শিবাংশু আপনার পোস্ট আজ দেখলাম।
অষ্টাদশ পুরাণের মধ্যে ভবিষ্যপুরাণ একমাত্র পুরাণ যা শুধু অতীত নয় ভবিষ্যতের কথাও বলে। এর প্রতিসর্গ পর্বে দেহলী এবং কলিকাতা নগরের নামের উল্লেখ রয়েছে। এবং ভারতে ইংলণ্ডেশ্বরের রাজত্বের কথা বলা হয়েছে।
"কলিকাতাপুরী নাম্না প্রসিদ্ধাভূন্ মহীতলে।
কৌশিকস্তস্য তনয়ঃ পিতৃস্তুল্যং কৃতম্ পদম্।। ভবিষ্যপুরাণম্, প্রতিসর্গ পর্ব, ৫/২/১৪ (পৃঃ ৬২০)
শান্তি বর্মা ভাগীরথী তীরে শান্তিপুর নগর রচনা করেন। (৫/২/২৩)।
ভূপসেনকে জয় করে কুতুকোদ্দীন (কুতবুদ্দীন?) দেহলী নগরের রাজা হন।
সহোদ্দীন (সাহাবুদ্দীন?) দেহলী নগরে এসে ক্তুকোদ্দীনকে জয় করে মূর্তিসকল খণ্ডন করেছিলেন। (পৃঃ ৬৩০)।
মুকুল বংশের ম্লেচ্ছরাজা তিমির লিংগ (তৈমুর লংগ)
দেহলী নগরে এসে মহাবধ করে শাল্গ্রাম শিলা কেড়ে নিয়ে উটের পিঠে চাপিয়ে ঘরে ফিরে যান,\।(পৃঃ ৬৩৬)
সেই ম্লেচ্ছ কবীর নামে প্রসিদ্ধ হয়ে স্বামী রামানন্দকে নিজ গুরু মেনে শ্রীরামের ধ্যানে মগ্ন হলেন। (পৃঃ ৬৮০)।
তৈমুর লঙ্গের পুত্র সরুষ, তার পুত্র বাবর, তার পুত্র হুমায়ুন এবং তার পুত্র আকবর জন্মালে আকাশবাণী হয়েছিল। (পৃঃ ৭০৫)।
আকবর পঞ্চাশ বছর রাজত্ব করে শিষ্যগণের সঙ্গে বৈকুণ্ঠ গমন করেন। (পৃঃ ৭০৯)।
গুরুন্দ বানরমুখী ছিলেন। বৌদ্ধমত ছেড়ে ইশুমত (যীশুমত?) গ্রহণ করে কলিকাতা নগরী স্থাপন করতে উদ্যত হলেন। (পৃঃ ৭১৪)।
কয়েকটি উপ অধ্যায়ের শিরোনাম হিন্দিতে রয়েছে যেমন-- "সমস্ত নৃপো কা সংগ্রাম ঔর নাশ" (পৃঃ ৫৫৫)। এবং
"অজমের কে তোমর নরেশো কা বর্ণন" (পৃঃ ৬০২)।
এসব দেখে এবং ফরবরী সানডে উল্লেখ দেখে মনে হয় এই পুরাণ , বিশেষ করে এর প্রতিসর্গ পর্ব কলিকাতা এবং শান্তিপুর নগরী হওয়ার পরে তথা দেশে ইংরেজি শিক্ষা শুরু হওয়ার পরে রচিত। অর্থাৎ দুশো বছরের বেশি প্রাচীন নয়।
এতে পুরাণের যুগ এবং রাজবংশ ও সমসাময়িক শাসকদের বর্ণনা এমন ঘেঁট্টে ঘ' হয়েছে যে একে প্রামাণিক ধরে বারবার সাভারকরের সিন্ধু -হিন্দু যুক্তি বেশ দুর্বল হয়ে গেছে বলে আমার মনে হয়।