তালাশ মাহমুদ তার কুকুর হার্মিসকে নিয়ে আশরাফ আলী খানের বাসায় গিয়ে তাদের পেলেন না। কাজের লোকেরা রয়েছে, বাগান দেখাশোনার কাজ করা লালফর পা টেনে টেনে চলে এলো তালাশ মাহমুদকে দেখে।
এসে তালাশ মাহমুদের দিকে একবার তাকালো, এরপর হার্মিসের দিকে তাকিয়েই বলতে থাকলো, স্যার আমি আপনের জন্যই বইসা আছি। উনারা গ্রামে গেছেন। আমার কাজ হইল আপনের সাথে যাওয়া।
পশু পাখির প্রতি লালফরের এক অন্যরকম আকর্ষণ। সে বসে পড়লো হার্মিসের মুখের সামনে, কুকুরটাকে আদর করতে লাগলো। হার্মিসও পুরনো বন্ধুর সাথে দেখা হওয়ার স্বরে কয়েকবার ঘেউ ঘেউ করলো।
এই লালফর ছিল রেসকোর্সের ঘোড়ার জকি। প্রতি শনিবারে যে ঘোড় দৌড় হয়, শত শত মানুষ দেখতে ভীড় করে, বাজি ধরে, এই চমকপ্রদ খেলার সবচাইতে সফল একজন জকি ছিল লালফর। রেসকোর্সের পেছনে ঢাকা ক্লাবের পশ্চিমে সে থাকত। তার ঘোড়ার নাম ছিল লাল বাহাদুর, কালো রঙের ঘোড়া, গা মসৃণতায় চকচক করত।
লালফর এবং তার ঘোড়া অপরাজেয় হয়ে উঠলে, তিন বছর আগে একদিন রেসের সময় তার ঘোড়া মুখ থুবড়ে পড়ে। লালফরের পা ভাঙ্গে, ঘোড়া অচেতন হয়। পরে মারা যায়।
অন্য জকিদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিল সে। তার ঘোড়ার পায়ের নাল বাঁকা করে দেয়া হয়েছিল, এবং ঘোড়াকে খাওয়ানো হয়েছিল এক জাতের কড়া ঘুমের ওষুধ। নাম নিদকুসুম।
প্রায় বছর খানেক লালফর হাঁটতে পারে নি। এইসময়ে তার খ্যাতি মুছে যায়, তাকে মানুষ ভুলে যায়, তার স্ত্রী তাকে ফেলে চলে যায়।
ঢাকা ক্লাবের পশ্চিমে এক ঝুপড়ি ঘরে একা একা থাকত লালফর। এমন অদ্ভুত সব স্বপ্ন দেখত মনে মনে, একদিন সে আবার তার সব ফিরে পাবে। সে তাড়ি খেতো, আর নিজের কল্পনার দুনিয়ায় ডুবে থাকত।
রেসকোর্সে একটা তদন্তের কাজে গিয়ে তালাশ মাহমুদের সাথে লালফরের দেখা হয়। লালফর রেসকোর্স, ঘোড়দৌড় এবং এইখানে আসা মানুষদের চরিত্র সম্পর্কে প্রচুর জানে। তালাশ মাহমুদের অনেক উপকার হয়েছিল তার তথ্যে।
তালাশ মাহমুদকেও লালফরের ভালো লেগে যায়। সে তার সাথে থাকতে আগ্রহ প্রকাশ করে। তার দুরবস্থা এবং উপকারের কথা মাথায় রেখে তালাশ মাহমুদ তাকে সাথে রেখেছিলেন কিছুদিন।
কিন্তু পরে দেখতে পেলেন, লালফরকে তিনি বুঝতে পারেন না। সে ভিন্ন কোন উদ্দেশ্যে তার সাথে আছে। তার জীবনে একটাই ইচ্ছা, পুরনো খ্যাতি সে ফিরে পাবে। ফিরে পাবে পুরনো সংসার।
এটা যে সম্ভব না সে মানতে চায় না।
তালাশ মাহমুদ পরবর্তীতে এই প্রায় উন্মাদ লোকটিকে তার ভাই আশরাফ আলী সাহেবের বাড়ির বাগানের কাজে লাগিয়ে দেন। সেই থেকে এ বাড়িতে আছে।
লালফর বলল, স্যার বইলা গেছেন বব স্যাররেও নিয়া যাইতে।
তালাশ মাহমুদ বললেন, চিঠিতে তো তার কথা ছিল না।
লালফর বলল, যাইবার আগে আগে আমারে বইলা গেছেন, আপনারে যেন বলি।
তালাশ মাহমুদ ভ্রূ কুঁচকালেন।
বব অয়েনিয়ন লোকটা একজন সাইকিয়াট্রিস্ট। মা বাবা ব্রিটিশ, তার জন্ম এদেশে। কথাবার্তা, বাংলা লেখা, পড়া সবই পারেন। তালাশ মাহমুদের সাথে বন্ধুত্বের মত আছে। সেই সূত্রে এই বাড়িতে এসেছিলেন, হাসনাহেনার চিকিৎসা করেছেন।
একসময় কিছু প্রত্মতাত্ত্বিক রহস্য নিয়ে কাজ করার সময় এই ববকে সাথে রেখেছিলেন তালাশ মাহমুদ।
ঘটনাক্রমে, তখন লালফরও তার সাথে ছিল। তখন থেকেই তিনি দেখেছেন লালফর ও ববের ভেতরে একটা ভালো সম্পর্ক। তারা গোপনে গোপনে যেন কীসব পরিকল্পনা করে সব সময়।
কিন্তু এই বব লোকটার সঙ্গ পরিত্যাগ করেছেন তালাশ মাহমুদ। তার মন চিকিৎসাতে নাই, সে এই দেশের প্রাচীন প্রত্ন নিদর্শন খুঁজে। এবং তার উদ্দেশ্য বিশেষ ভালো মনে হয় নি।
এই লোককে নিয়ে যাবার কথা কি বলবেন তার ভাই? বললে তাকে চিঠিতে বললেন না কেন? অবশ্য লালফর যেটা বলেছে তাও সত্যি হতে পারে। শেষ মুহুর্তে তার মনে হতে পারে যে একজন সাইকিয়াট্রিস্ট ওখানে থাকলে ভালো। কিন্তু হঠাৎ করে গ্রামে যাবার দরকার পড়ল কেন এটাই তালাশ মাহমুদ ধরতে পারছেন না।
তালাশ মাহমুদ লালফরকে নিয়ে গেলেন ববের অফিসে।
বব তখন পত্রিকা পড়ছিলেন। তালাশ মাহমুদকে দেখে উচ্ছ্বসিত খুশি হলেন।
বললেন, বিশ্বাস করেন, আপনাকেই আমি খুঁজছিলাম। নতুন কোন এডভেঞ্চারে না গেলে আর হচ্ছে না। এদিকে যা অবস্থা, মন একেবারেই ভালো নেই।
পত্রিকা এগিয়ে দিলেন বব।
যুদ্ধ ঘোষণার ছবি একপাশে। অন্য পাশে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নেভিল চেম্বারলিনের ছবি, তিনি ছাতা মাথায় দাঁড়িয়ে আছেন।
বব বিরক্ত স্বরে বললেন, দেখেন এই মূর্খরে দিয়ে কিন্তু আমরা যুদ্ধে জিততে পারব না। জর্জ লয়েড সাহেব থাকলে পারা যেত। তা না হলে একজনই পারবেন হিটলারের বিরুদ্ধে ফাইট দিতে, বলেন তো কে?
তালাশ মাহমুদ বললেন, চার্চিল সাহেব?
বব উৎফুল্ল হয়ে বললেন, রাইট। চার্চিলের এই হিম্মত আছে। যুদ্ধে নেতৃত্ব ইজ ভেরি ইম্পরট্যান্ট। তা আপনি কিজন্য এসেছেন বলুন? তাও লালুকে সাথে নিয়ে!
তালাশ মাহমুদ বললেন, এসেছি আপনার সাথে সরাসরি কথা বলতে। কারণ আমি জানি আপনি মিথ্যা বলেন না। এখন বলুন, লালফর মিয়াকে আপনিই কি এটা শিখিয়ে দিয়েছেন যে আমাকে যেন বলে আপনাকে সাথে নিয়ে যাই গ্রামে?
বব হো হো করে হেসে উঠলেন।
লালফর মুখ কাঁচুমাচু করে দাঁড়িয়ে রইল।
বব বললেন, ঠিক ধরেছেন। আমি জানতাম আপনি এটা ধরতে পারবেন। আপনার সাথে একটু মজা করলাম। আসলে একটা খুব জরুরী কাজে আপনাকে দরকার ছিল আমার। আপনাকে না পেয়ে লালুকে এটা বলতে বলি। যাক, সে ঠিকঠাক মত করতে পেরেছে।
তালাশ মাহমুদ বললেন, কাজটা কী?
বব একটু ঝুঁকে এসে বললেন, আপনার গ্রাম লোহাগড়ায় কাজ। ওইখানে আমাকে যেতে হবে। তা আপনি নিয়ে গেলেও যাব, না গেলেও যাব। কিন্তু আপনি সাথে থাকলে আমার সুবিধা।
তালাশ মাহমুদ বললেন, কাজটা কী?
বব আস্তে করে বললেন, হীরা। জানেন তো একসময় এদেশে গঞ্জে হীরা বিক্রি হতো। সেই সময়ের এক বড় হীরা। পৃথিবীর সবচাইতে বড় হীরকখণ্ড আছে আপনার গ্রামে। আমার সোর্সের পাক্কা খবর। ১৬৬৬ সালে ট্রাভের্নিয়ার দুইটা বড় হীরকখণ্ড নিয়ে গিয়েছিলেন আসলে, এর একটা এটা।
তালাশ মাহমুদ জিজ্ঞেস করলেন, কিন্তু এটা এখানে আসল কী করে? আর এটার কথা তো আগে কখনো শুনি নি।
বব বললেন, আসল কী করে তা আমি কী করে জানব। কিন্তু আছে যে এটা জেনেছি। এখন গিয়ে দেখার পালা। আপনি বলেন আমার সাথে আছেন কি না?
তালাশ মাহমুদ কিছুটা ভাবলেন। তিনি সাথে না থাকলেও লোকটা যাবে। অতএব, ভালো হয় একে সাথে নিয়ে গেলে। তখন দেখা যাবে আসল বিষয়টা কী।
তালাশ মাহমুদ বললেন, ওকে, আজই তাহলে আমরা যাত্রা করব।
বব খুশি হয়ে টেবিলে চাপড় দিয়ে বললেন, এই তো, চমৎকার। এক কাপ চা খেয়ে গোছগাছ করে বের হওয়া যাক।
লালফরের দিকে তাকিয়ে বললেন, কী বলো লালু মিয়া?
লালফর কিছু বলল না। সামান্য হাসল। তার চোখ চকচক করছে এডভেঞ্চারের আহবানে।
লোহাগড়া গ্রামে আসলেন তালাশ মাহমুদ, তার কুকুর হার্মিস, বব ও লালফর। আসার পরেই বব ও লালফর তাদের নিজেদের মত গ্রাম দেখতে বের হয়ে গেলো।
কাজের লোক তালাশ মাহমুদকে এসে বলল আশরাফ আলী খান তার কক্ষে গিয়ে দেখা করতে বলেছেন।
তালাশ মাহমুদ আশরাফ আলী খানের কক্ষের সামনে গিয়ে শুনলেন ভেতরে কথা কাটাকাটি হচ্ছে। আশরাফ আলীর সাথে মুখে মুখে কথা বলছেন তার স্ত্রী গোলাপজান, আর আশরাফ আলী ধমকাচ্ছেন। এইরকম কিছু ঘটতে তালাশ মাহমুদ আগে দেখেন নি। তিনি অবাক হলেন। তিনি দেখে এসেছেন তার ভাবী কখনো ভাইয়ের সামনে উঁচু স্বরে কথাই বলেন না।
একটু বিব্রত হয়েই দরজায় শব্দ করে তালাশ মাহমুদ বললেন, ভাইজান, আসবো?
গোলাপজান তখন চলে গেলেন।
আশরাফ আলী বললেন, হ্যাঁ তপু আসো।
তালাশ মাহমুদ ভেতরে গিয়ে সালাম দিলেন।
রুমে জিনিষপত্রের মধ্যে প্রকাণ্ড এক জমিদারী আমলের খাট, কাঠের আলমারি, বুকশেলফের তাকের মধ্যে অনেক বই, এবং কয়েকটা চেয়ার। এটাই আশরাফ আলী সাহেবের রুম। বাড়িতে আসলে অধিকাংশ সময় তিনি এই রুমে থাকেন।
আশরাফ আলী তালাশ মাহমুদকে বসতে বললেন।
তালাশ মাহমুদ বসলেন চেয়ারে।
আশরাফ আলী শান্তভাবে বললেন, চিঠি পেয়ে তাড়াতাড়ি চলে আসার জন্য ধন্যবাদ। এখানে বেশ কিছু ঝামেলা হচ্ছে। হাসনাহেনার ব্যাপারটা নিয়ে তুমি কি কিছু বের করেছিলে?
তালাশ মাহমুদ বললেন, এরকম কিছু আমি আগে কোথাও ঘটেছে দেখি নি।
তোমার লজিক কী বলে?
নীল আলোর ব্যাপারটা, সন্ধ্যার সময় হয়ত ওইদিন আকাশের রঙ ওইরকম কিছু একটা হয়েছিল... তাছাড়া আর কোন ব্যাখ্যা তো আমি…
আশরাফ আলী হাত তুলে তাকে থামিয়ে বললেন, আমি সম্ভবত পেয়েছি।
হাসনাহেনাকে নীল আলো ঘিরে ধরেছিল ওই সন্ধ্যাবেলায় এটার চাক্ষুষ সাক্ষী একজনই ছিলো। তার কাছ থেকে আমরা সবাই শুনেছি। সে তোমার ভাবী।
এই ক'দিন আগেও যে আবার হলো, সেখানেও আর কেউ ছিল না। কেবল তোমার ভাবী ছিল। বুঝলে ব্যাপারটা?
তালাশ মাহমুদ ভ্রু কুঁচকে বললেন, তাহলে ভাইজান আপনি বলতে চাচ্ছেন ভাবীই ভুল দেখেছেন?
আশরাফ আলী গম্ভীর মুখে বললেন, তা নয়তো কী? তাছাড়া এখনকার তার যে আচরণ, সমস্যাটা তারই। অথবা হতে পারে দুজনেরই। মেয়েটা কথা বলা কেন যে বন্ধ করলো বুঝতে পারছি না।
তালাশ মাহমুদ বললেন, ভাবীর কি কিছু হয়েছে?
আশরাফ আলী বললেন, শেষ যেদিন হাসনাহেনার সাথে ওই আলোর ঘটনা, মানে আলোর ঐ কথিত ঘটনা ঘটলো, ওইদিন তোমার ভাবী সিঁড়ি থেকে পড়ে যায়, এখন অদ্ভুত সব কথা বলছে। ঘরে ঢোকার সময় নিশ্চয়ই শুনেছ, আমার সাথে তর্ক করছে, বিশ্বাস করতে পারো?
আশরাফ আলী সাধারণত এত বেশি কথা বললেন না। কিন্তু আজ মনে হলো তিনি ভেতরে ভেতরে অনেক অশান্ত হয়ে আছেন। যদিও বাইরে থেকে দেখে বুঝার উপায় নেই।
আশরাফ আলী বললেন, আর এদিকে হয়েছে আরেক সমস্যা। ওই…
আশরাফ আলী একটু থামলেন।
তারপর গলার স্বর কিছুটা নিচু করে বললেন, ওই বান্দির ছেলে গ্রামে ষড়যন্ত্র করছে আমাদের বিরুদ্ধে। এর কিছু খবর গিয়েছে আমার কাছে। সামনের ইলেকশনের আগে জায়গা জমি নিয়ে ঝামেলা করার জন্য ঘোঁট পাকাচ্ছে। তুমি চোখ কান খোলা রাখবা। কয়েকদিনের মধ্যে চল্লিশ গরু দিয়ে একটা সিন্নি করে সবাইরে খাওয়াব।
তালাশ মাহমুদের কাছে এখন কিছুটা পরিষ্কার হলো আশরাফ আলী খান কেন তড়িঘড়ি করে গ্রামে এসেছেন।
গ্রামে তাদের বিশাল সহায় সম্পত্তি আছে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। এর মালিক আশরাফ আলী খান, এবং তার সৎ ভাই তালাশ মাহমুদ।
কিন্তু এই সম্পত্তিতে আরেক দাবীদার ইদ্রিস আলী মাতবর ও তার বংশের লোকেরা।
এরাও যৌক্তিকভাবে জমিদারের রক্ত, এই বংশের এক পূর্বপুরুষের বান্দির পেটে ওই বংশের শুরু, ফলে এরা বান্দির বংশ নামে পরিচিত। কিন্তু প্রভাব প্রতিপত্তিতে এরা শক্তিশালী হওয়ায় এখন সম্পত্তিতে ন্যায্য অধিকার দাবী করে আকারে ইঙ্গিতে, প্রায়ই দখল নেবার জন্য পাঁয়তারা করে।
আশরাফ আলী খানের প্রভাবের জন্য পেরে উঠে না।
দীর্ঘদিন আশরাফ আলী গ্রামের বাইরে থাকায় এরা এখন আবার সেই পরিকল্পণা করছে। সেই খবর পেয়েই আশরাফ আলী গ্রামে এসেছেন, গ্রামে নিজের প্রভাব প্রদর্শন করতে।
কথাবার্তা শেষে তালাশ মাহমুদ যখন উঠে যাচ্ছিলেন তখন আশরাফ আলী বললেন, আর শুনো, ওই সাইকিক মহিলা, কি যেন উনার নাম, তাকেও এনেছি। কিছু দরকার আছে। তোমার সাথে তার কিছু ঝামেলার খবর পেয়েছি, এগুলি এখানে বাড়াতে যাবে না।
আশরাফ আলী খানের ঘর থেকে বের হয়ে তালাশ মাহমুদ যখন তার ঘরের দিকে ফিরছিলেন তখন তার মাথায় দুইটি চিন্তা ছিল।
এক, ওই মহিলাকে এখানে কেন আনলেন তার ভাই। তাকে তো এখানে আনার কোন কারণ নাই। তালাশ মাহমুদ ছোটবেলা থেকেই জানেন, আশরাফ আলী কোন ধরণের বুজরুকিতে বিশ্বাস করেন না। তার সকল হিসাব গণিতের মত, তিনি হিসাবের বাইরে প্রায় তেমন কিছুই করেন না।
দুই, তিনি যখন ঘরে প্রবেশ করতে যান তখন শুনছিলেন তার ভাবী বলছেন, "আপনে যে দাঙ্গা লাগাইতে এইখানে আসছেন আমি কি জানি না ভাবছেন, এই ভণ্ডামির রাজনীতি করেন, আপনার শরম নাই? মেয়েটার এই অবস্থা দেখেও কি ঠিক হবেন না?" এই কথাটার মানে কী?
ক্রমশ... ... ... (আগামীকাল)