জুঁইদির বাড়িতে, মানে বিয়ের পর জুঁইদির নতুন বাড়িতে যেখানে জুঁইদি আর ওর বর সুকান্তদার সংসার, রবিবার সকালের আড্ডা চলছিলো, সঙ্গে লুচির ব্রেকফাস্ট। অনলাভদাও ছিলো সেখানে, জয়িকে দেখে সবাই হৈ হৈ কোরে উঠলো: কেমন হলো নিলীনের বইয়ের উদ্বোধন?
নিলীনের বই? আর আমার বুঝি কিছু নয়?
ঠিক আছে, নিলীনের লেখা আর তোর রেখা। মেনে নেওয়া গেলো। হলো কেমন?
হবে আবার কেমন? – বলে সুকান্তদা, কিছু বক্তৃতা হবে, কোন নাম করা অ্যানথ্রোপলজিস্ট উপস্থিত দর্শকদের সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে পৃথিবীর অন্য প্রান্তের নাম-না-জানা কোন ট্রাইবের সাথে পাহাড়ি খাড়িয়াদের তুলনা করবেন, তারপর মোড়ক খোলা হবে, এই তো? তোর ছবি-টবি দেখে কেউ বললো কিছু?
দেখো সুকান্তদা, আমার ছবির ব্যাপারে তোমার যেটুকু কৌতূহল আর উদ্বেগ আছে, এই দুজনের সেটুকুও নেই।
রাগ করিস না, রাগ করিস না, এরকমই হয়, অবিবাহিতা শ্যালিকাদের ব্যাপারে একমাত্র জামাইবাবুদেরই কৌতূহল আর উদ্বেগ থাকে, এটাই প্রকৃতির নিয়ম।
সমবেত হাসাহাসির মধ্যে শুভেন্দুদার সাথে পরিচয়, জয়ির ছবির ব্যাপারে আগ্রহ, এবং ঝোঁকের মাথায় খুশিঝোরায় সেই ছবির প্রদর্শনীর প্ল্যান, সবই বলে জয়মালিকা।
লাফিয়ে ওঠে অনলাভ, এটা একটা দারুণ কাজের কাজ করেছিস। এতদিনে প্রপার্টিটা কেনা সার্থক হলো।
কলকাতা থেকে ফেরার পথে জয়মালিকা যে খুশিঝোরা হয়ে ফিরেছে, জলধরের সাথে তার যে অনেক কথাবার্তা হয়েই গেছে, আর দিন দশেকের মধ্যেই আর একবার গিয়ে ফেলারাম দত্তকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে আসতে হবে, সবই বলে জয়ি। অনলাভ বলে, দশ দিন পর যখন যাবি তুই, আমিও যাবো। সমস্ত ব্যাপারটা সরেজমিনে দেখা দরকার। সবাইকে অবাক কোরে দিয়ে সুকান্ত বলে সে-ও যাবে। জুঁইও।
এতদিন পর্যন্ত শাম্বর ব্যাপারে অনলাভর আগ্রহ মাঝে মাঝে এক-আধটা লেখাটেখা দেওয়া, আর অনেকদিন অন্তর কোন কোন মীটিঙে গিয়ে একটু-আধটু ইয়ার্কি মারার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো। এবার হঠাৎ দেখা গেলো ওরই আগ্রহ সবচেয়ে বেশি। আগামী কাল সোমবার, সকালের ট্রেনেই ভুবনেশ্বর যাবে ও, ওদের বাকি সব মেম্বারদের বিকেলের মধ্যেই ও টেলিফোনে যোগাযোগ কোরে ফেললো। আজ পাঁচ তারিখ রোববার, সতেরো তারিখ শুক্রবার সে, জয়ি আর জুঁই পৌঁছোবে খুশিঝোরা – সুকান্তর যাওয়ার কথাটাও বললো সে, অ্যাজ আ গেস্ট – উনিশ তারিখ রোববারের মধ্যে সবাই যেন আসে। খুশিঝোরা সমিতির প্রথম ফর্মাল মীটিঙে। তুলি শুনে বললো আমি তো যেতে পারবো না এ কদিনের মধ্যে, তোরা সবাই মিলে যা ঠিক করবি, সেটাই হবে, আমার দিক থেকে কোন আপত্তি নেই। অরুণিমা শ্যামলিমা সুজয়, তিনজনেই বললো আসবে। খবর দেওয়া গেলো না নিলীনকে, যে টেলিফোনে ওর সাথে যোগাযোগ রাখে জয়ি, সেটা য়্যুনিভার্সিটিতে ওর ডিপার্টমেন্টের টেলিফোন, কাজেই কালকের আগে যোগাযোগ করা যাবে না ওর সাথে। এ দায়িত্বটা নিলো জয়ি, আর তার সাথে বাবার মারফত জলধরকেও খবর দেওয়া।
গাড়িটা যখন পার্ক করা হচ্ছে, উত্তেজনায় চেঁচিয়ে উঠলো জয়ি, আরে এ তো প্রায় হয়েই গেছে ! যেখানে বাথরূম তৈরি হচ্ছিলো গাড়ি থেকে নেমে সোজা সেদিকে এগিয়ে যায় জয়ি, ওর পিছন পিছন বাকিরা। সেখানে দাঁড়িয়ে আছে জলধর আর ফেলারাম। ফেলারাম মৃদু হেসে হাত জোড় করে নমস্কার করে। পাশাপাশি পাঁচখানা – কমোড, বেসিন, শাওয়ার আর তাছাড়া একটা করে জলের ট্যাপ লাগানো হয়ে গেছে। সিলিং হয়নি এখনো, ওপরটা ফাঁকা। ফেলারাম বললো, একেবারে সিম্পল, যতটুকু প্রয়োজন তার বেশি কিছু করিনি, সেপটিক চেম্বারটা ঐ ছোট দরজার ওপারে, পাঁচিল ঘেঁসে। কিন্তু মস্ত একটা ভুল হয়ে গেছে। আপনার সাথে যখন কথা বলেছিলাম তখন জলের সোর্সের খোঁজ নিতে একেবারে ভুলে গিয়েছিলাম। এখন দেখছি সেটা বেশ দূরে, অনেকটা পাইপলাইনের কাজ করতে হবে। খরচ বেড়ে যাবে।
খরচ বাড়লে চলবে কী কোরে? আপনার কমিটমেন্টের কোন দাম নেই? – বললো অনলাভ।
সে কথা আপনারা বলতেই পারেন স্যর, বিনয়ে বিগলিত ফেলারাম, দোষটা আমারই। তবে একটা কাজ করা যায়, সেইটা ভেবেই ওপরের চালটা বাকি রেখেছি। ওপরটা কংক্রীট না কোরে অ্যাসবেস্টস দিয়ে দেওয়া যায়, তাতে খরচটা খানিকটা ম্যানেজ করা যাবে।
যা-ই করুন, পাইপলাইনটা তো করতেই হবে, ওখানে তো কম্প্রোমাইজ চলবে না। সেটাই আপনি করতে থাকুন, রোববার আমাদের বন্ধুবান্ধবরা সবাই আসবে, তখন সবাই মিলে কিছু একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।
হেমন্ত বাইরে গিয়েছিলো কোথাও, ওদের আসার খবর পেয়ে চলে এসেছে। ছোট দরজাটা পেরিয়ে জলধর আর হেমন্ত ওদের নিয়ে গেলো যেখানে নানারকমের চারা পোঁতা হয়েছে। সমস্ত কম্পাউণ্ডটার মধ্যে এই অংশটাই বড়ো, খানিকটা ইংরিজি P-এর মতো এর আকার। দরজাটা দিয়ে ঢুকে একেবারে পাঁচিল পর্যন্ত গেলে জায়গাটা যথেষ্ট প্রশস্ত, কিন্তু সামনের দিকে চলে এলেই দরজার সামনের অংশটা অপেক্ষাকৃত কম চওড়া। একেবারে সামনে খানিকটা জায়গা ছেড়ে প্রধানত ফলের গাছের চারাগুলো লাগানো হয়েছে, আর সোনাঝুরির চারা পুরো জমিটার ধার ঘেঁসে। জলধর বলে, মাত্র দু বছর। দু বছরের মধ্যেই সোনাঝুরিগুলো অনেক বড়ো হয়ে যাবে। ফলের গাছগুলোকেও গাছ বলে মনে হবে ততদিনে। তখন এই জায়গাটার, কী যে অপূর্ব এর রূপ হবে কল্পনা করতে পারছেন?
হেমন্ত চুপ করেছিলো এতক্ষণ। এবার জলধরকে বলে, দুপুরে খেয়ে যেও। তোমার জন্যেও রান্না করছে রঘুনাথ।
আজ হবে না কাকু। আমাকে এখনই একবার বান্দোয়ানে ফিরতে হবে, কাল আসবো আবার, হেমন্তকে প্রতিবাদ করার সুযোগ না দিয়ে মোটর বাইকে কিক কোরে স্টার্ট করতে থাকে জলধর।
দুপুরে খেতে খেতে অনলাভ বলে জয়িকে, আমি একটা অন্য কথা ভাবছিলাম, বুঝলি? এই যে এতগুলো লোক আসবে তোর এগজিবিশনে, তারা অনেকেই যথেষ্ট আরামে অভ্যস্ত, যেমন-তেমন কোরে এগজিবিশনের হলে কতকগুলো ক্যাম্প খাট পেতে দিলি, আর তারা থেকে গেলো, এ চিন্তাটা মনে হয় খুব বাস্তবসম্মত হচ্ছে না। ভালো হোটেলের মতো না হলেও মোটামুটি কম্ফর্টেব্ল্ একটা অ্যাকোমোডেশন দিতেই হবে তাদের। এগজিবিশনের হল দুটোয় আমরা যারা মেম্বার – এক ঘরে ছেলেরা আর এক ঘরে মেয়েরা – থাকতে পারবো। কিন্তু অন্য গেস্টদের জন্যে আলাদা আলাদা ঘর চাই। এই যে পাঁচখানা বাথরূম তৈরি হচ্ছে, ওটা তুই-ই ফিনান্স করবি বলেছিস। আপাতত কর, আমরা ওটা তোর কাছ থেকে লোন হিসেবে নেবো, খুশিঝোরা পরে তোকে শোধ করে দেবে।
আমি যেটা ভাবছিলাম সেটা শোন্ এবার। যেখানে বাথরূমগুলো হচ্ছে, তার ঠিক পাশেই যে জায়গাটা খালি পড়ে আছে, ওখানে টানা বারান্দার উপর পাশাপাশি গোটা চার-পাঁচ ঘর ওঠালে কেমন হয়? কমপ্লীট উইদ অ্যাটাচ্ড্
টয়লেট ! দেড় লাখ টাকা তো আমাদের এমনিই ফাণ্ডে আছে, নিলীন মেম্বারশিপ নেওয়ার পর। ওতেই কুলিয়ে যাবে, ফার্নিশিঙের জন্যে কিছু যদি এক্সট্রা খরচ হয় সেটা না হয় আমাদের মধ্যেই কেউ অ্যাডভান্স কোরে দেবে, যেমন তুই করছিস বাথরূমগুলোর জন্যে।
মুরগীর ঠ্যাঙে একটা কামড় লাগিয়ে সুকান্ত জিজ্ঞেস করে, আমার কী কথা বলা চলবে?
না যদি বলি তুমি কী শুনবে? – জুঁইয়ের টিপ্পনি।
স্টার্লিং রেসর্টের একটা মেম্বারশিপ নেওয়ার প্ল্যান করছিলাম কিছুদিন ধরে। আসার পথে তোমাদের তথাকথিত খুশিঝোরা নদী, আর ভেতরে এসে এই সব এগজিস্টিং বাগান-টাগান, এবং সদ্যরোপিত বৃক্ষসন্তানদের দেখে মনে হলো, অনেক বেটার রেসর্ট তৈরি করছো তোমরা। মেম্বারশিপ কী ওপ্ন্ আছে?
জয়ি বললো, তোমার তো আলাদা করে মেম্বার হবার দরকারই নেই, সুকান্তদা। জুঁইদির মেম্বারশিপের জোরেই তো তোমার এন্ট্রি-রাইট !
না ম্যাডাম, নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। রাজকন্যে পেয়েছি, তা-ই যথেষ্ট। আদ্দেক রাজত্বে আমার পোষাবে না।
ভেবে দেখা যাবে, বললো অনলাভ, লাখখানেক টাকা আপাতত তোমার মেম্বারশিপ ফী পেলে মন্দ হবে না, টাকাটা কাজে লেগে যাবে, দেখা যাক সবাই কী বলে।
উনিশ তারিখ, রবিবার, খুশিঝোরা সমিতির পরিচালন সমিতির প্রথম অধিবেশন হলো, তুলি ছাড়া বাকি সবাই উপস্থিত সেখানে। গতকালও জলধর এসেছিলো, অনেকক্ষণ গল্প কোরে, ফেলারামের কাজকর্ম দেখাশোনা কোরে, নতুন লাগানো চারাগুলোয় রঘুনাথ, হেমন্ত আর অষ্টমীর সাহায্যে জল দিয়ে চলে গেছে। আজ কিন্তু আসেনি সে। নিলীন বললো বিকেলে ও জলধরকে ধরে আনার চেষ্টা করবে। বন্ধু্র সাথে কথা বলে সমিতি তৈরি করার নিয়মকানুন লিখে নিয়ে এসেছে নিলীন, সেই অনুযায়ী সবাই মিলে সমিতির একটা পরিচালন-নীতি বা কন্স্টিট্যুশন তৈরি করা হলো। এই পর্যন্ত একলাখ টাকা দিয়ে যে ন'জন মেম্বার হয়েছে – সুকান্তকেও নিয়ে নেওয়া হয়েছে – তারা প্রত্যেকে লাইফ মেম্বার। ভবিষ্যতে লাইফ-মেম্বার হতে গেলে এক লাখ টাকাই দিতে হবে। জলধরের অনুপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হলো তাকে অ্যানুয়াল বা বার্ষিক মেম্বার কোরে নেওয়া হবে। অ্যানুয়াল মেম্বারদের কতো চাঁদা দিতে হবে সেটা আজই স্থির করা হলো না, নিজের অসুবিধে না কোরে যা দিতে পারবে জলধর সেটাই আপাতত বার্ষিক চাঁদা; ভবিষ্যতে সবাই মনে করলে দুরকম চাঁদার হারই বদলানো যাবে। যদিও জলধর অনুপস্থিত তবুও তাকে নিয়েই দশজনের পরিচালন সমিতি তৈরি হলো, সভাপতি সুকান্ত, সে-ই বয়েসে সবার বড়ো, সম্পাদক জয়মালিকা, কোষাধ্যক্ষ অনলাভ এবং সহকারী সম্পাদক নিলীন আর জলধর।
খুশিঝোরার সমস্ত সম্পত্তিটা জয়ির নামে। নিলীনের খবর অনুযায়ী, টেকনিকালি ট্রাইবাল ল্যাণ্ড হওয়া সত্বেও জমিটা কোন নন-প্রফিট ট্রাস্টকে হস্তান্তর করায় অসুবিধে নেই। ও শুনেছে সে ক্ষেত্রে ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার বা জনজাতির উন্নয়নই এই নন-প্রফিট ট্রাস্টের প্রধান উদ্দেশ্য হতে হবে। কলকাতায় টেরিটিবাজারে সরকারি ডিপার্টমেন্ট আছে, যেখানে খুশিঝোরা সমিতিকে আবেদন করতে হবে রেজিস্ট্রেশনের জন্যে, ট্রাস্টটা কিন্তু একটু জটিল পদ্ধতি; ভালো আইন জানে, এবং আইন-বিশেষজ্ঞ হিসেবে মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত এমন কোন উকিলকে দিয়ে এই কাজটা করিয়ে নিতে হবে।
প্রস্তাবিত সমিতির প্রধান উদ্দেশ্য কী রেজিস্ট্রেশনের জন্যে সেটা জানাতে হবে। নিলীন প্রস্তাব দিলো, এ অঞ্চলের জনজাতিদের শিল্প-সংস্কৃতি-শিক্ষার প্রসারই খুশিঝোরা সমিতির প্রধান উদ্দেশ্য বলে ঘোষণা করা হোক। এতে সবাই একমত। মনে হলো জয়ির এগজিবিশনটাও এই উদ্দেশ্যের সাথে দিব্যি খাপ খাচ্ছে। দ্বিতীয় আর একটি উদ্দেশ্যও গৃহীত হলো জয়ির প্রস্তাব অনুযায়ী। বনসৃজন। আশপাশে যত পতিত এবং অকর্ষিত জমি আছে, সেখানে খুশিঝোরা সমিতি চারা রোপণ করে বনসৃজনের চেষ্টা করবে। তাতে এই অঞ্চলের সার্বিক উন্নতি হবে।
অনলাভর প্রস্তাব অনুযায়ী নতুন বাথরূমগুলোর পাশের অংশটায় সামনে বারান্দাসহ চারখানা মোটামুটি সাইজের ঘর তৈরির প্রস্তাবও সবাই মেনে নিলো। ওখানে বসে বসেই মোটামুটি একটা প্ল্যান গোছের এঁকে ফেললো অনলাভ। এখানে কোন ম্যুনিসিপ্যালিটি নেই, গ্রাম পঞ্চায়েতের একটা অনুমতি দরকার হবে। নিলীন বললো এ সব কাজ জলধর ম্যানেজ করে নেবে, এ অঞ্চলে ওর যথেষ্ট প্রতিপত্তি। তা ছাড়া, বিচক্ষণ ব্যক্তি হিসেবে হেমন্তও যথেষ্ট সম্মানিত এই অঞ্চলে।
শুভেন্দুদা বলেছিলেন এগজিবিশনের দিনটা ঠিক করেই ওঁকে যেন জানিয়ে দেওয়া হয়। বাংলা-ইংরিজি মিলিয়ে একটা ক্যালেণ্ডার হেমন্তর কাছে পাওয়া গেলো। এ বছর পুজো অক্টোবরের মাঝামাঝি। ঐ সময় থেকে এখানে আকাশ-বাতাসের চেহারা বদলিয়ে যায়, হেমন্তে কী বসন্তেরই বাণী – এই প্রশ্ন গুনগুন করতে থাকে সবায়ের মনে। ক্যালেণ্ডার দেখে ওরা স্থির করে ফেলে ৬ই নভেম্বরের শনিবার ওদের এগজিবিশন শুরু হবে। এর মধ্যে নিশ্চয়ই শেষ হয়ে যাবে ওদের ঘর তৈরির কাজ, আর সেগুলোকে সাজানো-গোছানো।
বিকেলে জলধরকে ধরে আনে নিলীন। সব প্রস্তাবেই ও সহমত। এখন যতদূর সম্ভব তাড়াতাড়ি কাজগুলো শেষ করে ফেলা চাই। পরের সপ্তাহের মাঝামাঝি একটা দিন স্থির করে ফেলে ওরা। সুকান্ত, অনলাভ, জয়ি আর নিলীন পৌঁছোয় কলকাতা। রেজিস্ট্রেশনের কাজটাও ফেলে রাখবে না ওরা।
দুরন্ত