এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • সব কান্ড কাল্পনিক #১ মিঠে কড়া

    Prasun Das লেখকের গ্রাহক হোন
    ১০ আগস্ট ২০২৫ | ৭৬ বার পঠিত
  • পাশের হোঁৎকা লোকটাকে কনুই দিয়ে এক কোঁত্‌কা মেরে এগুনোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু, বিধি বাম। সামনে একটা ঢ্যাঙা লোক দাঁড়িয়ে। কোনোমতে তার বগলের তলা দিয়ে গলে একেবারে সামনের সারিতে পৌঁছানো গেলো। কিন্তু, সে কোথায় ?
    ও হরি, এতক্ষন তোমাদের বলাই হয় নি কিসের জন্য এই গুঁতোগুঁতি চলছে! বাঘ দেখা নিয়ে। বনে নয়, চিড়িয়াখানায়। বোঝো দুরাবস্থা খানা।
    কোনোমতে টাল খাওয়া চশমাটা সামলে নিয়ে দেখি সামনে এক গাছের ছায়ায় বাঘ বাবাজি চিৎ হয়ে শুয়ে আছেন। দু হাত ভাঁজ করে মাথার নিচে দিয়ে কি যেন আকাশ পাতাল ভাবছেন তিনি। গুরুগম্ভীর চেহারা। আশপাশের অসভ্য মানুষগুলোর অসহনীয় চিৎকার চ্যাংড়ামো কিছুই যেন স্পর্শ করছে না তাকে।
    হঠাৎ কানের কাছে ভরাট গলায় কে যেন বলে উঠলো, "কত করে দর যাচ্ছে?"

    চমকে চারদিকে তাকিয়ে ভাবছি কানে কিছু দোষ হলো? নাকি মাথাটা একেবারেই.....
    সামনে দেখি বাঘটা সটান আমার দিকেই তাকিয়ে। আমায় বলল, "হ্যাঁ, তোকেই জিজ্ঞাসা করছি"
    গলাটা খটখটে শুকনো। কোনোমতে চিঁ চিঁ করে বললাম, "কিসের দর?"
    "মানুষের; আবার কার কথা বলছি?", ধমক দিয়ে উঠলো বাঘটা।
    মাথাটা ভোঁ ভোঁ করছে। অজ্ঞান হয়ে যাবো নাকি? সেটাই বোধহয় সুবিধের হবে।
    বাঘটা আবার আকাশের দিকে তাকিয়ে একটা পায়ের উপর আর একটা পা তুলে বলল, "অবিশ্যি; মান এবং হুঁশ যাদের আছে তাদের বাদ রেখেই বললাম।"
    কি অপমান!
    প্রতিবাদ করলাম, "জানেন মানুষ পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণী?"
    স্বাদন্ত দেখানো একটা বাঁকা হাসি হেসে বাঘটা বলল, "বলি, কে দিয়েছে সেই সার্টিফিকেট? নিজেরাই নিজেদের ঢাক পেটানো হচ্ছে?"
    উঠে বসলো বাঘটা। "সে তো দেখাই যাচ্ছে। প্রাণীগুলোকে জঙ্গল থেকে ধরে এনে খাঁচায় বন্দী করে ক্ষমতার আস্ফালন। তারপর শুরু হয় দর্শকের ঢিল, অশ্রাব্য চিৎকার আরও কতোধরণের জ্বালাতন!..... শ্রেষ্ঠত্বের সঙ্গে আসে উদারতা, দায়িত্বশীলতা। যা তোদের নেই।"
    আমি চুপ; সত্যিই কিছু বলার মুখ নেই।
    বাঘটা উঠে দাঁড়ালো। পায়চারি করতে করতে বলল, "ইচ্ছা হয় সব ব্যাটাকে ধরে ঘাড় মটকে দি। কিন্তু, আমরা তোদের মত অকারণে কাউকে আঘাত করি না। তোরা নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থ পূরণের জন্য সারা পৃথিবীটাকেই ধংসের মুখে ফেলে দিয়েছিস। সারা পৃথিবী জুড়ে চলছে হত্যালীলা।"
    শুনতে শুনতে মনে হচ্ছিল ধরণী দ্বিধা হও, ঢুকে পড়ি মাটিতে।
    বাঘ বলে চললো, "গাছপালা জঙ্গল নদী পাহাড় থেকে শুরু করে পশু পাখি জলের প্রাণী কাউকেই ছাড়িস নি। তাতেও তোদের শান্তি হয়েছে? সংসারের মধ্যে খুনোখুনি থেকে শুরু করে দেশে দেশে যুদ্ধ। সব কিছুর মূলে ঠুনকো ক্ষমতার লোভ আর এলাকার দখলদারি। আরে, যে ডালে বসে আছিস সেটাই কেটে ফেলেছিস তোরা।"
    "তাই, তোদের কোনো দর নেই আমাদের কাছে, এই প্রকৃতির কাছে", সোজা আমার দিকে তাকিয়ে রাগে গরগর করছে সে।

    পরিস্থিতি একেবারে পুদিচ্চেরি। কোনোমতে ঢোক গিলে সামাল দিতে বললাম, "সব মানুষই এরকম খারাপ নয়।"
    বাঘ একটু শান্ত হয়ে বলল, "সেজন্যই এখনও সব সাবাড় হয়ে যায় নি।"
    আমার দিকে তাকিয়ে বলল, "বাড়ি ফিরে একা বসে চিন্তা করিস - তুই কোন দলে?"
    তারপর গর্জে উঠলো, "এখন যা এখান থেকে, চলে যা...হা লু ম"
    বাপরে, কি দাপট।

    মনটা খারাপ হয়ে গেলো। বাদাম কিনে চিবোতে চিবোতে এলোমেলো হাঁটতে শুরু করলাম। গন্ডারের এলাকার কাছে এসে দেখি পাঁচিলের ধারে কি যেন চকচক করছে। সামনে গিয়ে দেখি, ও মা, একটা দূরবীন। তা, কি আর করি, চোখে লাগালাম দূরবীন। দেখি, দূরে গন্ডার বাবাজি ঘাস চিবোচ্ছেন। আরে, ওটা কি! নাকের ডগায় একটা রিমলেস চশমাও দেখছি!
    চশমা নিয়ে কিছু ভাবার আগেই গন্ডারটি আমার দিকে ফিরে বলল, "রেখেছ দেশভক্ত করে, মানুষ তো করো নি "।
    আবার !!!
    আর একটু হলেই দূরবীনটা হাত থেকে খসে যাচ্ছিল। যাই হোক, সামলে নিয়ে, গলা খাঁকরিয়ে বললাম, "মানেটা কি, দেশমাতৃকার ভক্ত হবে সেটাই তো চাই। হর কাম দেশ কে নাম।"
    "তাতে আপত্তি কিছু নাই। তবে, অন্ধ ভক্তি আর ভন্ডামির একটা সীমা থাকা দরকার। দেশের নামে চুরি, তার উদাহরণ রয়েছে ভুরি ভুরি।" গন্ডারের ঠোঁটে স্মিত হাসি।
    "চোখের ঠুলি খুলতে চাইলে কিছু তথ্য দিচ্ছি শোনো" - খানিক কড়া ভাবেই বলল গন্ডার।
    তথ্যভান্ডার খোলার আগেই আমি তড়াক করে বলে উঠলাম, "আর বছর সাত-আটেকের মধ্যেই ভারতের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের পরিমাণ সাত ট্রিলিয়ন ডলার-এ পৌঁছে যাবে খবরে শুনলাম। আমাদের দিন সত্যিই আচ্ছে হয়ে যাবে"।
    আড় চোখে একবার এদিক পানে তাকিয়ে গন্ডার বলল, "পৃথিবীর চারভাগের মধ্যে তিন ভাগই জল। এও তাই"।
    "২০২৩ সালে ভারতের জিডিপি ছিল ৩.৭ লক্ষ কোটি ডলারের কাছাকাছি। সাত বছরে সাত ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে গেলে বার্ষিক বৃদ্ধির হার ৯.৫ শতাংশের বেশি হওয়া প্রয়োজন। করোনা বিধ্বস্ত ভারতবর্ষে যেখানে একটা বড় সংখ্যায় মানুষ আয়ের হিসাবে নিম্ন মধ্যবিত্ত থেকে দরিদ্র সীমায় নেমে এসেছে, বেকারত্ব যেখানে ৮ (আট) শতাংশ, মুদ্রাস্ফীতি ৬ শতাংশের কাছাকাছি; সেখানে আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ নিয়ে এলে যদি তার কাছ বরাবর পৌঁছানো যায়। সেই অলীক কল্পনায়, ভারতের মাথাপিছু জিডিপি (GDP per capita ) ২০২৩ সালের ২৬০০ ডলার থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ৪৮০০ ডলারের সামান্য বেশি, যা, বর্তমানের যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের থেকেও কিছু কম। অর্থনৈতিক বিদ্বজ্জনেরা যেখানে বার বার বলে এসেছেন ভারতবর্ষের সামগ্রিক উন্নতির একমাত্র পথ স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো, সেখানে বাজেটের ১৩.৩% ব্যয় হয় সামরিক খাতে এবং শিক্ষায় ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ব্যয় হয় যথাক্রমে ২.৯% ও ২.১% ! হাস্যকর!"
    আমার হাঁ হয়ে যাওয়া মুখের ভিতর আক্রমণ করার জন্য অনেকক্ষন ধরেই একটা মাছি ফন্দি করছিল। বেগতিক দেখে মরিয়া হয়ে বললাম, "এসব পশ্চিমের চক্রান্ত। দেশের তথা মনুষ্যের এত উন্নতি আপনার চোখে পড়ছে না!"
    গন্ডার এবার একটা বিদ্রুপের হাসি হাসলো, "উন্নতি তো বটেই। আন্দাজ ২০ হাজার কোটি টাকার সেন্ট্রাল ভিস্টা প্রজেক্ট, ৩ হাজার কোটিরও বেশি টাকার স্ট্যাচু অফ্ ইউনিটি। হা হা হা.... দুর্নীতি ছাড়া এর কোন কোন বিষয়ে তোমাদের একতা আছে তা অবশ্য জানা নেই আমার। তাছাড়া, হালফিলের অযোধ্যা রাম মন্দির, ২ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি খরচা। কি ভক্তি!"
    "তাহলে আরও কিছু জ্ঞান দি তোমায়"
    আমি না না বলে ওঠার আগেই সে শুরু করলো, "world happiness index এ ভারতের জায়গা ১৩৬, গুনতি হয়েছে ১৪৬ দেশের মধ্যে। World hunger index এ ভারত ১২৫ টা দেশের মধ্যে ১১১ নম্বরে। Corruption Perceptions Index (CPI) তে ভারত ১৮০ টা দেশের মধ্যে ৯৩ নম্বর স্থানে। কিছু বলবে কি এরপর?"
    "এই সব ভুলভাল তথ্য" লড়ে যাচ্ছি আমি।
    গন্ডার হাসলো, "এটাই আশা করেছিলাম। বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইটেই আছে এসব তথ্য। স্মার্টফোনটা শুধু রিলস দেখা আর কূটকচালি করা ছাড়াও অন্য ভাবে ব্যবহার করে দেখো আখেরে নিজেদেরই লাভ।"
    দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া বিশেষ কিছু করার নেই আমার।
    গন্ডার বলে চললো, " এখন তো দেশ চালাচ্ছে কর্পোরেটরা। ভারত তাদের কাছে সোনার ডিম পাড়া হাঁস। নিজেদের কি প্রয়োজন সেটা যদি নিজেরাই না বোঝো তাহলে সরকার কি করবে? ১৪৪ কোটির দেশে জনসংখ্যা বাড়িয়ে চলেছো; খাবে কি, জীবনধারণ কিভাবে করবে কেউ কি ভেবে দেখেছো। ভোট দিয়ে যতসব অপদার্থ, দুর্নীতিগ্রস্তদের ক্ষমতায় আনছো, আবার আশাও করছো উন্নতির! কথায় বলে যে যেমন প্রজা তারা তেমন রাজা পায়। গুণমানের চেয়ে পরিমাণ তোমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ন। ফলাফল হাতেনাতে।"
    আমি আমতা আমতা করে বলে উঠলাম, "কিন্তু, এ রাজ্যে যে উন্নতির জোয়ার...”
    কথা আর ফুরোতে দিল না। গন্ডার প্রচণ্ড রেগে ভুরু কুঁচকে আমার দিকে তেড়ে এলো।
    পড়িমরি করে পালাতে যাচ্ছি অমনি মাথায় একটা টোকা।

    দেখি একটা হাতি শুঁড় দিয়ে আমার মাথায় আলতো চাপড় মেরে বলল, "চলো"।
    দুজন পাশাপাশি হাঁটতে শুরু করলাম। চুপচাপ। মনের মধ্যে অনেক প্রশ্ন উথাল পাথাল করছে। কিছুক্ষন পর, আর থাকতে না পেরে বললাম, "সব দোষই আমাদের?"
    হাতি উত্তর দিল, "সবটা না হলেও বেশিরভাগটা তো বটে। ভেবে দ্যাখো সেই আগুন জ্বালানো, চাকা আবিষ্কারের পর থেকেই পৃথিবীতে যা সামনে দেখেছো, পেয়েছ বা আবিষ্কার করেছো তার একটা বড় অংশই নিজেদের ভোগের কাজে লাগিয়েছো। কতশত প্রাণী, মৎস, উদ্ভিদ, বাস্তুতন্ত্র লোপাট হয়ে গেছে তোমাদের স্বার্থ পূরণে। তোমাদের জানার ইচ্ছার পরিবর্তে মাসুল গুনেছে এই পৃথিবী। ভারসাম্যটাই নষ্ট হয়ে গেছে এই সুন্দর জগতের।"

    আবার নিস্তব্ধতা। পাশাপাশি হেঁটে চলেছি দুজনে।
    এবার বলে উঠলাম, "এ সবই তো উন্নতির জন্য.."
    আমায় থামিয়ে হাতি বলল, " উন্নতি কাদের? তাছাড়া সব মানুষেরও কি উন্নতি হচ্ছে মননে, জীবনযাপনে? সারা পৃথিবীর মনুষ্য জগৎ এখন প্রধানত দু ভাগে বিভক্ত। শাসক ও শোষিত। এই চেয়েছিলে তোমরা?"
    চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে আমার। বললাম, "তাহলে উপায়?"
    হেসে উত্তর দিলো, "সঠিক জানি নে। তবে, অভিজ্ঞতা থেকে বলি, নিজের অহংবোধকে সরিয়ে রেখে সহজ ও সৎ ভাবে বাঁচো। পারলে চারিপাশে যে চাইছে তার দিকে হাত বাড়িতে দাও সাহায্যের.. বন্ধুত্বের। প্রাণী জগৎ, উদ্ভিদ জগৎ থেকে শেখো কিভাবে একে অপরকে সাহায্য করে বেঁচে থাকতে হয়। লোভ আর হিংসার জঞ্জাল থেকে মন কে মুক্ত করে মেতে ওঠো সৃজনশীলতায়।"
    আমি চুপ করে রইলাম।
    তা দেখে হাতি বলে উঠলো, "মনের ভিতর যে ছটফটানি সেটা শান্ত তখনই হবে যখন সত্যের খোঁজ পাবে।"
    "কি সেই সত্য?" আমি তাকিয়ে রইলাম।
    "প্রশ্ন করো নিজেকে হয়তো উত্তর পাবে। সত্য বড় কঠিন। সৎ থাকাও। নিজের কাছে সৎ থাকলে সব ভালো।" বলে দুলকি চালে এগিয়ে চলল হাতি।

    ক্লান্ত মনে ঝিলের ধারে বসে পড়লাম। একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে যে পরবর্তি প্রজন্মের জন্য কি রেখে যাচ্ছি আমরা?

    দূরে, কালচে সবুজ জলে এক ঝাঁক ঝকঝকে রাজহাঁস চরে বেড়াচ্ছে। যেন কালো হয়ে আসা মনের মধ্যে এক রূপালী ঝলক। দেখি, তারমধ্যে একটি রাজহাঁস আমার দিকে এগিয়ে আসছে। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি সে আরও কাছে চলে এসেছে আমার। আরও কাছে...
    তারপর তার ডানা দুটো মেলে যেন জড়িয়ে ধরতে চাইলো আমায়। আমার সব মনের কালো যেন ঢেকে যাচ্ছে তার ঝলমলে সাদা ডানায়। চোখ বুজে ফেললাম.....

    "বাবা...বাবা...”, ডাকটা আস্তে আস্তে স্পষ্ট হচ্ছে। ঘুমটা ভেঙে গেল।
    বাপরে, কি স্বপ্ন!
    গাছের ছায়াতে বসে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। দেখি মা আর মেয়েতে মিলে আইসস্ক্রিম খাচ্ছে আর আমার দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসছে। "এইটুকু সময় বসেই ঘুমিয়ে পড়েছো? আবার ফুরফুর করে নাকও ডাকছিলে। কি যে করো.."
    "ও, তাই বুঝি?", তখনও আমার ভ্যাবাচ্যাকা হাম্বা গোছের অবস্থা।
    মেয়ের আর তর সইছেনা, বলে উঠলো, "বাবা, চলো চলো আরও অনেক কিছু দেখার বাকি বাঘ, গন্ডার, হাতি .....”

    প্রসূন

    (লেখাটি ২৪ সালের প্রথম দিকে লেখা। তাই, সেই সময়কার তথ্যাবলী নিয়ে তৈরী এই ভাবনা-চিন্তা-দ্রুম।)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন