এক
এই অকিঞ্চিৎকর কিঞ্চিতের কাছে একটি প্রাগৈতিহাসিক স্বপ্ন
এ পাড়ায় কি আমি একাই জেগে আছি
বা এই গ্রামে বা শহরে বা দেশে বা পৃথিবীতে
খানিকটা ধোঁয়ার মাঝে রাঙা বউ হারিয়ে যাওয়ার আগে
কুয়াশার মাঝে চোখের জ্যোতি হারিয়ে যাওয়ার আগে
ফানুশের পিছনে বাবা হারিয়ে যাওয়ার আগে
যেভাবে হালকা বাতাসে ভেসে উঠেছিল আমাদের সারাৎসার
আর থমথমে রাত্রি যাপন থেকে দেখে ছিলাম
ক্ষমারও এক সীমাবদ্ধতা আছে
সে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে পারে
এমনকি মহাজাগতিক সময়
দুই
মা যখন একটি দীর্ঘশ্বাস রেখে উঠে গেল
আগাগোড়া বিষণ্ণ মনে হল এই স্থিতি
মনে হল অনেক অনেক হয়েছে দরজা, এবার নিজেই ভেঙে পড়বে
তার শব্দে এক প্রলয় আসবে ঘরে
সাদা ওড়নার ভিতর যেখানে লুকিয়ে আছে নিষ্কৃতি
তিন
সৌখীন বিদ্বেষী তুমি কাচের ওদিক থেকে দেখো
ছড়ানো আগুণের আঁচে এক দিওয়ানা
নিজেকে সেঁকে নিতে চাইছে সেই কত রাত
একের পর এক খোলস খুলে যাচ্ছে তার
একের পর এক রং যা উত্তাপ বোঝায়
গলতে শুরু করেছে বুক
সে যখন আবার কঠিন হবে তার ধার হবে ইস্পাত
এক একটি উদ্বাস্তু গলি
স্বার্থ-নিঃশ্বাস
কলোনি অসহ্য গরমিল
দাবির পর দাবি বেয়ে উঠছে আকাশের দিকে
উড়ন্ত পাহাড়ের ডানায় সে কোপ বসাল
ঝরঝর শব্দে এবার তাহলে কি ভেঙে পড়তে পারে
জাগরণ অথবা স্বপ্ন
নাকি তার দেশ মাটি মহাকাল