পথ চলাতেই আনন্দ:ছোটগল্প : Ranjan Roy
টইপত্তর | বাকিসব : মোচ্ছব | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ২১১২ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
ঠিক এরকমই একটা লালচে ইঁটের পুরনো বাড়ি, সামনে জং ধরা লোহার গেট আর একটা কি যেন ছিল, ঠিক মনে পড়ছে না । বোধহয় গেটের পাশে কোন একটা ফুলের গাছ—রাধাচূড়া, নাকি টগর বা শিউলি? উঁহু, ইদানীং এই হয়েছে এক জ্বালা। কিচ্ছু মনে থাকে না।
আগুনখাকী ঃ ছোটগল্প : Ranjan Roy
টইপত্তর | বাকিসব : মোচ্ছব | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ২৮৬১ বার পঠিত | মন্তব্য : ৩
কিছুদিন হল ছত্রিশগড়ের এই শিল্পনগরীর স্কুল নাম্বার সেক্টর ফোর এ বদলি হয়ে এসেছি। এমনি এমনি নয়, রীতিমত প্রমোশন নিয়ে। চারবছর আগে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলাম, প্রথম পোস্টিং প্রোজেক্ট এরিয়ার স্কুল নাম্বার নাইনে । অ্যাসিস্ট্যান্ট টিচার । দায়িত্ব প্রাইমারী লেভেলে ইংরেজি পড়ানো। কাজটা ভালো লাগত। বাবার আপত্তি ছিল । উনি এই স্টিল প্ল্যান্টেই রোলিং মিল ম্যানেজার। পিতা-পুত্রী একই অরগানাইজেশনে চাকুরি করিবে, ইহা কেমন কথা?
আহিরণ নদীর বুক ফাটে, মুখ ফোটে না : Ranjan Roy
টইপত্তর | বাকিসব : মোচ্ছব | ০৩ অক্টোবর ২০২০ | ৩৫৫৯ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
কত দিন আগের কথা? তা প্রায় দু’কুড়ি কি তারও আগের বছর। আহিরণ নদীর তখন ভরা যৌবন। ছলছল টলটল। ওর রকমসকম দেখে চিন্তিত মুখে মাথা নাড়ে প্রাজ্ঞ বট আর বুড়ো পাকুড়গাছ। বুঝলে, অত ছটফটানি ভাল নয়, একটু রয়ে সয়ে। যা বলেছ যৌবন হল ভগবানের দান, হেলাফেলার জিনিস নয়, একটু সামলে সুমলে , নইলে কিছু একটা হতে কতক্ষণ! বট ফের মাথা নাড়ে আর দু’চারটে বাদুড়ে ঠোকরান ফল মাটিতে ছিটকে পড়ে।
আহিরণ নদীর বুক ফাটে, মুখ ফোটে না (৪র্থ পর্ব) : Ranjan Roy
টইপত্তর | বাকিসব : মোচ্ছব | ১৪ অক্টোবর ২০২০ | ৩১৫৯ বার পঠিত | মন্তব্য : ৫
ছুরিকলাঁ হল মুখ্যতঃ তাঁতিদের গ্রাম, কিন্তু জাতপাতের ভিত্তিতে আলাদা আলাদা পাড়া গড়ে উঠেছে। যেমন কোষ্টাপাড়া (তাঁতিপাড়া), রাউতপাড়া (গয়লা), লুহারপাড়া (কামার), কুমহারপাড়া( কুমোর), বড়ইপাড়া (ছুতোর)। এরপর ছোটখাট সম্প্রদায়গুলোর বস্তি হল মুহল্লা। যেমন পাঠান(মুসলমান) মুহল্লা, ছিপিয়া(যারা চুলের ফিতে আলতা এসব বিক্রি করে), সতনামী মুহল্লা ও সহিস (চামড়ার ঢোল তবলা মাদল বানায়) মুহল্লা
আহিরণ নদীর বুক ফাটে, মুখ ফোটে নাঃ ৮ম পর্ব : Ranjan Roy
টইপত্তর | বাকিসব : মোচ্ছব | ৩১ অক্টোবর ২০২০ | ২৩২১ বার পঠিত | মন্তব্য : ২
দ্রুপতী বাঈ দ্রুত হাতে গরম ভাত, ডাল, আলুভাজা ও মুরগীর পাতলা ঝোল নামিয়ে ফেলে। কিন্তু তার আগে ঝগড়া বাঁধে। ওকে সাহায্য করতে এসে ডোঙ্গরে ও ঠুল্লু একগাদা রসুন পেঁয়াজ ছুলে ও লাললংকা কেটে একটা ডেকচির থালায় সাজিয়ে দিয়েছিল। দ্রুপতী দেখে প্রথমে মুখ বাঁকায়, তারপরে সেগুলোর চারভাগের তিনভাগ ডোঙ্গরে ঠুল্লুর হাঁ হাঁ করে ওঠা অগ্রাহ্য করে একপাশে সরিয়ে রাখে। বলে এত গরম জিনিস দিয়ে রান্না হলে সাহেবদের পেট গরম হবে। হতাশ ঠুল্লু বলে –ইতনী কম! সোয়াদ কেইসে হোগী?
আহিরণ নদীঃ দ্বাদশ পর্ব : Ranjan Roy
টইপত্তর | বাকিসব : মোচ্ছব | ২০ নভেম্বর ২০২০ | ২৪৪৩ বার পঠিত | মন্তব্য : ২
দিল্লি কা লাড্ডু - রূপেশ যে কেন বিয়ের মন্ডপে বসতে রাজি হল সে নিজেও জানেনা। কয়েকমাস আগের সেই হোলির বিকেলে ঘটে যাওয়া ব্যাপারটা? অপরাধবোধ ? অথবা কম্পাউণ্ডার ভুরা শংকরের ক্যারম খেলতে খেলতে আলটপকা কথাটা? এক শুক্কুরবারের সন্ধ্যেয় শংকর আর ও ক্যারম খেলছিল। রামনিবাস বোর হয়ে উঠে গেছে। রাজন ফিল্ডে গেছল কিছু ব্যাড লোনের রিকভারির জন্যে, আহিরণ পেরিয়ে একটি গাঁয়ে, সঙ্গে ঠুল্লু। ওরা এখনও ফেরেনি। শংকর রানিকে ছেড়ে দুটো গুটি সেকন্ড পকেটে ফেলল, রূপেশ দেখছে।
আহিরণ নদীঃ ত্রয়োদশ পর্ব : Ranjan Roy
টইপত্তর | বাকিসব : মোচ্ছব | ২৪ নভেম্বর ২০২০ | ২৩২৮ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
আমি কলাকার, বেইমান নই। সেদিন কোন স্থানীয় পরব ছিল। ব্যাংকে লোকজন নেই বললেই চলে। চা খেয়ে, মাছি তাড়িয়ে সময় কাটছে না। ভাতঘুম চোখের পাতায় জেঁকে বসছে। এমন সময় ক্যাশিয়ার গজেন্দ্র মাঠের দিক দিয়ে হেঁটে যাওয়া কাউকে দেখিযে প্রায় ‘অমানুষ’ সিনেমার উৎপল দত্তের কায়দায় বলল–– ও যা রহে হ্যায় সরকার, আপকা কাম কা আদমী!
আহিরণ নদীঃ ১৮শ পর্ব : Ranjan Roy
টইপত্তর | বাকিসব : মোচ্ছব | ০২ জানুয়ারি ২০২১ | ২১৫৩ বার পঠিত | মন্তব্য : ৫
আদিবাসী ওঁরাও সমাজের ছেলে জগন। ভেবেছিলাম বেশ কালোপাথরে কোঁদা হাট্টাকাট্টা নওজোয়ান হবে, কোথায় কী-- রোগাপ্যাংলা লম্বাটে গড়ন, কন্ঠার হাড় উঁচু, গলার আওয়াজ ফ্যাঁসফ্যাঁসে। দাঁত থেকে বোঝা যায় গুড়াকু করার (দাঁতে মিশি দেয়ার) অভ্যাস আছে। কিন্তু আদিবাসী ছেলে এত রোগা! ভাল করে খায় না নাকি?