এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • তোমার বাস কোথা যে...- ২৬ 

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ২১৯ বার পঠিত
  • ।। ছাব্বিশ ।।

    [ এই কাহিনীর সব চরিত্র কাল্পনিক। জীবিত বা মৃত কোনো ব্যক্তির সাথে কোনও মিল যদি কেউ খুঁজে পান তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং কাকতালীয়। ]

    ইন্দ্রনীল বুঝতে পারল ওই লোকটার ভাবভঙ্গীতেই বিনীতা হঠাৎ মর্নিং ওয়াক ছেড়ে ঘরে ফিরতে চাইল। কলোনির মধ্যে তার সঙ্গে হাঁটতে বেরোনোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যে বিনীতার পক্ষে সহজ ছিল না সেটা আগেই বুঝেছিল ইন্দ্র। তবে ম্যাডামের যে এতে প্রবল আগ্রহ ছিল তাতে যেমন সন্দেহ নেই, তেমনই স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল যে এই ভোর বেলায় মানুষটার শরীরটাই যে শুধু বাড়ির বাইরে এসেছে তা নয়, তার মনেরও বন্ধনমুক্তি ঘটেছে।

    বাড়ির পথে ফিরতে ফিরতে ইন্দ্র জিজ্ঞাসা করল, “একটা কথা বলবেন?”
    “কী?” জানতে চাইল বিনীতা, সে এখনও গম্ভীর, হাঁটছেও দ্রুত।
    “আপনি এই সর্বনাশের গানটা বাছলেন কেন?”
    কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে বিনীতা প্রশ্ন করে, “আপনি একটা সত্যি কথা বলবেন?”
    ইন্দ্র তার দিকে তাকায়, মাথা নেড়ে জানায় বলতে তার আপত্তি নেই।
    “কাল আপনার থেকে যাওয়াটা কি সত্যি জরুরি ছিল?” জানতে চাইল বিনীতা।
    “সত্যি বলব?”
    “সেটাই তো বলতে বললাম,” উত্তর দিল বিনীতা।
    “না থাকলেও চলত।”
    “তা হলে রইলেন কেন?”
    “সেটা কি এখনও বোঝেননি”
    “হয়তো বুঝেছি, তবু শুনতে চাই। বলতে বাধা আছে?”
    “আপনার সঙ্গে অনেকক্ষণ সময় কাটাতে পারব বলে,” এবার সোজাসুজি উত্তর দিল ইন্দ্রনীল।
    বিনীতা এদিক ওদিক দেখছে না, সোজা তাকিয়ে প্রশ্ন করে, “কী চান আপনি আমার কাছে?”
    এ কথা আবার নতুন করে কেন, ভাবল ডাক্তার। বলল, “তখনই বললাম যে, আপনার সঙ্গে সেটল করতে চাই। অবশ্য এখনই নয়, আর আপনি চাইলে তবেই....”
    “বলেননি, হিন্ট দিয়েছিলেন,” শুধরে দিল বিনীতা।
    “রাইট। আর আমায় হিন্ট দিয়েছিলেন মিস্টার দাস।” যে কথাটা বলবে কি না তা নিয়ে প্রচুর ভেবেছে ইন্দ্রনীল, সেটা শেষ পর্যন্ত বলেই দিল।

    দাঁড়িয়ে গেল বিনীতা, ভ্রূ কুঁচকে তাকাল ইন্দ্রর দিকে। “মানে?”
    “আমার ওখানে যেদিন আপনারা গেলেন... সেদিন…"
    “হ্যাঁ, সেদিন কিছু একটা বলেছিল ও… আপনি বলবেন বলেছিলেন, তবে বলেননি শেষ অবধি।”
    “সুযোগ হয়নি।”
    “কী বলেছিল সেদিন?” জানতে চাইল বিনীতা।
    একটু ইতস্তত করল ইন্দ্রনীল। বলাটা কতখানি শোভন হবে সেটা বোঝার চেষ্টা করল। তবে যেটুকু বলে ফেলেছে তার পর আর চেপে রাখা সম্ভব নয়। “আমায় বললেন উনি যখন থাকবেন না, তখন আপনার আর রঙিনের কাউকে দরকার। আমায় মাঝে মাঝে আপনাদের এখানে আসতে বললেন।”
    কয়েক মূহুর্ত চুপ করে থাকল বিনীতা। তারপর বলল, “ঠিক বলছেন?”
    “হ্যাঁ… কেন, উনি আপনাকে কিছু বলেন নি?”
    বিনীতা গম্ভীর ভাবে মাথা নাড়ল।
    ইন্দ্র একটু ভাবল, “অবশ্য উনি তখন ড্রিংক করে... খুব সুস্থ ছিলেন না মনে হয়…”
    বিনীতা চাপা গলায় বলল, “উনি পুরো সেন্স-এ ছিলেন।”
    “এই সন্দেহটা আমারও হয়েছিল। তবে উনি টলছিলেন, এলোমেলো কথা বলছিলেন…”
    কোনও কথা না বলে হাঁটতে শুরু করল বিনীতা, ইন্দ্রও। অরুণাভর বাংলো আর বেশি দূরে নয়। বাড়ির সামনে দাঁড় করানো ইন্দ্রনীলের নীল রঙের গাড়ি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
    বিনীতা বলল, “এখন বুঝতে পারছি ওই কথাগুলো বলবে বলেই নাটক করছিল.....”
    “আমি বুঝলাম না।”
    বিনীতা তিক্ত স্বরে বলল, “আমার হাজব্যান্ড তার নিজের বিধবা বৌ-এর জন্য ঘটকালি করছিল। এবার বুঝলেন?” 
    ইন্দ্র চুপ করে যায়। বাড়ি পর্যন্ত চুপচাপ হাঁটে দু’জনে। গাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায় ইন্দ্রনীল। বলে, “মিস্টার দাস ঠিকই আছেন। কালকের মত কিছু আবার হলে ওই নতুন ওষুধটা দেবেন। তারপর আমায় জানাবেন। আসি।”
    এ কথার উত্তর দেয় না বিনীতা, শুধু একটু মাথা নাড়িয়ে ঘরে ঢুকে যায়। ইন্দ্রও চলে যায় গাড়ি নিয়ে।

    বিসপাতিয়াকে ঝাড়ু দিতে দেখে বিনীতা জিজ্ঞাসা করে, “রঙিন উঠেছে?” কোনও উত্তর পাওয়ার অপেক্ষা না করেই বলে, “আমি দেখছি।”

    রঙিনের ঘরের দরজা খোলার আগে একবার নিজের শোবার ঘরে উঁকি দেয় সে। তার স্বামী ঘুমোচ্ছে।

    ***

    অসুস্থ থাকার ফলে দু দিন আসতে পারেনি এজিএম সাহেব। আজ অফিসে আসার পরপরই রামাকৃষ্ণান দেখা করতে আসে অরুণাভর সাথে। আর যে খবরটা সে দেয়, তার ফলে হন্তদন্ত হয়ে সোজা খুরানার ঘরে চলে আসে অরুণাভ। সম্ভবতঃ তার কেরিয়ারে এই প্রথম অ্যাপয়েন্টমেন্ট না নিয়েই জি এম-এর কাছে এসেছে সে। খুরানার সেক্রেটারি একটু অবাকই হয় অরুণাভকে দেখে। জানিয়ে দেয় তার বস ঘরেই আছে। দরজাটা একটু খুলে ভিতরে আসার অনুমতি চায় অরুণাভ। 
    “ইয়েস দাস, এস।” ইশারায় চেয়ার দেখিয়ে অরুণাভকে বসতে বলে খুরানা। তারপর হাতের ফাইল সরিয়ে রেখে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকায়।
    “স্যার, শুনলাম আমায় রিমুভ করা হচ্ছে?”
    “কোথা থেকে?”
    “মেসিনারিস প্রোজেক্ট থেকে।”
    আশ্বস্ত করার ভঙ্গিতে হাত তোলে খুরানা। “এখনও কোনও কিছুই ফাইনাল হয়নি। তোমার ক্রেডেনশিয়াল আমি জানি। বাট প্লিজ আন্ডারস্ট্যান্ড দাস, ইউ আর নট ওয়েল। আর এই প্রজেক্টের চাপ আমি বুঝতে পারি। ইট ইজ টেকিং আ টোল অন ইয়োর হেলথ। তাই ভাবছিলাম…”
    অরুণাভ বলে, “প্লিজ স্যার, আই হ্যাভ স্টার্টেড দিস প্রোজেক্ট অ্যান্ড আই ওয়ান্ট টু কমপ্লিট ইট। হ্যাঁ আমার শরীর ভাল না। কিন্তু এটা আমি অবশ্যই শেষ করব।”
    “কিন্তু দাস…”
    অরুণাভ চোখমুখ লাল হয়ে গেছে। দাসের এমন চেহারা আগে কখনও দেখেনি খুরানা। কী বলবে বুঝে উঠতে পারে না সে। “তোমাকে একটু রেস্ট দিতে–”
    অরুণাভ মরিয়া। “গিভ মি জাস্ট ওয়ান মোর চান্স স্যার। আমি যদি আবার আনওয়েল হয়ে যাই তো আপনি স্ট্রেট আমায় বাদ দিয়ে দেবেন। আমি একটা কথাও বলব না।”

    জি এম একটু চিন্তা করে। অরুণাভ আর বেশি দিন নেই এ কথা সবাই জানে। ওর আরও অনেক ওপরে ওঠা নিশ্চিত ছিল। কিন্তু কঠিন অসুখ বেধে গেলে কী আর করা যাবে। এদিকে ওর মত ওয়ার্ক্যাহলিক অফিসারকে বসিয়ে দিলে মানুষটা হয়তো আরও আগেই শেষ হয়ে যাবে। মনস্থির করে নেয় খুরানা।
    “ওকে দাস। তোমার কথাই থাক। বাট প্লিজ রিমেমবার যে আমায় হেড অফিসে রিপোর্ট সাবমিট করতে হবে তিন মাস পরে।”
    অরুণাভ একটু শান্ত হয়। “আই উইল কিপ ইট ইন মাইন্ড স্যার, মেনি থ্যাংকস।”

    নিজের ঘরে ফিরেই রামাকৃষ্ণানকে ডেকে পাঠায় অরুণাভ। খুরানা সাহেবের সঙ্গে যা কথা হল তা খুলে বলে। আর তার নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় যে আর দু’মাসের মধ্যে প্রোজেক্টের কাজ শেষ করতে হবে। অরুণাভকে ভালই জানে রামাকৃষ্ণান, তাই সময় কমে যাওয়া নিয়ে কোনও কথা বলল না। কেবল তোপচাঁচি ট্রিপের কী হবে তা জানতে চাইল।
    এইবার একটু ভাবল অরুণাভ। “কত জন যাবে বলেছে?” জিজ্ঞাসা করল সে।
    “কবিতার কাছে লিস্ট আছে,” জানাল রামাকৃষ্ণান।
    সেক্রেটারি কবিতাকে ডেকে জানা গেল মাত্র তিন জন নাম লিখিয়েছে।
    “উইথ ফ্যামিলি?” প্রশ্ন করল অরুণাভ।
    কবিতা বলল পরিবার নিয়ে কেউই যাওয়ার কথা বলেনি।
    “গুড। ট্রিপ ক্যানসেল।” জানিয়ে দিল অরুণাভ। “বদলে অন্য কিছু দেওয়া হবে। আমি জানিয়ে দেব। পনের মিনিট বাদে সবাইকে এ ঘরে আসতে বলুন। একটা মিটিং করব।”

    মিটিং-এ যে কঠিন কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানানো হবে তা সবাই আগেই বুঝে গেছিল। তাই সবাই ব্যাজার মুখে ঘরে এসে ঢুকল। এদের জন্য খারাপ লাগছিল অরুণাভর। এমনিতেই খুব চাপে আছে সবাই, এখন সেটা আরও বাড়বে। কিছু করার নেই।

    সবাই এসে গেলে কথা শুরু করে অরুণাভ। “একটা কথা আছে ওয়ার্কিং হার্ড আর ওয়ার্কিং স্মার্ট নাকি দুটো আলাদা জিনিস। কিন্তু আমি চাই আপনারা এ দুটোই এক সঙ্গে করুন, আপনাদের সঙ্গে আমিও করব। গত কয়েক মাসে আপনারা দারুণ কাজ করেছেন আর সেটা করেছেন প্রচুর প্রেসার নিয়ে। আমি আরও একটু প্রেসার অ্যাড করছি। আর দুটো মাস একটু কষ্ট করে কাজ করুন। প্লিজ বেয়ার উইথ মি টিল দেন।”

    তিন-চার জনের থেকে কাজের অগ্রগতি নিয়ে একটু আলোচনা করে নেয় অরুণাভ। তারপর জানায় তোপচাঁচি যাওয়ার প্ল্যান আপাততঃ স্থগিত থাকছে। “সতের জনের মধ্যে মাত্র তিন জন নাম দিয়েছেন। তাই আমার মনে হয় কেউই খুব একটা ইন্টারেস্টেড ছিলেন না। তবে দু’মাস বাদে কাজ শেষ হলে সবাই তিন দিনের স্পেশাল লিভ পাবেন। তখন আবার এই নিয়ে ভাবা যেতে পারে।… এনি কোয়েশ্চেন?”

    দেখা গেল সমসের হাত তুলেছে। ইসারায় সম্মতি দেয় অরুণাভ।
    “স্যার, আপনি বলছেন দু মাসে কাজ শেষ করতে হবে। কিন্তু আমরা তো জানতাম আমাদের হাতে আরও তিন মাস আছে।”
    “ইয়েস। তিন মাস। বাট দ্যাটস ফর জি এম স্যার। ওনাকে হেড অফিসে রিপোর্ট দিতে হবে তিন মাস পর। আর আমাদের জন্য আছে দু মাস। রামাকৃষ্ণানজী, ৬০ দিনের কাউন্টডাউন কেমন ভাবে করা যায় একটু ভেবে বলবেন তো।” রামাকৃষ্ণান মাথা ঝাঁকিয়ে সম্মতি জানায়। “এনি মোর কোয়েশ্চেন?” কেউ কোনও কথা বলে না। “থ্যাংক ইউ। আওয়ার মিটিং এন্ডস হিয়ার, অ্যান্ড ইয়োর টাইম স্টার্টস নাও।”

    সবাই চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়ছিল। অরুণাভ হঠাৎ বলে, “এক মিনিট।” সবাই থেমে ফিরে তাকায়। অরুণাভ সবার দিকে একবার তাকিয়ে নেয়। তারপর বলে, “আপনারা কখনও আমায় নিরাশ করেননি। প্লিজ ডু নট লেট মি ডাউন ইন মাই লাস্ট প্রোজেক্ট।... থ্যাংক ইউ।”

    একটা ফাইল টেনে নেয় অরুণাভ। সবাই কয়েক মূহুর্ত হতবাক হযে তাকিয়ে থাকে। এজিএম স্যারের বলা ‘লাস্ট প্রোজেক্ট’ কথাটা সবাইকে নাড়িয়ে দিয়ে যায়, বাস্তব সম্পর্কে সবাই যেন নতুন করে সচেতন হয়ে ওঠে। একে একে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় সবাই।

    ***

    বিনীতা বুঝতে পারছে সেদিন ভোরবেলা ইন্দ্রনীলের সাথে মর্নিং ওয়াকে যাওয়াটা বেশ মুখরোচক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে কলোনিতে। এমনকি স্কুলেও ব্যাপারটা পল্লবিত হয়ে ছড়িয়েছে। স্বামী অসুস্থ, ওদিকে স্ত্রী ডাক্তারের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে, ইত্যাদি ইত্যাদি। স্টাফরুমে বিনীতা হয়তো জানলার দিকে তাকিয়ে আছে। টের পাচ্ছে জনা দুই শিক্ষিকা তার দিকে তাকিয়ে হাসাহাসি করছে আর ফিসফিস করে কথা বলছে। যদিও সামনাসামনি কেউই বিনীতাকে কিছু বলেনি। তবে গায়ত্রী আজ তাকে ওর বাড়ি একবার যেতে বলেছে।

    কী বলতে চায় তার প্রিয় বন্ধু গায়ত্রী? (ক্রমশঃ) 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ২১৯ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ইতি - Ankan Chakraborty
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ২২ নভেম্বর ২০২৪ ০৬:২৩539556
  • পড়ছি,।
  • Nirmalya Nag | ২২ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:৩৮539558
  • @Ranjan Roy - অনেক ধন্যবাদ। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন