এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হা মেঘালয়, জো মেঘালয়...!

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৬ আগস্ট ২০২৫ | ৯৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • হা মেঘালয়! জো মেঘালয়!

    এ যেন কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন! ঘটা করে নাম রাখা হয়েছিল মেঘের দেশ – মেঘালয়। সুদূর দক্ষিণ দেশের সাগর থেকে ভেজা বাতাস ভিস্তিওয়ালার মশকের মতো জল ভরে নিয়ে এসে ঢেলে দিত খাসি পাহাড়ের ঢালে। এর‌ই বদান্যতায় নামতো বৃষ্টি – অঝোর ধারায়। সারা পৃথিবীর মানুষজন জানতো এই রাজ্যে বৃষ্টি ঝরানো মেঘেরা দল বেঁধে খাসি পাহাড়ের সবুজ গালিচা বিছানো ঢালে গাভীর মতো চড়ে বেড়ায়। জলের এমন অফুরান জোগান দেখে এক কবি তো বলেই বসলেন – একখানি মেঘ ধার দিতে পার গোবি-সাহারার বুকে? অথচ বিধির কি নির্মম পরিহাস ! মেঘের খাজানা শূন্য যে আজ, মেঘালয়ের বুকে। ওদিকে মরুরাজ্য রাজস্থানে বন্যা আর এদিকে মেঘের খাজানা মেঘালয় রাজ্যে বৃষ্টির হাহাকার। আসুন, জেনে নেয়া যাক এমন উলটপুরাণের কারণ। যে যুগল স্থান নামের দৌলতে – চেরাপুঞ্জি ও ম‌ঁওসিনরাম – এই পার্বত্য রাজ্যের জগৎজোড়া খ্যাতি, সেই মেঘালয়তেই কিনা বৃষ্টির ঘাটতি?

    সর্বশেষ সুমারি অনুযায়ী মেঘালয় রাজ্যের মোট লোকসংখ্যা প্রায় ৩৯ লক্ষ জন। ভূমিরূপের বন্ধুরতার কারণে রাজ্যের মাত্র ৪৮% শতাংশ এলাকা কৃষিযোগ্য অথচ এখানকার ৮৩% মানুষের জীবন বৃষ্টি নির্ভর কৃষির ওপর একান্তভাবে নির্ভরশীল। অথচ এই ভরা বর্ষায় মেঘালয় রাজ্যে বৃষ্টির ঘাটতির বিষয়টি সকলের কপালে ভাঁজ ফেলেছে। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন যে রাজ্যের নামের সঙ্গে অবস্থাটি মোটেই সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ইন্ডিয়ান মেটিরিওলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে এই বছরের বর্ষায় মেঘালয় রাজ্যে বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ ৫৬%। এটা দেশের মধ্যে সর্বাধিক; অপেক্ষাকৃত শুখা রাজ্য ঝাড়খণ্ডের তুলনায়‌ও এই পরিমাণ কম। বস্তুতপক্ষে দেশের সাতটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মেঘালয়ের তুলনায় দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে অতিরিক্ত পরম বৃষ্টি হয়েছে। একমাত্র গোয়াতে মেঘালয়ের থেকে বেশি স্বাভাবিক বৃষ্টি হয়েছে।

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে যে জুন মাসের ১ তারিখ থেকে জুলাই মাসের ২৮ তারিখ পর্যন্ত সময়সীমার মধ্যে মেঘালয় রাজ্যে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৬৯০.৭ মিলিমিটার। অথচ এই সময়ের স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৫৫৫.৪ মিলিমিটার। অন্যদিকে ঝাড়খণ্ড রাজ্যে ও এক‌ই সময়কালে বৃষ্টি হয়েছে ৭৩২.৬ মিলিমিটার যা ঐ রাজ্যের স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের (৪৭৮.৩ মিলিমিটার) তুলনায় ৫৩% বেশি। ঝাড়খণ্ড রাজ্যের এই অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের শতাংশ দেশের মধ্যে চতুর্থ সর্বোচ্চ যা শীতল মরু অঞ্চল লাদাখ, উষ্ণ মরু জলবায়ুর রাজ্য হিসেবে চিহ্নিত রাজস্থান, এবং প্রায় শুষ্ক জলবায়ুর রাজ্য মধ্যপ্রদেশের ঠিক পেছনে। কি আশ্চর্য পরিণতি আমাদের মেঘের দেশের!! ভারতের সবথেকে বৃষ্টিপাতের রাজ্যের এমন পট পরিবর্তনের বিষয়টি শুধু বিস্ময়কর নয় সমানভাবে গভীর উদ্বেগের।

    ২০২২ সালের জুলাই মাসে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে মেঘালয় রাজ্যের এই শুষ্কতার সমস্যাটি একেবারেই হাল আমলের তা কিন্তু নয়, বরং রিমোর্ট সেন্সিং ব্যবস্থার দ্বারা সংগৃহীত তথ্য থেকে এটা স্পষ্ট যে এই শুষ্কতার প্রবণতা কয়েক শতাব্দী পুরনো। ১৯৫১ থেকে ১৯৬০ সালের অন্তর্বর্তী এক দশক সময়ে রাজ্যের মধ্যভাগে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অন্যান্য অংশের তুলনায় অনেকটাই বেশি ছিল। এরপর যত সময় গড়িয়েছে তত‌ই রাজ্যে শুষ্ক অঞ্চলের পরিসরের পরিমাণ বেড়েছে উদ্বেগজনক হারে। সেন্ট্রাল এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা নিবিড় পর্যবেক্ষণ সূত্রে জানিয়েছেন যে রাজ্যের পশ্চিম, মধ্য এবং উত্তরে এমন খরাপ্রবণ এলাকা বাড়ছে। গবেষকরা সেচ ও জলনির্গমন বিভাগের তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে নিয়েই এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।

    সাম্প্রতিক দশকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে রাজ্যের দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বীয় অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সবথেকে বেশি। পর্বতময় এই অংশের পূর্ব খাসি পাহাড় ও জয়ন্তীয়া পাহাড়ের পরিস্থিতি এখনও অতটা উদ্বেগজনক নয়। দক্ষিণ পশ্চিম খাসি পাহাড়েই সবথেকে বেশি পরিমাণে বৃষ্টি নথিভুক্ত করা হয়েছে।

    ভারতীয় মিটিরিওলজিক্যাল বিভাগের বিজ্ঞানীরা ১৯৮৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সংগৃহীত উপাত্ত (data) বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, ভারতের যে পাঁচটি রাজ্যে – নাগাল্যান্ড, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ – ধারাবাহিক ভাবে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমছে মেঘালয় তাদের মধ্যে অন্যতম। এই পাঁচটি রাজ্যের পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশ ও হিমাচল প্রদেশেও ঐ সময়ের মধ্যে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমেছে লক্ষণীয়ভাবে।

    একদা বৃষ্টিপাতের বিচারে পৃথিবীর সবচেয়ে আর্দ্র অঞ্চলের শিরোপা পাওয়া চেরাপুঞ্জি এখন দ্বিতীয় স্থানে নেমে এসেছে।

    ১৮৭২–২০০৭ সাল, চেরাপুঞ্জির বৃষ্টিপাতের এই ১৩৫ বছরের তথ্য কাটাছেঁড়া করে গবেষকরা জানিয়েছেন যে বছরের সাতটি মাসে – ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, মে, জুন, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর – এই হ্রাসমানতার প্রবণতা বজায় রয়েছে। এই তথ্যটিও এক গবেষণায় উঠে এসেছে।

    গবেষকরা জানিয়েছেন যে রাজ্যের মোট বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃহত্তর উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে বেশ খানিকটা এগিয়ে থাকলেও বৃষ্টিপাতের আঞ্চলিক বন্টনের বিভিন্নতা এই রাজ্যের বাস্তুতন্ত্রের শৃঙ্খলাকে প্রভাবিত করবে অদূর ভবিষ্যতে। মেঘালয় বৃহত্তর ইন্দো–বার্মা বায়োডাইভার্সিটি হট স্পটের অন্তর্ভুক্ত এবং ভারতের চতুর্থ তথা পৃথিবীর ৩৪ তম হটস্পট এলাকা। বৃষ্টিপাতের আঞ্চলিক বন্টনের হেরফেরের কারণে তার ওপর যদি কোনো নেতিবাচক আঁচ পড়ে তা হলে সেটা হবে গোটা বিশ্বের ক্ষতি। আগামী দিনে এই বিষয়ে আরও গভীর নজরদারির প্রয়োজন যে রয়েছে তা বলা বাহুল্য।

    বিগত কয়েক দশক ধরে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের এলাকায় জলের প্রাকৃতিক জোগানে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এই বিষয়ে আম আদমি মোটেই সচেতন ন‌ই। মাঠে ময়দানে নেমে যারা কাজ করেন, সেই কৃষিজীবী মানুষ এটা টের পান সবার আগে। তারা বুঝতে পারেন সে সবকিছু ঠিকঠাক নেই।বিশ্ব উষ্ণায়নের ছায়া ঘনাইছে মেঘমুলুক মেঘালয়ে। বৃষ্টি আনে স্বস্তি, আনে আশাবারি - প্রাণদ আশীর্বাদ, জোগায় ভরসা, আনে সমৃদ্ধি। আর তার অভাব হলে পাশার দান যায় বদলে, বাড়ে হতাশা আর হাহাকার। চেরাপুঞ্জির পাহাড়তলিতে আবার ফিরে আসুক মেঘেরা, আনুক বৃষ্টির বরদান।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সৌমেন রায় | 103.7.***.*** | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ১১:২৬733056
  • তার মানে কালক্রমে কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন হয়ে যাবে! 
    আবহাওয়ার পরিবর্তন মনে হয় স্বাভাবিক ঘটনা। বাবরনামায় ফরগনা প্রদেশের যে বিবরণ দিয়েছেন সেটা এখনের আবহাওয়ার সঙ্গে অনেক পৃথক। আবুধাবি বাসী এক সুজন বলছিল ওখানেও বৃষ্টি বেড়েছে।
    মানিয়ে নেওয়ার শিক্ষা দেওয়া উচিত।
  • Somnath mukhopadhyay | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ১৪:০১733058
  • প্রথম আঁচড় কেটেছেন বলে অনেক ধন্যবাদ। আপনার লেখার শেষ লাইনের কথাগুলো খুব জরুরি। এই পৃথিবী দিন দিন আরো অচেনা হয়ে উঠবে। তাই দরকার নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝতে পারার শিক্ষা দেওয়া। ভাবতে হবে সবাইকে।
  • রবীন্দ্রনাথ পাখিরা। | 2402:3a80:4140:4c57:9628:3ef6:27d1:***:*** | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ২১:০৬733084
  • জলবায়ু পরিবর্তনের নজির ইতিহাস ঘাঁটলে পাওয়া যায়। অনেক জীবপ্রজাতির বিলুপ্তির কথাও জানতে পারি । এসবের মধ্যেও মানুষ টিকে আছে ‌। আগামী দিনে কীভাবে টিকে থাকবে মানুষ সেই চর্চা খুব জরুরী ‌। আপনার লেখাটি খুবই প্রাসঙ্গিক ‌। হয়তো আমাদের চেতনা জাগাবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন