যে তিরিশজন নতুন ছাত্রছাত্রী ভর্তি হলো তাদের মধ্যে এগারো জন ক্লাস ফোর আর ফাইভে। তিনটে মেয়ে আটটা ছেলে। এমন নয় যে এরা সবাই নীচের ক্লাসে যা শেখবার তা শিখেই এসেছে। কিন্তু বয়েস অনুযায়ী যে ক্লাসে যাওয়া উচিত সেই ক্লাসেই ভর্তি করা হলো এদের। জয়ি বললো, ওরা তো সবাই এখানেই থাকবে, প্রতুলবাবু আছেন, আমরা আছি, ওদের আলাদা কোরে পড়িয়ে নিলেই হবে।
পাঁচ জন ছাত্র আগেই ছিলো, এখন এই এগারো জনকে নিয়ে এখন থেকে থাকবে মোট ষোল জন, তাদের মধ্যে তিনজন মেয়ে।
স্কুলের বাড়িটায় ছ' খানা বড়ো ঘর আছে, দুটো ছোট। যে হল ঘরটায় প্রতুল বাবু আর ডাক্তারবাবুর সাথে থাকতো পাঁচজন ক্লাস ফোর আর ফাইভের ছাত্র তাদের সরিয়ে নিয়ে আসা হলো স্কুলবাড়িটার একটা বড়ো ঘরে। নতুন ভর্তি হওয়া আটজন ছাত্রেরও জায়গা হলো সেখানে। এখন থেকে ছেলেদের থাকার ব্যবস্থা এখানেই, আপাতত এটাই ছেলেদের হোস্টেল। ডাক্তারবাবু আর প্রতুল বাবু হল ঘরটাতেই থেকে গেলেন, সেটাতে একটা দেওয়াল তুলে পাশে মেয়েদের জন্যে ছোট ঘর তৈরি হবে একটা, মেয়েদের হোস্টেল। মেয়ে তিনজন এখন থাকবে এতদিন ডাক্তারখানা ছিলো যেখানে সেই ঘরে, আর ডাক্তারখানাটা সরে যাবে স্কুলের একটা বড়ো ঘরে। হোস্টেল কথাটা চালু হয়ে গেলো খুশিঝোরায়।
শুকি-লকিকে ডেকে জয়ি বললো গোয়ালের পাশে একটা ছোট বাড়ি তুলবো, পাকা বাড়ি। সেখানে তোদের দু বোনের জন্যে দুটো ঘর থাকবে, আর ইশকুলের ছেলেদের হোস্টেল।
এখানে ঘর নিয়ে ওরা করবে কী? লকি বলে ডাংলাজোড়ার ঘর ছেড়ে ওরা এখানে এসে থাকলে সে জায়গা দখল হয়ে যাবে।
বুধিয়ার মা অষ্টমীও মনে করে তাই, মানুষ না থাকলে ঘর থাকে নাকি !
তোদের তো আমি থাকতে বলিনি এখানে, ঘর দুটো তোদের থাকলো। জমিটা তো তোদের, তার একটা প্রমাণ তো রাখা চাই। না-ই থাকলি, ঘর দুটো তো থাকলো !
সবাই খুশি। যে বাপমাদের কাজ ছিলো বাচ্চাদের রোজ স্কুলে পৌঁছিয়ে দেওয়া আর নিয়ে যাওয়া তারা এখন বড়ো রাস্তার মোড়ে এসে দাঁড়ায়। স্কুলের বাসে চড়ে মহা খুশি বাচ্চারা আসে স্কুলে। পরে-ভর্তি-হওয়া দূরের গ্রামের বাচ্চাদের মধ্যে বাড়ি থেকে যাতায়াত করে যে উনিশজন, স্কুলে যাওয়াটা তাদের কাছে একটা উৎসব। বাড়ির কাছে বাস এসে দাঁড়ায় ভোরবেলায়, তারপর স্কুলের শেষে খিচুড়ি খেয়ে আবার সেই বাসেই ফিরে আসে তারা বাড়িতে।
মে মাসের শেষের দিকে গরমের ছুটি পড়লো স্কুলে, আগুনের হলকা-দেওয়া গরম, দেড় মাস স্কুল বন্ধ থাকবে। প্রতুলবাবু বললেন তিনি তীর্থ করতে যাবেন হিমালয়ে, স্কুল খোলার দুদিন আগেই ফিরে আসবেন। নিজের সামান্য জিনিষপত্র ঘরের একটা কোনায় রেখে শুধু একটা ব্যাগ আর কম্বল নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন তিনি। গেস্ট হাউজও ফাঁকা, এই গরমে কেউ বেড়াতে আসে না খুশিঝোরায়। ক্লাস ফোর আর ফাইভে শেষের দিকে ভর্তি হয়েছিলো যে এগারোটা ছেলেমেয়ে তাদের বাদ দিয়ে বাকি পাঁচজনও ফিরে যাবে বাড়ি। এই এগারোটা ছেলেমেয়ের গাঁয়ের থেকে আরও যে ছেলেমেয়েরা আসে তাদের দিয়ে একদিন এদের বাপমাকে ডেকে পাঠায় জয়ি। তারা বাসেই আসবে বাচ্চাদের সাথে, কথা বলে আবার বাসেই ফিরে যেতে পারবে।
এখন দেড় মাস স্কুলে ছুটি থাকবে, বলে জয়ি, তোমাদের বাচ্চারা তো আগের পড়া শেখেনি, স্কুলে যায়নি আগে, ছুটির মধ্যে আমরা ওদের আগের পড়াগুলো শিখিয়ে দেবো, কী বলো তোমরা?
আগের পড়া-পাছের পড়া এসব তারা কী বোঝে? দিদি যা ভালো বোঝে তা-ই হবে। সবায়েরই মত তাই।
জয়ি ওদের স্কুলবাড়িতে নিয়ে গিয়ে ছেলেদের থাকার ঘর দেখায়। ওর নিজের ঘরের পাশেই মেয়েদের ঘরটাও দেখিয়ে দেয়। পাকা বাড়িতে ফ্যানের নীচে শোয় ওদের ছেলেমেয়েরা !
গরমের ছুটিতে গোয়ালের পাশে হোস্টেল তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেলো। বাবু গোছের দেখতে, প্যান্ট-শার্ট পরা একটা লোক লম্বা ফিতে দিয়ে মাপজোক করে মাটিতে দাগ কেটে দিয়ে গেলো। ছাতা মাথায় দাঁড়িয়ে আছে উৎপল, আর কোদাল হাতে স্কুলের আটটা বাচ্চা লেগে যায় মাটি কাটার কাজে। আটটার মধ্যে তিনটে নেহাৎই দুবলা, ওদের দিয়ে মাটি কাটানো যাবে না। ওরা শুধু কাটা মাটি সরিয়ে সরিয়ে রাখবে। আর মেয়ে তিনটে পুকুর থেকে জল নিয়ে এসে মাঝে মাঝে মাটিতে ঢেলে মাটি নরম রাখবে। ঘন্টায় ঘন্টায় ছুটি, তখন প্রাণ ভরে জল খাওয়া, সঙ্গে মুড়কি আর বাতাসা। তিন ঘন্টার পর গরম ফেনা ভাত আর আলুভাতে। তারপর আবার কাজ, কিন্তু ঘন্টায় ঘন্টায় জল খাওয়ার ছুটিটা থাকেই। দুপুরে ভাতের সাথে ডাল থাকে, সঙ্গে একটা সবজিও। সন্ধ্যের আগেই কাজ শেষ। চানটান সেরে জামাকাপড় বদলিয়ে বাচ্চারা বসে ডাইনিং হলের মেঝেতে খেজুর পাতার চাটাই বিছিয়ে। পাশে একটা চেয়ার পেতে বসে জয়ি, এখন লেখাপড়ার সময়। লেখাপড়া কিন্তু এগোয় না বেশি দূর, ক্লান্ত বাচ্চারা ঢুলতে থাকে একটু পরেই।
দশ দিনে মাটি কাটা শেষ হয়। তখন মোষের গাড়িতে আসে ঝামা-ইঁট, একপাশে ডাঁই-করা সেগুলো পড়ে থাকে একদিন, পরের দিন একজন লোক সেই ইঁটেরই ওপর বসে ভাঙতে থাকে সেগুলো, খোয়া তৈরি হয়। বাচ্চারা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখে কিছুক্ষণ, একটু পরেই ছাতা-হাতে উৎপল, জোর ধমক, হাঁ করে দেখছিস কী, পড়তে যা ! বাচ্চারা তাদের খেজুর পাতার চাটাইয়ে ফিরে যায় আবার, আজ আর বাতাসা মুড়কি মেলে না।
সব ইঁট খোয়ায় পরিণত হওয়ার পর মাটি-কাটা গর্তে সেগুলো ঢেলে দুরমুশ দিয়ে পেটায় দুজন লোক। পেটায়, আর গান গায়। বেশ লাগে দেখতে। বাচ্চারা খেজুর পাতা থেকে পালিয়ে দেখতে আসে। আজ আর ছাতা মাথায় উৎপল দাঁড়িয়ে নেই, সে গেছে বান্দোয়ান, ইঁট-সিমেন্ট-বালি আনার ব্যবস্থা করতে; ধমক নেই, তাড়া খাওয়া নেই। সারাদিন ধরে মজা করে দুরমুশ পেটানো দেখা যায়।
ইঁট আসে, সিমেন্ট আসে, আসে মিস্তিরিরাও। গাঁথুনির কাজ শুরু হয়, আবার ডাক পড়ে বাচ্চাদের। মাথায় করে ইঁট নিয়ে, সাবধানে – সেগুলো যেন পড়ে না যায় – বাচ্চারা পৌঁছিয়ে দেয় মিস্তিরিদের কাছে, মিস্তিরিরা সেগুলো গাঁথে একটার উপর আর একটা। তেরছা করে রাখা একটা ইঁটের সাথে সুতো বেঁধে, সুতোটার নীচে ভারি একটা লাট্টুর মতো কী যেন, সেই সুতোর সাথে মিলিয়ে মিলিয়ে হয় গাঁথুনিটা, ইচ্ছে করে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সারাদিন ধরে দেখি ! বড্ড ফাঁকিবাজ তো এই ছেলেটা ! – ধমক খেয়ে উৎপলকে দেখেই আবার ইঁট আনতে ছুটতে হয় ! আর একদল বাচ্চা সিমেন্ট-বালি-জল মেশানো খানিকটা কাদা ছোট ছোট লোহার কড়াইয়ে ঢেলে মাথায় করে পৌঁছিয়ে দেয় মিস্তিরিদের কাছে। এই কাদাটাকে মিস্তিরিরা বলে মশলা, দুটো ইঁটের মাঝখানে আঠার মতো এই মশলাটা দিয়েই জোড় লাগে ইঁটে।
তরতর করে বাড়িটা উঠে গেলো তো দিব্যি, যদিও ওপরটা ফাঁকা এখনও। তারপর একদিন বাঁশ আসে, কাঠের তক্তা আসে, মিস্তিরির দল বাঁশের খুঁটি পুঁতে তার ওপর তক্তা দিয়ে একটা ছাদ তৈরি করে ফেলে। খেজুর পাতা থেকে পালিয়ে পালিয়ে বাচ্চারা দেখে যায় মাঝে মাঝে। তারপর ডাক পড়ে তাদের। বালি সিমেন্ট আর জল ঢেলে মশলা তৈরি করছে একজন মিস্তিরি, ছাদের উপর দাঁড়িয়ে দুজন। একটা মই লাগানো হয়েছে মাটি থেকে ঐ তক্তার ছাদ পর্যন্ত। সেই মইয়ের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে আছে একটা লোক। এগারোটা বাচ্চাকে পর পর লাইন করে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। প্রথম যে সে মশলাটা যেখানে মাখা হচ্ছে সেখানে, আর শেষ যে সে মইয়ের লোকটার নীচেই। কাজ শুরু হলে এগারো জনের মাথায় মাথায় অতি দ্রুত মশলাটা পৌঁছিয়ে যায় মইয়ের লোকটার হাত দিয়ে ছাদে, আর ছাদের ওপরের লোক দুটো মশলাটাকে ঢেলে সমান সমান করে বিছিয়ে দেয় তক্তার উপর। অবিরাম কাজ। সেদিন আর মুড়কি বাতাসার ছুটি পাওয়া যায় না।
বাইরের প্লাস্টার এখনো হয়নি, কিন্তু বাকিটা তৈরি হয়ে গেলো গরমের ছুটি শেষ হওয়ার তিনচার দিন আগেই। স্কুলের বাস এগারোটা বাচ্চাকে পৌঁছিয়ে দিয়ে এলো তাদের বাড়ি, স্কুল খোলার দিন সবায়ের সাথে আবার ফিরে আসবে তারা।
নানা কাজে ব্যস্ত ছিলো জলধর, গরমের ছুটিতে সে আসতে পারেনি খুশিঝোরায় একবারও। অবিশ্যি তাকে প্রয়োজনও ছিলো না তেমন কিছু, প্রয়োজন হলে নিশ্চয়ই খবর পাঠাতো জয়ি। স্কুল খোলার আগের দিন বিকেলে সে এলো নিজেই। আরে, এই বাড়িটা এতদূর তৈরি হলো কীভাবে, প্লাস্টারহীন নতুন-গজিয়ে-ওঠা বাড়িটার দিকে অবাক হয়ে তাকায় জলধর।
ছেলেদের হোস্টেলটা পাকাপাকি তৈরি করিয়ে নিলাম গরমের ছুটিতে, বলে জয়ি, প্লাস্টারটা পরে হয়ে যাবে ধীরে ধীরে।
এ তো ম্যাজিক দেখিয়ে দিলেন জয়িদি, কীভাবে করলেন এতো তাড়াতাড়ি?
ম্যাজিকটা আমার নয়, ওর, পাশে দাঁড়িয়ে থাকা উৎপলকে চোখের ইশারায় দেখিয়ে দেয় জয়ি, মিস্তিরিদের সাথে সমানে লেগে থেকে উৎপলই তুলিয়ে দিলো এতটা, বাচ্চাদের কথাটা চেপেই যায় সে।
সব কমপ্লিট করে ফেলেছো, বাথরূম-টাথরূম সব? উৎপলকে জিজ্ঞেস করে জলধর।
বাথরূম তৈরি হয়ে গেছে, তবে জলের পাইপ টানা হয়নি এখনো। প্রথম প্রথম কিছুদিন এখান থেকে জল টেনে নিয়ে যাক না ছেলেরা, ধীরে ধীরে হয়ে যাবে।
হ্যাঁ, সেটা কিছু প্রবলেম নয়, দুয়েকটা প্লাস্টিকের বালতি কিনে নিলেই হবে। কিন্তু ভালোই হলো। একটা পার্মানেন্ট সল্যুশন তো হলো।
কথামতো মাষ্টারমশাই প্রতুল বাবু ফিরে আসেন ছুটি শেষ হবার আগেই, স্কুল শুরু হয়ে যায় নির্দিষ্ট দিনে।
শিক্ষকের সমস্যাটা থেকেই যায়। জলধর বলে, ক্লাস ফাইভের বাচ্চাদের দায়িত্ব নিচ্ছে সে নিজে। ক্লাস ফাইভের দশজন ছেলেমেয়ের ছ'জনই থাকে হোস্টেলে, যদি ঠিক সময়ে না-ও আসতে পারে দেরি করে আসবে জলধর, নির্ধারিত রুটিনের বাইরে একটু বেশি সময় পর্যন্ত পড়াবে তাদের, তারপর যে চারটে বাচ্চা হোস্টেলে থাকে না, মোটর সাইকেলে তাদের পৌঁছিয়ে দিয়ে আসবে বাড়ি। ক্লাস ফোরের দায়িত্ব জয়ির, প্রতুল বাবু পড়াবেন ক্লাস টূ আর থ্রী একসাথে, উৎপল ক্লাস ওয়ানে।
একুশ জন ছাত্রছাত্রী ক্লাস ফোরে। ভালো লাগে না পড়াতে, তবুও দু দিন জয়ি পড়ালো ইংরিজি বাংলা অঙ্ক ইতিহাস। তারপর তার নিজের যা পছন্দ তা-ই ধরলো সে, গান। গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙামাটির পথ আর আমরা নূতন যৌবনেরই দূত। শেখাতে গিয়ে জয়ি অবাক। আশ্চর্য সুরের কান এই শিশুদের। কথা মনে রাখতে পারে না, কিন্তু একবার-দুবার শুনলেই সুরটা মনে গেঁথে যায় ওদের। উচ্চারণের ঝাড়খণ্ডী টান মিশে এই শিশুদের গলায় কী অপরূপ আবেদন রবীন্দ্রনাথের গানে ! বাবার কাছে শুনেছিলো জয়ি তার ওরাওঁ ঠাকুমা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথের গান গেয়েছেন। আজ খুশিঝোরায় এই ওরাওঁ-খাড়িয়া-মুণ্ডা-সাঁওতাল শিশুদের গলায় রবীন্দ্রনাথের গান যেন তার চোখের সামনে মূর্ত হয়ে ওঠে ধীরে ধীরে। সে মূর্তি কল্পনার, সে মূর্তি জয়ি দেখেনি কখনো; আদিবাসীদের প্রিয় লালপাড় শাড়িতে যে বৃদ্ধার ছবি আস্তে আস্তে তার চোখের সামনে ফুটে ওঠে সেই ছবিতে কী তার বাবার মুখের আদল?
সমবেত গানের শব্দতরঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে স্কুলের পুরো বাড়িটায়। প্রতিটি ঘরের প্রতিটি ক্লাসে প্রতিটি শিশুর হৃদয়ে-মনে ওঠে অদ্ভুত আলোড়ন। এমন গান তো তারা কখনো শোনেনি, এমন গান তো গায়নি কখনো ! মনঃসংযোগ নষ্ট হয়, ছেদ পড়ে অভ্যাসে। ঘন্টা পড়লে শিশুরা প্রায় সবাই দৌড়োয় ক্লাস ফোরের দিকে, শিক্ষকরা তাদের পেছনে। তারপর মুহূর্তের সিদ্ধান্তে সব শিশুকে নিয়ে আসা হয় বাইরে, তারা দাঁড়িয়ে পড়ে স্কুলবাড়ির পাশের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে। আজ সব অনুশীলন বন্ধ, সবাই মিলে শেখে গ্রাম ছাড়া এই রাঙা মাটির পথ আর আমরা নূতন যৌবনেরই দূত।
অন্য বিষয়গুলো বন্ধ থাকে না ঠিকই, কিন্তু এই সপ্তাহটা পুরোটাই প্রায় কেটে যায় সঙ্গীতচর্চায়। জয়ির কেমন যেন মনে হয় সে একটা দিশা পেয়েছে। সে যে একটা কিছু করছে, একটা ভালো কাজ করছে, তার প্রমাণ হবে এই শিশুদের সঙ্গীতশিক্ষার প্রদর্শনেই।
ভালো লাগছে এই স্বপ্ন, এই উদ্যম।
বেশ এগোচ্ছে