নিলীন বলেছিলো, আপনাদের শাম্বগ্রাম দাঁড়াবে কিনা জানিনা, কিন্ত যদি অ্যালাউ করেন, জমিটা কেনার ব্যাপারে আমিও থাকতে পারি, মানে কিছু টাকা আমিও দিতে পারি জমির দামের মধ্যে। অবিশ্যি হয়তো আপনার বন্ধুদের অনুমোদন হবে না এ প্রস্তাবে – না হওয়ারই কথা – আমি তো শাম্বর কেউ নই ! যাই হোক, আমার কাছ থেকে টাকা নিন বা না নিন, যেদিন ফাইনালি আপনারা কিনবেন, আপনাদের আপত্তি না থাকলে আমাকে একটা খবর দেবেন। আমি আসবো, আপনাদের সবায়ের সাথে আড্ডা-ফাড্ডা মেরে ফিরে যাবো। আমার সাথে তো সবায়েরই আলাপ হয়েই গিয়েছিলো।
নিলীনকে অপছন্দ হয়নি ওদের কারও, গতকাল তাই টেলিফোনে ওকে জানিয়ে দিয়েছে জয়মালিকা।
একটা জীপ ভাড়া করে সবাই মিলে ওরা হৈ হৈ করে পৌঁছিয়ে গেলো। হেমন্তর পরামর্শে সাত লাখ টাকা ক্যাশ নিয়ে এসেছে সঙ্গে। হেমন্ত বলেছে একদিন থেকে যেতে হতে পারে, সেইভাবে তৈরি হয়ে আসতে।
ওরা পৌঁছোলো বেলা প্রায় দেড়টা নাগাদ, হেমন্ত গেটের বাইরে দাঁড়িয়েছিলো, সঙ্গে নিলীন। নিলীন বললো, দেখুন জমি কিনবেন আপনারা, আমি সেই সকাল থেকে দাঁড়িয়ে। আসলে সকালের ইস্পাতে খড়গপুর থেকে উঠেছে নিলীন, দশটার আগেই পৌঁছিয়ে গিয়েছে গালুডি স্টেশনে।
গেট খুললে সোজা ঢুকে যায় ওদের জীপটা। করোগেটের চালের নীচে গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে একটা, তার পাশে ওদের জীপটাকে নিপুণভাবে রাখে ওদের ড্রাইভার। গাড়ি থেকে নামতেই সামনে এক ভদ্রলোক, পরণে ধুতি, চোখে চশমা, ঠোঁটে পানের রসের শুকনো দাগ, হেসে বললেন, আসেন, সকাল থেকে অপেক্ষা করছি আপনাদের জন্য। ততক্ষণে ভেতরে এসে দাঁড়িয়েছে হেমন্ত আর নিলীন। সবাইকে নিয়ে হেমন্ত আসে অফিস ঘরগুলোর মধ্যে একটায়। সেখানে আগে থেকেই বসে আছেন এক ভদ্রলোক। হেমন্ত পরিচয় করিয়ে দেয়, রামলাল মাহাতো।
চশমা চোখে ভদ্রলোকের নাম সুখবিহারী অগ্রবাল, ইনিই হেমন্তর মালিক। হেমন্ত পরিচয় করিয়ে দেয়। সুখবিহারী থাকেন পুরুলিয়া শহরে, সেখানে ওঁদের গদি আছে, সুখবিহারীর ঠাকুর্দা কেন্দুপাতার ব্যবসা করতে প্রথম এখানে আসেন, তারপর পুরুলিয়াতেই থেকে যান, ধীরে ধীরে নানারকমের ব্যবসা বেড়ে যায়, যার মধ্যে এই লাক্ষার ব্যবসা অন্যতম। ইদানিং সুখবিহারীবাবু কলকাতায় বেশি থাকছেন, পুরুলিয়ার ব্যবসায় নিজে আর বেশি মন দিতে পারেন না। রামলাল মাহাতো ওঁদের অনেকদিনের লোক; সরকারি কাজ, কোর্ট-কাছারির ঝামেলা উনিই সামলান। সুখবিহারী বলেন, আজ রাতে আপনাদের এখানেই থেকে যেতে হবে, শুধু আমরা দুজন, হেমন্তবাবু আর ওনার বেটি, যার নামে জমি রেজিস্ট্রি হবে, চলে যাবো পুরুলিয়ায়। বেবস্থা সব করাই আছে, কাল রেজিস্ট্রি অফিস খুললেই আমাদের কাজ ঝটপট হয়ে যাবে। তারপর আমরা এখানে ফিরে আসবো।
এই কথাটা ওদের কারোর ভাবা ছিলো না। খানিকটা মুখ চাওয়াচায়ি হলো, তারপর জুঁই বললো, আমরা সবাই মিলে গেলে কেমন হয়?
পুরুলিয়ায় যাবেন? বলেন সুখবিহারী, আসতে পারেন, কিন্তু তকলিফ হবে তো। এতটা জার্ণি করে এসেছেন...
সেটা কোন কথা নয়, গেলে থাকার জায়গা পাওয়া যাবে? অনলাভর প্রশ্ন।
কোন প্রবলেম নয়, বলেন সুখবিহারী, আমার তিনতলা তো খালি পড়ে আছে। তারপর হেসে বলেন, অসুবিধা একটাই হবে আপনাদের, খাওয়া-দাওয়ার। মাছের ঝোল চলবে না।
মাছের ঝোল না হলেও, মুরগির ব্যবস্থা এখানে করাই ছিলো। সবাই মিলে খেতে বসে যায়, এমন সময় গেটের বাইরে মোটর-বাইকের শব্দ।
আন্দাজ কোরে নিলীন বলে, জলধর মনে হয়।
জলধর? জলধর মুর্মু? জয়ির প্রশ্ন, উনি কী করে জানলেন আমরা এখানে?
আমিই জানিয়েছি, নিলীনের কৈফিয়ত শেষ হবার আগেই গেট খুলে দিয়েছে রঘুনাথ। হাসি-হাসি মুখে একটা ব্যাগের থেকে শালপাতার বিশাল এক ঠোঙা বের করতে করতে জলধর বলে, বান্দোয়ানের ল্যাংচা !
শাম্বর এত বড়ো দলটার সাথে আলাপ করিয়ে দেবার জন্যে কাউকে-না-জানিয়েই নিলীন নেমন্তন্ন করেছিলো জলধরকে। জলধর ভালো সাঁওতালি গান গায়, বাঁশি বাজায়, বাংলা আর সাঁওতালি ভাষায় সমান দক্ষ, আজকের আড্ডায় ওর সারপ্রাইজ উপস্থিতি সবায়েরই ভালো লাগবে জানতো ও, কিন্তু প্রোগ্রামটাই এভাবে বদলে যেতে পারে, এ কথাটা ভাবেনি আগে। জলধর দুপুরের খাওয়া সেরেই এসেছে, অনেক অনুরোধেও বসলো না ওদের সাথে খেতে, কিন্তু নিজের ঠোঙা থেকে জোরজার করে বেশ ভালোমতোই ল্যাংচা খাইয়ে দিলো সবাইকে।
খাওয়া শেষ হতে-না-হতেই তাড়া লাগালেন রামলাল মাহাতো, আজকের মধ্যেই সই-সাবুদগুলো কোরে রাখতে হবে।
নিলীন বললো, আপনারা তাহলে যান, আমি আজকের রাতটা বান্দোয়ানেই কাটিয়ে যাবো।
মানে? তুলি রুখে উঠলো এবার! – আমরা আসার আগে থেকে আপনি অপেক্ষা করছেন, তা কী চলে যাওয়ার জন্যে নাকি? একটাও কথা না বলে আমাদের গাড়িতে বসুন।
কিন্তু, জলধর?
হাঁ হাঁ করে উঠলো জলধর, এটা কী কোন কথা হলো নিলীনদা? আমার তো এমনতেই আড্ডা-ফাড্ডার পর বান্দোয়ানে ফিরে যাওয়ার কথা, তাই তো বাইকটা নিয়ে এসেছি। আপনারা কাজকর্ম সেরে ফিরে আসুন, আমি আবার কাল বিকেলে আসবো, আজকের মতোই ল্যাংচা নিয়ে।
প্রাথমিকভাবে সব প্রয়োজনীয় কাজ করেই রেখেছিলেন রামলাল মাহাতো, এগারোটার মধ্যেই সরকারি দপ্তরের কাজ শেষ হয়ে গেলো। সাত লাখ থেকে দাম অনেকটাই কমিয়ে দিলেন সুখবিহারী, জমির দাম, রেজিস্ট্রেশন – সব মিলিয়ে সাড়ে ছ' লাখ। কোন প্রয়োজন ছিলো না, তবুও সুখবিহারী আরেকবার ফিরে এলেন ওদের সাথে, বললেন, নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পণ্যদ্রব্য হস্তান্তর না করলে হস্তান্তর অসম্পূর্ণ থেকে যায় !
ফিরে এসে বললেন, আপনারা এ জমিতে কী করবেন শেষ পর্যন্ত জানিনা, তবে খুব জরুরত না হলে ঘরগুলো ভাঙবেন না, ভালো মেটেরিয়াল দিয়ে বানানো হয়েছিলো ওগুলো। আর জলের তো পার্মানেন্ট ব্যবস্থা করা আছে। ডীপ টিউব-ওয়েল, অনেক নীচের থেকে খুব মিষ্টি জল তোলে, ওভারহেড ট্যাঙ্কটাও বড়ো, আর বাথরূম-কিচেনে প্লামিংও কমপ্লীট। ভালো ডীল পেলেন আপনারা।
ওরা ফেরার আগেই এসে গেছে জলধর, আজ শুধু ল্যাংচা নয়, বান্দোয়ান থেকে সে বাজার করে এনেছে, রঘুনাথকে সঙ্গে নিয়ে রেঁধেও রেখেছে খিচুড়ি – একেবারে নিরামিষ – অতএব সুখবিহারীও না বলতে পারলেন না, সবাই মিলে হৈ হৈ কোরে খিচুড়ির ভোজ !
শাম্বর দলে মোট সাত জন, জয়ি ছাড়াও তুলিকা-অনলাভ-জুঁই-সুজয়-শ্যামলিমা-অরুণিমা, ওদের হিসেব ছিলো প্রত্যেকের ভাগে এক এক লাখ। সুখবিহারীবাবু পঞ্চাশ হাজার কম নেওয়ায় হিসেবে একটু গণ্ডগোল হয়ে গেলো। নিলীন বললো, আমাকে যদি দলে নেন, একটা ভালো সমাধান-সূত্র বাতলাতে পারি।
বাতলান, বললো অনলাভ।
যা-ই করতে চান, জমি-বাড়ি ছাড়াও খরচ আছে। প্রত্যেকের এক এক লাখ টাকা ধরলে আমাকে নিয়ে মোট আট লাখের ফাণ্ড। সাড়ে ছয় গেলো জমি-বাড়ি কিনতে, হাতে দেড়। অবিশ্যি আমার এক লাখ আজই দিচ্ছি না, সঙ্গে নেই। এরপর যেদিন আবার সবাই মিলে এখানে আসবো, সঙ্গে কোরে নিয়ে আসবো। কী কী অ্যাক্টিভিটি আমরা করবো, সেটা ঠিক করা হবে সেদিন, আর দেড় লাখের ফাণ্ডটাকে প্রাথমিক ভাবে কাজে লাগানো যাবে। যতদূর জানি, একটা সমিতি গোছের তৈরি করতে হবে, নিয়মকানুন এবং কর্মসূচী বানাতে হবে, সেসব ডিটেল সেদিনই আলোচনা হবে, এর মধ্যে সমিতির ব্যাপারে নিয়মকানুনগুলোর খোঁজ আমি নিতে পারি, আমার বন্ধু আছে সরকারী অফিসার, ডব্ল্যু-বি-সি-এস।
ধ্বনিভোটেই যেন, সর্বসম্মতিক্রমে নিলীনের প্রস্তাব গৃহীত হলো। এবার পালা জলধরের। সে বললো, আমি গরীব মানুষ, এক লাখ কেন, এক হাজারও এখনই দেওয়ার ক্ষমতা নেই আমার, কাজেই আপনাদের সমিতির সভ্য হওয়ার জন্যে আবেদন করছি না। কিন্তু এটা বুঝছি আপনারা একটা কিছু করবেন এখানে। এখানকার মাটিতে আমার রক্তের টান, এখানকার বাতাস আমাকে আজন্ম অক্সিজেন দিয়ে এসেছে, এখানকার কাঁকুড়ে মাটি, শাল-মহুয়া, লতা-গুল্ম আর মানুষের সাথে আমার সখ্য আশৈশব। হয়তো আমি সঙ্গে থাকলে, যা-ই আপনারা করতে চাননা কেন, আপনাদের সুবিধে হতে পারে খানিকটা। আর আমার দিক থেকে, আপনাদের সান্নিধ্য আমার উপরি-পাওনা। কাজেই, আপনাদের সম্মতি থাকলে আপনাদের সাথে থাকতে চাই আমিও।
জলধর তো এই দুদিনে ওদের কাছাকাছি এসেই গেছে, কাজেই অকৃত্রিম আহ্বান এলো সবায়ের কাছ থেকেই। জলধর বললো, আপনারা কী আজই ফিরে যাবেন?
না যদি যাই, তার বদলে কী পাবো? বলে ওঠে জয়ি।
কী পাবেন, সে তো মুখে বলতে পারবো না, চলুন সবাই মিলে একটু বাইরে হেঁটে আসি, যা পাবার, তাতেই পাবেন।
গেট থেকে বাইরে বেরোলেই রাস্তার ওপারটা ধু ধু করছে। পুড়ে যাওয়া কিছু ঘাস-গুল্ম পায়ে মাড়িয়ে জলধরের সঙ্গে হাঁটতে শুরু করে ওরা। সোজা খানিকটা হাঁটার পর বাঁয়ের দিকে আর একটু গেলে একটা জলাশয়। ছোট, খুবই ছোট। আর যতটা ছোট তার চেয়েও ছোট মনে হয় জলাশয়টাকে একেবারেই মজে যাওয়ার ফলে। আশপাশে প্রায় সবটাই ফাঁকা; পোড়া ঘাস-গুল্ম ছাড়া কিছুই নেই। বিশেষ কাউকে নয়, প্রায় সবাইয়েরই উদ্দেশে জলধর প্রশ্ন করে, এমন শুকনো জায়গা দেখেছেন আগে?
দেখেনি এমন হয়তো নয়, কিন্তু মাথা ওরা কেউই ঘামায়নি এ ব্যাপারে এটা বোঝা যায়, ওরা নীরব থাকে। দূরের দিকে আঙুল দেখায় জলধর, দেখুন ঐ যে পাহাড়টা, আর ওর আশপাশটা, ওখানটা কেমন ঘন সবুজ লক্ষ্য করেছেন? কী করে হলো, ওখানে সবুজ প্রায়-জঙ্গল আর এখানে শুকনো প্রায়-মরুভূমি ! এই যে মাটি এখানকার, নানা কাব্যের রোমান্টিক লাল মাটি, এর নীচে হরেক রকমের ধাতব আকরিক, যার ফাঁক-ফোকর দিয়ে গলে গলে কতদিনের জল মাটির তলায়। একটা বীজ বা চারা যদি কোন রকমে ঐ জলটার কাছে পৌঁছিয়ে যেতে পারে, তাহলে তার শেকড় চলে যাবে মাটির নীচে গভীর পর্যন্ত, আর ধরে রাখতে পারবে বিশাল এক মহীরুহ। তারপর তার পাশে একটা, আরও একটা। যেখানটায় আমরা দাঁড়িয়ে আছি, কোন অজানা কারণে সেখানে কোন বীজ বা চারা সে সুযোগ পায়নি, তাই এই জায়গাটা শুকনো, মেঘের অভাবে বৃষ্টিও হয়না। এই যে জলাশয়টা, বৃষ্টির অভাবে এটাও শুকিয়ে যাচ্ছে।
মন খারাপ হয়ে যায় ওদের, কেউই বিশেষ কথা বলতে পারে না। তারপর হাঁটতে হাঁটতে আরো খানিকটা গিয়ে ওরা আবার পড়ে বড়ো রাস্তায়, যে রাস্তায় লাক্ষার কারখানাটা। সেইদিকে আসতে আসতে একটা মৃদু শব্দ, ওরা পৌঁছিয়ে গিয়েছে ছোট ঐ নাম-না-জানা নদীটার কাছে, যেটা দেখে প্রথম দিনেই জয়ির মনে হয়েছিলো কোন কিশোরীর মৃদু গুনগুনানি। নদীটার পাশে বসে পড়ে ওরা। এতক্ষণে দিনের আলো শেষ। ওই কিশোরীর সুর-ভাঁজা ছাড়া নিস্তব্ধ চারিদিক।
আচ্ছা জলধর, এই নদীটার নাম কী, প্রশ্ন করে অনলাভ।
নাম হয়তো একটা আছে, হয়তো বা একাধিক, কিন্তু আমার জানা নেই কোনটাই। আর, নদী বলছি বটে, কিন্তু ঠিক ঠিক নদী বোধ হয় এগুলোকে বলা যায় না, ঝোরা বললেই হয়। হয়তো কোন পাহাড়ের কোন এক ফাঁকে জমে থাকে বৃষ্টির জল, তারপর সে জল তির তির করে খানিকটা সমতল দিয়ে বয়ে যায়, ঢুকে পড়ে দুয়েকটা গ্রামের মধ্যে, অনেক দিন ধরে এভাবে বইতে বইতে মাটিটা নরম হয়ে আসে, অগভীর নদীর খাতের মতো তৈরি হয়। বর্ষার সময় কখনো একটু বেশি জল পেয়ে যায়, শীতে হয়তো যায় শুকিয়ে। যে গ্রামে ঢুকে পড়ে, সেখানকার মানুষরা কখনো ভালোবেসে একটা নাম দেয়, কখনো তাও জোটে না, শুধুই আমাদের ছোট নদী চলে আঁকে বাঁকে, শুধুই ছোট নদী, নামগোত্রহীন...
আমাদের এই নদীর কিন্তু একটা নাম আমরা দেবো, বলে ওঠে জয়ি।
দেবো, দেবোই তো, সায় দেয় শ্যামলিমা। কী নাম দেওয়া যায়?
ঝোরা বলছিলেন জলধর, জয়ি বলে ওঠে, ঝোরা ভারি সুন্দর। আচ্ছা খুশিঝোরা কেমন হয়?
খুশিঝোরা, চমৎকার ! উচ্ছ্বসিত নিলীন। তাহলে আমার একটা প্রস্তাব আছে। আমাদের তো একটা সমিতি গোছের কিছু করতেই হবে, সবাই মিলে কাজ করার একটা প্ল্যাটফর্ম। এর নিয়মকানুনের ব্যাপারটা আমি জেনে নেবো আগেই বলেছি। কিন্তু নিয়মকানুন যাই হোক না কেন, সমিতিটার একটা নাম তো চাই। খুশিঝোরা সমিতি কেমন হয়?
বেশ খুশি মনেই খুশিঝোরা সমিতির দিকে হাঁটতে শুরু করে ওরা।
ভালোলাগা