এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • সব কান্ড কাল্পনিক #৩

    Prasun Das লেখকের গ্রাহক হোন
    ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১৮ বার পঠিত
  • | |
    একটি রম্য-ভৌতিক গপ্প
     
    অমর বাবু মারা গেলেন। সেই কবেই কবি বলে গিয়েছেন অমর কে কোথা কবে। তা, অমর বাবু কে; সে বিষয়ে সেরকম কিছু বলারই নেই। এক্কেবারে ছাপোষা অম্বলে পেটের সমস্যায় জর্জরিত মধ্যবিত্ত বাঙালি। অবিশ্যি, আদিকাল থেকেই তাঁরা যে মধ্যবিত্ত ছিলেন তেমনটা নয়। অমরবাবুর প্রপিতামহ নাকি ছিলেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ....নাহ্, জমিদার নয়, ডাকাত। তিনি কব্জির কারিকুরিতে যা সম্পত্তি করেছিলেন তাতে অমর বাবুর অবস্থার যে বিশেষ কিছু পরিবর্তন হয়েছিল তা বলছিনে। বরং নিজ চেষ্টায় পাওয়া নামকরা প্রাইভেট ফার্মের কেরানীর চাকরিটা নিয়ে ওনার মনে প্রচ্ছন্ন একটা অহংবোধ ছিল।

    বউ গত হয়েছেন প্রায় এক যুগ হয়ে গেল। ছেলে-পিলে নেই। এ হেন অমর বাবুর জীবনে বলার মতো কিছুই নেই। 

    যাইহোক, জীবিতকালে কোনো সমস্যা নিয়েই এতটা বিচলিত হননি তিনি, যতটা এখন হচ্ছেন মরণের পর। পটল যদিও তাঁর খুব প্রিয় খাদ্য ছিল; পটল তোলাটা যে ততটা সুখকর নয় সেটা মরমে মরমে বুঝঝেন।

    ব্যাপারটা হচ্ছে, অমর বাবুর তিন কুলে কেউ নেই। মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজলেও কোনো নিকট আত্মীয় অথবা জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ দিয়ে কোনো দূরের আত্মীয়ের খোঁজ - সব চেষ্টাই বৃথা। তিনি না হয় এখন তাঁর এই সূক্ষ্ম দেহে সর্বত্র বিচরণ করতে পারেন, কিন্তু, এই জাগতিক দেহটার কিছু ব্যবস্থা করতে হবে তো!
    ভাবতে ভাবতে গলদঘর্ম অবস্থা তাঁর। 

    ছোট দুকামরার ফ্ল্যাট। দু তলাতেই। যদি দরজাটা খুলে রাখা যায় তাহলে উঠতে নামতে কারুর চোখ তো পড়াই উচিৎ। সেই ভেবে দরজা খুলতে গিয়েই কি বিপত্তি। তাঁর এই সূক্ষ্ম শরীরে দরজা ভেদ করে ঘরের বাইরে চলে এলেন যে। হতভম্ব অমর বাবু খানিক থমকে বোঝার চেষ্টা করলেন ব্যাপারটা। তারপর, আস্তে আস্তে তাঁর মুখে হাসি ফুটলো। হা হা করে জোরে খানিক হেসে উঠেই মুখ চেপে ধরলেন নিজের। কেউ যদি শুনতে পেয়ে মূর্ছা যায়! যতই হোক ভূতের হাসি বলে কথা। জীবিত কালে ভূতে বেদম ভয় পেতেন। নিজে ভূত হয়েও সেটা যায়নি তাঁর। আর, তাঁর মতো অন্য লোকেও তো থাকতে পারে, না কি? 

    অমর বাবু ভাবতে লাগলেন, পুরোনো অনেক কথা। মরলে হয়তো এরকম বোধ হয়। ভাবতে ভাবতে হঠাৎ মনে পড়লো, ছোটবেলায় তাঁর ইচ্ছে হতো পাখির মতো ওড়ার। জীবিতকালে তো সেটা পূরণ হয়নি। এইবেলা সে ব্যাপারটা একটু চেখে দেখা যাক। আর দেরি না করে দৌড়ে দোতলার দেওয়াল ফুঁড়ে এক্কেবারে বাইরে ঝাঁপ। 
    বাহ্, দিব্বি তো ভেসে বেড়াচ্ছেন আকাশে। কিছুটা চিৎ সাঁতার, তারপর ডুব সাঁতারে উড়ে বেড়ালেন এদিক ওদিক। 

    বাহ, উঁচু থেকে দেখলে সবকিছু কত পরিষ্কার দেখায়। ওই তো দেখা যাচ্ছে রমাপদ বাবু বীর বিক্রমে বাজার থেকে ফিরছেন। মনে হয় আজ কচি পাঠা জয় করেই ফিরেছেন। এ ব্লকের রুনুর সঙ্গে ও পাড়ার সদ্য গোঁফ ওঠা ছেলেটির প্রেম বেশ ভালই জমে উঠেছে দেখা যাচ্ছে। ওই দেখো, সেই সাদা পেট মোটা বিড়ালটা কার বাড়ি থেকে মাছ চুরি করে বেশ ভালোমতো খেয়ে গোঁফে তা দিতে দিতে যাচ্ছে। মাঝে মাঝেই সে অমর বাবুর ফ্ল্যাটে অনধিকার প্রবেশ করে। নিজের ইচ্ছামত যেথা সেথা ঘুরে তদন্ত করে যায়। অমর বাবু মুখে বলেন , "এর পর আর দেখতে পেলে মেরে ঠ্যাং খোঁড়া করে দেব"। কিন্তু কিছুই করেন না। আর, বিড়ালটাও অত পাত্তা দেয়না। আসলে, একা মানুষ, তাই বিড়ালটার সান্নিধ্য ভালই লাগে অমর বাবুর। কেমন যেন মায়া পড়ে গেছে। ভাবতে ভাবতে চোখ ছলছল করে ওঠে অমরবাবুর। গলা খাকরিয়ে নিজেকে সামলে নিলেন। পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে দিব্যি কেটে পড়ার ধান্দা করছেন, এর মধ্যে এ আবার কি ইমোশান!
     
    আর, ওই দেখা যাচ্ছে বিল্টু। ব্যাটা মহাপাজী ছেলে। কাজ নেই কম্ম নেই যখনতখন অমরবাবুর ফ্ল্যাটের কলিং বেল বাজিয়ে পালায়! একবার তো কলিং বেলের শব্দ শুনে তাড়াতাড়ি দরজা খুলতে আসছিলেন। সাদা বিড়ালটা সবেমাত্র তদন্ত সেরে একটু ঝিমুনি দিচ্ছিল। ব্যাস। প্রায় পেটে পা তুলে দিয়েছিলেন আর কি! 

    বিল্টুকে দেখে অমর বাবুর মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল। ছোটবেলায় বিজ্ঞান বইতে পড়েছিলেন পদার্থ কণা তথা পরমানুরা ঘনীভূত হলে ধীরে ধীরে বাষ্প থেকে তরল তা থেকে কঠিন পদার্থে পরিণত হতে পারে। তাহলে তিনিও চেষ্টা করল নিশ্চয়ই অল্প সময়ের জন্য কঠিন হয়ে উঠতে পারেন। কাজটা কঠিন তবে চেষ্টা করে দেখাই যাক না। মনে মনে অং বং চং যত মন্ত্র জানা সব ভুল উচ্চারণে আউরে ফেললেন। হায় বরাত, কিস্যু হলো না। ছেলেবেলায় ফাঁকিবাজি দিয়ে ফিজিক্স পড়লেও কেমন একটা আবঝা মনে পড়ল প্রেসার দিতে হবে প্রেসার। ওদিকে বিল্টু এদিকেই আসছে যে! উত্তেজনায় ঘামতে ঘামতে অমর বাবু নিজেকে প্রেসারাইশড করে সংকুচিত করতে থাকলেন। ইতিমধ্যে বিল্টু একদম সম্মুখে।
     
    জীবিত অবস্থায় বহু সিনেমা দেখেছেন। একটা ইংরেজি সিনেমায় দেখেছিলেন, এক পিশাচ অন্যের শরীরে প্রবেশ করে তার উপর দখল নিয়েছে। এক্ষেত্রে তো তিনি আর পিশাচ নন—একজন গোবেচারা ভূত মাত্র!
    মনে মনে বললেন, "এই তো সুযোগ"।বেলুনের হাওয়া হঠাৎ ছেড়ে দিলে বেলুন যেমন যেদিক সেদিকে ছুটতে শুরু করে , ঠিক সেরকমই অমর বাবু সুরুৎ করে ঢুকে গেলেন বিল্টুর কানে। সেখান দিয়ে সোজা কন্ট্রোল রুমে....মাথায়।
     
    …আরে রে ছ্যা ছ্যা, পড়লেন এসে এক তাল গোবরের উপর। ছেলেটার মাথায় আর কিছু নেই দেখছি। খালি গোবর আর দুষ্টু বুদ্ধি! 
    খানিকটা বিরক্ত হয়ে মাথার এদিক ওদিক ঘুরতে ঘুরতে পুরোনো স্মৃতির বই উল্টে পাল্টে দেখে অমর বাবু আঁচ করলেন ছেলেটা ততটাও খারাপ নয়। বরং , বেশ দিল খোলা। মনে পড়ল কোথায় যেন পড়েছিলেন, don't judge a boy by it's গোবর.....পাঠকগণ মাফ করবেন, মৃত্যুর পর অমর বাবুর স্মৃতিটা একটু গড়বড় করছে মাত্র।
     
    সে যাইহোক, প্রাণপণে চেষ্টার পর একটাই বাটন খুঁজে পেলেন—"রিফ্লেক্স অ্যাকশন!"
    সেটা চেপে ধরেই বিল্টুকে নিয়ে চললেন উপর তলায়। বিল্টু কাঠপুতুলের মত গিয়ে দাঁড়ালো অমর বাবুর ফ্ল্যাটের উল্টো দিকের দরজায়। যন্ত্রের মত হাত উঠে গেল কলিং বেল এ।
     
    বিল্টু গোল গোল চোখে দাঁড়িয়ে দরজার সামনে। ক্রমাগত বেলাঘাত চলছে। টিং টিং ... টিং টং .... টিং টং....অমর বাবু সুযোগ বুঝে বেরিয়ে এলেন হুস্ করে। 
    বিল্টু হোঁস ফিরে পেয়ে পরক্ষণেই চোখে অন্ধকার দেখলো। দরজা খুলে সামনে দাঁড়িয়ে আছেন মিস ব্রোগ্যানজা। এই আবাসনের আতঙ্ক! 
    এমনিতে মানুষ ভালো। কারুর সাতে পাঁচে থাকেন না। কিন্তু, রেগে গেলে তাঁর কালান্তক চিৎকারের মূর্ছনায় সবার মূর্ছা না গিয়ে আর কোনো পথ থাকেনা। তাঁর চিৎকার শুনে অমর বাবুর কতবার মনে হয়েছে এর থেকে মরে যাওয়াই ভালো। এখনও কতকটা সেরকম মনে হতেই নিজেকে সামলে নিলেন। কিন্তু, ভেবে পেলেন না, এবার কি করা উচিৎ। কিভাবে তাঁর নিজের ফ্ল্যাটের দরজাটা খোলাবেন!
    .....ভাবতে ভাবতেই শুরু হয়ে গেল অর্কেস্ট্রা। ব্রোগ্যানজা-গর্জনের হাহাকার ছড়িয়ে পড়ল চারিদিকে। (আবাসনের প্রাচীন প্রবাদ: প্রাণীকুল ও পক্ষিকুলের মধ্যে হতাশা বাড়ায় এই উচ্চাঙ্গ মার্গ)। সুর তখনও সপ্তমে চড়েনি, হঠাৎ অমর বাবুর বন্ধ ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে জোর শব্দ এলো কাঁচ ভাঙার।
     
    এবার অমর বাবুর মনটা একটু খারাপ খারাপ হতে থাকলো। মনে পড়ে যেতে থাকলো পুরোনো কত সুখদুঃখের কথা..... ওদিকে লোকজন জড়ো হয়ে ফ্ল্যাটের দরজা ভাঙ্গা হলে দেখা গেল একটা বড় ফুলদানি মেঝেতে পড়ে চৌচির। অমর বাবু ভিড়ের ফাঁক দিয়ে উঁকি মেরে দেখেন ততক্ষণে আবিষ্কৃত হয়েছে তাঁর নশ্বর দেহ। তবে ফুলদানিটা পড়ল কিভাবে সেটা কিছুক্ষন পরে বোঝা গেল সেই সাদা বিড়ালটার ভ্যাবাচ্যাকা মুখ দেখে।
     
    "যাক, এবারে মুক্তি", অমর বাবু আনন্দে ঘরের মধ্যেই একটু ঘুরপাক খেয়ে নিলেন।
    তবে, এই আনন্দ বেশিক্ষণ টিকল না।
    হঠাৎ জানালার কাঁচে চোখ পড়তেই নিজের প্রতিফলন দেখলেন। একটা অস্পষ্ট ছায়া। ধোঁয়া ধোঁয়া..... ফাঁকা..... নীরস.... একা।
    নিজেকেই যেন চিনতে পারলেন না।
     
    "আমি কি আদৌ আছি? নাকি শুধু অমর নামের স্মৃতি?" এক অদ্ভুত ক্লান্তি এসে ছেয়ে গেল অমর বাবুর মুখে।
    তিনি টের পেলেন— মরণের ওপারে আছে একটা দীর্ঘ যাত্রা। যেখানে মন, স্মৃতি, অহং সব ধীরে ধীরে মিশে যায় কালের নিয়মে। তিনি এগিয়ে চলেন না-ফেরার যাত্রায়। কি মনে হতে একবার ফিরে তাকালেন পিছনে।
    দূরে কোথাও কুয়াশার মধ্যে সেই সাদা বিড়াল তাকিয়ে আছে। ওই একজনের স্মৃতিতেই তিনি রয়ে গেলেন অমর।
     
    প্রসূন দাশ
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | |
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন