এ লেখা পাঁচ বছর আগের। আরো বাহু লেখার মত আর ঠিকঠাক না করে, ঠিকমত শেষ না করে ফেলেই রেখেছিলাম। আসলে যাঁর কাজ নিয়ে লেখা, হায়ারমাথ, তিনি সেদিনই এসেছিলেন, আমাদের হপকিন্স এইড ইণ্ডিয়ার ডাকে। ইনফরমাল সেটিং এ বক্তৃতা, তারপর বেশ খানিক সময়ের আলাপ আলোচনার পর পুরো ব্যাপারস্যাপারে বেশ ইম্প্রেসড হয়ে লিখে ফেলেছিলাম। পরেও বেশ কিছুদিন যোগাযোগ ছিল। জৈব চাষ ইত্যাদি নিয়ে ওঁদের কাজ নিয়ে, এখনো ওঁর স্ত্রী নিয়মিত লেখেন ফেসবুকে, অনেক কাজ করছেন ওঁদের সংস্থা, পরিবেশ , গ্রামীণ কৃষি নিয়ে, পুরস্কারও পেয়েছেন আনেক।
কিন্তু য ... ...
এখন কত কূটকচালি !
একদিকে এক ধর্মের লোক অন্যদের জন্য বিধিনিষেধ বাধাবিপত্তি আরোপ করে চলেছে তো অন্যদিকে একদিকে ধর্মের নামে ফতোয়া তো অন্যদিকে ধর্ম ছাঁটার নিদান। দুর্গাপুজোয় এগরোল খাওয়া চলবে কি চলবে না , পুজোয় মাতামাতি করা ভাল না খারাপ ,পুজোর মত রিগ্রেসিভ ব্যাপারের সাথে কোনভাবে জুড়ে যাওয়া উচিত কি অনুচিত, উমার শ্বশুরবাড়ি থেকে আসার মত পিতৃতান্ত্রিক ব্যাপার নিয়ে আহ্লাদ আমোদ করা ঠিক না ভুল, পুজো নিয়ে, ঠাকুরদেবতা নিয়ে ইয়ার্কি মারা অনুভুতিতে আঘাত নাকি নয়, আঘাত হলেও কিছু আসে যায় নাকি যায়না, পুজো ... ...
মিছিমিছি খেলা বোধহয় আমাদের সবারই ছিল। ছোটবেলায়।
এই যেমন দরজার কড়া আর হুড়োকোতে টিউবওয়েলের মত ঘ্টাং ঘটাঁ করে জল বের করে কলসীতে জল ভরা, সেই কলসী কাঁখে নিয়ে, কত উঃ আঃ করে চলাফেরা করে রান্নাঘরে এনে তার থেকে গড়িয়ে বাড়ির সবাইকে জল দেওয়া, প্লাস্টিকের সবুজ স্টোভটাতে চা বসানো, প্লাস্টিকের লাল কাপ প্লেটে সবাইকে সেই চা দেওয়া, মা, বাবা , দাদা। ঠাকুমা, পিসি, মাসি, কাকা , মামারা এলে আবার প্লেট শর্ট পড়লে মেল থেকে কেনা কাঠের কাপের সেটটাও উদ্বোধন ক'রে ফেলা। সকালে আপিস যাবার অগে রান্না ... ...
যখন এই ভিডিওটি আপলোড করেছিলুম, সে অনেককাল আগে, ইউটিউবে অনেক ভয় অনেক দ্বিধা কাটিয়ে আপলোডাবার দিনগুলোর একদম প্রথমদিকে, তখন কীকরে গানের ফাইল থেকে ভিডিও বানাতে হয় তাই জানতাম না, জানার খুব আগ্রহ ছিল, তাও নয়। এক বন্ধু বানিয়ে দিয়েছিল, জিগিয়েছিল, কী ছবি দেবে। আমি নিতান্ত আতান্তরে পড়েছিলুম। গানের কি ছবি হয় ?
হয়। অন্ততঃ হত, আমার কাছে। তবে সে আরো আরো অনেককাল আগে।
তবে সে ছবি গানের না, শুধু সুরের। এক একটা সুর, না না, সব সুর না, কিছু কিছু গেঁথে যাওয়া সুরের সাথে এক একটা ছবি জোড়া ছিল। একেকটা সুরের সাথে ... ...
ওরা ভয় পেয়েছে। তাই ভয় পাওয়ানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে। ভয় পেলেও তো কামড় দেয়।মরশুম পুজোর। ওরা ভেবে নিয়েছিল, পুজোর স্রোতে হোককলরব ভেসে যাবে। পুজোর হুজুগ দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়ে যাবে, হোককলরবের , হ্যাঁ, হুজুগ। হুজুগমাত্রই ভেবে নিতে শুরু করেছিল বোধহয়। আর সেই ভাবনাতেই চিড় পড়ে গেল অষ্টমীর সন্ধের হোককলরবের গর্জনে। গর্জনের আগে থেকেই। হবার সম্ভাবনার খবর পেয়েই। কাল বাইরের গেটে জমায়েত হয়ে পোস্টার আঁকাআকি হতেহতেই জনতা চেগে গেল, ম্যাডক্স স্কোয়ারের ভিতরে বসে আঁকা লেখা করা হোক, গানবাজনা করা হোক। লিখে ফেলা পোস্টারগুলো ... ...
অথচ বুড়বুড়ি ওঠে। ওঠে তো নিগঘাত, কিন্তু ঠিক কেমনটি ওঠে, কোথায় ওঠে ঠিক ঠাহর করতে পারিনে। ঠিকঠাক ঠাহর করার জিনিসও নয় বটে। বুড়ি চাঁদ বিড়বিড়িয়ে বলে যায়। সুর কি দেখা যায় ?
অথচ দেখব বলেই কি বসে নেই সেই কবে থেকে? অপার ফপার হয়ে নয়। অপার হয়ে বসে থাকা কাকে বলে তাই বলে বুঝলুম না আজ অব্দি। না বুঝেই পার পেয়ে গেলে বোঝাবুঝির বোঝা আর কেই বা বয়। তবে পার দেখব বলে বসে থাকা, এটুকু বলা যেতেই পারে।গানের ওপারে যা কিছু দাঁড়িয়ে বা শুয়েবসে। রসেবশে।
অথচ রসটাই বশ হলনা ঠিকঠাক। তো, সে ঠিকঠাক আর কোন কাজটাই বা ঠিক করতে ... ...