এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Nirmalya Nag | ০৩ অক্টোবর ২০২২ ০৮:১১512496
  • ধাক্কা দিয়ে গেল
  • বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় | 103.148.***.*** | ০৩ অক্টোবর ২০২২ ০৯:৩১512498
  • একটি ভয়ঙ্কর লেখা।পাড়ে বসে থাকা আমাদের মতো ভদ্দরলোকদের পক্ষে হজম করা কঠিন। কারণ প্রতিটি অক্ষর আমাদের ও গিলে খাচ্ছে এবং আমরা কমেন্ট বক্সে 
    লিখতে চাইছি না ডুবে যাওয়ার কাহিনি।
  • উৎপল ঝা | 42.105.***.*** | ০৩ অক্টোবর ২০২২ ১০:৩০512499
  • অসাধারণ বললেও কম বলা হয় । কেমন ঘোরের মতো আচ্ছন্ন করে ফেলল, গল্পের বাস্তবতা ।
  • Krishna Malik (Pal ) | ০৩ অক্টোবর ২০২২ ১৩:৫৯512502
  • বড্ড ধাক্কা লাগল। 
  • মানস রায় | 103.205.***.*** | ০৩ অক্টোবর ২০২২ ১৬:৫৬512506
  • থম মেরে থাকা ছাড়া এই মুহূর্তে কিছু বলার ভাষা নেই !
     
  • মানস রায় | 103.205.***.*** | ০৩ অক্টোবর ২০২২ ১৭:১২512507
  •  গরম রাবরীর বুদবুদ থেকে ধোঁয়া ওঠা গন্ধ মিলে যাচ্ছে এঁদো খালের বুদবুদের পুঁতি গন্ধের সঙ্গে ! লেখক কী অপার মুন্সিয়ানায় মেলালেন । মগজে ঘাই মেরে গেল সমাজের পাঁকে জন্ম নেওয়া বুদবুদেরা । 
    'এক অবুঝ শিশু আর এক বুদ্ধিহীন পশু যেন অনন্ত প্রতীক্ষায় খালধারে এইভাবেই নির্জন বসে থাকে।' নতুন দিন নতুন সূর্যের অনন্ত প্রতীক্ষা ...❤️❤️
  • আইজাক সাহা | 2401:4900:1cc4:38b:505:b06e:82a8:***:*** | ০৩ অক্টোবর ২০২২ ১৭:১৩512508
  • ভাষায়, কাহিনীর বুননে, উদ্বেগের সহাবস্থানে, নির্মম অস্বস্তিতে এগিয়ে চলতে চলতে বিষাদে ভরে ওঠে অন্তরাত্মা। আর পাঠক হিসেবে সেই অস্বস্তি আমাকে অবশেষে সেই পাঁচ ছ বছরের শিশুতে পরিণত করে দেয়।
    যেন আমিই অপেক্ষায় বসে আছি লোকটি কখন সেই কাদাজল ভেদ করে উঠে আসে।
  • | ০৩ অক্টোবর ২০২২ ২২:৪০512522
  • তীব্র ধারালো লেখা। বিঁধে গেল সরাসরি। 
  • শিবাংশু | ০৪ অক্টোবর ২০২২ ০০:২৯512530
  • এই পর্যায়ের তীব্র গ্র‌্যাফিক্স একটা পাথর দেওয়ালের অভিঘাত নিয়ে আসে। জলনিরোধী, বায়ুনিরোধী দম আটকানোর শিল্প যেন। কিন্তু সেই দেওয়ালও মানুষকে আটকাতে পারে না। আটকাতে পারে না তার মানুষিক আলো ও অক্সিজেন ঝড়। নিরন্তর তৈরি হওয়া জলছবির ফ্রেম। এই লেখক এ ধরনের নির্মাণ অবলীলায় , এবং নিয়মিত ব্যবধানে সৃষ্টি করে যেতে পারেন।  কী আর বলি তাঁকে? আরো আলো আসুক, এই টুকুই বলা যায় হয়তো। আর কিছু নয় ...
  • এনার | 115.96.***.*** | ০৪ অক্টোবর ২০২২ ০৮:২৫512531
  • আমি গল্পটা পড়ছিলাম, নাকি খালের ধারের ভিড়ে দাড়িয়েছিলাম কিনা জানিনা। কিন্তু স্পষ্ট চোখে একটা মৃত্যু প্রত্যক্ষ করলাম যেটা আমার দেখা মৃত্যুগুলোর থেকে যোজন পৃথক। সেই ঘোরেই আছি।মনে শুধু একটাই প্রশ্ন-- এই গল্প কালের আবর্তে হারিয়ে যাবে, নাকি শ্রেষ্ঠ কোনো গল্প সংকলনে ঠাঁই  করে নেবে?
  • রবীন মজুমদার | 2405:201:800f:1079:d8d5:ae4e:29d4:***:*** | ০৪ অক্টোবর ২০২২ ১৯:০২512537
  • এইসব ঘটনাগুলো ঘটে চলে, ঘটেই চলে।
    আমাদের সবাই এর গালে সপাটে থাপ্পড় মেরেছেন। তবু আমরা কি আর একটু মানুষ হবো?  অ - মৃত নয়, গরলামৃত।
  • মোহাম্মদ কাজী মামুন | 202.134.***.*** | ০৫ অক্টোবর ২০২২ ০২:৫৬512553
  • চিরায়ত সাহিত্যে যেমনটা দেখা যায়, ঠিক সেরকম নিদর্শন গল্পটির পরতে পরতে। “ডেজিংয়ের পূর্বপ্রস্তুতিতে খাল পরিষ্কার করতে এসে এক লেবার পাঁকে তলিয়ে যাচ্ছে।“ এরকম একটি ঘটনাকে উপজীব্য করে যে ছবি আঁকা হয়েছে জাত শিল্পীর নিখুঁত তুলিতে, তা অনেকক্ষণ ধরে বিহবল করে রাখে না শুধু, পাঠকের মনে স্থায়ী আসন করে নেয়।  
    “এতক্ষণে বড় বাড়িগুলির আড়াল থেকে উঁকি দেওয়া সূর্যের আলো এসে পড়ছে খালের কালো জলের ওপর, তার তেল চকচকে কালো বাবরি চুল কাদার ছিটে সত্ত্বেও আরও কালো লাগছে। বহুতলের জানালাগুলো একে একে খুলে যাচ্ছে, উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে অনেক মুখ।“ গল্পটির মূল সুর মনে হয় এখানেই পোরা রয়েছে, একজনের তলিয়ে যাওয়া, একটি সমাজের উঁকিঝুঁকি, তারপর সব শেষ, শুধু এক বালকের অপেক্ষায় বসে থাকা, এইটুকু আশা জীবনের, সামনের দিনের পৃথিবীর বেঁচে থাকার জন্য।
    “দু'দিন তুমুল বৃষ্টির পর যেটা কানায় কানায় ভরা আর ময়রার দোকানে সদ্য তৈরি গরম রাবড়ির ট্রে-র ওপর থেকে ওঠা অল্প সাদা ধোঁয়ার মতো যার পুরোটা জুড়ে উঠছে তীব্র দুর্গন্ধের ভাপ।/ ঢালু পারে জায়গা প্রচুর, কিন্তু আব্রু নেই।/পুজো প্যান্ডালের পাশে রাস্তা আটকে ফেলে রাখা লম্বা বাঁশ আনতে।/ আর সবার চোখের আড়ালে বিশাল এক পিচ্ছিল পাঁকের অজগর তার দুই পা জড়িয়ে তাকে আস্তে আস্তে মরণ টানে নিচের দিকে টেনে নিচ্ছিল। অনাদরে ছুঁড়ে ফেলা নষ্ট ভ্রূণের পচা গন্ধে নাক কান বুজে আসতে সে শুধু একবার মা বলে ক্ষীণ ডাকল।/ মরণ কালে বুদ্ধিনাশ, তাই সব ছেড়ে হঠাৎ তার মনে হল সূর্যের চারপাশে ঘুরে চলা পৃথিবীর আনহিক গতির কথা। বাইরে থেকে কিছু বোঝা যায় না, কিন্তু সর্বক্ষণ একটু একটু করে ঘুরে যাচ্ছে হেলে থাকা গোলকটা। বন্ধ হলেই প্রলয়, সেহরি গাছের হলুদ পাতা খসার মতো টুপটাপ ঝরে যাবে ছয় ঋতু, এলোমেলো হয়ে যাবে চন্দ্র সূর্যের হাজিরা।/ হা দেখ্, বর্ষার নদীতে কেমন একটা অজানা টান থাকে, সেটাও নাই জানিস। আর সেই টানে কতরকম জানা, অজানা মাসখাওয়া মাছ ভাস্যে আসে। / অথচ বসার ভঙ্গিতেই বোঝা যায়, ছোঁড়া সমস্ত শরীর দিয়ে শুষে নিচ্ছে মউল ফুলের বাস, ল্যাংটা বাচ্চাদের ধুলো-মাখা হৈ চৈ।/ যেন বর্ষাকালে ধান খেতে বর্শা-গাঁথা লালচে পুরুষ্টু মাছ একখান, লাফিয়ে ছটফটিয়ে ভালো করে নিজের মাংসের পরতে পরতে গেঁথে নিচ্ছে শিকারির সূচিমুখ মারণ অস্ত্রটিকে।“… এমনি সব অনবদ্য চিত্রকল্প, উপমা, সংকেত, ইংগিত, কখনো শ্লেষ – এরা মনে হয় প্রতিযোগীতা করছে, কে কাকে ছাড়িয়ে যাবে। পাঠককে স্বপ্ন, বাস্তবতার দোলাচালে নিরংকুশ দখল করে রাখে, ছুটতে দেয় না কোথাও, তার ভাবনার জগতে তোলে আলোড়্ন, ঐ জল-কাদার পাঁকের মতই… এভাবে পাঠককেও পাঁকে বেঁধে ফেলে গল্পের মূল চরিত্রের সাথে।
    “দূর থেকে চোখের সাদা ড্যালাটাই চোখে পড়ছে, সেখানে কোনো দৃষ্টি নেই। কিন্তু বিপদের আসল রূপটা সেইই চিনতে পারছিল সবচেয়ে বেশি, বুঝতে পারছিল একটু নড়লেই কত দ্রুত তাকে গিলে নিচ্ছে কাদা।/ আজও তার অন্তরাত্মা এক আঁজলা জলের জন্য হাহাকার করছিল/ যেন ভিড়ে থাকা, কারও সঙ্গে থাকা তার বেঁচে থাকার পক্ষে খুব জরুরি। “ … গল্পটির মনে হয় দুইটি ফিল্টার রয়েছে, একটি দর্শকের জন্য, আরেকটি মূল চরিত্রের একান্তই নিজস্ব। এভাবে দুইদিক থেকে দেখে লেখক ঘুরিয়ে এনেছেন পুরো গোলকটি।
    "হা দেখ কত্তা, বইসতে পিঁঢ়া দুব, ভাত খাইতেও দুব, কিন্তুক জল দিতে লাইরব।"…আঞ্চলিক ভাষার সার্থক ব্যবহার গল্পটির বিশ্বাসযোগ্যতাকে অনন্য মাত্রা দিয়েছে।
    "হায় গ্য, তুমার মরণকালে কেউ তুমার সঙ্গে থাইকবেক নাই, তুমি মইরবে একা, বেবাক একা।/কাদামাখা দেহটাকে প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা সাদা কাপড়ে জড়িয়ে যখন এম্বুলেন্সে তোলা হল, তখনও লোকটার পুরু ঠোঁটে কাদার সঙ্গে মিচকে হাসি লেগেছিল।“ …শেষের দিকের এই চাবুকগুলি পাঠকের চিরদিন মনে থাকবে, এত তীব্র আর জীবন্ত ছিল এদের ঘা।
    জানি না, সামান্য পাঠক আমি, কিন্তু মনে হয়েছে, আমাদের সাহিত্যের বিশাল সড়কে ‘অ-মৃত’ শুধু জায়গাই করে নেবে না, টিকে থাকবে বহুকাল, আমাদের চেতনাকে নাড়া দিতে, যেখানে আমাদের কনসেন্স ‘বড় বড় বুদবুদ’ এর মত “অনবরত ওঠে, ভাঙে, আবার উঠে আসে!”
     
  • বিপ্লব রহমান | ০৬ অক্টোবর ২০২২ ০৭:১১512562
  • চাবুক লেখা! 
     
    একদিন প্রতিভা সরকার দিদির মতো করে লিখবো। yes
  • কুণাল বিশ্বাস | 2402:3a80:4129:51dd:278:5634:1232:***:*** | ০৬ অক্টোবর ২০২২ ১০:৪৮512568
  • খুব ভালো লাগল দিদি। প্রায় সাংবাদিকের বয়ানে লেখা এই গল্প মনে থাকবে। ডাইনির স্মৃতিচারণে গল্পের গতি হেরফের অসম্ভব ভালো লেগেছে। 
  • সুরশ্রী ঘোষ সাহা | 2409:4060:2e10:7d21::c60b:***:*** | ০৬ অক্টোবর ২০২২ ১১:২০512569
  • এক ভয়ানক অভিজ্ঞতার সাক্ষী থেকে গেলাম মনে হচ্ছে। জানি না এমন নিঁখুত জীবন মরণ ছবি কীভাবে আঁকা যায়!
  • সায়ন্তনী নাগ | 2409:4060:2e08:9055::2c9:***:*** | ০৬ অক্টোবর ২০২২ ১৩:২৬512572
  • এ লেখা বাকরুদ্ধ করে দেয়
  • প্রজ্ঞাপারমিতা | 223.223.***.*** | ০৬ অক্টোবর ২০২২ ১৭:৫১512575
  • বিবশ হয়ে উঠলো শরীর মন.....কী অকৃত্রিম....কী অসম্ভব জীবন সংলগ্ন 
  • অনুরাধা কুন্ডা | 2409:4061:4e07:e579:fde6:3b1a:def3:***:*** | ০৬ অক্টোবর ২০২২ ১৮:৩৫512576
  • বাকরুদ্ধ। কী যে লেখো তুমি।
  • সিদ্ধার্থ মজুমদার Siddhartha Majumdar | 103.77.***.*** | ০৬ অক্টোবর ২০২২ ২১:১৩512582
  • উফ.... কী সাংঘাতিক....  এ তো গল্প নয়..  তবে ঠিক কী?  জানি না,  বলতে পারব না। পুজোর আগে দাদার বাড়িতে গেছিলাম, কেষ্টপুর ২০৬ বাস ট্যান্ড খেয়াঘাট ব্রিজ পেরিয়ে সল্টলেক হয়ে। ফেরার সময় নতুন হওয়া ব্রিজ হয়ে।  খাল না কি ড্রেজিং হয়েছে শুনেছিলাম বটে।...  কিন্তু একটা মানুষ ওই নোংরা পুঁতিগন্ধময় জলে একটু একটু করে ডুবে মরে যাচ্ছে। ভয়ংকর দৃশ্য মরে যাওয়ার আগে সেই মানুষটির মনে পড়ে যাওয়া অজস্র কথা,  আর পাড়ে দাঁড়ানো বস্তির মানুষগুলির সেই দৃশ্য দেখার বর্ণনা সব মিলিয়ে যেন আমি যেন দেখতে পাচ্ছিলাম।  ভয় আতঙ্ক, যন্ত্রণা,  নির্দয়তা এইসব কিছু এত ভিভিডলি আঁকা হয়েছে,  এ নিছক গল্প হতেই পারে না যেন। এমন শক্তিশালী মেধাবী আর কল্পনাপ্রবণ  কলম আমি সত্যিই আগে পড়ার অভিজ্ঞতা হয়নি। কুর্ণিশ জানাই এমন অসাধারণ লেখককে। 
  • শুভ্রা মজুমদার | 2409:4060:402:bba2::204f:***:*** | ০৭ অক্টোবর ২০২২ ০০:৫৭512589
  • উফ্! অসহ! পাঁক ঘুলিয়ে গা গুলিয়ে ওঠে! 
    এদের দেখা পাও কোথায়!! আর কী অবলীলায় ঘাঁটো পাঁক! ভয় করে না?
     
  • Amit Sarkar | ০৭ অক্টোবর ২০২২ ১১:৩৮512593
  • সাহিত্যে কিছু কিছু প্রসঙ্গ নিয়ে বিতর্কের সমাধান আমি এযাবৎ পাইনি। সেগুলি হল, সাহিত্যে সামাজিক দায়বদ্ধতা   কতটা জরুরী ? সাহিত্য বিচারে নান্দনিক সৌন্দর্যের ভূমিকা কতটা, আদৌ কী তা লেখায় প্রয়োজনীয় ? একজন    লেখক  মানেই তিনি একজন প্রতিবাদী  সত্তা হবেন, সমাজের বিবেকের ভূমিকায় তাঁকে সারাক্ষণ অভিনয় করে যেতে হবে, এই আরকিটাইপ কতটা জরুরী ? তাঁকে কি সমাজে ঘটে যাওয়া অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে, অথবা   রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের জন্য, অথবা অন্য কোনও সদ্য ঘটে যাওয়া ইস্যুতে প্রতিবাদে গর্জে উঠতেই হবে ?  কেন এবং কেন ? এ তর্ক বহুদিনের এবং সম্ভবত আজ অবধি অমীমাংসিত।     
    প্রসঙ্গটা উঠে এল আমার একজন প্রিয় লেখক, প্রিয় সমাজকর্মী এবং প্রিয় মানুষ প্রতিভা সরকারের অ-মৃত গল্পটি পড়তে গিয়ে। তাঁর যে কোনও প্রকাশিত লেখা আমি পড়ি, এবং খুঁজে পড়ি। স্যোশাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত কুঁড়েমির কারণে হয়তো সবসময় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে উঠতে পারি না, তবু তাঁকে ফোন করে অন্তত জানাতে ভালবাসি।  যাই হোক এই গল্পটি যার বিষয়ে আমার এই প্রতিক্রিয়া, সেটি একটি ভয়াবহ সামাজিক ডেকাডেন্সের পটভূমিকায় ঘটে যাওয়া একটি আরও ভয়াবহ ঘটনার এক নির্লিপ্ত ডেপিকশন। এখানে নান্দনিক ভাষা নেই, মৃত্যু নিয়ে  পরিচিত কবিত্বের লুসিড ইনফিল্ট্রেশন নেই। লেখকের নিজস্ব সামাজিক অবস্থান থেকে কোনও দৃশ্যপটের মায়োপিক বর্ণনাও নেই। (আমি ওঁর ব্যক্তিগত পরিচিতির কথা জানি বলেই এই বাক্যটি লিখলাম।) এখানে  সাবঅল্টার্ন মানুষের মুখের ভাষাকে একদম র ফরম্যাটে তুলে আনা  হয়েছে। এবং এই গল্পের ডিসকোর্স তাঁর নিজস্ব সিগনেচার টিঊন। এটা আমরা সবাই জানি, সাহিত্যিকরা পরিপূর্ণভাবেই সামাজিক জীব, অতএব পরিচিত সামাজিক লেয়ারের ভেতর থেকেই তারা সংগ্রহ করবেন তাদের সাহিত্যের র মেটিরিয়াল, এটাই স্বাভাবিক। তাঁদের পরিচিত লেয়ারের মানুষগুলোর দুঃখ-দুর্দশা, রাজনৈতিক চিত্র, চিন্তা-চেতনা, বিশ্বাস- অবিশ্বাস, যৌনতা এগুলোকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠবে তাঁদের প্রতিটি চরিত্র। প্রতিভা সরকার এই অংশে অনিবার্য ভাবেই ব্যতিক্রমী, এবং উত্তীর্ণ।  আর তাই তাঁর যে কোনও লেখার সাবটেক্সটে সাবঅল্টার্ন সমাজের বা অন্য যাপনের প্রতি এক  ধরনের গোপন দায়বদ্ধতা আলটিমেটলি আমার চোখে ধরা পড়ে, এবং এই গল্পটি তার আরও একটি উজ্জ্বল  উদাহরণ। তবে তিনি শুধু মাত্র সময়ের অসুস্থ স্রোতকে এস্থেটিক্যালি বর্ণনা করেননি, হয়তো বা একটা গোপন দ্বন্দের চোরাবালির স্পেসে পাঠককে ছেড়ে দিয়েছেন। সচেতন এবং অবচেতনের যৌথ প্রচেষ্টায় এই গল্পটি আপনাকে ভাবিয়ে তুলবে, তার ফর্ম আর শ্যাডো আপনাকে তাড়া করবে অনেকদিন। প্রতিভাদি সম্ভবত এটাই  চেয়েছেন ।     
     
     
  • তৌহিদ হোসেন | 2402:3a80:1cd1:e08d:278:5634:1232:***:*** | ০৭ অক্টোবর ২০২২ ১৮:৫৬512603
  • এমন দরদ ও নির্লিপ্তির যুক্তবেণী, এমন বর্ণগন্ধময় জ্যান্ত ভাষা, এবং শ্বাসরোধ করা আখ্যান খুব কম পড়েছি। আচ্ছন্ন। ❤
  • তপনজ্যোতি মিত্র | 101.18.***.*** | ০৮ অক্টোবর ২০২২ ১৯:০৭512628
  • কী তীব্র, গতিময় আপনার এই  মরমী লেখাটি, একেবারে মর্মে গিয়ে আঘাত করে, বাকরুদ্ধ করে দেয় !
     
  • রুমেলা | 2405:8100:8000:5ca1::61:***:*** | ০৮ অক্টোবর ২০২২ ২২:৫৮512634
  • ভয়ংকর এই সমাজ ভয়ংকর আমরা
  • নন্দিতা মিত্র | 2409:4060:2d9e:5b2c:6065:1698:5dab:***:*** | ০৯ অক্টোবর ২০২২ ০৩:৪২512643
  • কী মারাত্মক গল্প। এত নিখুঁত বর্ণনা দেওয়া খুব সহজ কথা নয়। লোকটির যন্ত্রণার সাথে সাথে মানুষের নির্লিপ্ততা দেখে মন আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। নিজেকে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হয় আমি ঐ জায়গায় উপস্থিত থাকলেও কি এ'ভাবেই প্রতিক্রিয়া দেখতাম? 
  • Kishore Ghosal | ০৯ অক্টোবর ২০২২ ১১:৪৭512648
  • সভ্য মানুষের মুখোশটা খসে গেল - কী দিয়ে লুকোবো নিজেকে?  শিউরে উঠলাম। 
  • Swapan kumar Bhattacharya | ০৯ অক্টোবর ২০২২ ২১:১০512666
  • Swapan Kumar Bhattacharya একটা মারাত্মক গল্প । মাথায় মধ্যে সব ওলট পালট হয়ে যায় । অসাধারণ ।
  • স্বাতী রায় | 117.194.***.*** | ১১ অক্টোবর ২০২২ ১৩:৩৪512712
  • এই গল্পটা পড়তে পড়তে কেমন যেন রিপালশন অনুভব করছিলাম। প্রথম দিন পড়তে গিয়েও কিছু দূর এগিয়ে আর শেষ করতে পারিনি। আজও অনেকটা জোর করেই পড়লাম। মজে যাওয়া পূতিগন্ধময় খালের ও এমন সুচারু বিবরণ হয় ! পড়তে পড়তে একেক সময় মনে হচ্ছিল যেন ভাষার অলঙ্কার প্রতিভাদি স্বেচ্ছায় সযত্নে গড়ে তুলেছেন, যাতে সেই মানব নির্মিত অলঙ্কারের বিপ্রতীপে ঘটনার জীর্ণতা আরও আরও ভাল করে ফোটে। ভাষার সৌকর্য যেন এখানে ঘটনাকে বিপরীত ব্যঞ্জনায় প্রকাশ করার জন্য নিজেই এক চরিত্র হিসেবে নির্মিত। 
  • ঈপ্সিতা নাথ চন্দ | 2402:3a80:1989:1cc7:578:5634:1232:***:*** | ১৩ অক্টোবর ২০২২ ২২:০৬512821
  • অপূর্ব লাগল৷ গভীর মনোস্তাত্ত্বিক গল্প৷
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন