একটা বিড়াল। আর তপস্বী। বিড়ালের রং সাদা, তাই পয়া। দুধটি, কলাটি বেশ জোটে। চুকচুক করে খেয়ে আসছে এতকাল। কিছু প্রাপ্তি ঘটলেই দুনিয়া সুন্দর মনে হয়। সেও ভাবল, মানুষ ভালো এবং সুন্দর।
তপস্বী সাদা না। কিন্তু তার গোঁফ এবং দাড়ি সাদা। যদিও তার চুলের অর্ধাংশ ছিল কালো। একটা কারসাজি করে সাদা করা হল। পারফেক্ট লুক চাই। চুল হল পরগাছা। এত কারসাজি সহ্য করতে না পেরে গেল উঠে। এই উপমহাদেশ ততদিনে জেনে গেছে, তপস্বী মানে সর্বশক্তিমান! অযোনিসম্ভূত! দমবার পাত্র তো নয়ই। খালি মাথা তো আর রাখা যায় না।সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে লেজ কেটে চিপকানো হল মাথায়। বেড়ালের লেজ মাথায় দেখে, উপমহাদেশ ভাবল মিরাক্কেল! অলৌকিক ঘটনা না ঘটা পর্যন্ত বিশ্বাস পাওয়া যায় না জনগণের। পেছনের লেজ মাথায় দেখে জনগণ আচম্বিত।
কিন্তু ভালো যত মন্দ তত! ভক্তের সঙ্গে ছুটল বিরোধীও। তদন্ত হলো, লেজ কার! কিন্তু তপস্বী ততদিনে ঢুকে পড়েছেন মায়ামোহময়ে।
যাইহোক, তপস্বী চললেন বিড়াল থেকে বেরোতে। খোঁজ খোঁজ... কোথায় পাওয়া যাবে সেই পুণ্যভূমি! বিরোধী-পাপ থেকে মুক্তি পেতে হবে। এবং যেখানে জড়িয়ে থাকবেন দেশের মহাত্মারা...
শেষ পর্যন্ত পাওয়া গেল। নির্জন তটভূমি! অকুতোভয় তপস্বী ততদিনে সাক্ষাৎ অবতার। অখণ্ড পুরাণ বলছে— তিনিই প্রথম, তিনিই শেষ! সঙ্গে সঙ্গে গুণমুগ্ধ ভক্তের হাততালি। আর দোষযুক্ত শত্রুর দলকে কব্জা করছে আইটি সেল।
তটভূমি। পাশেই আবার নিরক্ষরেখা। 'এই গরমে তপস্যা!' তপস্বী ধ্যানে নিবিষ্ট হতে পারছেন না। ফলে, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত।
সিকিউরিটি? কেননা, দোষযুক্ত বিরোধীপক্ষ।
আর চোখ পিটপিট তাকানো?
আরে বাবা! বেড়ালের ম্যাও...ম্যাও...
সর্বগুণযুক্ত, সর্বদোষমুক্ত বলে কি আর বেড়ালের গল্প শুনবে না!
কিন্তু প্রশ্ন, তপস্যারত তাও সামনে ক্যামেরা!
লেজ যার যায়, সেই বোঝে...