প্রেমিক
ছলের দরোজা পেতে, রোজ রোজ কাহাকে কাঁদাও
ওপাশের নীল নদী
ঘনাকার শ্বেতশুভ্র বন
ওপাশেই ভেসে যাওয়া অভিমান গোপন সরণ
প্রত্যহের ঘর ভেবে তার কাছে বসত গোছাও
সেও কি নীলিমা বোঝে! সেও বোঝে গোপন জন্নত!
রোজ রোজ কাহাকে কাঁদাও?
হেমন্ত
এসব গোধূলি আলো
স্বজন হারানো লোভে একা
পথেই পায়ের ছাপ তারপাশে লিখে রাখা ঘাতক আলোয়
আঁকশি ফেরানো চোখে
ফেরা যায়! বলো!
দেহ নেই! জন্ম নেই
মাতৃহননের সুরে
কাকেই বা প্রিয় ডাকি, কাকে যে দেবতা !
এসব গোধূলি আলো একা...
সন্ধ্যা
কাকে বল ছায়া?
আলোর দরজা পেতে, রোজ সেও হেঁটে গেছে জারুল বাগানে
মৃত গাছেদের চোখে ঘৃণা জন্ম নিতে দেখে--
চুপচাপ পুঁতে দেয় ক্ষুধার ছোবল
সহজ প্রাকৃত লয়ে, সুর বাঁধে
ছায়া নামে
আলোর মতন
রোজ সেও হেঁটে গেছে
জারুল বাগানে...
দয়িতা
এই নাও সন্ধ্যাদীপ...
ভিক্ষালব্ধ ক্ষেত থেকে তুলে আনা স্পর্শের সীমানা
আরও চোরাগলি জুড়ে
নির্জন ঈশ্বর একা ধুনি জ্বেলে দেখে কিছু মশকের জ্বর
আরও হেঁটে যাওয়া এই হাঁটাপথ
গম্ভীর ভৈরবে
সমূহ মৃত্যুর বুক থেকে তুলে আনে তার
জীবন সূচক
দুহাত আড়াল করে প্রদীপ জ্বালাও
রাত জেগে
এই নাও সন্ধ্যাদীপ...
জ্বলো..
খিদে
কৃষ্ণ
এসব ঝড়ের কথা, সামান্য রোদের টানে
কোথায় হারায়...
তারপর, ফুল খোঁজে। ফল খোঁজে। খুঁজে রাখে বিশল্যকরণী...
জ্বরের শরীরে ঘোরে। জল চায় মূঢ় অভিযোগ
তরুণ পাখিটি জানে ডানার সঙ্কেত বড় অভিমানপ্রিয়
সরীসৃপ নদী যেন; দু'কুল সবুজ
এখানে ঝড়ের কথা সতর্কসংকেত
এখানে ঝড়ের কথা
অভিমানী খুব
সুন্দর
তুমি কি আজ জলের মতো সোজা
স্রোতের টানে ঢালুর দিকে নামো
তুমি কি আজও জলের মতো সোজা
যেমন ভাবে পাথর জেনে তাকে
ইচ্ছেমত বালির বাঁধে বাধো
সন্তান
অথচ, চিনিনা তাকে
হাতের আড়াল হলে নিভৃতচারিনী
স্নেহ ছলে, আলো ছলে
বারবার দেখি...
বিষণ্ণ আদল মেয়ে
স্তন পেতে বলি ' ক্ষুধা নিবি...'
লজ্জা
যতই আড়াল টানি...
বিপরীতে ঢেকে রাখি মুখ
লিখে রাখো পোড়া দাগ।
সাজানো ম্যানারিজম... খাদের ধৈবতে
ওপাশে ক্ষতের ঘরে প্রত্যহের দাবার চালক
শিরদাঁড়া বেয়ে ওঠে কালনাগ পোষা;
অথচ প্রকৃত বিষধর
এসব চোখের কাছে, বলো
বলি দেব লালসুতো, ইঁদুপরব!
যতই আড়াল টানি...
শিরদাঁড়া বেয়ে ওঠে কালসাপ, পোষা!
জগন্নাথ
তোমাকে প্রতীকী ভেবে
এই পুজো
নৈবেদ্য সকল
খুঁত থেকে বাঁচিয়ে রেখেছি
তোমাকে প্রতীকী জেনে
একটাই সমর্পণ, গান
তুলে দিই ভোরের সকালে