সৌরভ মাইক্রোবায়োলজি তে গ্র্যাজুয়েশন করে এখন একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। পড়াশুনোর সঙ্গে সঙ্গে সৌরভের বরাবরের উৎসাহ ছিল নাচ, থিয়েটার, এবং মডেলিং-এ। এর পাশাপাশি গুণী সৌরভ একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাচিকশিল্পীও।
সৌরভকে ফোনে জিজ্ঞেস করলাম যে এরকম একটা সিরিজ করার ভাবনা ওর মাথায় কি করে এল। সৌরভ জানাল, যে অন্য অনেক বাঙালির মতই ও নিজেও সংযুক্তা ব্যানার্জি এবং পায়েল দে-র দুর্গার দ্বারা প্রভাবিত। এ ছাড়াও পানপাতার মত মুখ ও টানা টানা চোখের জন্য সৌরভকে প্রায়ই অনেকে বলত যে ওকে দুর্গারূপে ভালো মানাবে। সেইখান থেকেই ওর মনে হয়, যে তবে একবার চেষ্টা করে দেখাই যাক। সেই ভাবনা থেকেই গত বছর অভিজ্ঞ মেকআপ আর্টিস্ট দেবু দাস-এর সঙ্গে ওর এই কাজের শুরু। তবে তা পূর্ণাঙ্গ রূপ পেয়েছে এই বছর এই পুরো সিরিজটার মধ্যে দিয়ে, যেখানে সৌরভ শুধুই দুর্গা নন, বরং সেজেছেন লক্ষ্মী, কালী, এবং শ্যামাও। এই অসামান্য সিরিজে সৌরভ-এর সঙ্গে ছিলেন মেক-আপ আর্টিস্ট সঞ্জয় মণ্ডল, ফোটোগ্রাফার শুভম সরকার এবং সংগীত রায়। স্টুডিও পার্টনার ছিল স্টুডিও ঋ এবং তার কর্ণধার অরিন্দম বাবু। এছাড়াও পুরো প্রজেক্টটি রূপায়ণে সাহায্য করেছেন দেবোপম দাস, রাহুল রায়, এবং সঞ্জু হালদার।
সৌরভের এই ছবিগুলো দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল, সত্যিই তো, মা যদি সর্ব জীবে বাস করেন, তিনি যদি সর্বভূতেষু সংস্থিতা হন, তাহলে তাঁর রূপ নির্মাণে লিঙ্গভেদ কেন?
সৌরভ ও অন্যান্য কলাকুশলীদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করতে চাইলে আমাদের জানাতে পারেন।