এখন মেঘলা হয়। মেঘে কোনো বৃষ্টি থাকে না।
কেবল গুমোট ঝরে। ঘামও বেদনাবাহিত।
বোমাবর্ষণের পরে বিশাল টেডিবেয়ার একা
তার করুণ জংঘার নিচে আশ্রয় নিয়েছে কুকুরছানারা
যারা অনিবার্যভাবে মরে যাবে।
তারপরে আমরা প্রেমের কথা বলবো। শিল্পের কথা।
শিশুদের হাসপাতাল তখন উড়ে যাচ্ছে আকাশে
ছিটকে পড়ছে আগুন ও ছাই। ঘিলু এবং নাভি।
এখন কেউ নিউরোটিক নয়। সমস্ত স্টিলের নার্ভ।
অতিকায়। অনুভূতিহীন। অতন্দ্র অনলাইন।
মরে যাবে নিশ্চিত জেনেও মানুষ মানুষকে পড়ছে।
পড়ছে আর লিখছে। এঁকে দিচ্ছে চোখ। ঠোঁট।বুক।
দুটো মানুষ পাশাপাশি বসে। বা মুখোমুখি।
মনে হচ্ছে তারা কেউ কাউকে চেনে না।অথবা স্বল্পবাক ।
নিঝুম গভীর রাতে তারা চ্যাট করবে।
সন্তানের মুখ ওপাশে ফিরিয়ে বলবে, জেগে আছো?
প্রেমিকার ফোনে চুম্বন রেখে অন্য নারীকে বলবে, ভালোবাসি। তোমার জন্য এই রাত অন্তহীন।
সবাই সব বুঝে গেছে। পরস্পরকে বিরতি দিচ্ছে।
সময়ের ওপার থেকে ভেসে আসছে দগ্ধ উল্লাস।
পৃথিবীর সমস্ত অ্যালঝাইমার রোগীরা বেরিয়ে পড়েছে
ঘর খুঁজছে কিন্ত খুঁজে পাচ্ছে না। লালা গড়িয়ে পড়ছে।
অথচ তাতে লোভ নেই। সমস্ত অভ্যেস গান গাইছে।
অজুহাত খুঁজতে খুঁজতে ক্লিভেজ দেখাচ্ছে জোম্বিরা
ডার্টি, ডার্টি, ডার্টি পিকচার। সূর্য! প্রখর ও প্রবল নয়।
স্যাঁৎস্যাঁতে। কেবল শুকনো লাস্য ছড়াচ্ছে ও ছড়াচ্ছে।
তোমার আংশিক সময় হলে সেও আসবে। ক্যালকুলেশন।
যে শিশুদের সবুজ মাঠে ফুল হবার কথা ছিল
তারা পোড়া ঘাস হয়ে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে
নিউরো সার্জন পরীক্ষার পর বলছেন, ব্রেইন ডেড।
ব্ল্যাক রেইন। গুমোট মেঘেরা বিবমিষা বর্ষায়........
উদ্যোগপর্বে কর্ণ স্মিত হাস্য করলেন। শৃগাল ডাকছে।
ব্রীড়াবনত তরুণীটি এসকর্ট সার্ভিসে যাচ্ছেন। যুদ্ধ শুরু।
প্রগলভ কিশোরের পাশে নিভেছে গ্যাস স্টোভ। যুদ্ধ শুরু।
প্রাণসখা বলে ডেকে যে বিশ্বাস অর্পণ করলেন যাজ্ঞসেনী
তাকে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিয়ে জনার্দন বললেন বসুসেনকে
হে বীর, শেষে আপনি সুন্দরী দ্রৌপদীর শয্যাসুখ পাবেন।
নির্জন প্রান্তরে নরমুন্ডরা গান গেয়ে উঠল। যুদ্ধারম্ভ।