এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা  রাজনীতি

  • ইউনিফর্ম সিভিল কোডঃ কিছু চিন্তা-ভাবনা (সংযোজন)

    Ranjan Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৫৪৬ বার পঠিত
  • ইউনিফর্ম সিভিল কোডঃ কিছু চিন্তা-ভাবনা (সংযোজন)

    মুখবন্ধঃ

    এই বিষয়ে বেশ কয়েক মাস আগে গুরুচণ্ডালীর পাতায় একটি লেখা দিয়েছিলাম। তাতে বিভিন্ন মতামত, যুক্তি-তর্ক-তথ্য মিলেমিশে আলোচনা জমে উঠেছিল। তবে ঘটনার ঘনঘটা দেখে শেষপাতে কিছু সংযোজন জরুরি মনে হচ্ছে।

    আগের কিস্তিটি শেষ করেছিলাম এই আশায় যে ইউনিফর্ম সিভিল কোড বা সমান নাগরিক সংহিতা নিয়ে ল’ কমিশন (কার্যকাল মার্চ ২০২৩ পর্য্যন্ত) অন্ততঃ জুন নাগাদ সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনের আগে কিছু একটা সুপারিশ করবে বা ভারত সরকারকে বিধিসম্মত পরামর্শ দেবে।

    কিন্তু বিগত ১৪ জুন ২০২৩ তারিখে ২২তম ল’ কমিশনের চেয়ারম্যান জাস্টিস ঋতুরাজ অবস্থী, কর্ণাটক হাইকোর্টের ভূতপূর্ব মুখ্য ন্যায়াধীশ (যিনি স্কুলে মেয়েদের হিজাব পরার মামলায় সরকারের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন), আগের কমিশনের জনতার মতামতের জন্য ডিজিটাল মাধ্যমে জারি করা ১৬ বিন্দু প্রশ্নপত্রটি ফের জারি করলেন। মতামত দেওয়ার সময়কাল ৩০ দিন, অর্থাৎ ১৪ জুলাই অব্দি। তারপর সেটা বাড়িয়ে ২৮ জুলাই করা হয়।[1]

    কেন এই কেঁচে গণ্ডুষ?

    শোনা যাচ্ছিল যে ২১তম কমিশনের চেয়ারম্যান, জাস্টিস বি এস চৌহান নাকি স্পষ্ট কোন অনুশংসা বা সুপারিশ না দিয়েই অবসর নিয়েছেন। আগের কিস্তিতে আমিও তাই লিখেছিলাম। এখন দেখছি কথাটি অর্ধসত্য।

    এই বিষয়ে জারি নতুন সরকারি নোটিসেই বলা হয়েছে যে ২১ তম ল’ কমিশন এই বিষয়ে জনতার, ধর্মীয় সংগঠনের এবং সমস্ত স্টেক হোল্ডারের অভিমত জানতে চেয়ে বিগত ৭ জুলাই ২০১৬ তে উপরোক্ত ১৬ বিন্দু প্রশ্নপত্র জারি করে। তারপর আরও পাবলিক নোটিসের পর ( যেমন ১৯ মার্চ ২০১৮, ২৭ মার্চ ২০১৮ এবং ১০ এপ্রিল ২০১৮) জনতার কাছ থেকে অভুতপূর্ব সাড়া পায়। এসবের অধ্যয়নের ভিত্তিতে কমিশন বিগত ৩১ অগাস্ট ২০১৮ সরকারের জন্য রিফর্মস্‌ অফ ফ্যামিলি ল’ নামে একটি ১৮৫ পাতার কনসাল্টেশন পেপার জারি করে। তারপর প্রায় তিন বছর কেটে গেল। সরকার ব্যাপারটা নিয়ে গা’ করল না। এখন আগের কন্সাল্টেশন পেপার তামাদি হয়ে গেছে জানিয়ে ফের একই প্রক্রিয়া শুরু। [2]

    সামনে লোকসভার সাধারণ নির্বাচন। এবং ভারতীয় জনতা পার্টির তিনটি প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যে দুটো (ধারা ৩৭০ বিলোপ এবং অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ) পূর্ণ হয়েছে, বাকি সমান নাগরিক সংহিতা।

    কিন্তু কী ছিল সেই ফ্যামিলি ল’ কন্সাল্টেশন পেপারে যা ভারত সরকার এড়িয়ে গেল?

    ২১শতম কমিশন কোন স্পষ্ট অভিমত দেয় নি — কথাটা ভুল। সমস্ত মতামত/সাজেশন খুঁটিয়ে দেখে কমিশনের বক্তব্যঃ ইউনিফর্ম সিভিল কোড বর্তমান পর্যায়ে আবশ্যক নয়, জরুরিও নয়। (is neither necessary nor desirable at this stage) [3]

    এখানে দুটো কথা গুঁজে দিচ্ছি।

    কথা তো ছিল ইউনিফর্ম সিভিল কোড বা সমান নাগরিক সংহিতার। এর মধ্যে ফ্যামিলি ল’ শব্দটি কেন?

    ভারতীয় নাগরিক সংহিতার (Indian Civil Code) সিংহভাগ—যেমন কনট্র্যাক্ট অ্যাক্ট, ট্রান্সফার অফ প্রপার্টি, মর্টগেজ, স্ট্যাম্প ডিউটি, আরবিট্রেশন, জমি কেনাবেচা, খাজনা এবং কৃষি আইন, শ্রম কানুন, ব্যাংক সম্বন্ধিত আইন, নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্ট, সেলস অফ গুডস অ্যাক্ট, প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কর, জি এস টি ইত্যাদি, ল’ অফ লিমিটেশন, ট্রেসপাস, মানহানি ইত্যাদি -- সমস্ত নাগরিকের জন্যে সমান, জাতিধর্ম নির্বিশেষে।

    তাহলে কোনগুলো আলাদা? শুধু মাত্র পারিবারিক আইন বা ফ্যামিলি ল’। অর্থাৎ সমস্ত জাতি বা ধার্মিক সম্প্রদায়ের বিয়ে, সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা, দত্তক নেওয়া এবং উত্তরাধিকারের আইন।
    আমাদের প্রধানমন্ত্রী মোদীজি গত ২৭ জুন ২০২৩ তারিখে মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে বিজেপির দশ লক্ষ বুথ ওয়ার্কারদের সভায় বলেছেন – এক পরিবারে আলাদা আলাদা নিয়ম চললে পরিবার টিকবে কী করে? ভিন্ন সম্প্রদায়ের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কানুন হলে দেশ একসাথে চলবে কী করে? দেশের সংহতির কী হবে? [4]

    তাই দেশ চাইছে সমান নাগরিক সংহিতা। মুসলমানদের সতর্ক হতে হবে -- কারা ওদের ভুল বোঝাচ্ছে। এবছরের শেষে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও রাজস্থানে বিধান সভার নির্বাচন আসন্ন।
    ফলে নির্বাচনী প্রচারে ইউসিসি কতটা গুরুত্ব পাবে তা এখন থেকেই বোঝা যাচ্ছে।

    কিন্তু ২১তম ল’ কমিশনের জাস্টিস চৌহানের বক্তব্য মোদীজির বিপ্রতীপে।

    জাস্টিস চৌহান আরও স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা করেছেনঃ আমরা যদি অভিন্ন দেওয়ানি বিধির টানে আমাদের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে জলাঞ্জলি দিই তাহলে সেটাই জাতির আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার ক্ষেত্রে প্রধান বিপদ হয়ে দেখা দেবে। [5]

    উনি আরও বলেছেন যে প্রত্যেক সম্প্রদায়ের মধ্যেও ফ্যামিলি ল’ এবং আচার অনুষ্ঠান নিয়ে এত বৈচিত্র্য আছে! আগে হিন্দু এবং মুসলিম সম্প্রদায় নিজেদের মধ্যে বিয়ে, সম্পত্তি, উত্তরাধিকার নিয়ে ভিন্নতা দূর করুক। তারপর না হয় গোটা দেশের মধ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি প্রণয়ন করার কথা ভাবা যাবে।

    এবার আমরাও স্পষ্ট করে বুঝতে পারছি – কেন জাস্টিস চৌহানের ফ্যামিলি ল’ কন্সাল্টেশন পেপার – হিন্দি বাগধারা থেকে ধার নিয়ে বললে --- এতদিন ঠান্ডা বস্তায় পড়ে ছিল। আর চার বছর পরে তার তিলাঞ্জলি হল।

    অমর্ত্য সেন গত ৫ জুলাই শান্তিনিকেতনে তাঁর বাসভবনে কিছু ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে কথাবার্তার সময় সাংবাদিকদের বলেন — ইউনিফর্ম সিভিল কোড এদেশে প্রয়োগ করা হবে বক্তব্যটি ভুয়ো (a bluff)। তিনি পালটা প্রশ্ন করেন -- এতে কার লাভ হবে? এটা মুখ্যুমি (a stupid thing)। আমরা ইউসিসি ছাড়াই হাজার বছর পেরিয়ে এসেছি। ভবিষ্যতেও এটা ছাড়াই আমাদের চলে যাবে। হ্যাঁ, এ হল হিন্দুরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এজেন্ডার অংশ। [6]

    দ্বিতীয় কথাটি হল বিগত ল’ কমিশনের চেয়ারম্যান তাঁর কার্যকাল শেষ হওয়ার (২০১৬-১৮) আগে আরও অনেকগুলো বিষয়ে নিজের রায় ও সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন। তার মধ্যে একটি হল ধর্মমত নির্বিশেষে সমস্ত বিয়ের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। এখানে বলা ভাল, সাধারণত কোন ধার্মিক বিয়েতেই স্বতঃপ্রণোদিত রেজিস্ট্রেশন হয় না। পাত্র-পাত্রী নিজের উদ্যোগে করায়, কখনও পাসপোর্ট-ভিসার প্রয়োজনে। তবে মুসলিম বিয়ে একধরণের সামাজিক চুক্তির ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে। তাই তাদের পাঁচজন সাক্ষীর দস্তখতে যে নিকাহ্‌নামা বা বিয়ের চুক্তি পত্র তৈরি হয় সেটা তাদের ধর্মীয় রেজিস্টারে নথিভুক্ত হয়। তবে সেই রেকর্ড সরকারের কাছে জমা হয় না। চৌহান কমিশনের রিপোর্ট মেনে নিলে জন্মমৃত্যুর খতিয়ানের মত সমস্ত বিয়েরই তথ্য সরকারের কাছে নথিবদ্ধ হবে। আমার মতে হলে মন্দ কি!

    সরকারের কাছে আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেনের সমস্ত তথ্য প্যান নাম্বারের মাধ্যমে জমা হয়েছে। এটাও না হয় গেল। তাতে হয়ত কোন কোন নটবরলালের লোক ঠকিয়ে একাধিক বিয়ে করার খেলা খানিকটা হলেও নিয়ন্ত্রিত হবে। বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে কেউ এলে ঘরে বসেই পাত্রীটি পাত্রের নামধাম ঠিকানা দিয়ে সরকারের পোর্টালে সার্চ করে জানতে পারবে পাত্রটি প্রতারক কিনা।

    কিন্তু মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড এবং দেওবন্দ এর দার-উল -উলুম এই সংস্কারের বিরোধী। ওদের মতে মুসলিম বিয়ে তো নথিবদ্ধ হয়। তাতে দেনমোহরের পরিমাণ ইত্যাদি সমস্ত শর্তের উল্লেখ থাকে। তাহলে আর সেই তথ্য সরকারের কাছে জমা দেওয়া অপ্রয়োজনীয় এবং ধর্মীয় ব্যাপারে সরকারের অনভিপ্রেত হস্তক্ষেপ বটে।

    সে যা হোক, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ল ল’ কমিশন আসলে ইউসিসির পক্ষে ভোট নিচ্ছে। জনতার বড় অংশ যদি পক্ষে ভোট দেয় তাহলে সরকার এটা নিয়ে আইন তৈরি করবে। সংসদে তো শাসক দল বিপুল ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ। কাজেই বিল পাস করতে কোন অসুবিধে হবে না।

    আরও ’ফরওয়ার্ডেড পোস্ট’ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। যেমন, এর মধ্যেই ৪ কোটি মুসলিম এবং ২ কোটি খ্রীস্টান এর বিরুদ্ধে কমিশনের কাছে রায় দিয়েছে। ওরা এককাট্টা।

    অতএব, জাগো হিন্দু জাগো! আমরা বিপন্ন! শীগগির এর পক্ষে ভোট দাও, দেশের অখণ্ডতার জন্যে রুখে দাঁড়াও!

    কেউ বলছেন না যে এগুলো হেট স্পীচের পর্যায়ে পড়ে। কেউ বলছেন না যে ২২তম ল’ কমিশন আগের কমিশনের সেই ১৬ পয়েন্ট বিন্দুতে সবার চিন্তাভাবনা ও অভিমত চাইছেন, পক্ষে বিপক্ষে ভোটাভুটি নয়।

    যেটা হতে পারত তা হল সরকার কী অর্থে ইউসিসি চায় তার একটা খসড়া তৈরি করে এই আইনের সঙ্গে যাদের ভাগ্য জড়িত (stakeholder) তাদের সবার মধ্যে আলোচনার জন্যে প্রচারিত করা।

    হঠাৎ বেসুর বাজলো!

    ভারত সরকার ইউসিসি প্রণয়নের জন্যে একটি পার্লামেন্টারি প্যানেল বানিয়েছেন যার চেয়ারম্যান হলেন সুশীল মোদী (chairman of the Parliamentary Committee on Law and Justice)। উনি বিহারে এনডিএর কোয়ালিশন সরকারে উপ-মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং ভবিষ্যতে বিজেপি একা সরকার গড়লে মুখ্যমন্ত্রী হতেন এমনই প্রচলিত মত। কিন্তু রাজনৈতিক দাবাখেলায় তাঁকে বিহারের রাজ্য--রাজনীতি থেকে দূরে দিল্লিতে সাংসদ হতে হয়েছে। আপাততঃ উনি শিরোনামে এসেছিলেন ‘মোদী’ নামের সবার অপমান হয়েছে এই অভিযোগে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে বিহারে একটি মানহানির (ক্রিমিনাল) এফ আই আর করে।

    এবার উনি ফের শিরোনামে এসেছেন-- ৩ জুলাই তারিখে ইউসিসি প্যানেল মিটিং চলাকালীন বিতর্কিত মন্তব্যে করে। ওনার অভিমত হল উত্তর - পূর্ব ভারতকে এই ইউসিসি আইনের আওতার বাইরে রাখা হোক [7]
    কারণ, ওই অঞ্চল সংবিধানের আর্টিকল ৩৭১ অনুসারে বিশেষ তালিকাভুক্ত, তাই স্বতন্ত্র ভাবে পরিচালিত হয়। মূল ভারতের অনেক আইন ওখানে প্রযুক্ত হয় না।

    পাঠকের মনে পড়বে — কাশ্মীরে আর্টিকল ৩৭০ অনুসারে পরিচালিত হত। দেশের অখণ্ডতার ধুয়ো তুলে সেটা বাতিল করা হল। কিন্তু নাগা-মিজো-কুকি-টিপরা জনজাতির বিস্তৃত এলাকার আর্টিকল ৩৭০ বাতিল করা হয় নি।

    সুশীল মোদী নিজে আইনজ্ঞ, কথাটি হঠাৎ বলেন নি। ওনার সাতদিন আগে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা ইউসিসি নিয়ে তাঁর আপত্তি জানিয়ে বলেছেন — তাঁর রাজ্যের জনজাতিদের সামাজিক প্রথা এবং অনুষ্ঠান, ক্রিয়াকর্ম এসব একটা নতুন আইনে বাতিল করে সবাইকে একঘাটে মাথা মুড়োতে বাধ্য করা যাবে না।

    যেমন মেঘালয়ে ঘরের ছোট মেয়ে সম্পত্তির বড় অংশ পায়।

    প্যানেলের বৈঠকে কংগ্রেসের বিবেক তনখা, মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মহাঅধিবক্তা ও সুপ্রীম কোর্টের অধিবক্তা এবং দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কাজাঘম (ডি এম কে) সাংসদ পি উইলসন ল’ কমিশনের সদস্য-সচিব কে বিসওয়ালকে প্রশ্ন করেন — যখন আগের ল’ কমিশন ২০১৮ সালেই অভিমত প্রকাশ করেছিল যে ইউসিসি ‘neither necessary, nor desirable’ তাহলে কেন ফের জনসাধারণের কাছে অভিমত চাওয়া হচ্ছে।

    বিজেপির প্রতিনিধি রাম জেঠমালানির পুত্র মহেশ জবাবে বললেন যে এটা তো ১৯৪৯ সালে সংবিধান সভার বিতর্কেই অবশ্যকর্তব্য হিসেবে ধরা হয়ে হয়েছিল। অন্যরা বলেন যে মোটেই তা নয়। সেই বিতর্কে এটা বলা হয়েছিল ইউসিসি একটি ‘স্বেচ্ছায় গ্রহণযোগ্য বিকল্প’ (voluntary option) মাত্র এবং বাবাসাহেব আম্বেদকরও একই মত পোষণ করতেন।

    বিবেক তনখা আরও বলেন যে উনি যতদূর খবর পেয়েছেন যে বিয়ে-- যা কিনা ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক আইনের আওতায় পড়ে –সেটাও নাকি ইউসিসির আইনে বদলে যাবে।

    কিন্তু বর্তমান সরকার তো সুপ্রীম কোর্টে সমলিঙ্গের বিবাহের অধিকার মামলায় দলিল দিয়েছিল যে বিবাহ স্বভাবতঃ প্রত্যেক জন-সমুদায়ের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের অঙ্গ। তাহলে ইউসিসি যদি বিবাহের আইনে হস্তক্ষেপ করে সেটা নাগরিকদের ধর্মীয় অনুভূতিকে আহত করবে না? [8]

    বিরোধের কণ্ঠস্বর ক্রমশঃ প্রবল হচ্ছে। কয়েকজন বিজেপি সাংসদও গলা মিলিয়েছেন। ছোটনাগপুর অঞ্চলের আদিবাসী মহাসভা একই যুক্তিতে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে। আপত্তি জানিয়েছে ক্রিশ্চানদের সর্বভারতীয় সংগঠন। মুসলিম সমাজের দৃঢ় বিশ্বাস যে এর উদ্দেশ্য মুসলিমদের বিয়ে ও সম্পত্তির অধিকারে হস্তক্ষেপ।

    আবার দলিতদের একাংশের মনে হচ্ছে যে মুসলিম নয়, আসল লক্ষ্য ইউনিফর্মিটি বা সমান আইনের বাহানায় উচ্চবর্ণের পক্ষধর মনুবাদী আচার সংহিতা লাগু করে দলিতদের বরাবরের মত দাবিয়ে রাখা।

    তারা অনেক প্রশ্ন তুলছেঃ, তার কয়েকটিঃ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি হলে কি —
    o তফসিলি আদিবাসীদের জমি অন্যেরা কিনতে পারে না, এখন পারবে?
    o গোয়ায় হিন্দুদের যে পুত্র সন্তান না হলে দ্বিতীয় বিয়ের অধিকার আছে সেটা বন্ধ হয়ে যাবে? নাকি অন্যেরাও সেই সুযোগ পাবে?
    o উত্তর-পূর্ব ভারতের পাঁচটি রাজ্যের (ত্রিপুরা, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচল প্রদেশের) আদিবাসীরা আয়কর অধিনিয়ম ১৯৬১, ধারা ১০(২৬) অনুয়ায়ী সম্পূর্ণ ছাড় পায়। এবং সংবিধানের ষষ্ঠ সূচীর অন্তর্গত গঠিত জেলা কাউন্সিল এলাকার আদিবাসীদেরও আয়কর দিতে হয় না। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি হলে দিতে হবে?
    o হিন্দু সংযুক্ত পরিবারে (Hindu Undivided Family) আয়কর অধিনিয়ম ধারা ১০(২) অনুয়ায়ী যে ছাড় আছে তা মুসলিম, ক্রিশ্চান বা পার্শি সংযুক্ত পরিবারে নেই। এরপর কি এই ছাড় তুলে দেওয়া হবে? নাকি সবাইকে ছাড় দেওয়া হবে?
    o দক্ষিণ ভারতে মামা-ভাগ্নি এবং মামাতো পিসতুতো ভাইবোনের মধ্যে বিয়ে অত্যন্ত পবিত্র মনে করা হয়। অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পরে এই বিয়েগুলো অবৈধ হবে? নাকি অন্যদেরও অমন বিয়ে করতে হবে?
    o মেঘালয়ে ঘরের ছোট মেয়ে সম্পত্তির বড় অংশ পায়। সেসব বদলে যাবে?

    সুপ্রীম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবি এবং রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিব্বল প্রশ্ন তুলেছেন — প্রধানমন্ত্রী কোন কোন ইস্যুতে ইউনিফর্মিটি চান সেটা দেশের সামনে স্পষ্ট করুন। কোন খসড়া নেই তো বিতর্ক কিসের ভিত্তিতে হবে? কেউ কিছু জানে না, অথচ পক্ষে বিপক্ষে বিতর্ক হচ্ছে!

    এখানে প্রশ্নঃ সত্যিই কি বিজেপির সামনে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে কোন মডেল নেই? ওরা বলছেন আছে; গোয়ায় ইউসিসির সফল প্রয়োগ হয়েছে।

    গোয়ার বিশেষ ইউনিফর্ম সিভিল কোড [9]

    গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাবন্ত গত ১ জুলাই তারিখে বললেনঃ গোয়া ভারতের প্রথম ইউনিফর্ম সিভিল কোড মেনে চলা রাজ্য। যদিও এই রাজ্যে অল্পসংখ্যকের (পড়ুনঃ খ্রিস্টান) প্রতিশত ২৭% , তবু এখানে এই ব্যাপারে কোন অভিযোগ নেই। বিয়ে, সম্পত্তি ও উত্তরাধিকার আইন সবার জন্যে সমান। [10]

    সাবন্ত আরও বললেন যে এই কোড লৈঙ্গিক সাম্য (gender equality) ও অন্যান্য কারণে কেন সম্পূর্ণ দেশে জারি হওয়া আবশ্যক –এটা বুঝিয়ে বলার জন্যে উনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ।
    সুপ্রীম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান ন্যায়াধীশ জাস্টিস ববড়ে বলেছেন যে গোয়ার সিভিল কোড সংবিধান প্রণেতাদের স্বপ্নকে সাকার করেছে। বিয়ে এবং উত্তরাধিকারের বিষয়ে এই আইন ধার্মিক সম্প্রদায় নির্বিশেষে সবার জন্যে সমান।

    তাহলে আমরাও এই আদর্শ মডেলটিকে একটু খুঁটিয়ে দেখি।

    গোয়া আগে পর্তুগালের উপনিবেশ ছিল। তখন ১৮৫০ এর পর্তুগাল সিভিল কোড গোয়ার নাগরিকদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হল। ১৯৬২ সালে গোয়া যখন স্বাধীন ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়ে কেন্দ্রশাসিত রাজ্য হল বা যখন ১৯৮৭ সালে আলাদা রাজ্য হল, তখনও ওই আইনটিতে ভারত সরকার কোন হস্তক্ষেপ করল না। ওখানকার ফ্যামিলি ল’ অপরিবর্তিত রইল।
    তবে ২০১২ এবং ২০২২ সালে গোয়ার উত্তরাধিকার আইনে বেশ কিছু প্রগতিশীল সংশোধন হল।

    আমরা স্বল্প পরিসরে কিছু নির্ণায়ক বিন্দুগুলোকে ছুঁয়ে যাব।

    (১) বিয়ে রেজিস্টার করতে হবে।
    (২) (ক) বিয়ের আগে এবং পরে বর-কনের দুপক্ষের স্বোপার্জিত বা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি যা ছিল , বিয়ের পর তার সংযুক্ত স্বামিত্ব হবে , অর্থাৎ দুজনেই তার মালিক হবে। বিচ্ছেদ হলে দু’পক্ষই অর্ধেক ভাগ পাবে। বিবাহিত স্ত্রী/পুরুষ একে অপরের সম্মতি বিনা সম্পত্তি বেচতে পারবে না। --- এটা কি মনুস্মৃতিকে আদর্শ বিধি মেনে চলা পুরুষেরা, ইউসিসির পক্ষধর হলেও, মেনে নিতে পারবেন? হিন্দু কোড বিলে মেয়েদের সম্পত্তির অধিকার প্রশ্নে গত শতকে কারা সংস্কারের বিরোধিতা করেছিলেন?
    (খ) কিন্তু সংযুক্ত সম্পত্তির তদারকি করবে শুধু স্বামী। সে সম্পত্তির কোন অংশ ভাড়ায় খাটাতে পারবে। এর জন্যে স্ত্রীর অনুমতির দরকার নেই। -- লিঙ্গ সাম্যের যোদ্ধারা কী বলবেন?
    (৩) মেয়ে সম্পত্তির অর্ধেক পাবে। ভাই-বোনের পৈতৃক সম্পত্তিতে সমান অধিকার।
    (৪) গত ২০২২ এর সংশোধনের পরে গোয়ায় মেয়েদের অধিকার কিছুটা এগিয়েছে। পুরুষ মারা গেলে বসতবাটিএবং ঘরের জিনিসপত্রে বিধবার একচ্ছত্র অধিকার। বাকি সম্পত্তি বিধবা এবং অন্যান্য উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সমান ভাগ হবে।
    --এই নিয়ম গোটা দেশে কার্যকরী হলে হিন্দু পুরুষেরা মেনে নেবেন কি?
    (৫) হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের ধারা ১৫ অনুয়ায়ী যদি কোন বিধুর পুরুষ নিঃসন্তান অবস্থায় গত হন এবং উইল না করে থাকেন, তাহলে সেই পুরুষের সম্পত্তির মালিক হবে তাঁর বাবা-মা। কিন্তু নিঃসন্তান বিধবার সম্পত্তি (যদি উইল না করে থাকেন) পাবেন তাঁর শ্বশুর শাশুড়ি, নিজের বাবা-মা নন; সেই সম্পত্তি বিধবার চাকরি করা মাইনের থেকে কেনা হলেও।
    -- এমন কোন নিয়ম গোয়ার আইনে নেই। তা ভারতের মূল ভূখণ্ডের হিন্দু পুরুষ কি ওই সুবিধেগুলো ছাড়তে রাজি?
    (৬) বহুবিবাহ (bigamy and polygamy) নিষিদ্ধ; এটা সবধর্মের ক্ষেত্রেই প্রয়োজ্য। আর তিন তালাকের প্রশ্নই নেই কিন্তু একটা ব্যতিক্রম আছে।

    * কোন হিন্দু পুরুষের স্ত্রী যদি ২১ বছর বয়সেও সন্তানের জন্ম না দেয় বা ৩০ বছর বয়স হলেও পুত্রের (male child) জন্ম না দিতে পারে তাহলে স্বামী দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে পারে।

    উপসংহারঃ

    ভারতে সমান নাগরিক সংহিতা নিয়ে উত্তপ্ত বাদ-বিবাদে জড়িয়ে পড়ার আগে দরকার একবার চোখ মেলে দেখা — বিশ্বের সভ্য দেশগুলো পারিবারিক আইন বলতে (বিয়ে-উত্তরাধিকার-সম্পত্তির ভাগাভাগি) কোন নীতিগুলোকে সাম্য, বিশেষ করে লিঙ্গসাম্যের সহায়ক বলে মেনে নিয়েছে।

    o বহুবিবাহ নয়, একবারে একটিই বিয়ে (monogamy): ভারতে বিয়ের ব্যাপারে রয়েছে আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ বিয়ের আইন -- Special Marriage Act, 1954, যা ধর্ম-জাতির প্রশ্ন না তুলে দুই প্রাপ্তবয়স্ক নারীপুরুষকে স্বেচ্ছায় বিয়ে করে দাম্পত্য জীবন যাপনের অনুমতি দেয়।

    o খোরপোষ (alimony) - এর জন্যে পুরুষের আয় ও জীবনযাপনের স্তরকে আধার মেনে বিচ্ছেদ হওয়া নারীর জন্যে খোরপোষ হেতু দেয় রাশির পরিমাণ ঠিক করা হয়। এর সঙ্গে স্বীকৃত হয়েছে বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখাশোনার জন্যে সন্তানের দায়িত্বের আইন- Parents and Senior Citizens Act, 2007.

    o সম্পত্তির উত্তরাধিকারে ছেলে ও মেয়ের সমান অধিকার (Gender equality in property rights) : এইভাবে প্রায় অধিকাংশ সভ্য এবং উন্নত দেশে আমরা সু-বিচার এবং বিবেক বুদ্ধির প্রতি আস্থাশীল হয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেচি। এই নীতিগুলো কোন ধর্মীয় আচরণবিধি-নির্ভর নয়।

    o তিন-তালাককে বেআইনি ঘোষণা করা (Outlawing Tripple Talaq)
    অনেকগুলো মুসলিমপ্রধান দেশ, যেমন পাকিস্তান, মিশর, তিউনিসিয়া, বাংলাদেশ, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, অনেক আগেই তিন তালাক প্রথাকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। ভারতে ২০১৭ সালে সুপ্রীম কোর্ট তিন তালাক প্রথাকে সংবিধানের মূল ভাবনার পরিপন্থী মেনে বে-আইনী ঘোষণা করেছে।

    উল্লেখনীয় যে এইসব ন্যায়োচিত নাগরিক আইন প্রণয়ন এবং পারিবারিক আইনে সংশোধন করার জন্যে আমাদের দেশে আলাদা করে কোন ইউনিফর্ম সিভিল কোড প্রণয়নের দরকার হয় নি। তাহলে কি বুঝতে হবে আসল এজেন্ডা অন্য?

    হিন্দি প্রবচনে যেমন বলা হয় ‘হাতি কে খানে কে দাঁত অঊর দিখানে কা দাঁত অলগ’। হাতির চিবোনোর দাঁত আর দেখানোর দাঁত আলাদা।

    এইসব পরিপ্রেক্ষিত মাথায় রেখেই সংবিধান প্রণেতাদের বিশেষ প্রতিনিধি বাবাসাহেব আম্বেদকর ভেবেছিলেন যে ইউনিফর্ম সিভিল কোড হওয়া উচিত পূর্ণতঃ ঐচ্ছিক, কোন কেন্দ্রীয় সরকারের একতরফা চাপিয়ে দেওয়া নয়। তাই একে সংবিধানের অধ্যায় তিনে মৌলিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত না করে ডায়রেক্টিভ প্রিন্সিপল বা নীতি-নির্ধারক অধ্যায়ে আর্টিকল ৪৪ এ স্থান দেওয়া হয়েছে।

    এখন দরকার সমস্ত ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে আলাপ আলোচনা, একে অপরকে বোঝা। সৌহার্দ্যের বাতাবরণ নির্মাণ করা। এছাড়া একতরফা প্রচার, কোন একটি সম্প্রদায়কে ক্রমাগত বেয়াড়া এবং অবুঝ বলে দাগিয়ে দেওয়ার ফল হবে বিষময়। তার কিছু নমুনা বর্তমান মণিপুরের সংকটে ফুটে উঠেছে।

    মনে পড়ছে কবি রায়গুণাকর ভারতচন্দ্রের একটি পংক্তি -- “নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়?”

    (শেষ)

    [1] ল’ কমিশনের পাবলিক নোটিস।
    [2] ১৪ জুন, দ্য হিন্দু।
    [3] 15 June, the wire.in.
    [4] ২৭ জুন, ২০২৩, দি হিন্দু।
    [5] 15 June, the wire.in.
    [6] ৬ জুলাই, দি হিন্দু।
    [7] ৪ জুলাই, ২০২৩, আউটলুক।
    [8] ৪ জুন, ২০২৩, আউটলুক।
    [9] ৩ জুলাই, ২০২৩, টাইমস্‌ অফ ইণ্ডিয়া।
    [10] ১ জুলাই, ২০২৩, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ইউসিসি | 117.194.***.*** | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:৫০740743
  • "এইসব ন্যায়োচিত নাগরিক আইন প্রণয়ন এবং পারিবারিক আইনে সংশোধন করার জন্যে আমাদের দেশে আলাদা করে কোন ইউনিফর্ম সিভিল কোড প্রণয়নের দরকার হয় নি।" - এইসব ন্যায়োচিত কাজকর্ম যথা বহুবিবাহ নিষিদ্ধ, খোরপোষের পরিমাণ নির্ধারণ বা সম্পত্তিতে সমানাধিকার এইগুলো আমাদের দেশের সবাই উপভোগ করেন নাকি? এমনকি কোন কোন ধর্মের জন্য আইনে কিছু কিছু বিধান থাকলেও সামাজিক ভাবে সব স্তরে এইগুলো চলে নাকি? 
     
    একজনও যদি ভিশনারি লিডার থাকতেন যিনি সকল রীতিনীতির সারাৎসার নিয়ে কল্যাণকামী উদার একটা নতুন সেকুলার ফ্যামিলি ল তৈরি করতেন আর আদালতের সীমানা থেকে ধর্মের উল্লেখ ব্যান করে দিতে পারতেন! 
  • Amit | 163.116.***.*** | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০১:১২740744
  • রঞ্জন দা কে কপিল সিব্বল র বদলে সুপ্রিম কোর্টে ৩৭০ নিয়ে সওয়াল পাঠানো উচিত ছিল। সিরিয়াসলি দেখছি সিব্বল লিগ্যাল লজিক এর বদলে রাহুল গান্ধীর মত এম্পটি রেটোরিক্স দিয়ে যাচ্ছে একমাস ধরে - ইউটিউব এ কভারেজ দেখতে পারেন। রঞ্জনদা বেটার করতেন  আমি সিওর। :) 
     
    সবক্ষেত্রে একমত হই ​​​​​​​না ​​​​​​​হই - ওনার ​​​​​​​এই পয়েন্ট ​​​​​​​বাই পয়েন্ট ​​​​​​​লেখার ​​​​​​​স্টাইল ​​​​​​​টা ​​​​​​​দারুন লাগে আমার। ​​​​​​​পুরো ​​​​​​​লিগাল ​​​​​​​স্টেটমেন্ট সাজানোর স্টাইল। 
     
    আমার সহমত & কাউন্টার গুলো থাকলো কপি পেস্ট মেরে- 
     
    ১ বিয়ে রেজিস্টার করতে হবে।- 
    - এইটা নিয়ে কোনো দ্বিমত আগেও ছিলোনা - এখনো নেই। ধর্ম নির্বিশেষে সব বিয়ে রেজিস্টার বাধ্যতামূলক করা উচিত। ধর্মীয় বোর্ডের আপত্তি উঠছে কেন এটা নিয়ে আদৌ ? ধর্মীয় রেজিস্ট্রেশন চলুক যেমন চলছে। প্যারালাল এটা থাকলে কার আপত্তি ?কেন ?

    ২ ক)  বিয়ের আগে এবং পরে  বর-কনের দুপক্ষের স্বোপার্জিত বা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি যা ছিল , বিয়ের পর তার সংযুক্ত স্বামিত্ব হবে , অর্থাৎ দুজনেই তার মালিক হবে। বিচ্ছেদ হলে দু’পক্ষই অর্ধেক ভাগ পাবে। বিবাহিত স্ত্রী/পুরুষ একে অপরের সম্মতি বিনা সম্পত্তি বেচতে পারবে না।
    ---এটা কি মনুস্মৃতিকে আদর্শ বিধি মেনে চলা পুরুষেরা, ইউসিসির পক্ষধর হলেও, মেনে নিতে পারবেন? হিন্দু কোড বিলে মেয়েদের সম্পত্তির অধিকার প্রশ্নে গত শতকে কারা সংস্কারের বিরোধিতা করেছিলেন?
     
    - প্রস্তাব তো আসুক। আগেই মেনে নিতে পারবে কিনা জানা যাবে কি করে ? আমার মত তো হলো দুজনেই একুয়াল মালিক হবে। সেটা যে মেজরিটির ওপিনিয়ন নয় জানা যাবে কিভাবে ? আর গত শতকে তো বিদ্যাসাগরের বিধবা বিবাহ আইনকেও অনেকে বিরোধিতা করেছিল। সবাইকে খুশি করতে হলে তো পেছোতে পেছোতে গাছে ফেরত যেতে হবে। 
     
     খ) কিন্তু সংযুক্ত সম্পত্তির তদারকি করবে শুধু স্বামী। সে সম্পত্তির কোন অংশ ভাড়ায় খাটাতে পারবে। এর জন্যে স্ত্রীর অনুমতির দরকার নেই।
       --লিঙ্গ সাম্যের যোদ্ধারা কী বলবেন?
     
    - এটা জানতাম না। অবশ্যই পাল্টানো দরকার। মালিক স্বামী স্ত্রী দুজন হলে অধিকার টাও একুয়াল হওয়া উচিত। তবে যেটা বুঝতে পারছিনা  প্রপার্টি পেপারস এ দুজনের সাইন থাকলে ভাড়া খাটানোর বেলায় শুধু স্বামীর সাইন এ কাজ হয় কিভাবে ?

    ৩ মেয়ে সম্পত্তির অর্ধেক পাবে। ভাই-বোনের পৈতৃক সম্পত্তিতে সমান অধিকার।
     
    - এটা নিয়েও কোনো দ্বিমত ছিলনা -এখনো নেই। যদি উইল না থাকে - তাহলে স্বামী বা স্ত্রী একজন মারা গেলে অন্যজন র সমস্ত অধিকার বাই ডিফল্ট। যদি দুজনেই মারা যান সেক্ষেত্রে ছেলেমেয়েদের মধ্যে একুয়াল ভাগ হবে। ছেলেমেয়ে না থাকলে তখন নেক্সট অফ কিন্। 
     
    তবে কেউ উইল করে যদি কোনো ছেলেমেয়েকে আলাদা কিছু দিয়ে যান সেক্ষেত্রে অন্য কেস। সেটা তার নিজের অধিকারের মধ্যে পরে। 
     
    যদিও অন্য সাবজেক্ট - আমার মত হল বিয়ের পন দেওয়া নেওয়া দুটোকেই পুরোপুরি নন-বেলেবল ক্রিমিনাল কোডে ফেলা হোক। মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখেছি বিয়েতে দেওয়া পন নিয়ে পরে ভাইদের সাথে ঝামেলা বাঁধতে বাবামার সম্পত্তির ভাগ দেওয়া নিয়ে।  
     
    ইন ফ্যাক্ট এই বিয়ের পরে মেয়েদের শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার প্রথাটাই এলিমিনেট করা দরকার। ছেলেমেয়ে এডাল্ট হলে নিজে টাকা জমিয়ে নিজে পছন্দ করে তারপর  বিয়ে করুক। নিজেরা আলাদা বাড়ি কিনে থাকুক। নাহলে বিয়ে করার দরকার নেই। ৯০-% বিয়ের ঝামেলা আসে শ্বশুরবাড়ি থেকে। 

    ৪  গত ২০২২ এর সংশোধনের পরে গোয়ায় মেয়েদের অধিকার কিছুটা এগিয়েছে। পুরুষ মারা গেলে বসতবাটিএবং ঘরের জিনিসপত্রে বিধবার একচ্ছত্র অধিকার। বাকি সম্পত্তি বিধবা এবং অন্যান্য উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সমান ভাগ হবে।  
    --এই নিয়ম গোটা দেশে কার্যকরী হলে হিন্দু পুরুষেরা মেনে নেবেন কি?
     
    - আরে প্রস্তাব তো আসুক। আগে থেকে কিভাবে ধরে নেওয়া হচ্ছে মেনে নেওয়া হবেনা ? আর এতো স্থাবর অস্থাবর ঝামেলার দরকার কি ? আগে যা লিখলাম স্বামী স্ত্রী একজন মারা গেলে অন্যজন র সব পাওয়া উচিত। 

    ৫  হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের ধারা ১৫ অনুয়ায়ী যদি কোন বিধুর পুরুষ নিঃসন্তান অবস্থায় গত হন এবং উইল না করে থাকেন, তাহলে সেই পুরুষের সম্পত্তির মালিক হবে তাঁর বাবা-মা। কিন্তু নিঃসন্তান বিধবার সম্পত্তি (যদি উইল না করে থাকেন) পাবেন তাঁর শ্বশুর শাশুড়ি, নিজের বাবা-মা নন; সেই সম্পত্তি বিধবার চাকরি করা মাইনের থেকে কেনা হলেও।
      --এমন কোন নিয়ম গোয়ার আইনে নেই। তা ভারতের মূল ভূখণ্ডের হিন্দু পুরুষ কি ওই সুবিধেগুলো ছাড়তে রাজি?
     
    - গোয়ার আইন টা বেটার। এক্ষেত্রে প্রথম অধিকার স্ত্রী বা স্বামীর থাকা উচিত  আমার মত। 

    ৬ বহুবিবাহ (bigamy and polygamy) নিষিদ্ধ; এটা সবধর্মের ক্ষেত্রেই প্রয়োজ্য। আর তিন তালাকের প্রশ্নই নেই  কিন্তু একটা ব্যতিক্রম আছে।
     
    - এইটা নিয়ে আগেও দ্বিমত ছিলনা - এখনো নেই। কাদের আছে আপনিও জানেন। :)  
     
    আর গোয়ার এই রিগ্রেসিভ আইনটা - "কোন হিন্দু পুরুষের স্ত্রী যদি ২১ বছর বয়সেও সন্তানের জন্ম না দেয় বা ৩০ বছর বয়স হলেও পুত্রের (male child) জন্ম না দিতে পারে তাহলে স্বামী দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে পারে।"- অতি অবশ্যই পাল্টানো উচিত। বনিবনা না হলে ডিভোর্স হোক- তারপর অন্য বিয়ে করুক। 
     
  • Ranjan Roy | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:৫৭740746
  • অমিতের সঙ্গে ৯০% সহমত।
     বাকি ১০%?
    ১ বিয়ের পদ্ধতি কী হবে? মামা-ভাগ্নিতে বিয়ে হবে? বাবা মামাতো পিসতুতো ভাইবোনের মধ্যে? 
    ২ যদি বলেন কোন ধর্মীয় পদ্ধতি ছাড়া আইন করে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ তাহলে বলব স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট তো আছেই হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট পাস হওয়ার আগে থেকেই। তার জন্যে আলাদা করে ইউসিসির কী দরকার?
    ৩ আর সুশীল মোদী কেন সিক্সথ শিডিউলের আদিবাসীদের ছাড় দেওয়ার কথা বলছেন? তাহলে আর ইউনিফর্ম কী করে হল?
    ৪ আমার মত -সম্প্রদায় নির্বিশেষে সবাইকে আগে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে বিয়ে  রেজিস্ট্রি করতে হবে। তারপর বর কনে তাদের পছন্দ বা ইচ্ছে অনুযায়ী কোন ধর্মীয় বা সামাজিক অনুষ্ঠান করবে। 
     
  • Ranjan Roy | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:০৬740747
  • সংশোধনঃ
    ১ নম্বরে "বাবা"র জায়গায় শুধু 'বা' পড়তে হবে। 
  • Ranjan Roy | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:১৪740748
  • @ ইউসিসি
     
    আমরা চাইলেও সামাজিক স্ফিয়ারে ধর্মের ভূমিকা খারিজ করতে পারি না।
    তাই বিদ্যাসাগর বিধবা বিবাহ আইন পাশ করানোর পরে একশ বছরের বেশি সময়েও বিধবা বিবাহ সামাজিক অনুমোদন পায় নি। এতদিনে, এই একুশ শতাব্দীতে ব্যাপারটা সহজ হয়েছে।
    বাল্য বিবাহ এখনও আইনকে কলা দেখিয়ে গ্রামাঞ্চলে প্রতি বছর হচ্ছে।
     দরকার ধর্মের নামে মহিলা বিরোধী সামাজিক প্রথাগুলোর কুফল নিয়ে ব্যাপক আন্দোলন  এবং নিজেদের মধ্যে বার্তালাপ।
    আমার তেলেগু সহকর্মীর বিয়ে দেওয়া হয়েছিল মামাতো বোনের সঙ্গে ওর ইচ্ছের বিরুদ্ধে। 
      এটা উত্তর ভারতে হলে খপ পঞ্চায়েতের বিচারে কয়েকটি প্রাণ যেত। 
     
    দরকার, যেমন আগের ল' কমিশন বলেছেন-- নতুন আইন না করে প্রত্যেক কমিউনিটি আগে নিজেদের মধ্যে আচার আচরণের ভিন্নতা নিয়ে একমত হোক।
    এখানে মেয়েদের সক্ষমতা বৃদ্ধিও অনেক বড় পজিটিভ ভূমিকা নিচ্ছে। 
    ধৈর্য এবং আলাপ আলোচনা বিনে কোন শর্টকাট সমাধান তো দেখছি না।
  • Amit | 163.116.***.*** | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:৩০740749
  • পদ্ধতি বা এক্ট নিয়ে আলাদা করে আমার কোনো ওপিনিয়ন নেই। আমি পিউরলি ​​​​​​​রেকর্ড ​​​​​​​কিপিং ​​​​​​​পারপাস ​​​​​​​থেকে ​​​​​​​জন্ম ​​​​​​​মৃত্যু ​​​​​​​বিয়ে ডিভোর্স থেকে তাজ্যপুত্তুর করা - সবকিছুর ​​​​প্রপার ​সেন্ট্রালাইজড রেজিস্ট্রেশন ​​​​​​​হোক সেটাই ​​​​​​​চাই। ​​​​​​​কারণ ​​​​​​​এর ​​​​​​​সাথে ​​​​​​​প্রপার্টি বা ​​​​​​​ইনহেরিটেন্স ​​​​​​​থেকে সমস্ত রকমের  ​​​​​​​লিগ্যাল ​​​​​​​সমস্যা ​​​​​​​অথবা সরকারি ডকুমেন্টস ইস্যু থেকে নানা স্কিম এ সাবসিডি - জড়িয়ে ​​​​​​​আছে। রেকর্ড ​​​​​​​কিপিং যত ​​​​​​​বেটার ​​​​​​​হবে - লিগ্যাল ​​​​​​​ঝামেলা ​​​​​​​বা ​​​​​​​কোরাপশন ​​​​​​​স্কোপ ​​​​​​​তত ​​​​​​​কম ​​​​​​​হবে। এবার সেটাকে স্পেশাল ​​​​​​​ম্যারেজ ​​​​​​​এক্ট ​​​​​​​বলা ​​​​​​​হোক ​​​​​​​বা ​​​​​​​ইন্ডিয়ান ​​​​​​​ম্যারেজ ​​​​​​​এক্ট ​​​​​​​যা ​​​​​​​খুশি। ​​​​​​​তার ​​​​​​​সাথে ​​​​​​​ধর্মীয় ​​​​​​​আচারের ​​​​​​​আমি কোনো ​​​​​​​বিরোধ ​​​​​​​দেখিনা। 
     
    যে কারণেই হোক কারেন্ট স্পেশাল ​​​​​​​মারেজ এক্ট নিয়ে ​​​​​​​লোকের ​​​​​​​ধারণা ​​​​​​​হয়ে ​​​​​​​গেছে ​​​​​​​এইটা ইন্টারফেইথ ​​​​​​​বইয়ের ​​​​​​​জন্যেই ​​​​​​​করে ​​​​​​​লোকে। ​​​​​​​সবাই ​​​​​​​সেটা করতে ​​​​​​​চাইবেন ​​​​​​​কেন ? বরং ​​​​​​​আলাদা ​​​​​​​করে ​​​​​​​একটা ​​​​​​​ইউনিফর্ম ​​​​​​​আইন ​​​​​​​আনলে ​​​​​​​লোকে ​​​​​​​ম্যারেজ ​​​​​​​রেজিস্ট্রেশন ​​​​​​​এর ​​​​​​​দরকারটা ​​​​​​​বুঝবে। ​​​​​​​আর বিয়ের ​​​​​​​আগে ​​​​​​​​​​​​​​সবাই ​​​​​​​কি ইনহেরিটেন্স ​​​​​​​আইন ​​​​​​​নিয়ে ​​​​​​​জেনে ​​​​​​​আসে ? আমি ​​​​​​​তো ​​​​​​​কিচ্ছু ​​​​​​​জানতাম ​​​​​​​না। তাহলে ​​​​​​​কেউ ​​​​​​​ ​​​​​​​উইল ​​​​​​​না ​​​​​​​করে ​​​​​​​হটাৎ ​​​​​​​মারা ​​​​​​​গেলে তার ​​​​​​​পার্টনার ​​​​​​​কেন ​​​​​​​একটা ​​​​​​​ইউনিফর্ম ​​​​​​​ইনহেরিটেন্স ​​​​​​​আইন ​​​​​​​এর ​​​​​​​সুবিধা ​​​​​​​পাবেনা ? কেন ​​​​​​​এখনকার ​​​​​​​মতো ​​​​​​​তাঁকে ধর্মীয় ​​​​​​​ইনহেরিটেন্স ​​​​​​​আইন ​​​​​​​মেনে ​​​​​​​চলতে ​​​​​​​হবে ? বরং ​​​​​​​এটাই ​​​​​​​তো ​​​​​​​হওয়া ​​​​​​​উচিত ​​​​​​​যে ​​​​​​​বাই ​​​​​​​ডিফল্ট ​​​​​​​সবার ​​​​​​​ইউনিফর্ম ​​​​​​​ইনহেরিটেন্স ​​​​​​​আইন ​​​​​​​এর ​​​​​​​আওতায় আসা ​​​​​​​​​​​উচিত। ​​​​​​​এবার কেও ​​​​​​​যদি ​​​​​​​সেটা ​​​​​​​পছন্দ ​​​​​​​না ​​​​​​​করেন, তিনি ধর্মীয় আইন ই পছন্দ করেন  সেক্ষেত্রে ​​​​​​​তিনি ​​​​​​​নিজে​​​​​​​র ​​​​​​​সিদ্ধান্ত ​​​​​​​নিজে ​​​​​​​নিতে ​​​​​​​পারেন ​​​​​​​তখন ​​​​​​​তিনি ​​​​​​​কি ​​​​​​​করবেন আর আদালতে মুচলেকা দিতে পারেন। সিম্পল। ​​​​​​​কাওকে ​​​​​​​জোরাজুরি ​​​​​​​করার ​​​​​​​ব্যাপার ​​​​​​​নেই। ​​​​​​​
     
    সুশীল ​​​​​​​মোদির ​​​​​​​ভার্সন ​​​​​​​টাই ​​​​​​​নিশ্চয় ​​​​​​​ফাইনাল ​​​​​​​নয়। ​​​​​​​আদিবাসীদের ​​​​​​​ক্ষেত্রেও পলিগ্যামি ​​​​​​​বা মেয়েদের সম্পত্তির অধিকার কেন ​​​​​​​ছাড় ​​​​​​​দেওয়া ​​​​​​​হবে ? কোনো প্র্যাক্টিস কয়েকশো ​​​​​​​বছর ​​​​​​​ধরে ​​​​​​​চলে ​​​​​​​আসছে ​​​​​​​বলেই ​​​​​​​কি ​​​​​​​সেগুলো ​​​​​​​চিরকাল ​​​​​​​চালাতে ​​​​​​​হবে ​​​​​​​কেন ? যদি ​​​​​​​সেসব ​​​​​​​নিয়ে ওপিনিয়ন ​​​​​​​চাওয়া ​​​​​​​হয় ​​​​​​​সেটাই ​​​​​​​বলবো। 
     
    ​​​​সাউথে মামা ভাগ্নিতে বিয়ে হয় নিজেই দেখেছি। অতি ফালতু ঘৃণ্য প্রথা। সেটা করার মেন্ কারণ টাই হলো যাতে বিয়ের পণ র টাকাটা নিজেদের ফ্যামিলির মধ্যেই ঘোরাফেরা করে। সত্যি বলতে ইন্ডিয়ার বিয়ের অনেক কালচার বা প্রথা গুলো দেখলে নিজেদের আর সভ্য বলা যায়না। পণ নিয়ে আমার মত টা ওপরেই লিখেছি। 
  • Amit | 163.116.***.*** | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:৪০740750
  • আপনি সামাজিক আন্দোলন বা সোশ্যাল awareness আর লিগ্যাল সিস্টেম দুটোকে মিশিয়ে ফেলছেন। যুগ এগোনোর সাথে সাথে , সোশ্যাল ইকুয়ালিটির স্বার্থে আইন আপডেট করা দরকার। সবক্ষেত্রে কবে ১০০-% সোশ্যাল awareness এচিভড হবে তার জন্য অনন্তকাল অপেক্ষা করা যায়না। সামাজিক আন্দোলন পাশাপাশি ​​​​​​​চলা ​​​​​​​দরকার- ১০০-% এগ্রিড। ​​​​​​​কিন্তু ​​​​​​​সেইটাই ​​​​​​​একমাত্র ​​​​​​​বেঞ্চমার্ক ​​​​​​​হতে ​​​​​​​পারেনা। 
     
    তাহলে সেকশন ৪৯৮ চালু করা হলো কেন ? আপনার এই লজিকটা মানলে যতদিন না বৌ পেটানোর এগেনস্ট এ সব্বার চিত্ত জাগ্রত হচ্ছে ততদিন সরকারের হাত গুটিয়ে বসে থাকা উচিত ছিল ? 
  • Ranjan Roy | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৩১740751
  • অমিত,
    ১ 
    "তাহলে সেকশন ৪৯৮ চালু করা হলো কেন ? আপনার এই লজিকটা মানলে যতদিন না বৌ পেটানোর এগেনস্ট এ সব্বার চিত্ত জাগ্রত হচ্ছে ততদিন সরকারের হাত গুটিয়ে বসে থাকা উচিত ছিল" ? 
      --আবার গোড়ায় গলদ। ওটা সিভিল আইন নয়, ক্রিমিনাল ল' ভারতীয় দণ্ডবিধির সেকশন ৪৯৮। ক্রিমিনাল ল, ipso facto,  সবার জন্যেই সমান বা ইউনিফর্ম। আমরা কথা বলছি ইউনিফর্ম সিভিল কোড বা সমান আচার বিধি নিয়ে। 
       
      আপনি সামাজিক আন্দোলন বা সোশ্যাল awareness আর লিগ্যাল সিস্টেম দুটোকে মিশিয়ে ফেলছেন"।
       
      ---আমার লেখা থেকেঃ
      "ভারতীয় নাগরিক সংহিতার (Indian Civil Code) সিংহভাগ—  সমস্ত নাগরিকের জন্যে সমান, জাতিধর্ম নির্বিশেষে।  
      তাহলে কোনগুলো আলাদা? শুধু মাত্র পারিবারিক আইন বা ফ্যামিলি ল’। অর্থাৎ সমস্ত জাতি বা ধার্মিক সম্প্রদায়ের বিয়ে, সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা, দত্তক নেওয়া এবং উত্তরাধিকারের আইন।
       
      এই ব্যাপারগুলো সামাজিক সম্মতি ছাড়া কি পরিবর্তন করা সম্ভব? ১০০% অবশ্যই নয়, কিন্তু একটা ক্রিটিকাল মাস? 
      আর প্রশ্ন হল তার জন্যে একটা গাবদা আইন  এবং একগাদা এক্সেপসন পাশ করানোর চাইতে মূল আইন গুলো যেমন হিন্দু বিয়ে  ও উত্তরাধিকার, মুস্লিম বিয়ে /উত্তরাধিকার আইনে সংশোধন করলেই তো চুকে যায়। 
       
      ৩  "সাউথে মামা ভাগ্নিতে বিয়ে হয় নিজেই দেখেছি। অতি ফালতু ঘৃণ্য প্রথা।"
      -- এই পরিবারের বেশির ভাগই উচ্চশিক্ষিত, বিয়েতে পণ নেই এবং একটা বড় অংশ এখন আমেরিকায় প্রবাসী।
      কিন্তু তুমি কি ওদের বোঝাতে পারবে যে এটা 'ঘৃণ্য"? 
      আবার অন্য জাতের মধ্যে বিয়ে খপ পঞ্চায়েতের চোখে ঘৃণ্য। ওদের বোঝাতে পারবে যে ওর মধ্যে ঘৃণ্য কিছুই নেই? 
      \
      --দেখতেই পাচ্ছ,  হিন্দুদের মধ্যেই আচার আচরণে বৈচিত্র্য/ভিন্নতা বেশি। আগে দরকার হিন্দু আইনে ইউনিফর্মিটি আনা, তেমনই মুসলিমদের শিয়া/সুন্নি বিয়ে সম্পত্তির ব্যবহারে ইউনিফর্মিটি আনা--তারপরে তো গোটা দেশে। চৌহান ল কমিশন ঠিক এই জায়গাটাই ধরেছিলেন।
       
      আসলে ইস্যুটা  রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। জনমানসে চারিয়ে দেওয়া যে মেজরিটারিয়ান পলিটিক্স অনুয়ায়ী ৮০% হিন্দুর দেশে হিন্দু আইনটাই সবার আইন হবে। 
    • Amit | 163.116.***.*** | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:০৯740752
    • আপনাকে নিয়ে আর পারিনা। ৪৯৮ টা জাস্ট একটা জেনারেল উদা দিয়েছিলাম। সেটাতে আপনি ক্রিমিনাল আর সিভিল কোডের তফাৎ বোঝাতে ব্যস্ত হয়ে গ্যালেন। আসল পয়েন্ট টা হলো বৌ পেটানোটা এখনো ইন্ডিয়ার বেশির ভাগ লোক অপরাধ বলেই মনে করেনা - ইনক্লুডিং মহিলাদের একটা বড়ো অংশ যারা নিজেরা সাফার করেন। সেক্ষেত্রে আইন কি তথাকথিত ক্রিটিকাল মাস এর awareness আসা অব্দি অপেক্ষা করা উচিত ছিল ? 
       
      বা আপনার নিজের ০৭:১৪ উদা টাই ন্যান। বিধবা বিবাহ আইন যেটা ব্রিটিশরা এনেছিল যেটা আমি অতি সদর্থক স্টেপ মনে করি। আপনি যে বলছেন আজকে একুশ শতাব্দীতে ব্যাপারটা সহজ হয়েছে  বা সামাজিক অনুমোদন পাচ্ছে - আইনটা না আনলে আজকেও সেটার অনুমোদন পেতোনা। অথবা শুন্য থেকে শুরু করতে হতো আবার একুশ শতাব্দীতে। প্রতিটা বেবি স্টেপ কাউন্টস। 
       
      আর যে ক্রিটিকাল মাস এর কথা বলছেন - রেফারেন্ডাম নাহলে সেটা জানা যাবে কিভাবে ? তিন তালাক রায় আসার আগে মৌলবাদী সংগঠন গুলো চাদ্দিকে প্রোটেস্ট করে বেড়াচ্ছিল আদালতে বিষয়টা টেনে নিয়ে যাওয়ার এগেনস্ট এ (পব র প্রিয় পিসির দলের মাথারা ফোরফ্রন্টে ছিল ভুলবেন না - জেলবন্দি পাত্থ  চাটুজ্জের কথা মনে করে দ্যাখেন ?) - তো সেখানে যারা তীন তালাকের আসল ভিক্টিম - সেই মহিলাদের ক্রিটিকাল মাস এর ওপিনিয়ন জানার কোনো উপায় ছিল সেই ক্যাকোফোনির মধ্যে ? থাকলে জানাবেন। 
       
      আমার কাছে সোশ্যাল একোয়ালিটির বেসিসে সরকার আইন আনতে চাইলে তথাকথিত মাথাদের অনুমোদন থাকলে ভালো - না থাকলেও করা উচিত। বিদ্যাসাগর যেটা করেছিলেন ধর্মের যুক্তি দিয়ে বিরোধীদের কাউন্টার করা - সেটা হলে ক্ষতি নেই। কিন্তু সেটা না হলেও কিছু আসে যায়না। মানুষের অধিকার ধর্মের আগে। 
       
      "আসলে ইস্যুটা  রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। জনমানসে চারিয়ে দেওয়া যে মেজরিটারিয়ান পলিটিক্স অনুয়ায়ী ৮০% হিন্দুর দেশে হিন্দু আইনটাই সবার আইন হবে। "- পুরো ড্রাফট না দেখে আগে থেকেই এই স্ট্যান্ড টা নেওয়া টাও একটা অন্ধ বিশ্বাস। 
       
      হ্যা - মামা ভাগ্নির বিয়ে আমার নিজের কাছে ঘৃণ্য লাগে। কাজিন দের মধ্যে বিয়েও ঘৃণ্য লাগে। খাপ পঞ্চায়েত থেকে যেভাবে জাতপাতের হিসেবে বিয়ে দেওয়া হয় সেটাও ঘৃণ্য লাগে। কিন্তু গোটা নর্থ সাউথের লোককে বোঝাতে যাওয়ার দায় তো আমার নয়। 
       
      আর এসব ক্ষেত্রে  প্রেমজ বিয়ে হলে কার কি বা বলার আছে ? তাহলে সত্যজিৎ রায় বিজয়া রায়ের বিয়ে নিয়েও তো কোশ্নো তুলতে হয় ? আপনি তুলবেন ? 
    • Ranjan Roy | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:২৬740755
    • তোমার কথার মূল সুরের সঙ্গে আমার কোন বিরোধ নেই।
      তফাৎ শুধু এই দুটো জায়গায়।
      ১  শুধু বৌ পেটানো? ঘুষ খাওয়াকেও অধিকাংশ ভারতবাসী তেমন কোন অপরাধ বলে মনে করে না। কিন্তু দুটোতেই জেলে পোরার আইন রয়েছে।
      কেন? কারণ ক্রিমিনাল অ্যাক্ট হল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যক্তির অপরাধ। এখানে একজন ব্যক্তি কাজটাকে ভাল কি মন্দ ভাবে সেটা গৌণ। 
       
      ২ 
       ক্রিমিনাল আর সিভিল কোডের মধ্যে ফারাক করাটা আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে জরুরি।চলবে  না,
       ক্রিমিনাোল  কোড হল নিষেধাত্মক, অমুক কাজ --'চলবে  না,চলবে  না'। 
      সেই পরশুরামের -- 'এ সাহেব অ , ওপাকে যিব তো ডন্ডা খিব'  ব্যাপার। 
       
       
      আর বিধবা বিবাহের মত  সিভিল কোড হল প্রেস্ক্রিপ্টিভ। কোন বিধবা যদি বিয়ে করতে চান, তো কোন বাধা নেই। আর যদি না চান, তাহলেও কার কিছু বলার নেই। এর উদ্দেশ্য ব্যক্তির স্বাধিকারের ক্ষেত্র বাড়িয়ে দেয়া। 
       
      প্রেমজ বিয়ে, (উদাহরণ সত্যজিত - বিজয়া) ব্যক্তিগত ব্যাপার, ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির সম্পর্কের ব্যাপার। এখানে যাদের অপছন্দ তারা ওই যুগলকে বয়কট করতে পারে, সম্পর্কছেদ করতে পারে। কিন্তু তাদের শারীরিক নিগ্রহ করতে পারে না। 
        
      তুমি বলছ "আর এসব ক্ষেত্রে  প্রেমজ বিয়ে হলে কার কি বা বলার আছে ? "
      --একদম ঠিক । কিন্তু ইউসিসি তো এই ব্যক্তিগত জায়গাগুলোতেই হস্তক্ষেপ করতে চাইছে। বিয়ে এবং নারীপুরুষ সম্পর্ক যদি সবার জন্যে ইউনিফর্ম হয় তাহলে  ভবিষ্যতে সত্যজিতের মত প্রেমজ বিয়েও বে-আইনি হবে।
       
      ৩ মোট কথা, এর জন্যে হিন্দু এবং মুসলিম ম্যারেজ ও উত্তরাধিকার আইনে আবশ্যিক সংশোধন করাই যথেষ্ট, যেমন তিন তালাকের ক্ষেত্রে হয়েছে। হিন্দু আইনে মেয়েদের উত্ত্রাধিকার নিয়ে হয়েছে। এর জন্যে আলাদা করে ঢাক ঢোল পিটিয়ে ইউসিসি করা অনাব্শ্যক। 
      এটাই চৌহান ল' কমিশনের বক্তব্য। 
       
      আসল এজেন্ডা অন্য।
       সবাইকে মেসেজ দেয়া যে হিন্দুস্থানে থাকতে হলে একইভাবে চলতে হবে, পোশাক আশাক, খাওয়াদাওয়া, রীতিনীতিতে নিজেদের আলাদা করে জাহির করা চলবে না। 
      অমর্ত্য সেন যেটা বলেছেন--এটা হিন্দুরাষ্ট্র বানানোর এজেন্ডা, আর কিছু নয়।
    • Amit | 163.116.***.*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০:৪৬740756
    • সবসময় ক্রিমিনাল কোড আর সিভিল কোডের মধ্যে তফাৎ করাটা সহজ নয়। ওয়ান সাইজ ফিটস অল আইন তো নয়ই। দেশে দেশে ও অনেক তফাৎ আছে। আপনি অনেক ভালো জানবেন। ইন্ডিয়াতে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করলে পরে ঝামেলা হলে রেপ চার্জ আনা যায় যেটা ক্রিমিনাল কোড এ পড়ে। অমি যে দেশে আছি সেখানে কিন্তু এই ধরণের চার্জ আনা যায়না  যদি দুজনেই এডাল্ট হয়। কিন্তু এখানে আবার ম্যারিটাল রেপ চার্জ আনা যায় যেটা আবার ইন্ডিয়াতে আনা যায়না। আর এসব চার্জেও সবসময় ক্রিমিনাল কোড লাগানো হয়না। ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স বা ম্যারিটাল রেপ চার্জ কিছু ক্ষেত্রে সিভিল কোর্টে যায়। ফিজিক্যাল এসল্ট ​​​​​​​হলে ​​​​​​​তখন ক্রিমিনাল ​​​​​​​চার্জ। 
       
      এটাও জানবেন নিশ্চয় যে রিসেন্টলি ​​​​​​ইন্ডিয়ায় ​কোর্ট রুলিং এসেছে ​​​​​​​সেকশন ​​​​​​​৪৯৮ ​​​​​​​লাগানো ​​​​​​​হলেই ​​​​​​​যেন শ্বশুরবাড়ীর লোকজনকে ​​​​​​​এরেস্ট ​​​​​​​না ​​​​​​​করা ​​​​​​​হয়। ​​​​​​​কারণ ​​​​​​​কোর্ট ​​​​​​​কিছু কিছু ​​​​​​​ক্ষেত্রে ​​​​​​​মিসইউস অবজার্ভ ​​​​​​​করেছে। 
       
      তাই আপনি যে বললেন "ক্রিমিনাোল  কোড হল নিষেধাত্মক, অমুক কাজ --'চলবে  না,চলবে  না'। "- সবসময় এতটা সরল রেখায় চলেনা আইন। 
       
      এটাও বুঝলাম না যে আপনি বললেন "কিন্তু ইউসিসি তো এই ব্যক্তিগত জায়গাগুলোতেই হস্তক্ষেপ করতে চাইছে"। যদ্দুর জানি হিন্দু ম্যারেজ এক্ট অলরেডি কিছু সম্পর্ক নিষিদ্ধ আওতায় পড়ে। কিন্তু প্রস্তাবিত ইউসিসি র কোনো ড্রাফট কি দেখেছেন যেখানে সেগুলো  সমস্ত বাকি ধর্মের ওপর চাপানো হচ্ছে ? নাকি স্পেকুলেশন ? 
       
       
    • মতামত দিন
    • বিষয়বস্তু*:
    • কি, কেন, ইত্যাদি
    • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
    • আমাদের কথা
    • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
    • বুলবুলভাজা
    • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
    • হরিদাস পালেরা
    • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
    • টইপত্তর
    • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
    • ভাটিয়া৯
    • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
    গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


    মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
    পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন