তিস্তা পেরোবার পর জ্যাকেটটা গায়ে চাপিয়ে নেয় সাকিনা। এদিকে ইতিমধ্যেই শীতের আমেজ। ট্রেনের দুপাশে কুয়াশা এখনো লেপ্টে আছে। একটু নীচে ৩১ নং জাতীয় সড়ক সাপের মত এঁকেবেঁকে এই লাইনের সাথে জড়াজড়ি করতে করতে চলেছে। সাপেরা এভাবেই সঙ্গম করে। এইসব অতি পরিচিত দৃশ্য গত তিরিশ বছর তার জীবনে ছিল না। তিরিশ বছর আগের এই দৃশ্যকে যেন গতজন্মের মনে হয় সাকিনার। ডুয়ার্স ছেড়েছিল ষোল বছর বয়সে, আর ফিরে আসা এই ছেচল্লিশের প্রৌঢ়ার। যদিও তাকে দেখলে কেউ প্রৌঢ়া বলবে না, এখনো পঁচিশ তিরিশ বলেই দিব্যি চালিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু তবুও চলে যাওয়া কিশোরী আর এই ফিরে আসা প্রৌঢ়া যে আলাদা মানুষ সে নিয়ে ... ...
যখনই লিখতে বসি, আগাছা এসে জড়িয়ে ধরে পা। লতাপাতা শুঁড় বাগিয়ে চেপে ধরে আঙুল, কবজি, হৃদয়, এমনকি গলাও। তাই আমি আবর্জনা লিখি, যেমন লিখিয়ে নেয় আগাছারা, যেমন পড়তে তারা ভালোবাসে, ঠিক সেরকমই ... ...
মানুষ, হোমো-স্যাপিয়েন্স, আর পাঁচটা জীবের মতই বিবর্তনের ফল, এ আমরা সবাই জানি (যদিও সেটা ভুলিয়ে দেবার চেষ্টাও চলছে জোরদার)। কিন্তু তবু, এই হোমো-স্যাপিয়েন্স অন্তত এতাবৎকালের বিবর্তনধারায় একটা বিশেষ স্থান অধিকার করে, একথাও অস্বীকার করা যায় না। “শ্রেষ্ঠ জীব” হয়তো নেহাৎই অহমিকা, কিন্তু আমরা যে পৃথিবীটা কার্যতঃ শাসন করছি, সেটা চাইলেও অস্বীকার করার উপায় নেই। না করলে হয়তো আমরা ... ...