কুকুরগুলো তোমার স্তনের দিকে
♦
তারুন্য পেরিয়ে এসে এখন আমি জানতে চাই কাকে বলে স্তন,
আর স্তনমন্ডল?
আমার কুকুরগুলো তোমার স্তনের দিকে তাকিয়ে থাকে
তাকিয়ে থাকে
বরফের ছাদের নিচে; মাকড়শা জাল বিছিয়েছে তোমার স্তনের ত্বকে।
আকর্ষণীয় না হোক, তবু আমার শরীর আছে । আমার শরীর থেকে
তোমার শরীরে পৌছতে
যে সেতু দরকার তা নির্মাণ করতে আমি মিন্ত্রী পাবো কোথায় ?
টাকাপয়সা আর সামাজিক সম্পর্কের দাম আছে। কিন্তু আরও সময় নিতে
আমি রাজি,
লিওনার্দোর মোনালিসা আর বতেরোর মোনালিসা যে আলাদা দুজন
আলাদা সন্দেহজড়িত মেঘ আর উইনিং কন্ট্রাসেপশান,
এটা স্বীকার করে জানতে চাই
নারী কী,
কেন একটা মাকড়শা নদীর চিৎকারের ওপর নিজের অহমিকা
চাপিয়ে দেয়। রাজধানী না দেশ, কোনটা আমাদের সত্তার আকাক্সক্ষার
প্রতিশ্রুতি?
পাকস্থলি আর পায়ুছিদ্রের টানটান উত্তেজনা, টেবিল আর হাততালির
ঘুম।
শিখিনি ভালোবাসা কী, কিন্তু তোমার নখের কোনায়
রক্ত
আর আমার বশ্যতা না মানা কুকুরগুলোর চোখে হিংস্রতা।
যুদ্ধ
♦
জগাখেচুড়ি দিনটাকে মুঠোয় পুরে রাতের পেটের মধ্যে ঢুকে পড়ি ভুস করে, আর বালিশ ছাড়াই ঘুম। ঘুম মানেই সাধ মিটিয়ে রাজবাড়ির দেয়ালে সটান পেশাব ছরছর, তদুপরি ভিখিরীর কাছ থেকে বিড়ি ধার নিয়ে হাওয়ায় ফুঁ ধোঁয়া। ক্রমশ ধুলোয় একাত্ম হয় স্যান্ডেলের গ’লে পড়া চর্বি। আর খাড়া সেতুর ওপর কাকের মাংস -- নৃতত্ত্ব শিখে নেয়া যায়।
এরই নাম চান খাঁর পুল। মিনিট-সেকেন্ডের হিসেবে রাজ্যপাট বেদখল, এবং সন্দেহ নেই, প্রবল সামাজিক। ইংরিজি-বাংলা জটপাকানো বর্ণমালা বাদুড়ের ডানার সাথে কি একাত্মতা!
ট্রাফিক আইল্যান্ডে পুলিশের বাঁশি, এই বেশ, অতো পোড়া চামড়াওঠা দাগে চোখ লাগানো কেন? না চাইলেও রাতে বন্ধ মুঠো খুলে যাবে। তখন সমস্ত গুহা শকুনের ডানায় আবৃত। সে-কারণে ইঁদুরের সাথেও সম্পর্কের বোধ বেশ উজ্জ্বল, বিশেষত মেচি ইঁদুলের অদ্ভুতুড়ে ভাষাজ্ঞান....
অন্যদিকে রাবারগাছ, যার ঘাড় বেয়ে ডিমোক্রেসি না কি যেন গড়িয়ে নামছে। কিন্তু রাতের গ্যাসীয় গুহা ভেদ করে অকস্মাৎ এক ধাতব শিক দ্যাখা গেল, যার একমাত্র কাজ জৈবদেহের যে কোন অমনঙ্ক স্থানে খুচ্ করে ফুটে যাওয়া। এতে হয় কি, দু-একফোঁটা রক্ত বেরোয়, সেই রক্তের আভা এখানে সেখানে ছড়িয়েও পড়ে। মা কুন্তী তার সামান্য আঁচল কোথায় লুকোবে?
আর, বিশ্বাস করবে না, এই ঘূর্ণিপথে একজন রামকিংকর বেশ আত্মমগ্ন। মনে হতে পারে সীমান্তবিভেদ আত্মীকরণ করা জ্ঞানী পাহাড়। শিশুরা আর নাবালক শেয়ালেরা যেন শিখে নেয় আত্মায় গভীর মন্ত্রের রাঙা তরমুজ। শ্রমআলপনা, তার কূল ঘেষে অনার্য সৌন্দর্য যা কালনিষ্ঠ।
ফলে শুরু হয় মাটির তোলপাড়। মাটির নীচে গলাছেড়া ডাক, শেয়ালের কুকুরের বোনহারানো বাবলাকাঁটার। তাদের কারো না কারো গর্ভ থেকে আমি আছড়ে পড়েছি...
হাত
♦
আর দশটা ফুলের মতোই
গোলাপ
একটা ফুল
আর
কোন ফুলের কাছে না গিয়ে
বাগানেই আমার স্বস্তি
যথার্থ ভালোবাসা বলতে যেমনটা বোঝায়
স্বীকার করছি
তেমন ভালোবাসা গোলাপের প্রতি
আমার নেই
হ্যা
যে হাত গোলাপ ধরে রাখে
আমি ভালোবাসি সেই হাত
শুনতারো
♦
এখন আমি শুনতারো তানিকাওয়ার কবিতা পড়ছি
শুনতারো
জাপানি
কবিতা লেখেন আর কবিতাকে অস্বীকার করেন
অথবা এই অস্বীকার
পারতপক্ষে সময়ের এক আপেক্ষিক উপস্থাপনা
কিন্তু তোমরা বিশ্বাস করবে কি না জানি না
আমি পড়ছি শুনতারো
আর প্রাচীন কাল থেকে শুরু করে আজ অব্দি
কত কত কবি
একেকজন করে এসে লিখে দিয়ে যাচ্ছে শুনতারোর কবিতা
ভবিষ্যতের যে তরুন কবি
জাপানি
সেও লিখে দিয়ে যাচ্ছে শুনতারোর কবিতা
শুনতারো কি কালচক্রযান
শুনতারো কি চিহ্ন ও প্রতীকের স্বতঃস্ফূর্ততায় বোধিবিন্দু
আজ বিকেলে
♦
মেয়েদের শরীর আমার ভালো লাগে না
আজ বিকেলে
আমার কোন মেয়ে নেই
গাছের নিচে গরু বাঁধা রয়েছে
বৃষ্টিতে ভিজছে
ও ভিজুক
ওর জ্বর আসুক
মাঝেমাঝে আমাদের গ্রামে মেঘেরা
বেড়াতে আসে
মেয়েদের সঙ্গে তো ওদের
লেগে যায় যায়