শীতের রাতে আগুনে তিনজোড়া হাত উপুড় হয়ে আছে। উত্তুরে হাওয়ায় চাদরমুড়ি দেওয়া তিনটে শরীর আগলে থাকে আগুনকে। তিনজোড়া চোখে তার ছায়া কাঁপে। কাঠ ফাটার পট পট শব্দ। জমা খড়কুটো থেকে অল্প তুলে আগুনে দিলে চিড়বিড়িয়ে ওঠে। দূর হাইওয়ে ধরে শব্দ করে ছুটে যাচ্ছে ট্রাক। তাদের ব্রেক কষার আওয়াজে মিলন পিয়াসি হস্তিনীর ডাক ভ্রম হয়। ধীরেই কথা বলে তারা। ফিসফিস হাসি। রাত গভীর হু হু নীরব। জোরে শব্দ উঠলেই একটা স্থির ভেঙে টুকরো হয় বুঝি। শীত আর আগুন ঘেঁষাঘেঁষি থাকলে শরীর-কথায় ওম চায়। কেউ বলে ওঠে,
- একজন করে আমাদের গোপন গল্পগুলো বলি চল আজ। শর্ত হলো, যে গল্প এর আগে কোথাও করিনি। অবসর পাইনি, অথবা তুমুল সংসারী, শান্তি বিঘ্ন হোক চাইনি, কিংবা বেমালুম ভুলেই ছিলাম,মনে করতে চাইনি।
আগুনে কুটো পড়ে কিছু। হাইওয়ে ভেঙে আরও কয়েকটি ট্রাকের গর্জন দূরে মিলায়। একজন কেউ তার গল্পটা শুরু করবে এখন।
স্নান
কলাগাছের পাতা ঝুঁকে থাকা সন্ধের ঘাট। কতকাল আগে, এখনও চোখ বুজলে অন্ধকারে ঝিম ঝিম করা ঘাটটি ভেসে ওঠে। সারাদিনের শরীরভাঙা খাটুনি শেষে বউটি আসে গা ধুতে। ঘাটের ভাঙা ধাপে লন্ঠন বসায়, জল থেকে তার হলদেটে আলোকে দূরে সরিয়ে রেখে স্নানে নামে। এ সময় ঘাটে কেউ আসে না, তাই অনেকটাই অনাবৃত থাকতে পারে সে। ভেজা কাপড় দেহ থেকে অনেকখানি নামিয়ে। যৌবনের প্রথম ধাপে বড় মায়াময় লাগে নারীদেহ। কলাগাছের আড়ালে দাঁড়িয়ে দেখি তার স্নান। পাপ চায় ছুটে পালাতে, লোলুপ মন টেনে রাখে। সবে হাঁটতে শেখা একটি বাচ্চার মা। অল্প বয়সের বিয়ে আর ক্ষীণ তনুর মেয়েটিকে কৈশোর ছেড়ে যায়নি। একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে তার আসার। নেশাগ্রস্তের মত দুর্বার আকর্ষণে অথবা নিশির ডাকে এসে দাঁড়াই ছায়ার মতো। সংসারের কালি, ঘাম মাখা একঘেয়ে ব্লাউজ খুলে ফেলে দিয়ে, একটু একটু জল ছোঁয়, কোমর ডোবায়, বসে থাকে জলে ডুবে থাকা পাথুরে ধাপে। হাতের পাতা নৌকোর মত করে জল তুলে তুলে দেয় শরীরে। টুকরো সাবান আদর নিয়ে বোলায় সারা দেহে। লতানে দুটি হাত বেয়ে ঘাড় গলা ছুঁয়ে বুকে লেপটে থাকা ভেজা কাপড়ের ভেতর চলে যায় ফেনা ভরা হাত। পরম মমতায় নিজের কিশোরী বুক নিয়ে সে খেলা করে। অস্পষ্ট আলোয় মনে হয় মেয়েটি চোখ বুজে, অজানা সুখের আবেশ মেখে যায় সারা দেহে, মুখে। ক্রমে এমন হয় এই স্নানের ভঙ্গি, বন্ধ চোখের আরাম দেখে শিহরণ জাগে আমার। ঝোপের গায়ে বসে থাকা ঝিঁঝিঁর ডাক, জলের অল্প ছলাক ছলাক, স্নানের শব্দ, বৈঠায় জল সরিয়ে একটা নৌকা না জানি চলে যাচ্ছে গভীর জলের পথে। পাথরের ধাপে একলা লন্ঠন নিথর তাকিয়ে থাকে, আর তার পেছনের অন্ধকারে নির্বাক চেয়ে একজোড়া বিস্ময় চোখ। অগুণতি নারী শরীর দেখেছি তারপর, ছুঁয়েছি। প্রতিটি সঙ্গমকালীন শরীর জাগাতে বন্ধ রেখেছি চোখ, সেই ঘাটের দৃশ্য, আঁতিপাঁতি খুঁজেছি কবেকার স্নান-তৃপ্ত মুখ। যে আবেশে শরীর-সুখ শীর্ষ ছোঁবে। পাইনি, শরীর সাড়া দেয়নি, ক্লান্ত করেছে শুধু, তেতো হয়ে গেছে সব!
সে তার গল্প থামায়। যা কেউ আগে জানেনি, কাউকে বলা হয়ে ওঠেনি এতকাল। অথচ আজ বলার কালে কেমন আগেকার মতো জেগে উঠতে চায় শরীর, নিপুন সাড়া! আয়েশে বলার লোভ ছিল, লোভে তৃপ্তি ছিল, তাই গল্পটা হঠাৎ ফুরিয়ে না যায়, কিছু কিছু রঙ মিশিয়েছে তাতে। আবছা হতে থাকা সময় থেকে অস্ফুট, নিরীহ মুখ, ধূসর অভিমানী দেহ। বর্ণনা দিতে দিতে টের পায় আরেক আঁচ পোহাচ্ছে তার শরীর। সে তাপ পোহায় বাকিরাও। রগরগে আহ্লাদ হেসে গড়িয়ে পড়ে চাদর সমেত।
- আরেকবার, সেই জায়গাটা!
ফ্যাসফ্যাসে হাসি, খুকখুক কাশি।
তারপর দ্বিতীয় জন তার গল্পটা শুরু করে ...
সাদা ঘোড়া
ঘরে সবসময় একটা আবছা অন্ধকার থাকে। সিলিং ফ্যানটা ঘোরে চব্বিশ ঘণ্টা। একটানা শব্দ। ঘরে একটাই বড় জানালা, বন্ধ থাকে বেশিরভাগ, শর্মিষ্ঠা চায় না, বাইরের আলোতে তার অস্বস্তি হয়। আমি জানি, সেটা সংকোচ। কতকাল শর্মিষ্ঠাকে জানালার গরাদ ধরে দাঁড়াতে দেখি না। শর্মিষ্ঠা আর নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে না কোনোদিন। ঘরে ঢুকলেই ওষুধের গন্ধ, স্যাঁতস্যঁতে। রোজ রাতে আমি তার বিছানার কাছে গিয়ে দাঁড়াই। ঘুমন্ত নারী দেহ মরা ডালের মত বিছানায় ফেলে দিয়ে কে চলে গেছে। এখন ঘুমোতে পারে শর্মিষ্ঠা। আগের মত আর রাতের পর রাত ঠায় তাকিয়ে থাকে না সিলিং ফ্যানটার দিকে। জীবনের এমন কোনো চরম অবস্থা নেই যা মানুষ একদিন চাপা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মানিয়ে নেয় না। তবু ঘুম গভীর নয় তার। হয়তো বিছানা থেকে ফিরে আসবার সময় চেয়ার খানিক নড়ে গেল, সে ডাকে, পাশে বসতে বলে। বসি। মেয়েরা তাদের নিজস্বতায় যেভাবে স্বামীদের বলে, সে বলেছে, কল্পনা করেছে, -আচ্ছা এমন হয় না, কেউ সব জেনেশুনে, আমাকে মেনে নিয়ে বিয়ে করতে রাজি হল তোমায়? আমি নালিশ না করলে আইন তো কিছু বলবে না!
তার মাথায় হাত বুলিয়ে হাসি। বলি,
-আমার কোনো সমস্যা নেই শমি।
সে জল খেতে চায়। তাকে তুলে ধরে পিঠে বালিশ রেখে পালঙ্কের মাথার দিকে ঠেস দিয়ে বসাই। জলে চুমুক দিলে কষ গড়িয়ে নামে, মুছিয়ে দিই। সে বলে,
-হবে, অসুবিধে হবে। তখন বড্ড বোঝা হয়ে যাবো আমি তোমার। বোঝা হয়ে বাঁচতে চাই না গো।
তাকে বোঝাই, শরীর সব নয়। পাঁজাকোলা করে নিয়ে গিয়ে কমোডে বসাই। আবার বিছানায়। কোমরের নিচ থেকে অসাড় দেহ। চোখ বন্ধ করে সে হাসে, বোঝাতে চায়, দুজনে কেমন দু’রকম শরীরী কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছি! স্থির দৃষ্টি নিয়ে আমায় দেখে শর্মিষ্ঠা। খোঁজে, আমার চোখে, আমার সূক্ষ্ম আচরণে কিছু বদল এসেছে কিনা। তারপর গোপনে স্বস্তির মৃদু শ্বাস ফেলে। আমার না বদলাতে পারা তার বেঁচে থাকার জোর!
-তুমি যদি মাঝেমধ্যে ঐ খারাপ মেয়েগুলোর কাছে যাও, আমি কিছু মনে করব না!
আর তারপর যে শব্দটা শুনবে বলে শর্মিষ্ঠা কান পেতে থাকে, বলি তাকে, ছিঃ! শোনার পর মুখে ফুটে ওঠা স্পষ্ট আনন্দ আর নিশ্চিন্ত ভাব ঢাকতেই বন্ধ জানালার দিকে ঘাড় কাত করে ঘুমোয় শর্মিষ্ঠা। ঘর থেকে বেরিয়ে আসি রাস্তায়। ছাতা মাথায় একটি মেয়ে হেঁটে যায় গলি দিয়ে। এক ঝলক দেখে মুখ ফেরাই। প্রজ্ঞা আসে একেক দিন। শর্মিষ্ঠার দীর্ঘদিনের বান্ধবী। তখন আমি ঘরে থাকতে চাই না। স্বস্তি হয় না। জোর করে বসিয়ে রাখে শমি। এককোণে মেঝেতে তাকিয়ে বসে থাকি। প্রজ্ঞা ঠাট্টা করে,
-আচ্ছা লাজুক তো মশাই আপনি, একটু পুরুষমানুষের মতন থাকুন না!
গোবেচারা হাসি।
রাত আসে অন্য মানুষ হয়ে, অন্ধকার ছাদে এসে মুখোমুখি দাঁড়ায়। পুরুষমানুষ! স্ত্রীর কাছে শ্বাসরোধ করে থাকা প্রবৃত্তিসর্বস্ব লোকটা জোরে জোরে বাতাস নিতে থাকে। কল্পনায় আনি, রাস্তায় ছাতা মাথায় যে মেয়েটাকে হেঁটে যেতে দেখি,তার দেহের বাঁকে বাঁকে আকণ্ঠ , এই নির্জনে মনে মনে নগ্ন করি তাকে, ফিসফিস কথা বলি, সেও বলে। নারী-পুরুষের সঙ্গমকালীন আলাপ। প্রবল পুরুষ হয়ে আদর দিই তাকে, আবার কাম-অধীর নারী সত্তা হয়ে বলি, তীব্র হও! আমারই কণ্ঠ নির্গত, কল্পিত অস্ফুট মেয়েলি শীৎকারে ভরে ওঠে গোপনীয় ছাদ! রোজ নতুন নারী এভাবে আমার একলা ছাদে আসে। পথ চলতি চকিত দেখার অচেনা, অজানা মানবী দেহ, আহ কল্পনা! তার মাদক উষ্ণ করে শরীর। স্নায়ুতে বিপুল ঝড়! টগবগে ঘোড়া ছুটিয়ে মস্তিষ্কের সমস্ত রক্ত এসে জমা হয় তপ্ত উত্থিত অঙ্গে। কামুক পুরুষ আহ্লাদের ঘড়ঘড়ে স্বর বের করে। উল্লাসের প্রবল অভিঘাতে দেহ থেকে ছিটকে বেরিয়ে ছুটে যায় শ্বেত অশ্ব, ছাদের বঞ্জর কংক্রিটে পা মুড়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। শরীর কাঁপতে থাকে, তারপর ধীরে শান্ত হয়, গভীর প্রশান্তি, ঘুম বয়ে নিয়ে আসে দুচোখে। সঙ্গম-তৃপ্ত ঘুমোতে যাই। অন্য ঘরে শর্মিষ্ঠা গভীর আস্থায় ঘুমিয়ে থাকে বিছানায়। আজকাল ঠোঁটে তার মৃদু হাসি লেগে থাকে।
গল্প শেষে বাকিরা চুপ করে থাকে। কেবল একজন অকারণে জোরে হেসে ওঠে।
শেষ জনের বলার পালা এলে চুপ করে বসে থাকে কিছুক্ষণ। একটা ট্রাক যায় শব্দ করে, শব্দটা থামার অপেক্ষা করে। ট্রাক তার পেছনে হাওয়া টেনে আনে, ঠাণ্ডা হাওয়ার ঝলক এসে লাগে পোহানো আগুনে। তার লেখার টেবিলটা ভেসে ওঠে। একটা সাদা কাগজের বাঁধানো নোটবুক। আড়াআড়ি পড়ে থাকা কলম। সে শুরু করে।
ছায়ারা
শুধু লেখার জন্যই দমচাপা কুঠুরি ঘরটায় ঢুকি। ধুলো ওড়ে, ঝুলে থাকা ঝুল জড়িয়ে যায় মাথায়। স্তূপীকৃত বই, একটা চৌকি, মেঝের ছেঁড়া খবর কাগজের ওপর রাশি রাশি সিগারেটের অবশেষ। এ ঘরে কেউ নেই, কেউ আসে না, কেউ থাকে না। একা থাকার মত হতশ্রী এক কামরার ভাড়া ঘর। মঞ্জুশ্রী চলে যাবার পর এখানে উঠে আসি। সারাদিন অফিসে কাজের মধ্যে ডুবে থাকতে হয়। সহকর্মীদের হাসি, মস্করা। সন্ধেবেলা একটা রিকশা পৌঁছে দিয়ে যায় দোরগোড়ায়। দুর্বিষহ সন্ধেগুলো, শীতের অনিঃশেষ রাত। পরের সকালের অন্তহীন অপেক্ষা। ঘাড় থেকে কাঁধ অব্দি একপাশ কাত হয়ে থাকে আমার। চব্বিশ বছর বয়স থেকে নিউরো অসুখ। হাঁটা চলায় কষ্ট। দেহ সাড়া দেয় না। তবু মঞ্জুশ্রী এসেছিল। বলেছে, দুটি আত্মার মিলন, জীবনের সেটাই পরম পাওয়া। সংসারের টুকিটাকি, আমার যত্ন। রাতে এক বিছানায় অবিশ্রান্ত গল্প, ভোর হয়ে যায়। দেহ ছিল না, তবে ছিল মঞ্জুশ্রী। হাসিখুশি। আমি, কৃতার্থ, ন্যুব্জ। জীবন তার দাবি ছাড়ে না। এক রাতে সজোরে জাপটে ধরে মঞ্জুশ্রী মুখ ঘষে আমার উদোম ছাতিতে। আকুল হয়ে বলে, সত্যি জাগে না তোমার? দ্যাখো না, প্লিজ দ্যাখো না চেষ্টা করে! হাতের মুঠোয় ধরে আমার অকেজো অঙ্গ, কচলায়। শিরা-উপশিরায় রক্ত ঝাঁপিয়ে পড়ে ফুঁসে ওঠে না নিরুপায় পৌরুষ। অথর্ব মানুষের মত ককিয়ে একটু মাথা তোলার চেষ্টা করে মাত্র। কিন্তু মন যে জাগে। ইচ্ছে থাকে, প্রবল। তারপর মুখ থুবড়ে পড়ে যাবার যন্ত্রণা। নেতিয়ে থাকা স্থানে হাত দিতে চাইলে বারণ করি, কষ্ট হয় শ্রী, খুব কষ্ট, ছেড়ে দাও। গভীর শ্বাস ফেলে সে। কখনো উদাস বসে থাকে, ঝাঁঝিয়ে ওঠে। কাঁদে। ব্যাকুল, ধ্বস্ত মঞ্জুশ্রীর জন্য আমারও প্রাণ কাঁদে। ভাবি সে আমাকে ছেড়ে যাক। একদিন সত্যি ছেড়ে যায় সে।
এখন মধ্যরাতে হলদেটে বাল্বের আলো পড়ে আমার চেয়ারে বসে থাকা দেহে। ছায়াটা দেয়ালে পড়ে, ছায়ারও হেলে থাকা ঘাড়। আমি লিখি। পাতার পর পাতা নিষিদ্ধ সম্পর্কের লোভাতুর কাহিনি। আমার চরিত্ররা মেতে ওঠে দেহজ খেলায়। খেলাই তাদের। দেহ মিলনের তুমুল দৃশ্যখন্ডে তপ্ত দেহ জাগে, আহা জাগরণ! সাদা কাগজের গায়ে নারী-পুরুষ ছায়ারা বিমূর্ত সঙ্গমের শিলালিপি, আমি কামতৃপ্ত ভাস্কর! টেবিলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ি একসময়। নগ্ন ছায়ারা এবার পাতা ছেড়ে বেরিয়ে এসে ঘরময় ভেসে বেড়ায়। যৌনক্রীড়ার বিপুল বৈচিত্রের বিভঙ্গে মেতে ওঠে রাতভর ...
গল্প শেষ হয়। উত্তুরে হাওয়া এসে আগুন কাঁপায়। শীতল সাপের মত শিরশির এঁকেবেঁকে ঢোকে। আশ্চর্য চুপ মেরে যায় তারা। দূরে তাকায়। নিশি-যানের আলোয় স্পষ্ট এক দুঃখিত ছায়া হাইওয়ের ধার ধরে অন্ধকারে মিলিয়ে যাচ্ছে চিরকালের মতো। খাঁ খাঁ করে রাত। এই যে গল্পগুলো পরস্পরকে বলে ফেলল তারা, এই বিপুল জীবনে এমন একটি করেই গোপন, অসার্থক আর তুচ্ছ গল্প ছিল তাদের। তবু তা নিজের ছিল, আজকের পর ফুরিয়ে গেল। ম্রিয়মাণ আগুনের শিখায় একজন আরও দুটি কুটো ফেলে দেয়।
এক চিতার আগুনকে ঘিরে বসে থাকে তারা।