সবক্ষেত্রে একমত হই না হই - ওনার এই পয়েন্ট বাই পয়েন্ট লেখার স্টাইল টা দারুন লাগে আমার। পুরো লিগাল স্টেটমেন্ট সাজানোর স্টাইল।
আমার সহমত & কাউন্টার গুলো থাকলো কপি পেস্ট মেরে-
১ বিয়ে রেজিস্টার করতে হবে।-
- এইটা নিয়ে কোনো দ্বিমত আগেও ছিলোনা - এখনো নেই। ধর্ম নির্বিশেষে সব বিয়ে রেজিস্টার বাধ্যতামূলক করা উচিত। ধর্মীয় বোর্ডের আপত্তি উঠছে কেন এটা নিয়ে আদৌ ? ধর্মীয় রেজিস্ট্রেশন চলুক যেমন চলছে। প্যারালাল এটা থাকলে কার আপত্তি ?কেন ?
২ ক) বিয়ের আগে এবং পরে বর-কনের দুপক্ষের স্বোপার্জিত বা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি যা ছিল , বিয়ের পর তার সংযুক্ত স্বামিত্ব হবে , অর্থাৎ দুজনেই তার মালিক হবে। বিচ্ছেদ হলে দু’পক্ষই অর্ধেক ভাগ পাবে। বিবাহিত স্ত্রী/পুরুষ একে অপরের সম্মতি বিনা সম্পত্তি বেচতে পারবে না।
---এটা কি মনুস্মৃতিকে আদর্শ বিধি মেনে চলা পুরুষেরা, ইউসিসির পক্ষধর হলেও, মেনে নিতে পারবেন? হিন্দু কোড বিলে মেয়েদের সম্পত্তির অধিকার প্রশ্নে গত শতকে কারা সংস্কারের বিরোধিতা করেছিলেন?
- প্রস্তাব তো আসুক। আগেই মেনে নিতে পারবে কিনা জানা যাবে কি করে ? আমার মত তো হলো দুজনেই একুয়াল মালিক হবে। সেটা যে মেজরিটির ওপিনিয়ন নয় জানা যাবে কিভাবে ? আর গত শতকে তো বিদ্যাসাগরের বিধবা বিবাহ আইনকেও অনেকে বিরোধিতা করেছিল। সবাইকে খুশি করতে হলে তো পেছোতে পেছোতে গাছে ফেরত যেতে হবে।
খ) কিন্তু সংযুক্ত সম্পত্তির তদারকি করবে শুধু স্বামী। সে সম্পত্তির কোন অংশ ভাড়ায় খাটাতে পারবে। এর জন্যে স্ত্রীর অনুমতির দরকার নেই।
--লিঙ্গ সাম্যের যোদ্ধারা কী বলবেন?
- এটা জানতাম না। অবশ্যই পাল্টানো দরকার। মালিক স্বামী স্ত্রী দুজন হলে অধিকার টাও একুয়াল হওয়া উচিত। তবে যেটা বুঝতে পারছিনা প্রপার্টি পেপারস এ দুজনের সাইন থাকলে ভাড়া খাটানোর বেলায় শুধু স্বামীর সাইন এ কাজ হয় কিভাবে ?
৩ মেয়ে সম্পত্তির অর্ধেক পাবে। ভাই-বোনের পৈতৃক সম্পত্তিতে সমান অধিকার।
- এটা নিয়েও কোনো দ্বিমত ছিলনা -এখনো নেই। যদি উইল না থাকে - তাহলে স্বামী বা স্ত্রী একজন মারা গেলে অন্যজন র সমস্ত অধিকার বাই ডিফল্ট। যদি দুজনেই মারা যান সেক্ষেত্রে ছেলেমেয়েদের মধ্যে একুয়াল ভাগ হবে। ছেলেমেয়ে না থাকলে তখন নেক্সট অফ কিন্।
তবে কেউ উইল করে যদি কোনো ছেলেমেয়েকে আলাদা কিছু দিয়ে যান সেক্ষেত্রে অন্য কেস। সেটা তার নিজের অধিকারের মধ্যে পরে।
যদিও অন্য সাবজেক্ট - আমার মত হল বিয়ের পন দেওয়া নেওয়া দুটোকেই পুরোপুরি নন-বেলেবল ক্রিমিনাল কোডে ফেলা হোক। মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখেছি বিয়েতে দেওয়া পন নিয়ে পরে ভাইদের সাথে ঝামেলা বাঁধতে বাবামার সম্পত্তির ভাগ দেওয়া নিয়ে।
ইন ফ্যাক্ট এই বিয়ের পরে মেয়েদের শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার প্রথাটাই এলিমিনেট করা দরকার। ছেলেমেয়ে এডাল্ট হলে নিজে টাকা জমিয়ে নিজে পছন্দ করে তারপর বিয়ে করুক। নিজেরা আলাদা বাড়ি কিনে থাকুক। নাহলে বিয়ে করার দরকার নেই। ৯০-% বিয়ের ঝামেলা আসে শ্বশুরবাড়ি থেকে।
৪ গত ২০২২ এর সংশোধনের পরে গোয়ায় মেয়েদের অধিকার কিছুটা এগিয়েছে। পুরুষ মারা গেলে বসতবাটিএবং ঘরের জিনিসপত্রে বিধবার একচ্ছত্র অধিকার। বাকি সম্পত্তি বিধবা এবং অন্যান্য উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সমান ভাগ হবে।
--এই নিয়ম গোটা দেশে কার্যকরী হলে হিন্দু পুরুষেরা মেনে নেবেন কি?
- আরে প্রস্তাব তো আসুক। আগে থেকে কিভাবে ধরে নেওয়া হচ্ছে মেনে নেওয়া হবেনা ? আর এতো স্থাবর অস্থাবর ঝামেলার দরকার কি ? আগে যা লিখলাম স্বামী স্ত্রী একজন মারা গেলে অন্যজন র সব পাওয়া উচিত।
৫ হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের ধারা ১৫ অনুয়ায়ী যদি কোন বিধুর পুরুষ নিঃসন্তান অবস্থায় গত হন এবং উইল না করে থাকেন, তাহলে সেই পুরুষের সম্পত্তির মালিক হবে তাঁর বাবা-মা। কিন্তু নিঃসন্তান বিধবার সম্পত্তি (যদি উইল না করে থাকেন) পাবেন তাঁর শ্বশুর শাশুড়ি, নিজের বাবা-মা নন; সেই সম্পত্তি বিধবার চাকরি করা মাইনের থেকে কেনা হলেও।
--এমন কোন নিয়ম গোয়ার আইনে নেই। তা ভারতের মূল ভূখণ্ডের হিন্দু পুরুষ কি ওই সুবিধেগুলো ছাড়তে রাজি?
- গোয়ার আইন টা বেটার। এক্ষেত্রে প্রথম অধিকার স্ত্রী বা স্বামীর থাকা উচিত আমার মত।
৬ বহুবিবাহ (bigamy and polygamy) নিষিদ্ধ; এটা সবধর্মের ক্ষেত্রেই প্রয়োজ্য। আর তিন তালাকের প্রশ্নই নেই কিন্তু একটা ব্যতিক্রম আছে।
- এইটা নিয়ে আগেও দ্বিমত ছিলনা - এখনো নেই। কাদের আছে আপনিও জানেন। :)
আর গোয়ার এই রিগ্রেসিভ আইনটা - "কোন হিন্দু পুরুষের স্ত্রী যদি ২১ বছর বয়সেও সন্তানের জন্ম না দেয় বা ৩০ বছর বয়স হলেও পুত্রের (male child) জন্ম না দিতে পারে তাহলে স্বামী দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে পারে।"- অতি অবশ্যই পাল্টানো উচিত। বনিবনা না হলে ডিভোর্স হোক- তারপর অন্য বিয়ে করুক।