বেশ কিছু দিন ধরে ব্যাপারটা লক্ষ্য করছে সে । প্রথমটায় অত আমল দেয় নি। কিন্তু সেদিন আবারও। হঠাৎই ঘুমটা ভেঙে গেলো সুলতার। ভোর হতে তখনো বেশ কিছুটা বাকি। খোলা জানলা দিয়ে একটা মৃদু আলো আসতে গিয়ে থমকে আছে যেন। মশারির মধ্যে ঝুঝকি আঁধার। ঘুমজড়ানো চোখে সুলতা চেয়ে দেখল পাশে শুয়ে ঝন্টু ডান হাতটা শূন্যে তুলে প্রবল বেগে ঘুরিয়ে চলেছে। আশ্চর্য। এ আবার কী অদ্ভুত আচরণ! ভয় ভয়ে সে ঝন্টুর গায়ে ধাক্কা দিয়ে ডাকল,এই শুনছো?
কী,কী বলে ধড়মড় করে উঠে বসতে গেল ঝন্টু। সুলতা বলল,আহা উঠছো কেন,শোও না। বলছি অমন করছো কেন?
- কী করছি?
- না কিছু না,ঘুমাও।
- কী করছি বলবে তো?
- ঐ কেমন যেন হাত পা ছুঁড়ছিলে।
- খামোখা হাত পা ছুঁড়বো কেন?আমার কি মাথা খারাপ হয়েছে?
- হুম,তাও তো বটে,তবে হয়তো ছোঁড়ো নি,আমারই দেখার ভুল। নাও এখন ঘুমাও। বলে সুলতা পাশ ফেরে।
ঝন্টুও গজগজ করতে করতে উল্টো দিকে ফিরে বলে, আর ঘুম, রাত তো ফর্সাই হয়ে গেলো।
সুলতা বলল, না না ভোর হতে দেরি আছে, তুমি ঘুমোও। মনে মনে বলল, আর ভোর হলেই বা কি তুমি তো ঘুমোবে সেই দুপুর বারোটা পর্যন্ত।
ঘুমিয়ে পড়ে ঝন্টু। কিন্তু আর ঘুম আসে না সুলতার। চোখের পাতাদুটো টেনে চেপে বন্ধ করে রেখেও আর ঘুমাতে পারে না সে। উসখুস করে শরীরের ভেতর টা। চোখের ভুল, মনের ভুল বলে কতোক্ষণ আটকে রাখা যায় সত্যকে! ঝন্টুকে আজকাল কেমন যেন অচেনা লাগে তার। শুধু ঝন্টু কেন চারপাশটাই তো অচেনা হয়ে গেলো।
খানিকক্ষণ এপাশ ওপাশ করে উঠে পড়ে সুলতা। দরজা খুলে গিয়ে দাঁড়ায় বারান্দায়। দেওয়ালে হেলান দিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে খানিকক্ষণ। পাঁশুটে আকাশটা ক্রমে লাল হয়। কুঁড়ি ফোটার মতো একটু একটু করে পাপড়ি মেলে দিন।তার চোখ যায় উঠোনের পূব কোণে। বর্ষার জল পেয়ে থোপা টগর গাছটা ফুলে ফুলে সাদা হয়ে আছে। থোপা টগর তার বড়ো পছন্দের। শখ করে সে চারা গাছটি এনে লাগিয়েছিল। কিন্তু আজ কেমন বুকটা ধড়াস করে উঠলো। মনে হলো সাদা থান কাপড়ে ঘোমটা দিয়ে কে যেন দাঁড়িয়ে আছে। সে তাড়াতাড়ি দরজা বন্ধ করে দিয়ে ঘরে চলে এলো। তারপর চৌকির পায়ায় হেলান দিয়ে বসলো মেঝেতে। এখনো চা করার সময় হয় নি। অথচ বিছানায় গিয়ে শুতেও আর ইচ্ছে করছে না। এতোদিনের অভ্যাস চট করে কি আর বদলে ফেলা যায়? কিন্তু ঝন্টু, তার ছেলে এরা সব কতো সহজেই বদলে ফেলেছে তাদের হাবভাব।
ভোর না হতেই উঠে পড়তো ঝন্টু। সঙ্গে সঙ্গে উঠে পড়তে হত সুলতাকেও। তারপর জামা প্যান্ট গলিয়েই ঝন্টু বেরিয়ে যেত কাজে। ওফ কী মেজাজ তখন তার । মুখে কাঁচা খিস্তির বন্যা। আমার গেঞ্জি কই,আমার বারমুডা কই..খইনির ডিবে টা কোথায় গেল? বসে বসে গতরে ছ্যাতলা পড়বে তোর। কিচ্ছু ঠিক করে রাখতে পারিস না। আবার যেদিন মুড ভালো থাকতো সেদিন বেরনোর সময় সুলতার এদিক ওদিক একটু খিমছে দিয়ে বলতো, একটা কোট বানাবো জানু। একটু ঠাঁটবাট না থাকলে আর চলছে না। দোকানে একটা এ-সি ও লাগাতে হবে। পার্টি ধরেচি বুঝলি! কপালে হাত ঠেকিয়ে সুলতা বলতো, দুগগা দুগগা এসো। তোমার কাজটা পারমেন্ট হয়ে গেলে বাঁচি। আমি মানত রেখেছি। ঝন্টু বলতো গাধি আমি কি চাগরি করি যে কাজ পারমেন্ট হবে। বল দোকানটা পারমেন্ট করতে হবে। তা ধরতে পারিস পারমেন্ট ই। আমাকে ওখান থেকে কেউ উঠাবে না। ব্যাটারা খাবে কী ? ফুঁকবে কী? তবে হ্যাঁ কাঠি করার তো লোকের অভাব নেই। তাই ধরে থাকা লাগবে। তা ওসব ঘাঁতঘুঁত তোর সোয়ামী ভালোই বোঝে, তোকে চিন্তা করতে হবে না। শুধু গাড়িতে একটু তেল ঢালিস মাঝে মাঝে তালেই হবে। বলে দুবার খিক খিক করে হেসে প্যাডেলে চাপ দিত ঝন্টু।
এই ছিল প্রায় নিত্য দিনের ঘটনা। রাজ্যের মস্ত বড়ো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চার চার খানা ইয়া বড়ো ছেলেদের হস্টেল। এক আর দুই নম্বর হস্টেল আবার করিডর দিয়ে জোড়া। সেই করিডরের মাঝখানে ঝন্টুর ক্যান্টিন। ছিল প্রথমে চা সিগারেটের দোকান। পরে নেতার বুদ্ধিতে শুরু হলো ক্যান্টিন। আহা। আর দেখতে দেখতে কলেজের ছেলেদের প্রাণ হয়ে উঠলো ঝন্টু চরণ পোদ্দার। সকালে চা বিস্কুট,তারপর ওমলেট আর বাটার টোস্ট। উঁহু বাবা ঝন্টু চরণের একটা মান আছে। সে কোন দিন ওসব মামলেট টামলেট বলে না। বডি বিল্ডার আজফার,তার জন্য ছটা সেদ্ধ ডিমের সাদা,কুসুম বাদ। তার থেকে একটা কুসুম খোকার জন্যে, একটা খোকার মার,একটা নিজের। বাকি তিনটে স্যান্ডউইচের পুরে। এছাড়া আছে ধোসা। পুরু চাটু কিনেছে সে কলকাতা থেকে। বিকেলে চাউমিন আর চিকেন পকোড়া। ওফ জমে ক্ষীর।ঝন্টুর উত্থানের শুরু। এদিক ওদিক দিয়ে সে বেশ খানিকটা বাড়িয়ে নিয়েছিল তার জায়গা। সাজিয়ে গুছিয়ে নিয়েছিল চেয়ার টেবিল। চা, কফি, সিগারেট, সঙ্গে আড্ডা। কতো শিক্ষিত সব ছেলে পেলে, তবু তারা সব ঝন্টুকে বস বলে। দেবা, যে কিনা সেবার আর্ট এ দিল্লি থেকে মেডেল এনেছে, সে তো ঝন্টুকে একখানা কার্ড ও বানিয়ে দিয়েছিল,এককোণে ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপ, পাশে লেখা সিইও অব ঝন্টুস ক্যান্টিন,মিস্টার ঝিন্টু চরণ পোদ্দার। সঙ্গে ফোন নম্বর।
দেখনদারি একখান ফোন কিনেছে ঝন্টু। সাফারি স্টাইলে বানিয়েছে জামা। বুক পকেটে রাখা ফোনটা বেজে উঠলে সে বেশ ইস্টাইলে ফোন ধরে। আগে একাই করতো সব । এখন একজন রাঁধুনিও রেখেছে সঙ্গে। চলছিলো বেশ। একখান ছেলে। কচিপানা বৌ,আর কী চাই। একটা বাইক কিনবে এবার। সরকারি আবাস যোজনাতে পাকা বাড়ি,গ্রিল গেট এমনকি আর একটু খরচাপাতি করে টাইল লাগানো একটা বাথরুমও বানিয়ে নিয়েছে সে। ওফ তার বৌয়ের কী খুশি। সাবান মাখা যেন আর শেষই হয় না। তোড়ে গালি দিয়ে দরজা ধাক্কিয়ে সে বউকে সেখান থেকে বের করে। এই শালি বের হ' আর কত চান করবি! আবার সুযোগ বুঝলে বউকে টেনেও নেয় স্নানের সময়।
ছেলের পড়াশোনার ব্যাপারে ঝন্টুর কড়া নজর। ব্রিলিয়ান্ট ছেলেদের সঙ্গে তার ওঠা বসা। তার ছেলে যদি ঠিকমতো লেখাপড়া না করে তবে চলবে কেন! প্রাইভেটে মাস্টার দিয়েছে সে প্রথম থেকেই। ছেলের জন্যই, আসলে ছেলের জন্যই ঝন্টু রাজি হয়ে গেল নেতার কথায়। এবার পুরিয়া রাখবে দোকানে। গাঁজার পুরিয়া। নেতা মানে কলেজ নেতা। সে ঝন্টুর কাঁধে হাত রেখে বলেছিল, আরে এতো ওপেন সিক্রেট, সবাই টানে। তোর রাখতে কী! তাহলে ছেলেপুলেকে আর মাঠ পেরিয়ে অতদূর যেতে হয় না। আর তোর ও কাটতি টা বল,লাল হয়ে যাবি,লাল।
ঝন্টু কাঁচুমাচু মুখ করে বলেছিল, ভয় করে দাদা। কোনো দিন তো দুনম্বরী করি নি।
দাদা সিগারেটের ভেতর থেকে মাল মশলা হাতের তালুর ওপর ঝেড়ে বলেছিল,দেখা কোথায় তোর নম্বর লেখা আছে দেখা।এক দুই কিছুই তো লেখা নেই।ভরবি আর ছাড়বি।এ তো তোর সেধে আসা লক্ষ্মী।
রাজি হয়ে গিয়েছিল ঝন্টু। ছেলেটা কে যদি একটা ভালো কোচিং ক্লাসে দেওয়া যায়! ব্যবসা যদি আর এট্টু বাড়ানো যায়। ওর ভবিষ্যৎটার আর চিন্তা থাকে না। এছাড়া এই যে এখানে তার ক্যান্টিন থাকবে, এই এগ্রিমেন্টটা একে ধরে তাকে ধরে না করে যদি সরকারি ভাবে করা যেত তাহলে কোন পার্টি এলো কে গেলো এসব নিয়ে চিন্তা থাকতো না। আর সব কিছুতেই দরকার টাকা।
লোভ। লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। ঝন্টু দেখল এক আশ্চর্য ঘটনা। যেদিন দোকানে পুরিয়া ঢুকলো সেদিন রাতে সাইকেল চালিয়ে সে যখন বাড়ি ফিরছে তার মনে হলো যেন এক বৃহৎ কালো মশারি একটু একটু করে ওপর থেকে নেমে আসছে মাথার ওপরে। তার মনে হলো এখুনি সে আটকে পড়বে জালে। সে প্রাণপণ সাইকেল চালাতে লাগলো। বাড়ি ফিরে হাঁফাতে হাঁফাতে সে বসলো খাটে। গামছা দিয়ে গলা ঘাড়ের ঘাম মুছে ঢকঢক করে এক গ্লাস জল খেলো। তারপর টিভি খুলল।আর হ্যাঁ তখনই দেশের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন কী এক অসুখ ছড়িয়ে পড়ছে দেশে দেশে। এক অজানা জ্বর। সে নাকি এমন ছোঁয়াচে রোগ যে গ্রাম, পাড়া,শহর সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে হু হু করে। টপাটপ মরে যাচ্ছে মানুষ। তাই দেশ জুড়ে কার্ফিউ। বন্ধ হয়ে গেল বাজার হাট, স্কুল কলেজ সব। হস্টেল ছেড়ে দিয়ে বাক্স পেটরা গুছিয়ে নিয়ে ছেলেরা চলে গেলো বাড়ি। বন্ধ হয়ে গেলো ঝন্টুর সাধের ক্যান্টিন।
চালু হলো ফ্রি রেশন। চিন্তা কী,ভাতের তো অভাব হচ্ছে না। জমা টাকায় দুধটা, ডিম টা। স্কুল বন্ধ,তাই ছেলেটাও নেচে বেড়াচ্ছে সারাদিন। কিন্তু বসে খেলে সমুদ্রের জলও যে শুকিয়ে যায় আর সে তো নিতান্তই ডোবা। ভেবেছিল বন্ধ আর কদিন থাকবে,খুলে যাবে সব। কিন্তু খুলল না।মাস গড়িয়ে গেলো বছরে,তাও, তাও। দেড়টা বছর সব বন্ধ। জঙ্গল হয়ে গেছে অমন সাজানো ভার্সিটি। ভাঁড়ার শূন্য হচ্ছে ক্রমশ। ভূতগ্রস্তের মতো ঝন্টু ঘুরে বেড়াচ্ছে এদিক ওদিক। কিম্বা বেলা পর্যন্ত পড়ে পড়ে ঘুমোচ্ছে। আর সুলতা পিঁপড়ের মতো ছুটে বেড়াচ্ছে খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহে। ছেলের স্কুলের মিড ডে মিলের চাল আলু সয়াবিন, চিনি, সাবান, রেশন দোকানের চাল ডাল। দুবেলা দুমুঠো খাবার তো সবার মুখে তুলে দিতে হবে তাকে!
এতো ঝড় ঝাপটা একা তো সে সামলে নিচ্ছে কিন্তু ঝন্টুর এমন আচরণ তাকে খুব ঘাবড়ে দিচ্ছে। সারারাত ঝন্টু কেমন অদ্ভুত ভাবে হাত পা নাড়ে।অন্যসময় ডাকলে উত্তর নেয় না। এবার বোধহয় তাকে ডাক্তার না দেখালেই নয়। হাসপাতালে ডেট নিল সুলতা।
ডাক্তার বাবু ঘর বন্ধ করে অনেকক্ষণ ঝন্টুর সঙ্গে কথা বললেন,তারপর সুলতা কে ডেকে বললেন আসলে চোখ বুঝলেই ঝন্টু ওর ক্যান্টিনে ঢুকে যায়। ঘটঘট করে কাপের মধ্যে ডিম ফেটায়, কেটলি দুলিয়ে দুলিয়ে চা ঢালে কাপে। যত দিন যাচ্ছে ঝন্টু চরণ ক্যান্টিনের চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দী হয়ে যাচ্ছে। বোতল বন্দী ভূতের গল্প শুনেছে সুলতা এও কি অনেকটা সেরকম?
ঘাড় নাড়লেন ডাক্তারবাবু, হ্যাঁ।
এখন উপায়?
আপাতত উপায় একটাই,ওষুধ আর পর্যাপ্ত ঘুম।
সেই থেকে পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে ঝন্টু। দুপুরে ঢুলুঢুলু চোখে খেতে ওঠে আর যত অদ্ভুতুড়ে কথা বলে, বলে সব জা'গায় জঙ্গল,ডাইনোসর চরে বেড়াচ্ছে ইউনিভার্সিটি মাঠে,তাদের এত্তো বড়ো ভারী ভারী পা। আমার মাথাটা পিষে দেয়,আমার ঘুম পায়। খোকা ইসকুলে যায় না তো?ওখানেও ভয়। সবখানে ভয়। চল ঘুমিয়ে পড়ি। কী শান্তি ঘুমালে।
এইসব কথা শুনে সুলতা লুকিয়ে আঁচলে চোখের জল মোছে। সত্যি বলতে কি ভয় যে তারও লাগে,খুব ভয়। ঘরের আনাচে কানাচে যেখানে যেটুকু গোঁজা ছিল শেষ সম্বল একশ দুশো টাকা তাও ফুরিয়ে আসছে। ছেলেটাও ইস্কুলে যায় না। সারাদিন হুমড়ি খেয়ে মোবাইল ফোনে পড়ে আছে। কী নাকি তাদের অনলাইন ক্লাস চলে, ফুটবল খেলছে তাও ওই মোবাইলে। সারা বাড়ি টা যেন আঁধার হয়ে আছে। সারা পৃথিবীটাও। কেবল জ্বলজ্বল করছে, দপদপ করছে ওই এক যন্ত্রখানা । সুলতার ইচ্ছে করে এই ঘুমন্ত পৃথিবীটা ছেড়ে ওই মোবাইল ফোনের ভেতরে ঢুকে পড়তে। মনে হয় ওই সমুদ্দুরের মধ্যে ঝাঁপ দিয়ে পড়তে পারলেই সে তুলে আনতে পারবে সোনার কাঠি, যার ছোঁয়ায় জেগে উঠবে আবার চারপাশ ।সে শখ করে কেনা ড্রেসিং আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। যত্নে পড়ে টিপ। ঠোঁট রাঙায় রক্তরঞ্জনীতে। তারপর বুকের আঁচল সামান্য সরিয়ে মোবাইল ফোনে ভিডিও ক্যামেরা অন করে দেয়।ক্যামেরা চলতে থাকে।
আলো আঁধারি ঘরে মোহময়ী সুলতার বস্তু শরীর বিলীন হয়ে যায়।সে আর ঝন্টুর বউ থাকে না, খোকার মা থাকে না। এক নীল তরঙ্গমালার মতো কুণ্ডলী পাকিয়ে ঢুকে পড়ে যন্তর মন্তরে।
মানি ট্রান্সফার হয় ডলার থেকে রুপিতে। উপচে ওঠে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।