বাঙালি কিছুই পারে নাই। তাহার আহা মরি মরি সংস্কৃতির গর্ব, ভায়া বেসুরো রসুন সন্ধ্যা, অধুনা ডিজেবাকসোর পূতিগন্ধ খালপাড়ে ঘাড় মড়িয়া বুলাক্ দিতেছে। তাহার ব্যবসাপ্রচেষ্টা কেন্দ্র ও রাজ্যের বিবিধ জট জটিলতা ও আপন আলস্যপঙ্কে নিমজ্জিত ও অস্তমিত। যে ভাষায় শিল্পী আর শিল্প উভয়েই শিল্প সেখানে শিল্পী শিল্প করিতে গিয়া লোস্কান খাইবে, আর শিল্প আসিয়া বাসের গাত্রে কথা কেশরীর ভীর-গাথা লিখিয়া যাইবে, এ আর আশ্চর্য কী। সর্বভারতীয় রাজনীতির আসরেও সে কোনঠাসা। এইভাবে দেখিলে রাম-দুই-তিন গণিতে গণিতে হস্তে হতাশার পেন্সিল ভিন্ন আর কিছুই পড়িয়া থাহে না। সত্য।
তবু, মা ঘরে ফিরিলে সন্তানকে হোমটাস্ক দেখাইতে হয়। সাফল্যের সামান্য খতিয়ানে ধরা থাকে কয়েকটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মেধা পুরস্কার। আর থাকে প্রতিরোধের আখ্যান। বিশ্বব্যাপী হিংসা, দেশব্যাপী বিদ্বেষের আবহাওয়ায় পরিবেষ্টিত বাঙালি, এখনো রূপ - যশ - জয় আকাঙ্খার সঙ্গে উচ্চারণ করে : দ্বিষো জহি। এত ক্লেদের মাঝেও, জাতি বর্ণের ক্লেদ, পড়শীর প্রতি ঈর্ষার ক্লেদ বাঙালিকে সম্পুর্ণ পাড়িয়া ফেলিতে পারে নাই। ভাবের ঘরে চুরি করিয়া লাভ নাই, দুর্গোৎসব ধর্মীয় উৎসব। তবে মা'র অভিষেক বলিয়া কথা। সকলের যোগদান ভিন্ন তা অসিদ্ধ গন্য হয়। তাই, বঙ্গ এখনো আগুন বলিতে হোমের আশীর্বাদী অগ্নিস্বরূপ বোঝে, দাঙ্গার আগুন নহে। বাঙালি কবি সর্বস্ব খোয়াইয়াও ফ্যাসিস্ত এর হাত ধরে নাই। সংখ্যালঘুর বিপদে মিন মিন করিয়াও কয়খান লাইক- শেয়ার পড়িয়া যায়। সীমা ছাড়াইলে মানুষ ওয়াল হৈতে পথে নাবে। কিছুটা হৈলেও দ্বেষ জয় আমাদের খাতায় জমা পড়িয়াছে বই কী।
দ্বিষো জহি। আর কোন আকাঙ্খা নাই। বাকি হিসাব বাঙালি নিজেই বুঝিয়া লইবে।