‘এক গোলি মে আনা-যানা
দো গোলি মে ব্যোম
গাবরমিন্টকো মারো গোলি
রাজ করেঙ্গে হম!’
কী সব্বোনেশে ছড়া রে বাবা! ভাবছেন বুঝি পুলিশে পাকড়াবে যে—বোম, গোলি…। না-না-না, ঘাবড়াবেন না, বোম শব্দে য-ফলাটা মিস না করলেই মালুম চলবে এ গোলি সে গোলি নয়। সে গোলি তো অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে তৈয়ার হয় লাখে লাখে, সুইচ মারলেই হল। এ গোলি তৈয়ারিতে চাই হাজার বছরের তুরীয় পরম্পরার এক্সপার্টিজ। তা কোনো কারখানার কম্মো নয়। এ গোলি যে জাদু গোলি ভায়া। এর জন্য চাই সমুদ্রমন্থন!
বৈচিত্র্যময় ঐক্যের আশ্চর্য উদাহরণ এই পেন্টিং। সমুদ্রমন্থন। সপ্তদশ শতকের বিশিষ্ট মুঘল শিল্পী নূর মহম্মদ চিত্রিত।
কী বিচিত্র এক জাদু-গাছেরই না পেটেন্ট নিলেন গো, ব্যোমভোলা শিবঠাকুর! সিদ্ধিতে, গাঁজাতে, চরসে—গোটা দুনিয়াকে ধুনকিতে ভাসালেন... ঠান্ডাই খাইয়ে ছাড়লেন! উনিশ শতকে লেখা মহেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের ‘চার ইয়ারে তীর্থযাত্রা’য় এই পূজ্য পরিবারটির ফ্যামিলি ট্রি বন্দিত করেছেন—
‘গাঁজার রাজার মতো এক পুত্র আছে।
সর্ব্বদা ফেরেন তিনি বাবুদের পাছে।।
চরস তাহার নাম অতি চমৎকার।
যাহা খেলে রগ ধরে রূপ অন্ধকার।।
গুলির ছেলের নাম জটাধারী সিদ্ধি।
যাহারে খাইলে হয় হতবুদ্ধি বৃদ্ধি।।’
***
ভাংকে লোকমুখে কলকে দিয়েছেন গাঁজার চিরসবুজ পাতাটি। সারা উত্তর-পশ্চিম ভারত তো বটেই, আমাদের শ্যামলবরণী এই বঙ্গদেশেও সেবস্তুটি সগুষ্টি জাঁকিয়ে বসেছে। আমাদের দোলে ভাঙের এই আমদানি, বোধহয়, ভিনরাজ্যের হোলি থেকেই হয়েছে। নইলে এ বাংলায় ভাং বা সিদ্ধি ব্যোমকেশেরই প্রসাদ, কেষ্টঠাকুরের নয়।
ভাং ছাঁকছেন শিব ও পার্বতী। শিল্পী সজনু। আনুমানিক ১৮১০-১৮২০। গুলের / মান্ডি/ কাংড়া শিল্পরীতির চিত্রকলা (ছবি সৌজন্য উইকিপিডিয়া)
‘ভাং’ বা সংস্কৃত ‘ভঙ্গা’-র জন্ম যে ‘ভঙ্গ’ শব্দটি থেকে, আর তার এক অর্থ যে মত্ততাকারক, তা বোঝাই যায়। কিন্তু, আর এক অর্থে তাকেই বলা হয় বিজয়া। আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্যের ‘চিরঞ্জীব বনৌষধি’ বিষয়টি খোলসা করেছে। তান্ত্রিকদের মতে, শ্রবণা নক্ষত্রের উদয়ের সময় গাঁজা গাছে কচি পাতা বেরোয়, যেহেতু ওই নক্ষত্রের উদয়কালই হল শ্রাবণ মাসের উদয়কাল এবং তন্ত্রমতে ওই পাতার রস সেবনে প্রতিকূল বাসনার বিজয় করা যায়, তাই ভাঙের শ্রেষ্ঠ নাম ‘বিজয়া’। তা ছাড়া এই বিজয়ার রসে দেহকে আস্বাদনসিক্ত করাই দুর্গাপুজোর অন্তিম পুণ্য কাজ। যাঁরা গৃহী ও যাঁরা সংসারের মায়া-মুক্ত, উভয়ের কাছেই এ কারণে দশমীর নাম ‘বিজয়া দশমী’।
***
কলকেতার ভাং কালচার নিয়ে বলার মতো ধৃষ্টতা আমার মতো সংস্কৃতি-অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের নেই। সে জিনিসের সন্ধান আপনাকে করতে হবে ‘আলালের ঘরের দুলাল’, ‘হুতোমপ্যাঁচার নক্সা’-য়। সেকালের কলকেতার ‘কেতা ও মেজাপে’-র Warehouse-টির ডুপ্লিকেট চাবি থাকত এই দুজনের পাশপকেটে। (ভালো কথা, ‘মেজাপ’ পড়ে যাঁরা অভিধান হাতড়াচ্ছেন, তাঁদের মনে করিয়ে দিই, এটি হুতোমের মকশো করা শব্দ। সকল মেজাজের বাপ—মেজাপ! হেলাফেলার চিজ নয়।)
আর রামনিধি গুপ্তের কথা বলবেন না? নিধুবাবু ছাড়া কে টপ্পায় সিদ্ধি লাভ করেছে এমনতর?—
‘দেবেন্দ্র বোতল যোগাবে
নিশিকান্ত ভাঙের মালাই
আর হাই তুলিলে মারবে তুড়ি
ওমনি সে এক রামকানাই....’
***
এক্কেবারে প্রাকৃতিক ও ভেষজ উপাদানের মধ্যে থেকে কলকাতা যে তুরীয়ানন্দ লাভ করে চলেছে, সাবেককাল থেকে তিন কাঠি আলোর দিন পর্যন্ত, সেই খুশির নেশার একটু সুলুকসন্ধান বরং করা যাক।
ম্যারাপ বাঁধার আগেভাগেই একথা বলে রাখি—বানারস-ইলাহাবাদ-গোরখপুরের মতো জাঁহাবাজ ভাঙের আশা আপনি ভুলেও সুতোনটি—গোবিন্দপুরের কাছে করবেন না। এটি আলাদা।
আহা, সেদিকের ভাঙের চলন যদি হয় ওঁকারনাথ ঠাকুরের মিহিদানার কাজ... সুরময়, এদিকেরটি কাব্যিক... যেন নীরেন্দ্রনাথের ‘বাতাসী’। মাটির নুন-চুনই বলুন বা চারার আচরণ—সে বস্তুর ধুং-চুংই আলাদা। কাশী-পরতাপগড়-মোরাদাবাদ-বাহারাইচের বাহির প্রাঙ্গণ জুড়ে যে উদ্ভিন্নযৌবনা উদ্ভিদ প্রজাতি আইনকে বুড়ো-আংলা করে কোশে ও কলায় বৃদ্ধি পায়, তার মাত্র একটির ফুল-ফল-পাতা-ডাঁটা-তরুক্ষীর এবং ইত্যাদি পাঁচশো পাতে দেবার মতো।
‘দুই কুটিরের সামনে ভাংখোরেরা’। শিল্পী পেমজি। আনুমানিক ১৭৯০। (ছবিসৌজন্য স্যান্ডিয়েগো মিউজিয়াম অফ আর্ট)
খৈনির যেমন ‘বত্তিস চুটকি, তেঁইতিস তাল’, ভাং পাতা বেটে ‘গোলা’ তৈরি করারও তেমনি আছে ট্রেড সিক্রেট। শিলের উপর ঠিক কতবার পুরো বাটা আর কখন শিলের সিকি কিংবা অর্ধেক পথে গিয়ে থেমে যাওয়া—কোন্ মহাজন পারে বলিতে! যেন সেই পিন্টু ভট্টাচার্যের সলিল-গীতি... ‘আমি চলতে চলতে থেমে গেছি... ’! সোনালি-সবুজ রং আর বর্ণনাতীত (সু)গন্ধ ঘনিয়ে এলেই বাটা শেষ। যেন সেখানেই চেতন চৌহানের ব্যাটে-প্যাডে খেলা শেষ। অন্তিম মোচড়... কবজির ফ্লিকে গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথের স্কোয়্যারকাট!
****
বেনারসে কিছু কালযাপনের সূত্রে বলতে পারি, শিবমন্দির, রুদ্রবাহন, মঘাই পান আর ভাং-টোলি সে জনস্থানের অলিতে গলিতে। সম্বৎসরকাল সে বিতান গেলাসে-কাটোরিতে ‘মেজাজ’ ঢেলে দেয়। তবু তার মধ্যেও, কচৌরি গলি, বাঙালিটোলা, ঠাঠেরি বাজার, মেহমুরগঞ্জের ভাঙের সবুজ সরবৎ যিনি তরিবৎ করে পান করেছেন—সে স্মৃতি তাঁর হৃদমাঝারে চিরহরিৎ হয়ে থাকতে বাধ্য!
****
আমার আপনার কলকাতায় এ বস্তুটির ভরা মরসুম হল শিবরাত্রি থেকে হোলি আর দশেরা থেকে দেওয়ালি। অন্যসময় পেতে হলে গাঁটগচ্চা পড়ে খানিক বেশি... কোয়ালিটিও পড়তির দিকে। কাশী-বারাণসীর মতো a la carte হরেকরকম পাবেন না। মাওয়া-কাজু দিয়ে বানানো মাজুন-বরফি—ভাং সামোসা-ভাং পকোড়া-ভাং মঘাই পিলৌরি—এমনকি ভাং পুদিনা চাটনি পর্যন্ত পাবেন না এখানে।
কাচ্চি গোলি নিয়েই তো কত ছড়া ছড়ানো সেদেশে, ওই যে গোড়াতেই বলেছিলাম—
‘এক গোলি মে আনা-যানা
দো গোলিমে ব্যোম
গাবরমিন্টকো মারো গোলি
রাজ করেঙ্গে হম!’
তবে শুধু ছড়া আউড়ে তো আর ব্যোম মিলবে না! তাই বাঙালিটোলার দিগম্বর পণ্ডিতের ‘বনারস চকাচক ভাং ঠান্ডাই ভাণ্ডার’-এর সিক্রেট রেসিপি একেবারে মনে গেঁথে যাওয়ার মতো সহজ ‘দুই নাহলে দুশো’ ফর্মুলায় দিয়েদিলাম। বিজয়াদশমীর দিন ছক্কাপাঞ্জা করে দেখতে পারেন, গোঁসাই—
উপকরণ
(দুটি বড়ো-সড়ো ঘটির জন্য এই পরিমাণ। হাত আলগা করে দিতে পারবেন)
চিনেবাদাম ২০০ গ্রাম
কাজুবাদাম ২০০ গ্রাম
দুধ ২ লিটার
২টো বড়ো ডাবের জল
২টো কচি পেয়ারা পাতা
চিনি (মোটা দানা) ২ বড়ো চামচ
গোলাপজল ২ বড়ো চামচ
কেওড়ার জল ২ বড়ো চামচ
ভাং পাতা বাটা ২ হাতা (প্রয়োজন মতো মেশাতে পারেন)
মৌরি গুঁড়ো ২ বড়ো চামচ
মাখা সন্দেশ ২০০ গ্রাম
তামার পাত্র ১ টা
প্রকরণ
দুধ চিনি মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে ঘন ক্ষীর করে নিন। আগের দিন রাত থেকে ভাং ছাঁকা জলে ভিজিয়ে রাখা বাদাম ভালো করে বেটে পেস্ট বানিয়ে নিন। এখানে মিক্সার চলবে না। এবার মিক্সার গ্রাইন্ডারে ভাং পাতা বাটা, ক্ষীর, বাদামবাটা, মাখা সন্দেশ, ডাবের জল, মৌরিগুঁড়ো একসঙ্গে দিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন।
একটি আলাদা পাত্র বা হাঁড়িতে ঢেলে নিন। এতে গোলাপ ও কেওড়ার জল মিশিয়ে নিন। এরপর তামার পাত্রটি গ্যাসে খুব ভালো করে গরম করে, শরবতের মধ্যে দিয়ে দিন। পরিবেশন করার সময় গ্লাসে দু-একটু করে বরফ দিয়ে শরবত ঢেলে, ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।
আর হ্যাঁ, ব্যাকগ্রাউন্ডে যেন বরাবর বাজতে থাকে ব্যোম মহামহোপাধ্যায় কিশোরকুমারের খান্ডেওয়ালে মহাশয়ের এই দুটির মধ্যে যে-কোনো একটি গান—
না হলে কিন্তু চিত্তে তর্ আসা নিয়ে আমি গেরান্টি দিতে পারব না, আগেই বলে দিলুম।
আর এক্কেবারে শেষ পাতে বলি, দোল-বিজয়ার মতো বিশেষ বিশেষ উৎসবের মেজাপে যদি বাড়িতে বানাতে মন নাই চায়, এ কোলকেতায় রয়েছে কিছু রেডিমেড মহাসিদ্ধি ঠিকানাও—বালিগঞ্জ ফাঁড়ির একটি পানের দোকান, গোলপার্কের একটি খ্যাতনামা মিষ্টির দোকানের আশে পাশে, সিটিসেন্টার ওয়ানের একটি নমকিনের দোকানের পাশে, নিমতলা ঘাটের ভূতনাথের মন্দিরা লাগোয়া একটি দোকান। সিদ্ধি-যোগের অভাব নেই এ শহরে, তবেই না এখানে রয়েছে আস্ত একটা গলিই, যার নাম ‘ভাং গলি’— সত্যনারায়ণ পার্কের পাশ দিয়ে যে সরু রাস্তাটি ঘুরতে ঘুরতে রামবাগানের হারিয়ে যাওয়া মেহফিলকে বুকে নিয়ে হ্যারিসন রোডে এসে পড়ে, চিৎপুরের দিকে তারই এই শুভনাম। সেখানে রয়েছে পাশাপাশি দুটি দোকান, যাদের মেজাপই আলাদা! কানাঘুষো—পাশে নাকি আর-একজন ‘ডিজাইনার ভাং’ বিপণি খুলতে এসেছিল। ‘ভাং-ভদকা’ নাকি যেন নাম ফলাও করে। অমনি শিব-শম্ভুর সাঁড়াশি আক্রমণ—‘কাহো কবুতর, কোই চবুতরা না মিললবা?’ ইত্যাদি। দুদিনেই সে নাকি পাড়ান্তরী (পড়ুন, ক্যামাকস্ট্রিট নিবাসী) হয়েছে!!
(ছবি সৌজন্য http://www.columbia.edu)
ভালো কথা, সেখানেই দেখেছিলাম এই ছবিটি। গণেশচন্দর মহোৎসাহে ভাং ঘুঁটছে বাবাঠাকুরের জন্য, ছানাপোনা কোলে জগজ্জননী সোয়ামীকে মালসা ভরে ‘সার্ভ’ করছেন সেই মিশ্রাম্বু। আর তালেবর গলসর্পটি মনিবের আগেই চেখে দেখছে মৃতসঞ্জীবনী সুধার উৎকর্ষ।
দিল্লির জাদুঘরে নাকি এটির অরিজিনাল মিনিয়েচার পেন্টিংটি রাখা আছে!
ভাবুন তো!
অসাধারণ ভাং পুরাণ, সঙ্গে পাওনা অনবদ্য, দুর্লভ ছবিগুলি। ধন্যবাদ স্যার।♥️
লেখকের কলমে ভাং ইতিহাসের কোন রঙই বাধ যায় নি। যেমন বিষ্মিত হলাম তেমনই উপভোগ করলাম। দুর্দান্ত। ছবি গুলি ও দারুণ।
অহো! বিজয়া দশমীর প্রাণে যে এমন মেজাপ ছিল- কে তা জানত! এতেও যদি অর্থ সিদ্ধ না হয় তাইলে সে সব চেষ্টা ছেড়ে মন দিয়ে সংসার করোগে যাও
দিল একদম গার্ডেন-গার্ডেন! তর-বতর।
একেবারেই সরস কাহিনী। মেজাজ একেবারেই তুরীয় হয়ে গেল। ধন্যবাদ ।
Asadharon...... Dr. Siddhartha Mukherjee , aamar ei dadar protita lekha joto pori tatoi abak hoi onar asadharon lekhani shakti r agadh gynan dekhe. Onek ajana tathyer sandhan onar lekha theke pai. Eto sahaj saral bhabe pratita jinisher barnana baroi bhali লাগে। Ei rokom ro onek onek lekha chai amra Dr. Siddhartha Mukherjeer theke.
কালই পড়েছি। এতো চমৎকার লেখা, এতো তথ্যসমৃদ্ধ। এত কিছু জানা যায় আপনার লেখা পড়লে। এই লেখাটি অন্য রকমের ইতিহাস, ভুগোল, সংস্কৃতি সব নিয়ে। 'ভাং' ( কে জানত এর নাম 'বিজয়া'! ) নিয়ে যে এতো চিত্তাকর্ষক কথা ও কাহিনি থাকতে পারে, তা না পড়লে জানতেই পারতাম না। পরিবেশনার গুণে এতো রসময় হয়ে উঠেছে, যত বলি কম বলা হয়ে যায়। পরিশেষে জানাই, এমন ডাক্তারবাবুর সঙ্গে একদিন কলকাতার রাস্তায় হাঁটতে পারলে, 'ভাং' তো খাওয়াই যাবে, আরও অনেক আশ্চর্য ইতিহাস ছোঁয়া যাবে।... বেশ হয় কিন্তু...
সিদ্ধার্থ , অনেকটা ধন্যবাদ রইল। আপনার প্রস্তাবটিও দারুণ। করোনা আকাশ একটু পরিস্কার হওয়ার অপেক্ষা কেবল।
আর রামনিধি গুপ্তের কথা বলবেন না? নিধুবাবু ছাড়া কে টপ্পায় সিদ্ধি লাভ করেছে এমনতর?—
‘দেবেন্দ্র বোতল যোগাবে
নিশিকান্ত ভাঙের মালাই
আর হাই তুলিলে মারবে তুড়ি
ওমনি সে এক রামকানাই....’
----------------------------
এ কী নিধুবাবু? মনে হয়না। শহর কলকাতার বাবুয়ানির গান। কথা আলাদা হলেও রামবাবু যে সুরে গেয়েছেন, সে টপ্পা নয়। দুর্গাদাস লাহিড়ীতে পেলাম না, কিন্তু কেমন যেন মনে হচ্ছে এ অমৃতলাল বসুর সিগনেচার।
আপনি এ গানের কথা কোথায় পেলেন জানতে ইচ্ছে করছে।
লেখাটি উপাদেয়। পঠনে অর্ধনেশা।
এটি উল্লেখিত হয়েছে শ্রী সৃষ্টিধর ভট্টাচার্য প্রণীত " মজলিশি গান " গ্রন্থটিতে ( রূপান্তর , ঢাকা, ১৯৭৫)।
কি বলব ! কী বলব !
আপনার সোনার কলম হোক !