হিন্ চে পালং পু্ই ও বাঙালির হাস্যরস !বন্ধুবর সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় তার লেখা আর একটি বই সম্প্রতি প্রকাশ করলেন বিড়লা প্ল্যানেটরিয়ামের সভাগৃহে। সেই বইয়ের নাম ই হিন্ চে পালং পুই। বইটি বেশ রয়েসয়ে রসিয়ে পড়ছি। বন্ধুবরের ভাষায় বেশ 'খেলিয়ে' পড়ছি ! প্রথমেই আসি বইয়ের নামকরণ প্রসঙ্গে! রসসম্রাট সুকুমারের ছড়ায় আছে' একের পিঠে দুই চৌকি চেপে শুইপোটলা বেধেঁ থুইগোলাপ চাপা জুইইলিশ মাগুর রুইহিন্ চে পালং পুই -'সেই হিনচে (হেলেঞ্চা) পালং পুই। আহা অপূর্ব লেখা।অপূর্ব শব্দচয়ন ও হাস্যরসে জারিত। একদম সুস্বাদু পঞ্চ ব্যাঞ্জনের মতো রসিক পাঠকের পাতে সাজিয়ে পরিবেশন করা হয়েছে প্রায় পাচতারা শেফের দক্ষতায়। অনেক সময় লেখকের রসবোধ দেখে বিস্মিত না হয়ে পারা যায়না। ... ...
হিন্ চে পালং পু্ই ও বাঙালির হাস্যরস !বন্ধুবর সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় তার লেখা আর একটি বই সম্প্রতি প্রকাশ করলেন বিড়লা প্ল্যানেটরিয়ামের সভাগৃহে। সেই বইয়ের নাম ই হিন্ চে পালং পুই। বইটি বেশ রয়েসয়ে রসিয়ে পড়ছি। বন্ধুবরের ভাষায় বেশ 'খেলিয়ে' পড়ছি ! প্রথমেই আসি বইয়ের নামকরণ প্রসঙ্গে! রসসম্রাট সুকুমারের ছড়ায় আছে' একের পিঠে দুই চৌকি চেপে শুইপোটলা বেধেঁ থুইগোলাপ চাপা জুইইলিশ মাগুর রুইহিন্ চে পালং পুই -'সেই হিনচে (হেলেঞ্চা) পালং পুই। আহা অপূর্ব লেখা।অপূর্ব শব্দচয়ন ও হাস্যরসে জারিত। একদম সুস্বাদু পঞ্চ ব্যাঞ্জনের মতো রসিক পাঠকের পাতে সাজিয়ে পরিবেশন করা হয়েছে প্রায় পাচতারা শেফের দক্ষতায়। অনেক সময় লেখকের রসবোধ দেখে বিস্মিত না হয়ে পারা যায়না। ... ...
এখন দুয়ারে সব্জিযারা প্রায় রোজই বাজারে যায় বিশেষ করে আমার মতো অবসরপ্রাপ্ত মানুষেরা তাদের কাছে বিভিন্ন ঋতুভেদে সবজির দামের ওঠাপড়া এক দারুণ দেখার বস্তু। অর্থনীতির সাপ্লাই ও ডিমান্ডের তত্ব যে কত নির্ভুল তা চোখে না দেখলে প্রত্যয় হয় না। যেমন ফুলকপি আমি গত অগাস্ট মাসে বাড়ির একটি ভোজ উপলক্ষে ৬টি কিনেছিলাম কড়কড়ে নগদ ৩০০ টাকা দিয়ে।অর্থাৎ এক একটি কপির খুচরো মুল্য ছিল একবারে ৫০ টাকা। এই 'হাফ সেঞ্চুরি' দাম দোকানীকে কিছু কম করতে বলাতে সে এমন মুখটা করেছিল যেন বলতে চাইল 'ও কথা আর বলবেন না।' কড়াইশুঁটি মরসুমের শুরুতে ছিল ৩০০ টাকার মতো। পাতি লেবুও হঠাৎ দামি হয়ে গেছিল। ২০ ... ...
এখন ই এম বাইপাস দিয়ে গেলেই চোখে পরে জোর কদমে চলছে এয়ারপোর্ট নিউ গড়িয়া মেট্রো রেলওয়ের কাজ। এখানে ইষ্ট ওয়েষ্ট মেট্রোর মতো পাতাল খোড়াখুড়ি নেই। অনিচ্ছাকৃত ভাবে হলেও বৌবাজারের অনেক গৃহ হারা মানুষের বেদনা জাগানো নেই। মাটির উপরে কাজ হচ্ছে বেশ ঝড়ের গতিতে।আশা করা যায় কলকাতার পরিবহনের মুকুটে আরও একটি নতূন পালক যুক্ত হবে অচিরেই। সবচেয়ে যেটা চোখে পরে সেটা হচ্ছে এই নতূন মেট্রো পথের প্রস্তাবিত স্টেশন গুলি। একেবারে ঝা চকচকে পরিবেশের সাথে মানানসই আধুনিক মানের। কিন্তু যেটা বলার সেটা হচ্ছে স্টেশনের নামকরণ। এর আগে কলকাতা বাসী মেট্রো স্টেশনের মহানায়ক উত্তমকুমার কবি সুভাষ এই রকম নামকরণ দেখেছেন।অথচ কলকাতায় এইরকম নামের ... ...
জেলেদের জাল শুকানো ও জনৈক মেছোভূতের উপলব্ধি। অনেকদিন পরে জেলেদের এভাবে জাল শুকাতে দেওয়া দেখলাম। জাল শুকানোর বাশের কাঠামোটি অনেকদিন খালি পরে ছিল। এরকম টানা জাল দিয়ে জলাশয়ে মাছ ধরা এদিককার জেলেদের হয়তো বিভিন্ন কারনে বন্ধ ছিল। সুখের কথা তারা আবার পুকুরে খালে বিলে জাল ফেলছে। নইলে তো আর শুকানোর প্রশ্ন আসেইনা। আহা মাছে ভাতে বাঙালী ! পাতে একটু মাছ না হলে চলেনা তাদের।এমন কি মরে গিয়ে ভূত হলেও মাছের লোভ ... ...
এই মুহুর্তের বিবিধ দুসংবাদ প্রবাহের মাঝে নিউজ চ্যানেলের প্রভাতী রবীন্দ্র সঙ্গীতের অনুষ্ঠান। ********************** টিভিতে দেখছিলাম এক বিখ্যাত বাঙলা নিউজ চ্যানেলের প্রভাতী রবীন্দ্রসঙ্গীতের অনুষ্ঠান 'ভালো বেসে সখী'। এই অনুষ্ঠানে অনেক প্রথিতযশা শিল্পীরা রবীন্দ্রনাথের গান পরিবেশন করেন। একঘন্টার এই লাইভ অনুষ্ঠানে বিজ্ঞাপন বিরতি ছাড়াও শিল্পীদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য ফোন-ইন করার ব্যবস্থাও আছে খানিকটা সময়। অর্থাৎ এই যেমন: কে বলছেন? আমি ভুবনডাঙা থেকে অলীক চৌধুরী (কাল্পনিক নাম) বলছি। হ্যাঁ বলুন অলীক বাবু। আমি আপনাদের এই অনুষ্ঠান শুনছি। খুব ভাল লাগছে ... ...
মাছ খাইবা ইলিশি, চাকরি করিবা পোলিশি - এটি একটি ওড়িয়া ভাষায় প্রচলিত প্রবাদ। মানেটা তো বোঝাই যাচ্ছে। আজকে বাঙালির রসনায় মাছের সেরা মাছ ইলিশ নিয়ে দু চার ক্থা। প্রথমেই বলি ছোটবেলার স্মৃতি। বাবাকে দেখতাম মাঝে মাঝে অফিস ফেরৎ হাতে ইলিশ ঝুলিয়ে ফিরতেন। তখন মনে হয় সান্ধ্যকালীন বাজারে গঙ্গার ঘাটে ইলিশ উঠত। বিক্রেতারা সুন্দর কায়দায় ইলিশের মুখে দড়ি দিয়ে ক্রেতাদের হাতে দিতেন। বেশ হাতে ঝুলিয়ে আনা যেত। এভাবে কখনো কখনো জোড়া ইলিশও আসতে দেখেছি। সেদিন বাড়িতে অবধারিতভাবে খিচুড়ি হতো। মার হাতের খিচুড়ি, সুরভী বা ঝর্নার গাওয়া ঘি আর ইলিশ মাছ ভাজা, বাইরে বৃষ্টি, এর পরে সিধে বেহেশত যাওয়াটাই ... ...
বর্তমান প্রজন্ম এক আত্মপরিচয়ের অভূতপূর্ব সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কিসে তাদের আনন্দ, কিসে তাদের বেদনা বোঝা খুবই কঠিন। তবে এই যুগই এমন যে কি আর বলবেন! মন দিয়ে পড়াশোনা করে চাকুরি পাবেন তার কোন নিশ্চয়তা নেই। পিছন দিয়ে কত কি হয়ে যায় বোঝা যায় না। কিছুদিন আগে এক অতি গুরুত্বপূর্ণ দফতরকে মাঝরাতে ঘিরে ফেলতে হলো যাতে তথাকথিত দুর্নীতির তথ্য কম্পিউটার রুম থেকে লোপাট না হয়ে যায়! ভাবা যায়! তাহলে মানুষ কাকে বিশ্বাস করবেন? এখন নতুন প্রজন্মের বেশিরভাগ ছেলেমেয়েরাই মা বাবার একমাত্র সন্তান। সাবেক যৌথ পরিবার টিঁকে আছে শুধু টিভি সিরিয়ালের পর্দায়, পুরানো গল্প উপন্যাস ও চলচ্চিত্রে ... ...
বিচিত্র সংবাদ : পড়ছি বরুন মজুমদার বেশ অনেক বছর আগে আকাশবাণী কলকাতায় পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত বিখ্যাত সাংবাদিক বরুন মজুমদার মহাশয় প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় সংবাদের আগে বিচিত্র সংবাদ পরিবেশন করতেন। অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল এই অনুষ্ঠান। বেশ লাগত সংবাদগুলি, বিশেষ করে বরুনবাবুর খবর পরিবেশনের গুণে। তারপর তো অনেক দিন হলো আকাশবাণীর অনুষ্ঠান আর শোনা হয় না। বরুনবাবুও আকাশবাণী থেকে অবসরের পর প্রয়াত হন ২০১১ সালে। সম্ভবত ঐ বিচিত্র সংবাদ আজকের এই ইন্টারনেট যুগে আর পরিবেশন করার প্রয়োজন হয় না। চারিদিকে কিছু ঘটলেই একেবারে বিদ্যুৎ গতিতে খবর হয়ে যায়। আর ব্যতিক্রমী কিছু হলে তো কথাই নেই। 'ভাইরাল' হওয়া নিমেষের ব্যাপার। সে বাদামকাকুর কাচাবাদাম গানই হোক অথবা পুষ্পা সিনেমার লেংচে লেংচে নাচই হোক। ... ...
পুরানো দিনের ল্যান্ড লাইন টেলিফোনের ও তারপরের যুগের গল্প! হ্যালো বন্ধুরা। টেলিফোন বা দূরভাষ যন্ত্র আবিষ্কার করেছিলেন গ্রাহাম বেল সাহেব। সম্ভবত ১৮৭৬ সাল নাগাদ।ছোটবেলায় আমাদের বাড়িতে এই সঙ্গে দেওয়া ছবির মতো একটি ল্যান্ড লাইন টেলিফোন সংযোগ ছিল। কি বলব সারা পাড়াতে তখন ঐ একটিই। আমাদের কোলাহল মুখর বিশাল বাড়িতে ঐ ফোন ছিল আর এক কোলাহলের বস্তু। অনেকেই খুব জোরে জোরে ঐ ফোনে কথা বলতেন। ফোন ধরে এত জোরে হ্যালো বলতেন যে অপর দিকের লোকও বোধহয় একটু হেলে যেতেন! তারপর কারোর ফোন এলে তিনি ধারেকাছে না থাকলে তার নাম ধরে ডাকতে হতো। সেই ডাক প্রায় রাস্তা দিয়ে শোনা যেত। রাস্তার লোকও জানত ... ...