ওড্র। উৎকল। কলিঙ্গ। ইতস্ততঃ অরণ্য ও পর্বতাকীর্ণ দেশ। দক্ষিণ কোশল আর কলিঙ্গের মাঝখানে ‘ওড্রভূমি’। ওড্রের উত্তরে ‘উক্কল’ বা ‘উচ’ তথা উৎকলভূমি। পুরাতন কলিঙ্গের আবার নাম ছিলো ‘মুডু কলিঙ্গ’। মুডু মানে তিন। ত্রিকলিঙ্গ। তিন ভাগে বিভক্ত। উর্ধ্ব – গোদাবরী ও গঞ্জাম। মধ্য – পুরী আর কটক। নিম্ন – জলেশ্বর, বালেশ্বর। আর্যরা নাকি ত্রিকলিঙ্গের মানুষজনকে বলত ত্রিকলিঙ্গা। তেলিঙ্গা। তেলেগু। ‘ওড্র’। ‘ওড়ু’ মানে পলায়নপর। পালাচ্ছে যারা। আর ‘উক্কল’ তো চাষা, কৃষক। ওড্র, উক্কল, কলিঙ্গ – তিন উপজাতির দেশ। ক্রমে ‘ওড্র’ আর ‘উক্কল’ ঢুকে পড়ায় ‘কলিঙ্গ’-এর একশেষ। অতঃপর ‘উক্কল’, ‘কলিঙ্গ’ উপজাতিরা অবলুপ্ত। রইল বাকি ‘ওড্র’রা। কালক্রমে তাদেরই দেশ ‘ওড্রদেশ’। তথা ওড়িষা। তখন তো আর এতসব জানা ছিল না। তবে এটুকু জানতাম – আমাদের নবতিপর ঠাকুমার বাপের দেশ ‘ওড়িষা’র বারিপদা না সুলিয়াপদা। বয়সের আধিক্যে, একেবারে চলৎশক্তিহীন হয়ে না পড়লেও এদানী আমাদের ঠাকুমা আর তার বাপের দেশে হুট বলতে যেতে পারে না। নচেৎ ‘উঠল বাই তো কটক যাই’। থুড়ি, কটক নয়, কটক নয়, বারিপদা না সুলিয়াপদা।
“এই যে অরু, শুন, শুন”। “কী মা”? “কটা দিন আমাকে বাপের বাড়ি রেখে আয়”। অরু না হয় বিজু, পুরু না হয় রতু। আব্দার কি আর, আদেশ। অরুণ, বিজয়, পুরুষোত্তম কি রত্নাকরের গাড়ি না জুতে উপায় নেই। মা-কাকিমারাও তটস্থ।
তদুপরি ঘোড়ার গাড়ি। মোটর গাড়ি কি আর, ধাঁচা-বাঁধা গরুর গাড়ি। তার ভিতরে খড়ের বিছানা। সঙ্গে সেই অরু, বিজু না হয় পুরু, রতু –
অতঃপর দিনে-রাতে ধিকি ধিকি করে যাওয়া। শ্বশুরালয় থেকে পিত্রালয়ে গমন। যাত্রাপথ দীর্ঘ হওয়ায় ক্লান্তিতে অবসন্ন আমাদের ঠাকুমা নাকি এই বয়সেও থেকে থেকে পথিমধ্যে দু’-চার কলি ‘কাঁদনা গীত’ অর্থাৎ রোদনও গেয়ে ওঠে। এই যেমন –
পিত্রালয়ে যাবার সে বয়সটা এখন আর নেই যদিও, তবু শীতকালটা এলে-গেলে, ‘মেঘ-পাতাল’-এ বিন্দু বিন্দু সারিবদ্ধ কালো কালো কারিকুরি পাখিদের আতা-যাতা শুরু হলে নবতিপর ঠাকুমার ‘উঠল বাই তো কটক যাই’ বাইটা যেন জিগির দিয়ে ওঠে।
এতদ্বয়সে পিত্রালয়ে যাবার জন্য নয় নিশ্চয়, এতদ্সময়ে পিত্রালয় থেকে কেউ-না-কেউ আসতই আসত। কেউ-না-কেউ কি আর, তার থেকেও কম-সে-কম আট-দশ বছরের ছোট, তারই নাম কলমি।
বলাই বাহুল্য, আমাদের নবতিপর ঠাকুমার ভালো নাম সুষমা হলেও শাকপাল্হার নামেই ডাক নাম ছিল ‘শুশনি’। বয়সে ছোট ছিল বলেই আমরা ‘ন্যাঙটা ভুটুঙ সাধের কুটুম’ তার ছোট বোনকে ‘ছুটকী ঠাকুমা’ বলেই হাঁকাহাঁকি করতাম। আমাদের দলে ভিড়ে বড়ঠাকুমাও সময় সময় তার ছোটবোনকে ‘ছুটকী' নামেই সম্বোধন করত। তা, ঘাসের ডগায় ‘কাঁকর-পড়া’ শুরু হলে, ‘বিরি বাইগন’ গাছে মাকড়শার জালের উপর হিলঝিল করে ‘কাঁকর’ পড়লে – সুবর্ণরেখা নদীধারে কারিকুরি পাখিরা এসে মেলা বসালে, হি-হি ঠান্ডা হাওয়া চালালে – আমাদের নবতিপর ঠাকুমাও কেমন যেন আনচান করে –
- এই বুঝি সে আসে – আসে –
- কে? কে ঠাকুমা?
- কে আবার! তোদের ছুটকী ঠাকুমা। অ্যাই! অ্যাই ললিন! অ্যাই অ্যাই ছিমন্ত! যা না রে! টিক্কে আগেই যা, দেখবু ‘ধঁচা-বঁধা’ গাড়ি করি ছুটকি আসেটে।
এ হেন হি-হি ঠান্ডায় আমরা, ‘ন্যাঙটা ভুটুঙ সাধের কুটুম’-রাও সুখজুড়ি-দোরখুলির লালরঙের মোরাম বিছানো রাস্তা ধরে সত্যি সত্যিই কিছুটা এগিয়ে যেতাম।
একদিন হল না, দু’দিন হল না। হয়তো তিনদিনের দিন চাঁদাবিলা-নারদা-দোরখুলি-সুখজুড়ির মোরাম রাস্তায় লাল ধূলা উড়িয়ে ছই-ঢাকা একটা গরুর গাড়ি আসছে। দু’ধারে বেনা আর বাবোই বনের ভিতর দিয়ে।
আর ছইএর অন্দরে – ‘ওড্র সুন্দরী’ – ওই তো ওই – আমাদের ছুটকী ঠাকুমা!
অতঃপর দুই ‘ভন’ বা বোনে দেখা হল হয়তো বাইরে খলা-খামারেই। ছুটকী ঠাকুমা তুলনায় অধিকতর ফর্সা। গলায়, নাকে-কপালে রসকলি আঁকা। কন্ঠায় কাঠমালা।
কথা নেই বার্তা নেই, হঠাৎ বড় ঠাকুমা ছুটকী ঠাকুমাকে জড়িয়ে ধরে রোদন করে করে সে কী কান্না!
আমরা তো হেসে মরি! মা-কাকিমারাও মুখে আঁচল চাপা দিয়ে হাসছে। হয়তো অনেকদিন বাদে দেখা, কোথায় আনন্দ করবে। তা নয় কান্না। কান্না বলে কান্না। ‘কাঁদনা গীত’!
কেউ কমতি নয়। কেউ দু’লাইন বেশি, তো কেউ দু’লাইন কম। আড়াল-আবডাল থেকে মা-কাকিরা মুখ টিপে বলাবলি করছে:
- যুবা বয়সের ‘কাঁদনা গীত’-এর ধারাপা’ মুখস্ত বলছে।
আমরা চ্যাঙনা ম্যাঙনারা, ‘ন্যাঙটা ভুটুঙ সাধের কুটুম’রা – কী কাঁদনা গীত কী ‘ধারাপাত’ – অতশত কিছুই বুঝি না, বুঝতেও চাই না ।
কেবল কীসের তাগিদে আকুল প্রত্যাশায় দুই বৃদ্ধার ‘কাঁদনা’ কী ‘কাঁদনা গীত’ থামবার অপেক্ষায় আমরা পরস্পর মুখ চাওয়া-চাওয়ি করছি।
করছি তো করছি-ই!
অবশেষে কান্না নিবারিত হল। তদনন্তর আমাদেরও প্রত্যাশা-মোতাবেক ছুটকী ঠাকুমার ঝুলি থেকে একে একে ‘বাহির’ হতে লাগল – পুরীর জিভেগজা, বারিপদার পেঁড়া, চিতরড়ার জিলাপি, মুরুড়ার সুঁটিভাজা, কুহিকোটার তিলের খাজা –
আমরা, চ্যাঙনা-ম্যাঙনারা, ‘ন্যাঙটা ভুটুঙ সাধের কুটুম’রা খাজা-গজা-সুঁটিভাজা নিয়ে যখন মত্ত মাতোয়ারা, ততক্ষণে মা-কাকিমারাও যে-যার, সে-তার।
কেউ হাত পেতে নিচ্ছে – দক্ষিণাকালী মন্দিরের আলতা সিঁদুর, রানী সতীমন্দিরের সিঁদুরকৌটো, পাপহরা নদীর জল। তাগা, মাদুলী। আরও যে কত কী!
ক্রমে সন্ধ্যা নামল। ‘সন্ধ্যাকালে বিহিত কৃত্য’। মা-কাকিমারা যে যার কাজে সত্যিকারেই ব্যস্ত হয়ে পড়ল। দুই বুড়ি, বড়কী-ছুটকী পুনরায় একত্রিত হলে গলা জড়াজড়ি করে ফিসফাস স্বরে কথা কইতে লাগল।
আমরা, ‘ন্যাঙটা ভুটুম সাধের কুটুম’ – সাকুল্যে মেল-ফিমেল মিলিয়ে একত্রিশ জন – সেই শীতার্ত সন্ধ্যায় ‘মাঝুঘর’-এ – মানে ঘরের ভিতর ঝুরকাবিহীন মৃত্তিকাগহ্বরে – আমাদের নবতিপর ঠাকুমার আবাস স্থলে উপস্থিত হলে, সে ফিসফিসানিও আচমকা থেমে গেল।
আমাদের বুঝে নিতে মোটেও অসুবিধে হল না যে, ফিস ফিস করে ওসবই মা-কাকিমাদের বিরুদ্ধেই বলা, যাকে বলে কান ভাঙানো।
তারপরই শুরু হল হাত দিয়ে এর-ওর মাথা-মুড় টেনে টেনে নবতিপর বড়ঠাকুমার পরিচয়ের পালা।
আমার মাথা টেনে –
- দেখ কলমি, এ হ্লা বড়কা গিরিধারীর মাঝিয়া ছুয়া ললিন।
শ্রীমন্তর মাথা টেনে -
- আউ এ হলা ছিরিমন্ত। মাঝিয়া অরুণর বড় পুয়া।
‘আয় মোর হলদি-বসন্ত’ বলে রাঙাকাকার মেয়েকে ধরে –
- ‘এ ঝিআর নাম হলদি-বসন্ত’। না লো না – এ হিলা হাগরি। ছোটবেলায় হাগি-মুতি একশা কর হায় বলি –
পরিচয় প্রদান শেষ হলে শুরু হল ‘কহিনী’ বলা । ‘কহিনী’ বা কাহিনী বলায় বড়কীর থেকে ছুটকী আরো সরেস। শীতাতপ-নিয়ন্ত্রিত মাটির ‘মাঝু ঘরে’-এ তার মুখেই তো সে রাত্রে শুনেছিলাম –
‘এক রাজা থিলান। তার এক রাঁনী। আর গটায় পো।
দিনে রাজার পো বনে শিকার করতে যাইথিলা। শিকার নাই পাই করি ঘর ঘুরি আসেটে।
আসতে আসতে দেখলা গটায় শাবড়া গাছের ডালে বসি ঝঁনে কনিয়া চুল শুকায়টে। বার হাত লম্বা চুল তার।
চুলগছাটা ছাড়ি দিছে ত মাটি ছুঁই ছুঁই করেটে। তার রূপ দেখি রাজার পো ত মোহিত হি গেলা।
চুলগা ধরবে বলি গাছতলে আসি যমনু হাত বাড়হেইছে, তমনু সে ত পশি গেলা গাছের ঢড়রে।
রাজার পো মাকে আসি করি কহিলা, মা, মুই বাহা হেমি।
মা কহিলান, বেশ ত ভালা কথা। মুই কনিয়া দেখঁট।
পো কহিলা, না, মুই শাবড়া গাছকু বাহা হেমি।
রানির পাখরু রাজা সব শুনলান। দি করি নোক পাঠাইলান গাছটা কাটি আনতে। নোক যতবা গাছ কাটেটে, গাছরু ততবা গটায় গীত হয়টে –
আগানু কাটিব গড়ানু কাটিব।
মঝিরে কাটিলে মোর গোর-হাত ছিন্ন হেব।
গীত শুনি মাঝাররু নাই কাটি আগা-গড়া কাটি করি শাবড়া গাছ ঘরে নি আইলান। মঝিয়া গড়িয়াটার সাঙ্গে আড়ম্বর করি রাজার পোর বাহাঘর বি হি গেলা।
রাতির বেলা রাজার পুআ নাই নিদাই করি দেখলা যে, গড়িয়াটার ভিতররু শাবড়াসুন্দরী বাহারি বাহারকে গেলা। চালি যাবাকে রাজার পো গড়িয়াটাকে নিয়া নাগেই দিলা।
শাবড়াসুন্দরী ততবা ঘরকু দৌড়ি আসি কহিলা, এ কি করল? মোর দেহ যে জ্বলিপুড়ি যায়েটে।
সাঙ্গে সাঙ্গে রাজার পো এক গাড়ি দুধ আনি করি শাবড়াসুন্দরীর দেহে ঢালি দিলা। তার সাঙ্গে চূয়া চন্দন ঘুঁটি গটা দেহে মাখাই দিলা। দিবাকে গা-জ্বলা বন্ধ হিলা।
সকালে উঠি রাজার পো বউকে নি করি রাজা রানিকে গড় করলা।
পরমা সুন্দরী বউ দেখি রাজা-রানি ত রাজা-রানি, রাজ্যের সবু নোক অবাক হি গেলা।
রাজার পুয়া আর শাবড়া, দুই ঝঁনে মিলি সুখে রহিলা।।’
‘কহিনী’টা শোনার পরদিন থেকে অন্যান্য ‘ন্যাঙটা-ভুটুঙ সাধের কুটুম’-দের কী হল জানি না, আমি তো মাঠে-ঘাটে, বনে-বাদাড়ে টঙস টঙস করে ঘুড়ে বেড়াই! শাবড়া বা শেওড়া গাছ খুঁজি।
কোথায় কোন শ্যাওড়া গাছে চড়ে শ্যাওড়াসুন্দরী মাথার চুল শুকোচ্ছে। যেমন তার রূপ, তেমন তার চুল। “বার হাত লম্বা চুল, চুলগাছাটা ছাড়ি দিছে ত মাটি ছুঁই ছুঁই করেটে”।
রামধনু ওঠে, দিগঙ্গন কালো করে কখনও বর্ষা নামে। যেতে আসতে পায়ের চাপে পায়ের তলায় পুটুস পাটাস করে চেপ্টে গুঁড়ো হয়ে যায় কত যে ‘ছাগল-হাঁচি’ ঘাসের ডুমো ডুমো ফল!
পাড়িয়ার বিলে ধানগাছের গোড়ায় নাড়া-জলে হঠাৎ হঠাৎ খলবলিয়ে ওঠে কই কি মাগুর! ধানফুল ঝরে ‘আলা’ হয়ে যায় করণতলার বিল, গোছা ফুলের মালা গেঁথে ঝিরি ঝিরি জলে ভেসে যায় কত যে ‘ধানাহুলু’ মাছ!
‘কারিকুরি’ পাখিরা কখন যে আকাশের কোনদিক থেকে এসে পড়ে! ঢ্যাপচু, ট্যাঁসা’ – ঐ তো, ঐ তো উড়ে গেল জয় পাখি, যাকে বলে নীলকন্ঠ!
“জয়ের জন্য একটা পালক দাও না, জয়ের জন্য একটা পালক দাও না” – বলতে বলতে উড়ন্ত জয়পাখির ছায়ার তলে তলে দু’হাত পেতে আকাশে মুখ রেখে একদা কত যে দৌড়েছি!
এখন আর সেদিকে দৃকপাতও করি না। ‘মাঝু ডুবকা’, ‘তপোবন’, ‘ঘোড়াটাপুর’ জঙ্গলে খালি তো শাবড়া বা শ্যাওড়া গাছ খুঁজে বেড়াই! খুঁজছি তো খুঁজছি।
পাচ্ছি যে না – এমনটাও নয়। তবে কোথাও তো দেখি না – ‘সউ সউ হাবড়া গাছটার আগায় গটায় নাহাড়া চুল শোকায়টে’।
দোরখুলি, সুখজুড়ির জঙ্গলে ঘুরতে ঘুরতে একদিন আচমকা দেখি – শ্যাওড়া নয়, শ্যাওড়া নয়। একটা মহুল গাছের ডালে কে যেন বসে আছে রুম রুম!
কে যেন!
তার চুল বার হাত লম্বাও নয়। আর সে গাছে বসে তার চুলও শুকোচ্ছে না। বস্তুত সে কোনো ‘মাহাড়া’ বা মেয়েও নয়।
আদতে একটি ছেলে। নতুন ধুতি-গেঞ্জি পরে মাথায় টোপর দিয়ে বর সেজে বসে আছে।
অতঃপর – কী হয় কী হয় – লাটা-বুডার আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে রেখে বিস্ফারিত চোখে দেখে যাচ্ছি –
একটু বাদেই হলুদ-ছোপানো শাড়ি পরে কলকল খলখল করতে করতে এক দঙ্গল মেয়ে এল। তাদের মধ্যে একজন নির্ঘাত ‘কলিয়া’ মানে কনে।
কেননা – সে টোপর পরে আছে। তার গলায় গাঁদা ফুলের মালা ঝুলছে। তার সঙ্গে প্রথমেই বেশ ঘটা করে মহুলগাছের বিবাহ সম্পন্ন হল।
এতক্ষণে গাছে-চড়ে-বসা ‘বর’ চিৎকার করে বলে উঠল –
-আমি গাছ থেকে পড়ে মরে যাব!
গাছতলে গাছের সঙ্গে সদ্য বিবাহিত মেয়েটি কাঁদো কাঁদো স্বরে বলল –
-না, না, তুমি ‘অলছি’ আসো! আমি তোমাকে বন থেকে আলুভুঙা ‘তেড়ে’ এনে খাওয়াব।
ভরনপোষণের দায়ভার কনে নিজের কাঁধেই তুলে নিলে, বর সুড়সুড় করে তৎক্ষণাৎ গাছ থেকে নেমে এল।
তারপর ‘দুই ঝঁনর বাহাঘর হেলা’।