মূক
কিছুই বলবার নেই আর
শুধু এইটুকু—
ঠিক এইটুকু আছে বলবার
যৌনতার রাজনীতি
একসময় আমিও ভাবতাম,
আমাকে গ্রহণ করবে তুমি
সব রসকষ, চ্যাটচেটে আঠালো মাটির ভিতর
কেঁচো-কেন্নো সহ
বিফল মনোরথ
ফুলের মতন আমি—
তোমাকে আজ ভুল বোঝাতে চাইছি
গান
দেহ তো কোনো আতরদান নয়—
অপরূপ ঐ পাহাড় থেকে তবু সুগন্ধি মেঘ
ঢুকে পড়ে ঘরে, জানালা দিয়ে
সংকেত
এই ভাঙা অক্ষরবৃত্ত আমাকে ছেড়ে
একদিন চলে যাবে আরও দূর
বাংলার প্রত্যন্ত কোনো গ্রামে—
এই লেখা অর্থহীন মনে হবে সেইদিন
তারও কী গভীর কোনো তাৎপর্য আছে?
ঢলঢলে ধানক্ষেত ও মেঘলা বিকেলের সন্নিকটে
অস্পষ্ট আলোর নীচে যেরকম
অংশত ছাউনিহীন এই শীতলা মন্দির
মৃত্যু
১.
আর কখনো বুনো কুল পাড়তে
যাব না দফাদার বাড়ির পিছনের জঙ্গলে—
একে তুমি কেন ডাকবে অন্য কোনো নামে?
২.
কিছুতেই না-বলতে পারি না
কিছুতেই বলতে পারি না, না, এসো না
কক্ষনো এসো না—
স্টেশন রোড থেকে, বাসস্টপ থেকে,
এমনকি বাড়ির সামনে এসে, ফিরে যেয়ো।
৩.
যেসব মিথ্যার জন্ম দিই প্রতিদিন—
একদিন বারুণী মেলার মাঠে
আগুন জ্বলছে ইতিউতি
ছেঁড়া চটি, গতরাত্রির ক্লান্ত আলো
বাতাস বইছে ধীরে...
সব মিথ্যা, স্যাঁতসেঁতে অন্ধকার,
ঘরপোড়া গরু হয়ে ছুট লাগাবে আকুল
মেঘচ্ছায়ায়, ক্ষীণতোয়া নদীটির দিকে