এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • হিন্দু-মুসলিম বিয়েঃ একটি ঘটনাঃ নানা মত

    Ranjan Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ০৮ আগস্ট ২০১৪ | ৪৫২৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ০৮ আগস্ট ২০১৪ ০১:৪২649657
  • [ সাতবছর আগে ২০০৭ সালে (তখন আমি গুরুতে নতুন) রিজবানুর কেস প্রসঙ্গে আমি আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুর একমাত্র মেয়ের মুসলিম ছেলের সঙ্গে স্বেচ্ছায় বিয়ে ও তজ্জনিত জটিল পরিস্থিতির কেস স্টাডি একটি টইয়ে লিখি। নানান মত, বিতর্ক উঠে আসে। আজ সাতবছর পরে সেই মুসলমান পরিবারে প্রেম করে বৌ হয়ে যাওয়া স্বচ্ছল হিন্দু পরিবারের মেয়েটি ও তার স্বামী কেমন আছে? সময়ের পরীক্ষায় পাশ না ফেল? আর দুই বেয়াই- বেয়ান ও তাদের পরিবার? কোন পরিবর্তন?
    মনে হল আজকের বারুদগন্ধী পরিবেশে এই রিয়েল লাইফ কেস গুরু ও চন্ডালদের ইন্টারেস্টের বিষয় হতে পারে। তাই পাইয়ের সাহায্যে পুরনো লিং পেয়ে তার থেকে কিছু নির্বাচিত পোস্ট রাখলাম আজকের পটভূমিকায়।]
  • সে | 203.108.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০১৪ ০১:৪৪649668
  • আমার সিনিয়র এক বাঙালী ছেলে (পদবী বন্দ্যোঃ ) একটি বাঙালী মুসলমান মেয়েকে প্রেম করে বিয়ে করে। সোভিয়েত দেশে। দুজনেই কোলকাতার মানুষ। ছেলেটির বাবা ছেলেটির মুখ দেখতে চান নি। পরে ওদের একটা বাচ্চা ছেলে জন্মালো, তার নাম দিলো ওরা আন্দ্রেই। সেই আন্দ্রেই কে দেখে শ্বশুরমশায়ের রাগ গলে জল হয়ে গেল। ওরা দুজনেই ক্লাসমেট ছিলো। সম্ভবতঃ দুজনেই হয় ডাক্তার নয় ইঞ্জিনীয়ার।
  • সে | 203.108.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০১৪ ০১:৪৫649674
  • সরি রঞ্জনদা। আপনি লিখুন।
  • Ranjan Roy | ০৮ আগস্ট ২০১৪ ০১:৫০649675
  • Name: ranjan roy Mail: Country:

    IP Address : 122.168.26.59 Date:10 Oct 2007 -- 11:23 PM

    আমি এটা লিখছি নিজের cathersis এর প্রয়োজনে। সারা বাকতাল্লা আর বাতেলাবাজির পর এই বয়সে আমি নিজের কাছে কতখানি সৎ--একটু খুঁটিয়ে দেখতে চাই।
    রিজ্বনুরের ব্যাপারটার সময় আমি ঘটনাচক্রে সল্টলেকে ভাইয়ের বাড়িতে ছিলাম। কিন্তু পার্কসার্কাস আমার ছোটবেলার পাড়া আর কড়েয়া থানার সামনের ফুটপাথে ছোটবেলায় ক্রিকেট খেলেছি।
    আজকে কেউ চেনা নেই। ফলে একদিন গিয়ে তামাশা দেখার মত দূর থেকে অবরোধ দেখে সরে পড়েছি। আর বৃষ্টিবন্দি হয়ে ঘরে বসে টিভিতে নিউজ দেখেছি। সে না হয় হল।
    কিন্তু এইঘটনার মাসতিনেক আগে বিলাসপুরে আমার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ, সবচেয়ে আপন বন্ধু বিজয় বর্মার একমাত্র মেয়ে( যে আমার স্ত্রীর স্কুলে নার্সারি থেকে ফাইভ অব্দি পড়েছে) প্রি-মেডিক্যাল টেস্টের লিস্টে নাম বেরুনোর কদিন পর
    (মাত্র সাতদিন আগে তার বয়েস আঠেরো হয়েছিলো) পাড়ারই এক মুসলিম ছেলের সঙ্গে আজমেরশরীফ পালায়, বিয়ে করে এবং ফিরে এসেপুলিস পাহারায় শ্বশুরবাড়ি ঢোকে। হাইকোর্টে বাবা-কাকার বিরুদ্ধে( ওর এবং স্বামীর প্রাণনাশের আশংকা জানিয়ে) কেস করে পুলিস প্রোটেকশন চায়। কেস চলছে। বাকিটা কালকে বলবো। চাইছি- গুরুচন্ডালীর গুরু এবং চন্ডালেরা এই ঘটনার মৃতদেহের নির্মমভাবে কাঁটাছেড়া করুন। বেরিয়ে আসুক আমাদের স্নায়ুর নীচে লুকিয়ে থাকা রক্তপুঁজ। আমাকেও রেয়াত করবেন না।

    ________________________________________
    এইবার একটু আমার সমস্যাটা গুছিয়ে বলি। কেউ বিরক্ত হলে নি:সংকোচে বলবেন। আসলে আমি ঈশানের লাস্ট পোস্টটা পড়ে বেশ ইন্স্পায়ার্ড। একটা র্যা শনাল প্রাক্সিস যেন পাওয়া গেল।
    তা' রোববারের দিন আমি ও আমার স্ত্রী গেলাম আমার বন্ধুর বাড়ি। বললাম যে আমরা তোমার মেয়ের শ্বশুর বাড়ি( ইব্রাহিম শেখ) যাব- বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে। সে তুমি রাগ কর আর যাই কর। সে বললো -এটা নিয়ে আমার বলার কিছু নেই, কিন্তু ও' বাড়ি থেকে আর এদিকে না এসে বাড়ি ফিরে যান। পরে ফোনে জানাবেন।
    একই পাড়াতে পায়ে হাঁটা দুরত্বে বোহরা মুসলিম মহল্লায় গলির মধ্যে ঢুকে
    " বর্মা পরিবারের মেয়ে নতুন বৌ হয়ে এসেছে- কোন বাড়িটা?' জিজ্ঞেস করতে করতে পৌঁছে গেলাম।
    দরজা খুলে সন্দিগ্ধ চোখে তাকালেন শ্বাশুড়ী, তারপর এলেন সৌম্যদর্শন শ্বশুর। এরপর বছর বাইশের ফর্সা চাপদাড়ি এক ছেলে। আপনাদের বৌমা আমাদের ছাত্রী ছিল, তাই বিজয়ার দিনে ওর সঙ্গে দেখা করে কুশল-মঙ্গল জানতে আর আপনাদের সঙ্গে আলাপ করতে এসেছি।
    জামাই কে? -জিজ্ঞেস করায় চাপ্দাড়ি ছেলেটি বললো--আমিই।
    ওর সঙ্গে হাত মেলালাম। ওনারা বললেন- ভেতরে এসে বসুন। বসে মিস্টি খেলাম, তারপর বললাম- কই,আপনাদের বৌমা রীণা কোথায়?
    ওরা মুখচাওয়াচাওয়ি করে বল্লেন- আসলে কি জানেন, বাংলাদেশের সিলহেট বলে একটা জায়গা আছে, সেখান থেকে ওর মাসী শ্বাশুড়ি এসেছেন, তার সঙ্গে বাজারে গেছে। ছেলেটি আমার ফোন নাম্বার নিয়ে বললো-ও' আসলেই আপনাদের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেব।
    আমরা বললাম- তোমরা যুগলে আমাদের বাড়ি এস। ছেলেটি আমার নামাজের সময় হয়েছে করে তাড়াতাড়ি পালালো। আমি ঘড়ি দেখলাম, চারটে বাজে,নামাজ পাঁচটায়। মসজিদ পায়ে-হাঁটা দুরত্বে।
    তারপর বাড়ি ফিরে এলাম। ওরা নম্বরও দেয় নি, আর কোন ফোনও আসেনি।
    পরের দিন রাত্তিরের দিকে বন্ধুর বাড়ি গিয়ে সব বললাম। বন্ধুর স্ত্রী বললো-জানতাম, ওরা দেখা করতে দেবে না। মেয়ে ভেতরের ঘরেই ছিলো। ওরা মেয়ের মোবাইলে চেক করে কার কার সঙ্গে কথা হয়।
    বন্ধু বললো-- আমি আপনাদের GC র ঈশেনের সঙ্গে একমত। আমার সন্তানের জীবনসঙ্গী বা বিয়ের পদ্ধতি আমার অপছন্দের হতেই পারে। এও মানি যে ওর জীবন "" আখির উসকি লাইফ হ্যায়''।
    কিন্তু আমার অপছন্দ আমি গোপন করবো কেন? আর ভুল সিদ্ধান্তের দায় যে ওকেই বইতে হবে এই সরল সত্যটি ওকে বলবো না কেন?
    তবে আমি নিশ্চয়ই ওর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের পেছনে গুন্ডা বা পুলিস লাগাবো না।
    এবার ওপরের থিওরির লাইটে আপনি পুরো ঘটনা টি বিচার করুন। গতবছর জয়েন্ট মেডিক্যাল এর সময় মেয়ের অ্যাডামিট কার্ড হারিয়েছিলো , তারপর আপনার ঘর থেকে download করি। তখন আপনাকে বলি নি। আসলে ক্লাস টেন ফেল ছেলেটি হিংসেয় ছিঁড়ে দিয়েছিল।
    তকহ্নই মেয়েকে বলেছিলাম যে আগে নিজের পায়ে দাঁড়া, অন্তত: ওকে খাওয়াবার মত যোগ্য হ'- তারপর না হয় ওর সঙ্গেই বিয়ে দেব। মেয়ে বললো ঠিক আছে। তারপর এ'বছর জয়েন্ট দিয়ে অপেক্ষায় আছি, পাড়ায় কিছু কথা কানে এল। মেয়েকে ডেকে বললাম -সত্যি কথা বল,- যদি মনে হয় অপেক্ষা করতে পারবো না।, ওকে আমার এখনই চাই-তাহলে আজকেই ছেলের বাপ পানব্যবসায়ী ইরফান মিঞাকে ডেকে কথা বলে ধূমধাম করে বিয়ে দেবো। মেয়ে বললো- না, বাবা! আমি আগে ডাক্তার হবো।
    তারপর র্যাং ক এলো ১০২। ছত্তিস্গড় মেডিক্যাল কলেজে হয়ে যেতো। কাউন্সিলিংএর অপেক্ষায় আছি, এদিকে মেয়ে দশদিন হলো আঠার বছর হয়েছে -আমাদের লুকিয়ে এফিডেভিট করে ধর্ম পরিবর্তন করে নিলো, আমরা কানাঘুসোয় শুনে অবাক হয়ে চেপে ধরায় অস্বীকার করলো। তারপর লুকিয়ে মুসলিম ধর্মমতে বিয়ে করলো-আমাদের বাড়িতে থেকেই,- আমরা কিছু জানি না! সাতদিন পরে বাড়ি থেকে পালালো আজমেরশরীফে। ঘর থেকে সোনাদানা টাকাপয়সা নিয়ে, আমার ATM খালি।
    দু'মাস পরে পুলিস প্রটেক্শন নিয়ে বাড়ি ফিরলো। আমার মেয়ের নাম দিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করলো কি বাপের বাড়ি থেকে আমার শ্বশুরবাড়ি তে হামলা হতে পারে। কোর্টে ছেলেটা ল্যাবার মত দাঁড়িয়ে ছিলো -আমার মেয়েকে এগিয়ে দিয়ে।
    আমার মেয়ে আর্গু করলো। আমার বক্তব্য শোনার পর ওরা মামলা উইথড্র করলো।
    মাঝ রাত্তিরে পুলিসের এক বড়কর্তা আমাকে ডেকে তুললেন। আমাকে বললেন -আপনার সাহায্য চাই।
    বেরিয়ে দেখি- প্রায় দেড়শ' শিবে্সনার ছেলে তলোয়ার বল্লম, রড নিয়ে ওদের গলি ঘিরে লাফাচ্ছে। আগে আমার ছোটভাই পিস্তল নিয়ে। পুলিস অফিসারকে বলছে--চারটে দানা আছে। দুটো ছেলে আর তার বাপের জন্যে, দুটো আমাকে যে আটকাবে তার জন্যে। এতবড় সাহস? আমাদের পরিবারে হাত!
    আমি সবাইকে বল্লাম -ফিরে যাও।
    ওরা অবাক, বল্লাম- তোমরা কিচাও? ওরা বল্লো- মুসলমান বসতি জ্বালিয়ে দেবো। ও'দুটোকে শেষ করে আপনার মেয়েকে তুলে আনবো?
    সব মুসল্মন আমার সঙ্গেই আছে। একটা পরিবারের জন্যে সবাইকে মারবে?
    আর আমি আমার মেয়ের মন চাই ,অনিচ্ছুক শরীর নিয়ে কি করবো? ঘরে এনে শেকলে বেঁধে রাখবো?
    Name: tan Mail: Country:

    IP Address : 131.95.121.132 Date:23 Oct 2007 -- 11:52 PM

    উরে বাব্বা! বুড়ো বলে কিনা জয়েন্ট দিয়ে অপেক্ষায় আছি! বলে কিনা কাউন্সেলিং এর অপেক্ষায় আছি!
    আরে বুড়া,অপেক্ষায় তো আছে মেয়ে, যে কিনা পড়তে ঢুকবে, কথায় বেরুচ্ছে যেন পাওয়ার খাটিয়ে উনিই ঢোকাবেন!
    এই বুড়া বুড়ী মিলে মেয়েকে বাড়ীতে দুইবেলা পিটিয়ে বা ধমকে দাবাতো না পানওলার ছেলের সঙ্গে পেরেমের খপর জেনেও,এ তো তাঁবা-তুলসী ছুঁয়ে কইলেও মানবো না!
    ছেলেপিলে এদের কাছে ইনভেস্টমেন্ট,আরে ফুটো কাপ্তেন বাঙালি মধ্যবিত্তের কাছেই তাই, আর এতো পাওয়ারওলা!

    ঐ রাত্রে দেড়শোজন পিস্তলহাতে গুন্ডা নিয়ে জামাই আর বেয়াই মেরে ভাইজি উদ্ধারের পরিকল্পনার কান্ড আর পরে ধর্মরাজ যুধিষ্ঠিরের মতন বাবার শান্তিস্থাপন শুনে আমার তো পুরো সাংঘাতিক লাগলো।
    ঐ বাড়ীতে মেয়েটা কিভাবে যে দিন কাটিয়েছে আঠেরো হবার আগে পজ্জন্ত, কী সাংঘাতিক অবস্থায়,তা হয়তো আমরা কোনোদিন জানতে পারবো না।
    এমনকি মেয়েটার সঙ্গে ন্যারেটর এর দেখা হলেও না,কারণ উনিও তো অভিভাবকদের দিক থেকেই দেখছেন।
    একমাত্র সে মেয়ে নিজে যদি বলতে পারতো,তাহলেই একমাত্র কিছুটা বোঝা যেতো। তবে মেয়েটি সাহসী,কোর্টে গিয়ে আর্গু করা পর্যন্ত যখন করতে পেরেছে আঠেরো হবার কয়েকদিন পরেই ... পরিস্থিতি সহায় হলে অনেকদূর যাবে সে।
    ________________________________________

    Name: Tim Mail: Country:

    IP Address : 204.111.134.55 Date:24 Oct 2007 -- 08:24 AM

    কমিউনিকেশান গ্যাপ শুধু তো বাবা-মায়ের সাথে মেয়ের নয়, সেটাতো দেখা যাচ্ছে পরিবারের অন্যান্যদের মধ্যেও ছিলো/আছে। ভাইজির শ্বশুরবাড়ি একদল গুন্ডা নিয়ে কাকা চড়াও হলেন, আর বড়ো ভাই ঘুনাক্ষরেও টের পেলেন না, এইটা কেমন লাগছে। বিশেষ করে ব্যাপারটা যখন টাটকা এবং আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে সেক্ষেত্রে এই না জানাটা একটু আশ্চর্যের। একদিকে মেয়ের জন্য শোক এবং শান্তিস্থাপনের মত ব্যাপার, অন্যদিকে টাকা গয়না ইত্যাদির শোক এই দুটো-ও বেশ বেমানান। শ্বশুরবাড়িতে মেয়েটির উপস্থিতিতে বন্দুক তরোয়াল নিয়ে হামলা হলে মেয়েটির শারীরিক ক্ষতি হতে পারত বলেই ভদ্রলোকের আচরণ আরো-ই সন্দেহজনক লাগছে।
    তর্কের খাতিরে ভদ্রলোকের সমস্ত কথা সত্যি বলে মেনে নিলেও, ছেলেটি অপোগন্ড এবং শ্বশুরবাড়ি বদমাইস হলেও, মেয়েটি কোন অভিযোগ না জানালে কারুর অধিকার নেই তার ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলানোর। প্রশাসন বড়জোর দেখতে পারে, মেয়েটি নিরাপত্তাহীনতার জন্য মুখ বুজে সব মানছে কিনা, স্বাধীনভাবে নিজের মতটা জানানোর সুযোগ করে দেওয়া ছাড়া আপাতত তাদের কিছু করার নেই।
    তবে এসব হওয়া খুব কঠিন। এরপরও চাপের খেলা, টাকার খেলা চলবে দুপক্ষ থেকেই।
    ________________________________________
    Name: ranjan roy Mail: Country:

    IP Address : 122.168.31.139 Date:24 Oct 2007 -- 11:27 PM

    জমে গেছে। ঠিক যা চাইছিলাম। ইচ্ছে করে গল্পের সবটা বা ব্যাক গ্রাউন্ড মিউজিক -- কিছুই আগেভাগে বলিনি। তাহলে আগেই GC র বন্ধুদের প্রেজুডিস্ড করে দিতাম। আমি চাই সমস্ত সম্ভাবনা গুলোকে বিচার করে দেখা হোক। আমাকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হোক। আমি আমার biasনিয়ে সচেতন। মেয়ের বাপ আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
    "রশোমন' ফিল্মের মত একটা গল্পকে নানাদিক থেকে দেখা হোক।
    এবার ঘটনার বাকি অংশটুকু বর্ণনা করি-- তারপর টীকাটিপ্পনি এবং ব্যাকগ্রাঊন্ড মিউজিক।
    তবে মাইরি ট্যান! তুমি আমার তিন বছরের ছোট বন্ধুকে বুড়ো বললে? তবে আমি তো বুড়ো-হাবড়া! আর (এককালের) ডাকসাইটে সুন্দরী বন্ধুপত্নীকে বুড়ি? (ডিসক্লেমার: আমার কোন ফিক্সেশন নেই।)
    [ কিছ্‌ছু মনে করিনি। খানিকটা দমবন্ধ লাগছে, একটু হাল্কা হওয়ার চেষ্টা। ]
    মেয়ের বাবা কোর্টে বললো- আশংকা অমূলক। আমি ব্যক্তিগত ভাবে ওদের নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিচ্ছি। আমার মেয়েকে জিজ্ঞেস করুন আমি এ,বিয়েতে আগেই মত দিয়েছিলেম কি না? ও বলুক কেন পালালো? অ্যাডভোকেট জেনারেলের চেম্বারে পুলিশের সামনেই আমাকে আমার মেয়ের সামনে কথা বলতে মাননীয় আদালত অনুমতি দিন।
    তারপর সেই বিশাল চেম্বারে এককোণায় অতিরিক্ত অ্যাড- জেন এবং পুলিসের এস-পি আর বিপরীত কোনায় মেয়েটি আর মা-বাবা। মা ফুঁপিয়ে কেঁদে মেয়ের হাত ধরার চেষ্টা করতেই মেয়ে হাত ছাড়িয়ে নিয়ে
    বললো- আমি আমার শ্বশুরবাড়িতেই থাকবো।
    তারপর মায়ের কান্নাকাটি দেখে একটু পরে পুলিস অফিসার বল্লেন- ম্যাডাম, আপনি শান্ত হয়ে ওদিকের সোফায় গিয়ে বসুন। এবার বাবাকে কথা বলতে দিন।
    বাবা মেয়েকে বললো- আয়, কাছে এসে আমার পাশে বোস। এবার বল দিকি কেন এমন করলি? তোকে তো গতবারই বলেছিলাম যদি বিয়ে না করে থাকতে পারবি না তো বল, ছেলের বাবাকে ডেকে ভালকরে বিয়ে দিচ্ছি। তুই বললি- না, আগে ডাক্তারি পড়বো। তাহলে এই কাউন্সিলিং এর সময় কেন পালিয়ে গিয়ে লোক হাসালি?
    মেয়ে চুপ। বাবা বললো--জবাবটা আমিই দিচ্ছি। ভেবে দ্যাখ। ছেলেটা শুধু আমার দেয়া কথায় নয়,তোর ওপরও বিশ্বাস করতে পারেনি। ও নির্ঘাৎ ভেবেছে যে তুই
    ডাক্তার হলে ওর আয়ত্তের বাইরে চলে যাবি। ওকে বিয়ে করবি না। তাই গতবার তোর অ্যাডামিট কার্ড ছিঁড়ে দিয়েছিলো। আসলে ওর নিজের ওপর বিশ্বাস নেই। এমন একটা মেরুদন্ডহীন ছেলের ওপর সারাজীবনের মত ভরসা করবি? ভেবে দ্যাখ। তারপর নানাকথায় মেয়ে বললো-
    না বাবা, ও আমার পেছনে লাগে নি, আমিই ওর পেছনে লেগেছিলাম।
    (বাবা ভাবলো- হয়তো ছেলেটাকে আড়াল করতে মিথ্যে বলছে, অথবা নিখাদ সত্যি, মেয়ে হয়তো রক্তের ভেতর কোন অমূর্ত কল্লোল শুনতে পেয়েছে। )
    বাবা বললো - সে যাক, তোর রাস্তা তুই বেছে নিয়েছিস, এর ভালোমন্দ তোকেই সইতে হবে। তবে কখনো যদি মনে হয় কোন সাহায্যের দরকার- বিশ্বাস রাখিস, আমরা আছি।
    আর একটা পরামর্শ- নিজের পায়ে দাঁড়া, নইলে সম্মান পাবি না। কাজেই পড়াশোনাটা ছাড়িস না।
    মেয়ে - না, বাবা। ওরা পড়াবে বলেছে।
    বাবা- কি করে পড়বি? কোলে বাচ্চা নিয়ে? একদম খেয়াল রাখ, যদ্দিন নিজের পায়ে না দাঁড়াচ্ছিস- যেন বাচ্চাকাচ্চা না হয়।
    বছর পাঁচেক দ্যাখ, যদি বুঝিস ছেলেটা অকর্মার ঢেঁকি হলেও এমন কোন মানবিক গুণ আছে যার জোরে সারাজীবন সাথে চলার মত ভরসা করা যায়, তাহলে তাই। আর তা নাহলে, যদি আমার আশংকাই সত্যি হয়,তাহলে ফিরে আসিস-বাড়ির দরজা তোর জন্যে খোলা আছে, কিন্তু শুধু তোর জন্যে।
    হ্যাঁরে, দেখেছিস ঐ ছেলেটার মধ্যে? লালটু- লালটু মাকাল ফল? আত্মসম্মানহীন? ভালকথা, সিভিল ম্যারেজ অ্যাক্টে বিয়েটা রেজিস্ট্রী করে নে'। নইলে কাল তিন-তালাক দিলে কিসের জোরে দাঁড়াবি?
    কয়েকবার শুনানির পর ছেলেপক্ষ কোর্ট কেস তুলে নিয়েছে। মেয়ে আছে বোর্খা পরে শ্বশুরবাড়ি।
    যখন জয়েন্টে কাউন্সিলিং এর কল এলো, তখন কারড্‌টা ওদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হলো। মেয়ে কাউন্সিলিং য়ে যায় নি। তারপর ফিজিওথেরাপিতে ভর্তি হওয়ার চান্স পেল। সে' চিঠিও ওদের বাড়িতে গেলো। যথাপূর্বং।
    মেয়ের বাপের কথা হচ্ছে - প্রেমে ত্যাগ থাকে, প্রেমিকার উন্নতির ব্যাপারটা থাকে। এতো মতলববাজ ছেলের চালবাজি-- অল্পবুদ্ধি আহ্লাদি জেদি মেয়ের ইমোশনাল এক্সপ্লয়টেশন। ফলে মেয়ের ভুল ভাঙ্গবে।
    আমি বলি-ভাঙ্গুক, না ভাঙ্গুক:- তুমি কোন কলকাঠি নাড়বে না। জীবন নিজের বাঁক খুজে নিক। আর সুখের সংজ্ঞা কে জানে!
    আহা! বন্ধুটি যদি ইংরেজি জানতো, যদি সমারসেট মমের The Ambassador গল্পটা ওর পড়া থাকতো!
    টিকা-টিপ্পনী কালকে।

    ________________________________________
    Name: tan Mail: Country:

    IP Address : 131.95.121.132 Date:24 Oct 2007 -- 11:44 PM

    রঞ্জনদা, বৃদ্ধত্ব মনের ব্যাপার। যৌবনও তাই।
    কেউ কেউ তরুণ বয়সেই বুড়িয়ে যায় মনের দিক থেকে হযবরল র সেই মামার মতন,আবার কেউ কেউ আশি নব্বুইয়েও তাজা থাকে মনের দিক থেকে।
    আমিও হাল্কা হয়ে কইলাম, সুকুমারের ভক্ত হিসাবে।
    যদিও ব্যাপার খুবই জটিল,হাল্কাত্বের অবকাশ নেই। এত সব বোঝাবুঝি হয়ে যাবার পরেও দেড়শো গুন্ডা নিয়ে হামলা বহু প্রশ্ন জাগায়।
    আর কন তো দেখি,ত্যাগের ব্যাপারটা মানুষে কখন কয়? অবলা নিজের পুরো কেরিয়ার ছুঁড়ে ফেলেদিয়েছিলো জগদীশের জন্য,সেই ত্যাগ সমাজে সম্মান পেয়েছিলো।
    মিলেভা নিজের কেরিয়ার বলি দিয়ে আলবার্টকে দাঁড়াতে সাহায্য করেছিলো,যদিও পরে পুরস্কার হিসাবে পেয়েছিলো কঠিন দু:খ।
    কিন্তু এগুলো সমাজে অ্যাকসেপ্টেড,মেধাবী পুরুষ নারীর আত্মবলিদানের সুবিধা নিয়েছে।
    উল্টোটা সমাজ মানে না,পুরুষ নিজের ত্যাগে নারীকে এগিয়ে দিতে চাইলে ভেড়ুয়া বলে গালি দেয় নারীপুরুষ নির্বিশেষে সমাজের সবাই।কাদম্বিনীর স্বামীকেও তাই বলতো।
    এইসব ট্রেন্ডগুলো বদলানো তো একদিনের কাজ নয়!
    প্রতিদিন নতুন করে আশ্চর্য হচ্ছি মেয়েটির সাহসে ও চিন্তার নতুন বাঁকে।
    এই মেয়ে যখন বলেছে,""আমি ই ওর পিছনে লেগেছিলাম,ও আমার পিছনে লাগে নি""-খুব কম মেয়ে বলতে পারবে এইকথা ঐ অবস্থায়। কম তো দেখলাম না এতকাল।
    বয়সে বড়ো হয়েও এই মেয়ের কাছে মাথা নোয়ালাম।
    সাবাশ!!!!
    ________________________________________

    Name: tan Mail: Country:

    IP Address : 131.95.121.132 Date:25 Oct 2007 -- 12:04 AM

    আর এই বুড়ো নিজের মনে নিজে জানে খুব ভালোই যে হবু জামাই যাই আশা বা আশংকা করুক, সে নিজে এই আশাই করছিলো যে মেয়ে ডাক্তারি পড়তে পড়তে প্র্যাকটিকালি অনেকটাই বুঝদার হয়ে উঠবে আর সুড়সুড় করে বাপের মতে মত দিয়ে কোনো খানদানি পাঁঠাকে বিয়ে করবে। কারণ ততদিনে সে মেয়ে আর্লি অ্যাডাল্টহুডে ঢুকে পড়বে, টিনেজের তাপ, তেজ ও সাহস আর থাকবে না।

    রঞ্জনদা,বন্ধুকে এসব আবার জিগাবেন না যেন, এসব কথা হচ্ছে কানার মনে জানা, এগুলো কেউ অন্যেরে কয় না।:-))))
    ________________________________________
    Name: c Mail: Country:

    IP Address : 90.200.160.253 Date:25 Oct 2007 -- 01:17 AM

    ranjan babu ,
    আপনার লেখা পড়ে ,যেটা পুরোটাই আপনার বন্ধুর বয়ান, এটাই মনে হয় ছেলেটি ভীষণই খারাপ,অন্তত পাত্র হিসেবেঐ মেয়েটির জন্য, মেয়েটিকে ঘরে আটকে রাখা , admit card ছিঁড়ে ফেলা এগুলো শুনলে মনে হয় মেয়েটিকে সেভাবে ভালো ও বাসে না। কিন্তু চমকে উঠি, মেয়েটির ঐ কথাটি শুনে, যে ও আমার পিছনে লাগেনি ....... লেগেছিলাম। মেয়েটিতো হাবাগোবা নয়, পড়াশুনোতে ভালো , ছেলেটি যদি এতো ই খারাপ হয় তবে কিসের টানে ....
    জানি না এভাবে দু একটা ইনসিডেন্ট পড়ে কমেন্ট করাটা খুব মুশকিল। বাবা মা হিসেবে ছেলে মেয়ের প্রতি concerned থাকাটাকে disrespect করছিনা কিন্তু অনেক সময়ই সেটা লিমিট ছাড়িয়ে যায়। সবসময় তো আর রেলিজিয়ন বা ক্লাস ডিফারেন্স থাকে না তবুও তো কতো সম্পর্ক শুধু থার্ড পার্সনদের ইনটারফেয়ার করার জন্যই কোলাপ্স করে যায় । concerned থাকাটা ঠিক আছে, কিন্তু সেটাকে যদি আপনি আপ্নার, right ভেবে থাকেন তাহলে খুব মুশকিল।
    ________________________________________

    Name: tan Mail: Country:

    IP Address : 131.95.121.132 Date:25 Oct 2007 -- 01:47 AM

    যতই বুড়োর দিকে টেনে বলা হোক, কথাগুলো পড়ে মনে হয় এই বাপগিরি ফলানো বুড়ো আসলে একটি প্রভুত্বকামী মেল শভিনিস্ট মাত্র,মেয়ে বৌ এসব এনার কাছে শোকেসে সাজানো পুতুল,ওনার ইচ্ছেয় নড়বে চড়বে কথা কইবে। বৌ রাঁধবে, বাড়বে, বাচ্চা পয়দা করবে, ডাব্বা বাঁধবে, সবেতেই মুন্ড কাৎ করে কইবে ঠিক ঠিক তুমি যা বলো-আর মেয়ে বাপের ঠিক করে দেওয়া লাইনে পড়ে শুনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বাপের ইগোকে আরো একটু দেখনদার করবে।
    এই লোক কত পণ নিয়েছিলো নিজের বিয়ের সময় সেটা জানারো ইচ্ছে রইলো। এনার বৌয়ের পড়াশুনার খবরো জানতে ইচ্ছে আছে,বিয়ের পরে তেনাকে কদ্দুর কেরিয়ার তৈরীর সুযোগ এই বীরপুঙ্গব দিয়েছিলো, সেটাও জানতে পেলে ভালো হতো।

    ________________________________________

    Name: Ishan Mail: Country:

    IP Address : 12.163.39.254 Date:25 Oct 2007 -- 02:11 AM

    পুরোটাই অন্য একজনের বয়ান। তার বাইরে তো যাবার উপায় নেই। কিন্তু এইটুকু জেনে ভদ্রলোক মন্দ কিছু করেছেন বলে তো মনে হলনা। বরং ভদ্রলোকের জন্য বেশ খারাপই লাগছে।

    বলাবাহুল্য, উল্টো দিকটা শুনলে মতামত পাল্টাতে পারে।

    তবে আমার নিজের পাড়ায় কাছাকাছি দেখা এরকম একটা ঘটনা আছে। একটি মেয়ের মাছওয়ালাকে বিয়ে করার কথা, যেটা আগেই লিখেছিলাম। সেখানে, আমি জানি, মেয়েটিকে বাবার বাড়িতে কেউ মারত ধরত তো নাই, বরং এক্সেপশনালি বেশি স্বাধীনতা দেওয়া হত। পড়াশুনোতে দিব্যি ছিল, স্বাধীনতার বিশেষ অপব্যবহার করেছে বলেও জানা নেই। তার সঙ্গে, তার বিয়ের আগে, আমার একটা পাড়াতুতো দাদা টাইপের সম্পর্ক ছিল। বাবা সম্পর্কে তার একটিই অভিযোগ ছিল, যে, বাড়িতে ভাইদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই টুকুই জানি, অধিক ডিটেলে জানা নেই।

    অনেকদিন তাদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ ছিলনা। হঠাৎ শুনি বাজারের একজন মাছওয়ালাকে বিয়ে করে ফেলেছে। কেন, কি বৃত্তান্ত জানিনা। মেয়েটিকে তারপ আর কখাও দেখিনি। তার বাবাকে দেখেছি। সে ভদ্রলোক মারপিট, দাঙ্গাহাঙ্গামা, পুলিশে অপহরণের কেস করা, পাড়ার দাদাদের ডাকা, কিছুই করেন নি। যদিও বিয়েতে প্রচন্ড আপত্তি ছিল। ভদ্রলোক শেষ পর্যন্ত ব্যাপারটা মেনে নিতে পারেননি। মাথায় টাক পড়ে গেল, রোগা হয়ে গেলেন, ইত্যাদি। এরপর একদিন তিনি মারাও গেলেন, সেটা আঘাত পেয়ে কিনা জানিনা।

    ওদিকে মেয়ে বেশিদিন থাকতে পারেনি পছন্দের বরের সঙ্গে। পড়াশুনো টা অবশ্য কন্টিনিউ করেছিল। বাবা মারা যাবার পরে এখন সে বাবার বাড়িতেই থাকে। একটা প্রাইমারি স্কুলে পড়ায়।

    এটা বছর পাঁচ দশ আগে হয়েছিল। তারপর নিশ্চয়ই কোনো ডেভেলাপমেন্ট হয়েছে। সেসব জানা নেই।

    যা দেখেছি বললাম। মেয়ের ভার্সান আমি জানিনা। বাবারও জানিনা। জাস্ট চোখে যেতুকু দেখা, সেইটুকুই।
    ________________________________________
    Name: nyara Mail: Country:

    IP Address : 67.88.241.3 Date:25 Oct 2007 -- 02:32 AM

    এই টইতে অনেকে, বিশেষত: ট্যানদিদি, দেখছি 'হা' বললে 'হাওড়া' বোঝেন। গল্পের আদ্ধেক শুনে তিনটে থিওরি দিয়েছিলেন - পুরুষের শোষণ ও অত্যাচার, ধর্মের গোঁড়ামী আর ক্লাস কনফ্লিক্ট - শেষেরটা 'ধরি মাছ না ছুঁই পানি' করে অল্প টাচ করে যাওয়া। আজ গল্পের দ্বিতীয় কিস্তি শুনে অনেক তানানানা করে প্রথম থিওরিটাই ঠিক সাব্যস্ত হয়েছে। দুরুদুরু বক্ষে অপেক্ষা করুন তৃতীয় কিস্তির পরে কোন থিওরি জেতে আর কোন থিওরি হারে! আপনিও SMS -এ আপনার মতামত জানাতে পারেন। আমাদের SMS নম্বর হল ...

    মশকরা করলেও, আমার বলার কথা হচ্ছে, বন্দুক যদি কোনদিকে তাক করতেই হয় ধৈর্য ধরে গল্পটা - যদিও একদিক থেকে, ছাড়া ছাড়া করে, তৃতীয় একজনের বয়ানে বলা - শুনে তারপরে ব্যারেল ঘোরান।
    Name: saa Mail: Country:

    IP Address : 82.9.21.113 Date:25 Oct 2007 -- 02:39 AM

    আমার এক বান্ধবীর কথা বলি, তার বাবা লালবাজারের কত্তাব্যাক্তি, নাম বলছিনা চিনে যাবেন অনেকেই। ১৭ বছরের মেয়ে প্রেমে হাবুডুবু খায় তসফিন আলি বলে একটি ছেলের। ফুটফুটে উচ্ছল দুই টিন এজার, প্রেমে গদগদ। ভদ্রলোক অনেক বাধা দিতে চেষ্টা করেছিলেন, লকাপে দুতিন বার ধরে বেদম পিটিয়েছিলো। তবু শেষ পজ্যন্ত বে করেই ছাড়লে সে মেয়ে।
    বে'র বছর তিনেক পরে দেখা, প্রেম চুকেবুকে গ্যাছে, আদরের মেয়েকে এখন বাড়িথেকে বেরোতে গেলে বোরখা পরে বেরোতে হয়, পড়াশোনা ছাড়তে হয়েছে কারন এক বছরের মধ্যে মেয়ে হয়ে গেছে। মন্দিরা বললো যে আমার মেয়েকে মার কাছেই সারাদিন রেখে আসি, এখানে থাকলে মেয়েকে মানুষ করতে পারবোনা, আমার বাবা যে কেন তখন আমাকে বাধা দিলোনা! আর ও দু বছর পরে শুনেছি সে বাপের বাড়িতেই ফিরে এসেছে মেয়েকে নিয়ে!
    এইটে যা দেখেছি তাই বলেছি। আমার কোনো ইনপুট নাই !
    মন্দিরার বাবা ডাকাবুকো পুলিশের বড়কত্তা হলেও ঘরোয়া আসরে একেবারে সাধারন বাবাই, তার থেকে আলাদা কিছু ই নয়।
    আর সতের বছরের মেয়েকে গাইড করাটা কি স্ট্যাটাস গাইড্যান্স?
    ট্যানের একটা কতায় একটু কোচ্চেন ছ্যালো---- 'খানদানী পাঁঠা' মানে কি ট্যান?
    অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ মানে খানদানী পাঁঠার সাথে বে ? নাকি প্রেমে পড়া মেয়ের অ্যারেঞ্জড বে মানে পাঁঠার সাথে বে?
    Name: Paramita Mail: Country:

    IP Address : 63.82.71.132 Date:25 Oct 2007 -- 02:40 AM

    এরকম কেস আমারো দেখা আছে। মাধ্যমিকে স্টার পাওয়া, দেখতেশুনতে ভালো মেয়ের দর্জিকে বিয়ে করার গল্প। ছেলেটি বলেছিল মেয়েটি বিয়ে না করলে সুইসাইড করবে, তারপর দুজনে পালিয়ে গিয়ে কালিঘাটে বিয়ে। একদম বাংলা সিনেমা। বাবা-মা কিছুই করতে পারেনি(প্রচুর আপত্তি ছিল, বলাই বাহুল্য), কালিঘাটের বিয়ে বলে চেপেও দিতে চেয়েছিল, লাভ হয়নি। মেয়েটি আর টুয়েলভও শেষ করতে পারলো না, তারপর নিজেও এটাওটা কাজ করে বাপের বাড়িতেই দুই ছেলেমেয়ে আর স্বামীকেও প্রতিপালন করতে লাগলো। শ্বশুর শাশুড়ি ওরই মধ্যে জামাইকে নিজেদের সোশাল স্ট্র্যাটায় আনার চেষ্টা করতে লাগলেন।

    এদের বিয়ে টিঁকে গেছে, যদিও আর্থিক ও সামাজিক দিক থেকে মেয়েটির অনেক তথাকথিত ওপরে থাকার কথা ছিল। নিশ্চিন্ত জীবন পাওয়ার কথা ছিল। টুয়েলভের পরীক্ষা না দেওয়ায় আমার মা (মেয়েটির স্কুলেরই দিদিমণি) মাঝে মাঝেই ওর বিচারবুদ্ধিকে দোষ দিতেন। "বাবা মার কথা ভাবলি না, এতো কষ্ট করে মানুষ করল, এই জন্য"। সেম ওল্ড শব্দবন্ধ যা আমরা প্রত্যেকেই ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে শুনে আসছি।

    এখন কিবা হাঁড়ি কিবা ডোম সম প্রেমের জন্যই হোক বা কনভিনিয়েন্সের জন্যই হোক, এদের জীবন এরাই কাটাচ্ছে। বাবা-মাও সিনে নেই, দিদিমণিও না ইত্যাদি। তাঁদের কষ্ট পাওয়ার তাঁরা পেয়েছেন, মেয়েটির নিজের পথে চলার সে চলেছে। নিজের ক্রস সে নিজেই বইছে।

    কিন্তু এর মধ্যে গায়ের জোর এসে পড়লেই মুশকিল হয়। একটা গায়ের জোর তো ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল, সেটাকে হ্যান্ডল করতেই হয়, কিন্তু পুলিশ পেয়াদা হলে সেটা অন্য লেভেলে চলে যায়। রঞ্জনবাবু কথিত কেসে সেইটাই ইস্যু ছিল।
    Name: Ishan Mail: Country:

    IP Address : 12.163.39.254 Date:25 Oct 2007 -- 03:16 AM

    ঠিক এর উল্টোদিকেও গুচ্ছ উদাহরণ আছে। এটাও দেখা। বাপ-মা প্রচন্ড ধর্মপ্রাণ। মেয়েও তাই। সক্কলে ভালোমানুষ। মেয়ের বিয়ে দিলেন, জামাইয়ের একমাত্র সদ্গুণ হল, যে, সে, বৃন্দাবনে থাকে। ব্যস, তারপরে আর কোনো খোঁজ নেবার প্রয়োজন বোধ করেননি অভিভাবকরা।

    যা হবার তাইই হল। মেয়ে ফিরে এসেছে। ওদিকে বাপমা তাকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর কোনো শিক্ষাই দেননি। ছোটো থেকে "পতি পরম গুরু' ইত্যাদি শিখিয়েছেন। এখন সবাই মিলে অথৈ জলে।

    মারপিট দাঙ্গাহাঙ্গামার গল্পগুলো ইচ্ছে করেই এড়িয়ে গেছি এতক্ষণ। বাবা উইকেট দিয়ে মেয়েকে পেটাচ্ছেন, বা পুলিশি কানেকশন ব্যবহার করে, ভাবী প্রেমিককে থ্রেট করছেন। ইত্যাদি ইত্যাদি। এরকম দুচারটে ঘটনা যা দেখা আছে, তাতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাপ-মা নিজের জেদ বজায় রাখতে গিয়ে ভুল এবং শুধু ভুল করেছেন। ছেলে বা মেয়ের ক্ষতি করেছেন। ভালো নয়। ছেলেমেয়েরা আজকাল এবং ক্রমশ: অনেক অনেক বেশি বুদ্ধিমান হয়ে উঠছে। সঙ্গী অথবা সঙ্গিনী তারা বাপ-মায়ের থেকে ঢের ভালো ভাবে বেছে নেয়।

    কাজেই পামিতাদি যেটা বলেছে, সেটাই মনে হয় ফাইনাল কথা। যার যার ক্রস তাকে বইতে দিন। আজ না হোক কাল তো বইতেই হবে। কোনো কোনো কেসে ভুল হবে। সেতো হতেইই পারে, ভুল আর কে না করে।

    এবং গায়ের জোর, আন অ্যাক্সেপ্টেবল। সারদার বলা ঘটনায় পুলিশ অফিসার বাবা যা করেছেন, তাতে তাঁর জেল হওয়া উচিত। সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য।
    Name: Tim Mail: Country:

    IP Address : 204.111.134.55 Date:25 Oct 2007 -- 07:02 AM

    রঞ্জনদার লেখার দ্বিতীয় কিস্তির পরেও ছবিটা পাল্টায় না।
    ১) ভদ্রলোক মেয়ের মত পরিবর্তনের প্রবল চেষ্টা করেছিলেন। পুলিশের সামনেই যদি ঐকথা বলে থাকেন, আড়ালে কি বলেছেন ভাবতে অসুবিধে হয় না।
    ২) কোন ক্ষেত্রে শ্বশুরবাড়ির লোক এবং স্বামী খারাপ হলেই ছেলেমেয়ের ব্যক্তিগত জীবনে বাবা-মায়ের নাক গলানো জাস্টিফায়েড হয়ে যায় না।
    ৩) যে যার ক্রস বইবে এটা তুলনায় অনেক সুস্থ ব্যবস্থা, সময়বিশেষে সেটা কাজ করেনা বলেই লাফ দিয়ে পড়ে সবাইকে খবরদারী করতে হবে, এটা আরো-ই হাস্যকর। বাজারে এই ধরণের ইন্টারফেরোমিটার নেই, যা দিয়ে মাপজোক করে খবরদারী ফলানো যাবে। ব্যক্তিবিশেষে, উদ্দেশ্যবিশেষে খবরদারীর প্রচুর এদিক-ওদিক হয়। সেদিক থেকে ""যে যার নিজের মত"" অনেক সেফ। অক্ষর মত কিছু ঘটনা আমিও দেখেছি। চুপ করে থাকা কষ্টকর। কিন্তু দু:খজনক হলেও কিছু করার নেই। এসব ক্ষেত্রে মেয়েটির অভিযোগ না থাকলে কারুর কিছু বলার আইনত অধিকার নেই।

    ________________________________________

    Name: Riju Mail: Country:

    IP Address : 203.197.96.50 Date:25 Oct 2007 -- 09:19 AM

    কিন্তু রঞ্জন দার গল্পের মেয়েটার কেরিয়ার ভবিষ্যত সব কিছুতে জল ঢেলে দিলো যে পুরুষ সে কেমন 'প্রেমিক' সে নিয়ে তো প্রশ্ন উঠলো না ? গল্পের বাবা মা মেয়েটাকে যে আশংকার কথা জানিয়েছিলো সেটাই তো সত্যি হল। মেয়েটাকে তো মারধোর করা হয় নি তাঁরা তাদের মতামত জানিয়েছিলেন। দেখা গেল স্ত্রীর ব্যক্তিস্বাধীনতাকে তো তার স্বামী ই খুন করেছে।
    মরুগ্গে মেয়েটা নিজের ক্রস নিজেই বইবে।
    ________________________________________

    Name: m_s Mail: Country:

    IP Address : 202.78.232.143 Date:25 Oct 2007 -- 02:31 PM

    "" .... কখনও যদি মনে হয় কোন সাহায্যের দরকার - বিশ্বাস রাখিস, আমরা আছি .... যদি আমার আশংকাই সত্যি হয়, তাহলে ফিরে আসিস - বাড়ির দরজা তোর জন্যে খোলা আছে, কিন্তু শুধু তোর জন্যে .... ''

    অনেক বোঝানো আর বারণ করার পরেও , যদি মেয়ে তার মা'বাবার অমতে নিজের ইচ্ছেমতো বিয়ে করে, তবে মা'বাবার অবশ্যই অধিকার আছে তাকে কোনরকম সাহায্য (টাকা বা অন্যকিছু) না দেবার। আবার পাশাপাশি এই ভরসাও থাকুক মেয়ের মনে যে, যদি কখনও মনে হয় ভুল হয়েছে, তবে সে একেবারে নি:সহায় হবে না।

    মানে, এইটুকু সে যেন বোঝে যে, সে যে মা'বাবার সাহায্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তার একমাত্র কারণ হলো তার ""নিজের সিদ্ধান্ত''; যেটি সে যে-কোন মুহূর্তে বদলাতে পারে। মেয়ের বাচ্চা থাকলে, তার অধিকার নিয়ে সমস্যা হতে পারে, কিন্তু সেখানেও তার ভরসা থাকবে যে, মামলা-লড়ার জন্যে উপযুক্ত জোর তার আছে।

    আসল কথা হলো, সে যে ""নিজের ইচ্ছে'' মতো বিয়ে ক'রে মোটেও অসহায় নয়, এটি তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন যেন বোঝেন। এর ফলে, মেয়েটির জোর থাকবে। কোনরকম অত্যাচার হলে পরে, যে-কোন মুহূর্তে সে'বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসার মতো খুঁটির জোর আর মানসিক ভরসা যে তার আছে, সেই খবরটি যেন শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছে পৌঁছোয়।

    এই ধরনের ব্যবস্থা যদি সমাজের সব স্তরে ছড়িয়ে যায়, তার সবচেয়ে বেশী উপকার পাবে সেই সব মেয়েরা, যাদেরকে কোন অযোগ্য ছেলে প্রেম ক'রে বিয়ে করেছে। এই ব্যবস্থা থাকলে, সবসময় সেই ছেলের মনে ভয় থাকবে যে , মেয়েটি শুধু তার স্ত্রীই নয়, সে একজন স্বাধীন নাগরিকও। সে তার ""নিজের স্বাধীন ইচ্ছে'' মতো বিয়ে করেছে, আর যে-কোন সময় সেই ""স্বাধীন ইচ্ছে'' মতো বাপের বাড়িতে ফিরে যেতেও তার এতটুকুও অসুবিধে হবে না।

    যে সব টাকাকড়ি মা'বাবা মেয়ের বিয়ের জন্যে জমিয়েছিলেন, সে সব কিছু একটি উইল বা ট্রাস্টের মাধ্যমে তার ভবিষ্যৎ-প্রয়োজনীয় ডিভোর্স আর তার পরের জীবনের খরচের জন্যে শর্ত ক'রে জমিয়ে রেখে গেলে, মা'বাবা মারা গেলেও ভাই বা বোনের সংসারে বোঝা হয়ে তাকে থাকতে হবে না।

    এইটুকু ব্যবস্থা সেই সব মা'বাবা করতে পারেন যাদের মেয়ে ... তাদের অমতে বিয়ে করেছে। কিন্তু কোন অবস্থাতেই, জবরদস্তি ক'রে বিয়ে ভেস্তে দেওয়া, মেয়ের প্রেমিকের বা বরের ক্ষতি করার চেষ্টা, মেয়েকে নিজেদের মত অনুযায়ী চলতে বাধ্য করা, এ'সব ঠিক না।
    ________________________________________
    Name: shrabani Mail: Country:

    IP Address : 124.30.233.102 Date:25 Oct 2007 -- 04:59 PM

    মেয়েটির কথা না শুনলে ব্যাপারটা বড়ই আবছা লাগছে। মেয়েটি বিলাসপুরের, বাবা বর্মা, এরা আদতে কোন দেশীয়? নিশ্চয়ই বঙ্গীয় নয়। যদি ইউপি বা বিহার, রাজস্থান বা উত্তর ভারতের অন্য যেখানকারই হোক এদের গোঁড়ামি তো অনেক বেশী হয়। তাই এই বাড়িতে বাবা এরকম ভাষায় কথা বলছেন, মেয়ে মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করার পরেও ভাবতে বেশ অসুবিধা হচ্ছে। আমি ইউপি তে বড় হয়েছি। কাজ করি এমন জায়গায় যেখানে ভারতের প্রতিটি প্রান্তেরই লোকের সঙ্গে ওঠাবসা শুধু অফিসের কাজে নয় টাউনশিপে থাকার সুবাদে সামাজিক মেলামেশায়ও।
    (কোরবায় ছিলাম ছ বছর)।
    রঞ্জনদা ঘটনাটা পুরোপুরি যতক্ষণ না শেষ করছেন, ততক্ষণ কোনো কিছু বলা ঠিক হবেনা তবু যে বাবা এরকম কথা বলতে পারেন তার মেয়ে কখোনো বাবা মার থেকে এভাবে দুরে যেতে পারেনা, সে যত গভীর প্রেমই হোক না কেন। বাবা আগে অন্য রকম ছিলেন এখন বন্ধুবান্ধব, পুলিশ জনতার সামনে অন্য কথা বলছেন, এটাও তো হতে পারে।
    চিরঞ্জিবীর মেয়ের ও প্রায় একই কেস। সেদিনে টিভিতে দেখাল ওর ভাই খুব ঘটা করে রিভলভার সারেন্ডার করতে এসেছে মিডিয়ার বারাত নিয়ে!

    ________________________________________
    Name: Shuchismita Mail: Country:

    IP Address : 12.1.219.253 Date:25 Oct 2007 -- 06:24 PM

    মেয়ে বাড়ি ফিরে এলে যদি সেই বাবা-মাকেই মেয়ের ভার বইতে হয় তাহলে বাবা-মায়ের অবশ্যই অধিকার আছে সেই অনভিপ্রেত ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য তারা যা ভালো বুঝছেন সেই চেষ্টা করার। প্রেমের সময় ব্যক্তিস্বধিনতা আর বিয়ে ভেঙ্গে ফিরে এসে বাবা-মায়ের ঘাড়ে চেপে বসা - এই দুটো তো একসাথে চলতে পারে না। নিজের জোরে কোন সিদ্ধান্ত নিলে সেই জোরটা যেন সবসময় বজায় থাকে সেই প্রতিজ্ঞাটুকু করতে হবে বইকি নিজের কাছে। নহলে তো সেই পরজীবী হয়েই থাকতে হয়।

    বাবা-ম ছেলেমেয়ের স্বধিনতায় হস্তক্ষেপ করছে যেমন দেখেছি, তেমন এও অনেক দেখেছি অক্ষম প্রেমিক বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে প্রমিকার মন বিশিয়ে দিচ্ছে। প্রেমিকা বেশি উন্নতি করে ফেলবে এই ভয়ে তাকে বাইরে পড়তে যেতে দিচ্ছে না। তথকথিত উচ্চশিক্ষিত মেধাবী প্রেমিককে দেখেছি প্রেমিকারGRE দেওয়া নিয়ে প্রবল আপত্তি। এই ঘটনা চলার সময়েও কিন্তু মেয়ে তার প্রেমিককে ডিফেন্ড করে বাবা-মার সাথে ঝগড়া করেছে। তাই শুধু বাবা-মাকে দোষ দিয়ে তো লাভ নেই।

    তবে বাবা-মা অদিকার কতটুকু। তারা বড়জোর মেয়েকে সাবধান করে দিতে পারে। তারপর নিজের ক্রস নিজেকেই বইতে হবে। স্বমির সাথে বনিবনা ন হলেই বাবা-মায়ের ঘাড়ে এসে ওঠা যাবেনা এই আত্মসম্মনটুকু যেন থাকে।

    বাংলা আসছে না ডানদিকে। বানান ভুল থাকতে পারে।
    ________________________________________

    Name: - Mail: Country:

    IP Address : 125.18.104.1 Date:25 Oct 2007 -- 06:57 PM

    একটা মেয়ে প্রেম করেছে বলে তার বাড়ি ফিরে আসার রাস্তা কেন বন্ধ হবে? নিজেরি তো বাড়ি রে বাবা। বাবা মা ভুল করেন না? ছেলে মেয়ে কেন ভুল করবে না। মেয়ে বলে কেন তার মার্জিন অফ এরর কম হবে?

    আমি নিজে, আদৌ কনফেশনাল হিসেবে বলছি না, কারণ কোন রিগ্রেট নাই, জীবনে যত কান্ড করেছি তাতে বাড়ি আসতে না পারার মত ঘটনা কিছু কম ছিল না, স্ট্রিকটলি স্পিকিং। I wasted myself far too many times, would like to do that again, because it was fantastic getting laid and drunk and believing I was actually changing the world:-)

    কিন্তু কখনো কখনো তো বাপ মাকেও তো ছেলে মেয়েদের ক্ষমা করতে হয়।

    সম্পর্ক/বন্ধন/আবেগ ইত্যাদি র দোহাই তোলার আগে, একটা ইকোয়ালিটির ধারণা কাম্য। আর ব্যক্তি স্বাধীনতা আর সামাজিক দায়িঙ্কেÄর মধ্যে কোন কড়া লক্ষ্মন রেখা টানা মুর্খামি, কারণ এই ডিবেট চলছে চলবে।

    কিন্তু এ সমস্ত কিছুর সঙ্গে রিজের মৃত্যুর জন্য দায়ী দের শাস্তির দাবিটা যেন কমে না যায় দেখা দরকার। ব্যক্তিগত মরালিটি র টানাপোড়েন চলবে। ইন্ডিভিজুয়াল কেস নিয়ে আলোচনা করে বেশি লাভ নাই। মানুষ ছড়াবেই, বিশেষত প্রেমে, তাই বলে লোকে তাকে মেরে ফেলবে, বাড়ি থেকে বের হতে দেবে না, এই সব একেবারেই বাজে।
    ________________________________________

    Name: Shuchismita Mail: Country:

    IP Address : 12.1.219.253 Date:25 Oct 2007 -- 07:17 PM

    বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বাবা-মা ক্ষমা করেন। মেয়েও বাড়ি ফিরে আসে তার সন্তান নিয়ে। অনেক সময় অপদার্থ স্বামীকে নিয়েও। পারমিতার গল্পের মেয়েটিও তাই করেছে। সে নিজে রোজগার করে পরিবার প্রতিপালন করেছে ঠিকই। কিন্তু বাড়িটা তার উত্তরাধিকার সুত্রে পাওয়া। নিজের উপার্জন নয়।

    হ্যান, আইন অনুসারে বাবা-মায়ের সম্পত্তিতে সন্তানের ভাগ থাকে। তাই বাবা-মায়ের বাড়ি ছেলেমেয়েরও বাড়ি। কিন্তু সেই বাড়ি যেহেতু নিজের উপার্জনলব্ধ নয়, তাই শেষ্পর্যন্ত সেটা দানই। আর হাত পেতে দান নিতে গেলে যে দান করছে তার সাথে মানিয়ে নিতে হয়। যাকে অপমান করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছি বিপদে পড়ে তার দান নিতে আত্মসম্মানে লাগাই উচিত।

    তবে এগুলোর সাথে রিজকান্ডের খুব একটা সম্পর্ক নেই। সেখানে যা হয়েছে সেটা অন্যায়। তার অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত।

    আগের লেখাতে অনেক বানান ভুল ছিল। এটাতেও থাকবে হয়তো। ডানদিকে হাবিজাবি আসছে। চেক করার উপায় নেই :(
    ________________________________________
    Name: m_s Mail: Country:

    IP Address : 202.78.237.174 Date:25 Oct 2007 -- 08:46 PM

    "" .... প্রেমের সময় ব্যক্তিস্বাধীনতা আর বিয়ে-ভেঙে ফিরে এসে বাবা-মায়ের ঘাড়ে চেপে বসা - এ দুটো তো একসাথে চলতে পারে না। নিজের জোরে কোন সিদ্ধান্ত নিলে, সেই জোরটা যেন সবসময় বজায় থাকে সেই প্রতিজ্ঞাটুকু করতে হবে বইকি নিজের কাছে। নইলে তো সেই পরজীবী হয়েই থাকতে হয় .... নিজের ক্রস নিজেকেই বইতে হবে। স্বামীর সাথে বনিবনা না হলেই বাবা-মায়ের ঘাড়ে এসে ওঠা যাবেনা এই আত্মসম্মানটুকু যেন থাকে .... ''

    মেয়ের বাবা এই সব কথা তাকে বলেন, আর সেই সাথে জানিয়ে দেন যে বাপের বাড়ি থেকে কোনদিন কোন সাহায্য পাবার পথ চিরকাল বন্ধ তার জন্যে , আর মেয়ে নিজেও সেই প্রতিজ্ঞা করে যে, আর সে ফিরে যাবে না।

    এই ক্ষেত্রে পরে সেই বিয়ে ভেঙে গেলে মেয়েকে বিপদে পড়তে হবে। শ্বশুরবাড়ি-বাপের'বাড়ি দুই পথই তখন তার কাছে বন্ধ। সম্পূর্ণ একা (কিংবা সাথে বাচ্চা নিয়ে) তাকে সমাজে লড়ে বাঁচতে হবে। মানে নিজের ক্রস নিজে বইতে হবে।

    শুধু তাই নয়, যদি শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানে যে, শুধু নিজের আত্মসম্মান আর জেদ ছাড়া, মেয়ের কোন সহায় নেই, কোন ভরসা নেই; তাহলে শ্বশুরবাড়িতে শোষণ-বঞ্চনার সম্ভাবনা বেশী থাকবে। মেয়ের তো শ্বশুরবাড়ি ছাড়া দাঁড়াবার আর কোন জায়গা নেই, সেই জন্যে শ্বশুরবাড়ির সব অপমান-লাঞ্ছনা তাকে মুখ বুজে সইতে হবে। প্রতিবাদের একমাত্র রাস্তা ... সেই একা বেরিয়ে এসে নিজের ক্রস বওয়া।

    সে যদি মা হয়, একা বেরিয়ে এলেও বাচ্চাকে রাখার অধিকার সে না'ও পেতে পারে। কারণ টাকার অভাবে সে বাচ্চার অধিকারের জন্যে দরকারী মামলা লড়তে পারবে না।

    একা নিজের পায়ে দাঁড়াবার (কোন চাকরী বা ব্যবসার) জন্যে দরকারী শিক্ষার বা দক্ষতা অর্জনের সুযোগও সে পাবে না, কারণ এ'সবের জন্যে বেশ টাকা লাগে আজকাল। স্বাভাবিক ভাবে অল্প আয়ের কোন ছোটখাটো চাকরী নিয়ে (ব্যবসা করতেও পুঁজি লাগে) তাকে ক্রস বয়ে যেতে হবে।

    মানে, দেখা যাচ্ছে যে, ""নিজের ইচ্ছে'' মতো প্রেম ও বিয়ে ক'রে বেশ কষ্টে আর বিপদে পড়ার সম্ভাবনা আছে।
    এই ধারণাই যদি থাকে সমাজের মধ্যে (মানে, এখন যা আছে), তবে অন্য শ্রেণী বা সম্প্রদায়ের কোন ছেলেকে পছন্দ হলেও , এই সব কষ্ট আর বিপদের সম্ভাবনার কথা ভেবে অনেক মেয়ে হয়তো পিছিয়ে যাবে, আর নীরবে ""নিজের ইচ্ছে''কে দমিয়ে রাখতে বাধ্য হবে।

    এটিও তো এক ধরনের ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল, যা সমাজের এই ধারণার জন্যে মেয়েকে সহ্য করতে হয়।
    কিন্তু যদি এই ধরনের ব্যবস্থা থাকে , যা'তে ""নিজের ইচ্ছে"" মতো বিয়ে ""করে'' বেরিয়ে গেলেও, পরে একই ভাবে ""নিজের ইচ্ছে'' মতো বিয়ে ""ভেঙে'' সে বাপের বাড়ি ফিরে আসতে পারবে, যখনই সে চাইবে .... মানে, যে কোন অবস্থাতেই বাপের বাড়ির ভরসা যদি তার থাকে; তাহলে সমাজে মেয়েদের স্বাধীনতা, অধিকার, সুরক্ষা , এই সব অনেক বাড়বে। মেয়েরা অনেক বেশী মনের জোর পাবে।

    অবশ্য মা'বাবা এই শর্ত দিতে পারেন যে, একমাত্র বিয়ে ভেঙে বেরিয়ে এলেই সেই সব সাহায্যের ভরসা তার থাকবে, নয়তো নয়। এই ভরসাটুকু সব মেয়েদের সত্যিই খুব দরকার ব'লে মনে হয়। আর আমার মনে হয় এতে সমাজের ভালো ছাড়া খারাপ হবে না।

    ________________________________________

    Name: a x Mail: Country:

    IP Address : 192.35.79.70 Date:25 Oct 2007 -- 09:05 PM

    কারো একটা বাড়ি আসতেই হবে? হয় বাপের বাড়ি বা শ্বশুর বাড়ি? নিজের বাড়ি হয়না মেয়েদের?
    ________________________________________
    Name: Ishan Mail: Country:

    IP Address : 12.163.39.254 Date:25 Oct 2007 -- 09:34 PM

    সবই ঠিক আছে, খালি একটা জিনিস বোধহয় চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে। মেয়েদের "স্বাধীনতা'র পরিসর কিন্তু আমাদের দেশে বেশ কম। একটি সিঙ্গল ছেলে জীবন নিয়ে অনেক কিছু করতে পারে। জাস্ট পোষাচ্ছেনা বলে চায়ের দোকানে কাজ করতে পারে, মুটে গিরি করতে পারে, লরির খালাসি হয়ে যেতে পারে। মেয়েদের সেই পরিসর নেই। মধ্যবিত্ত মেয়ে একা বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাসন মেজেও খেতে পারবেনা। কারণ একা থাকার জয়গা পাবেনা। একটু উঁচুদরের চাকরিবাকরি না করলে, বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে লালবাতি এলাকায় পৌঁছে যাওয়া ছাড়া একলা মেয়ের কোনো উপায় নেই। আমাদের দেশে।

    একটা মেয়ের আজও একটা "বাড়ি' চাই। এটা কিন্তু বাস্তব।
    ________________________________________

    Name: Shuchismita Mail: Country:

    IP Address : 12.1.219.253 Date:25 Oct 2007 -- 09:48 PM

    হুম ... মানতে ইচ্ছে না হলেও এটা ভীষন ভাবে সত্যি।
    ________________________________________

    Name: a x Mail: Country:

    IP Address : 192.35.79.70 Date:25 Oct 2007 -- 09:50 PM

    চোখ এড়াবে কেন, এটাই তো বলছি। এটাই তো আমার কাছে মূল সমস্যা, এটা না বদলালে কিছুই বদলাবেনা। বাকি সব ডাইভার্সান। ঠিক এই কথাটাই আমার মা বয়স ন-দশের মধ্যেই আমার মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছিল। তখন আমি মাঝে মাঝেই বাড়ি থেকে "বেরিয়ে" যেতাম এরকমই একদিন মা বলল, "কোথায়ে যাবে, দাদা নাহয় বাড়ি থেকে বেরিয়ে হাওড়া স্টেশনে কুলিগিড়ি করে খেতে পারবে, তুমি, তুমি কি করবে?" এর পরেও যদিও আমি হাঁটা লাগিয়েছিলাম, সেটা বয়সের দোষ বলেই :-)) কিন্তু ঐ কিরকম একটা 'তুমি মেয়ে বলে অলরেডি হেরে গেছ' এই ধারণাটাও যে কত গভীর এটাও তখনই বুঝেছিলাম।
    Name: san Mail: Country:

    IP Address : 220.226.6.37 Date:25 Oct 2007 -- 11:37 PM

    ব্ল্যাংকি, রিজের ঘটনায় তো দ্বিমত ছিলই না।এমনকি রঞ্জনবাবুর বলা গল্পেও মেন পয়েন্টে অমরা একমত , যে কেউ ১৮ বছরের পরে ডাক্তারি না পড়ে বোর্খা পড়তে চাইলে সেটা তার ব্যক্তিস্বাধীনতা।সাইড পয়েন্ট,মেয়েটির বাবা তার বিয়ের বিরুদ্ধে ও কেরিয়ারের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন জোরালো ভাবে, তিনি ভিলেন কি না এখনো এসেমেসে মীমাংসা হয় নি। (মেয়েকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য জোর দিয়ে বলা কেন ভয়ংকর অপরাধ আমি অবশ্য বুঝি নি)।

    এর মধ্যে ম্স দাবি করছেন যে মেয়েদের বিয়ের জন্য টাকা জমিয়ে তাদের মানসিক সুরক্ষার ব্যবস্থা তৈরি রাখা উচিৎ বাপমায়ের। সেই নিয়ে মতবিরোধ। আমি স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক,এদিকে আমার নিজের পায়ে দাঁড়ানোর কোন শখ নেই, দরকার ও নেই, বাপমা দরকার মত টাকা যোগান দিয়ে আমার স্বাধীন জীবনের পথ সুগম করবেন ও আমি ব্যক্তিস্বাধীনতার পরাকাষ্ঠায় পৌঁছবো।

    এই হল সামারি। উত্তর রিজওয়ানুর কথাবার্তার।
    Name: san Mail: Country:

    IP Address : 220.226.6.37 Date:26 Oct 2007 -- 12:02 AM

    সত্যি বলতে কি, মেয়েটির বাবাকে ট্যান এতো গালাগালি করলো, কিন্তু আমার বেস্ট ফ্রেন্ড এই রকম কেরিয়ারে জলাঞ্জলি দিয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলে আমিও খুবই আটকানোর চেষ্টা করবো। ইন ফ্যাক্ট করেওছি। সেখানে মেল শভিনিজম কি ডমিনেশনের গল্প আসেই না। আমি কাউকে ভালোবাসি, সে একটা বাজে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তাকে নিরস্ত করার চেষ্টা। ব্যাস। এর মধ্যে ট্যান এত জটিল মহাভারত কেনই বা দেখলো আমি বুঝি নি।

    আর ব্ল্যাংকি ,মেয়েটির কাকার কঠিন শাস্তি হওয়া উচিৎ ছিলো বলে আমি মনে করি। আবেগপ্রবণ হয়ে লোককে খুন করতে চাওয়া টা বিশেষ সেফ নয় সমাজের পক্ষে।
    Name: ranjan roy Mail: Country:

    IP Address : 122.168.31.139 Date:26 Oct 2007 -- 01:19 AM

    প্রথম কথা,-- GC র সবাই আশা করি আমার honesty তে সন্দেহ করছেন না। নইলে আলোচনার কোন মানে হয় না। আমার এত সব ভ্যান্তারার উদ্দেশ্য হলো- syndrome টাকে বোঝার চেষ্টা করা। পারছি না। বেশ জটিল। তাই সাহায্য চাইছি।
    এতদ্সঙ্কেÄও যদি আমার bias দেখা যায়, সে humanly unavoidable বলে। হয়তো আমার বন্ধু বলে।
    হ্যাঁ, বর্মা পরিবার তিন পুরুষ আগে বিহার থেকে এসে ছত্তিস্গড়ে জাঁকিয়ে বসা ""মালগুজার'' বা জোতদার পরিবার। পরিবারের সবাই এখন গাঁয়ের জমিটমি বেচে চাকুরিজীবি। অধিকাংশ ভাইবোন আইন পাশ করেছে। একজন পেশাদার ভাল উকিল। জ্যাঠতুতো ভাই আমেরিকার ওহায়োতে প্রতিষ্ঠিত ডাক্তার। কিন্তু, দু'বছরে একবার বিলাসপুরে আসেন। দুই ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান বিলাসপুরে এসে ওদের ঠাকুমার ছত্রছায়ায় হয়েছে।
    দ্বিতীয় কথা, বন্ধুর কথা একতরফা বিশ্বাস না করে( কারণ সে ইনভলড পার্টি) আমি যাচাই করতে কথা বললাম ঐ পাড়ার আমাদের কমন বন্ধু সৈয়দ অবরার হোসেনের সঙ্গে। আজরাতে তারপর কথা বললাম- আমার প্রতিবেশী একইমূলের কায়স্থপরিবারের CBSE উচ্চমাধ্যমিক্পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সতেরো ও আঠেরো বছরের দুই ভাইয়ের সঙ্গে, ওদের বাবাকে আলোচনায় সামিল করে। ওদের বাবা আমার বন্ধুটির অফিসে অ্যাসিস্ট্যন্ট ছিলো আর দুই ভাই মেয়েটি এবং ছেলেটিকে ভালো করে চেনে।
    আমাদের আলোচনার উদ্দেশ্য ছিলো এটা বুঝতে চেষ্টা করা--- কি সেই শক্তি যা এই ঘটনায় মেয়েটিকে প্রেরণা দিয়েছে এসি বেডরুম, আরামের জীবন , উঙ্কÄল পেশাদার জীবনের সম্ভাবনাকে এক লাথি মেরে সমাজের বক্রদৃষ্টি, কাকাদের রক্তচক্ষু ও সমাজের ব্যঙ্গবিদ্রুপকে সয়ে এক অপরিচিত সাংস্কৃতিক পরিবেশে কষ্ট করে মশলা বেটে, রান্না করে বাসনমেজে কষ্টের জীবনকে বেছে নিতে। বিশেষ করে একই পাড়ায়, দুটো গলি পরে?
    সম্ভাবনা অনেকগুলো।
    প্রথম, যেমন ট্যান বলেছেন-বুড়োবুড়ির অত্যাচার, ঠ্যাঙানি থেকে অন্যতর পরিবেশে মুক্তির আনন্দ খোঁজা।
    --খারিজ। কারণ আমরা পাঁচজনই ভালো করে বর্মা ভদ্রলোককে এব ওর পরিবারকে গত সাতাশ বছর ধরে জানি। ও' ছেলে- মেয়ে কারোর গায়ে আজ অবধি হাত তোলে নি। ও ভীষণভাবে শারীরিক শাসনের বিরোধী। ও বলে যে সংস্কারের বাঁধনে আবদ্ধ ছোটবাচ্চা কখনই পাল্টা মারতে পারে না। ফলে বড়রা যুক্তি হারিয়ে রাগে্দখিয়ে বাচ্চাদের গায়ে হাত তোলে। এটা বর্বরতা। কারণ আমরা ঘরের বাইরে
    মতে না মিললে গায়ের ঝাল কি হাতের সুখকরে মেটাই? আর ওর প্রয়াত বাবাকে ও দেখেছি,- ওদের বাড়ীতে উঁচু গলায় ঝগড়া হয় -এই পর্য্যন্ত।
    আর ওর বউ? হিন্দিবেল্টের ট্র্যাডিশনাল ব্যবহার। স্বামীকে আপনি করে কথা বলে। সর্বংসহা বাইরে- চাকরি, ঘরে রান্নাবান্না আর সবার মন যুগিয়েচলা মহিলা। বরং ছেলেকে পড়তে বসতে বললে বা মেয়েকে রান্নায় হাত লাগাতে বললে ওরা বাবার কাছে নালিশ, আর বাবা বৌকে ধমক,---বাচ্চাদের পেছনে সারাক্ষণ টিকির-টিকির কোর না তো। ওদের নিজেদের মত করে বাঁচতে দাও।
    ফলে খাটতে থাকা মা বাচ্চাদের থেকে ওর প্রাপ্য সম্মান বা সহানুভূতি কোনটাই পায়নি।
    আমাদের চোখে মেয়েটি এবং তার ভাইছিলো ছোট বেলা থেকেই জেদি এবং হিন্দিতে যাকে বলে "" নাকচড়ি''।
    বর্মার বক্তব্য too much discipline বাচ্চাদের self-confidence নষ্ট করে দেয়, ওরা independent decision নেবার ক্ষমতা বা ভুল করবার সাহস হারিয়ে ফেলে। (IRONY) ।
    --টানের কথাটি মানতে পারলুম না। অবশ্যই মেডিক্যালে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত মেয়ের নিজের। কিন্তু কাউন্সিলিংয়ে আড়াই লক্ষ টাকা( কোলকাতায় কি এর চেয়ে অনেক কম লাগে? জানিনে।)বাবাকেই জোগাড় করে সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। রাজনৈতিক চাপে ন্যায্য সীট খোয়ালে অন্য ব্যবস্থা করা সব তো বাবাকেই করতে হবে।
    --- টাকা -পয়সা আর সোনার হারের দু:খ? আদৌ নয়। ওটা জানলাম করে ওরা পালাবার সময় কুড়িহাজার টাকা জোগাড় করলো জানতে চাওয়ায়। দু:খ আকস্মিক ভাবে পায়ের তলার থেকে মাটি সরে যাওয়ায়। দু:খ,- বুদ্ধির দৌড়ে বাচ্চার কাছে হেরে যাওয়ায়।
    দু:খ, পিতৃত্বের অভিমানে ঘা' লাগায়।
    --আমি ছোটবেলা থেকে বুকে করে মানুষ করলাম, যখন যা চেয়েছে তাইদিয়ে গেলাম, আর আজকে আমি পর আর কোথাকার একটা ভীরু অপদার্থ -- সে কিনা আপন!
    ---- গুন্ডামির ব্যাপারটা না জানা?
    এই বর্মা বাবরি মসজিদ বা আরো আগে আলিগড়ের দাংগার সময় মুসলমান পাড়ায় রাত্তিরে বৈঠক করে সাহস যুগিয়েছে। দাঙ্গার পেছনে আর্থিক কারঁ ব্যাখ্যা করেছে।( রাজনৈতিক বিশ্বাসে লিবার্যা ল কঁগ্রেস, ভীষণ ভাবে নকশাল বিরোধী)।
    তবে বর্মাসমেত সব্গুলো ভাইয়েরই ফিউডাল পারিবারিক মূল্যবোধ এবং অহংকার খুব বেশি। ছোটভাইগুলোর ভাব আমাদের পরিবারের সম্মনকে ধুলোয় মিশিয়ে দিলো ঐ মেয়ে, আর মূসলমান পরিবারটার এতই সাহস যে আমাদের বাড়ির মেয়েদের দিকে হাত?
    কিন্তু ওরা জানে যে বড়ভাই জানলে ঠিক আটকে দেবে। দ্বিতীয়বার ও একটা ছোটখাটো চেষ্টা হয়েছিলো। বর্মা আগেভাগে টের পেয়ে বোঝায়--- তোমরা এমনি করে আমার মেয়ের চোখে ছেলে আর ছেলের বাবাকে "শহীদ'' বানালে আমারইক্ষতি। তাহলে আর্কোনদিন ওকে ফেরত পাওয়া যাবেনা। আর একবার হাইকোর্টের নজরে এসেছে তো তোমরা জেলে পচবে, এই বয়সেই ক্যারিয়ার খারাপ হবে।
    বর্মার এক ভাই একটি পাবলিক সেক্টর সংস্থায় প্রেস অফিসার। ওকে ধরে ও কোথাও খবরের কাগজে বা E-TV, Chhattisgarh এ এ' নিয়ে কোন সেন্সেশনাল খবর বের হতে দ্যায় নি। এক, পারিবারিক সম্মান; দুই, দাঙ্গালাগার সম্ভাবনা।
    আজ অবধি বিলাসপুরে কোন দঙ্গা হয় নি।

    Name: tan Mail: Country:

    IP Address : 131.95.121.132 Date:26 Oct 2007 -- 06:31 AM

    নাহ, সাময়িকভাবে আবার স্টেজে এলাম।রঞ্জনদা দেখলাম আমার উপরে খেরে আছেন মেয়েটাকে ঐ "জোতদার" বাপকাকার পরিবারে অসুবিধায় থাকতে হতো বলায়।
    মারধোর না হয়েও অত্যাচার হতে পারে,মানসিক অত্যাচার, ইগোর লড়াই।এ কদিকে ক্ষমতাশালী বাপকাকাকাদাদারা-যাদের উচ্চশিক্ষা ও মেয়েদের স্থাবর সম্পত্তির বাইরে কিছু ভাবতে দেয় না, বিদেশ থেকে এসে পরিবারের পছন্দ করে দেওয়া কনে কে সালংকারে ও প্রচুর দানসামগ্রী সহ বিয়ে করে যারা দেশোদ্ধার ও সমাজ রক্ষা করেন।
    এই পরিবারে মা কাকী বৌদিরা বাধ্য পোষমানা হয়ে একতা কাপুরের আদর্শ নারীর মতন হয়ে থেকে,মুখ বুজে সব অপমান সয়ে নিজের সমস্ত সাধ আহ্লাদ নীরবে বিসর্জন দিয়ে সমাজকে কেতাত্থ করেন।
    এই পরিবারে ধরুন এক মেয়ে,আদরের দুলালী,পড়াশোনায় ভালো, সমস্ত সুখসুবিধা নিয়ে বড়ো হয়েছে। একসময় বুঝদার বয়সে পৌঁছে এই ধনীপ্রাসাদ তার সামনে তাসের ঘরের মতন ভেঙে পড়ে এর ভেতরের অনন্ত অপমান ও শূন্যতা দেখতে পেয়ে।সেখানে একইসঙ্গে একই অহংকার নাকঁউচুত্ব নিয়ে প্রায় একই শিক্ষায় বেড়ে ওঠা তার ভাই হঠাৎ হয়ে পড়ে "অ্যাসেট",আর সে "লায়াবিলিটি",তাকে দহেজ দিয়ে বিয়ে দিতে হবে আর ভাই দহেজ আনবে অন্যবাড়ী থেকে।এগুলো জানা জিনিস,ছোটো থেকেই হয়তো জানে মেয়েটি,কিন্তু টিনেজে বুদ্ধিমতী স্বাভিমানী একটি মেয়ের পক্ষে এই বোঝাটা আরো কঠিনতর আঘাত করে।
    এইসবের অভিঘাত মারধোরের অভিঘাতের থেকে অনেক বেশী, একটি স্বাভিমানিনী নতুন নারীর পক্ষে।
    হঠাৎ কাঞ্চনঝঙ্ঘা মনে পড়ে গেলো।সেখানেও এইসব অর্থ-অনর্থ না?
    ________________________________________
    Name: Tim Mail: Country:

    IP Address : 204.111.134.55 Date:26 Oct 2007 -- 12:25 PM

    রঞ্জনদা,
    সমস্ত ঘটনাটার মধ্যে দিয়ে স্নেহপ্রবণ, শুভাকাঙ্খী পিতার যে ছবিটা ফুটে উঠছে, সেটা তো একান্তভাবেই ঐ ভদ্রলোকের কথা। সেটা যদি তর্কের খাতিরে বিশ্বাস করেও নি, তবুও মেয়ের ""ভালো"" করার ধরণটা মোটেই মেনে নেওয়া যায় না। এই বিশেষ ক্ষেত্রে, বর্তমান পরিস্থিতিতে যেহেতু মেয়েটির ভবিষ্যত একটুও উঙ্কÄল নয়, তাই আমাদের মনে হতেই পারে ভদ্রলোক ঠিকই করেছেন। মুশকিল হল, আমাদের কাছে কোন প্রমাণ নেই যে, নিজের পছন্দমত ""যোগ্য"" পাত্রকে বিয়ে করলে ভদ্রলোক হাসিমুখে সেটা মেনে নিতেন কিনা। পারিবারিক সম্মান ইত্যাদির ছলে তখন বাগড়া দিতে পারতেন। মোদ্দা কথা, ওনার অপছন্দ হলে উনি বারণ করতেই পারতেন। এরকম কিন্তু আক্‌ছার হয় এবং প্রত্যেক ক্ষেত্রেই অনেক যুক্তি দেওয়া হয়ে থাকে।

    স্যান,
    বাবা কিংবা মা অনেক সহজেই সন্তানের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে পারেন। বন্ধু, সে যত ভাল বন্ধুই হোক না কেন, অতটা সুবিধে বোধহয় পায় না। মানা বা না মানার চয়েসটা সেক্ষেত্রে পাওয়া যায়।
    ________________________________________
    Name: san Mail: Country:

    IP Address : 219.91.147.86 Date:26 Oct 2007 -- 01:34 PM

    ম্স, আমি নিজেই বাবামায়ের সব অ্যাম্বিশনে জলাঞ্জলি দিয়ে তাঁদের মতে অযোগ্য এমন কারুর সঙ্গে থাকার জন্য ঘর ছেড়েছিলাম। আমার জীবন বেছে নেবার স্বাধীনতা আমার আছে বলেই। ব্যক্তিস্বাধীনতার বিপক্ষে আমি খামোখা কথা বলতে যাবো কেন? তবে মেয়ের বিয়ের জন্য টাকা জমানো ও তাকে দরকারে সেই সুরক্ষার ভরসা দেয়া টা আমার কাছে তাকে স্বাধীনতার বদলে পরাধীনতারই শিক্ষা দেয়া । তার চেয়ে এমন ভাবেই মেয়েকে গড়ে তোলা উচিত, যাতে বাপের বাড়ি কি শ্বশুর বাড়ি কোন বাড়ির আশ্রয়ের পরোয়াই তাকে না করতে হয়। নিজের ভাত কাপড় নিজে রোজগার করার মত মানসিকতা তৈরি করে দিলেই বাপমায়ের সবচেয়ে বড় কর্তব্য করা হয় বলে আমার মনে হয়। টাকা জমাও সাহায্যের ভরসা দাও মামলার খরচ দাও ভরণপোষণ করো এসব নাকিকান্নার সঙ্গে ব্যক্তিস্বাধীনতা ঠিক যায় না কিনা।
    Name: tan Mail: Country:

    IP Address : 131.95.121.132 Date:26 Oct 2007 -- 08:04 PM

    বেশ করেছে টাকা চুরি করে পালিয়েছে,ঐ বাড়ীতে ওকে জ্ঞান হওয়া থেকে এই আবহাওয়ায় বড়ো হতে হয়েছে দহেজ দহেজ দহেজ---জন্মানো মাত্র বোঝার মতন জমতে থাকে,কন্যাসন্তান বিরাট লায়াবিলিটি,জন্মেই সে করে ফেলেছে বিরাট অন্যায়। এই আনওয়ান্টেডনেস,উচ্চারিত বা অনুচ্চারিত, জন্ম দেয় তীব্র অতি তীব্র ঘৃণার-এমনকি প্রচ্ছন্ন শত্রুতার।
    এই সমাজকে আমাদের টিকির টিকির করা মধ্যপন্থী মুখেন মারিতং জগৎ ল্যাকপেকে বাঙালি সমাজের দৃষ্টিতে দেখলে দেখাটা ঠিক হবে না। যদিও এই ল্যাকেপেকে বাঙালি সমাজের ৫৬ টা "মেয়ে দেখা" র মতন ঘৃণ্য জিনিস করে এক সোনার আংটি সুপুত্তুর পিসতুতো দাদার বিয়ে ছোটোবেলা থেকে দেখতে দেখতে আমার ব্যক্তিগতভাবে গোটা সমাজটাকেই ঘৃণ্য মনে হয়েছে,গোটা উপমহাদেশ আমার কাছে সাপ ও বাঁদরের সমাজে পরিণত হয়েছে।
    সুধীগণ ক্ষমা করুন।হয়তো ভালো লোক আছেন অনেক, কিন্তু তেনারা এসব কুপ্রথা দূর করেন না,হয় ইনডিফারেন্ট থাকেন নয় মেনে নেন।

    ________________________________________

    Name: tan Mail: Country:

    IP Address : 131.95.121.132 Date:26 Oct 2007 -- 08:16 PM

    শুচিস্মিতাকে,
    এই রীণা বলে মেয়েটিও আইন মেনে বিয়ে করেছিলো বলেই তো মনে হচ্ছে যদ্দুর। যদিও বাড়ীতে জানায় নি।
    আর, ঐ আড়াই লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে যেখানে ডাক্তারি পড়তে ঢুকতে হয়, সেখানে ডাক্তার আর ডাকাতে তফাৎ কি?
    ওভাবে ঢুকতে নীতিগত আপত্তি থাকতে পারে না কারুর?
    কেউ দেখি সেই নিয়ে টু শব্দটি কইলো না!
    ________________________________________

    Name: Shuchismita Mail: Country:

    IP Address : 12.1.219.253 Date:26 Oct 2007 -- 08:23 PM

    না ঠিক করেনি। ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ আনতে চাই না বলে এতোক্ষন লিখিনি। কিন্তু এবার লিখি।

    আমার মা এক্টা অত্যন্ত রক্ষন্‌শীল স্বচ্ছল ব্রাক্ষন পরিবারের মেয়ে। ছেলেরা যে সব ব্যাপারেই মেয়েদের থেকে সেরা সেই ধারনা তার মনে জন্ম থেকেই বদ্ধমুল ভাবে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা কম হয়নি। ব্রাক্ষনত্বের গর্ব তো ছিলই। সেই বাড়ির মেয়ে আমার অত্যন্ত গরীব বাবাকে বিয়ে করেন। বাবা অব্রাক্ষন। জাতিগত ভাবেও দুজনে দুই বঙ্গের। আমার বাবা-মা কেউই তাঁদের পৈত্রিক সম্পত্তির ভরসায় বিয়ে করেন নি। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে বিয়ে করেছিলেন। ছোটো থেকে অনুকুল পরিবেশ না পেলেও যে আত্মমর্যাদা তৈরী করা যায় তা আমি এই দুজনকে দেখে বুঝেছি।

    এই মেয়েটি সংস্কার ভেংএ মুসলিম ছেলেকে ভালোবেসেছে - সে জন্য তাকে প্রশংসা করতেই পারো। কিন্তু টাকা চুরি করে পালানোকে সমর্থন কোরো না। ওতে প্রতিবাদের জোরটাই কমে যায়।
    ________________________________________
    Name: ranjan roy Mail: Country:

    IP Address : 122.168.31.139 Date:27 Oct 2007 -- 12:01 AM

    ক্ষমা চাইছি- আমার আনাড়িপনায় বিকেল পাঁচটা থেকে লেখা লাস্ট পোস্‌ট্‌টা delete হয়ে যাওয়ায়।
    ---------এটা আমার শেষের আগের কিস্তি। শুরু করছি কিছু explanation দিয়ে।
    - পারমিতা, শুচিস্মিতা এবং অন্যেরা। আপনাদের প্রশ্নের পর আমি আজ সরকারিভাবে খোঁজ নিলাম।
    ছত্তিস্‌গড় রাজ্যে মাত্র দুটি মেডিক্যাল কলেজ। কোটা বাদ দিয়ে সাধারণ সীট প্রায় ১৬০। ভর্তি হতে হোস্টেল খরচা নিয়ে প্রায় সোয়া দু'লক্ষ টাকা লাগে। এই এলাকায় পেশাদারি কোর্স গুলি মধ্যবিত্তের আয়ত্তের বাইরে চলে গেছে। আগের সরকার একটা যাচ্ছেতাই ত্রি-বর্ষীয় প্যারা-মেডিক্যালকোর্স খুলেছিলো। গাঁয়ের জন্যে বেয়ার ফুট ডাক্তার বানাবে। ঠিকমত পাঠ্যক্রম তৈরি হয় নি। তাতেই বছরে একলাখ টাকা ফি। আমি যেটা বললাম তা, একনম্বরে দেয় টাকা। রসীদ শুদ্ধু। ফার্স্ট ইয়ারের বার্ষিক পরীক্ষার আগে স্থানীয় পত্রিকায় নোটিস বেরোয় যাদের ফিস বকেয়া আছে তার নাম।
    এরপর আছে পেমেন্ট সীট। এটাও সরকারি। ধরুন সেকন্ড লিস্ট। ফীস একটু বেশি। এরপর NRI সীট- ছ'লাখ।
    তারপর আছে ঘুষ-ডোনেশন, যাই বলুন।সেটা শুরু হয় দশ লাখ থেকে।
    ফলে মধ্যবিত্ত খানিকটা ভরসা পায় ব্যাংকের দেয়া শিক্ষা ঋণ থেকে।
    যদি ঘুষ দেবার হতো, তাহলে বর্মা মেয়েকে গতবারই ভর্তি করতে পারতো। ও প্রথমবারই মেয়েকে বলে দিয়েছিলো -- যত অ্যাটেম্‌প্‌ট লাগে লাগুক, মেরিটে পেলে তবে।
    আমি আমার ছোট মেয়েকে ভোপাল থেকে পাঁচবর্ষীয় ল' অনার্স করাতে ব্যাংক থেকে ৬লক্ষ টাকা ধার নিয়েছি। নইলে পারতুম না। হয়তো কোলকাতা হলে অনেক কমে হয়ে যেত।
    আমার বন্ধুটি নিজে দহেজ নেয় নি।( আমি, আমার ভাইরা যে নিইনি বলাই বাহুল্য)।
    মেয়ের ক্ষেত্রে দিতেও পারে। ছেলের ক্ষেত্রে নেবে না। Tim এর কথাটা ভাবার মত। বন্ধুটি নিজের ছোট বোনের কায়স্থ হয়ে পটেল( যেমন আমাদের সৎচাষী বা সদগোপ)ছেলের বিয়েতে সম্প্রদান করেছে।
    মেজভাইকে সৎনামী( যেমন আমাদের নম:শুদ্র) থেকে ক্রীশ্চান হওয়া মেয়ের সঙ্গে ফষ্টিনষ্টি করতে দেখে বিয়ে করার পরামর্শ দিয়েছে, ভাইয়ের সাহসে কুলোয় নি। কিন্তু দুটো ক্ষেত্রেই পাত্র বা পাত্রী সমান শিক্ষিত বা সমান আর্থিক ক্ষমতা সম্পন্ন। মুসলমানটা এখানে বড় ফ্যাক্টর নয়। কারঁ, বর্মার বাবা মারা গেলে রোজ দু'বেলা অশৌচের সময় নিরিমিষ খাবার আসতো মুসলমান বন্ধু সৈয়দ অবরারের বাড়ি থেকে। যেহেতু পিতৃহীন অবরার বর্মার বাবাকে নিজের বাবার মত দেখতো। এব্যাপারে পারিবরিক বয়স্কদের আপত্তি শোনা হয়নি।
    ওর ভ্যালু- সিস্টেমে কোনরকমে দশম শ্রেণী টপকানো অকম্মা ছেলেটি আমার মেয়ের যোগ্য নয়। এটা সাময়িক ঝোঁক, কেটে যাবে। আর গরীব ছেলে-বাপ মতলববাজ। নইলে আমি পড়া শেষ হলে ঐ ছেলের সঙ্গেই বিয়ে দেবো বলে ভরোসা দেয়ার পড়েও লুকিয়ে আমার মেয়ের ধর্মমত পরিবর্তন করিয়ে পালাতে ওসকালো কেন?
    --আমি একটু অবাক। কারণ, দু'বছর আগে কোন খবর পড়ে রীনাকে বলতে শুনেছি যে মুসলমানেরা বেশীর ভাগ সন্ত্রাসবাদী। ওর বাবা ওকে বোঝাতে লাগলো যে এমনি ভাবে generalise করলে অনেক ভুলের সম্ভাবনা।
    সেই মেয়েটা কোন অধ্যাত্মিক প্রেরণায় হটাৎ ধর্ম পরিবর্তন করে বসলো?
    মেয়ের বাবা আমাকে বললেন- ওদের কতদিনের ভাব-ভালোবাসা আমি জনতাম না। মেয়ের বাবা জেনেও কেন আমাকে আগে জানাননি? হয়তো ঠেকানো যেতো। আজ জখন ভগবান এদের মিলিয়ে দিয়েছেন, আমরা ওদের আলাদা করবো না।শ্বাশুড়ি বললেন- আমরা ওকে মেয়ের মতো রেখেছি।
    মেয়ের বাবা শুনে বললো-ন্যাকামি! মেয়ের্মা'বললেন- আজু মৌলবী তুকতাক যাদু টোনা করেছে। নইলে সুগার আর থাইরয়েড নিয়ে আমি হাসপাতালে --খবর পাঠানো হল- একবার চোখের দেখা দেখে যা। মেয়ে জানিয়ে দিলো--- দরকার নেই।
    মেয়ের বাবার স্ট্যান্ড- যদি কখনো ওবাড়ি
    ছেড়ে আসার দরকার পড়ে, তবে শুধু ওর জন্য দরজা খোলা আছে।

    ________________________________________
    Name: ranjan roy Mail: Country:

    IP Address : 122.168.31.139 Date:27 Oct 2007 -- 01:15 AM

    আমার শেষ কিস্তি।
    ১) পুলিস ও মিডিয়া।

    এই ঘটনায় পুলিসের রোল একেবারে পলিটিক্যালি করেক্ট। বর্মাদের পলিটিক্যাল সোর্স এবং পুলিসে লোক থাকা সঙ্কেÄও ওরা ছেলে-মেয়ের age-proofদেখে নাক গলাতে অস্বীকার করেছে এবং মেয়ে-জামাইকে ওরা যতদিন চেয়েছে পুলিস প্রোটেকশন দিয়েছে।
    এই ঘটনার ক'দিন আগে রাজধানী রায়পুরে এক পুলিস অফিসারের( DSP র্যাং ক)
    প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে এক মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করায় তিনি সদলবলে নিজের ছেলেকে উদ্ধার করতে মেয়ের বাড়িতে হামলা চালান ও মেয়ের বুড়ি দিদিমার চুলের মুঠি ধরেন। এটা স্থানীয় কেবল ও e-tv ভালকরে দ্যাখায়। সেটাও কারণ হতে পারে।

    ২) কাল গেলাম বর্মার দুরের আত্মীয় ও প্রাক্তন সহকর্মী শ্রীবাস্তবের বাড়িতে। নতুন প্রজন্মের সঙ্গে কথা বলবো বলে।ওরা বলুক কি সেই কারণ যা সাধারণ সংসারী বুদ্ধিতে মনে হয় রীনাকে আত্মহননের পথে ঠেলে দিয়েছে।
    ওর বাবা বলে-- যদি পালানোর আগে ধরা যেত, তাহলে হয়তো বুঝিয়ে সুঝিয়ে ঝোঁকটা কাটানো যেত। এটা সারাক্ষণ tv তে "শাসবহু আর প্রেমাপ্রেমি'' দেখার ফল-- যেন জীবনে আর কোন কাজ নেই।
    সতেরো-আঠেরোর ছেলেদ্বয় আমাকে বললো-আংকল, আগে আপনি বলুন, আপনি কি বুঝছেন।
    আমি-- রীণার সঙ্গে দেখা হয়নি। খালি আন্দাজ। এক, প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভুল করার অধিকার আছে।
    কে ভুল, কে ঠিক- সেতো সময় বলবে। বাবার
    পছন্দও ভুল সিদ্ধ হতে পারে।আমার অফিসের একটি মেয়ের বর বিয়ের পর দেখা গেল
    নপুংসক। এখানে বর্মাজীর পিতৃতন্ত্রের অহংকার হচ্ছে ভিলেন। আমার চেয়ে বেশি দূরদর্শী- ত্রিকালজ্ঞ কেউ নেই। মানতেই পারছে না যে অতি আদর,আরাম ও বিবমিষার কারণ হতে পারে।
    তবু এমনতো নয়রে যেমন সাক্ষাৎ ভগবানকে দেখেও মানুষ চিনতে পারেনা। তেমনি আমরা এই বচ্চা মেয়েঅটির মধ্যে দেখেও চিনতে পারছি না এক সুতীব্র উন্মাদ প্রেম, যা কোন বাধা না মেনে সবকিছু ডুবিয়ে-ভাসিয়ে দিতে চায়। নিজের ক্ষয়ক্ষতি লাভ-লোকসানের পরোয়া না করে। এই "আঠেরো বছর বয়েস কি দু:সহ'। এমনি প্রেমে রাধা- লায়লা- হীর সবাই লোকলাজ-কলংক ভুলে--। আমরা আমাদের আটপৌরে জীবনে এমন প্রেম পাইনি। ফলে বাঁধা গন্ডির বাইরে কিছু হলেই আতংকিত হই, স্বীকার করতে পারিনে।
    তবু ঘরের প্রতি এই বিরাগ?
    দুই ভাই উবাচ,--আংকল, কাছাকাছি এসেছেন। শুনুন, ছেলের বাড়ির অবস্থা ভাল নয়। একটা দোকানের ভাড়া, বাবার পনের ছোটখাট অনিয়মিত বিক্রি আর বাসস্ট্যন্ডে টিম টিম করে চলা একটা STD-PCO । কুল্লে ন'দশ হাজার মসে, আটটা পেট। কষ্টে চলে। কিন্তু ওরা ওদের মত করে সুখী। না, বর্মা আংকলের আশন্‌কা ভুল। ওরা স্বাভিমানী ভদ্র পরিবার। বর্মা আংকলের সম্পত্তির লোভে ওরা এত elaborate ষড়যন্ত্র রচবে -সে' বান্দাই না। ওদের্বাড়ি গিয়ে দেখেন নি-সামান্যর মধ্যেকেমন গুছিয়ে রেখেছ?
    দৈন্য আছে, মালিন্য নেই। হয়তো এটই রীণাকে attract করেছে।
    আপনাকে জানাই-- জামাই ছেলেটি খুব-শান্ত, খুব ভদ্র। মানুষ হিসেবে খুব ভালো। pco টা ঐ চালায়। ওর রোজগারটাই মুখ্য। কাজেই হিন্দু-ঘর থেকে আসা মেয়েকে ওর বাপ- মা কষ্ট হলেও মেনে নিয়েছে।
    ওদের তিনবছরের প্রিচয়। কিন্তু ছেলেটা অতি শান্ত পিছিয়ে পড়া, নির্জীবগোছের। ও পড়শুনাতেও পিছিয়ে পড়লো, অন্য দুনিয়াদারিতেও। ও নিয়মিত খাটে। কোন উচ্চাশা নেই। ইনিশিয়েটিভ নেই। এটা হতেই পারে মেয়েটি বাপকে সত্যি বলেছে। মেয়েটাই ছেলের পেছনে লেগেছিলো। ছেলের এত সাহস নেই।
    সম্ভত: পরীক্ষার কার্ড প্রথম বছর রীনাই ছিঁড়ে ফেলেছিলো, ছেলেটা নয়।
    বর্মা আংকলতো নিজেই মেয়েকে নিডর, pro-active type তৈরি করেছেন, এখন ভয় পেলে চলবে কেন?
    হয়তো রীনাই ডাক্তার হতে চায় না। না হয়ে ছেলেটার সমানে সমানে নেমে সুখ পেতে চায়।
    আর বর্মা আংকল/? benevolent autocrat ।
    উনি যা প্রমিস করেছিলেন তার শব্দ যাই হোক, গলার স্বরে নিশ্চয়ই হীনা threat বুঝতে পেরেছিলো। বিশ্বাস জন্ম্য নি। আংকল নিজেকে যতই উদারপন্থী ভাবুন নিশ্চয়ই ভেতরে ভেতরে চাপ ছিলো।
    নইলে একই পাড়ায় প্রভাবশালি বাড়ি ছেড়ে গলির মধ্যে বুর্কা পরে থাকতে , খোলা আদালতে বাবার সঙ্গে argue করতে অসাধারণ সাহস চাই, ওর আছে।
    মেয়েটা ঘরেই ছিলো, নিজেই ইচ্ছে করে দেখা করেনি, ফোন করেনি। দু:খ পাবেন না। ওর লজ্জা করছে।কিছু সময় যাক, আপনার সঙ্গে নিশ্চয়ই দেখা করবে।
    এবার শ্রীবস্তবের চোখে জল। বললো- বর্মাজী খুশি হবেন রীনা বিয়ে ভেঙ্গে বছরখানেকের মধ্যেই ফিরে গেলে। পরিবারের অনেকেই খুশি হবে। কিন্তু আমি চাইবো ও যেন জিতে যায়,যদি কোনদিন মাথানীচু করে ঘরে ফেরে সে'হবে আমার সবচেয়ে দু:খের দিন।
    কিন্তু, আর না, রঞ্জনদা! এবার আপনি বাড়ি যান। ছেলে দুটোর পরীক্ষার পড়া আছে যে!
    ________________________________________
    Name: Tim Mail: Country:

    IP Address : 204.111.134.55 Date:27 Oct 2007 -- 02:41 AM

    এরপর আর কিছু বলার নেই। ঐ সাহসী মেয়ের উদ্দেশ্যে মাথা নোয়ালাম। রঞ্জনদাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, এই অসাধারণ খোঁজখবর এবং ঘটনাগুলো শেয়ার করার জন্য।
    ________________________________________

    Name: tan Mail: Country:

    IP Address : 131.95.121.132 Date:27 Oct 2007 -- 02:56 AM

    আমি আগেই মাথা নুইয়েছিলাম আমার থেকে অনেক বয়সে ছোটো কোনোদিন না-দেখা না-চেনা মেয়েটির উদ্দেশ্য।
    আজকে এই তরুণ দম্পতির কাছে মাথা নোয়ালাম। অতি সামান্য মানুষ আমি, কোনো লৌকিক বা অলৌকিক ক্ষমতা নেই, শুধু শুভকামনা দিতে পারি, প্রার্থনা করতে পারি। প্রার্থনা করি যেন ওদের সুখের সংসার হয়, চারিদিকের দুনিয়া যত নিষ্ঠুর যত অহংকারী যত লোভী যত প্রচন্ডই হোক যেন ওদের না ক্ষতি করতে পারে।
    বিদুরের খুদ যেন দুর্যোধনের অহংকারের পোলাউয়ের কাছে কক্ষণো না হারে,কক্ষণো না হারে।

    ________________________________________

    Name: tan Mail: Country:

    IP Address : 131.95.121.132 Date:27 Oct 2007 -- 03:06 AM

    বেশী আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছি,তবু না বলে পারছি না, এই দশম শ্রেণী উত্তীর্ণ ছেলেটির ও তার গরীব পরিবারের যে গুণ, মানবিকতা ও ভরসা করার মতন কোয়ালিটি এই প্রায়কিশোরী মেয়েটি দেখতে পেয়েছে তা ওর ঐ প্রভাবশালী ধনী বাপ নিজের অহংকারের ঠুলির আড়াল থেকে আজো দেখতে পায় নি। আমি সেদিন সবচেয়ে খুশী হবো যেদিন ফোঁপ্‌ড়া টাকার গরমওলা সংসারের শক খেতে খেতে এই বুড়োর এই অহমিকার খোলস ভাঙবে, সেদিন সে দেখতে পাবে কাকে বলে গুণ আর কাকে বলে সত্য। ততদিন গর্জে নিক সে যত পারে।

    Name: c Mail: Country:

    IP Address : 90.200.160.222 Date:27 Oct 2007 -- 04:23 AM

    Ranjan babu ,
    সেদিন আমি আপ্নাকে এই প্রশ্নটাই করেছিলাম যে ছেলেটি এতো খারাপ হলে
    এক্টি বুদ্ধিমতি মেয়ে কিসের টানে এভাবে ঝাঁপিয়ে পড়বে। আজ উত্তর পেলাম। ধন্যবাদ। সবার মতো আমিও বলবো ও সুখি হোক যে সুখের ডেফিনিশন অন্য কেউ নয়, ও নিজে লিখবে।
    ________________________________________

    Name: Paramita Mail: Country:

    IP Address : 63.82.71.132 Date:27 Oct 2007 -- 04:36 AM

    বেশ রূপকথার মত এণ্ডিং। সব ভালো যার শেষও যেন ভালো হয়।

    কিন্তু। আমার মনে একটা কিন্তু রয়ে গেল ঐ "নিজেই নিজের অ্যাডমিট কার্ড ছিঁড়ে সমানে সমানে নেমে এসে সুখী হওয়া" আর পড়াশুনো ডিসকন্টিনিউ করার ব্যাপারটায়। নেমে এসে সুখী? যে মেয়ে এত সাহসী, প্রেমের ব্যাপারে এতো শক্তি যার মনে, সে কেন চতুর্দিক থেকে লেখাপড়ার ব্যাপারে সাপোর্ট পাওয়া সত্বেও শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পায়ে ঠেলবে? বুঝবে না তার মূল্য?

    প্রেমের জন্য অনেক কিছু করা যায়। সেটা বুঝতে কোন প্রবলেম নেই। কিন্তু তার পরের পর্যায়ে এই মেয়েটিকে যেন বিয়ের পর পড়াশুনো চালিয়ে গেলেই বেশী কনসিস্টেন্ট শোনাতো। তা হয় নি। চরিত্রটা তাই মহিয়সী হয়ে উঠতে গিয়েও হলো না আমার কাছে। বড়লোকের অপরিণতবুদ্ধি আদুরে মেয়ে হয়েই রইল।
    ________________________________________
    Name: Tim Mail: Country:

    IP Address : 204.111.134.55 Date:27 Oct 2007 -- 04:54 AM

    পড়াশুনো, নিজের পায়ে দাঁড়ানো ইত্যাদির মূল্য বুঝলেও, আড়াই লক্ষ টাকা দিয়ে ডাক্তারি পড়ানোর পরে এই বিয়েটা হতে দিতেন কি মেয়ের বাবা? ভরসা করা কিন্তু কঠিন। এবং, এখানে মেয়েটির নিজের কথা কেউ জানতেই পারিনি আমরা। দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপে থাকলে কি হতে পারে সেটা তো আন্দাজ করাই যায়। বিশেষত রিজওয়ানুর ঘটনার পরে প্রিয়াঙ্কার বয়ান শুনে আরো-ই সন্দেহ হয়।
    ________________________________________

    Name: Paramita Mail: Country:

    IP Address : 63.82.71.132 Date:27 Oct 2007 -- 04:59 AM

    "সব সত্যি, সব সত্যি" ধরলে বাবা তো বিয়েতে বাধা দেনই নি, বরং "চল্‌ পানওলা ইরফানের ছেলের সঙ্গে ধুমধাম করে বিয়ে দিচ্ছি" বলেছিলেন। সেক্ষেত্রে অব্যশ্য মেয়েটির পালিয়ে গিয়ে এতো ঝামেলা করে বিয়ে করার কোন কারণই দেখছি না।

    অসঙ্গতি, অসঙ্গতি। তাহলে কি মেয়েটির বাবাকে মিথ্যেবাদী বলে ধরব?
    ________________________________________

    Name: dri Mail: Country:

    IP Address : 129.46.154.111 Date:27 Oct 2007 -- 05:00 AM

    নাই বা হল মহিয়সী। গল্পের শেষে কাউকে কি হিরো হতেই হবে? কেউ ভাবতেই পারে পড়াশোনার চেয়ে প্রেম আমার কাছে বেশী ইম্পর্ট্যান্ট। এখানে আমরা যারা আছি সবাই কেরিয়ারিস্ট। আমাদের সবার এই কমন মূল্যবোধটা আছে। প্রেম হোক বা না হোক কেরিয়ার যেন হয়।

    কিন্তু কার কাছে কখন যে কি বড় হয়ে ওঠে সে তো বলা যায় না। শুধু মানুষকে ক্রিটিসাইজ করে আর এ কেন এরকম হল, আর আমার মনের মত হল না, এই বলে মানুষের কাছাকাছি পৌঁছনো যায় না। মানুষকে বুঝতে গেলে চাই সিম্প্যাথেটিক আন্ডারস্ট্যান্ডিং। সত্যি গল্পে চরিত্রগুলো খুব রিয়েল হয়। এ গল্পেও তাই। মেয়ে, বাবা, পাত্র। কাকার চরিত্রটা একটু ড্রামাটিক। কিন্তু সেটা বোধ হয় চরিত্রটাকে ডেভেলপ করার যথেষ্ট টাইম দেওয়া হয়নি।
    Name: Ishan Mail: Country:

    IP Address : 12.217.28.221 Date:27 Oct 2007 -- 09:22 AM

    রঞ্জনদার শেষ কিস্তি পড়ে কিন্তু বেশি প্রভাবিত হবেন না। ওটা রঞ্জনদার ডিডাকশান। বা অনুভূতিও বলা যেতে পারে। যেটা আমাদের ভালো লেগেছে। তার বেশি কিছু কিন্তু নয়। কাজেই ঐ ডিডাকশন দিয়ে মেয়েটিকে বা তার বাবা-কাকা-প্রেমিককে বিচার করতে যাওয়াটা ভুল হবে।

    আসলে শেষ পর্যন্তও গল্পটার বেশিরভাগ অংশটাই অজানা থেকে গেল। সব সত্যি গল্পেই যা হয় আরকি। রসোমনেও ছিল, রিজওয়ানুরের গল্পেও থাকবে। মেয়েটি কি ভাবল, কেন ভাবল, আমরা জানতে পারবনা। রঞ্জনদাও পারেননি, তার বাবাও পারেননি, প্রেমিকও পেরেছে কিনা সন্দেহ আছে।

    তবু, যদি এই গল্প থেকে একটা উপসংহার টানতেই হয়, তাহলে, আমি বলব এটা আসলে একটা রিভোল্টের গল্প। বাবার/পরিবারের বিরুদ্ধে একটি মেয়ের বিদ্রোহ। পরিবারের সমস্ত লালিত মূল্যবোধের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ।

    কেন এই বিদ্রোহ আমাদের জানা নেই। এর মানে এই নয়, যে মেউএটির বাবা খুব খারাপ লোক। রঞ্জনদার বর্ণনাতে বাবার কথা যা আছে, সেটা আমি অক্ষরে অক্ষরে বিশ্বাস করছি। কারণ ভদ্রলোককে রঞ্জনদা বহুদিন ধরে চেনেন। অতএব বাবা লোক খারাপ না। তাহলে কেন বিদ্রোহ?

    আসলে ভালো লোকের সঙ্গে, বাবার চরিত্রের সঙ্গে সন্তানের রিভোল্টের কোনো সম্পর্ক নেই। গান্ধীকে স্মরণ করুন, তাঁর মতো সচ্চরিত্র লোক কটিই বা ছিল দুনিয়ায়। কিন্তু তবুও তাঁর সন্তান তার নিজের মতো করে রিভোল্ট করেছিল। আসলে সন্তানের বিদ্রোহের কারণ সবসময় অত্যাচার বা চাপিয়ে দেওয়া নয়। অনেক সময়ই সেটা স্রেফ মূল্যবোধের সংঘাত। বাবার দিক থেকে যেটা সহজ, স্বাভাবিক, সুন্দর মনে হয়, সন্তানের সেটা কুৎসিৎ, অসহ্য লাগে। এবং কমিউনিকেশানের সমস্যা থাকলে বাপ-মার পক্ষে বোঝা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। তাঁরা তো সন্তানের ভালই চেয়েছিলেন। গান্ধিও চেয়েছিলেন সন্তানকে আদর্শ, সৎ, নাগরিক করে তুলতে। সেই চাওয়ায় তো কোনো খাদ ছিলনা। তাহলে সন্তান রিভোল্ট করল কেন?

    মজা হচ্ছে, এই বিদ্রোহগুলোকে বিশ্লেষণ করে, কার্যকারণ খুঁজে, কিন্তু রুট কজে পৌঁছনো যাবেনা। মহাত্মার ছেলে কেন মদ খেত, তার সঙ্গে তার "আসল' কারণের বহু বহু যোজন দূরত্ব। বোস্ফোরণ ও তার কারণ, এইসব জায়গায় বহু বহু দূরে অবস্থান করে। হারবার্ট স্মরণ করুন। শ্মশানে যে বিস্ফোরণটি হল, তার উৎস তিরিশ বছর আগের কোনো একটি বিন্দু। পুলিশি এনকোয়্যারিতে যা খুঁজে পাওয়া যাবেনা।

    তো, এখানে মেয়েটির রিভোল্টকেও একই ভাবে কার্যকারণ দিয়ে বোঝা যাবেনা। উৎস ছিল বহু আগে, অন্য কোথাও। হতে পারে, সে আশ্রয় খুঁজেছিল, পায়নি। হতে পারে, সে স্বভাব-ভিতু এবং উচ্চাকাঙ্খাহীন, কিন্তু বাবা তাকে করে তুলতে চেয়েছিলেন এক শক্তিশালী নীতিবান মানুষ। এরকম হাজার একটা অপশন হতে পারে। হতে পারে, অতিরিক্ত আদরের ফলে মেয়ে এমনিতেই হয়ে উঠেছে চুড়ান্ত স্বার্থপর। কিন্তু সেটা সহজ কজ-এফেক্ট রিলেশানশিপ দিয়ে বোঝা যাবেনা। কারণটা খুঁজে বার করতে পারেন একমাত্র বাপ-মা। আগেও পারতেন। এখনও পারেন।

    অথবা, সেসব না করে, নিজের রাস্তায় তাঁরা স্থির থাকতে পারেন। সেক্ষেত্রে অবশ্য জিনিসটা জয়পরাজয়ে দাঁড়াবে। সেক্ষেত্রে মেয়ে হেরে গেলেই, একমাত্র, বাপ-মার সঙ্গে মেয়ে মিলতে পারে। রঞ্জনদা যেমন বলেছেন। এবং যেটা চাননি।
    ________________________________________
    Name: san Mail: Country:

    IP Address : 220.226.15.185 Date:27 Oct 2007 -- 02:29 PM

    আহাহা রঞ্জনদা কেস স্টাডি চাইছেন আমরা দিচ্ছি। র এর এত বাগড়া দেবার কি আছে হে। আমি এর পরেও আবার মূল্যবান মতামত দেবো কেননা এমনকি লাস্ট টুইস্ট টাও আমার আদৌ হ্যাপি এন্ডিং লাগেনি। :-)))

    ১) বাবার ডমিনেশন থেকে মুক্তি চাওয়া একটি অসহায় মেয়ে অন্য একটা সম্পর্কে মুক্তি চাইলো।এতোটাই ডেসপারেট ভাবে চাওয়া যে সে নিজের কেরিয়ার টাই কাটিয়ে দিলো। অবশ্যই বাড়িতে এক্সট্রিম কষ্টের মধ্যে দিয়ে না গেলে সে নিশ্চই স্বাচ্ছল্য ও কেরিয়ার একযোগে উপেক্ষা করতো না। এরপরে আমার সিনিক মন্তব্য হল, ঐ পরিমাণ ডেসপারেট মনের অবস্থায় কাঁচকে হিরে বলে ভুল হওয়া অসম্ভব নয়।(এমনিতেই ১৮ বছরটা ঠান্ডা মাথায় বিবেচনার বয়েস না।) আমি যত ডমিনেটিং বাবা কি মায়ের সন্তানকে নিজের পছন্দে বিয়ে করতে দেখেছি,নট নেসেসারিলি কেরিয়ার বা অন্য কিছু স্যাক্রিফাইস করে, প্রত্যেকে নিজের জন্য নির্বিরোধী ভালোমানুষ সাত-চড়ে রা কাড়ে না টাইপ পার্টনার খোঁজে। ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে। বেশিরভাগ সময় এই ধরণের প্রথম ছেলে কি মেয়ে দেখেই তারা পাগলের মত প্রেমে পড়ে এবং বিয়ে করে। এবং অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করায় পরে হাবুডুবু খায় কারণ অন্যান্য দিকগুলো সিম্পলি চোখ এড়িয়ে যায়।এখন একটা অসহায় ডেসপারেশনকে মহঙ্কÄ বা সাহস বলে গ্লোরিফাই করাতে আমার ভয়ংকর আপত্তি আছে। অবশ্যই মেয়েটির জন্য আমার খুব মায়া হচ্ছে (কেস স্টাডি সত্যি ঘটনা হলে)। এবং খুব খুশি হবো যদি আমার দেখার উপর ভিত্তি করে বানানো এই হাইপোথেসিস ভুল হয়।

    ২) এই যে মেয়েটি জিতে যাক বলে সবাই চাইছেন, জেতা মানে কি? যাতে কেরিয়ার বা বাড়ির জন্য প্রেম স্যাক্রিফাইস না হয়। তা, একইরকম ভাবে প্রেমের জন্য একটি সম্ভাবনাময় মেয়ের প্রোফেশনাল লাইফ নষ্ট হয়ে গেল সেটাকে কোন সেন্সে জেতা বলে? এবার দ্রি বলছেন সবাই তো কেরিয়ার চায় না। এ যে চায়নি তা জানা গেল কি করে? এই অপশন তার কাছে ছিলো কি, যে কেরিয়ার অর উইদাউট কেরিয়ার সে এই ছেলেটিকে বিয়ে করতে পারবে? যদি সেই পরিস্থিতিতেও সে নো কেরিয়ার বেছে নিতো তাইলে নয় বলা যেতো সে চায়না কেরিয়ার। এক্ষেত্রে, যেহেতু ছেলেটি সেরকম প্রমিসিং নয়, এবং আমাদের সমাজে বৌ এর কেরিয়ার বেটার হলে (বা অনেক সংসারে, বৌ এর কোন কেরিয়ার থাকলে) সম্পর্কই টিকবে না, তাই সে অগত্যা এই সম্পর্কের জন্য কেরিয়ারটা স্যাক্রিফাইস করলো। কারণ ডমিনেশন থেকে মুক্তির জন্য এই ছেলেটিকে সে খড়কুটোর মত আঁকড়ে ধরেছে। আমি একে জেতা বলবো কিনা শিওর নই। জীবনের একটা বাজে দিকের থেকে মুক্তি পেতে গিয়ে আরেকটা বাজে দিকের কাছে আত্মসমর্পণ। ভাবলে শ্রদ্ধা নয়, কষ্ট হয় কেবল।
    Name: d Mail: Country:

    IP Address : 61.11.19.139 Date:27 Oct 2007 -- 05:28 PM

    হুঁ। ঈশানের বক্তব্যটা বেশ ঠিকঠাক। যথারীতি। এই পিতা নামক ইনস্টিটুশনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, নিজের বেছে নেওয়া পথে চলা অথবা ততটা বুদ্ধিমতী নয়, ইত্যাদি মত পড়তে পড়তে একটা অন্য কথা মনে হচ্ছিল। এইটা লিখলে সম্ভবত: কিছু ইট পাটকেল পড়তে পারে। তবু লিখেই ফেলি।

    অনেক ছোটবেলায় পড়া "চরিত্রহীন'এর কিরণময়ীর একটা কথা মনে পড়ছিল। এমনিতে শরৎবাবুর গল্প খুব খাজা টাইপের লাগে আমার। কিন্তু এইটা মনে রয়ে গেছে। তো কিরণ একজায়গায় বলেছিল "কোন্‌ তৃষ্ণায় যে লোকে নর্দমার জল আঁজলা করে তুলে মুখে দেয় তা তোমরা বুঝবে না' বা এরকমই কিছু একটা। হুবহু কোটেশানটা ভূল হতেও পারে। তো, এটাও একটা সম্ভাব্য কারণ হতেও পারে। আমাদের দেশে যেহেতু যৌনতা একটি ট্যাবু, এবং মেয়েদের কাছে তা আরো বড় ট্যাবু তাই যৌনতা সম্পর্কে অনেকেরই অনেক ফ্যান্টাসি এবং বিভিন্ন রকম আকাঙ্খা থেকে যায়। সম্মানজনকভাবে তার স্বাদলাভের একমাত্র উপায় হল বিবাহ নামক আরেক ইনস্টিটুশনের হাতে নিজেকে সমর্পণ। মেয়েটির সম্পর্কে যদিও খুব একটা তথ্য পাচ্ছি না, তবু মনে হচ্ছে, আমাদের দেশে যদি টিনএজেই যৌনশিক্ষার ব্যবস্থা থাকত এবং মেয়েটি যদি নিজের ইচ্ছেমত সঙ্গীর সাথে নিরাপদে (অর্থাৎ রেপড অ্যান্ড কিলড না হয়ে) , বিবাহ অথবা মাতৃত্বের দায়িত্ব না নিয়েই, সুস্থ যৌনতার স্বাদ পেতে পারত --- তাহলেও কি পড়াশোনা ছেড়ে বিয়ে করত? এই প্রশ্নটা কি মেয়েটি নিজেকেও করে উঠতে পারবে? কি জানি!

    আর একটা কথা হল, মেয়েটির ডাক্তারী পড়তে ইচ্ছে নাই করতে পারে। কিন্তু পড়াশোনা করাটা, যে কোন স্ট্রীমেই হোক না কেন, খুব দরকার ছিল। এই মেয়েটি তো অক্ষ বর্ণিত সেইসব মেয়েদের মত করে বড় হয় নি, তাই তার চেতনায় এটা ঢুকে যাওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল।

    গভীর শ্রদ্ধা ও অনেকটা ভালবাসাও হঠাৎই আকন্ঠ ঘৃণায় বদলে যেতে পারে। হয়ত অনেক ছোটখাট জিনিষেই ধাক্কা খাচ্ছিল শ্রদ্ধাটা, হোঁচট খাচ্ছিল ভালবাসাও, তারপর হয়ত খুব সামান্য কোন কথা বা আচর?ণেই সেটা একেবারে ভেঙ্গে গেল। এরকম হয়, দিব্বি হয়। মেয়েটির বাবা মায়ের ক্ষেত্রে এটা হওয়া খুবই সম্ভব। ঈশান ঠিক বলেছে, এটা বাবা মাই হয়ত ভেবে বার করতে পারবেন, অথবা পারবেন না।
    ________________________________________
    Name: a x Mail: Country:

    IP Address : 207.69.137.40 Date:27 Oct 2007 -- 11:32 PM

    স্যান, আঠেরো উনিশের সিদ্ধান্ত বেশির ভাগ সময় ভুল হয়, এটা মানলাম না। আঠেরো উনিশে একরকম, ৩০-৪০এ আরেকরকম, ৫০-৬০ আবার অন্যরকম এটা হতে পারে, যদিও এই ভাবে বেঁধে দেওয়াতে আমার আপত্তি। বেশির ভাগ লোকই বরঞ্চ শেষ বয়সে গিয়ে দু:খ করে যে কেন আঠেরো উনিশে যা করব ভেবেছিলাম, করিনি।
    আরেকটা জিনিস, নারীস্বাধীনতা, ফেমিনিজস্ম ইত্যাদি নিয়ে আমাদের মনে একটা ব্রা-বার্নিং, মিলিট্যান্ট, উচ্চশিক্ষিত, অ্যাগ্রেসিভ প্রোগ্রেসিভ নারীর ধারণা যদি হয়ে থাকে, সেটা ভুল। একটি মেয়ে সে যা করতে চাইবে, সেটা যদি বাড়ি বসে সংসার গুছিয়ে, বাচ্চা মানুষ করা হয়, অথবা, সে সারাদিন বাইরে কাজ করবে, কেরিয়ারিস্ট হবে, কোনোদিন বাচ্চা বানাবেই না, যেটা তার ইচ্ছে, সেটাই করবে। সেটাই স্বাধীনতা। আমার একটা চয়েস ছিল, আমি এই চয়েসটা নিয়েছি, স্ব-ইচ্ছেয় ব্যাস।
    এবার আমার ইন্টারপ্রিটেশন অনুযায়ী, এই মেয়েটির পড়াশোনা না করাটা স্রেফ বাপকে আঘাত দেবার জন্যই। আঘাত বা বিদ্রোহ। আর বাপ লোকটিকে আমার আগাগোড়া অতি বাজে লোক মনে হয়েছে। অত্যন্ত ফিউডাল ভদ্রলোক। তোর যা ভালো মনে হয় তাই করিস, পড়াশোনাটা করে নিয়ে করিস এর মধ্যে এই আশাটাই আছে যে তদ্দিনে মেয়ের মত বদলে যাবে। কিম্বা তুই যদি এটা করতে চাস আমি আছি, এর মানে আমি যা চাই, তুই যদি তাই চাস, তবে আমি আছি। সাধারণত এই ধরনের ফাদার ফিগাররা এরকম মসৃণ, আপাত যুক্তিযুক্ত কথাই বলে থাকেন। কিন্তু তার আড়ালে ভালো রকমের ডমিনেটিং ও ম্যানিপুলেটিভ। আমার বাবা এরকম হলে আমিও এরকম করতাম বলেই আমার মনে হয়, স্রেফ মুখের ওপর একটা "না" বলতে পারার জন্যই, আর তার সেই অসহায়তাটা দেখার জন্য।
    Name: ranjan roy Mail: Country:

    IP Address : 122.168.31.139 Date:28 Oct 2007 -- 08:59 PM

    যা: শালা! ভাবলাম শেষমেশ চুকেবুকে গেছে। বেশ একটা আশাবাদী end । যেন গোটাকতক মৃতদেহ আর লাল স্পটে মুষ্টিবদ্ধ হাত।
    কিন্তু বাদ সাধলো তিনটে জিনিস;-এক, tan , tim অক্ষ ও san এর কিছু সাম্প্রতিক পোস্ট। দুই, আমার ছোট মেয়ের আজ সক্কালে দিল্লী থেকে ফোনে বার্তালাপ। তিন, মেয়ের বাপ বর্মাজীর সঙ্গে আজ সারা দুপুর ধরে আমার ও গিন্নির কথাবার্তা।
    আগে দুই থেকে শুরু করি। সকালে উঠে pc খুলে লেখাগুলো পড়ে উৎসাহে টগবগ করছিলাম( ক্যাথার্সিস?) এমন সময় ছোটমেয়ের ফোন আসতেই GCর ডিসকোর্স নিয়ে ওকে সংক্ষেপে জানালাম। ক্যাথারসিসের এটাও একটা কারণ -- আমি যেন আমার দুই মেয়ের সঙ্গে ক্রিটিক্যাল সময়ে যেন পিতৃতন্ত্র না ফলাই-- যেন পলিটিক্যালি করেক্ট থাকি।
    মেয়েটা আমার খুব ভালো বন্ধু। ভালো বই কিনে পড়ায়।(আফগানিস্তানের পটভুমিতে অসাধারণ উপন্যাস Kite Runner ওর জন্যেই পড়তে পেরেছি।) আমরা sex থেকে অফিস, বা বন্ধুদের মধ্যে সম্পর্ক অনায়াসে আলোচনা করি। এখন ও যা বলেছে--
    তোমার ও গুরুচন্ডালীর বন্ধুদের পুরো ডিসকাসনে একটা জিনিস লক্ষ্যণীয়ভাবে অনুপস্থিত---ছত্তিসগড়ের বিলাসপুর শহর। রীণার সঙ্গে কথার সুযোগ পাওনি। ফলে যে যার জমিনে দাঁড়িয়ে নি দান হাঁকছো। তাই কখনও বর্মা আংকল হিন্দি ফিল্মের ভিলেন হয়ে যায়। কখনও মেডিক্যাল কলেজের সরকারি ফীস সহজেই ঘুষের টাকা হয়ে যায়। আর রীনা হয়ে যায় সিন্ডারেলা গোছের একটা ব্যাপার।
    আসলে আমাদের আটপৌরে জীবনে একটা রূপকথা গোছের ব্যাপার সহজেই মনকে নাড়া দেয়। আর রূপকথা যখন , তখন লালটু দেখতে জুনীলাইনের ইব্রাহিমপুত্র সুলেমান হয় রাজপুত্তুর। হটাৎ ঘা' খেয়ে
    দিশেহারা বর্মা আংকল রাক্ষস আর মাথামোটা বাবলুচাচা খোক্কস।
    বিলাসপুর শহরের আজকের জেনারেশনের অবস্থা বুঝলে বরং রিয়েলিটির অনেক কাছাকাছি যাওয়া যাবে।
    --বাজে জ্ঞান না দিয়ে লাইনে আয়। আমাকে লিখতে হবে। আর ভাটবকার সময় খেয়াল রাখিস রীণা তোর থেকে অন্তত: ছ'বছরের ছোট।
    --বলছি, বিলাসপুরের আজকের বাচ্চারা খুব চাপে আছে। শহরটা খুব তাড়াতাড়ি গাঁয়ের নক্সীকাঁথা নামিয়ে হ্যাটকোট না হোক নিদেন পক্ষে সাফারি সুট পরতে চাইছে। বাপ-মারা খালি বাচ্চাদের চাপ দিচ্ছে--দৌড়ো, দৌড়ো। কোথায় কেন- বড়ছোট কেউ জানে না। আর বিলাসপুরের বাপ- মা শুধো দুটো জিনিস জানে-- জয়েন্ট দাও- ডাক্তারি আর মেডিক্যাল। না হলে স্নাতক হয়ে সিভিল সর্ভিস এর পরীক্ষা । কেউ কেউ এমবিএ ।ব্যস, জেনরল লাইনের বিশাল সম্ভাবনার কথা কেউ জানে না। আই আইটিতে যে হিউম্যানিটিজ নিয়েও এম টেক করা যায়, কেউ বিশ্বাস করে না। এহেন অবস্থায় বিলাসপুরের বাচ্চারা না নিজেকে জানতে পারে, না চারপাশটাকে। রীনারও অবস্থা তাই।
    হয়তো পর পর দু'বছর pmt এর চাপ ওর কাছে বেশি হয়ে গেছিলো। হয়তো ও অন্যকিছু পড়তে চায়। কিন্তু স্পষ্টভাবে জানে না কি চায়।
    ওর এই জাম্প নেয়াটা বাঁধা হিসেবে হঠকারি, কিন্তু সাহসী। আর এই সাহসটা কিন্তু বর্মা আংকলের grooming এর ফল। এটা জেনো।
    আবার এই জাম্পটাই কিন্তু পজিটিভ। এর ফলে রীণা এখন আস্তে আস্তে নিজেকে জানতে পারবে। বাবার ছত্রছায়ার থেকে বেরিয়ে এসে নিজের চোখ দিয়ে দুনিয়াকে ,নিজেকে এবং নিজের চারপাশটাকে দেখবে। তারপর নিজের জীবনটাকে গড়ার চেষ্টা করবে। বাচ্চা মেয়ে , সবে তো শুরু।
    এবার আংকলের কথা। মেয়েটা একবছর আগেও টিউশন থেকে ফিরে এসে বাবার কোলে মাথারেখে শুতো। বাবা ওর চোখে হিরো ছিলো। কথাবার্তায় বেশ বোঝা যেত।
    বাবা মেয়েকে ঝেড়ে ফেলে দেয় নি। বলতেই পারতো -আজ থেকে আমার মেয়ে মরে গেছে। তাতো নয়, কিছু হলে আংকলকেই দায়িত্ব নিতে হবে। ফলে আংকল পরামর্শ দিচ্ছে- পড়াশুনোটা চালিয়ে যা। বিয়েটা রেজিস্ট্রী করে নে। কাল তিন-তালাক দিলে কোথায় যাবি।
    আর সামাজিক প্রতিষ্ঠা? কে চায় না? তুমি চাও না? তোমার GC র বন্ধুরা চায় না? সবাই চায়, সমাজকে কেউ অস্বীকার করতে পারি নে। তাই নাস্তিক হয়েও মায়ের শ্রাদ্ধকরি। হ্যাঁ, সমাজের মানে সবার কাছে আলাদা। তোমার কছে হয়তো মাত্র একশ' জন আর gc র বন্ধুরা।
    আমি লাইন কেটে লিখতে বসবো হঠাৎ পাওয়ার কাট। এমন সময় দেখি বর্মাজী গুটিগুটি আমার বাড়িতে ঢ্হুকছে।

    আর r ঠিক ধরেছো। কেস স্টাডিই বটে। কিন্তু সত্যি সত্যি লাইভ কেস। এবার কোন ইয়ার্কি করছি না। যা যা বলেছি-কোনটা হিয়ারসে, কোনটা উত্তমপুরুষে- দেখাই যাচ্ছে। কিন্তু প্রত্যেকটা element আমার জ্ঞান-বুদ্ধি মত সত্যি। নইলে আগামী জন্মে কালীঘাটের কুকুর হয়ে জন্মাবো।
    তবে r ! উত্তরটা আমার সত্যি জানা নেই। তবে কেস- স্টাডির objective টা পরিষ্কার।
    আমি চাইছিলাম দেখাতে যে অশোক তোডিকে গাল পেরে শুতে যাওয়া খুব সোজা। কারণ ও হলো হিন্দি ফিল্মের স্ট্যান্ডার্ড ভিলেন। আমি চাইছি দেখাতে যে আমাদের মত প্রত্যেক স্বঘোষিত ড: জেকিলের ভেতরে একজন মিস্টার হাইড লুকিয়ে আছে। উপ্যুক্ত সার-সেচ পেলে বিশেষ সময়বিন্দুতে সে বাইরে বেরিয়ে আসে। আমি আমার ভিতরের ডেমনকে ভয় পাই। আমি মার্ক্সবাদে আস্থা না হারালেও ওর ঊনিশশতকীয় উদার মানবতাবাদ ও তার সাদাসিধে প্রগতির ম্যাপে আস্থা হারিয়েছি। ভাবুন তো, হিটলার প্রথমে জীবনে কি ছিলেন? একসময় আর কে লক্ষণের সহকারী হিসেবে দৈনিক পত্রিকায় রাজনৈতিক কার্টুন আঁকা ভদ্রলোক কি করে শিবসেনার আইকন বাল ঠাকরে হয়ে ওঠেন?
    কি করে কোলকাতার গত মেটে বুরুজের দাঙ্গার সময় আমার চেনা এক ইতিহাসের অধ্যাপিকার স্বামী বলে ওঠেন- না:, মিঞারা বড্ড বেড়ে উঠেছিলো, কাজেই - -।
    আমার বন্ধু শ্রীবর্মা গত ২৭ বছরের নানান চড়াই-উৎরাইয়ের সময় আমার চেয়ে উন্নত মানবমন এবং rationality র পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু, পিতৃতন্ত্রে ঘ' পড়ায় কি ভারসাম্য হারিয়েছে? আমার দাদার বন্ধু হুগলীর ব্যাংককর্মী নিজে বাপ-মায়ের অমতে বিয়ে করে সুখি হয়েছিলেন। কিন্তু মেয়ে ( নিজে চাকরি করে, রাষ্ট্রীয় স্তরের অ্যাথলেট) বাবার অমতে সামান্য জ্বালানী কাঠের দোকানি ছেলেকে বিয়ে করতে চাওয়ায় একদা সক্রিয় বাম-রাজনীতির- জন্যে- ঘরছাড়া বাপ ছেলেটিকে তুলে এনে দু'দিন নিজের বাড়িতে আটকে রেখে পেটান। শেষে মেয়েটি আমার দাদাকে বলায় তিনি গিয়ে বন্ধুকে তিরস্কার করে ছাড়ান।

    "" মানুষের মর্মে মর্মে করিছে বিরাজ, নরকের কীট,
    শুকায়েছে কালস্রোত, কর্দমে মেলে না পাদপীঠ''।
    এখান বর্মার সঙ্গে কিছু ডেফিনিটিভ কথা বলে নেই, তারপর কালকে শেষ হবে। নইলে আমার নামে কুকুর পুষবেন।

    NameName: ranjan roy Mail: Country:

    IP Address : 122.168.79.61 Date:31 Oct 2007 -- 10:57 PM

    রঞ্জন ও মেয়ের বাপের কথাবার্তার সংক্ষিপ্তসার( অনেকের মাথাধরে গেছে, তাদের কাছে মাপ চেয়ে)-----------
    র: আসতে আজ্ঞা হোক, কহো, ক্যা হাল হ্যায়?
    বর্মা: ঠিক হী হ্যায়। আপ শুনাইয়ে।
    রত্না( শ্রীমতী রায়): এসে ভালো করলে, তোমার কথাই ভাবছিলুম।
    বর্মা: আসলে আমার হাইকোর্টের উকিলের বাড়ি যাচ্ছিলাম। জানেন তো? মনু, আপনার পাশের পাড়ায়। কিন্তু কেমন মনে হলো আগে আপনাদের বাড়ি হয়ে আসি।
    র: উকিল কেন? মেয়ের বাড়ি থেকে তো কেস তুলে নিয়েছে।
    ব: সে তো বাধ্য হয়ে। এবার আমি লাগাবো।
    র: কেন রে বাবা? আরো কিছু বাকি আছে? তুই কি পাবি বল?
    ব: এই বাহানায় মেয়ের সঙ্গে দেখা হবে, ওর কষ্ট হলে বুঝতে পারবো। ও তো এখন তোতাপাখির মত শেখানো বুলি বলছে, পরে যদি বিপদে পরে আমাকে খবর তো করতে পারবে।
    র: তোর মাথা খারাপ। এর জন্যে আদালতের দরকার নেই ওর বারান্দায় শামলা পরাদের পাশে যুযুধান দুই পক্ষ --কোন ফ্রেন্ডলি কমুনিকেশন হওয়া নামুমকিন। আর মেয়ে বিপদে পড়লে মোবাইল আছে, বাড়ির ঝি আছে, অনেক হাতিয়ার আছে। কোর্ট কেস হলে জটিলতা বাড়বে, অবিশ্বাস বাড়বে।
    ব: আমি তো চাইছিলাম বিয়ে দিতে, কিন্তু সব ঘেঁটে গেল।
    র: কেন?
    ব: সংযোগ। ঠিক সময়ে ঠিক জিনিস হল না। আসলে ওদের পেছনে কিছু ঝোপ বুঝে কোপ মারার লোক আছে। ওরা ম্যানিপুলেট করে ব্যাপারটা অন্য দিকে নিয়ে গেল। সে কটাকে ছাড়বো না।
    র: আচ্ছা একটা কথা বল? কখনো মেয়ে বা ছেলের গায়ে হাত তুলেছিলি? আমি তো জোর গলায় বলছি--জন্মের পর থেকে আজ অব্দি------। কি হলো? চুপ মেরে গেলি যে?
    ব: একবার, শুধু একবার!সেই প্রথম, সেই শেষ। ওর বাড়ি ছাড়ার সাতদিন আগে।
    বৌদি: তুমি অতবড় মেয়ের গায়ে হাত তুললে?
    ব: হ্যাঁ, মেরেছিলাম, প্রচন্ড জোরে গোটা চারেক থাপ্পড় মেরেছিলাম।
    র: কেন?
    ব: রাগের চোটে মাথার ঠিক ছিলো না। ওর উকিল কাকা গলির মধ্যে ছেলেটার সঙ্গে কথা বলতে দেখে টানতে টানতে নিয়ে এলো। বললো ও আমাদের লুকিয়ে এফিডেভিট করে মুসলমান হয়ে গেছে, কিন্তু স্বীকার করছে না। এই দ্যাখো গলায় তাবিজ। আমার মাথায় রক্ত চড়ে গেল। বোকা মেয়ে! ক'টা ফালতু লোকের কু'পরামর্শে আমাদের কাছে মিথ্যে বলছে, ঠকাচ্ছে। কিন্তু, মেয়েটা একবারও বললো না --বেশ করেছি, কি করবে?
    বরং বলও- মেরো না বাবা, লাগছে। আমার হাত নেমে গেল। এর মধ্যে ওর মা এসে ঝাঁপিয়ে পড়লো-- ছাড়ুন তো, মেয়েটাকে, অফিসে যান। বাকি আমি দেখবো।
    বৌদি: তারপর?
    ব: অফিস যাইনি, রাত্তিরে মেয়েটাকে পাশে নিয়ে শুলাম। একঘন্টা পরে ঘুম ভাঙ্গলো। মেয়ে ঘুমোয় নি , কপাল চাপড়াচ্ছে,হায়- হায় করছে।
    বললাম- কি রে, কিসের অসুবিধে? বললো,- বাবা, আমি এভাবে শুয়ে ঘুমোতে পারবো না। ঐভাবে শোবো? তো' বললাম-ঠিক আছে,তাই শো'। তার্পর পাল্টে শুয়ে ঘুমোলো।
    র: এভাবে- ঐভাবে শোয়া? মানে?
    ব: আরে ও মুসলমান হয়ে গেছে না? মুসলমানরা মক্কার দিকে , মানে পশ্চিম দিকে মাথা দিয়ে শোয়, হিন্দুরা পূব দিকে। তাই আমার সঙ্গে পূবে মাথা করে ওর ঘুম আসছিলো না।
    র: কি ফালতু বকোয়াস!
    ব: আপনারা বাঙালীরা মানেন না। আমরা মানি।
    র: ওসব ছাড়। এটাতো ঠিক মেয়ে যে এতবড় সাহস করেছে, কোর্টে বাপের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আর্গু করেছে-- এটা তোরই শিক্ষার ফল ভেবেও তো খুসি হতে পারিস। আর মেয়ে মায়ের প্রতি এত নির্দয় কেন?
    ব: ঠিক তা' নয়। কোর্টে মায়ের হাত ধরে বলেছিলো--- আমি যেমন সেইভাবে স্বীকার করে নাও, জামাই শুদ্ধু । মা বললো- না, একা আসতে হবে।
    র: মেয়ের ব্যাপারে কি চাস? কি আশা করছিস?
    ব: মেয়েটা হয় এক বছরের মধ্যে ফিরে আসবে, নয় পাঁচবছরের মধ্যে মারা যাবে।
    র: সে কি?
    ব: আপনি তো জানেন মেয়েটার থাইরয়েড ওর মার থেকেও বেশি। ও' বাড়িতে গিয়ে ওর অষুধ খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে, ওর মা বাড়ির ঝি কে পাঠিয়ে ছিলো, দেখে এসে জানালো- চোখ গোল্লা গোল্লা হয়ে গেছে। গলা ফুলছে। র: মেয়ের ভালো চাইলে ওর শ্বশুরবাড়িকে শিক্ষা দেবার কথা ভুলে যা।
    ব: তা' হয় না।
    র: তালে যা, বাবলুকে বল ,--ফের গিয়ে ওদের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দিক। তোদের এতবড় অপমান করেছে।
    ব: সেটা করার হলে প্রথম বারেই করতাম। আপনি তো জানেন অনেক অফার এসেছিলো।
    র: কেন করিস নি?
    ব: আমার মেয়েকে যদি বাড়িথেকে জোর করে তুলে নিয়ে যেতো , নির্ঘাৎ করতাম। কিন্তু, তা তো নয়, মেয়ে আমার স্বেচ্ছায় ওদের বাড়িতে গেছে।
    র: তো?
    ব: একটা কথা ভাবছি, আজই সকালে বৌকে বলেছি।
    র: কি?
    ব: সারাদিন tv serial , সিনেমা, সাহিত্য
    সবতাতেই তো দেখছি প্রেম আর প্রেম।
    র: হ্যাঁ, এতে অনেক বাচ্চা বিগড়ে যাচ্ছে।

    ব: উ:, আমাকে বলতে দেবেন? খালি ফোঁপরদালালি! বলছিলাম--প্রেম জীবনের এত মহত্বপূর্ণ ব্যাপার আর সেটা
    আমার মেয়ের জীবনে সত্যি হলে কেন আমরা স্বীকার করে নিতে পারছি না?
    র: শালা! কি বলছিস কি?
    ব: হ্যাঁ, দাদা১ আপনি তো জানেন আমার জীবনেও প্রেম এসেছিলো।
    র: প্রেম? তুমি নি্ছলে সোনালীচুলের সোনালী দাড়ির আড়ালে মুচকি হাসির ফাঁদ পাতা একটি লেডী কিলার!

    রত্না: রঞ্জন! মুখ সামলে!
    বর্মা: ( বিষণ্ন মুখ) সেসব ছাড়ুন! দু' দুবার জেনুইন প্রেম। আপনি জানেন, আমি সাহস করি নি। ব্রাহ্মণ কন্যা ছিলো। আমার বোনেদের বিয়েতে অসুবিধে হতে পারে ভেবে-- আপনি তো জানেন।
    র: হ্যাঁ, হ্যাঁ,- মদের টেবিলে কেঁদে ভাসালি আর আমরা তোল্লাই দিয়ে খুব ফোকটে গেলাস খালি করলাম। সব মনে আছে।
    ব: তো আমার মেয়ে সাহস করেছে, সুখে থাকুক, যেমনি থাকুক।
    র: এই সহজ কথাটা বুঝতে এত সময় লাগলো? পরে প্স্তাতে হোতো। আমাকে কি করতে হবে বল?
    ব: কিছু না। খালি আপনি আর বৌদি ওদের বাড়ি আবার যান। রীনা বাড়ির ঝি কে বলেছে --আমার মা- বাবাকে দেখিস, ওদের যেন কোন ক্ষতি না হয়।
    আপনারা যান, পারলে আমাদের নিন্দা করুন। ওদের সঙ্গে কমিউনিকেশন ডেভেলপ করুন।চাইছি মেয়েটার থাইরয়েডের চিকিৎসা শুরু হোক। তারপরে পড়াশুনো। দরকার পড়লে আমি আছি।
    বৌদি: আমি একাই যাবো। রঞ্জন কোন কর্মের নয়। খালি বকবক, বই পড়া আর GC তে লেখা। এত বোকা! সেদিন ইব্রাহিমের বাড়ি গিয়ে নিজেকে খুব সেকুলার কি মুসলিম্দরদী দেখাতে গিয়ে ছড়িয়েছে। ওদের রিজবানুর গল্পোটা শুনিয়ে আরও ভয় পাইয়ে দিয়েছে। অপদার্থ! ভেবো না, আমি সব সামলে নেবো।।
    "" আমার কথাটি ফুরলো, নটে গাছটি মুড়োলো।''
  • ঐশিক | 127.218.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০১৪ ১২:৪৫649676
  • রঞ্জনদা, এর পরে কি হলো লিখলে খুব ভালো হত
  • cm | 233.19.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০১৪ ১৩:০২649677
  • " আজসাতবছর পর সইমুসলমান পিরবাের মকর বৗ হয় যাওয়া লিহুপিরবােরর মেয়ও তার ামীকমন আছ? সময়র পরীায় পাশনাফল? আর দুইবয়াই-বয়ানও তােদরপিরবার?"

    উত্তর কে দিবে?
  • Ranjan Roy | ০৮ আগস্ট ২০১৪ ১৪:৫৯649678
  • ঐশিক ও সিএম,
    আরে আমি দেব, তাইতো পুরনো পাতা উল্টানো। একটু সাথে থাকুন।
  • jhiki | 149.194.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০১৪ ১৭:০৩649679
  • যা দেখেছি তার ভিত্তিতে তিনটে অপশন মনে আসছেঃ

    ১) রীনা ভীষণ ভাবে ধার্মিক হয়ে গেছে, হারাম-হালাল ছাড়া কথা বলে না। একাধিক সন্তান সামলে ২৫ -এর তুলনায় যথেষ্ট বয়স্ক দেখায়। রীনার বাবা মা রীনাকে ভুলতে বসেছে।

    ২) রীনা স্বামীর ওপর নিজের জোর কাটিয়ে আবার পড়াশোনা শুরু করে গ্রাজুয়েট হয়েছে, আপাততঃ একটা স্কুলে পড়াছে। ভবিষ্যতে আরো পড়াশোনার ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসার ইচ্ছে আছে। স্বামীর বন্ধ, এখন অন্য ব্যবসা করে, সেখানেও রীনা বুদ্ধি যোগায়। একটি সন্তান। রীনার বাবা-মা একরকম মেনে নিয়েছেন এই ব্যবস্থা।

    ৩) রীনা বছর খানেকের মধ্যেই তার বাবা-মার কাছে ফেরত আসে। বাবা মা তাকে তার পছন্দের বিষয় পড়তে শহর থেকে দুরে পাঠিয়ে দিয়েছিল, এখনও সে উচ্চশিক্ষায় রত।

    সবচেয়ে খারাপ অপশন, অর্থাৎ রীনার মৃত্যু (আত্মহ্ত্যা বা হত্যা) ধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি।

    এখন দেখি রঞ্জনদা কী লেখেন।
  • Ranjan Roy | ০৮ আগস্ট ২০১৪ ১৯:১৭649680
  • থ্যংক ইউ ঝিকি! এটাই চাইছিলাম।কী কী সম্ভাবনা তা নিয়ে একটু কেউ বলুক। সারবছর আগে অনেকে বলেছেন, তাঁদের কেউ কেউ আজকাল গুরুতে আসেন না, আবার নতুন অনেকে এসেছেন।
    আসলে এই মানবজীবনের বিশাল ল্যাবে-- আমি খালি মুগ্ধ হয়ে উঁকিঝুঁকি মারি।

    বর্মা পরিবার ও ইউসুফ পরিবার সাতবছর পরেঃ
    ----------------------------------------------
    ১) সাতবছর আগে সেই যে কথা হল তারপর আমি সপত্নীক ইউসুফ পরিবারের বাড়িতে যাই। মেয়ে তখন ফতিমা। এবার অনেক উষ্ণ অভ্যর্থনা । মেয়েকেনিয়ে এল। অনেক কথা হল। চা- নোন্তা খেলাম। তারপরে শাউড়ি বললেন-- আসুন, আমাদের বাড়ি ঘুরে দেখুন। ননদ গ্র্যাজুয়েট, বিয়ের চেষ্টা চলছে। ছোট দেওর কমার্স পড়ছে। জামাই আমাকে নিয়ে গেল দোতলায় -- ওদের গেরস্তি দেখাতে। সুন্দর করে সাজানো খাট, নতুন কাঠের আলমারি, দামি কাঠ। আমার চোখ দেখে ছেলেটি জানাল যে আমার মামার অকলতরা শহরে কাঠের বড় ব্যবসা। এগুলো বিয়েতে ওনার উপহার। ব্যালকনিতে গোটা দশেক টবে গোলাপচারা। সংলগ্ন বাথরুম। ঘর ও বাথরুমে সংস্কার করা হয়েছে।
    শ্বাশুড়ি বললেন-- ও বৌ নয় আমার মেয়ে।
    ফতিমা (রীনা) বলল-- আমাকে রান্নাবান্না কিছু করতে দেয় না। বলে আর ক'দিন পরে। আব্বা আমাকে সঙ্গে না নিয়ে খেতে বসেন না, যদিও মুসলমান পরিবারে এ ব্যাপারে কিছু বাধা-নিষেধ আছে।
    মেয়ে বলল-- বাবা বলে বেড়াচ্ছে ওরা ক'মুঠো ডাল কিনে রান্না করে। এগুলো নোংরামি, আমার স্বামী ও শ্বশুরবাড়িকে অপমান করা। বলছে এখানে তো এসি না চালিয়ে থাকত না। দেখি ওখানে ক'দিন থাকতে পারে। বাবাকে সামনে পেলে জিগ্যেস করতাম -- তুমি ছোটবেলায় কোন এসিওলা বাড়িতে বড় হয়েছিলে? আর তুমি এসি লাগিয়েছ কতদিন হল?
    এখানে আমি সুখে আছি, ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছি।
    ছেলে আমাকে কোর্ট কেসের ফাইল দেখাতে থাকে। রাগত স্বরে বলে--এই দেখুন কোর্টে ওঁর পিটিশন। উনি নাকি কখনো হারেন না! ওনার বড় চ্যালেঞ্জ করার শখ। আমি অ্যাকসেপ্ট করলাম।
    নীচে আসি। বৈঠকখানায় রত্না জমিয়ে গল্প করছে। এবার মিষ্টিমুখ। আমরা মেয়ে-জামাইকে কোন এক রোববার আমাদের বাড়িতে মাছভাত খাবার নেমন্তন্ন করি, আর বলি বরফ গলতে সময় লাগবে। আসুন চেষ্টা তো করা যাক।
    কথা বলা শুরু হোক।
    মেয়ে বলে মা-বাবার যে প্রস্তাব অর্থাৎ আমি যে কোন সময়ে বাড়ি ফিরে যে পারি, কিন্তু একা যেতে হবে-- আমার পছন্দ নয়।
  • Ranjan Roy | ০৮ আগস্ট ২০১৪ ১৯:৪৬649658
  • ২) পরের বছর কেটে গেল শুধু সামান্য বরফ গলাতে।
    --হ্যাঁরে, শেষকালে মেয়ে-জামাইয়ের বিরুদ্ধে কোর্টে লড়াই চালাবি? যদিও আজকে বুঝেছিস যে এটা একটা নিয়মভাঙা বাঁধভাঙা প্রেমের ঘটনা, মৌলবীর ধর্মান্তরণের জন্যে তুকতাক বাজে কথা। তোর অন্যদের ব্যাপারে নিরাসক্ত বিশ্লেষণের যে ক্ষমতা তা নিজের মেয়ের বেলায় মুখ থুবড়ে পড়ল!
    -- কী করব, ওরাও তো কিছু কেস লাগিয়েছে।
    --- তুই বদলার কথা ভুলে যা! তোর মেয়ে যে! বিয়ে পছন্দ ন হলেও এই সত্য কি অস্বীকার করতে পারিস? আর ওদের কেসে কনটেস্ট না করলে এমনিই ঠান্ডা হয়ে যাবে, কথা চালিয়ে যা! আসল কথা হল পরস্পরিক অবিশ্বাসের জায়্গাটা দূর করা। চীন-ভারত সম্পর্কের কথা মনে কর।
    বর্মা হেসে ফেলে। দাদা, আপনিও শোধরালেন না। বেশ, আপনার পরামর্শ মেনে দিলাম।
    ওর স্ত্রীর সুগার-থাইরয়েড বাড়তে লাগল। খালি কাঁদে, আমার মেয়ে ফেরত চাই। কখনো ক্ষেপে যায়, বলে -- তোমরা খালি বড় বড় কথা বল। এক মুসলমান আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে গেল আর তোমরা পঞ্চপান্ডব, অকম্মার ঢেঁকি ভাইগুলো, ছিনিয়ে আনতে পারলে না!
    বর্মা রেগে যায়-- বাজে বোকো না! ওরা কোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় নি। তোমার মেয়েই গেছে। পুরো প্ল্যান মেয়েরই। নইলে--!

    এরপর আস্তে আস্তে টেলিফোনে মা-মেয়ের কথা শুরু হল। একদিন মেয়ে মাকে দেখতে এল। তাতে বর্মার মা-ভাই বিরক্ত হল। ও মেয়ে যেন না আসে! বেরিয়ে গিয়ে মুসলমান বিয়ে করেছে তাতে আমাদের ঘরের অন্য মেয়েদের বিয়ে দিতে সমস্যা হবে।
  • Ranjan Roy | ০৮ আগস্ট ২০১৪ ২০:০২649659
  • ৩) বর্মা অ্যাডাম্যান্ট। ও কিছুতেই মেয়ের অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেটগুলো ফেরত দেবে না। ওর ভয় জামাই যে বলছে দুবাইয়ে কাজের সুযোগ, পাসপোর্ট বানাতে হবে-- তাতে আরও ভয় পেয়ে গেছে। কি জানি! দুবাইয়ে গিয়ে মেয়ে যদি লোপাট হয়ে যায়! খোঁজ পাওয়া না যায়।
    আমি বলি-- ছেলেটি পরিশ্রমী। সক্কালে উঠে নিয়ম করে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে PCO দোকান খোলে, বিকেলে বাবা কে পানপাতা সাপ্লাইয়ের ব্যাপারে সাহায্য করে। কড়া নমাজি মুসলিম, তাতে তোর-আমার কি!
    কিন্তু শ্বশুরবাড়ি থেকে বৌয়ের কলেজে ভর্তি হওয়ার ব্যাপারে বাধা আসে। ওরা চায় প্রাইভেটে পরীক্ষা দিক। মেয়েটি ক্ষেপে যায়। বাবার কাছে ফোনে নালিশ করে। বর্মা গিয়ে ইব্রাহিমকে বুঝিয়ে গার্লস্‌ ডিগ্রি কলেজে বায়লজিতে ভর্তি করায়।
    ইতিমধ্যে ছেলেবৌ অন্তঃসত্ত্বা, কম্প্লিকেটেড কেস। ইব্রাহিমরা ভয় পেয়ে ওকে হাসপাতালে পাঠায়। খুবই শস্তার সামান্য পরিষেবা। ইব্রাহিমদের এর বেশি সাধ্য নয়। কে্স খারাপ হচ্ছে। ডাক্তার জানায় যে গর্ভস্থ বাচ্চা ও মায়ের বাঁচার সম্ভাবনা কম। ফতিমা (রীনা) বলে-- এবার বাবাকে খবর দিন।
    বর্মা এক পরিচিত গাইনির নার্সিংহোমে ভর্তি করে বলে এই ফাতিমা রীনা মেয়েটিকে বাঁচাতে হবে, সম্ভব হলে বাচ্চা সমেত। যা টাকা দরকার হবে বলবেন। ওদের অবাক প্রশ্নের উত্তরে জানায়-- হ্যাঁ, আমার মেয়ে।
    আমরা গিয়ে দেখি, ছেলেবৌয়ের পায়ের কাছে বসে রাত জাগছেন শাশুড়ি, সমানে পায়ে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন।
    বর্মার স্ত্রীর মন গলতে থাকে। ওরও ইচ্ছে মেয়ের কাছটিতে বসে থাকে সারারাত। পারে না, জয়েন্ট ফ্যামিলিতে জানাজানির ভয়। নার্সিং হোমটি হাঁটা দূরত্বে। আসতে হয় লুকিয়ে চুরিয়ে।
    মা ও বাচ্চা দুজনেই বেঁচে যায়। একবছর পরে আরেকটি সন্তান হয়।
  • Ranjan Roy | ০৮ আগস্ট ২০১৪ ২০:২৮649660
  • ৪) মেয়েটি প্রথম ডিভিশনে পাশ করে স্নাতক হয়। দুই বাড়ি গর্বিত। বারো ক্লাসের বেড়া টপকাতে না পারা জামাইও স্ত্রীর সাফল্যে খুশি।
    বর্মার স্ত্রী চায় এই বাড়ি বেচে দিয়ে অন্য পাড়ায় ফ্ল্যাট কিনে উঠে যেতে, তাহলে মেয়ে জামাই অনায়াসে নাতি নিয়ে ওর ঘরে আসতে পারবে। আমরা বলি--উত্তম!
    বর্মা রাজি হয় না। বলে-- জয়েন্ট ফ্যামিলি ভাঙার পরামর্শ দিচ্ছেন? ভালো নয়।
    আমি বলি-- কিসের জয়েন্ট ? এখন তো হেঁসেল আলাদা, সংসার আলাদা।
    বর্মা মানে না। বলে-- পরিবার, পাড়া-একটা শক্তি, বিপদে আপদে। নতুন পাড়ায় তা হয় না।
    ও একটা ব্যবস্থা করে। মাসে দুটো শনি বা রবি ওরা ও মেয়ে-জামাই একটা মনপসন্দ রেস্তোরাঁতে গিয়ে একসঙ্গে ডিনার করে।
    এইসব মিলে সাধনার(বর্মার স্ত্রী) শরীর সেরে উঠতে থাকে।
    এবার একটা ঘটনা ঘটে।
    মূলের চেয়ে সুদের আকর্ষণ বড় হয়ে যায়। নাতি এখন চার বছরের, বড্ড টরটরে। প্রায় রোজ বর্মাকে ফোন করে মায়ের বিরুদ্ধে নালিশ করে-- নানু( নানাজী) রিনা মুঝে মারতী হ্যায়।
    ঘরে কান্নাকাটি জুড়ে-- ম্যায় নানাজিকে ঘর জাউংগা!
    বর্মা গলে যায়। স্ত্রীকে বলে --নাতি যেদিন ইচ্ছে আসবে, যখন ইচ্ছে আসবে। কেউ আটকাবে না। ভাইয়েরা যদি জিগ্যেস করে বলবে ও আমাদের নাতি। তবে ওদের ঘরে পাঠাবে না। আগবাড়িয়ে গল্প করতে যেও না।
    বর্মার থেকে জানতে পারি-- জামাইয়ের পিসিও চলছে না। ঘরে ঘরে হাতে হাতে মোবাইল ফোন , তাই পিসিও ব্যবসায়ের মৃত্যুঘন্টা বেজে গেছে। জামাই অন্য ব্যবসা করবে, কয়েক লাখ টাকা দরকার; শ্বশুরের কাছে একটু সাহায্য ( সম্ভব হলে ব্যাংক লোন) আশা করছে।
    আমি বলি-- ছেলেটি পরিশ্রমী। আত্মমর্যাদা সম্পন্ন। তোর মেয়েকে ভালবাসে। দিয়ে দে।
    একবছর পরে জানতে পারি--- বর্মা গোপনে গ্যারান্টর হয়ে ওকে লোন পাইয়ে দিয়েছে। ছেলেটি একবছরে দাঁড়িয়ে গেছে।
    -- বুঝলেন , সোজাসুজি ওকে টাকা দিলে দয়া করা হত, ওর মাথা নুয়ে পড়ত, তাতে আমার প্রতি গোপন বিদ্বেষ বাড়ত। তাই এভাবে ঘুরিয়ে দিলাম। ও এইটুকু জানে যে শ্বশুরের চেনাজানার ফলে একটু সহজ হয়েছে।
    ৫) রীনা এখন বর্মার পরামর্শে IGNOU র ডিস্ট্যান্স এডুকেশন মোডে ইঁরেজি সাহিত্যে এম এ পড়ছে। ঘরের দায়িত্ব বেড়েছে, তাই। সম্ভবতঃ স্থানীয় একটি স্কুলে পার্টটাইম করছে।
    কয়দিন আগে ঈদের আড্ডায় জানলাম-- এখন রীনা -জামাই-নাতি দুবার বুকফুলিয়ে বার্মার বাড়িতে এসে গেছে।
    বর্মা বিজ্ঞের হাসি হেসে বুড়োটে মুখ করে বলে- বলেছিলাম না? সব হবে। ঠিক সময়ে। তাড়াহুড়ো করতে নেই। কাঁচা ফোঁড়া কাটতে নেই। আপনি রেভোল্যুশনে বিশ্বাস করেন, আমি এভোল্যুশনে।
    ( কিস্‌সা খতম)
  • ... | 177.124.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০১৪ ২১:০২649661
  • শেষ ভালো যার সব ভালো তার।
  • de | 24.97.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০১৪ ২১:০৮649662
  • খুব ভালো লাগলো পড়ে - আমার মাথাতেও খারাপ সম্ভাবনা গুলোই বেশী আসছিলো কিনা!
  • jhiki | 149.194.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০১৪ ২১:১৮649663
  • তো মোটামুটি আমার ২) নং সম্ভবনা ঃ)
    এমনকী মেয়েটার প্রফেশনও!

    আমার পোস্টটাতে গুচ্ছের বানান ভুল আছে। ছেলেটার PCO বন্ধ লেখার ছিল, PCO বাদ পড়ে গেছে।

    যাক, আমি এই পরিণতি তে খুশী। ওদের জন্য শুভেচ্ছা রইল।
  • siki | 132.177.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০১৪ ২১:৪৫649664
  • জয়গুরু।
  • - | 109.133.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০১৪ ২৩:৪৭649665
  • ও, ঠিক প্রেডিকশনের জন্য নকুলদানা ছিল বুঝি? সুখী পরিনতি সেতো বোঝাই যাচ্ছিল নইলে ৭ বছর পর রঞ্জনবাউ প্রসঙ্গ তুলবেন কেন? সত্যিতে মুসলিম ফেমিলিতে গিয়ে হিন্দু মেয়ে অত্যাচারিত হয়েছে, সে কথা ও কাহিনী কোনওদিনই কি এই লেখক লিখবেন? শীর্ষেন্দুর একটা পর্বের লেখা মানেই যেমন অনুকূল-সৎসঙ্গ, তেমনই রঞ্জনবাবুর লেখা মানে মুসলিম মাত্রেই ভালো। নিয়মিত গুরুতে প্রকাশিত লেখকের মতামতে আজ অবধি কোনও ব্যতিক্রম তো দেখি নাই ঃ-)
  • rivu | 140.203.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১৪ ০০:৩০649666
  • বাহ গুরুতে বেশ লাভ জিহাদ রোধ করুন পন্থী দেখে ভালো লাগলো।
  • - | 109.133.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১৪ ০০:৪২649667
  • @রিভু ১২টা৩০, "রোধ করুন"?? গপ্পটা তো "প্রোমোট" করুন পন্থী ঃ-D
  • rivu | 140.203.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১৪ ০০:৪৮649669
  • -, রোধ করুনটা আপনার জন্যে ছিল।
  • - | 109.133.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১৪ ০০:৫৪649670
  • রিভু ১২টা৪৮, আমার জন্য? ঃ-) কিন্তু আমি তো জিহাদের বিরুদ্ধে কুছু বলি নাই? লাভের বিরুদ্ধে তো আরও ই নো নো; সে লাভের গুড় পিমড়েয় খেলেও আমি কক্ষনও রোধের কথা বলি নাই।
    যদ্দুর মনে হয়, আমি লেখকের একদেশীতা নিয়ে কিছু একটা বলার চেষ্টা করেছিলাম। তা, সে বোধহয় বোঝা যায় নি।
    যাগ্গে, যেতে দিন ঃ-D
  • - | 109.133.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১৪ ০০:৫৬649671
  • *একদেশদর্শীতা
  • Ranjan Roy | ০৯ আগস্ট ২০১৪ ০১:১১649672
  • @----,
    একেবারেই না। সাতবছর আগে যখন ৪০ পাতার টইটি চালাই তখন তো জানতাম আজ কি পরিণতি হবে? মুসলিম মাত্রেই ভালো গোছের বাণী দেবার হলে শুধু এন্ড রেজাল্টটুকু লিখতাম।
    সেই সময়ের গোটা বিতর্কটুকু তুলে দিয়েছি এই জন্যে যে তাতে হিন্দু-মুসলিম ইস্যু গৌণ হয়ে গেছল। উঠে এসেছিল অনেক অনেক প্রশ্ন-- মুখ্যতঃ বাপ-মার বয়োপ্রাপ্ত ছ্লেমেয়েদের বৈবাহিক জীবনে কতটুকু হস্তক্ষেপ করা উচিত, বিয়ে ভেঙ্গে গেল মেয়ের প্রতিপালনে বাপ-মার কতটুকু দায়িত্ব, ক্যারিয়ার বনাম প্রেম ইত্যাদি অনেক বিতর্ক।
    আমার কাছে সেগুলো অনেক মূল্যবান।
    আর গল্পটির ( নির্ভেজাল সত্যি ঘটনা!) বিভিন্ন ভাঁজগুলো দেখলেন না?
    আজও কী সত্যিই দুই পরিবারের মধ্যে মিলন সম্ভব?
    মেয়ের বাপ-মা (বর্মা পরিবার) ও ছেলের বাপ-মা ( ইব্রাহিম পরিবার) কি তাঁদের পারিবারিক অনুষ্ঠানে মিলিত হন? একে অপরকে ডাকেন? দীপাবলী-দশেরায়? ঈদে? জন্মদিনে? নাতি-নাতনীর জন্মদিনে? একেবারেই না।
    শুধু মেয়ে-জামাইয়ের সঙ্গে অর্থহীন বৈমনস্য দূর হয়েছে। মেয়েটি বাড়ির প্রথম নাতনী। আজ বাপ-মা ছাড়া আর কারো সঙ্গে ( ঠাকুমা-কাকাকাকিমা, খুড়তুতো ভাইবোন?) সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি।
    আমি সংযুক্ত-পরিবারে বড় হয়েছি। তাই বিচ্ছিন্ন হওয়ার দুঃখটা বুঝি।
    আমার লেখাটা আদৌ রূপকথা-রূপকথা নয়। বলতে চেয়েছিঃ
    ১) প্রত্যেকেরই নিজের মত করে নিজের জীবন গড়ে নেওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু তার ভাল মন্দ ফলাফলের দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে।
    ২) আর কিছু পাওয়ার জন্যে কিছু খোয়াতে হবে; দাম দিতে হবে।
    ৩) এগুলো ব্যক্তিগত নির্ণয়; এতে খামোকা কমিউনিটির রং না লাগিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে ফয়সালা করা যায়।
    ৪) এতে কোন কমিউনিটির ইগোর প্রশ্ন বানালে দাঙ্গা ছাড়া কোন পরিণতি হতে পারে না।
  • Ranjan Roy | ০৯ আগস্ট ২০১৪ ০১:৩২649673
  • @-----,
    ৬ অগাস্টে অন্য একটি টইয়ে আপনাকে উদ্দেশ্য করেই লিখেছিলামঃ

    "খেয়াল করবেন, কোন হিন্দু মেয়ে যদি মুসলিম ছেলের প্রেমে পড়ে বিয়ে করে তাহলে একটি ইম্প্লিএদ ব্যব্স্থা হল মেয়েটিকে আগে মুসলমান হতে হবে। অন্য সিভিল ম্যারেজ, বা বর-বৌ নিজের নিজের ধর্মাচরণ করিবেক--এটা অপবাদ, সাধারণ নিয়ম নয়।
    প্রেমে পড়ে মেয়েটি মেনে নেয়।
    তখন সমাজের মথারা বলেন-- মেয়েটি ইস্লামিক জীবনদর্শন জেনে বুঝে গ্রহণ করেছে, আপনি কেন খামোকা ইত্যাদি ইত্যাদি।"
    তারপরও বলছেন আমার মতে মুসলমান মাত্রই ভালো বলেছি!
    তাহলে বলতে হচ্ছে আপনি আমার কথা বুঝতেই পারেন নি।
    আমি হিন্দু বা মুসলমান বা ক্রিশ্চান (পড়ুন বাঙালী-বিহারী-মারাঠি-তামিল) বলে কোন কমিউনিটিকে ভাল বা খারাপ এমন ব্ল্যাংকেট সার্টিফিকেট দেবার কথা ভাবতেই পারি না। ব্যক্তি মানুষ ভালো বা খারাপ হয়, কমিউনিটি নয়-- এটা আমার বিশ্বাস!
    মানুষকে এভাবেই দেখতে চাই।
    আর গুরুতে আমার পুরনো" বাঙালবাড়ির কিস্‌সা" দেখবেন-- কীভাবে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে জানমাল নিয়ে আমাদের ( আমি তখন মায়ের পেটে) পালিয়ে আসতে হয়েছিল তার গল্প!
    হিন্দু মেয়ে বিয়ে মুসলিমবাড়িতে অত্যাচারিত হচ্ছে এমন গল্প কেন লিখিনি? সোজা কথা , দেখিনি বলে।
    তেমনি, মুসলিম মেয়ে হিন্দুবাড়িতে বিয়ে হয়ে অত্যাচারিত হচ্ছে তেমনি গল্পও লিখিনি, কারণ দেখিনি বলে।
    আপনি দেখে থাকলে লিখুন না! কে মানা করছে? আমাকে আপনার চোখে নিউট্রাল হবার জন্যে অমন অংক মেনে যা দেখিনি তাই বানিয়ে বানিয়ে লিখতে হবে?
    শীর্ষেন্দুর সঙ্গে তুলনা? উনি বড় লেখক আর উনি উপন্যাস লেখেন। আমি এই টইয়ে নাম দিয়ে সত্যি ঘটনা লিখেছি। যদি চান বিলাসপুরে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। নইলে শীতকালে বর্মা কোলকাতায় আমার বাড়িতে সস্ত্রীক আসছে। আপনি চাইলে আলাপ করিয়ে দেব।
    আরও বলি-- বিলাসপুর হল নাগপুরের পর সবচেয়ে বড় আর এস এস সেন্টার। বর্মা ছোটবেলায় নিয়মিত ওদের শাখার অভ্যাসে যেত। এখনো গুরুজিদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন