোদন করলেন এক ধরণের স্বায়ত্ত শাসন ( তসিপ্সার ভিলক্যুয়র ) যাকে স্টাডরেখট অথবা নগর বিধি বলা যেতে পারে। হাঙ্গেরিয়ান রাজ আদালত নয়, চুরি ডাকাতি ফৌজদারি দেওয়ানি মামলার সমাধান করতেন নগরীর বরিষ্ঠ জার্মান নাগরিকবৃন্দ।
ঢাকায় আমার এককালের সহকর্মী আশেকের কাছে শোনা একটা কাহিনি মনে পড়ে - পুরানো ঢাকার পথে একটি গাড়ির সঙ্গে রিকশার সংঘর্ষ; পুলিশ ডাকা বা ইন্সিউরেন্সের কোন প্রশ্ন ওঠে নি, সেখানে সমবেত কিছু বয়স্ক মানুষ বিচার ও ফয়সালা করে দিলেন। দু পক্ষ সেই বিচার ও জরিমানা মেনে নিয়ে যে যার পথে চলে গেলেন। এখনও সে প্রথা চালু আছে কিনা জানা হয়ে ওঠে নি।
তসিপ্সার জার্মানরা যথাকালে অস্ট্রিয়ান হাবসবুরগ সাম্রাজ্যের প্রজা হয়েছেন -তাঁদের স্থাপত্য চতুর্দিকে। ক্লান্তিকর পুনরাবৃত্তির ঝুঁকি নিয়েও বলি শুধু চেক বা স্লোভাক নয়, আরও অনেক পুবে রোমানিয়ার ট্রান্সিলভানিয়ার ( তসিবেন বুরগেন) পথ হাঁটলে সেই একই স্থাপত্য চোখে পড়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে হাজার বছরের অধিবাসী সেই জার্মান বংশোদ্ভূত মানুষজনকে অবাঞ্ছিত বোধে পিটিয়ে পাঠানো হয় পশ্চিম জার্মানিতে, যে দেশ তাদের পূর্ব পুরুষ ত্যাগ করে এসেছেন প্রায় হাজার বছর আগে। আজ আবার সেই বিতাড়িত জাতির কোন উত্তরসূরি হয়তো এসেছেন সেই দেশে – এবার চাষ বা বাণিজ্য নয়, গাড়ির আক্সেল তৈরির কলা কৌশল শেখাতে!
শহরের কেন্দ্রস্থলে সেন্ট মারটিন গিরজে। এ ছাড়া আছে হাবসবুরগ আমলে তৈরি স্লোভাক ন্যাশনাল মিউজিয়াম। তবে সে সব জায়গায় পারতপক্ষে ঢুঁ মারি না। তার চেয়ে অনেক সুন্দর এই শহরের মধ্যে একটি অসাধারণ চত্বর যেখান থেকে উত্তরে দেখা যায় সারিবদ্ধ পাহাড়ের সারি পাহাড়। ভাবতে ভালো লাগে তারা আমাদের হিমালয়ের আত্মীয়।
স্লোভাক বিয়ার সহযোগে ইভেতা, ইগর আর আমি এই নিয়ে বিশদ চিন্তা করে যে সিদ্ধান্তে পৌঁছুলাম সেটি অতীব সরল। আগে কেন ভাবিনি বলে আমরা নিজেদের ধিক্কার দিলাম। আমরা যদি স্লোভাকিয়া থেকে হাঙ্গেরিতে আগামী পাঁচ বছরের নির্ধারিত বিদ্যুৎ সরবরাহের অঙ্গীকৃত মূল্যটি আজ ঋণ হিসেবে দিতে পারি, তাতে স্লোভাক ইলেকট্রিক প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন শক্তি বাড়বে। যেমন যেমন হাঙ্গেরিয়ান সরকার ইলেকট্রিকের বিল মেটাবেন তেমনি আমাদের ঋণটি শোধ হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের মানদণ্ডে হাঙ্গেরি তখন স্লোভাকিয়া থেকে খানিকটা উঁচুতে, স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওর তাকে দিয়েছে BBB+ অর্থাৎ ইনভেস্টমেন্ট গ্রেডের সর্ব নিম্ন ধাপ, স্লোভাকিয়ার স্কোর BB মানে তাকে আরও পরিশ্রম করতে হবে! যে সব লগ্নিকারক কোন দেশকে কেবলমাত্র রেটিং নামক তুলাদণ্ডে বিচার করেন তাঁরা সানন্দে মিষ্টি মণ্ডা খাওয়াবেন, ধার দেবেন হাঙ্গেরিকে কিন্তু ইতস্তত করবেন স্লোভাকিয়ার সামনে হাতটি উপুড় করতে। হবেন কুণ্ঠিত। এক্ষেত্রে স্লোভাক ইলেকট্রিকের পূর্ণ দায়িত্বে ঋণের আয়োজন করতে পারি প্রতিপাদ্য - উৎপাদনের ঝুঁকি স্লোভাকিয়ার, ঋণ মেটানোর ঝুঁকি হাঙ্গেরির।
সে সন্ধ্যেয় কিছু খাওয়া হয়েছিল কিনা মনে পড়ে না। তখন প্ল্যান হচ্ছে কত শিগগির আমাদের শাখা আধিকারিক রবার্ট আর ঋণ বিভাগের প্রধান লাদিস্লাভকে এই মহান পরিকল্পনাটি ব্যাখ্যা করে তাদের যৌথ সম্মতি আদায় করা যায়। সে আলোচনার বিশদ বিবরণ দিয়ে পাঠকের ধৈর্যচ্যুতি ঘটাতে চাই না। তরুণ অ্যানালিস্ট টোমাস অজস্র পরিসংখ্যান পেশ করলেন দেওয়ালে আলোকিত স্লাইড দিয়ে। অঙ্কের প্রতি ভীতি আমার আজীবনের। ও পাড়া মাড়াই না ( সেই কারণে প্রেসিডেন্সি কলেজ আমাকে অর্থনীতি পড়তে দেয় নি )। আমার যুক্তি তর্ক গপ্পো বৃহত্তর চিত্র নিয়ে যাকে পরিসংখ্যানে ফেলা যায় না – সপনো কা সাউদাগর। অ্যানেকডোটাল! স্লোভাক উদ্যোগ, স্বল্প বেতন, রাজনৈতিক স্থিতি, উচ্চশিক্ষার হার ইত্যাদি নানান রকমের খানিকটা অস্বচ্ছ ( চন্দ্রনাথদা বলতেন ভেগু ভেগু লজিক ) চিত্রণ করে গেলাম। ক্রেডিট কর্তা লাদিস্লাভ স্থিতধী বুদ্ধের মতন শুনে যাচ্ছেন, হ্যাঁ না কিছুই বলেন না দেখে আমরাই থামলাম। শেষ পর্যন্ত মৌন ভঙ্গ হলো – ‘ এবার আমার কথাটা বলি। স্লোভাক বেতন, উৎপাদনের ব্যয় যতই কম হোক, সেটা দিতে হবে কড়ায় গণ্ডায়। খরচা পাতি সামলাতে এখনই তার দিন আনি দিন খাই অবস্থা। হাঙ্গেরিকে বিজলি বেচতে যে বাড়তি প্রোডাকশন করতে হবে তার খরচা না হয় ঋণ থেকে এলো। বিজলির বিল চোকানোর ব্যাপারে হাঙ্গেরিয়ান সরকারের ওপরে অবশ্যই ভরসা করা যায়, তাঁদের অবস্থা সচ্ছল। সেটা চিন্তা করে আমরা না হয় মোটা টাকা ধার দিলাম। কিন্তু আমার প্রশ্ন: স্লোভাক ইলেকট্রিক পয়সা পাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করলে পর। কিন্তু তারা যদি সেই বিদ্যুৎ উৎপাদনে অক্ষম হয়? ‘
ইগর, টোমাস আর আমার ওপরে সংখ্যাতত্ত্ব, বাগাড়ম্বরের ভার ছেড়ে দিয়ে অর্ধ পক্বকেশ ইংরেজ ব্রাঞ্চ ম্যানেজার রবার্ট উদাসভাবে জানলার বাইরে দানিউবের শোভা দেখছিলেন। অর্ধ উন্মীলিত চোখ। লাদিস্লাভের শেষ মন্তব্যটি শুনে ঠিক কাউকে লক্ষ্য না করে একান্ত ভাবলেশহীন মুখে বললেন ‘ স্লোভাক ইলেকট্রিক যদি বিজলি সরবরাহ করতে না পারে তাহলে এ অফিসের আলোও জ্বলবে না। আমাদের দোকান বন্ধ করে লন্ডনে ফিরতে হবে।‘
ক্লিঞ্চিং আরগুমেনট কথাটা আগে শুনেছি। তার সঠিক অনুবাদ জানি না।
লাদিস্লাভ ঋণ অনুমোদন করলেন*।
পুনশ্চ:
একদিন আমরা ভাবনা চিন্তা করেছি নিয়মিত বিজলি উৎপাদন করে স্লোভাকরা ব্যাঙ্কের ধার শোধ করতে পারবে কিনা। স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরের বিশ্লেষণ অনুযায়ী স্লোভাকিয়ার রেটিং এখন A+, হাঙ্গেরির রেটিং BBB- ( স্লোভাকিয়ার চার ধাপ নিচে, ভারতের সমান )। স্লোভাক ইলেকট্রিক আজ চেক, হাঙ্গেরি সহ আরও ইউরোপিয়ান দেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে -বিক্রি বাবদ বার্ষিক আয় তিন বিলিয়ন ইউরো। স্লোভাক স্টেটের মালিকানা এখন এক তৃতীয়াংশ, বাকিটা চেক রিপাবলিকের কোম্পানি ই পি এইচ এবং ইতালির এনেলের হাতে।
*পরিমাণ বিশাল না হলে ঋণ মঞ্জুর ক্রেডিট কমিটির অধিবেশন হতো না। অভিজ্ঞতা এবং সিনিওরিটি অনুযায়ী সিটি ব্যাঙ্কে ঋণ অনুমোদনের ক্ষমতা নির্ধারিত হতো। এক্ষেত্রে মূল নায়ক লাদিস্লাভ, সহ অভিনেতা রবার্ট -এই দুজন একমত হলে লন্ডনে তাঁদের সিনিয়র আপন ছাপটি যোগ করে দেন।