এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • এক দেশপ্রেমিকের খোলা চিঠি

    ranjan roy
    অন্যান্য | ০৪ মার্চ ২০১৬ | ১৩৮১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 24.96.***.*** | ০৪ মার্চ ২০১৬ ১৪:৩৮703373
  • মাননীয় ন্যায়মূর্তি প্রতিভারানী মহোদয়া,
    পাতিয়ালা কোর্ট,
    নিউ দিল্লি
    ---------
    আদরণীয় মহোদয়া,
    আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিয়ে এই চিঠিটি শুরু করছি। গতকাল আপনার মহামান্য আদালতে একটি বেইল পিটিশনের রায়ের কিছু নির্বাচিত অংশ বিভিন্ন চ্যানেল ও সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পেরে আমি আনন্দিত ও গর্বিত।
    হ্যাঁ, জে এন ইউ নামক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের অধ্যক্ষ জনৈক কানহাইয়া কুমারের বেইল আপনি মঞ্জুর করেছেন এবং শুধু তাই নয়, ওর মা'র তথা পরিবারের মাসিক আয় ৩০০০ টাকা জেনে আপনি ওর জামিনের রাশি মাত্র ১০,০০০ টাকা ধার্য করেছেন এবং সেই টাকা ওর পক্ষাঘাত গ্রস্ত বাবা বা অঙ্গনবাড়ি কর্মী মা'র বদলে ওর অধ্যাপকদের দিতে বলেছেন-- এতে আপনার সহৃদয়তা ও সংবেধনশীলতা প্রকাশ পেয়েছে। আমি বুঝতে পেরেছি যে ন্যায়ের দেবীর চোখ কালো কাপড়ে বাঁধা থাকলেও বিচারকদের চোখ খোলা এবং দৃষ্টি সূদুরপ্রসারী।
    আমি গর্বিত ও আনন্দিত আরও এই জন্যে যে ওই রায়ে আপনি আমাদের দেশের সীমান্তে অতন্দ্রপ্রহরী সৈনিকদের প্রশংসা করেছেন। আমার বাবা স্বর্গীয় সলিলকুমার রায় ছিলেন ওই সৈনিকদের একজন। না, নামকরা কেউ নন, উনি ছিলেন ল্যান্সনায়েক এবং হিন্দুপুরের আর্মি স্কুল থেকে বৃটিশ জমানায় পাশ করা একজন অ্যাক অ্যাক গান টেকনিশিয়ান।
    কিন্তু উনি ১৯৪৯ এ যখন পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী কাশ্মীর সীমান্তে অনুপ্রবেশ করল তখন ছুটির মাঝখানেই ফিরে এসে সীমান্তে লড়তে যেতে আবেদন করলেন। সেই আবেদন মঞ্জুর হল। কোন বীরচক্র পান নি বটে, ছোটখাতো কিছু পেয়েছিলেন।
    কিন্তু উনি একই সঙ্গে মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তচিন্তার পূজারী(Votary) ছিলেন। এম এন রায়ের "ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইন্ডিয়া" নামের পত্রিকা কিনে পড়তেন।
    উনি আমাকে শিখিয়েছিলেন বিবেক সায় না দিলে অথরিটিকে কোশ্চেন করতে। উনি করেছিলেন। ওঁর অসীম ভরসা ছিল বহুত্বের মধ্যে ঐক্যের নীতির ওপর, দেশের লোকজনের কর্মক্ষমতার ওপর। নিজে বলতেন যে শুধু সীমান্তের সজাগ প্রহরীরাই দেশপ্রেমিক নয়, দেশে নিয়মনিষ্ঠ ভাবে কর্তব্য করছেন যে শিক্ষকরা, বা ফসল ফলাচ্ছে যে চাষীরা, বা কারখানায় কাজ করছে যে নাগরিকেরা, বা আদালতে ন্যায়ের প্রহরী বিচারকেরা সবাই সমান দেশপ্রেমিক। কেউ বেশি বা কেউ কম দেশপ্রেমিক হয় না।
    আর আগেও কেউ কেউ দেশের থেকে আলাদা হয়ে স্বায়ত্তশাসনের কথা বলেছেন। যেমন রামস্বামী পেরিয়ার দাক্ষিণাত্যকে আলাদা দেশ করতে চেয়েছিলেন, সংসদে প্রস্তাব রেখেছিলেন। তাতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নেহেরু বিচলিত হন নি বা ওর মুখবন্ধ করতে চান নি। পেনিসিলিন বা অ্যামপুট করতেও চান নি।
    আমি নিশ্চিত বাবা আজ জীবিত থাকলে জে এন ইউতে তিনটে ছেলের শ্লোগান দেওয়ায় দেশ বিপন্ন বা খন্ডিত হতে পারে শুনলে হো-হো করে হাসতেন।
    বলতেন আমাদের দেশ এত ফ্র্যাজাইল নয়।
    সেই দেশপ্রেমিক সৈনিকের ছেলে আমি আপনাকে নতমস্তকে তিনাটি প্রশ্ন করতে চাইছি--
    -১) যে তিনটি ডক্টরড ভিডিও দিয়ে এত ঘৃণা এত হিংসা ছড়ানো হল, যে গুলো আপনার আদালতে এভিডেন্স হিসেবে পেশ করা হল,আপনার রায়ে সেগুলো নিয়ে কোন টিপ্পনী নেই কেন? কারা এসব করে দেশের মধ্যে অশান্তি ফেলাতে চাইছে?
    ২) পাতিয়ালা কোর্টের কক্ষে ক্ছু লোক উকিল বা অন্য, পুলিশের সামনে বিচারাধীন বন্দীকে বেধড়ক ঠ্যাঙালো -- এই ভাবে যে নিজেদের হাতে আইন তুলে নেওয়ার ক্ষতিকর প্রবণতা দেখা দিচ্ছে সে নিয়ে যদি কিছু সতর্ক করতেন তো আমার মত শান্তিকামী সিনিয়র সিটিজেনদের ভালো লাগত।
    ৩) আপনি রায়ে বলেছেন যে ফ্রিডম অফ স্পীচের নামে জে এন ইউয়ের ছেলেগুলো এতসব কথা বলতে পারছে কারণ সীমান্তে আমাদের সৈন্যেরা সতর্ক পাহারা দিচ্ছে। সেই সব দুর্গম প্রান্তে ওদের একজনও বেশিক্ষণ টিকতে পারত না। আমার মনে হয় নিশ্চয়ই আপনার পরিবারের কেউ সৈন্যবাহিনীতে আছেন, যেমন আমার বাবা ছিলেন।
    --- মাপ করবেন, আমি কিছু বলতে চাইছি। অনেক দেশ আছে যেখানে শক্তিশালী সৈন্যবাহিনী সীমান্ত পাহারা দেয়, কিন্তু তাদের দেশে নাগরিকদের ফ্রিডম অফ স্পীচ নেই।
    যেমন, চীন, উত্তর কোরিয়া, প্রতিবেশী পাকিস্তান, বাংলাদেশ। সিরিয়া ,এবং আফ্রিকার কিছু রাষ্ট্র। কাজেই ফ্রিডম অফ স্পীচের পূর্বশর্ত শক্তিশালী সজাগ সৈন্যবাহিনী নয়। দরকার সরকার ও নাগরিক সমাজের মতানৈক্য সহ্য করবার ও বিতর্ককে উৎসাহ দেওয়ার পরিবেশ। ভারত তাই ছিল, এখনও অনেকটা আছে। কিন্তু ভয় হচ্ছে বেশিদিন থাকবে না।
    বঙ্গে কেন্দ্রীয় শাসকদলের একজন বঙ্গীয় নেতা মাথা থেকে ছ'ইঞ্চি ছোট করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন । আগ্রায় মন্ত্রীর উপস্থিতিতে মুসলমানদের বন্দুক ছুরি নিয়ে একের বদলে দশ হত্যা করার কথা বলা হচ্ছে। আমি ভয় পাচ্ছি।
    তবু আমার আপনার উপরে ভরসা আছে যে আপনার দূরদৃষ্টি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এই সব বাধক তত্ত্বের বিরুদ্ধে তর্জনী তুলে আমাদের নিশ্চিন্ত করবে।
    এই আশা ও বিশ্বাসের সঙ্গে,
    আপনার একান্ত গুণমুগ্ধ সিনিয়র সিটিজেন
    রঞ্জন রায়,
  • ভুজুং ভাজুং | 125.112.***.*** | ০৪ মার্চ ২০১৬ ১৪:৪২703384
  • রঞ্জনদা - ইংরিজী করে শেয়ার করতে পারি?
  • avi | 113.24.***.*** | ০৪ মার্চ ২০১৬ ১৫:০৮703391
  • বেশ কয়েকবার পড়লাম।
  • b | 135.2.***.*** | ০৪ মার্চ ২০১৬ ১৫:১৪703392
  • "অশান্তি ফেলাতে চাইছে"
    সোজাসুজি হিন্দি চলে এলো যে!
  • ranjan roy | 24.96.***.*** | ০৪ মার্চ ২০১৬ ১৬:০১703393
  • @ভুজুং ভাজং,
    হ্যাঁ।
    b,
    ঃ)))।
    ক্যা করুঁ? মজবুরি। ম্যাঁয় তো কমলি কো ছোড় দিয়া, পর কমলি মুঝে ছোড়তি নহীঁ।
  • আর | 132.177.***.*** | ০৪ মার্চ ২০১৬ ১৮:১২703394
  • ইংরেজি করলে একবার এখানে শেয়ার কোরো। আমিও শেয়ার করতে চাই।

    আরও কয়েকটা কথা। উনি লিখেছেন, সিয়াচেন বেস ক্যাম্পে যে উচ্চতায় দাঁড়িয়ে সৈন্যরা এই দেশ পাহারা দেয় যাতে নাকি আমরা এখানে নিরাপদে শ্লোগান দিতে পারি, সেই উচ্চতায় কানহাইয়ার মত ছেলেপুলেরা এক ঘন্টাও শ্বাস নিতে পারবে না।

    সত্যি বলছি, এটা পড়ে প্রচণ্ড হাসি পেয়েছে। উনি যা জানেন না তাই নিয়ে খামোকা কেন মন্তব্য করতে গেলেন জাজমেন্টে?
  • আর কারেকশন | 132.177.***.*** | ০৪ মার্চ ২০১৬ ১৮:১৪703395
  • প্রতিভারানী পাটিয়ালা হাউস কোর্টের ন্যায়মূর্তি নন, দিল্লি হাইকোর্টের। মামলা দিল্লি হাইকোর্টে চলছিল।
  • dc | 132.164.***.*** | ০৪ মার্চ ২০১৬ ১৮:৫৬703396
  • "ফ্রিডম অফ স্পীচের নামে জে এন ইউয়ের ছেলেগুলো এতসব কথা বলতে পারছে কারণ সীমান্তে আমাদের সৈন্যেরা সতর্ক পাহারা দিচ্ছে"

    এটা যিনি লিখতে পারেন তাঁর কি বিচারক হওয়ার যোগ্যতা আছে?
  • সে | 198.155.***.*** | ০৪ মার্চ ২০১৬ ১৯:০১703397
  • বারবার পড়লাম। খুব গুছিয়ে সুন্দর করে লিখেছেন। এই লেখা ন্যায়মূর্তি কে পড়ানো যাবে কি?
  • সে | 198.155.***.*** | ০৪ মার্চ ২০১৬ ১৯:০৯703374
  • বন্ধুদেরকে জনে জনে পাঠালাম চিঠিটা।
  • rabaahuta | 215.174.***.*** | ০৪ মার্চ ২০১৬ ২০:৩৯703375
  • অনুবাদ হোক, শেয়ার হোক, অনেক।
  • T | 24.***.*** | ০৪ মার্চ ২০১৬ ২১:০৫703376
  • রঞ্জনদা, একটা জায়গা পড়েছেন কি, যেখানে গ্যাংগ্রীন হলে হাত কেটে বাদ দেওয়ার কথা তুলে, পরের লাইনে লিখেছেন যে কানহাইয়া নিশ্চয়ই জেলে থেকে ইন্ট্রোস্পেকশন করেছে সেজন্য মেইনস্ট্রীমে থাকার কথা বলে আপাতত কনজারভেটিভ ট্রিটমেন্ট করা হচ্ছে।

    আমার প্রশ্ন হচ্ছে এটাতো পরোক্ষ ভাবে কানহাইয়াকে থ্রেট দেওয়া হ'ল। যে বাছা বুঝে থাকলে ভালো নয়ত অ্যান্টিবায়োটিক কিংবা 'অ্যাম্পুটেশন' এর নিদান দেওয়া হবে। এরকম একটা জাজ লিখতে পারে! অথচ পুলিশের ইনভেস্টিগেশন এখন 'ন্যাসেন্ট' স্টেজে রয়েছে।

    আর আমি এটাও বুঝলাম না যে গোটা যে এন ইউ এর ইভেন্টের 'জাতীয়' চরিত্র রক্ষার ভার কানহাইয়ার উপর ইনি কিভাবে ছাড়তে পারেন।

    তবে এটা বুঝলাম যে বিচারব্যবস্থাও দেশের বাকী অংশের মত সটান জিজি অভিমুখে ধাবিত।
  • sosen | 177.96.***.*** | ০৪ মার্চ ২০১৬ ২১:১৩703377
  • চিঠিটা পাঠিয়েই দিন।
  • ranjan roy | 229.64.***.*** | ০৪ মার্চ ২০১৬ ২২:৫৭703378
  • যাঁরা অনুবাদ করবেন বা শেয়ার করবেন --তাঁরা প্লীজ "কারেকশন" এর উল্লিখিত মডিফিকেশনটুকু করে নেবেন ( পাতিয়ালার জায়গায় হাইকোর্ট)।

    T,
    অবশ্যই দেখেছি। সাধে কি এবিভিপির ছেলেপুলে বিজয় মিছিল করেছে! কিন্তু ওটাকে ডাইরেক্ট লিখলে চিঠির টেনরটা নষ্ট হয়ে যায়। তবে এই লাইনটা দেখুনঃ
    "তাতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নেহেরু বিচলিত হন নি বা ওর মুখবন্ধ করতে চান নি। পেনিসিলিন বা অ্যামপুট করতেও চান নি।"
  • ঈশান | ০৫ মার্চ ২০১৬ ০০:২০703379
  • কোর্টের রায়ের প্রাসঙ্গিক অংশটা টুকে রেখেছিলাম। পেস্ট করে দিলাম। যাঁরা পুরোটা পড়ার ধৈর্য দেখাননি, এইটা পড়ে নিন।

    ...
    38. Today I find myself standing on a crossroad. The FIR in question has been registered only on 11th February, 2016. Investigation is at the initial stage. The petitioner is the President of Jawaharlal Nehru University Students Union. His presence at the spot on 9th February, 2016 has been claimed on the basis of raw video footing of that day i.e. 9th February, 2016. The petitioner at present is in judicial custody. The question is, in view of the nature of serious allegations against him, the anti-national attitude which can be gathered from the material relied upon by the State should be a ground to keep him in Jail.

    39. As President of Jawaharlal Nehru University Students Union, the petitioner was expected to be responsible and accountable for any anti-national event organised in the campus. Freedom of speech guaranteed to the citizens of this country under the Constitution of India has enough room for every citizen to follow his own ideology or political affiliation within the framework of our Constitution. While dealing with the bail application of the petitioner, it has to be kept in mind by all concerned that they are enjoying this freedom only because our borders are guarded by our armed and paramilitary forces. Our forces are protecting our frontiers in the most difficult terrain in the world i.e. Siachen Glacier or Rann of Kutch.

    40. It is a case of raising anti-national slogans which do have the effect of threatening national integrity. The averments made in para 14 of the writ petition is extracted as under :-
    ‘ 14. That the petitioner has committed no offence whatsoever, and the wild and baseless allegations being made against him are not only irresponsible and false, but have also caused serious harm to his reputation. As a responsible students’ union President, the petitioner has never sought to subvert the law. The petitioner is a proud citizen of India and has always affirmed his faith in the Constitution of India. The petitioner now seeks the protection of his life, liberty and rights as guaranteed under the Constitution of India. The utterances (speech or slogans) attributable to the petitioner, is not in violation of any law, or the Constitution of India, and as such the petitioner has committed no offence.’

    41. Suffice it to note that such persons enjoy the freedom to raise such slogans in the comfort of University Campus but without realising that they are in this safe environment because our forces are there at the battle field situated at the highest altitude of the world where even the oxygen is so scarce that those who are shouting anti-national slogans holding posters of Afzal Guru and Maqbool Bhatt close to their chest honoring their martyrdom, may not be even able to withstand those conditions for an hour even.

    42. The kind of slogans raised may have demoralizing effect on the family of those martyrs who returned home in coffin draped in tricolor.

    43. The petitioner claims his right regarding freedom of speech and expression guaranteed in Part-III under Article 19(1)(a) of Constitution of India. He has also to be reminded that under Part-IV under Article 51A of Constitution of India fundamental duties of every citizen have been specified alongwith the fact that rights and duties are two sides of the same coin.

    44. The petitioner belongs to an intellectual class pursuing Ph.d. from International School of Studies, Jawaharlal Nehru University, which is considered as hub of intellectuals. He may have any political affiliation or ideology. He has every right to pursue that but it can be only within the framework of our Constitution. India is a living example of unity in diversity. Freedom of expression enjoyed by every citizen can be subjected to reasonable restrictions under Article 19(2) of our Constitution. The feelings or the protest reflected in the slogans needs introspection by the student community whose photographs are available on record holding posters carrying photographs of Afzal Guru and Maqbool Bhatt.

    45. The faculty of JNU also has to play its role in guiding them to the right path so that they can contribute to the growth of the nation and to achieve the object and vision for which Jawaharlal Nehru University was established.

    46. The reason behind anti-national views in the mind of students who raised slogans on the death anniversary of Afzal Guru, who was convicted for attack on our Parliament, which led to this situation have not only to be found by them but remedial steps are also required to be taken in this regard by those managing the affairs of the JNU so that there is no recurrence of such incident.

    47.The investigation in this case is at nascent stage. The thoughts reflected in the slogans raised by some of the students of JNU who organized and participated in that programme cannot be claimed to be protected as fundamental right to freedom of speech and expression. I consider this as a kind of infection from which such students are suffering which needs to be controlled/cured before it becomes an epidemic.

    48.Whenever some infection is spread in a limb, effort is made to cure the same by giving antibiotics orally and if that does not work, by following second line of treatment. Sometimes it may require surgical intervention also. However, if the infection results in infecting the limb to the extent that it becomes gangrene, amputation is the only treatment.

    49. During the period spent by the petitioner in judicial custody, he might have introspected about the events that had taken place. To enable him to remain in the main stream, at present I am inclined to provide conservative method of treatment.

    50. Taking into consideration the facts and circumstances, I am inclined to release the petitioner on interim bail for a period of six months.
    51.Once the decision of releasing the petitioner on interim bail is taken, now the question comes as to what should be the amount for monetary security. In his speech dated 11th February, 2016 the petitioner has claimed that his mother works as Anganbadi worker and earns ₹3000/- per month on which the entire family survives. If this aspect is considered then the amount to be required to be filled in the personal bond and surety bond cannot be so high as to put him in a position that he cannot avail the interim bail.

    52.The time is ripe that while giving some concession to the petitioner on monetary aspect for purpose of furnishing the bond, he can be required to furnish an undertaking to the effect that he will not participate actively or passively in any activity which may be termed as anti-national. Apart from that, as President of JNU Students Union, he will make all efforts within his power to control anti-national activities in the campus. His surety should also be either a member of the Faculty or a person related to the petitioner in a manner that he can exercise control on the petitioner not only with respect to appearance before the Court but also to ensure that his thoughts and energy are channelized in a constructive manner.
    ...
  • Du | 81.17.***.*** | ০৫ মার্চ ২০১৬ ০০:৫৩703380
  • এ তো দেখি পুরো troops areprotecting our freedom' স্টাইল। Tax payers moneyর পরে এইটা-ওহ!
  • Du | 81.17.***.*** | ০৫ মার্চ ২০১৬ ০০:৫৪703381
  • টাকাটাই যা পড়ে যাচ্ছে।
  • | ০৬ মার্চ ২০১৬ ১২:০০703383
  • দু,
    টাকা যত পড়বে দেশপ্রেমিক NRIদের দেশপ্রেম ততই বাড়বে। আর NRI রা যত খুশী হবে তত ছাতি ফুলিয়ে বিদেশভ্রমণের সংখ্যাও বাড়বে।
  • de | 24.96.***.*** | ০৬ মার্চ ২০১৬ ১২:০১703385
  • ইংরাজী ভার্সান শেয়ারিত হোক -

    যাঁরাই যা কিছু লিখছেন একটু কষ্ট করে ইংরাজীতেও একটা অনুবাদ করবেন, শুধু গুরুর জনতা নয়, তার বাইরে অনেক বড় দুনিয়ার মানুষদের এইগুলো পড়ানো দরকার। চারপাশে কথা বল্লে কেমন একটা দম বন্ধ হওয়ার অনুভূতি হয় আজকাল! কথা বলাই বন্ধ করেছি!
  • আমিও | 233.179.***.*** | ০৬ মার্চ ২০১৬ ১২:৩১703386
  • কথা বলা পুরোপুরি বন্ধ করেছি।
  • cm | 127.247.***.*** | ০৬ মার্চ ২০১৬ ১২:৫২703387
  • খুঁচিয়ে যাই, " আগ্রায় মন্ত্রীর উপস্থিতিতে মুসলমানদের বন্দুক ছুরি নিয়ে একের বদলে দশ হত্যা করার কথা বলা হচ্ছে। " এখানে মন্ত্রী স্বয়ং বলেছেন।
  • Robu | 11.39.***.*** | ০৮ মার্চ ২০১৬ ০৮:১৫703389
  • এটা ২০১৫ এর খবর কল্লোলদা।
  • কল্লোল | 111.63.***.*** | ০৮ মার্চ ২০১৬ ০৮:১৭703390
  • দেখেছো!! খবরই রাখিনি। ছ্যাঃ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন