উত্তর কলকাতার হাতিবাগান চত্বর, ধর্মতলা, দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর, টালিগঞ্জ, বালিগঞ্জ, গড়িয়া এলাকায় ছিল সিঙ্গল স্ক্রিন সিনেমাহলের রমরমা। আজ এই গোটা কলকাতা শহর জুড়েই একের পর এক সিনেমাহল বন্ধ হয়ে গেছে। হয় তালাবন্দি জীর্ণ বাড়ি আজও পড়ে আছে, নয়তো শপিং মল অথবা দানবাকৃতি আবাসন তৈরি হয়েছে সেইসব সিনেমাহলের পরিত্যক্ত জমিতে। মুছে গেছে, ক্রমশই আরও মুছে যাচ্ছে বাঙালির বিনোদনের এক গর্বোজ্জ্বল ইতিহাস। একে একে নিভে গেছে দেউটি। বিপণন আর বাণিজ্যের ধাক্কায় ধ্বংস, অবলুপ্ত হয়ে গেছে বাঙালির ঐতিহ্য, ইতিহাস। কোথাও কোথাও বাস স্টপেজ, কোথাও আবার দোকানের নামের দৌলতে টিকে রয়েছে সেইসব সিনেমাহলের নামগুলোর অপসৃয়মান ছায়া। খান্না, রূপবাণী, অনন্যা, উত্তরা—এই সমস্ত হল আজ বাসের কন্ডাক্টরের চিৎকারে টিকিয়ে রেখেছে নিজেদের অস্তিত্ব। এগুলো এখন শুধুই হাওয়ায় ভেসে থাকা কতকগুলো নামের স্মৃতিমাত্র।
হাতিবাগান এলাকার সিনেমা-মানচিত্রটি একবার স্মরণ করুন। শ্যামবাজার দিয়ে ঢুকে প্রথমেই ফড়েপুকুর। একটু ভিতরেই ‘টকি শো হাউস’। উত্তর কলকাতার এই হলেই একমাত্র ইংরেজি সিনেমা দেখানো হত। আর ‘রাধা’য় নুন শো ছিল ইংরেজি সিনেমা দেখার জায়গা। একটু সামনের দিকে এগোলে বাঁদিকেই ‘দর্পণা’। সত্তর দশকে ‘ববি’ সিনেমাটি দেখার জন্য এখানে হয়েছিল মারমার-কাটকাট ভিড়। তারপরেই ‘মিত্রা’। আগে এই হলের নাম ছিল ‘চিত্রা’। ১৯৬৩ সালে নতুনভাবে সেজে ওঠে এই হল, ‘মিত্রা’ নামে। মিত্র পরিবার মালিকানা নেন এই ১১৫৮ আসনবিশিষ্ট হলের। আজ ‘মিত্রা’ কেবলই স্মৃতি। অকৃতদার দীপেন্দ্রকৃষ্ণ মিত্রর পক্ষে আর সম্ভব হয়নি এই হল চালানো। এই হলের দ্বারোদ্ঘাটন করেছিলেন স্বয়ং নেতাজি। ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল বন্ধ হয়ে যায় এই হল। এখানে শেষ প্রদর্শিত ছবি ‘মুখার্জিদার বউ’। এর উল্টোদিকেই ‘মিনার’। এই হলের সুন্দর সিঁড়ি, আয়না দিয়ে মোড়া চৌকো থাম, শ্বেত পাথরের মেঝে ছিল তাকলাগানো। এই হলে টানা একবছর চলেছিল ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’। সামান্য এগোলেই গা ঘেঁষাঘেষি করে দুটি হল—‘শ্রী’ আর ‘উত্তরা’। উত্তম-সুচিত্রার কতো যে ছবি মুক্তি পেয়েছে এখানে, ইয়ত্তা নেই। বিধান সরণী ধরে এগোলেই ‘রূপবাণী’। খোদ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর নামকরণ করেছিলেন। নান পরিবার ‘রূপবাণী’ বন্ধ করে দিয়েছে নব্বই দশকের গোড়ায়, কারণ শোভাবাজারের দেব পরিবার এর জমি পুনঃনবীকরণ করতে রাজি হননি। বারিক পরিবারের ‘দর্পণা’, ‘পূর্ণশ্রী’ একসঙ্গে বন্ধ। ‘দর্পণা’ বন্ধ হয়েছে ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ। ‘বিধুশ্রী বন্ধ হয়েছে ২০০৮ সালে। ‘খান্না’ সিনেমাহলও বহুবছর তালাবন্ধ। হ্যারিসন রোড ধরে এগোলে ‘পূরবী’, ‘ছবিঘর’, অরুণা’। ‘পূরবী’ এখন ধ্বংসস্তূপ। ‘অরুণা’র মালিকানা নান পরিবারের কাছ থেকে হস্তান্তরিত হয় ২০০০ সালে। এরপর এম এস ফিল্মস কিছুদিন চালানোর পর এটি বন্ধ করে দেয়। কলেজ স্ট্রিটের লাগোয়া ‘গ্রেস’। হ্যারিসন রোডের কাছেই ছিল ‘প্রভাত’। দুটি হলই জমিসংক্রান্ত বিবাদে বহুকাল বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। মহম্মদ আলি পার্কের কাছে ছিল ‘কৃষ্ণা’। এই সিনেমাহলের জমিতে এখন বেসরকারি নার্সিংহোম। শ্রীমাণি মার্কেটের কাছে ‘বীণা’ ও আগে যেটির নাম ছিল ‘নাজ’, পরবর্তীকালে নাম বদলে ‘ময়ূরী’—দুটো হলের দরজাই বন্ধ হয়ে গেছে ২০১৯ সালে। মানিকতলার ‘ছায়া’, মির্জাপুর স্ট্রিটের মুখে ‘জগৎ’, রাজাবাজারের ‘তসবিরমহল’, এন্টালির ‘জেম’ ও ‘মিনি জেম’ ছাড়াও উত্তর লাগোয়া মধ্য কলকাতার ‘লোটাস’, ‘প্রভাত’, ‘রূপম’—বহুদিন ধরেই টিমটিম করে চলতে চলতে বন্ধ হয়ে গেছে। এদের যেটুকু বাঁচার সম্ভাবনা ছিল সেটুকুও ধ্বংস করে দিল ২০২০ সালে আসা করোনা, ‘কোভিড-১৯’ ভাইরাসের দাপট।
ধর্মতলা অর্থাৎ সাহেবপাড়ার অবস্থাও অত্যন্ত করুণ। বহুকালব্যাপী এগুলোই ছিল কলকাতার ইংরেজি ছবি দেখার মহার্ঘ পীঠস্থান। চৌরঙ্গির বুকে সবচেয়ে অভিজাত সিনেমাহল ‘মেট্রো’। ১৯৩৪ সালে বিশ্বখ্যাত টমাস ল্যাম এর নকশা তৈরি করেন। পরের বছর চালু হয় ‘মেট্রো গোল্ডউইন মেয়ার’ বা ‘এমজেএম’-এর এই প্রেক্ষাগৃহ। এখানে প্রদর্শিত প্রথম ছবি ছিল ‘লরেল-হার্ডি’। ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শোয়ের বিপুল ভিড় দেখে স্টেটসম্যান পত্রিকায় লেখা হয়েছিল—‘ক্যালকাটা মেট্রো ম্যাড! নট আ সিট লেফট ফর গালা ওপেনিং টুনাইট’। সেই মেট্রো দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এখন শপিং কমপ্লেক্স ও সদ্য ফের চালু-হওয়া সিনেমাহল। ‘জ্যোতি’, ‘অপেরা’, ‘নিউ সিনেমা এখন অস্তিত্বহীন। ১৯৭৫-এ ‘জ্যোতি’তে রমরম করে ৭০ মিলিমিটার পর্দায় চলেছিল ‘শোলে’। এই চত্বরের সবচেয়ে পুরোনো হল ‘গ্লোব থিয়েটার’ চালু হয় ১৮৬৭ সালে। পরে এর নাম হয় ‘গ্লোব’। একচেটিয়া হলিউড-মুভি মুক্তি পেত এখানে। এখন এটি বন্ধ। ‘গন উইথ দ্য উইন্ড’, ‘বেন হার’, ‘কুয়ো ভাদিস’, ‘আইভ্যান হো’র মতো ছবি মুক্তি পেয়েছে এখানে। পরে এমনকী দেখানো হয়েছে সত্যজিৎ রায়ের ছবিও। বন্ধ হয়ে গেছে রক্সি সিনেমাহলও। তালা পড়েছে ‘এলিট’-এর দরজায়। ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই হলের প্রথম নাম ছিল ‘প্যালেস অফ ভ্যারাইটিজ’। ১৯৩৮ সালে এর নাম বদলে হয় ‘এলিট’। কিছুদিন বন্ধ থাকার পর ১৯৫০-এ নতুন করে খোলে এটি। মুক্তি পেয়েছিল জন ওয়েনের বিখ্যাত ছবি ‘রেড রিভার’। ‘লাইট হাউস’ এখন শপিং মল। ‘টাইগার’ হলটি বিলুপ্ত। বহু ঐতিহ্যের স্মারক ‘চ্যাপলিন’ বন্ধ হয়ে গেছে। ‘ম্যাজেস্টিক’ সিনেমাহল এখন হোটেল। ‘যমুনা’ আজ ব্যাঙ্কোয়েট হলে পরিণত। ‘ওরিয়েন্ট’ সিনেমাহল আবাসন হয়ে গেছে। একদা এই জনপ্রিয় হলে মুক্তি পেয়েছিল ‘দুর্গেশনন্দিনী’, ‘সঙ্গম’, ‘হম কিসিসে কম নহি’, ‘ঝিল কে উসপার’, সাগর’, ‘খলনায়ক’ ইত্যাদি বহু বিখ্যাত ছবি। ‘জনতা’ সিনেমাহলের বাড়িতে এখন একটি বাংলা খবরকাগজের অফিস। দক্ষিণ কলকাতায় ‘পূর্ণ’ তালাবন্ধ। ‘ভারতী’র অস্তিত্ব বিলুপ্ত। ‘উজ্জ্বলা’ এখন একটি প্রসাধন সামগ্রীর বিরাট বহুতল। ‘আলেয়া’ ‘কালিকা’ বন্ধ হয়ে গেছে। ‘রূপালী’ হলের স্মৃতিও বহুকাল বিলুপ্ত। সেখানে এখন চোখধাঁধানো হাউজিং কমপ্লেক্স। ‘দীপ্তি’ সিনেমার জায়গায় এখন বহুতল বেসরকারি নার্সিংহোম। ‘মালঞ্চ’ বন্ধ হয়েছে ২০১৯ সালে। ‘মধুবন’ সেই নব্বই দশকের গোড়া থেকেই উধাও। পূর্ব কলকাতায় ‘সন্তোষ’, ‘শুকতারা’ হলদুটির আজ আর অস্তিত্ব নেই। ‘সুরশ্রী’ তালাবন্ধ। ‘আলোছায়া’র জায়গায় এখন বহুতল আবাসন। কোনওক্রমে চলছিল ‘রাগিনী’। কোভিডের ধাক্কায় তাও আজ প্রায় বন্ধ বহুকাল।
নতুন প্রযুক্তি এসে গেলে পুরোনো প্রযুক্তি অবলুপ্ত হয়ে যাবে, এটাই স্বাভাবিক। আগে সিনেমাহলের চেইন ছিল। একসঙ্গে উত্তর-মধ্য ও দক্ষিণ কলকাতায় মিনার-বিজলি-ছবিঘর, রূপবাণী-অরুণা-ভারতী, শ্রী-প্রাচী-ইন্দিরা, উত্তরা-পূরবী-উজ্জ্বলার চেইনে সিনেমা রিলিজ করত। ষাট-সত্তরের দশকে ৬৫ বা ৭৫ পয়সার ফ্রন্ট রোয়ের টিকিটের জন্য অল্পবয়সীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ত। বাড়ির গিন্নি বা মেয়ে-বউরা দেওর, ভাইদের দিয়ে আগেভাগেই টিকিট কেটে রাখত। অধিকাংশ সিনেমাহলে স্থানীয় মস্তানদের দৌরাত্ম্য ছিল খুব। একবার ‘হাউসফুল’ বোর্ড ঝুলে গেলে শেষ ভরসা ছিল ব্ল্যাকাররা। মিডল রো, রিয়ার স্টল, ড্রেস সার্কল, ব্যালকনি, বক্স এইসব বিভিন্ন সারির টিকিট আজ ইতিহাস মাত্র। বাঙালি দর্শকের রুচিবদলের সঙ্গে সঙ্গেই বাংলা সিনেমার বিষয়বস্তুতেও পরিবর্তন আসছিল। সামাজিক প্রহসন, পৌরাণিক সিনেমার যুগ পেরিয়ে সাহিত্যনির্ভর বাংলা ছবির স্বর্ণযুগ বিগত হয়েছিল বহু আগেই। আশির দশক থেকে বোম্বাই ফিল্মের অন্ধ অনুকরণ শুরু। ক্রমে তা বদলে যেতে থাকে দক্ষিণী সিনেমার অপকৃষ্ট রিমেকনির্ভরতায়। দর্শক হলবিমুখ হতে শুরু করেছিল অনেক আগে থেকেই, যখন টেলিভিশন ঘরে ঘরে ঢুকে গেল সত্তরের শেষ, আশির দশকে। যে ছবি মানুষ হলে দেখত তার অনেকগুলোই তখন সরকারি দূরদর্শনেই দেখানোর ব্যবস্থা হয়েছে। আশির দশকেই এল ভিডিও, ভিসিপি, ভিসিআরের যুগ। গ্রামেগঞ্জে গজিয়ে উঠল ভিডিও পার্লার। সিনেমাহলগুলির আয়ুক্ষয়ের শোচনীয় যুগ শুরু হল সেইদিন। সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির পাইরেটেড ক্যাসেট বা সিডির বাজার প্রেক্ষাগৃহের নড়বড়ে অবস্থাটাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেল। আগুনে ঘি পড়ল নব্বই দশকে ইন্টারনেট-বিপ্লব ঘটে যাবার পর। প্রোজেক্টর মেশিনকে সরিয়ে যেরকম এসেছে ডিজিটাল সিনেমা প্রক্ষেপন পদ্ধতি, সেরকমই টেলিগ্রাফ-টেলিগ্রাম-টেলিফোনের মিলিত রূপ হিসেবে আজ এসে গেছে স্মার্টফোন। প্রেক্ষাগৃহের টিকিটঘরের সামনে লাইন দিয়ে টিকিট কেটে অন্ধকার হলের ভিতর বুঁদ হয়ে সিনেমায় ডুবে যাওয়া থেকে হাতের মুঠোয় সিনেমাহলের এই স্থানান্তর এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটিয়ে দিয়েছে। ফলত সাবেক সিনেমাহলগুলো আজ নিছকই ইতিহাসের বস্তুতে পরিণত হয়ে গেছে।
বাংলার সিঙ্গল স্ক্রিন সিনেমা আজ যেটুকু টিকে আছে, তা গ্রাম ও মফস্সলে। কলকাতায় তা আজ প্রায় দুই দশক হল মৃত্যুর পথে পা বাড়িয়েছে। এর উপর আন্তর্জাতিক নয়া-উদারবাদী আক্রমণ শুরু হয়েছিল ডিজিটাল সিনেমা বা মাল্টিপ্লেক্স সিনেমার হাত ধরে। ২০০৩ সালের আগস্ট মাসে এলগিন রোডে ৩০,০০০ বর্গফুট জায়গা ও একহাজার আসনবিশিষ্ট এক অত্যাধুনিক নির্মাণশৈলির মাল্টিপ্লেক্স গড়ে ওঠে, যেখানে একই ছাদের নীচে চলচ্চিত্র, পোশাকসম্ভার ও খাবারদাবারের বিপুল আয়োজন চোখ ধাঁধিয়ে দিল কলকাতাবাসীর। আর বিগত দুই দশকে এই মাল্টিপ্লেক্সের সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়তে বাড়তে আজ শুধু কলকাতা নয়, বাংলার প্রত্যেকটা ছোটো শহরে মাল্টিপ্লেক্সের উজ্জ্বলতম উপস্থিতি। এই নতুন মল-কাম-সিনেমা কালচারের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বিশ্বায়ন-উত্তর নব্য মধ্যবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্ত সম্প্রদায়, যাদের কাছে বিনোদনের সংজ্ঞাটাই বদলে গেছে। কম-আয়ের মানুষজনের কাছেও আজ মল-কালচারই সিনেমা-বিনোদনের অন্যতম আশ্রয়। সারাদিনে মাল্টিপ্লেক্সের একাধিক পর্দাবিশিষ্ট প্রেক্ষাগৃহে যেখানে ৩০ থেকে ৩২ টা শো অনায়াসেই দেখানো যায়, সেখানে দিনে বড়োজোর ৪-৫ টি শো দেখিয়ে সিঙ্গল-স্ক্রিন সিনেমাহল কীভাবে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকবে? দৈনিক আর্থিক উপার্জন তলানিতে ঠেকেছে, দর্শক হাতে খাদ্য-পানীয় সহযোগে ঢুকছে মাল্টিপ্লেক্সে, বাংলা ছবির মান ক্রমশ নিম্নমুখী—কীভাবে চলবে সিঙ্গল স্ক্রিন হলগুলো? এরপর একুশ শতকের দ্বিতীয় দশকের মাঝামাঝি থেকে মানুষের হাতের মুঠোয় চলে এল একাধিক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। প্রথমে আন্তর্জাতিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইংরেজি বা হিন্দি ছবিতে মজল দর্শক। আর বিগত কয়েকবছরে প্রায় একডজন বাংলা সিনেমার ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চালু হয়ে গেছে। শেষ দু’বছরে করোনার প্রকোপে এমনকী মাল্টিপ্লেক্সে গিয়ে সিনেমা দেখাও কমে এসেছে। তার জায়গা নিয়েছে হাতবন্দী স্মার্টফোনের ওটিটি সিরিজ ও সিনেমা। সিনেমাহলগুলোর তৃতীয় প্রজন্মের মালিকেরা আজ আর অস্বাভাবিক লোকসানে তাদের পারিবারিক ব্যবসা চালাতে নারাজ। আর ওটিটি প্ল্যাটফর্মের মধ্য দিয়ে মেইনস্ট্রিম ছবির পাশাপাশি সমান্তরাল ধারার অজস্র নতুন পরিচালক তাদের চমকে দেবার মতো ছবি নিয়ে হাজির। সিঙ্গল স্ক্রিন সিনেমা তাই আজ এক বিলুপ্ত ঐতিহাসিক হেরিটেজের তালিকায় চলে গেছে।
ঋণ: সুজয় ঘোষ, সমীরকুমার ঘোষ।