জিও হুতো!!! তিনটেই মন ভিজিয়ে দিল।
জিও হুতো!!! তিনটেই মন ভিজিয়ে দিল।
জিও হুতো!!! তিনটেই মন ভিজিয়ে দিল।
ওখানে এমন করেই সন্ধ্যা নামে
সীমানার অন্য পারে রেলের গাড়ি
আকাশিয়া গাছের ছাতা ছায়াপ্রদ
তার নীচে চা বাগিচার কষ্ট ফসল।
ওখানে বাস্তু গুলি অন্যরকম
রাধিকার বাসার হাতায় হরেক কিসিম
মানুষের দেন দরবার লেগেই আছে
দূরে দ্যাখো পাহাড় ঘেঁষে সূর্য ঢলে।
জোরসে প্যাডেল মারো, মেঘ করেছে
নুন কিনো মুদির খাতায়, পান্তা জোগাড়
হয় হবে দিনের শেষে আরেকটা দিন
বেঁচে থাকো কষ্ট করে, রাত পোহালে।
হেমন্তে কয়েকদিনই আকাশপ্রদীপ
প্রিয়জন তাকিয়ে থাকে শূণ্য থেকে
ছায়াতে ভাসতে থাকে চায়ের সুবাস
রাধিকার বাস্তু ঘিরে লুসাই পাহাড়।
ঋতুগুলি আসতে থাকে পুনঃপুন
তাহাদের আবেগ ঘিরে শিকড় নামে
রাতকানা অন্ধ পাখি আগুন দেখে
যেরকম লোভ ধরেছে পতঙ্গজীব।
বেঁচে থাক কষ্ট করে, বাস্তুগুলি
দরিপথ পার হয়ে যায় ক্ষুধায় কাতর
রাধিকার উঠোন ঘিরে শীতের আদর
নুন কিনো মুদির খাতায়, সন্ধ্যা হলো।
কৃপণ বিকেলে যদি একযোগে জ্বলে সব আলো
যে স্নায়ু স্পর্শে জাগে তাকে ধরে বটের শিকড়
যেখানে অর্বাচীন ছুঁয়ে দিলে বিদ্যুৎ স্থিতিশীল হতো
তাকে রাখে জনহীন সুশীতল অন্ধকার কোনের আড়ালে।
এখানে বসত ঘেঁষে চলে যায় রেলগাড়ি, ইশার আজান
অনিশ্চিত জনপদে পাশাপাশি ডিজেলের ঘাম।
সে শহরে লোক আসে, সব লোক ভিটেমাটি ছেড়ে
যে শহর জনহীন, যে ভিটেতে মৃতের কবর
যেখানে বিকেলবেলা উল্লাসে শূণ্য মানুষ
ফিরে আসে যথাকালে, ফিরবার ঠিকানাবিহীন।
যে স্নায়ু স্পর্শে জাগে, যে ধমনী ডাকের পিওন
যে গাড়ি স্টেশন ছেড়ে পার হয় ইশার আজান
রাধিকার বাসাবাড়ি যে পাড়ায় আলোদের শেষে
সেখানে দেওয়ালে আঁকা জারুলের বীতরাগ দল।