এই গল্পটি একটি পরিবারে ঘটে যাওয়া চুরির গল্প। আমি জেনেছি ইউটিউব ভিডিও ব্লগের মাধ্যমে। একদিন রাতে ইউটিউব ব্রাউজ করতে একটি ভ্লগ পাই, এবং তার সূত্রধরে আমি গল্পটি জানতে পারি।
বাসাটি ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত। সঙ্গত কারণেই বাসার ঠিকানা এখানে উল্লেখ করব না।
প্রথম ভ্লগটা আমি দেখি মিতা হকের। ইনি পরিবারের ছোট মেয়ে। থাকেন সুইজারল্যান্ডে।
তিনি জানালেন, আমাদের বাসায় যে চুরি হইছে, আপনারা অনেকেই জেনে থাকবেন। আমার বড় ভাই হাসানুর রহমান সাহেবের স্ত্রী যেইভাবে ঘটনাটি বর্ণনা করছেন, আপনারা দেখেছেন উনি কিরকম মিথ্যাবাদী। উনি বলতে চাইছেন আমার ছোট ভাই মিজানুর রহমান কোনভাবে এই চুরির সাথে দায়ী। কিন্তু এইটি পুরা মিথ্যা কথা। আমার ভাই মিজানুর রহমান পাঁচ অক্ত নামাযী মানুষ। তিনি বিড়ি সিগারেট কিছুই খান না। আমরা যখন ছোট আছিলাম, তখন ঝড়ের দিনে আমগাছের নিচে আম, জামগাছের নিচে জাম পড়ে থাকত, অনেক পড়ে থাকত। আমার ভাই মিজানুর রহমান মিজান কোনদিনই ঐসব আম জাম হাতে নেন নাই। তিনি কীভাবে চুরি করবেন? তাও নিজের ঘরে তিনি কেনোই বা চুরি করতে যাবেন? আপনারা কস্মিনকালে শুনেছেন কেউ নিজের ঘরে চুরি করে?
এখন আলাপে আসেন, কেন আমার ভাইয়ের বউ, রাহেলা বেগম এইসব কথা প্রচার করে বেড়ান? উনি কি ভাবছেন তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমরা জানি না? আমরা জানি, সব বুঝি। কিন্তু নিতান্ত ভদ্র ফ্যামিলির সন্তান হওয়ার কারণে এইগুলা নিয়া আমরা কথা বলি না। আমি কি কোনদিন বলছি যে, আমার বড় ভাই হাসানুর রহমান কুয়েত চলে গেলে রাহেলা বেগম কার সাথে মার্কেটে ঘুরতে যান? বলি নাই। কেন বলি নাই? কারণ এইসব বললে নিজেদেরই বদনাম। আমার বড় ভাইয়ের বউ ভাইরে দেশের বাইরে রাইখা পাশের বাসার আব্দুল হকের লগে মার্কেটে ঘুইরা বেড়ায়, এসব কথা জনসমক্ষে আমি বলতে চাই না। কিন্তু আমার ভাইয়ের বউ রাহেলা বেগম একের পর এক কঠিন চাল চালতেছেন। আমি যখন আমার গতমাসের তেরো তারিখের ভিডিওতে প্রমাণসহ বললাম, রাহেলা বেগম কীভাবে আমার পিতা জনাব হাফিজুর রহমান ও মাতা জনাবা সাজেদা খানমরে অযত্নে রাখেন, তখন থেকেই রাহেলা বেগম আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে শোধ তুলতে চাইছিলেন।
আমি আপনাদের সবাইরে বলি, প্রমাণ ছাড়া কোন কিছু বিশ্বাস কইরেন না। আমার ভাই মিজানুর রহমান মিজান চুরি করে থাকলে, রাহেলা বেগম তার প্রমাণ দিক।
তাইলে কি আমাদের বাসায় চুরি হয় নাই? হইছে। চুরি অবশ্যই হইছে। কিন্তু করছে রাহেলা বেগম, সে পাশের বাসার প্লাস্টিক ব্যবসায়ী আব্দুল হকরে দিয়া এই চুরি করাইছে। এখন দোষ দিতেছে আমার ছোটভাই মিজানুর রহমানের উপরে। তার উদ্দেশ্য এর মাধ্যমে আমার বড় ভাই হাসানুর রহমানের সাথে আমাদের ফ্যামিলির ঝামেলা বাঁধানো এবং তারে নিয়া আলাদা হইয়া যাওয়া। কারণ আলাদা হইলেই তার সুবিধা। আমার বড় ভাই কুয়েত থাকবে, আর রাহেলা বেগম আব্দুল হকরে নিয়া মার্কেটে, রেস্টুরেন্টে, ইকো পার্কে ঘুইরা বেড়াইতে পারবে।
আপনাদের আমি বলছি, আপনারা রাহেলা বেগমের কথা বিশ্বাস করবেন না। প্রতিবাদ করুন। এইটা আমাদের দেশের সংস্কৃতি না। আমাদের দেশের ঘরের বউরা এইরকম হয়ে যাক আপনারা কি চান? আপনারা কি চান আপনার ভাইয়ের বউ, ছেলের বউ একেকজন রাহেলা বেগম হোক? যদি না চান, তাহলে রাহেলা বেগমের ভিডিও ডিজলাইক করুন এবং এই ভিডিও লাইক শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।
সবাই ভালো থাকুন।
এই ভ্লগ দেখার পর আমার আগ্রহ হয়। খোঁজে আমি হাসানুর রহমান নামক লোকটির, অর্থাৎ বড় ছেলের ভ্লগ পাই।
তিনি বলেন, আসসালামু আলাইকুম। আমার নাম হাসানুর রহমান। আমি মাত্র তিনদিন আগে কুয়েত থেকে বাংলাদেশে এসেছি। আমি যেদিন বাসাতে আসি, এরপরদিন রাতে আমাদের বাসায় চুরি হয়। অনেক টাকার মালামাল গয়নাগাঁটি চুরি হয়েছে, আপনারা তা জানেন।
আমি মনে করি যারা চুরি করেছে তারা আগে রেডি হয়ে ছিল।
বাসায় আসার পরেই আমার সাথে আমার বাবা মা ও ভাইয়ের ঝগড়া হয়। সে ঝগড়ার খবর আপনারা আমার স্ত্রী রাহেলা বেগমের ভ্লগ থেকে দেখেছেন।
আমার ভাই মিজানুর রহমান মিজান নানাবিধ ব্যবসা করে। সে কয়লার ব্যবসা, পাথরের ব্যবসা, ইট বালুর ব্যবসা ইত্যাদি নানা ধরণের ব্যবসা করার চেষ্টা করেছে কিন্তু প্রতিবারই সে লস করে। গতবছর সে যে ধান্যের ব্যবসায় লস করেছিল, তা নিয়ে আমি একটি ভ্লগ করেছিলাম, আপনারা হয়ত দেখেছেন।
সে প্রতিবার ব্যবসা করতে আমার কাছ থেকে টাকা নেয়। এই পর্যন্ত কত টাকা যে সে নিয়েছে তার কোন হিসাব নেই। আমি তার কাছ থেকে একটা টাকাও ফেরত পাই নি।
তাই, এইবার যখন সে টাকা চাইল, তখন আমি দিতে রাজি ছিলাম না। কারণ এখন আমার নিজের পরিবার আছে, ছেলে আছে, তার ভবিষ্যৎ নিয়েও ভাবতে হবে। তাছাড়া, মিজানুর রহমান তো ব্যবসায় সফল হবে না আমি বুঝে গেছি। আমি তার পেছনে আর টাকা ঢালতে নারাজি ছিলাম।
ওইদিন আমার সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। সে তখন আমাকে "মাউগা" বলে গালি দেয়। এখন আপনারা আপনাদের বিবেককে প্রশ্ন করেন, এক ছোট ভাই কি তার বড় ভাইকে, তারই বাবা মার সামনে মাউগা গালি দিতে পারে?
আমার খুব খারাপ লাগে, এবং বেশি খারাপ লাগে এটা দেখে যে আমার মা বাবা নিশ্চুপ হয়ে শুনেছেন। তারা কোন প্রতিবাদ করেন নি।
হ্যাঁ, আমি শুনেছিলাম আমার স্ত্রী রাহেলা বেগমের সাথে আমার মায়ের কিছু ঝামেলা হয়। কিন্তু তাই বলে তারা এইভাবে আমাকে অপমানিত হতে দেখেও চুপ থাকবেন? কোন বাবা মা কি এটা করতে পারেন?
যাইহোক, ওইদিন আমার ভাই মিজানুর রহমান মিজান আমাকে দেখে নেবে বলেও হুমকি দেয়।
আমি বলছি না চুরি সে করেছে। কিন্তু এই ঘটনাটি আপনাদের আজ জানিয়ে রাখলাম।
হাসানুর রহমানের কথাবার্তা শুনে আমি রাহেলা বেগমের ভ্লগ খুঁজে বের করি। তার কাছ থেকে ঘটনাটি সম্পর্কে আরো জানলাম।
রাহেলা বেগম জানালেন, আপনারা অনেকেই আমার সম্পর্কে অপপ্রচারগুলি দেখেছেন। কিন্তু আপনারা জানেন আমি সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়া কোন কথা বলি না।
আমি মিজানকে চোর বলি নি। কারণ প্রত্যক্ষ প্রমাণ ছাড়া কাউকে দোষী বলা আমাদের ধর্মে নিষেধ। আমি একটি ধার্মিক ও পরহেজগার পরিবারের মেয়ে। মিথ্যা আমি বলি না। আমি বলেছিলাম মিজানের চুরি করার সম্ভাবনা আছে। আপনারা যারা মিজানের ভিডিও দেখেন, তারা জেনে থাকবেন সে একটা অকর্মা। কিছু করে না, ভাইয়ের টাকায় খায়। কিন্তু কিছুদিন পর পর তার মোটা অংকের টাকা লাগে। সে বলে ব্যবসা করবে। কিন্তু তার কোন ব্যবসার মুখ আমি দেখলাম না। ব্যবসার কথা বলে, আমার শ্বশুর আব্বাজান, শ্রদ্ধেয় জনাব হাফিজুর রহমান সাহেব আমার স্বামীর কাছ থেকে তার ছোট ছেলের জন্য নিয়মিত টাকা নেন।
কিন্তু দর্শক, ব্যবসার জন্য টাকা নিলে ব্যবসা কোথায়? ব্যবসার লাভ কোথায়? আমি এই নির্দোষ প্রশ্নটিই করতাম আমার শ্বশুর জনাব হাফিজুর রহমান এবং শাশুড়ি সাজেদা খানমকে, কিন্তু তারা কোন উত্তর দিতেন না, উলটা আমার সাথে দুর্ব্যবহার শুরু করে দেন। এখন আপনারাই বলেন, আমার প্রশ্নটা কি ন্যায্য ছিল না? আমি কি বলেছি তাদের ছেলে নিশাপানি করে এবং জুয়াখেলে, যদিও সেসব খবর আমার কাছে আসে।
সেসব নিয়ে আমি আরেকদিন প্রমাণ সহ বলব। আমি সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়া কথা বলি না। আজ আমি আপনাদের সামনে একজন ব্যক্তিকে দেখাব, যে আমাদের এই বাসায় কাজ করে। তার নাম রেখা।
(ভদ্রমহিলা ভিডিওতে একটা ২২/২৫ বছরের মেয়েকে নিয়ে আসলেন।)
এই রেখা আমাদের বাসায় কাজ করছে প্রায় ছয় মাস। এই ছয়মাসের মধ্যে সে অনেক অন্যায়ের শিকার হয়েছে আমার শাশুড়ির কাছ থেকে। এবং যাকে নিয়ে কথা, সে মিজানুর রহমান মিজান এই রেখাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিল, একটা গোলাপ ফুল হাতে নিয়ে। আজকে আমি তা আপনাদের কাছে, রেখার সামনেই প্রকাশ করে দিলাম।
আপনারা যাতে এই মিজানের চরিত্র সম্পর্কে আন্দাজ করতে পারেন।
এই মিজান বা তার বোন আমার নামে যা ছড়াচ্ছে তা বিশ্বাস করবেন না। আপনারা প্রশ্ন করুন, এই মিজানের বোন মিতা হক সুইজারল্যান্ডে কার সাথে লিভ টুগেদার করে, সেই বিধর্মী শাদা চামড়ার বুড়া লোকটার ব্যাপারে আপনারা প্রশ্ন করুন। যার নিজের চরিত্রই খারাপ সে অন্যের নামে খারাপ কথাই ছড়াবে।
আমরা যেন এসব খারাপ কথা শোনা থেকে বিরত থাকি। খারাপ কথা শোনাও গুনার কাজ।
এই পর্যন্ত দেখে আমি আরও আগ্রহী হয়ে উঠলাম মূল ঘটনা জানতে। মিজানুর রহমান মিজানের ভ্লগ খোঁজ করতে গিয়ে আবার সেই ছোট বোনের ভিডিও পেলাম, যার নাম মিতা হক।
তিনি সুইজারল্যান্ড থেকে ভিডিও কল করে লাইভে রেখাকে এনেছেন। সেখানে রেখাকে তিনি নানা প্রশ্ন করছেন।
তোমাকে ওই মহিলা, মানে রাহেলা বেগম কত টাকা দিছিল?
জি, ছয়শ টাকা।
আমার ভাই মিজানুর রহমান মিজান কি তোমাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিল, ক্যামেরার দিকে তাকাইয়া বলো?
জি না, দেন নাই।
তবে তিনি তোমারে গোলাপ ফুল দিছিলেন, তাই তো?
জি হ্যাঁ।
গোলাপ ফুল দিয়ে তিনি কি বলেছিলেন?
জি উনি বলছিলেন এই দেশে গোলাপ ফুল আনছিল মুগল বাশশারা। গুলাপ হইল বাশশাদের ফুল। তরে দিয়া দিলাম।
আর কিছু বলছিলেন উনি?
জি না।
মিতা হক বললেন, আপনারা দেখছেন ঐ মহিলা কেমন মিথ্যাবাদী। এক গরীব মেয়েকে ছয়শ টাকা দিয়ে সে অভিনয় করিয়েছে, এবং বলাইছে যে আমার ভাই মিজানুর রহমান মিজান নাকি তাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছে। নাউজুবিল্লাহ। আমার ভাই কেন, আমাদের বংশের কোন ছেলে কোন মেয়েকে কুপ্রস্তাব কখনো দেয় নাই, খারাপ নজরে দেখে নাই, একবার চোখ পড়লে চোখ নামিয়ে নিয়েছে। আমরা এতো খারাপ ফ্যামিলি থেকে উঠে আসা না।
এরপরে, রাহেলা বেগমের আরেক ভিডিও দেখলাম, তার সারমর্ম, ওরা রেখাকে টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে। গোলাপ বাশশাদের ফুল বলে সে কেন চাকরানিকে দিবে? এখানের কীসের ইঙ্গিত লুক্কায়িত তা কি আবার বুঝিয়ে বলতে হবে!
আমি এসব ভ্লগ দেখে হাফিজুর রহমান অর্থাৎ বাসার সবচাইতে সিনিয়র ব্যক্তিটির বক্তব্য খুঁজছিলাম। খুঁজতে খুঁজতে হাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী সাজেদা খানমের একটা ভিডিও পাই। ভিডিওতে হাফিজুর রহমান কথা বলছেন, তার পাশে বসে সাজেদা খানম সুপারি চিবুচ্ছেন।
সেখানে হাফিজুর রহমান বলছেন, যেকোন অবস্থায় শান্ত থাকা মানুষের কর্তব্য। ধৈর্য হারাবেন না। অধৈর্য হবেন না। সুরা বনি ইসরাইলে আল্লাহ আমাদের অধৈর্য হতে মানা করেন। স্বয়ং কাফকাও এই ব্যাপারে আমাদের সতর্ক করেন। অধৈর্য্যের হেতুতেই আমরা স্বর্গ থেকে বিতাড়িত এবং এরই কারসাজিতে আর স্বর্গে যাইতে পারতেছি না। কী প্যাথেটিক অবস্থা আমাদিগের।
আমি আমার জীবনের এক গল্প আপনাদের বলব। কীভাবে ধৈর্য্য ধরা ও শান্ত থাকা জীবনে সুফল নিয়ে আসে, তার গল্প।
একবার আমি একটা কবিতা পড়েছিলাম। এক কাঠুরে, এক স্বর্ণকার, এক তাঁতি ও এক সিঁদুরবিক্রেতার গল্প নিয়ে কবিতা।
তারা গেছিল নন্দীগ্রামে। সেই নন্দীগ্রামটা কোথায়, আমি জানি না। রাতে কাঠুরে অনেক ভেবেচিন্তে কাঠ দিয়ে বানাল নারীমূর্তি। সে ঘুমিয়ে পড়লে স্বর্ণকার উঠে অলঙ্কার পরাল নারীমূর্তির গায়ে। সে ঘুমিয়ে গেলে, তাঁতি উঠে চমৎকার পোশাক পরাল নারীটিকে। এবং সে ঘুমিয়ে গেলে, ধৈর্য্য ধরে, শান্ত চিত্তে যে এতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিল, সেই সিঁদুরবিক্রেতা ভোরে ঘুম থেকে উঠে নারীটিকে সিঁদুর পরিয়ে দিল, এবং তাকে নিয়ে চলে গেল।
এই কবিতাটি পড়ে আমি ধৈর্য্যের শিক্ষা পাই। আপনারা অনেকেই জিজ্ঞাস করেছেন, আমি দেখতে সাধারণ হলেও আমার স্ত্রী সাজেদা খানম এতো সুন্দরী, এটা কীভাবে হলো? আমি এর পুরো কৃতিত্ব দেব আমার ধৈর্য্যগুণ ও স্থিতধী মানসিকতাকে। ওই সিঁদুরবিক্রেতার মত, আমিও ঠিক সময়ে ধৈর্য্য ধরে, সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করতে পেরেছিলাম।
আর কিছু বলব না। আপনাদেরকে কেবল ধৈর্য্য ধরে সব দেখতে বলব আমি।
এরপর ইচ্ছা হলো, মিজানুর রহমান মিজানের ভ্লগ খুঁজতে। তার ভ্লগ পেলাম।
দেখলাম তিনি বলছেন, দেখেন প্রতি বছর ৭ বিলিয়ন মুরগির বাচ্চা মাইরা ফেলে। জন্মানোর পর চেক কইরা দেখে কোনটা মোরগ বাচ্চা আর কোনটা মুরগী বাচ্চা। বাইছা দুর্বল মোরগ বাচ্চাগুলিরে, যেগুলি তাদের ডিম উৎপাদনের কাজে লাগবে না, সেইগুলারে মাইরা ফেলে।
এই অন্যায় অনবরত করে যাইতেছে ডিমের ইন্ড্রাস্ট্রি।
আর সেই ডিম আমি আপনি খাই।
কী দুনিয়া আমাদের, ব্যবসা আর ব্যবসা।
এর মাঝে আমাদের বাসায় চুরি, এইটা কোন ঘটনা হইল?