এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • বৌদ্ধধর্ম বৌদ্ধধর্ম:

    ranjan roy
    নাটক | ০৮ জুন ২০০৭ | ১৪৫০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 122.168.***.*** | ০৯ জুন ২০০৭ ০০:৪৫390168
  • বৌদ্ধধর্ম তার উৎসদেশ ভারতবর্ষ থেকে প্রায় বিলুপ্ত কেন?
    ------------------------------------------------------
    আমার কোন আনাড়িপনায় এটা নাটক বিভাগে দেখাচ্ছে। তার জন্য আমি দু:খিত। আসলে সান শুয়ানের বই "দশহাজার মাইল" এর আলোচনায় প্রশ্নটা Tan এবংD তুলেছিল।
    এর উত্তর আমার জানা নেই।কিন্তু অনেকদিন ধরে প্রশ্নটা (আরও অনেকের মত) আমায় ভাবাচ্ছে। যা মনে হল বলছি।

    এর মুখ্য কারণ আমার মতে দুটো।
    এক, যে আর্থ-সামাজিক পটভূমিতে বৌদ্ধধর্মের উদ্ভব ও বিকাশ হয়েছিল পরিবর্তিত অবস্থায় তার ভূমিকা বদলে যায় এবং প্রায় অপ্রাসংগিক হয়ে পড়ে।
    দুই, বৌদ্ধদর্শনের তাঙ্কিÄক স্ট্রাকচারে সময়ের সংগে তাল মেলাতে গিয়ে যে পরিবর্তন আসে তাতে উপনিষদিক ব্রাহ্মণ্যধর্মের সংগে তার মৌলিক প্রভেদ খুব কমে যায়। ফলে তাকে জায়গা ছেড়ে দিতে হয় বেদান্তকে, মুখ্যত: অদ্বৈত বেদান্তকে।
    একটু স্পষ্ট করার চেষ্টা করছি।

    এক, লিচ্ছবি-বজ্জি ও অন্যান্য গণরাজ্য গুলির ক্ষয় এবং কোশল মগধ আদি সাম্রাজ্য গুলোর জন্ম এবং বিস্তারের যুগে জাতিবর্ণের নিস্পেষণের বিরুদ্ধে বৌদ্ধদর্শন দাঁড়ায় ব্রাহ্মণ্যবাদ এর মুখোমুখি। সংগে নেয় উঠতি বণিককুলকেও।
    তারপর ধীরে ধীরে রাজধর্মের রূপ নেয়। তখন গণরাজ্যগুলির প্রথা থেকে নেয়া আদি সাম্যবাদী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং মানুষে- মানুষে ভেদাভেদের অবসানের জন্য চেষ্টা মাত্র বৌদ্ধসংঘগুলোর চারদেয়ালের মধ্যে আটকে থাকে। এর বাইরে বৃহত্তর মানব সমাজে রাজতন্ত্রের অবাধ ক্ষমতার ব্যাপারে বৌদ্ধধর্ম ক্রমশ: নীরব হয়ে যায়।
    দুই, তারপর সামন্ততন্ত্রের বিকাশের সময় হীনযান বদলে হয় মহাযান। বুদ্ধের বলা মুক্তবুদ্ধির চর্চা বন্ধ হয়ে ঢুকে পড়ে তন্ত্রমন্ত্র-পূজোপাঠ, তারাদেবি আরও কত কি। হিন্দুধর্মের আচারসর্বস্ব রূপের সংগে তফাৎ ক্রমশ:ই কমতে থাকে।
    ভাবুন দেখি, - একদিকে "প্রমাণবার্তিক" রচয়িতা ধর্মকীর্তি বলছেন-"জাতিভেদ,কোন বইয়ের শ্রেষ্ঠত্ব, দানে পুণ্য, বিশেষ স্নানে পুণ্য এবং পশুবলিতে পুণ্য--এসবে বিশ্বাস করা মূর্খতার পঞ্চবিধ লক্ষণ।আর একদিকে ভিক্ষু-ভিক্ষুণীদের স্তুপ এবং মঠের জন্যে দান, ভূত তাড়ানোর মন্ত্র, বজ্রযান-যোগিনীযান --এসব একই ধর্মের চেহারা?

    বিশেষ করে নাগার্জুনের শূন্যবাদ বা অসঙ্গ-বসুবন্ধুর বিজ্ঞানবাদ( যাতে জ্ঞাতা ও জ্ঞেয়র ভেদ মিটে যায়) শঙ্করাচার্য্যের অদ্বৈত বেদান্তের বড় কাছকাছি। সাধে কি শঙ্করাচার্য্যকে সনাতনীরা প্রচ্ছন্নবৌদ্ধ বলতো?
    এভাবে গুপ্তযুগের কাছাকাছি সময়ে হিন্দুধর্নের পুনরুত্থান এবং বৌদ্ধধর্মের পিছু হটা শুরু হল। সেসময় রাজধর্মের ভূমিকা পালনে ব্রাহ্মণ্যধর্ম বেশি equipped ছিল।
    খানিকটা যেভাবে আজকের উত্তরপ্রদেশে
    কংগ্রেসের জায়গাটা মায়াবতী দখল করে নিয়েছেন।
    শেষে একটু "গম্ভীরভাবে হালকা"
    হওয়ার চেষ্টা করি।
    বিখ্যাত বৌদ্ধ দার্শনিক একটি চৌপদী লিখে গেছেন, যার মর্মার্থ নিম্নরূপ:

    " বুদ্ধের বচন যে এই ধরণীর স্রষ্টা কোন ঈশ্বর নেই --তার সত্যতা আমি নারীকে দেখেই আমি বুঝে যাই। কারণ, সত্যি যদি কোন ঈশ্বর থাকতো, তাহলে নারীর স্রষ্টাও সেই হত। কিন্তু তারপর নারীকে সে কি আদৌ ছেড়ে দিত?"
    রঞ্জন রায়।
  • saa | 82.43.***.*** | ১০ জুন ২০০৭ ০০:৩৯390176
  • বৌদ্ধ ধর্ম নিয়ে আরো কিছু লিখুন, শুনতে খুব ভালো লাগছে
  • tan | 131.95.***.*** | ১০ জুন ২০০৭ ০৩:১০390177
  • রঞ্জনদা,লেখা খুব ভালো হচ্ছে আপনার। প্রশ্ন আমার আরো কিছু আছে।
    একটা পুরাকালের।এই বিম্বিসার প্রসেনজিতের সময় শাক্যসিংহ যখন বোধিলাভ বৌদ্ধধর্ম প্রচার করেন,তারো আগে থেকেই কি এই দর্শন সমাজে প্রচ্ছন্নভাবে ছিলো? প্রসঙ্গত রামায়ণে জাবালি মুনি এইসব ধর্মীয় আচার রিচুয়াল যেমন পূজা আচ্ছা শ্রাদ্ধ মৃতের উদ্দেশ্যে অন্নদান যজ্ঞে পশুবলি এইসবের অসারতা নিয়ে বলছিলেন বলে অনেকে খুব সন্দেহের সঙ্গে বলছেন জাবালি বৌদ্ধ-এইরকম একটা কিছু কোথাও পড়লাম।ভুল হলে কেউ প্লীজ বলে দেবেন।কিন্তু প্রশ্নটা হলো এই ধরণের একটা মত,অনেকটা চার্বাকমতের মতন-সেটা কি সমাজে ছিলোই আগে থেকে? শাক্যবুদ্ধ ঠিক কি করলেন যার জন্য সেইসময়ে এটা এতবড়ো একটা মুভমেন্টে পরিণত হলো? সেই একই সময়ে কিন্তু জৈনধর্মও উদ্ভুত হয়,আরো অসংখ্য নানা জটিলপন্থী সন্ন্যাসীদল ও ছিলো,যারা কালক্রমে মতসমেত হারিয়ে যায়।এইরকমই কি সত্যি হয়েছিলো? এটা কি অনেকটা সারভাইভাল অব দ্য ডক্ট্রিনের মতন? অনেক ছোটো ছোটো ভিন্ন ভিন্নমত নিয়ে শুরু হলো যারা শক্তিশালী তারা টিঁকে গেলো আর যারা পারলো না,হয় বড়োর দলে মিলে গেলো নয় হারিয়ে গেলো?
    তারপরের সময়ে আসা যাক---বিম্বিসার অজাতশত্রুর পরবর্তী কালে ব্যাপারটা কি হলো? প্রথম ফের আবার প্রচলিত ইতিহাসে দেখা যাচ্ছে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে,সে তো আলেকজান্ডারের ভারত আগমনের সময়ের কথা, বিম্বিসারের থেকে সে প্রায় পাঁচশো বছরের পরে,মধ্যের সময়টা কি হলো? সেই সময়ে কি বৌদ্ধধর্ম প্রসারিত হয়েছিলো? হলে কতটা? চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য নিজে কি বৌদ্ধ ছিলেন?
    তারপরে আসুন গ্রীক সংসর্গে, মীনান্দার।ইনি বৌদ্ধধর্ম নিলেন।অনেক বইপত্র ইত্যাদি লেখাজোকা হলো।ধারা যাচ্ছে পশ্চিমের দিকে ছাড়াতে শুরু করেছে মতবাদ,ধরে নেওয়া যায় এইসময়েই কাবুল কান্দাহার হীরাট মানে আফগানিস্তান তাজিকীস্তান কাজাখস্তান কিরিঘিজিয়া এইসব দিকে প্রসারিত হতে থাকে।তাই কি? নাকি আগেই হয়েছিলো? ক্লিওপেট্রার আমলে মানে রোমে যখন জুলিয়াস সীজার তখন খবর পাচ্ছি মিশরে নাকি প্রায় তিনশো বৌদ্ধমঠ ছিলো!!!!!এ কি ঠিক খবর?
    তাহলে অতখানি পোটেনি্‌শয়ালওয়ালা ধর্মমত আরো ছড়াতে পারলো না কেন? সমাজ অনুকুল ছিলো না?
    তারপরে অনেকটা গ্যাপ দিয়ে চলে আসুন অতীশ দীপংকর শ্রীজ্ঞানের কাছে,ইনি তো দূরবর্তী দেশেও নাকি যান বৌদ্ধধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করতে,পরে তীব্বতে যান বৌদ্ধধর্মের পরিশোধন ও পরিমার্জনের জন্য।এনাকে নিয়ে একটু লিখুন।এনার সময়কাল ও তৎকালীন ভারতের অবস্থা নিয়ে।এনার বইপত্র ইত্যাদি পড়ে মনে হয় প্রচুর তন্ত্রমন্ত্র ইত্যাদি ঢুকে গেছিলো ধর্মে।
    ডিটেলে লিখুন।
  • Blank | 74.133.***.*** | ১০ জুন ২০০৭ ০৮:৩৬390178
  • একটা ছোট্ট জিনিস জানার ছিল। আচ্ছা সিদ্ধার্থ বাদে আর কোনো ধর্ম প্রচারক কি ছিলেন যিনি এরকম উচ্চ এবং ধনী বংশ থেকে উঠে এসেছেন?
  • Blank | 74.133.***.*** | ১০ জুন ২০০৭ ১২:৫১390179
  • একটা টাইমলাইন আঁকার চেষ্টা
    -----------------------------------------

    সিদ্ধার্থ, শাক্য মুনি প্রায় ২৫০০ বছর আগে যে পথ হাঁটা শুরু করেছিলেন, তার একটা ছোট টাইমলাইন আমি এখানে দেয়ার চেষ্টা করবো। কবে কখন, কি ভাবে চারদিক থেকে নতুন নতুন স্রোত এসে মিশেছে, আর কোথা থেকে স্রোত ভেঙে গেছে, তার একটা খুব ছোট্ট টাইমলাইন।

    সিদ্ধার্থ নিজে কোনো দিন ইশ্বরের পুজা করেন নি, নিজেকে ইশ্বরের সমান বলতেও চান নি। তাঁর ধর্মে ছিল ইশ্বরের ব্যপারের উদাসীনতা। মানুষের নিজের চেষ্টায় নিজের কর্মে মুক্তি বা নির্বান লাভের চেষ্টা। কিন্তু উনি নিজে কখনো ইশ্বরের অস্তিত্ব কে অস্বীকর করেন নি। বরং এমন ও শোনা যায় যে বোধি লাভের পর ওনার সাথে bramhaa র কথা হয়। এখানেই মহাবীরের জৈন ধর্ম থেকে আলাদা হয়ে যায় বৌদ্ধ ধর্ম। এখান থেকেই বৌদ্ধ ধর্মে মিশতে থাকে লোকাল ফিকশান গুলো। ক্রমশ ভাঙতে থাকে মুল ধর্ম।

    মহায়ন ও হীনায়ন
    ----------------------------
    পরিনির্বানের পর ৫০০ বছর কেটে গেছে। সার ভারতে নানা জায়গায় বৌদ্ধ মঠ তৈরী হয়েছে। দুরঙ্কÄ আর লোকাল infulence এর জন্য মঠ গুলোর নিজেদের আচার আচরন রীতিনীতি তে বেশ তফাৎ। দারা দেশে মঠের সংখ্যা মোটা মুটি ২০ তখন। কিন্তু সাধারন মানুষের সাথে এই মঠ গুলোর সংযোগ কত টা ?
    সত্যি তখন সাধারন মানুষ থেকে অনেক দুরে চলে বৌদ্ধ ধর্ম। মঠ কেন্দ্রিক জীবন, বৌদ্ধ সন্ন্যাসিদের নিজেদের দর্শন .. এসব ই সাধারনের ধরা ছোয়ার বাইরে। যতদিন রাজানুগ্রহে মঠ গুলো চলতো ততদিন সমস্যা হয় নি। কিন্তু সম্রাট অশোকের পর সেই পৃষ্ঠপোষকতা কোথায় আর?
    এই রকম সময়ে জন্ম নিল মহায়ন বৌদ্ধ দের নতুন রাস্তা। মহায়ন মানে বিশাল যান, বা জাহাজ। নতুন এই পথের মুল কথা হলো ভক্তি, যা ছিল হিন্দু দের ভক্তি বাদের খুব কাছা কাছি।
    এতদিন আমরা জেনে এসেছি যে নির্বান লাভ ই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। মহায়ন বৌদ্ধ ধর্ম জানালো যে শুধু বির্বান লাভ নয়, বোধিসঙ্কÄ হও। এতদিন আমরা শিখেছি যে বোধিসঙ্কÄ ছিল সিদ্ধার্থের পুর্ব জন্ম। কিন্তু মহায়ন সন্ন্যাসীর বললেন যে বোধিসঙ্কÄ হলো সে, যে বোধি লাভ করবে কিন্তু সে নিজের নির্বান নেবে না। সে বার বার জন্ম নেবে আর ততদিন সে মুক্তি নেবে না যত দিন না সে তার চার পাশের সবার মুক্তি লাভের ব্যবস্থা করতে পারে। অর্থাৎ তুমি যদি বোধিস্‌ত্‌তবের কাছের মানুষ হও, তোমার মুক্তি এনে দেবেন বোধিসঙ্কÄ।
    সাধারন গৃহি মানুষ দের কাছে টানা শুরু হলো এখান থেকে। একে একে সামনে এলেন অবলোকিতেশ্বর, মৈত্রেয়।
    বোধিসঙ্কÄ কে আলাদা ভাবে চেনার জন্য এলো তার ৬ টা গুন বা পারমিতা।
    এরপর শুরু হলো সিদ্ধার্থ কে নিয়ে confusion। সিদ্ধার্থ যে নির্বান লাভ করেছেন, কিন্তু তার পথে যারা আছে তারা তো নির্বান লাভ করে নি। তাহলে সিদ্ধার্থ কি বোধিসঙ্কÄ নন?

    এটা পরের দিন।
  • Blank | 74.133.***.*** | ১১ জুন ২০০৭ ০৬:৫৯390180
  • এই সময় প্রথম উঠে আসে বুদ্ধর ত্রি-কায়া concept টা। এই তিন কায়া হলো, ধর্ম কায়া -- যা জগতের সমস্ত কিছু তে মিশে আছে। সম্ভোগ কায়া -- যা মুক্তিলাভ করে স্বর্গে আছে আর নির্মান কায়া -- একটা ব্রীজের মতন ওপোরের দুই কায়ার।
    মহায়ন এর পথে যারা চলে তাদের কাজ হলো এই ধর্ম কায়া তে সব কিছু নিবেদন। সেই হিন্দু দের ভক্তি বাদ।

    এর উল্টো দিকে তখনো চলছে হীনায়ন বৌদ্ধ ধর্ম। যেটা তখনো সেই পুরনো আদর্শ গুলো কে ধরে রেখেছে। কিন্তু ক্রমশ ভাঙছে তাদের গ্রুপ গুলো। হীনায়নের রাস্তা ধরেই উঠে আসছে নতুন আরো কিছু পথ। যার মধ্যে সবচেয়ে স্টেবল টা হলো স্থবির বাদ। অন্য দিকে মহায়ন এর ভক্তি বাদ ছারাও মহায়নে এসে মিশেছে দর্শন বাদ। যা আদি বৌদ্ধ ধর্মের বেশি কাছা কাছি। নালন্দার বিখ্যাত প্রফেসর নাগার্জুন ছিলেন এই পথের।
  • S | 61.95.***.*** | ১১ জুন ২০০৭ ১১:১৯390181
  • মহায়ন হীনায়ন? নকি, মহাযান হীনযান?
  • J | 77.56.***.*** | ১১ জুন ২০০৭ ১১:৫৮390182
  • ইংলিশ মিডিয়াম!

  • d | 202.142.***.*** | ১১ জুন ২০০৭ ১২:৪৯390183
  • "য'এর উচ্চারণ তো বাংলায় আমরা ঠিকঠাক করি না। আমাদের জিভে "জানা' আর "যেন' একইরকম উচ্চারণ হয়। আমরা বলি, বইতেও লেখা থাকে "যদা যদা হি ধর্মস্য ....'। কিন্তু এখানে যাঁরা শুদ্ধ হিন্দী বলেন তাঁদের মুখে শুনেছি "ইয়দা ইয়দা হি ....' ইত্যাদি। কাজেই হীনায়ন মহায়ন হতে তো অসুবিধে কিছু নেই। ইংরিজিতে Mahayana, Hinayana'
    ই লেখা দেখেছি।
  • Blank | 74.133.***.*** | ১১ জুন ২০০৭ ১৮:২০390169
  • মহাযান , হীনযান টা খাঁটি বঙ্গ ভার্সান। কথাটা ঐ 'যদা যদা' র উচ্চারনের মতন ই হয়।
  • tan | 131.95.***.*** | ১৮ জুন ২০০৭ ০১:৫৬390170
  • সিকিমের সেই মনাস্টেরির গল্পটা আর তার গভীর দার্শনটা এবারে ভিকি বলে ফেলো।কতকাল হয়ে গেলো ওপাড়ায় শুনে থেকে সেখানে যাবার ইচ্ছে।

  • shrabani | 190.19.***.*** | ১৮ জুন ২০০৭ ১৫:২৮390171
  • Test post
  • Blank | 65.82.***.*** | ১১ জুলাই ২০০৭ ২১:৫৯390172
  • Decline of Buddhism বই টা এখানে তুলে দিলাম। একদম এই টপিকস নিয়ে বেশ ভালো লেখা।

    http://www.esnips.com/web/Buddhism
  • m_s | 202.78.***.*** | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১২:৪২390173
  • গৌতম বুদ্ধ মানুষকে বুঝিয়েছিলেন যে, মনের শান্তি, সাংসারিক সুখসমৃদ্ধি, দু:খ-নিবারণ, বিবেকদংশন-জনিত পাপভয় তথা পুণ্যাকাঙ্ক্ষা, দার্শনিক জ্ঞানপিপাসা... ইত্যাদি যে সমস্ত মূল উদ্দেশ্যে মানুষ ঈশ্বরচিন্তা করে...সেই সমস্ত উদ্দেশ্য সাধিত হতে পারে, মানুষের চিত্তশুদ্ধি ও সার্বিক চারিত্রিক উন্নতি হ'লে। একমাত্র মানুষের উন্নত-চারিত্রিক মননশীলতার সাহায্যে দু:খ-নিবারণ, মানসিক শান্তি, সুচিন্তিত বিবেকবোধ-চালিত জীবনযাপন, সাংসারিক সুখসমৃদ্ধি, জ্ঞানার্জন, ইত্যাদি সম্ভব।

    মানুষ অভ্যাসের দাস। সৎ মার্গ অনুসরণ ক'রে, সৎকার্য-সৎবাক্য-সৎজ্ঞান ইত্যাদি যদি, নিষ্ঠা ও দৃঢ়সংকল্প নিয়ে অভ্যাস করা হয়; অতি'অবশ্য আপনা থেকেই মানুষের চিত্ত শুদ্ধ হবে এবং চারিত্রিক উন্নতি আসবে। ঈশ্বরচিন্তা ছাড়াও তা সম্ভব। তিনি মানুষকে আটটি পথ দেখিয়ে দেন (অষ্টাঙ্গিক মার্গ : সৎচিন্তা, সৎবাক্য, সৎজ্ঞান, সদাচরণ, সৎকার্য, সৎজীবন, সৎচেষ্টা, সৎপ্রতিজ্ঞা)। উপদেশ দেন সেই পথে নিশ্চিন্তে-নির্ভয়ে চলতে।

    অজ্ঞেয়-অচিন্ত্যনীয় কোন প্রমাণসাপেক্ষ ঐশ্বরিক অস্তিত্বের কাছে নি:শর্ত-আত্মসমর্পণের চিন্তা না ক'রে, অথবা, কোন ঐশী শক্তিকে সন্তুষ্ট করার জন্য প্রার্থনা-উপাসনা না ক'রে; মানুষের জীবন পরিচালিত হবে, শুধুমাত্র সদাচরণ-সদাভ্যাস জনিত উন্নত-চারিত্রিক মানসে অবস্থিত সুচিন্তিত বিবেকবোধ-বুদ্ধির দ্বারা...এই ছিল তাঁর কাম্য।

    মানুষের দৈনিক ব্যক্তিগত জীবনযাত্রা হিংসাদ্বেষহীন ও ন্যায়সঙ্গত হ'লে পরে, অতি প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও মানুষের মনের শান্তি, পরিশীলিত বিবেচনাবোধ, ইত্যাদি চিরস্থায়ী হবে। শাক্যসিংহ বলেন, দু:খশোককে ভয় না করতে। দু:খশোককে সংসারজীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বিবেচনা ক'রে, প্রত্যেকটি মানুষ যেন নিজে সবসময় ন্যায়ের পথে চলে। তবেই সমস্ত জনসমাজে ন্যায়-শান্তি বিরাজ করবে।
    তিনি মানুষকে বোঝান যে, অন্যে কি করছে সেই'টি না দেখে, নিজের কাজের প্রতি বিশ্লেষণী-দৃষ্টি দিতে। প্রত্যেক মানুষ যদি সংশোধিত হয় এবং সৎপথে চলে, তবেই সমস্ত সমাজ সৎ হবে এবং সমাজ থেকে পাপ-অন্যায় দূর হবার উপায় হবে।

    তিনি আরও বলেন যে, এই পৃথিবীতে বর্ণ, জাতি, ভাষা'সংস্কৃতি, জীবিকা, শ্রেণী, ইত্যাদি নির্বিশেষে, শুধুমাত্র জীবনের দাবী নিয়েই...প্রত্যেকটি মানুষ একে অপরের সাথে সমান। মানুষ ও প্রকৃতির দ্বারা সৃষ্ট কোন ভেদাভেদ-পদ্ধতিই সেই সাম্যকে অস্বীকার করতে পারে না। জীবন ও মনুষ্যত্বের এই সাম্যের ভিত্তি এবং অষ্টাঙ্গিক সৎমার্গের অভ্যাস...এই উভয়ের মাধ্যমেই আদর্শ সমাজ নির্মাণ সম্ভব হবে।

    খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে, বৈদিক ব্রাহ্মণ্যধর্মের আচার-সর্বস্বতা ও ক্রমশ:-কঠোরতর বর্ণভেদপ্রথায় পীড়িত ভারতের জনসমাজের মধ্যে... শাক্যসিংহের এই অমৃতবাণী এক প্রচন্ড আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তাঁর মহাপরিনির্বাণ লাভের দুই শতাব্দী পরে, মৌর্যসম্রাট প্রিয়দর্শী এই বাণীকে ভারতের সর্বত্র এবং ভারতের বাইরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেন।

  • b | 135.2.***.*** | ০৬ মে ২০১৫ ০৮:১৫390174
  • তুলে দিলাম।

    Comment from ranjan roy on 06 May 2015 06:48:53 IST 229.64.68.110 (*) #
    ----------------------------------------------
    শিবাংশু,
    অবশেষে। আপনার সঙ্গে আগে দুয়েকবার কথা হয়েছে--বৌদ্ধধর্ম ও দর্শন নিয়ে আপনি এখানে লিখবেন।
    কাজেই এত তাড়াতাড়ি থামলে ধম্মে সইবে না।ঃ)))
    আপনাকে অনুরোধ নীচের বিন্দুগুলো নিয়ে কিছু বলুনঃ
    ১) "নির্বাণ" বলতে বুদ্ধ কী বলতে চেয়েছেন?
    অনেক আগে আচার্য শেরবাটস্কির "ওেপ্ত ওফ উধ্ধিস্ত ণির্ভন" বইটি হাতে এসেছিল। বুঝতে পারি নি। আজকে পেলে পড়ব।
    ২) রাহুল সাংকৃত্যায়ন বৌদ্ধধর্মকে "অনাত্মবাদিন" অর্থাৎ দেহবিহীন আত্মার অস্তিত্বে অবিশ্বাসী বলছেন। ধর্মকীর্তির শ্লোকটিও সেই পথানুসারী। কিন্তু কিছু বিপরীত এভিডেন্সও আছে। আপনার কী মনে হয়?
    ৩) পতিচ্চসমুৎপাদ নামক ল অফ কজালিটি নিয়ে আরও একটু?
    ৪) সেই সমাজে বণিক, রাজন, শূদ্র ও দাস নিয়ে বৌদ্ধমত?

    একটু বেশি আবদার করে ফেললাম কি?
  • b | 135.2.***.*** | ০৬ মে ২০১৫ ১৮:৩১390175
  • হ্যাঁ, শিবাংশুদা, তাড়াতাড়ি বলুন। বিন্দুধারণ করবেন না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন