তা ভিড় তো হয়েই ছিলো। ভালোই ভিড় হয়েছিলো। স্কুলবাড়িটার নীচের তলার তিনটে বড়ো ঘরের একটা এখানকার ডাক্তারবাবু্র নিয়মিত চিকিৎসালয়। পাশের ঘর দুটোর একটাতে ক্লাস ওয়ান আর অন্যটায় ক্লাস টূ। সেই ঘর দুটোর একটাতে দুটো ঘরের যাবতীয় বেঞ্চি-টেঞ্চি রাখা হয়েছে, সেখানে রোগীদের অপেক্ষা করার ব্যবস্থা, অন্যটায় ডাক্তার ঝা রোগী দেখছেন। এখানকার ডাক্তারবাবু আর ডাক্তার ঝা-এর একজন সহকারীর প্রাথমিক দেখা শেষ হলে রোগীদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ডাক্তার ঝা-এর কাছে, উঁচু ক্লাসের ছেলেমেয়েরা রোগীদের নাম লেখা-টেখা আর নানারকমের দৌড়োদৌড়ির কাজ করছে। যে সব রোগীরা দেখাতে আসছে তাদের বলে দেওয়া হচ্ছে বেস্পতিবারও আসার জন্যে, সেদিন স্কুলের ছেলেমেয়েদের জামাকাপড় দেওয়া হবে, গানটানও হবে।
খুব ব্যস্ততার মধ্যে কেটে গেলো তিনটে দিন, বেস্পতিবার সকাল থেকেই সাজো সাজো রব। খেলার মাঠে দু জায়গায় সামিয়ানা খাটানো হয়েছে, তার মধ্যে একটার নীচে কয়েকটা টেবিল জোড়া দিয়ে তার ওপর চাদর বিছিয়ে দেওয়ার পর মনে হচ্ছে একটাই লম্বা টেবিল। এই টেবিলের সাথে গোটা দশপনেরো চেয়ার রেখে গণ্যমান্যদের বসার ব্যবস্থা। দ্বিতীয় সামিয়ানার নীচে একটা বড়ো ত্রিপল পেতে দেওয়া হয়েছে, সেখানে বসবে বাইরের থেকে যারা আসবে তারা। স্কুলের ছেলেরাই করেছে সব ব্যবস্থা।
সকাল এগারোটায় বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান শুরু হবে। ছেলেমেয়েদের কাজের নিপুণতা দেখে সোমেশ্বর মুগ্ধ। গাঁটরি গাঁটরি জামাকাপড় উৎপলের ভাঁড়ার থেকে টেনে এনে ক্লাস অনুযায়ী লিস্ট মিলিয়ে আলাদা আলাদা করে সেগুলোকে সাজিয়েছে তারা। যে অতিথিরা ত্রিপলে বসবে তারা মূলত ছাত্রছাত্রীদের পরিবারের লোকজন, ছেলেমেয়েরা তাদের বসিয়ে দিলো তাদের জন্যে নির্দিষ্ট জায়গায়, সামিয়ানার নীচে লম্বা টেবিলটার থেকে একটু দূরে আলাদা করে আরো দশ বারোটা চেয়ার রাখা হয়েছে, উৎপলের নির্দেশে ক্লাস এইটের মিনতি আর সঙ্গীতা ডেকে নিয়ে এলো কবিদলের দশজনকে, তাঁরা সেইসব চেয়ারে বসলেন। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা জমা হলো মাঠের এক কোণে।
সম্ভৃতা আর সোমেশ্বরকে জয়মালিকা বসিয়ে দিলো নিজের পাশে, স্কুলের বাকি শিক্ষক-শিক্ষিকারা কোথায় সোমেশ্বর বুঝতে পারলো না। মেডিকাল ক্যাম্প সুচারুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করলো জয়মালিকা। তারপর বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের পরিবারের থেকে যারা এসেছে তাদের উদ্দেশে বললো খুশিঝোরা তাদের ছেলেমেয়েদের শুধু যে লেখাপড়া শেখানোর দায়িত্ব নিয়েছে তা-ই নয়, তাদের স্বাস্থ্যরক্ষার দায়িত্বও খুশিঝোরার। তারপর সে বললো তিন বছর আগে এই খুশিঝোরার স্কুলে ক্লাস ওয়ানে একটি ছোট ছেলে ভর্তি হয়েছিলো, তার নাম সুজন টুডু। এই সুজন একদিন ক্লাসেই অজ্ঞান হয়ে যায়। স্কুলের ডাক্তারবাবু তাকে প্রথমে দেখেন, তারপর এখানকার সাব-ডিভিশন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর বোঝা যায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তার হার্টের অপারেশন করাতে হবে। এখান থেকে বেশ কিছুটা দূরে একটা বড়ো স্টীল প্লান্টের হাসপাতালে তাকে পাঠিয়ে এবং তার মায়েরও সেখানে থাকার ব্যবস্থা করে তার নিঃশুল্ক অপারেশন করিয়ে দিয়েছে খুশিঝোরা। এইটুকু বলতে বলতে গলা ধরে আসে জয়মালিকার। ধরা গলায় সে বলে, সুজন, এখানে আছিস বাবা? ছেলের দলের মধ্যে বসে ছিলো ক্লাস ফোর-এর সুজন, সে পায়ে পায়ে জামার বোতাম খুলতে খুলতে এগিয়ে আসে জয়মালিকার দিকে, ত্রিপল থেকে উঠে তার পিছন পিছন সলজ্জ ভঙ্গিতে আসে তার মা-ও। জয়মালিকা উঠে দাঁড়িয়ে সামিয়ানার থেকে বেরিয়ে মাঠে এসে কোলে তুলে নেয় সুজনকে, তার জামা খুলে বুকে সেলাইয়ের দাগটায় আলতো কোরে আঙুল বুলিয়ে গায়ে-মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করতে থাকে তাকে। অবিরল ধারা তার চোখে।
পরিবেশটা সহজ করার জন্যেই হোক বা অন্য যে কোন কারণেই হোক উৎপল ঘোষণা করে স্কুলের ছেলেমেয়েরা এখন একটা সাঁওতালি গান শোনাবে, এবং প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সমবেত পরিবেশিত হয় ধারমু উদুঃক্ আকাৎ লেকা গানটি। গান শেষ হলে জয়মালিকা আবার তুলে নেয় মাইক। সে ছাত্রছাত্রীদের পরিবারের থেকে যারা এসেছে তাদের উদ্দেশে এবার বলে তোমাদের ছেলেমেয়েদের মানুষ করার দায়িত্ব নিয়েছি আমরা। তারা লেখাপড়া যেমন শিখবে সব ধরণের কাজও শিখবে তেমনি। এই যে আজ এখানে সামিয়ানা টাঙানো হয়েছে, মাইক লাগানো হয়েছে, এসব তোমাদের ছেলেমেয়েরাই করেছে। বড়ো বড়ো শহরের ছেলেমেয়েরা যেমন শেখে সেরকমই ভালো ইংরিজি আর বাংলা শেখাবার জন্যে আমাদের স্কুলে এখন কলকাতা থেকে এসেছেন সোমেশ্বর স্যর আর সম্ভৃতা ম্যাডাম। এই পর্যন্ত বলে সম্ভৃতা-সোমেশ্বরকে সে অনুরোধ করে উঠে দাঁড়াতে। ওরা উঠে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই হাততালি দিতে শুরু করে জয়মালিকা, সঙ্গে সঙ্গে হাততালির শব্দের মুখর হয়ে ওঠে খেলার মাঠটা। হাততালি একটু কমলে জয়মালিকা বলে স্যর আর ম্যাডামের একটিই মেয়ে, সে থাকে আমেরিকায়। ইচ্ছে করলে ওঁরা নিজেরাও আমেরিকায় গিয়ে থাকতে পারতেন, তা না করে আমাদের এই গ্রামের স্কুলে পড়াতে এসেছেন তাঁরা। তোমরা কী ভাবতে পারো কী সৌভাগ্য তোমাদের ছেলেমেয়েদের?
এর পর উৎপলের নির্দেশে একটি রবীন্দ্রসঙ্গীত গায় ছেলেমেয়েরা। তারপর জয়মালিকা ঝাড়খণ্ড থেকে যাঁরা এসেছেন তাঁদের পরিচয় করিয়ে দেয়। ডাক্তার ঝাকে দেখিয়ে বলে, ডাক্তারবাবু তাঁর কতো কাজ ফেলে রেখে এই কদিন ধরে এই অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা করে গেলেন। তোমাদের ছেলেমেয়েদের জন্যে নতুন জামাকাপড় নিজেরা টেনে নিয়ে এসেছেন এঁরা। তোমরা হাততালি দিয়ে ওঁদের অভিনন্দন দাও। হাততালি পড়ে। তারপর ছেলেমেয়েদের প্রত্যেকের নাম ধরে ডেকে তাদের নতুন জামা দেওয়া হয়।
বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর দুপুরের খাওয়া সেরে ঝাড়খণ্ডের দল ফিরে যায়। সন্ধ্যেবেলা কবিদলের সামনে অনুষ্ঠিত হয় ডাকঘর নাটকের অভিনয়। নাটকের এক ফাঁকে সোমেশ্বরের পাশে বসে থাকা এক কবি বলেন সোমেশ্বরকে, সত্যি, আপনাদের যত দেখছি ততই অবাক হচ্ছি। আপনাদের মতো মানুষরা তো রিটায়ারমেন্টের পর বছর বছর বিদেশে বেড়াতে যান, যখন দেশে থাকেন শান্তিনিকেতন-টিকেতনে বাড়ি কোরে পায়ে পা দিয়ে আরাম কোরে দিন কাটান। সে সব ছেড়ে দিয়ে খুশিঝোরার এই একতলার ছোট একটা ঘরে কষ্ট কোরে থেকে, এখানকার এই খাবার খেয়ে, এই সব আদিবাসী ছেলেমেয়েদের পড়িয়ে জীবন কাটাবেন বলে চলে এলেন ! অনেক সময় মানুষ গুরু-টুরুর সান্নিধ্য পাওয়ার জন্যে এরকম কষ্ট করে বলে শুনেছি। কিন্তু আপনাদের সাথে কথা বলে মনে তো হলো না আপনারা জয়মালিকা সেনের ধরিত্রী দেবীর সাধনা করতে এখানে এসেছেন। শুধু প্রান্তিক ছেলেমেয়েদের পড়ানোর জন্যে এতো কষ্ট ! ভাবা যায় !
ভাবা যায়! – এই কথাই ভাবছিলো সোমেশ্বর। ওরাও কী সেলিব্রিটি বিজয়িনী জয়মালিকা সেনের নানা ট্রোফির মতো একটা ট্রোফি হয়ে গেলো! মানুষকে দেখিয়ে হাততালি পাওয়ার যন্ত্র! হাততালি আর নানা অনুদান! ভাবা যায় !
পরের দিন জয়মালিকার সাথে কথা বলে সোমেশ্বর, ম্যাডাম, সবই তো হচ্ছে ঠিকঠাক, পড়ানোর কিন্তু সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না।
পড়ানোর সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না! কেন? – বলে জয়মালিকা।
ওদের এতো কাজ, পড়বে কখন?
মিনিটখানেক কোন কথা না বলে সোমেশ্বরের দিকে তাকিয়ে থাকে জয়মালিকা। তারপর, তার গলায় যেন মৃদু কৌতুক, বলে একটা কথা জিজ্ঞেস করবো মাষ্টারমশাই?
করুন না।
আপনিও তো মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান, তাই না? ছোটবেলায় বাড়ির কাজ করেননি? মাকে সাহায্য করেননি কখনও?
কেন করবো না, বিস্তর করেছি।
সেটুকুই তো করছে ওরা, ওটুকু তো মানিয়ে নিতেই হবে।
একমত হতে পারলুম না ম্যাডাম। আমরা পড়াশোনার বদলে বাড়ির কাজ করিনি, বাড়ির কাজ যেটুকু করেছি তাতে পড়া বন্ধ থাকেনি। তবে হ্যাঁ, আমাদের চেয়ে আর্থিক অবস্থা যাদের খারাপ ছিলো – তেমন বন্ধুবান্ধবও ছিলো আমাদের – তাদের হয়তো কখনো কখনো, ক্কচিৎ-কদাচিৎ, করতে হয়েছে সেরকম কাজ। ধরুন মা অসুস্থ, বাবা বাইরে কাজে গেছে, ছোট ভাইটারও অসুখ, তাকে দেখবার জন্যে স্কুল কামাই হলো একদিন, বড়ো জোর এই। কিন্তু এখানে তো সেরকম নয়।
এখানে কীরকম?
আমরা যেদিন প্রথম খুশিঝোরায় আসি, আমাদের ব্যাগ-ট্যাগ বয়ে দিয়েছিলো এখানকার দুটি ছেলে, নবীন আর রিমিল। আমাদের ভালোই লেগেছিলো, কোথা দিয়ে কোন দিকে যাবো বুঝতে পারছিলুম না, ওরা সাহায্য করলো। আপনাকে বলতে আপনি বললেন ওদের মধ্যে একটা ওনারশিপ ইনস্টিঙ্ক্ট তৈরি করার চেষ্টা করছেন আপনারা। বাড়িতে অতিথি এসেছে, বড়োদের একটু সাহায্য করার ট্রেনিং। শুনে খুবই ভালো লেগেছিলো আমাদের। এই কাজে আমার আপত্তি তো নেইই, বরং সমর্থন আছে। এখানে যেদিন গেস্ট হাউজে একটু বেশি লোকজন আসে, দেখেছি ছেলেমেয়েরা টেবিলে তাদের খাবার সার্ভ করে, মেয়েরা রুটি-ফুটি সেঁকছে এমনও দেখেছি। এতে আপত্তির কী আছে? অবিশ্যি রুটি সেঁকার কাজটা কখনো ছেলেদের করতে দেখিনি। ওটা শুধু মেয়েদেরই কাজ, এ শিক্ষাটা আমার মতে সমর্থনযোগ্য নয়, কিন্তু সেটা অন্য কথা।
তাহলে আপনি আপত্তি করছেন কীসে?
পরপর তিন দিন স্কুলের ক্লাস বন্ধ রেখে খড় আনতে গেলো ক্লাস সেভেন আর এইটের ছেলেরা, মেয়েরা মাথায় কোরে সিমেন্ট-বালি বয়ে মই বেয়ে উঠে পৌঁছে দিচ্ছে রাজমিস্ত্রীদের কাছে, এগুলোকে আপনি কী ধরণের কাজ বলবেন?
একটা জিনিস আপনাকে বুঝতে হবে মাষ্টারমশাই, বলে জয়মালিকা। আমাদের এই স্কুলটা শহরের প্রথানুগ স্কুল নয়। আমাদের এডুকেশন মডেলটা একটু অন্য রকমের। আপনি কী খেয়াল করেছেন গতকাল আমি ছেলেমেয়েদের বাড়ির লোকদের কী বলছিলাম? আমি তাদের বলেছি তাদের ছেলেমেয়েদের মানুষ করার দায়িত্ব নিয়েছি আমরা। তারা লেখাপড়া যেমন শিখবে সব ধরণের কাজও শিখবে তেমনি, খেয়াল করেছেন আপনি? আপনাকে বুঝতে হবে এখানকার ছেলেমেয়েরা বড়ো হয়ে কেরানি বা স্কুলমাস্টার বা ডাক্তার বা সরকারি অফিসার হবে না। জীবনে তাদের লড়াই করতে হবে, তাই সেই লড়াইটা ঠিক ঠিক মতো করার জন্যেই আমরা তৈরি করছি তাদের।
ঈষৎ কুঞ্চিত ভ্রূ, মুখে মৃদু হাসি, সোমেশ্বর বলে, ইন্টারেস্টিং। কিছু যদি না মনে করেন তাহলে বলবো, নতুন মডেলের দোহাই দিয়ে এ আশ্চর্য র্যাশনালাইজেশন। স্কুলের বাসে কোরে খড়ের দোকানে গিয়ে খড় কেনার জন্যে ক্লাস বন্ধ রেখে আলাদা কোরে ট্রেনিং লাগে নাকি? প্রথানুগ স্কুলে পড়ে হিসেব-টিসেব করতে শিখলে খড় কিনতে অসুবিধে হবে? জীবনের লড়াইতে কামিনের কাজ করতে হয় যে মেয়েদের তাদের কী ছোটবেলা থেকে সিমেন্ট-বালির কড়াই মাথায় বয়ে ট্রেনিং নিতে হয়েছে? ম্যাডাম, এই স্কুলে পড়ে নিশ্চয়ই সবাই ডাক্তার বা সরকারি অফিসার বা স্কুলমাস্টার হবে না, কিন্তু যাদের লেখাপড়া শিখিয়ে যোগ্য কোরে তোলা যাবে, তারা হবে না-ই বা কেন? স্কুলে যে হাতের কাজ শেখানো হয় তাতে আমি আপত্তি করি না একেবারেই, তার সাথে সাথে যদি আমরা কাঠের কাজ, ওয়েলডিং, ছোটখাটো রিপেয়ারিঙের কাজ অথবা নতুন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষের কাজ শেখাতে পারতুম, তাহলে আপনার নতুন মডেলের একটা ব্যাখ্যা পাওয়া যেতো। আমি আপনাকে আগেই বলেছি আমাদের ক্লাস সেভেন আর এইটের ছেলেমেয়েদের বয়েস অনুযায়ী ল্যাঙ্গুয়েজ স্কিল তৈরি হয়নি। ওরা বড়ো হয়ে যা-ই করুক, এটা জরুরি। সে ক্ষেত্রে ওদের বেশি সময় নিয়ে এখন শেখানো দরকার, আমরা যদি সে সময়টুকু না দিই ওদের, তাহলে ওদের ওপর অন্যায় করা হবে।
জয়মালিকা হেসে বলে, ধৈর্য রাখুন মাষ্টারমশাই, আপনার প্যাশনটা আমি বুঝি। সময় ঠিক পেয়ে যাবেন আপনি, যাতে পান সেটা আমি দেখবো।