ছবি - গুহামানব / মিকেলাঞ্জেলো
বর্তমানে সোশাল মিডিয়াতে তর্জার একটা মূল ধারা হল আমাদের ধর্মচেতনা। শুধু মাত্র ভারতে নয়, বা এই উপনিবেশে নয়, কিছু স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশ বাদ দিলে সম্ভবতঃ বেশিরভাগ দেশেই একধরনের বিবাদমান যুযুধান কিছু গোষ্ঠী পাওয়া যাবে, যারা সদাই এই নিয়ে মাথা কুটে মরছে। ফলতঃ নানান কূট প্রশ্ন মাথায় ঘোরাফেরা করে যে এই ধর্মের সূত্রপাত কোথায়? কৈ বাকি জীবেরা তো ধর্ম অধর্ম নিয়ে মাথা ঘামায় না। আমাদের মধ্যেই এর প্রকাশ কেন? সেই উদ্দেশ্যেই এই লেখার অবতারনা। এই লেখাটি মূলতঃ ইউনিভার্সিটি অব ভিক্টোরিয়ার প্যালিওএন্থ্রোপোলজিস্ট জেনিভিয়েভ ভন পেটজিঙ্গারের টেড টক আর কিছু পেপারের সার। আমার কাছের বন্ধুরা জানে আমার পেটে বোম মারলেও বিশেষ কিছু বেরোবে না, তাই পরস্মৈপদী বাণী বিকীর্ণ করে থাকি। গুরুর গুণীরা যদি তাদের মত কিছু বলেন তবে নতুন কিছু শুনতে আর শিখতে পারবো এইরকম তালেই এটা মার্কেটে ছেড়ে দিলাম।
এইবারে মূল প্রতিপাদ্যে আসা যাক। যদি গোটাগুটি দেখা যায়, প্রাচীন কালে আর পাঁচটা মানুষের মতই যে সব স্পিশিস ছিল, তার মধ্যে ন্যাচেরাল সিলেকশানের ফলে হোমো সেপিয়েন্স টিঁকে যায়, প্রায় ৪০-২০ হাজার বছর আগে। একই সাথে আরো নানান স্পিশিস ছিল - হোম নিয়েন্ডারথাল, হোমো ইরেক্টাস, হোমো হ্যাবিলাস ইত্যাদি। এদের মধ্যে প্রাথমিক অস্ত্র বা tools বানানোর কৃতিত্ব দেওয়া যায় সম্ভবতঃ হোমো হ্যাবিলাস কে। একটু ভেবে দেখলে আমরা খেয়াল করব, এই ধরনের tool তৈরী করা কিন্তু ইভোলুশনারি পথে অনেকটা এগিয়ে যাওয়া। এর মধ্যে কল্পনার (imagination) একটা বিশেষ গুরুত্ব আছে। আর ধর্মের পথে কল্পনার যে বিশেষ ভূমিকা তা তো আপনাদের বলে বোঝাবার দরকার নেই।
গুণীরা হয়তো বলবেন - তা কেন? নানান এপ প্রজাতি, যেমন শিম্পাঞ্জি বা গোরিলাও ত উইঢিপিতে কাঠি ঢুকিয়ে তাই দিয়ে উইপোকা ধরে খায়। তারাও তো টুলের ব্যবহার জানে। কিম্বা আমাদের পোষা কুকুরেও কিছু এপিসোডিক মেমরি ধরে রাখে। এইখানেই কল্পনার আর স্মৃতির বিষয়টা একটু বুঝিয়ে বলা দরকার। আমাদের কল্পনা আমাদের নতুন চিন্তা করতে শেখায় যা এডপ্টিভ ও ভবিষ্যতের চিন্তা করতে শেখায়। আমাদের স্মৃতি কিন্তু তা নয়, সে শুধু পুরোনো জিনিস মনে রাখে।
যেমন ধরুন আপনি যদি ফ্লিন্ট দিয়ে একটা বল্লমের ফলা বানাতে চান, তবে আপনাকে আরো একটি ফ্লিন্ট সাথে নিয়ে চলতে হবে, কারণ একটি ফলা বানাতে অন্য একটি ফ্লিন্ট দিয়ে তাকে কাটতে হয়। অর্থাৎ আপনাকে আগে থেকে প্ল্যান করে রাখতে হবে যে আপনার ভবিষ্যতের প্রয়োজনের কথা। শুধু তাই না, আপনি কি বানাতে চাইছেন সেই অনুযায়ী আপনাকে একটা টেমপ্লেট মাথায় রাখতে হবে যা ন্যাচেরাল নয়। কিন্তু এইরকম ব্যবহারের নিদর্শন আমরা দেখেছি হোমো হ্যাবিলাসদের মধ্যে। হয়তো শুনতে অবিশ্বাস্য লাগবে, কিন্তু এই চিন্তারই ভবিষ্যৎ ফল হয়তো মিকেলেঞ্জোলোর ডেভিড, আবার এই প্রিপ্ল্যানিং এর ভবিষ্যত ফল সম্ভবতঃ চাষআবাদ। শিম্পাঞ্জি কিন্তু তা করবে না, তাদের উইপোকা খাওয়া হলে তারা ঐ কাঠিটা সেইখানে ফেলে চলে যাবে। অর্থাৎ তাদের কগনেটিভ রিজনিং তাদের ওই স্তরে নিয়ে যায় নি।
নব্বইয়ের দশকে, এম আর আই ও নানান ব্রেন স্ক্যান আবিস্কার হয়। ফলে আমাদের চিন্তাভাবনার জগতটা আমাদের কাছে আরো খানিকটা পরিষ্কার হয়ে ওঠে। সেই সময়ে কিছু ব্রেন সাইন্টিস্ট ব্রেনের সাথে ভাগবৎচিন্তার একটা যোগসাধন করতে চান। তার জন্যে বেশ কিছু স্টাডি করা হয়, যেখানে মানুষকে ডেকে এনে তাদের ভগবানের কথা ভাবতে বলা হয়, এবং একই সাথে ব্রেনের ইনফর্মেশান ট্রান্সফার সিগন্যাল ম্যাপ করা হতে থাকে। তাতে দেখা যায় যে মানুষ যখন ভগবানের চিন্তা করছে তখন ব্রেনের কিছু কমন যায়গা দেখা যাচ্ছে যেখানে নিউরনের এক্টিভিটি বেশি। এটা বেশ সাড়া ফেলে, এবং বিভিন্ন স্টাডি দেখা যাচ্ছে অন্তত ২০১৬ সাল অব্দি যেখানে বৈজ্ঞানিকেরা ক্লেম করে চলেছেন যে ভগবানের সাথে আমাদের যোগসূত্র আছে ব্রেনের কিছু বিশেষ অংশে। এর কাউন্টার স্টাডি অবশ্য বলে অন্য কথা। তার বক্তব্য এই যে, ব্রেনের যে অংশকে ভগবান চিন্তার যোগসূত্র বলা হচ্ছে তা মানুষ যে কোন বিষয়ে কনসেন্ট্রেট করলেই বেশি একটিভ হয়ে পড়ে। ভাগবত চিন্তা আসলে একটা চিন্তাই, ফলে ব্রেনের সেই অংশ একইভাবে একটিভ হয়ে উঠছে।
যদি আদিম মানুষের বিভিন্ন শাখার সাথে তুলনায় যাই, দেখতে পাবো প্রায় ১.৬৫ মিলিয়ান বছর আগে যে হোমো ইরেক্টাসের খুলির গঠন আমরা দেখতে পাই, তার সাথে আমাদের খুলির বা প্রায় দু লক্ষ বছরের পুরোনো হোমো সেপিয়েন্সের মূল পার্থক্য কেবল ফ্রন্টাল লোব অংশে। মূলতঃ এই অংশেই মানুষের হায়ার রিজনিং ক্ষমতা থাকে একথা প্রায় সর্বজনমান্য। মানুষের ইতিহাসের এই কগনেটিভ আর্কিওলজি নিয়ে গবেষণা করেন কলোরাডো ইউনিভার্সিটির ফ্রেডরিক কুলেংজ। তারা দাবী করেন যে এই সময় থেকেই আমরা বর্তমান চেহারা পাই, এবং যে বিভিন্ন প্রি প্ল্যানিং বা ভবিষ্যতের জন্যে তৈরী থাকার যে ক্ষমতা ও কল্পনাশক্তি মানুষ পেয়ে এসেছে।
এখানে বলে রাখা দরকার যে, যদিও এই দু লক্ষ বছরের পুরোনো মানুষ প্রায় আমাদের চেহারার ছিল, বা তাদের ব্রেনও আমাদের সমান ছিল, তার মানে এই নয় যে তারা আমাদের মতই ছিল। ইন ফ্যাক্ট দেখা যায় যে পরবর্তী আশি হাজার বছর অব্দি তারা মোটেই আমাদের মত তাদের কল্পনাশক্তির ব্যবহার করছে না। তারা তাদের প্রাচীন জ্ঞাতিগোষ্ঠীর মতই ব্যবহার করছে। তাদের তৈরী অস্ত্রশস্ত্র বেশ ভালো হচ্ছে, তাদের ব্যবহারিক জ্ঞান ভালোই হচ্ছে, কিন্তু কল্পনার যে উপাদান তা তাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না।
প্রায় একলক্ষ কুড়িহাজার বছর পরে হঠাৎই এর কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা গেল। হঠাৎই কেবল ইউটিলিটেরিয়ান সমাজ কেমন যেন তার বাঁধ ভেঙে ফেলল। প্রাচীন মানুষের মূলত তিনটি সমস্যা ছিল - ইনফ্যাক্ট আজও সেই তিনটি সমস্যাই মানুষের জীবনের মূল লক্ষ্যবস্তু বলে ধরা হয়, সেগুলি হল - খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান। এই একলক্ষ কুড়ি হাজার বছর আগেকার মানুষের সমাজে হঠাৎই দেখা যাচ্ছে সমাধি ও সমাধিতে রাখা বেশ কিছু জিনিসপত্র। এই সব জিনিসের মধ্যে আমরা দেখতে পাচ্ছি, নানান রকম ঝিনুক। তাদের মধ্যে বেশ কিছু ছিদ্র, যার কিছু ন্যাচেরাল আর কিছু মানুষের তৈরী করা ছিদ্র। এইসব ঝিনুকে মানু্ষের গায়ে ধারনের চিহ্ন আছে। অর্থাৎ তারা এই সব অলঙ্কার হিসেবে পরত, শুধু তাই নয়। এই অলঙ্কার কারো প্রিয়দ্রব্য ছিল তাই তার উদ্দেশ্যে একে মৃতের সাথে সমাধিস্থ করা হয়েছে। অর্থাৎ, মানুষ শুধু আর ইউটিলিটেরিয়ান নেই, সে তার কল্পনাশক্তিও ব্যবহার করছে। ইমোশানও ব্যবহার করছে।
কুলেংজ ও তার সহকর্মীরা, এবং আরো অনেক স্কলার দাবী করেন এই পরিবর্তন খুব স্পষ্ট করে দেখা যায় ৫০-৬০ হাজার বছর আগে, যখন থেকে মানুষ আফ্রিকা থেকে মাইগ্রেশান শুরু করে। এদের দাবী এই সময়েই সম্ভবতঃ কোন স্পেসিফিক মিউটেশন ঘটে যা মানুষকে ক্রমশ বহির্মুখী করে তোলে। বস্তুতঃ এর পরের ইতিহাস বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বিচারে বিভিন্ন। তারা আর বায়োলজিকালি ভিন্ন নয়, কিন্তু তাদের অবস্থানগত বৈশিষ্ট্য তাদের আলাদা করছে। তাই এর পরের ইতিহাস সময়রেখার নিরিখে একেবারে এক নয়। মানুষের বিভিন্ন আবিষ্কার একইসাথে ভিন্নভিন্ন যায়গায় ভিন্ন-ভিন্নভাবে হয়েছে। এই একই সময় মানুষের মধ্যে শিল্পচেতনার বিশেষ বিকাশ দেখা যায়, বিশেষ করে ভাষা ও প্রতীকি সংকেত (symbolism) বিভিন্ন কেভ পেইন্টিং দেখা যেতে থাকে এই সময়েই।
কয়েকটি উদাহরণ দিলে হয়তো ব্যপারটা একটু সহজ হবে। নিচের ছবিটা দেখুন একটি ফসিলের। এই ফসিলটি প্রায় ২৮ হাজার বছরের পুরোনো, পাওয়া গেছে Sunghir, Russia। ছবিতে ফসিলের উপরে যে সাদাসাদা বিন্দুগুলি দেখছেন এগুলি আসলে আইভরি বিডস। এই সমাধিতে প্রায় ৩৫০০ আইভরি বিডস আছে। নিচের ছবিটা একটি পূর্নবয়স্ক মানুষের। এর পাশেই আরো দুটি সমাধি আছে দুটি শিশুর। তার মধ্যে একটি ছেলে ও অন্যটি মেয়ে। ছেলেটির সমাধিতে প্রায় ৪৫০০ ও মেয়েটির সমাধিতে ৫০০০ এর বেশি বিডস আছে। র্যান্ডি হোয়াইট নামে এক আর্কিওলজিস্ট এক্সপেরিমেন্ট করে দেখার জন্যে হাতির দাঁত নিয়ে এইরকম বিড তৈরি করার চেষ্টা করেন ঐ ত্রিশহাজার বছরের পুরোনো যন্ত্রপাতির সাহায্যে। অনেক চেষ্টার পরে যখন তিনি বেশ সহজেই এইরকম বিড তৈরী করতে পারছেন, তখনও তার প্রায় এক ঘন্টা সময় লাগত একটি বিড বানাতে। ভেবে দেখুন, এই বহুসংখ্যক বিড বানাতে কতখানি ম্যান আওয়ার লাগছে, এবং কতটা সময় মানুষ এমন কাজে ব্যয় করছে যা কিনা তাদের অন্ন বস্ত্র বাসস্থান এর কোন কাজেই লাগে না। এর সবটাই মানুষ করছে তার খেয়ালে যা তার কল্পনার সাধন, শিল্পের উপাদান।
পরের ছবিটি দেখুন, এটিও একটি আইভরি মূর্তি। মূর্তিটি প্রায় ৩১ সেন্টিমিটার লম্বা, পাওয়া গেছে জার্মানির Stadel Cave, Baden-Württemberg। এই মূর্তিটি প্রায় চল্লিশ হাজার বছরের পুরোনো। দেখে বুঝতে পারছেন, এর মাথাটি সিংহের, দেহ মানুষের। দেখে হয়তো আপনার মিশরের স্ফিংসের কথা মনে পড়ে যাবে। এরকম কিম্ভুত বস্তু তো ন্যাচেরাল নয়। তারা তো নিজেদের দেখা জিনিস বানাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এ হয়তো কোন মিথের অংশ, বা কোন দেবতার মূর্তি যাকে তখনকার মানুষেরা পূজা করত। সম্ভবতঃ এটিই সর্বপ্রাচীন দেবতার মূর্তি।
এর পরের উদাহরণটা হল হান্টিং ম্যাজিকের। ফ্রান্সের হেনরি ব্রুয়াই (Henri Breuil) যিনি ফাদার ব্রুয়াই নামেই বেশি পরিচিত, ১৯৫২ সালে বিভিন্ন দেশের প্রায় ৯২ টি গুহাচিত্র দেখে একটি বই লেখেন যার নাম - 400 Years of Cave Art। তিনিই প্রথম এই দাবী রাখেন যে গুহাচিত্রের মূল উদ্দেশ্য কেবল মাত্র চিত্রকলার বিকাশেই নয়, বরং এর মধ্যে রিচুয়ালিস্টিক ঐতিহ্যও লুকিয়ে আছে। খেয়াল করে দেখুন এই ছবিতে বাইসনের গায়ে তীর বা বল্লম বিঁধে আছে। কিছু ছবিতে আঁকা অস্ত্রাঘাতের পাশে, প্রাচীন অস্ত্রের আঘাতের চিহ্নও পাওয়া যায়, যেন কেউ ঐ ছবিতেই বল্লম ছুঁড়ে মেরেছে। ফাদার ব্রুয়াই বলেন, এটি একধরনের রিচুয়ালিস্টিক প্রথা, যাতে সম্ভবত গুহাতেই তারা এই আঁকা ছবিকে হত্যা করত, যাতে বাইরে গিয়ে শিকারে তারা সাফল্য পায়।
পরের ছবিটিও সমসাময়িক। ফ্রান্সের Grotte de Gabillou গুহাতে এই গুহাচিত্রটা পাওয়া যায়। এখানেও দেখতে পাবেন এক অসম্ভব কাল্পনিক ছবি যার দেহটি মানুষের আর মাথা বাইসনের। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এটি কাল্পনিক না হয়ে প্রাচীন ধর্মাচরণের প্রথা হতে পারে, যেখানে মৃতপশুদের মাথা চাপিয়ে কোন শম্যান (shaman) তার প্রথাপালন করছে। আরো একটি ইন্টারেস্টিং জিনিস খেয়াল করবেন, এই ছবিটার ভঙ্গি যেন নাচের। তবে কি অনুমান করা যায় যে, একই সময়ে গান বাজনা ও নাচও আমাদের শিল্পভাবনার সাথে জড়িয়ে পড়ছে ধর্মের অনুসঙ্গে?
এখানেই আসলে শিল্প আর ধর্ম মিলেমিশে যায়। ধর্ম শিল্পের প্রাথমিক উপাদান, না শিল্প ধর্মের উপাদান, তা বোঝা না গেলেও, অন্তত আমরা এটুকু বলতে পারি, যে দুইই আমাদের জীবনে প্রায় একই সাথে এসেছে। এবং হয়তো এও বলা যায় যে একে অপরের পরিপূরক হিসেবেই সমাজে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এই ধর্মই আমাদের সমাজচেতনার উন্মেষ ঘটিয়েছে, আমাদের কগনেটিভ ডেভলপমেন্টের মূল কাণ্ডারী সেই। শুধু খারাপ লাগে এই ভেবে যে, যা মানুষের গোষ্ঠীচেতনার শুরু করেছে তাই আজ মানুষে মানুষে বিভেদের বীজ বপন করছে। হয়তো এই চিন্তার বহুলচর্চা আমাদের কিছুটা হলেও ইন্ট্রোস্পেক্ট করতে সাহায্য করবে।
ছবিঃ লেখক কর্তৃক সংগৃহীত
সূত্রনির্দেশ:
- The age of the sunghir upper paleolithic human burials
- The Lion Man: an Ice Age masterpiece
- Hunting Magic and Abbe Breuil
- Picture of a half-animal half-human in a Paleolithic cave painting in Dordogne, France.
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।