★
দক্ষিণ কলকাতার প্রাচীন লাইব্রেরী বালিগঞ্জ ইন্সটিটিউটের এক প্রবীণ সভ্য কিশোর বয়সে বেশ কিছুদিন গান শিখেছিলেন তাঁর কাছে। কাঁকুলিয়া - ফার্ণ রোডের বাঁকে একতলার একটি ঘরে। একবার উনাকে বলেছিলাম তাঁর কথা বলতে। ভারি সুন্দর কথা বলেছিলেন আদত পূব বাংলার মানুষটি।
-- " তাঁর কথা তো পাইবা বইয়ের পৃষ্ঠায়। বাপ মায়ের এগারো সন্তানের এগারো নম্বর। যারে কয় 'পসথুমাস চাইল্ড ' -- বাপের মৃত্যুর পরে জন্ম। মা সারাজীবন অপয়া, অলক্ষুইনা কইয়া গেল আর মেজদা,সেজদার আদরে যত্নে কখন য্যান বড় হইল। গান শিখাইতে কাঠপ্যাকাটি পুড়াইতে হয় নাই।পাঁচ ছয় বছর বয়সেই মেজদাদার গানের নকল করত। আত্মীয় কুটুম সেই গান শুইনা চার আনা আট আনা দিলে সংসার খরচে লাগত।
আছে তো এইসব বইয়ে লিখা। কিন্তু যা লেখে নাই, তা লিখা আছে কত মাইনষের হৃদয়ে। পারলে খুঁইজা লইয়ো, মনা।
জানোতো, তাঁর সব থিকা বড় গুণ , গান শেষ হওনের পরেও একটা রেশ থাইকা যায়৷ধরো, কালিঘাটের মন্দিরের সামনে তাঁর গান শুনলা... তারপর ট্রামে উইঠা বালিগঞ্জে আইলা, সারাক্ষণ তোমার মনে তোমার কানে বাজতে থাকব সেই "মা" সুরের আর্তি।
আজকালের মতন সিন্থেটিক নয়-- আদত, আসল।
এমনটাই তিনি। "
★
সাল, তারিখের হিসেব বলছে, ৫৬ বছর তিনি নেই। প্রতিদিন সকালে কালীকথার আসরে 'কে বলে গো সেই প্রভাতে নেই তিনি?'
তিনি অবশ্যই আছেন।
কালীপুজোর দিন তিনি ভীষণভাবে জীবন্ত।
রেকর্ড বা রেডিয়োর গান নয়, অনলাইনে সিঙ্গলস শোনার যুগ। পাড়ার পুজোয় বা বিয়েবাড়িতে ইউটিউবে গান বাজে। তার পরেও প্রতি বছর কালীপুজো এলেই পান্নালাল ভট্টাচার্য ফিরে ফিরে আসেন।
কালীপুজো হচ্ছে অথচ মণ্ডপে এক বার অকালপ্রয়াত শিল্পীর গাওয়া ‘মায়ের পায়ের জবা হয়ে ’ অথবা ‘আমার সাধ না মিটিল ’ বাজবে না , এটা আজও অকল্পনীয়৷
তাঁর সেই আকুতি মাখানো ‘মা’ ডাক না শুনলে বাঙালি যেন তৃপ্তি পায় না। যুগের পর যুগ কেটেছে। পান্নালাল যেন বহুমূল্য রত্ন পান্নার মতোই উজ্জ্বল।
মাত্র ৩৬ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেও আজও বাঙালির চিরআত্মীয় হয়ে রইলেন পান্নালাল ভট্টাচার্য।
★
পড়তেন বালির রিভার্স টম্পসন স্কুলে। স্কুলের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে গান গাইতে হবে। উত্তরপাড়ার রাজবাড়িতে আয়োজিত ঐ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শরৎচন্দ্র। গান শেষ হলে প্রবল হাততালিতে মুখর হল রাজবাড়ি। শরৎচন্দ্র আসন ছেড়ে উঠে এসে বালকটিকে আশীর্বাদ করে পুরস্কারস্বরূপ তুলে দিয়েছিলেন ৫ টাকার একটি নোট। সেই বালকটি পরবর্তীকালে বাংলার অন্যতম সেরা গায়ক হয়ে উঠতে পেরেছিলেন। তাঁর নাম
পান্নালাল ভট্টাচার্য।
শরৎচন্দ্রের হাত থেকে পাওয়া ৫ টাকার নোট তাঁর সারা জীবনের সেরা পুরস্কার বলে মনে করতেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তাঁর মেজদা ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য ও একই রকম পুরস্কার পেয়েছিলেন শরৎচন্দ্রের হাত থেকে।
★
অতটুকু ছেলের কোনো সুরচ্যুতি নেই। সেও যেন মেজদার মতই আলাদা। ছোট থেকেই ভাই বোনের আদরের পানু ছিল অসম্ভব ডাকাবুকো...দুরন্ত। আর তার সঙ্গে ছিল দুষ্টুমি। মেজদা তাঁকে গান শিখতে জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের কাছে পাঠান।
জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের কাছে কদিন শেখার পর তেমন আগ্রহ না দেখে তাঁকে যামিনী গাঙ্গুলির কাছে পাঠানো হল। সেখানেও সঙ্গীতশিক্ষা শেষ করতে না পারায় শেষমেশ মেজদা নিজেই শেখাতে থাকেন তাঁকে।
গান ছাড়া পান্নালালের ছিল ঘুড়ি ওড়ানো, রান্নার, মাছধরার আর ফুটবল খেলার নেশা ।
ফুটবল বলতে যেন অজ্ঞান ছিলেন পান্নালাল। পাক্কা মোহনবাগানী। ফুটবল খেলতে গিয়েই ঘটে ছিল গিয়েছিল এক মারাত্মক দুর্ঘটনা!
আগেকার সেই লেস বাঁধা ফুটবল সজোরে লাগে তাঁর চোখে। ডাক্তারদের আশঙ্কা ছিল দুই চোখের দৃষ্টিশক্তিই বুঝি চলে যাবে। প্রায় দু মাস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তবে সেরে ওঠেন।
★
আগেই বলেছি শ্যামাসঙ্গীত নয়, পান্নালালের প্রথম রেকর্ড আধুনিক গানের। আরো একটি রেকর্ড করার পর যখন দাদা শ্যামাসঙ্গীত গাইতে বললেন তখন একটু অভিমান হয়েছিল তাঁর।
রবীন্দ্রসঙ্গীতও গেয়েছিলেন পান্নালাল। একদিন উপস্থিত হয়েছিলেন রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। বললেন, আমি একটা রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইব, আপনি তুলে দিন। খুব সম্ভবত কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে গাইবার জন্যে তুলতে চেয়েছিলেন একটি রবীন্দ্রগান। চিন্ময়বাবু – ‘ভালো যদি বাস, সখী, কি দিব গো আর’ - গানটি পান্নালালকে তুলিয়ে দেন।
কাজী নজরুলের গান গেয়েছেন। ‘কালো মেয়ের পায়ের তলায়’ কে ভুলতে পারে?
এমনকি গানও লিখেছেন তিনি শ্রীঅভয় ছদ্মনামে।
★★
১৯৪৭ সালে প্রথম মেগাফোনে শুনতে পাওয়া গেল পান্নালালের কণ্ঠ। তখন তাঁর মাত্র সতেরো বছর বয়স।
এখানে একটু গল্প আছে।
তিনি আর প্রাণের 'দোস্তো' সনৎ সিংহ প্রথমে গিয়েছিলেন এইচ এম ভি তে অডিশন দিতে। দুজনেই 'রিজেক্টেড'। সেদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন কুমার শচীন দেব বর্মণ।পান্নালালকে কাছে ডেকে বলেছিলেন - 'বাংলা গান গাইতাসো, শুধু সুর থাকলেই অইব না। কথার ভাবটাও বুঝতে অইব।'
মেগাফোন রেকর্ডে একের পর এক শ্যামাসঙ্গীতে মুগ্ধ শ্রোতারা লুটিয়ে পড়েন মায়ের চরণতলে। রাষ্ট্র হয়ে যায় পান্নালালের ঐশ্বরিক প্রতিভার কথা। রামপ্রসাদের রচনা ও সুর পূর্ণতা পায় যাঁর কণ্ঠে ।
পরে বেশকিছু আধুনিক গানও গেয়েছিলেন পান্নালাল। ‘রুপালি চাঁদ জাদু জানে’, ‘তোমার উৎসবে আমারে তো ডাকো নাই’, ‘তোমার মতো আমিও তো কত সয়েছি’-র মতো জনপ্রিয় সব আধুনিক গান আছে তাঁর।
এই রূপালি চাঁদ... গানটি নিয়েই তো গল্প আছে। যাকে বলে - আরো দুইখান!
ইউনিভার্সিটি ইন্সটিটিউট হলে শচীন দেব বর্মণের অনুষ্ঠান। হল উপচে পড়ছে শ্রোতায়। ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য গোটা তিনেক গান গাইবেন। তার অনুরোধে ছোটভাই পানু র একটি গান রাখতে রাজি হয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
পান্নালাল গাইলেন সেই অপূর্ব গান -- ' রূপালি চাঁদ যাদু জানে '। শচীন কর্তা তাকে কাছে ডেকে নিয়ে বলেছিলেন - ' কেয়াবাত! এমন ভাবেই সঙ্গীতে থাইকো।' এমনকি গানটির নোটেশনের একটু অদলবদলও করে দিয়েছিলেন। এখন যে গানটি শুনি সেটি ওই পরিবর্তিত নোটশনেরই।
দ্বিতীয় গল্পটি সুমিতা সান্যালের। রেডিও ইন্টারভিউ তে বলেছিলেন।
চিত্রভিনেত্রীসুমিতা সান্যাল ছিলেন দার্জিলিংয়ের কনভেন্টে পড়া মেয়ে। বামঘেঁসা। তখন কেরিয়ারের মাঝ আকাশে। বিয়ে করেছিলেন বিখ্যাত চিত্র সম্পাদক ( ফিল্ম এডিটর) সুবোধ রায় কে। ( উনি তপন সিংহ মশাইয়ের প্রায় সব ছবি - কাবুলিওয়ালা থেকে বাঞ্চারামের বাগান...সম্পাদনা করেছিলেন)।
তখন তাদের 'ডেটিং পর্ব ' চলছে। সুবোধ বাবু ভাল গাইতেন। সুমিতা আবদার করেছিলেন একটি গান শোনার।
' পান্নালাল ভট্টাচার্য র গান শোনাবে? '
( পাঠক, এ যেন সেই ডায়ালগ-- আমায় একবার উত্তমকুমার বলে ডাকবে--স্থান কাল পাত্র ভেদে অন্যভাবে বলা। আজকের 'কাঁচা বাদাম' মনস্ক শ্রোতারা হয়ত বুঝবেন না।)
সুবোধবাবু গেয়েছিলেন সেই গান - রূপালি চাঁদ !
তবুও তাঁর প্রধান পরিচিতি শ্যামাসঙ্গীত শিল্পী হিসেবেই।
পান্নালাল বাবুর সঙ্গীত আর শিল্পীসত্ত্বা নিয়ে কিছু বলার ধৃষ্টতা আমার নেই। অতি বড় নাস্তিকও চোখের জল ফেলেছেন তাঁর গান শুনে। তার চেয়ে বরং দুটি অন্য কথা বলি।
★
মুন্সী মহম্মদ কাসেমের নাম শুনেছেন, পাঠক ?
তিনি কে. মল্লিক নামেই বেশি পরিচিত এবং এই নামে গান রেকর্ড করতেন।
তৎকালীন কলকাতার জার্মান রেকর্ড কোম্পানি বেকার প্রথম মহাম্মদ কসেমের গান রেকর্ড করে। বারোটি শ্যামাসংগীত রেকর্ড এর মাধ্যমে তিনি গ্রামোফোন শিল্পীরূপে আত্মপ্রকাশ করেন। মুসলিম গায়কের কণ্ঠে শ্যামাসংগীত শ্রোতার আদর পাবে না চিন্তা করে রেকর্ড কোম্পানির গোরাচাঁদ এবং শান্তি মল্লিক শিল্পীর প্রকৃত নাম প্রচ্ছন্ন রেখে কে. মল্লিক নাম দিয়ে গানের রেকর্ড প্রকাশ করেন। এভাবে তিনি কে. মল্লিক নামে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। কতটা জনপ্রিয় জানেন ?
১৯০৯-১৯১০ থেকে ১৯৪০ পর্যন্ত তিনি প্রচুর সংখ্যক গান রেকর্ড করেন। তার গান এত জনপ্রিয় ছিল যে, অধিকাংশ গানের রেকর্ড ৩০-৪০ হাজার কপি পর্যন্ত বিক্রি হয়। বিখ্যাত হওয়ার পর আরেকটি বিদেশি রেকর্ড কোম্পানি ‘হিজ মাস্টার্স ভয়েস’ তার গান রেকর্ড করে। তিনি ‘পণ্ডিত শঙ্কর মিশ্র’ নামে হিন্দি গানও রেকর্ড করেন।
মুন্সী মহাম্মদ কাসেম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, রজনীকান্ত সেন, অতুলপ্রসাদ সেন প্রমুখের গান, শ্যামাসংগীত, আগমনী গান, ইসলামি গান প্রভৃতি রেকর্ড করেন। রবীন্দ্রনাথের ‘আমার মাথা নত করে দাও হে’, অতুলপ্রসাদের ‘বঁধু এমন বাদলে তুমি কোথায়’ এবং নজরুলের ‘বাগিচায় বুলবুলি তুই ফুলশাখাতে দিসনে আজি দোল’ গানগুলি রেকর্ড হলে সুধীমহলে প্রচণ্ড আলোড়নের সৃষ্টি হয়।
সে কথা থাক।
স্ত্রী -কন্যাসহ পান্নালাল ভট্টাচার্য
একবার সে হেন বিখ্যাত কে. মল্লিকের পাড়ার অনুষ্ঠানে ধনঞ্জয়বাবু একঝাঁক শিল্পী নিয়ে গিয়েছেন গান গাইতে। হঠাৎ ধবধবে সাদা চুল-দাড়ির এক বৃদ্ধ এসে সেই দলের মধ্যে কাকে যেন খুঁজছেন। তিনিই বিখ্যাত শ্যামাসঙ্গীত শিল্পী কে মল্লিক। সবাই তাঁকে প্রশ্ন করছেন, কাকে খুঁজছেন তিনি? উত্তরে সবাইকে চমকে দিয়ে তিনি বলেছিলেন, পান্নালালকে। উনাকে তখন তাঁর সামনে দাঁড় করাতেই কে মল্লিক নাকি জড়িয়ে ধরে অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন, ‘‘এমন ভাবে কী করে গান গাস তুই? কী করে এমন করে মাকে ডাকতে পারিস?’’ সেদিন সবাই স্তব্ধ হয়ে দেখেছিলেন, এক সাধক-গায়ক কী ভাবে তাঁর যোগ্য উত্তরসূরীকে চোখের জলে বরণ করে নিচ্ছেন।
ধনঞ্জয়েরও ভাইকে নিয়ে প্রচ্ছন্ন গর্ব ছিল। তিনি বলতেন, অসংখ্য ‘‘শ্যামাসঙ্গীত গাওয়ার পরেও পান্নার মতো আমি ওরকম নাড়ি ছেঁড়া ‘মা’ ডাক ডাকতে পারলাম কই?’’
★
আমার সতুকাকার একজন বন্ধু ছিলেন -- দিলাকাকু। বাড়ির, পাড়ার এমনকি বন্ধুমহলেও তিনি বিখ্যাত ছিলেন দিলা নামে। আমরা অনেকেই জানতাম তার নাম দিলীপ চৌধুরী। তিনি ছিলেন পান্নালাল বাবুর ছাত্র এবং খুব কাছের জন।ভারি মিঠে ছিল তার কন্ঠের শ্যামাগান। পান্নাবাবুর গানের অনুষ্ঠানে তিনি থাকতেন পাশে পাশে। তবলিয়া না এলে দিলাকাকুই বসে যেতেন সঙ্গতে।
একবার কালিপুজোর পরে এক 'ফাংশনে' যাচ্ছেন তারা। রাস্তায় দেখেন একটি কুকুরের ল্যাজে চরকিবাজি বেঁধে আগুন লাগানোর তোড়জোড় করছে কয়েকটি মাতাল যুবক। দিলাকাকু গাড়ি থেকে নেমে তাদের নিরস্ত করতে গিয়ে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। একজন তার মাথায় বোতল দিয়ে আঘাত করেন।পান্নালাল বাবু নেমে এসে রক্তাপ্লুত দিলাকাকুকে বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যান। খাতায় নাম লেখাবার সময় জানতে পারেন দিলার পুরো নাম -- দিলাওয়ার চৌধুরী।
দিলাকাকুর কানে কানে পান্নালাল নাকি সেদিন বলেছিলেন -- ' মা তোকে নিয়ে এসেছে আমার কাছে। যাবার আগে পূর্ণ হলাম রে। '
আর দিলাকাকু ? উনি বলতেন - " উনি তো তোদের কাছে পান্নালাল। আমার উনি চুণিলাল। জানিস তো, জীবনানন্দ দাশ যেদিন দেশপ্রিয় পার্কের কাছে ট্রামের নীচে পড়ে যান, সামনের চায়ের দোকানী চুণিলাল তাকে শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন। তেমনি তো উনিও আমার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন। উনিই আমার চুণিলাল।
★
তাই হয়ত তিমিরহননের কবির মতনই একবুক দুর্জ্ঞেয় অভিমান আর বিপন্নতা নিয়ে এক কাকভোরে সাতটি তারার তিমির মাখা ছায়াপথে রওয়ানা হয়েছিলেন তিনি।
তথ্যসূত্র -
১) দীপঙ্কর ভট্টাচার্য্যের সাক্ষাৎকার (২৭ অক্টোবর, ২০১৯, এন.ডি.টি.ভি. বাংলা)
২) শুভজিত সরকার
, Nov.2020.