এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • তোমার বাস কোথা যে...- ২৫

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২৯৯ বার পঠিত
  • ।। পঁচিশ ।।

    [ এই কাহিনীর সব চরিত্র কাল্পনিক। জীবিত বা মৃত কোনো ব্যক্তির সাথে কোনও মিল যদি কেউ খুঁজে পান তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং কাকতালীয়। ]

    ইন্দ্রনীলের কথার উত্তর দেওয়ার আগে ভাল করে ভেবে নিয়েছিল বিনীতা। আজ থেকে বছর দুই পরে কেমন হবে তার জীবন? এ প্রশ্ন বড় কঠিন। ডাক্তারের কথা যদি মিলে যায় তাহলে অরুণাভর আয়ু আর মাত্র কয়েক মাস। তারপর? বিনীতা বুঝতে পারছে আলোচনাটা ইন্দ্র কোন দিকে নিয়ে যেতে চাইছে। বিনীতার প্রতি তার দুর্বলতার কথা সে লুকোয়নি, তবে এখনও পর্যন্ত ডাক্তার হিসেবে তার কর্তব্যে কোনও ফাঁকিও চোখে পড়েনি অরুণাভর স্ত্রীর। কিন্তু রক্তমাংসের মানুষ যে বিনীতা, সে কোন পথে হাঁটতে চায়? সে যে আকৃষ্ট হয়েছে ইন্দ্রর প্রতি তাতে তো সন্দেহ নেই। কিন্তু সেটা কি প্রকাশ করবে? এখন করবে, না কি পরে, আদৌ করবে কি? দু বছর অনেক পরের কথা। 
    “আমার কথা থাক... আপনার জীবনে কেমন পরিবর্তন চান আপনি? দু বছর পরে?” সোজা উত্তর না দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করে বিনীতা।
    ইন্দ্রনীল কি তৈরি ছিল এমন প্রশ্নের জন্য? একটুও সময় নিল না সে। বলল, “সত্যিই শুনতে চান?” বিনীতা মাথা নেড়ে হ্যাঁ জানালে ডাক্তার বলল, “আমি সেটল করতে চাই… নতুন করে।”
    বিনীতা মৃদু হাসল। “সে তো খুব ভালো কথা। কার সঙ্গে?”
    ধোঁয়াশা রেখে দিল ইন্দ্রনীল। মুচকি হেসে বলল, “আছে এক জন…”
    বিনীতাও কম যায় না। প্রশ্ন করল, “সে জানে এ কথা?”
    “জানে না, তবে বোঝে।... সময় মত জানবে।”
    “সময়টা কবে আসবে?”
    একটু চুপ করে থাকল ইন্দ্রনীল। তারপর বলল, “যখন সেও সেটল করতে চাইবে, নতুন করে।”
    “আর যদি সে না চায়?”
    ইন্দ্রনীল একটা ছদ্ম নিঃশ্বাস ফেলল বড় করে। বলল, “তখন অপেক্ষা করব…”
    “কিসের? তার মন বদলের?” জানতে চাইল বিনীতা। দুজনের কাছেই খেলাটা এখন স্পষ্ট। তবে এর উত্তরটা খুব জরুরী তার কাছে।
    “হ্যাঁ। আর যদি তা না হয়, তাহলে আবার কবে কাউকে ভাল লাগে তার জন্য…”
    মন রাখা উত্তর দেয়নি ইন্দ্রনীল, তাই ভাল লাগল বিনীতার। “আপনি সাত আট বছর একা আছেন, এই সময়ে কাউকে ভাল লাগেনি?”
    ইন্দ্রনীল এইবার একটু থেমে উত্তর দিল, “লাগেনি বললে মিথ্যে বলা হবে। তবে এত ভাল লাগেনি যে সেটল করার কথা ভাবব, যেটা এখন মনে হচ্ছে।... এবার আপনার কথা বলুন।”

    খাটের হেড বোর্ডের একটা কোণায় হাত রাখল বিনীতা, এখানে একটা গোল নকশা আছে। সেদিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল বিনীতা।
    “আপনার কি কিছুই বলার নেই ম্যাডাম?” জানতে চাইল ইন্দ্রনীল।
    বিনীতা আরও কিছুক্ষণ চুপ করে থাকল। শেষে বলল, “দু বছর অনেক লম্বা সময় ডাক্তারবাবু।  এর মধ্যে অনেক বদল ঘটবে। সে সব সামলাতে হবে। আমার মেয়ে ছোট, তার কথা ভাবতে হবে।”

    ইন্দ্রনীল কিছু বলল না, একটু ইতস্তত করে নিজের একটা হাত রাখল বিনীতার হাতের ওপর। সরিয়ে নিতে গিয়েও নিল না বিনীতা। যে খেলা এতক্ষণ ধরে চলছিল, তার ফল বোঝা হয়ে গেল ইন্দ্রনীলের। গভীর গলায় বলল, “ম্যাডাম, এইটুকু আমি বলতে পারি যে রঙিনকে নিয়ে ভাবনা আপনাকে একা ভাবতে হবে না। আর এটাও জোর দিয়ে বলতে পারি যে সব চেয়ে বড় যে বদলটা প্রথম আসবে সেটা অ্যাজ ফার অ্যাজ পসিবল পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টার ত্রুটি হবে না।”
    এইবার ধীরে ধীরে হাতটা সরিয়ে নিল বিনীতা।
    “কফি নিয়ে আসি,” বলে ধীরে ধীরে উঠে পড়ল সে, চলে গেল ঘরের বাইরে। 

    ইন্দ্রও এক মুহূর্ত পরে উঠে পড়ে, শোবার ঘরের দিকে যায়। অরুণাভর কাছে গিয়ে দাঁড়ায়। কপালে হাত রাখে, জ্বর আর আসেনি। কিছুক্ষণ স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে তাকে রোগীর দিকে। নাহ, এখন সে সত্যিই ঘুমাচ্ছে। পালস না দেখলেও চলবে। একবার ঘুমন্ত রঙিনকে দেখার ইচ্ছে কেন হল ইন্দ্রর কে জানে। বেডরুম থেকে বেরিয়ে রঙিনের ঘরের দরজা খুলতে গিয়েও খুলল না সে, মনে পড়ল এ ঘরে শুধু ম্যাডামের মেয়ে নয়, বিসপাতিয়াও শোয়।

    হঠাৎই একটা গন্ধ নাকে এল ইন্দ্রনীলের, আর সেটা পেয়েই দ্রুত পায়ে গেল রান্নাঘরের দিকে। দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে দেখতে পেল সসপ্যান থেকে জল উথলে পড়ে গ্যাস নিভে গেছে তাই এলপিজির কটু গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। আশ্চর্য ব্যাপার হল বিনীতা শূণ্য দৃষ্টিতে সেই দিকেই তাকিয়ে আছে, কিন্তু কিছুই করছে না। ওভেনের পাশে কফির শিশি, চিনির বয়াম, গুঁড়ো দুধ আর কাপ রাখা। ওভেনের রেগুলেটর অন করাই রয়েছে। ইন্দ্র চট করে ভেতরে গিয়ে গ্যাসটা বন্ধ করে। বিনীতার সন্বিত ফেরে। নিজেকে সামলে সে কাপে গরম জল ঢালতে শুরু করে।
    ইন্দ্রনীল বলে, “একটা কথা বলি। আপনার সাড়া না পেলে আমি চুপ করেই থাকব। আর হ্যাঁ… আবার বলছি, মিস্টার দাসের ট্রিটমেন্টের কোনও ত্রুটি হবে না।”
    বিনীতা কাপের দিকে তাকিয়ে থেকেই উত্তর দেয়। “আপনি যান, আমি কফি নিয়ে আসছি।”

    ডাক্তার চলে যায়। বিনীতা রান্নাঘরের সিঙ্ক থেকে চোখে মুখে জল দেয়। ঠান্ডা জল হয়তো তার মনকেও শীতল করে। ওদিকে ইন্দ্র গেস্ট রুমে ফেরার পথে ডাইনিং টেবিলের ওপরে রাখা বোতল থেকে জল খায়। ঘড়িতে রাত প্রায় সাড়ে চারটে বাজে। বন্ধ কাঁচের জানলার ভেতর দিয়ে দেখা যাচ্ছে অন্ধকার ফিকে হতে শুরু করেছে।
    বিনীতা ঘরে আসে কফি নিয়ে। কালো কফির কাপ হাতে নিয়ে বিনীতার মুখের দিকে তাকায় ডাক্তার, বোঝা যাচ্ছে সে স্বাভাবিক হয়েছে।

    কাপে চুমুক দিয়ে তৃপ্তির ‘আহ’ শব্দ করে ইন্দ্রনীল। বলে, “দারুণ কফি।”।
    বিনীতাও চুমুক দেয় তার কাপে। একটু ঠাট্টার সুরে বলে, “আপনি মানুষটা কেমন বলুন তো?”
    ইন্দ্র অবাক হয়, “মানে?”
    “মানে… এই ধরুন আপনার স্বভাব চরিত্র… কী করেন…কী করেন না.....”
    “স্বভাব চরিত্র? হুমমম… দাঁড়ান…”
    বিছানার ওপরে রাখা মোবাইল থেকে কিছু একটা করে ইন্দ্রনীল। বিনীতার মোবাইলে একটা হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ আসে। বিনীতা মোবাইল তুলে নেয়। “আমার প্রাক্তন স্ত্রীর ফোন নম্বর। চাইলে কল করবেন। আমার সম্পর্কে অনেক কমপ্লেন করবে। তবে সেই লিস্টে আমার ক্যারাকটার নিয়ে কিছু থাকবে না বলেই আমার বিশ্বাস।”
    মোবাইলে আসা মেসেজে ইন্দ্রনীলের প্রাক্তন স্ত্রীর নামটা দেখল বিনীতা - ‘অঞ্জলি’।
    “যদি চান, আমার ফিমেল পেশেন্টদের নাম্বারও দিতে পারি,” বলল ডাক্তার।
    ফোন নামিয়ে রাখল বিনীতা। বলল, “ব্রহ্মাস্ত্র যখন দিয়েছেন তখন আর অন্য কিছু দরকার নেই।” 
    একটু তাড়া দেওয়ার ভঙ্গীতে ইন্দ্র বলল, “নিজের কথা তো মুখ ফুটে কিছুই বললেন না। শুধু আমায় জেরা করে যাচ্ছেন।”
    “মেয়েদের মুখ ফোটে না জানেন না?” বিনীতাও জবাব দিল একই ঢঙে।
    “হ্যাঁ জানি, কিন্তু–”
    ইন্দ্রকে থামিয়ে দিল বিনীতা, “পরিবর্তনের কথা তো প্রচুর বলেন। চোখে দেখেন কি?”
    ইন্দ্র বুঝতে পারে না কী বলতে চাইছে বিনীতা, বোকার মত তাকিয়ে থাকে সে।
    “ওই দেখুন”  এবার আঙ্গুল তুলে জানলার কাঁচের দিকে দেখায় বিনীতা। ইন্দ্র সেদিকে তাকিয়ে দেখে আলো ফুটছে।
    “হাঁটতে যাবেন?” জিজ্ঞাসা করে বিনীতা।
    “হাঁটতে? সিওর।”
    “আমি চেঞ্জ করে আসছি,” জানায় বিনীতা। ঘরের বাইরে চলে যায় সে।
    ইন্দ্রনীলও ওয়াশরুমে যায়, বিনীতার দেওয়া পোশাক পালটে নিজের পোশাক পরে নেয়। 

    বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটছে ইন্দ্র আর বিনীতা। রাস্তায় এখনও তেমন লোক চলাচল নেই। বিনীতার চোখমুখের ভাব দেখে ইন্দ্রনীলের মনে হল এই মর্নিং ওয়াক যেন তাকে মুক্তি দিয়েছে। লম্বা করে নিঃশ্বাস নিচ্ছে চোখ বুজে, হাঁটছেও প্রায় ছেলেমানুষের মত।

    কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল ডাক্তার, তার আগেই মুখ খুলল বিনীতা। “কত দিন পরে ভোর বেলা হাঁটতে বেরোলাম।”
    “আপনি হাঁটতে ভালবাসেন?” জিজ্ঞাসা করল ইন্দ্রনীল।
    “এখানে আসার পর প্রথম প্রথম ওকে টেনে নিয়ে বেরোতাম, তারপর আর…”
    ইন্দ্রনীল বলল, “হাঁটার পক্ষে এই জায়গাটা বোকারোর চেয়ে ভাল।”

    দুজনেই চুপচাপ হাঁটতে লাগল। কাছেই একটা পার্ক আছে, তবে সেদিকে গেল না বিনীতা। ওদিকে মর্নিং ওয়াকারদের ভিড় বেশি হয়, একটু পরেই অনেক লোক এসে যাবে। মানুষের কৌতূহল বড় বেশি, বিশেষ করে তার বিষয় যদি কোনও মহিলা হয়। অচেনা পুরুষ মানুষের সাথে বিনীতাকে দেখলে কলোনির ছোট কমিউনিটিতে গুজব পল্লবিত হবে। এসব বিনীতার জানা ছিল না তা নয়, তবুও না বেরিয়েও পারেনি সে। কয়েক মাস আগের জন্মদিনের ভোরে ছাদে যাওয়াটা মনে পড়ল বিনীতার, আজকের ভোরটা তার চেয়েও ভাল। 

    এই দিকটায় বসতি কম, গাছপালা বেশি। রাস্তার ধারে ঘাস গজিয়েছে, তার ওপর শিশির পড়েছে, তার ওপর সূর্যের আলো যদি পড়ে তবে হীরের মত ঝকঝকিয়ে উঠবে। ঠান্ডা রয়েছে ভালই, দুজনের গায়েই গরম পোশাক। সামনেই রাস্তার দু দিকে দুটো বড় গাছের ডাল  - একটা নিম, অন্যটা শিশু - দু’দিক থেকে এসে পথের ওপর চাঁদোয়া খাটিয়ে দিয়েছে। ইন্দ্র খেয়াল করে বিনীতা কিছু একটা গানের সুর গুনগুন করছে।

    “গানটা একটু জোরেই হোক না,” বলল ডাক্তার
    “আরে দূর… আমার আবার গান…,” অস্বস্তি বোধ করল বিনীতা।
    “হোক না… হোক…”
    “এই এখানে?”
    “এটা তো ফাঁকা জায়গা। আর আপনি তো চেঁচিয়ে গাইবেন না… কেবল আর সামান্য একটু জোরে… প্লিজ,” বলল ইন্দ্রনীল।
    বিনীতা গলা তুলল সামান্য। ইন্দ্রনীল শুনতে লাগল গান - “আমার সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায়…”

    ইন্দ্র দেখল বিনীতা বেশ ভাল গায়, তবে বিশেষ এই গানটি গাইতে দেখে সে একটু অবাকও হয়। দু-জন লোক সাইকেলে যেতে যেতে এদের গাইতে দেখে অবাক হয়। দূরের এক বাড়ির দোতলার বারান্দায় এক দম্পতি দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁরা অবাক হয়ে এদের দেখলেন। ইতিমধ্যে সূর্য উঠেছে। ওদিকে ঘুমের মধ্যে চাদর টেনে নেয় অরুণাভ। 

    খুব ছোট গান, চট করে শেষ হয়ে যায়। ইন্দ্রনীল বলে, “আপনার গলা তো বেশ ভাল, শিখতেন মনে হয়।”
    বিনীতা কিছু বলার আগেই অন্য এক জন কথা বলল। এক জন লোক - খুব একটা ভদ্রশ্রেণীর বলে মনে হয় না - যেতে যেতে বিনীতাকে “নমস্তে ম্যাডাম” বলল, তারপর কৌতূহলের সঙ্গে ইন্দ্রের দিকে তাকায়, তারপর চলে যায়। লোকটাকে চিনতে পারল না বিনীতা, তবে তার চোখে আর ঠোঁটের কোণে যে বিশ্রী হাসিটা লেগেছিল, সেটা চোখ এড়াল না এজিএম সাহেবের স্ত্রীর।

    ফিরতে হবে, এবং এখনই। 
    “তাড়াতাড়ি চলুন, রঙিন উঠে পড়বে,” বলল বিনীতা। দ্রুত হাঁটা শুরু করল বাড়ির দিকে। (ক্রমশঃ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২৯৯ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ইতি - Ankan Chakraborty
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কালনিমে | 103.244.***.*** | ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৪২539464
  • এই জল ভাল লাগে - ধরনের লেখা - অপেক্ষা করি কোনদিকে যাবে- যদিও এখন ত মনে হচ্ছে আমাদেরও পাতা ঝরার পালা। এই যে অনিশ্চয়তার দ্বন্দ্ব আপনি রেখে দেন এ হয়ত আমরাও কখনো কেউ ভাবিনি মনে এ জীবন যদি অন‍্য পথে যেত? মানুষ মানুষীর পারস্পরিক আকর্ষণ এর experiment - আড়চোখে সকলকে মেপে নেওয়ার পরের কথা চললে বেশ হত - but all good things must end. 
  • Ranjan Roy | ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ০৪:৫৬539475
  • কালনিমের প্রতিধ্বনি করলাম। 
  • Nirmalya Nag | ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:০১539479
  • @কালনিমে - অনেক ধন্যবাদ মতামত দেওয়ার জন্য। সত্যিই জীবনের অন্য নাম অনিশ্চয়তা। 
     
    Ranjan Roy -অনেক ধন্যবাদ। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন