ভালো হয়েছে লেখাটা রঞ্জনদা
অমিত,
লেখাটা মন দিয়ে পড়েছেন। অনেক ধন্যবাদ।
রঞ্জনদা, খুব ভালো লিখেছেন, অভিনন্দন জানাই। ফন্ট টা আমার ইনকনসিসটেন্ট লাগল মানে কখন বোল্ড কখন না, কখন কি সাইজ তার আইন কানুন ধরতে পারিনি। এটা একটু কেউ ঠিক করে দিলে ভালো হত, তথ্য পূর্ণ লেখা অনেক লোকের কাজ লাগত। ধন্যবাদ জানাই।
@রঞ্জনদা, দারুন হয়েছে লেখাটা। খুব ভালো করে বুঝিয়ে লিখেছেন। হ্যাঁ এই প্রস্তাবটা আম্বানীদের হয়ে অনেকদিন ধরেই করা হয়েছে। সেকালে আমরা সবাই হেসে উড়িয়ে দিতাম। কিন্তু দিন পাল্টেছে, ওদের হাতেই সব ক্ষমতা।
আপনি ঠিকই বলেছেন যে কিছু এনবিএফসিকে স্টেটওয়াইজ অপারেট করার লাইসেন্স দেওয়া যেতে পারে। ক্রোনি ক্যাপিটালিজম কিন্তু ক্যাপিটালিজমকেই সবার আগে ধ্বংস করে। সেইদিকেই সবকিছু এগোচ্ছে।
4th pillars এর ওয়েবসাইটটা দিব্যি লাগলো। কিন্তু ওটা তো পিলার হওয়ার কথা, পিলারস নয়। মনে হচ্ছে ডোমেইনটা কিনতে পয়সা লাগবে অনেক।
সবাইকে ধন্যবাদ। মানে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য।
@এস ,
গ্রামারের হিসেবে অবশ্যই pillar হয়, কিন্ত ওই নামে একটি মার্কিন সংস্থা আগেই রেজিস্ট্রেশন করেছে। তাই এরা বাধ্য হয়ে pillars করে রেজিস্ট্রেশন পেয়েছেন ।
কর্ণধার সুদীপ্ত সেনগুপ্ত বাম জমানার 24 ঘন্টা চ্যানেল এর এডিটর। দিদি জমানায় ইস্তফা। একসময় আনন্দবাজার পত্রিকার বামঘেঁষা সাংবাদিকদের অন্যতম ছিলেন।
আজ ওখানে ইকনমিস্ট অমিত ভাদুড়ীর লেখাটি দেখুন।
বেশ ভালো লেখা! এই অন্যায়, ঔদ্ধত্যের প্রতিবাদ খুব প্রয়োজনীয়! নাহলে এরা আরো ঔদ্ধত্য দেখাতে থাকবে!
প্রবন্ধটি সাম্প্রতিক আর্থিক সংকটের জামানায় দেশের মানুষদের চোখ খুলে দিতে সাহায্য করবে। প্রচুর রেফারেন্স সহ এই মূল্যবান লেখাটি আন্তরিক সমাজ ভাবনার ফসল। পড়ে ভালো লাগলো। রঞ্জনদাকে আমার আন্তরিক অভিবাদন!
সংক্ষেপে একটি ভাবী বিপর্যয়ের নিপুণ বিশ্লেষণ।
নতুন ব্যাংকের প্রয়োজন কেন হচ্ছে? সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক সব মিলিয়ে এদেশে সংখ্যার কমতি নেই। তাদের অবস্থা বেহাল কেন, সেটা কখনও সঠিক ভাবে মূল্যায়ণ করা হয়নি। ব্যাংকিং ব্যবসা চকমেলানো বাড়ি আর টাইপরা , ইংরেজি বলা লোকদের মওরসিপট্টা নয়। এই ব্যবসায় সবার আগে প্রয়োজন মানুষের বিশ্বাস অর্জন করা। যে সব ব্যবসায়ী নানা ভাবে মানুষের সঙ্গে তঞ্চকতা করে সন্দেহের ভাগী হয়েছেন, তাঁদের স্বার্থেই নতুন আইন করা। ইক্যুইটি বাজার নির্মম জায়গা। সেখান থেকে নামে-বেনামে পুঁজি তোলার চেষ্টায় কোম্পানিদের অসুবিধে হয়। 'ঘরের ব্যাংক' থাকলে কোম্পানির ব্যবসার ক্ষতি বেমালুম ব্যাংকের ঘাড়ে চড়িয়ে রেহাই পাওয়া যায়। শুধু নির্বাচন বন্ডের অছিলায় ক্ষমতাশালী রাজনীতিকদের তছরুপ করা টাকার কিছুটা উৎকোচ দিলেই উদ্দেশ্য সাধন হয়ে যাবে। ব্যাংকিং ব্যবস্থার ফান্ড ও ননফান্ড ভিত্তিক ব্যবসায় লেনদেনের শৃঙ্খলা এতোটাই জটিল প্রপঞ্চ যে দুর্বৃত্ত ব্যবসায়ীদের তছরুপ ধরার আগেই তারা 'নীরব মোদি' হয়ে যাবার যথেষ্ট সময় পাবে। এই আইনে যে তফাতটি করা হয়েছে তার মোদ্দা কথা, আগে ব্যবসায়ীরা বাজার থেকেই নতুন পুঁজি তুলতো। কিন্তু তা ছিলো যাঁরা পুঁজি বাজারের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়, তাঁদের টাকা। তাঁরা ব্যবসার ঝুঁকি সম্বন্ধে সচেতন হয়েই টাকা ফাঁসান। এখন হবে সাধারণ অনভিজ্ঞ মানুষের বিশ্বাসের সঞ্চয় নিয়ে কর্পোরেট লালসার তাণ্ডব নৃত্য। আইন হাজারটা থাকতে পারে। কিন্তু তা প্রয়োগ করার অধিকার থাকে শুধু মাত্র সরকারি ভাবে ক্ষমতাসীন লোকদের। এই সরকারের সদিচ্ছা কতোটা আছে, তা সবাই জেনে গেছেন এতোদিনে। নিজের গচ্ছিত টাকা ফেরৎ চাইলেও শেষে UAPA'র ধারা মতো 'দেশদ্রোহী'র তকমা লাগিয়ে দেবে এরা।