এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  উপন্যাস  শনিবারবেলা

  • বৃত্তরৈখিক (৫২)

    শেখরনাথ মুখোপাধ্যায়
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ২১৯৩ বার পঠিত
  • ~৫২~

    শনিবার বিকেলে আবার সেই ঝাড়খণ্ডের দল। এবার দুটো গাড়িতে। আগের বার যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের মধ্যে দুজন এবার আসেননি, তাঁদের বদলে অন্য একজন, তিনি ডাক্তার। এবার ওঁদের সাথে অনেক কিছু এসেছে, দুটো গাড়ি সেই জন্যেই।

    স্কুল বন্ধ থাকে শনিবার। এই দিনটা সকালবেলায় সোমেশ্বর আর সম্ভৃতা ওদের নিজেদের গাড়িতে চলে যায় বান্দোয়ান, সেখানে একটা কম্প্যুটারের দোকান থেকে এক-দেড় ঘন্টা স্কাইপে ন্যূয়র্কে কথা বলে ওদের মেয়ে-জামাই আর নাতির সাথে। নিজেদের জন্যে টুকটাক বাজার করে ওরা, সাবান-টাবান এইসব, আর বান্দোয়ানের বাজার থেকে হোস্টেলের ছেলেমেয়েদের জন্যে নিয়ে আসে কখনও মিষ্টি, ফল-টল কখনো, আর কখনো বা মাছ-মাংস, বাচ্চাদের একটু ভালো খাওয়া-দাওয়া ছুটির দিনে ! যা-ই আনুক, খুশিঝোরার নিয়ম অনুযায়ী সেগুলো পৌঁছিয়ে যায় উৎপলের ভাঁড়ারে। এবার একটা চার কিলো ওজনের মহাশোল মাছ পাওয়া গেছে বান্দোয়ানে – বিরল প্রাপ্তি – খুব খুশি মনে উৎপলকে দিতে গেলো ওরা।

    মাছ নিয়ে এসেছেন? – একটু বিরক্তই উৎপল, বেস্পতিবার পর্যন্ত এখানে কোন আমিষ তো খাওয়া হবে না, এমনকী ডিমও নয়।

    কেন, কী হলো?

    আজ বিকেলে ঝাড়খণ্ড থেকে মেডিকাল পার্টি আসছে, বেস্পতিবার অবধি থাকবে ওরা, ওরা যখন থাকে তখন আমিষ রান্না হলে খুব অসুবিধে হয় ওদের, তাই এবার এই কদিন শুধুই নিরামিষ।

    মেডিকাল পার্টি, কী ব্যাপার?

    তিনদিনের মেডিকাল ক্যাম্প সোমবার থেকে, ওদের সাথে ডাক্তার আসবে। আর বেস্পতিবার ওরা নতুন জামা দেবে ছেলেমেয়েদের, পুজোর জন্যে।

    কোথায় হবে মেডিক্যাল ক্যাম্প?

    কোথায় আবার, স্কুলে, তা ছাড়া জায়গা কোথায় আছে !

    তাহলে কী স্কুল ছুটি?

    ছুটি নয়, বাচ্চাদেরও দেখবে ডাক্তার। আর বড়ো ছেলেমেয়েরা কাজও করবে। দেখবেন, ভালো লাগবে। গতবছরও করেছিলাম আমরা।

    ঠিক আছে, তাহলে মাছটা ফ্রিজে থাকুক।

    সকাল এবং বিকেলের চা-টা সম্ভৃতা ঘরেই তৈরি করে, ওরা ডাইনিং হলে সাধারণত যায় না চায়ের জন্যে; সেদিন চায়ের জল যখন বসাতে যাচ্ছে সম্ভৃতা, ক্লাস এইটের মিনতি ওদের দরজায় টোকা দিলো, ম্যাডাম আপনাদের দুজনকেই ডাকছেন, বলে দিয়েছেন চা আপনারা ওখানেই খাবেন।

    ডাইনিং টেবিলের চারধারে অনেক মানুষ, এবং লক্ষণীয়, জয়মালিকা ছাড়া সকলেই পুরুষ। সম্ভৃতা আসায় অবিশ্যি একজন মহিলা বাড়ে। জয়মালিকা সোমেশ্বরের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় সবার, ঝাড়খণ্ডের লোকদের দেখিয়ে বলে, এঁদের তো আপনি আগেই দেখেছেন, শুধু ডাক্তার ঝা নতুন। বাকিদের দেখিয়ে বলে, এঁরা দশজন আপনাদের পাশের তিনটে ঘরে মিলেমিশে আছেন। এঁরা কবি, নিজেদের গ্রুপটাকে কবিদল নামে পরিচয় দেন। মাঝে মাঝে আসেন এখানে, বহুদিন ধরে আসছেন। তারপর সোমেশ্বর আর সম্ভৃতার পরিচয় দেয় জয়মালিকা – ওর নিজস্ব পরিচয় করানোর ভাষা, একই, যার বয়ান কখনো বদলায় না – আমাদের নতুন মাষ্টারমশাই আর তাঁর স্ত্রী, দুজনেই পড়াচ্ছেন আমাদের স্কুলে, খুব কোয়ালিফায়েড, মাষ্টারমশাই মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির খুব বড়ো ম্যানেজার ছিলেন, একমাত্র মেয়ে বিদেশে থাকে, গাড়ি-টাড়ি নিয়ে দুজনেই চলে এসেছেন এখানে সব ছেড়েছুড়ে, কর সেবা দিচ্ছেন।

    সোমেশ্বর অস্বস্তিই বোধ করে একটু, না না কর সেবা-টেবা নয়, রিটায়ার করলে হাতে সময় পাওয়া যায়, এ জায়গাটা এতো সুন্দর, তাই...

    কর সেবায় আপনার আপত্তি কী? – হেসে বলেন ডাক্তার ঝা, আপনি কী নাস্তিক নাকি? আসলে খুশিঝোরায় ম্যাডাম যত কাজ করেন সবই ধরণী মাতাকে উৎসর্গ করেছেন উনি, তাই এখানে যে কোন ভলান্টিয়ারি সার্ভিসকেই উনি বলেন কর সেবা, ধরণী মাতার কর সেবা। এই যে আমরা মেডিকাল ক্যাম্প করবো, সেটাও তো তাই-ই হবে, কর সেবাই হবে।

    সোমেশ্বর জবাব দেয় না, জবাব না দেওয়াই ওর নিজের কাছে প্রতিশ্রুতি। কিন্তু অস্বস্তি তো হয়ই। এই যে জয়মালিকা কখনো বলতে ভোলে না ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির ম্যানেজার ছিলো, ওর মেয়ে বিদেশে থাকে, সব ছেড়েছুড়ে দিয়ে এলেও এসেছে কিন্তু গাড়িতে, নিজের গাড়িতে, কেন বলে? জয়মালিকার আশপাশে যারা সেই মানুষদের সামাজিক অবস্থান ওর অতিথিদের মনে করিয়ে দেওয়াই কী ওর উদ্দেশ্য? না ভেবে কথা বলার মানুষ তো জয়মালিকা নয় !

    অস্বস্তিকর নীরবতাটা ভাঙাতেই বোধ হয় কবিদের মধ্যে একজন বলে ওঠে, আচ্ছা জয়মালিকাদি, একটা কথা জিজ্ঞেস করবো আপনাকে? আমরা তো অনেকদিন ধরেই আসছি এখানে, দুটো পরিবর্তন খুব চোখে পড়ে আজকাল। প্রথমটা হলো আপনার রুচির পরিবর্তন। আমরা বরাবর দেখেছি আপনি মাছ-মাংস ভালোবাসতেন, বিশেষ কোরে খাসির মাংস। এখানে খাসির মাংস ভালো পাওয়া যায় না, কতোবার বেড়াতে বেড়াতে কোন গ্রামের হাটে ভালো মাংস দেখে আমরাই নিয়ে এসেছি আপনার জন্যে, মনে আছে? অথচ এখন সেই আপনিই মাছ-মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন, এটা কেন? আর দ্বিতীয় যে পরিবর্তন সেটা তো একেবারে মূলে। আমার মনে আছে প্রথমবার যখন খুশিঝোরায় আসি তখনকার কথা। খবরের কাগজে আপনার একটা লেখা বেরিয়েছিলো খুশিখোরায় করম উৎসব নিয়ে। সেই লেখাটা, যেটায় আপনি প্রথমবার দিয়েছিলেন আপনার সেই বিখ্যাত শ্লোগান: মানুষের বর্জ্য গাছেদের ভোজ্য। তখন যে-ই আসতো খুশিঝোরায় আপনি তাকে দিয়ে অন্তত একটা গাছ পোঁতাতেন। কই, আজ তো আর করান না ! এখন তো আপনি গাছ পোঁতার কথা বলেনই না আর ! এখন ধরণ্যৈ নমঃ। ফোন তুলেও এখন আপনার প্রথম কণ্ঠস্বর শোনা যায়, ধরণ্যৈ নমঃ ! কেন?

    জয়মালিকা বলে, আপনার দুটো প্রশ্নের একটাই উত্তর, বলছি আপনাকে। গাছ পোঁতাটা কিন্তু এখনো আমার কাছে জরুরি, এখনো এখানে যাঁরা আসেন, অনেকেই গাছ পোঁতেন আর আমরা যথাসাধ্য সাহায্য করি। কিন্তু আমার মনে হয় এ ব্যাপারে আগের মতো অতটা প্রচার করার দরকার নেই আর, বেশি বেশি গাছ পোঁতার কী সুফল মানুষ বুঝে গেছে। আপনাদের কিন্তু একটা কথা বুঝতে হবে। আমি যা-ই বলি, যা-ই করি, তার প্রেরণা আদিবাসীরা, তাদের কাছ থেকেই অহরহ শিখি আমি। বৃক্ষরোপণের যে আন্দোলন আমরা করেছিলাম তাতে আদিবাসীদের করম পুজোর কী অবদান ছিলো আপনারা তো জানেনই সেটা। ধরণী মাতার ব্যাপারটাও আদিবাসীদের কাছ থেকে শেখা। শিখতে আসলে একটু সময় লেগেছে আমার। আদিবাসীরা তো জঙ্গলের মানুষ, জঙ্গলই তাদের বাসভূমি, জঙ্গলই তাদের জীবিকা। আর সেখানে গাছ খুব জরুরি। কিন্তু একটু যদি গভীরে ভাবেন, একটু যদি ওদের জীবনদর্শন বুঝতে চান, তাহলে দেখবেন, গাছটা প্রকট, ধরণীই কিন্তু ওদের আসল আশ্রয়স্থল। আমি তো সারাণ্ডা অঞ্চলে বড়ো হয়েছি, ছোটবেলা থেকেই ধরতি আয়ো, ঠাকুরাইন, এসব নাম শুনে এসেছি, কিন্তু তখন তলিয়ে ভাববার মতো বুদ্ধি ছিলো না। এগুলো কিন্তু সবই ধরণীর নাম। সাঁওতালি পুরাকথায় একটা গল্প আছে, শুনুন। মহাপ্রলয়ের পর মারাংবুরু ভাবলেন অথৈ জলের তলা থেকে মাটি তুলে এনে তিনি ধরণী গড়বেন। দিকে দিকে তিনি পাঠিয়ে দিলেন তাঁর বার্তা, সমুদ্রের তল থেকে মাটি তুলে এনে জমা কোরে কোরে যে ধরণী গড়তে পারবে তার জন্যে রাজকন্যে আর অর্ধেক ধরণী। চিংড়ি মাছ চেষ্টা করলো। সে তার দাঁড়া দিয়ে সমুদ্রের অতল তল থেকে মাটি তুলে আনতে আনতে সেই মাটি জলে নিশ্চিহ্ণ হয়ে গেলো। যতবার চেষ্টা করে ততবারই জলে গুলে গিয়ে ওর আনা মাটি নিশ্চিহ্ণ হয়ে যায়। বেচারা চিংড়ি আজও সেই দুঃখে সমুদ্রের তলায় মাটিতে মাথা খুঁড়ে কাঁদে আর মাটি খেয়েই উদরপূর্তি করে। চিংড়ির পর চেষ্টা করলো কাঁকড়া তার দাঁড়া দিয়ে, তারও একই হাল। তাই সে নরম মাটিতে মাথা গুঁজে এখনো কাঁদে। শেষ পর্যন্ত এই লড়াইটায় জিতলো কেঁচো। সে মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে বানালো ধরণী। আজও তাই সে ধরণীর অর্ধেক মাটি, নীচের তলার যে মাটি, তার অধিকারী। গল্পটা যদি ভালোভাবে একটু গভীরে ভাবেন দেখবেন কী মহাসত্য এর মধ্যে ! কেঁচোর যা বর্জ্য, তার শরীরনিসৃত আঠামেশানো মাটি, সেটা যখন নীচের থেকে তুলে এনে ওপরতলার ধরণীর মাটির সাথে মেশায় সে, ধরণী উর্বর হয়। আরও আরও উর্বর হয়। তাই তার নিজের অর্ধেক রাজত্ব যেমন সুরক্ষিত, ওপরের অর্ধেক তেমনই ধরণী মাতা হয়ে নিজের উর্বরতা দিয়ে পালন করে জীবজগৎকে। ধরণ্যৈ নমঃ।

    আমি যতটা বুঝি, একটা দম নিয়ে বলে চলে জয়মালিকা, আদিবাসীর ধরতি আয়ো এই উর্বর ধরণী মাতা। আদিবাসীরা তো বনবাসী, বনের বৃদ্ধি আর প্রতিপালন নির্ভর করে মাতা ধরণীর উর্বরাশক্তির ওপর। এদিকে আবার দেখুন ব্রাহ্মণ্যধর্মের কী ধারণা। ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ নারী সীতা, তাঁর জন্ম তো ধরণীর গর্ভে, রাজা জনক তাঁকে লাঙ্গলের ফলায় ধরণী থেকেই পেয়েছিলেন, জনকগৃহে সেদিন উৎসব। আবার সেই সীতাই, জন্মদুঃখী সেই সীতাই, যখন শোকেদুঃখে উপায়ান্তর হয়ে তাঁর জননীকে স্মরণ করেন, জননী ধরণী সেদিন বিদীর্ণ হয়ে নিজের কোলেই ডেকে নেন সীতাকে। মাতা ধরণী, তিনি উৎসবের কারণ হলেন, আবার চরম শোকেও তিনিই হলেন সান্ত্বনা। মাতা ধরণীই, আমার তাই মনে হয় ভারতীয় ধর্মের শ্রেষ্ঠ প্রতীক, আদিবাসী ধর্ম আর ব্রাহ্মণ্য ধর্মের মিলনস্থল ধরণী। ধরণ্যৈ নমঃ।

    মনে হয় আমার নিরামিষাশী হওয়ার রহস্যটা আপনারা এর মধ্যেই বুঝেছেন। যদি না বুঝে থাকেন তাহলে খোলসা করে বলি। ধরণী আমার মা, তাঁর জন্ম জলে। এটা জানার পরেও আমি অন্য জলজ প্রাণী খাই কী করে? তাই মাছ খাই না। মাছ খাই না, সেই ঝোঁকে মাংসও বন্ধ। ডিমও।

    কবিরা কথা বলে না আর। কিছুক্ষণ পর ঝাড়খণ্ড থেকে যাঁরা এসেছেন তাঁদের মধ্যে একজন শুরু করেন ভজন জাতীয় কোন গান। হাত দুটোকে কোলের ওপর জড়ো করে গভীর মনোযোগে চোখ বোজে জয়মালিকা।

    একটানা ভজন গান। কিছুক্ষণ পর কয়েকজন কবি উসখুস করতে করতে বেরিয়ে যান। সোমেশ্বর আর সম্ভৃতাও কী করবে, বেরিয়ে যাবে কিনা, এসব ভাবছে যখন, নিমাই এসে ঢোকে। যে গানটা চলছিলো সেটা শেষ হওয়া পর্যন্ত নীরবে দাঁড়িয়ে থাকে নিমাই, গানটা শেষ হলেই গলা খাঁকারি দেয় সে। জয়মালিকা চোখ খোলে, নিমাই বলে, এই স্যরদের খেতে দিয়ে দিই, আজ তো অনেক লোক। ডাক্তার ঝা নিজের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলেন, হ্যাঁ হ্যাঁ, সাড়ে আটটা বেজে গেলো, দিয়ে দাও দিয়ে দাও। সোমেশ্বর আর সম্ভৃতা, আর ওদের দেখাদেখি কবিদলের যে কজন বসেছিলেন তখনও, বেরিয়ে আসেন।

    শুরকির রাস্তাটায় পায়চারি করতে করতে সোমেশ্বর আর সম্ভৃতা লক্ষ্য করে হোস্টেলের ছেলেরা রান্নাঘরের থেকে খাবার নিয়ে গিয়ে পরিবেশন করে খাওয়াচ্ছে টেবিলে যাঁরা বসেছিলেন, তাঁদের।

    রাত এগারোটা নাগাদ ক্লাস এইটের সুপ্রকাশ কুম্ভকার আর লক্ষ্মীকান্ত হাঁসদা ডাকতে আসে ওদের, ম্যাডাম, খাবেন চলুন।

    তোরা খেয়েছিস? – জিজ্ঞেস করে সোমেশ্বর।

    সবায়ের খাওয়া শেষ হলো এতক্ষণে, লক্ষ্মীকান্ত জবাব দেয়। আমরা দিচ্ছিলাম তো সবাইকে, এবার খেয়ে নেবো। আপনারা খেতে আসুন স্যর, নিমাই জেঠু দিয়ে দেবে।

    উৎপল জয়মালিকা সম্ভৃতা আর সোমেশ্বরকে খাবার বেড়ে দেয় নিমাই আর সুনীল, ছেলেরা নিজের নিজের থালা হাতে নিয়ে চলে যায় স্কুলের মাঠের অন্ধকারে আর মেয়ে তিনটে দাঁড়িয়ে থাকে ডাইনিং হলের সংলগ্ন বারান্দাটার নীচের খোলা জায়গাটায়। নিমাই আর সুনীলকে খাইয়ে ওরা খাবে রান্নাঘরের মেঝেতে।

    খেতে খেতে সোমেশ্বর জিজ্ঞেস করে উৎপলকে, কাল তো রোববার, কাল সকালে বসা যাবে ছেলেমেয়েদের নিয়ে?

    কাল? – বলে উৎপল, কী কোরে? কাল সকালে তো ওরা বেরোবে মাইকের গাড়িতে।

    মাইকের গাড়ি? – একটু অবাক সোমেশ্বর।

    ডাক্তারবাবুদের গাড়ি দুটো আর স্কুলের বাসটা নিয়ে ছেলেরা তিনটে ভাগ হয়ে গিয়ে সব জায়গায় মাইক নিয়ে প্রচার করবে তো মেডিক্যাল ক্যাম্পের ব্যাপারে। তা না হলে লোকজন সব জানবে কী কোরে? দেখবেন না সোমবার কীরকম ভিড় হয়।


    (ক্রমশঃ)

    ছবিঃ ঈপ্সিতা পাল ভৌমিক
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ২১৯৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Moulik Majumder | ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ ০০:৩৬502322
  • ভালো
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন