সুপ্রিয় আপনার নাম ভুল লেখার জন্য লজ্জিত, কোনো অজুহাত দিচ্ছি না। পরের বার সতর্ক থাকব।
স্বাতী ও সুপ্রিয়
আপনাদের তোলা পয়েন্টগুলো মূল্যবান।
এই সমস্যাগুলো বাস্তব। অনেক এনজিও এইভাবে প্রমোটারদের পয়সা করার এবং নতুন ছেলেমেয়েদের এক্সপ্লয়েট করার ধান্দাবাজি।
আমি চেন্নাই ছাড়া আরও একটি ইন্সটিটিউটের কথা বলব। ইন্সটিউট অফ রুরাল ম্যানেজমেন্ট (IRMA). আনন্দ , গুজরাত।
এদের স্নাতকরা বড় এনজিওতে মোটামুটি ভাল মাইনের চাকরি করছেন।
আমাদের কর্মদক্ষের তেজি এবং রানু ভোগল ওখানকার পাস আউট।
কিন্তু ওই ব্যাপার, ভর্তি হতে আজকাল কম্পিটিশন বেশি এবং ফীসও যাতা রকম বাড়িয়ে দিয়েছে।
আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য বেস্ট হচ্ছে ব্যাঙ্গালুরুতে আজিম প্রেমজি ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স করা। তারপর কাজ পেতে কারও কোন অসুবিধে হয়না। আমার জানা ক'টি মেয়ে শুরুতে মাসে ত্রিশ হাজার মাইনের চাকরি পেয়েছে। আরেকজন ক'বছর পরে পঞ্চাশ হাজার।
আজিম প্রেমজির (উইপ্রো) নিজেরও একটা ফিলান্থ্রপিক সংস্থা আছে যারা এনজিওদের প্রজেক্ট ফান্ডিং করে।
তবে নিজেরা এনজিও শুরু করলে অন্ততঃ দশ বছর স্ট্রাগল করতে হবে।
ভোপালের প্রদীপ ঘোষ প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের ভালো মাইনের চাকরি ছেড়ে ভোপালে নিজেদের এনজিও খুলতে গিয়ে দশ বছর কষ্ট করল।
পরে ইনোভেটিভ আইডিয়ার জন্য তিনবছর অশোকা ইন্টারন্যাশনালের ফেলোশিপ পাওয়ায় কাজ চলে গেল।
তারপর স্বামী-স্ত্রী মিলে ওয়েসিস নাম দিয়ে এনজিও খুলে ভোপালে স্লাম এরিয়ায় স্কুলে না যাওয়া বাচ্চাদের বাসে চড়িয়ে মানব সংগ্রহালয় মিউজিয়ামে নিয়ে পড়ানোর অভিনব ব্যবস্থা শুরু করলেন। পাঁচ বছর আগে ইউনেস্কোর বেস্ট এক্সপেরিমেন্টাল স্কুলের প্রাইজ জিতে এখন ভালো অবস্থায় আছেন।
তবু আমার ধারণা, নিজেদের খাওয়াপরার চিন্তা না থাকলে তবেই এনজিও খোলা উচিত। নইলে মানুষ মরিয়া হয়ে টাকা কামানোর জন্যে লক্ষ্য এবং আদর্শের সঙ্গে সমঝোতা করে।
আর এটাকে জীবিকা করতে হলে নামকরা সংস্থার ডিগ্রি চাই। নইলে পেট চালানো মুশকিল।