ছবি: ঈপ্সিতা পালভৌমিক
অলৌকিক
সকালের রোদ এল চায়ের টেবিলে
সুশোভন প্রচ্ছদের মতো সেই আলো
আমার অতল-অন্তরাল সামনে দাঁড়ালো
বিমূর্ত বাসনায় থাকো মাত্রা, অন্ত্যমিলে।
তারপর সেই আলো এসে পড়ে যায় --
সংবাদপত্রগুলি এক একটি জীর্ণ বটের পাতা
রাতের অসমাপ্ত পান্ডুলিপি -- কবিতার খাতা
অফসেটে ছাপা বই অলৌকিক ছাপাখানায়!
সেলফি
ছাদের দড়িতে আজ মেলে আছে
রমাদি-র রোদ, আনাচে-কানাচে
তার ছায়া কবেকার মফস্বল
থেকে উঠে আসো শিফন-আঁচল।
রেল-পাড়া, কুলি-গাড়ি, বাতিল-ইঞ্জিন
তার ভেজা চুল, ও সার্বজনীন
আলোকে প্রকাশ প্রথম কবিতার
অক্ষর মেঘে নাকি পায়রার
সারি উড়ে যায় নোটন-নোটন
মহানগর চেনে না ডাকনামে
সাদা-কালো ছবি রোদের অ্যালবামে
সেলফি ওঠে -- রমাদি ও ছোটন।
ছায়া
কেউ কি এসেছিল?
খুঁজে যাই আনাচ-কানাচ
গলির মোড়ে একটি ছাতার তলায়
দুটি ছেলে-মেয়ে রোদ হয়ে দাঁড়িয়ে
আর একটি কুকুর শুধু ভিজছে তাকিয়ে
নাহ! আর কারো চলাফেরা নেই।
বাইরের বারান্দায় আজকাল সব আলো ম্লান
সদর দরজার বাইরে বৃষ্টির জমা জল
সেইখানে পড়ে আছে ছায়াখানি তার
ডোর-বেল বেজেছিল কি আবার!
শুধু অপেক্ষায় রয়েছি এখনও
কারো ছায়া কুড়িয়ে নিতে অন্যজন আসেনা কখনও।