এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • অবৈধ মাইনিং, রেড্ডি ভাইয়েরা ও এক লড়াইখ্যাপার গল্প

    π লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৬ মে ২০১৮ | ১৪৭০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • এ লেখা পাঁচ বছর আগের। আরো বাহু লেখার মত আর ঠিকঠাক না করে, ঠিকমত শেষ না করে ফেলেই রেখেছিলাম। আসলে যাঁর কাজ নিয়ে লেখা, হায়ারমাথ, তিনি সেদিনই এসেছিলেন, আমাদের হপকিন্স এইড ইণ্ডিয়ার ডাকে। ইনফরমাল সেটিং এ বক্তৃতা, তারপর বেশ খানিক সময়ের আলাপ আলোচনার পর পুরো ব্যাপারস্যাপারে বেশ ইম্প্রেসড হয়ে লিখে ফেলেছিলাম। পরেও বেশ কিছুদিন যোগাযোগ ছিল। জৈব চাষ ইত্যাদি নিয়ে ওঁদের কাজ নিয়ে, এখনো ওঁর স্ত্রী নিয়মিত লেখেন ফেসবুকে, অনেক কাজ করছেন ওঁদের সংস্থা, পরিবেশ , গ্রামীণ কৃষি নিয়ে, পুরস্কারও পেয়েছেন আনেক।
    কিন্তু যা নিয়ে লিখেছিলাম, সে ছিল, অন্য কাজ। বেশ চমকেই গেছিলাম, সামনাসামনি সেই লড়াইয়ের কথা শুনে। ইদানিং কর্ণাটক নির্বাচনে আবার রেড্ডিভাইদের রমরমা , মুখ্যমন্ত্রী হবার উপক্রমে খুব হতাশ লাগছিল। মনে হচ্ছিল, এতসবের পরেও এই ? আর দোষীদের তার মানে কিছুই হলনা, পাঁচ বছরের কংগ্রেস শাসনকালেও?
    দু'দিন আগে এই খবরটা পড়লাম।
    <https://timesofindia.indiatimes.com/city/hubballi/defeat-of-tainted-ministers-a-warning-to-others-hiremath/articleshow/64262734.cms>
    ভাল লাগল। ইল্লিগাল মাইনিং নিয়ে তো পরের কংগ্রেস সরকারও কিছুই করেনি প্রায়। কিন্তু ভাল লাগছে, এর সাথে কোন না কোন ভাবে যুক্ত, বা এই নিয়ে কিছু না করা সবাই হেরেছেন। কংগ্রেসেরও। কংগ্রেসের খারাপ ফলের কারণ হিসেবে এটা সেভাবে কেউ বলেননি। ভেবেছিলাম, হায়ারমাথ ও কি এসবের থেকে সরেই গেছেন ? দেখলাম , না।

    'On Monday SPS chief S R Hiremath said, “It is a victory of the people who have shown doors to 13 arrogant and tainted cabinet ministers by defeating them in the polls. This defeat should be a warning to other politicians who indulge in illegal practices and loot natural resources of the state.”
    Lashing out at the previous Congress government led by Siddaramaiah, Hiremath said the then chief minister was asked several times to collect the pending mining royalty from some firms. However, Siddaramaiah who had come to power assuring that he would put an end to illegal mining and collect the royalty, never bothered to keep up his promises, Hiremath charged.

    As a result of this, people have taught a bitter lesson to the Congress, he said.
    The yet-to-be-formed coalition government headed by H D Kumarswamy should make serious attempts to collect Rs 1 lakh crore in mining royalty, Hiremath urged. This apart, the erring mining owners should be booked and stern legal action should be initiated against them, he said.>

    আগের সেই আধখ্যাঁচড়া লেখাটাই খুঁজছিলাম, ইল্লিগাল মাইনিং এর সেই ক্রুসেডারের কথা, তাঁর কাছেই যা শুনেছিলাম, জানাতে ইচ্ছে করছিল বলে। মিডিয়াতে সেভাবে কখনোই পড়িনি ওনাকে নিয়ে, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে তো নাই। অবশেষে পেলাম, রইল। দেখা যাক, এই আমলে কিছু হয় কিনা।

    ----

    রিপাব্লিক অব বেল্লারি । বেল্লারি জেলা। হ্যাঁ, কর্ণাটকের এই জেলাকেই ঐ রিপাব্লিক নামে ডাকা হত। হবে নাই বা কেন, রিপাব্লিকের মতই নিজস্ব আইনকানুন ছিল বেল্লারির। মানে, বেআইন। বা জঙ্গলের আইন। বেল্লারির জঙ্গলের কোলে পাওয়া খনি সুম্পদের কোল মাফিয়াদের আইন। কথা বলতে হত বুঝে শুনে।
    - এখানে তো খুল্লমখুল্লা খনিসম্পদ লুট করা হচ্ছে !
    কী বললেন, লুট ? আরে, আপনার প্রাণের ভয় বলে কিছু নেই নাকি ?
    এরকমই বলা হয়েছিল, এস আর হায়ারমাথকে, যখন ২০০৭ সালে ওখানে কাজ করতে যান। কাজ বলতে এলাকায় খনি সংক্রান্ত নানা দুর্নীতি চলছে সন্দেহ করে, সেই নিয়ে কাজ। এলাকার মানুষকে সেই নিয়ে সচেতন করার কাজ। এবং কাজ করতে গিয়েই বোঝেন, বেল্লারি নামক ‘রিপ্লাব্লিক’টিতে এই কাজটি মোটেও সহজ নয়। অতি স্পষ্টতঃ খনিসম্পদ লুট চলছে, অনেকেই তা জানেন ও বোঝেন, কিন্তু বেল্লারি রিপ্লাবিকের আইন অনুযায়ী সে নিয়ে কেউ উচ্চবাচ্যা করতে পারবেনা।মুখ খুললেই চিরতরে চুপ করিয়ে দেবার বন্দোবস্ত হতে পারে। তবে এসব শুনে হায়ারমাথ সাবধান হয়েছিলেন, কিন্তু ভয় পাননি। পাননি কারণ তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন গণতন্ত্রে ভয়ের জায়গা নেই। বিশ্বাস করেন, কারণ জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি সামিল ছিলেন। আর দেখেছেন, সেই অবস্থা থেকেও বেরোনো যায়।
    ভয় পাননি যে, এবং ভয় না পাবার মন্ত্রটা যে অন্যদের মধ্যেও চারিয়ে দিতে পেরেছিলেন, তার প্রমাণ পাওয়া গেল তিন বছরের মধ্যেই। ২০১০ সালে যেদিন আশেপাশের দশটি জেলা থেকে পাঁচশ লোক যোগাড় করে , তাঁদের প্রশাসনিক কর্তাদের সামনে দাঁড় করিয়ে প্রতিবা্দের বন্দোবস্ত করতে পেরেছিলেন। প্রতিবাদ, বে আইনি মাইনিং নিয়ে। বেআইনি, কারণ, হিসেবমতন সরকারের যে রয়াল্টি পাবার কথা, তার প্রায় কিছুই সরকারের ঘরে ঢোকেনি, লাইসেন্সিং হয়নি বা হলেও হয়েছে চোরাপথে। যেভাবে খননকার্যের আবেদন পত্র মঞ্জুর করা হয়েছে, লিজ দেওয়া হয়েছে, সবই বে আইনি। বা, বেল্লারি রিপাব্লিকের আইনে। বেল্লারি জুড়ে এই বিশাল খননকার্যের রমরমার শুরু বেজিং অলিম্পিক আর তাতে লোহার প্রচুর চাহিদা থেকে। ইন্ডিয়ান ব্যুরো অব মাইনিং এর সব নিয়মকানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে যেভাবে দেশের সুবিশাল ও অমূল্য লোহা সম্পদ দিনের পর দিন উত্তোলিত ও নামমাত্র দামে পাচার হয়ে গেছে, সংরক্ষিত অরণ্যের মধ্যে দিয়ে বে আইনি মাইনিং (খননকার্য) হয়েছে, তাতে বোঝাই যাচ্ছে সর্ষের মধ্যেই ভূত ছিল। হ্যাঁ, এঁরাই সেই কুখ্যাত রেড্ডি ভ্রাতৃদ্বয়। কর্ণাটকের দুই মন্ত্রী। পরে তদন্তে বেরিয়েছে, এঁরাই ছিলেন সেই মাইনিং কোম্পানির মালিক। তদন্তের শুরুর কৃতিত্ব অবশ্য সন্তোষ হেগড়ের।প্রাক্তন বিচারপতি হেগড়ের নে্তৃত্বে কর্ণাটক লোকায়ুক্ত ২০০৮ সালেই রিপোর্ট পেশ করে বেশ কিছু অনিয়মের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। প্রচুর প্রমাণ, পুঁথি পত্তর যোগাড় করে। কিন্ত হাইকোর্টে সব খারিজ হয়ে যায় । সরকার ও কোন কর্ণপাত করেনা। কোথাও কোন হেলদোল হয়না। বে আইনি মাইনিং চলতে থাকে রমরমিয়ে, আগের থেকে অনেক গুণ বেশি উৎসাহে। আর হেগড়ে কমিশনের লোকজন পেতে থাকেন নানাবিধ হুমকি। এই অবস্থাতেই হায়ারামাথের মঞ্চে প্রবেশ। কথা বলতে থাকেন স্থানীয় লোকজনের সাথে, খুঁজে বের করতে থাকেন সৎ সরকারি কর্মচারি, আমলাদের। তাঁদের সাহায্য নিয়ে যোগাড় করেন আরও অনেক কাগজপত্তর, সাক্ষী প্রমাণ। হেগড়ে কমিশনের রিপোর্টের সাথে সাথে সেসব নিয়ে এবার সোজা চলে যান, হ্যাঁ সুপ্রিম কোর্টে। পি আইল এল ঠোকেন। এই কোর্টের অভিজ্ঞতা তাঁর প্রথম বারের নয়। এর আগে বড় বড় ইস্যুতে চারবার মামলা ঠুকেছেন ও প্রতিবার জিতেছেন। প্রতিবারেই রাজনৈতিক আর সামাজিক আন্দোলনের পাশাপাশি হাতিয়ার করে নিয়েছেন আইনি লড়াইকেও।
    শুরু সেই আশির দশকের মাঝামাঝি। বিড়ালার হরিহর পলিফাইবার কারখানা তুঙ্গভদ্রার জল প্রচুর পরিমাণে দূষিত করে চলেছিল, তার বিরুদ্ধে পাব্লিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন ও বহু বছর লেগে থেকে তাতে সাফল্য পাওয়া। এর পাশাপাশি চলছিল সত্যাগ্রহও। ওঁর সমাজ পরিবর্তন সমুদয় ( এস পি এস) এর নেতৃত্বে একটি এখন নদীর দূষণ মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করে, কারখানা এখন ট্রীটমেন্ট ক’রে তবে নদীতে বর্জ্য ফেলে।
    এই করতে করতেই দেখা গেল, বিড়লাদের আরেক কারখানা, কেপিএল আবার জঙ্গলের ৭৫০০০০ েকর জমি নষ্ট করছে, ছ’টি জেলায় পাঁচ লাখ গ্রামবাসীকে তাদের প্রয়োজন থেকে বঞ্চিত করছে। য়ার সরকার বছরে মাত্র এক টাকা প্রতি একর দামে সেই জমি লিজ দিয়ে দিয়েছে ! লড়েছেন তাই নিয়েও। আবার কোর্টে পি আই এল ঠূকেছেন, আরো কয়েকজনকে সাথে করে। চিপকোর মত গাছ লাগানো নিয়ে অভিনব দুই সত্যাগ্রহের পাশাপাশি। সেই পি আই এল এর ভিত্তিতে সুপ্রীম কোর্ট স্থুগিতাদেশ দিয়েছে। তা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার ৩৭০০০ একর জমি ওই প্রতিষ্ঠানকে দেবার ব্যবস্থা করলে তাই নিয়ে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেছেন এবং অবশেষে জিতেছেন। করেছেন বেঙ্গাল্লুরু অব্দি সাইকেল জাঠা, ধর্ণা, মুখ্যমন্ত্রীর সাথে মিটিং। পাশে পেয়েছেন ৭২ জন বিধায়ককে, দলমতনির্বিশেষে, বিধানসভায় আলোড়ন হয়েছে। শেষ অব্দি ১৯৯১ সালে কেপিএল বন্ধ হয়েছে। বেঁচেছে ভূমিপুত্রদের জঙ্গল, জমি ও জীবন।
    এরপর শুরু হল বাস্তারের লড়াই। কুখ্যাত মালিক-মাখবুজা কাণ্ড। বাস্তারে নব্বই দশকে মাফিয়াদের বে আইনি গাছ কাটার বিরুদ্ধে লড়াই। land alienation law যখন স্পষ্টভাবে রায় দিয়েছে, আদিবাসীদের কাছে থেকে অনাদিবাসী কেউ জমি কিনতে পারবে না, সেখানে সম্পূর্ণ বে আইনি ভাবে গরীব আদিবাসীদের জমি কেনার বিরুদ্ধে লড়াই। সেখানে বিরুদ্ধ পক্ষে কে নেই ? জমি –কাঠ মাফিয়া থেকে সরকারি নানা দপ্তরের কর্মচারী, এমনকি ধনী আদিবাসী রাজনৈতিক নেতারাও।
    তো, এবার এই লড়াইয়ে সামিল হওয়ার জন্য বাস্তারের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ডাক পাঠালো হায়ারমাথকে। মামলাবাজ হায়ারমাথকে। মামলা ঠোকার জন্য। এবং আবার একটি পি আই এল করা হল, সুপ্রিম কোর্টে, ১৯৯৭ সালে। এর ফলেই এক বছরের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে লোকায়ুক্ত আর সিবিয়াই এর এক উচ্চস্তরীয় কমিটি গঠন করা হল, আর সেই তদন্তে বেরিয়ে এল মাফিয়া-রাজনীতিবিদ-আমলা নেক্সাসের স্বরূপ। এই লোকায়ুক্ত রিপোর্টেই জানা গিয়েছিল মহেন্দ্র কারমা, হ্যাঁ সম্প্রতি মাওবাদীদের হাতে নিহত সালওয়া জুডুম কুখ্যাত মহেন্দ্র কারমা সাংসদ থাকাকালীন কীভাবে এর সাথে জড়িয়ে ছিলেন। সিবিআই কেস ঠুকল বাস্তারের
    ্প্রাক্তন কমিশনারের বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্টে করা হায়ারমাথের রিট পিটিশনের ভিত্তিতে কালেক্টর ইত্যাদি বড় বড় আমলাদের বিরুদ্ধে এফ আই আর করা হল।
    এখানেই লড়াইএর লিস্ট শেষ নয়। লড়েছেন, ৩০ টি এন জি ও নিয়ে তৈরি National Committee for Protection of Natural Resources (NCPNR) র আহ্বায়ক হয়ে, তৎকালীন পরিবেশমন্ত্রী কমল নাথের বিরুদ্ধে, ২ মিলিয়ন জঙ্গলের জমি শিল্প ও বাণিজ্যিকীকরণের জন্য নিয়ে নেবার প্রস্তাবের বিরুদ্ধে। এবং জিতেছেন।
    এই আইনি লড়াই আর লড়াইয়ে জয়ের সুদীর্ঘ ইতিহাস ছিল বলেই হয়তো বেল্লারির ব্যাপারেও এত নির্ভয়, নিশ্চিত ছিলেন। আর আত্মবিশ্বাসের সাথে ছিল অধ্যবসায়, অক্লান্ত পরিশ্রম। সুপ্রিম কোর্টে আবার ১৪০০ পাতার রিট পিটিশনে দেখিয়েছেন ২০০০ থেকে ২০১০ অব্দি কর্ণাটকে বে আইনি মাইনিং এর সমস্ত পুংখানুপুংখ বিবরণ। এর ভিত্তিতে সুপ্রীম কোর্ট সেন্ট্রাল এমপাওয়ারড কমিটি বানিয়েছে, তাকে নির্দেশ দিয়েছে সব কিছু খতিয়ে দেখার।
    রেড্ডি ভাইয়েরা এখন জেলে, ইয়েদুরাপ্পার সরকারের পতন হয়েছে, েখন লক্ষ্য তার ও আগের প্রাক্তন মন্ত্রীরা , যাঁদের আমলে এই বেয়াইনি কাজকর্মের শুরু। রেড্ডি ভাইদের পরে এবারে কংগ্রেসি মন্ত্রী শিবকুমারের উইকেট পতনের অপেক্ষা। লক্ষ্য শুধু আইনি লড়াইয়ে জিতে দোষীদের শাস্তিই ত নয়, এই বেআইনি কাজকর্ম বাবদ যে বিপুল পরিমাণ টাকা নয়ছয় হয়েছে, সেই টাকা উদ্ধার করে এলাকার উন্নয়ন, মাইনিং জনিত পরিবেশের ক্ষতির পুনরুদ্ধারও।
    হ্যাঁ, কারণ, জল, জমি ,জঙ্গল, খনিজ, বীজ এর অধিকার রক্ষার জন্য আইনি লড়াইখ্যাপা, এই পরিচয়ই তো একমাত্র নয়, এস আর হায়ারমাথের পরিচয়, তাঁর সমাজ পরিবর্তন সমুদয়ের পরিচয় সমাজ সংগঠক রূপেও। একজন পাশাপাশি কাজ করেছেন গ্রামোন্নয়ন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গ্রামস্বরাজ, পঞ্চায়েতি রাজ নিয়েও। লিখে শেষ করা যাবেনা। কাজেরও তো শেষ নেই। ১১ বছর আমেরিকার কর্পোরেট জগতে চাকরি করার পর যখন দেশে ফিরে এসেছিলেন, ভেবেছিলেন পেশার জগতের কাজের পাশাপাশি ্নানা সামাজিক কাজকর্ম চালিয়ে যাবেন। অচিরেই বুঝতে পারলেন, যা কাজ পড়ে আছে, তার জন্য পুরো সময় দেওয়াও যথেষ্ট নয়। নিজের পুরো সময়, পুরো জীবন দিয়েছেন। াশা করেন, আরো কেউ কেউ হয়তো এভাবেই আসবেন, তাঁদের সময় নিয়ে। সময় হয়তো বদলাবে। হায়ারমাথ আশাবাদী।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৬ মে ২০১৮ | ১৪৭০ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    সুর অ-সুর - π
    আরও পড়ুন
    ইমন - π
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • prativa | ***:*** | ২৬ মে ২০১৮ ০৪:৫৯62725
  • হায়ারমাথরাই আশার সলতে জ্বালিয়ে রাখেন। ওঁদের সংখ্যা বৃদ্ধি হোক।
  • aranya | ***:*** | ২৬ মে ২০১৮ ০৭:৩৭62726
  • দারুণ মানুষ তো, হায়ারমাথ। জানতাম-ই না এর কথা।
  • তন্বী দি | ***:*** | ২৭ মে ২০১৮ ০৪:৫১62728
  • এমন একটা বিষয় যা আমার মতো অনেকেই জানে না।আসানসোল দুর্গাপুর অন্চলে এই ধরনের সমস্যা অনেক।কিন্তু লড়াইটা কে করবে
  • তন্বী দি | ***:*** | ২৭ মে ২০১৮ ০৪:৫১62727
  • এমন একটা বিষয় যা আমার মতো অনেকেই জানে না।আসানসোল দুর্গাপুর অন্চলে এই ধরনের সমস্যা অনেক।কিন্তু লড়াইটা কে করবে
  • π | ***:*** | ২৭ মে ২০১৮ ০৫:৫৬62729
  • তন্বীদি, বর্ধমান, আসানসোলের কথা একটু আসুক না।
  • paps | ***:*** | ২৭ মে ২০১৮ ০৬:০০62730
  • তন্বী দি, আপনিই লিখুন না প্লিজ।
  • কল্লোল | ***:*** | ২৮ মে ২০১৮ ০৩:৪২62731
  • অনেককাল আগে ব্যাঙ্গালোরে থাকতে রেড্ডি ভাইদের বেল্লারী লোহা খনি দুর্নীতি নিয়ে একটা ফিল্ম দেখেছিলাম। এই লেখাটায় মনে পড়লো। এরা নাকি (বেল্লারি সম্ভবতঃ অন্ধ্র-কর্ণাটক সীমান্তে) দরকার হলে, রাজ্য সীমান্ত পোস্ট তুলে খনির এপারে বা ওপারে সুবিধামত বসিয়ে দিতো। মানে কখনো খনিটি অন্ধ্রে চলে যেত, কখনো কর্ণাটকে ফিরে আসতো।
    আর ঐ ফিল্মেই বড় রেড্ডী ভাইটি দাবী করেছিলেন ওনারা খাঁটি ঘিয়ের মতো "পুওর", তাই তো "থিরুপতি লার্ড"কে ৩২টি হীরে বসানো "ক্রেন" দান করেছেন।
  • রৌহিন | ***:*** | ২৮ মে ২০১৮ ০৪:০৯62733
  • হায়ারমাথেরা তাদের কাজ করে চলেন। কিন্রু আমরা অধিকাংশই শুধু দেখে চলি। আর একদল মানুষ জানেন এই সব বে-আইনী কাজ করে চলা যাবে দিনের পর দিন, কারণ রাষ্ট্র তাতে মদত দেবে। অনেক সময় রাষ্ট্র নিজেই বে আইনী কাজ করবে, যেমন এখানেও দেখা যাচ্ছে। এক দুই পাঁচজন হায়ারমাথরা তো সর্বত্র উপস্থিত থাকতে পারবেন না। পক্ষ আমাদেরকেও নিতে হবে। নিতেই হবে।
  • aranya | ***:*** | ২৮ মে ২০১৮ ০৪:৩৫62734
  • পক্ষ নেওয়া সহজ। হায়ারমাথ বা হায়ারমাথ-দের পক্ষে তো এই ফোরামের অনেকেই থাকবেন।
    ইস্যুটা নিয়ে মিনিংফুল কিছু করা, তার জন্য সময় বার করা, রিস্ক নেওয়া -এগুলো কঠিন
  • dc | ***:*** | ২৮ মে ২০১৮ ০৪:৪০62735
  • "পক্ষ নেওয়া সহজ। ইস্যুটা নিয়ে মিনিংফুল কিছু করা, তার জন্য সময় বার করা, রিস্ক নেওয়া -এগুলো কঠিন"

    কোট অফ দ্য সেঞ্চুরি।
  • π | ***:*** | ৩০ মে ২০১৮ ০৪:৫৪62736
  • সেতো বটেই। কিন্তু সব ইস্যুতে সবাই তো পথে নামতে পারবে না বা সব কিছু করতে পারবেনা। নানাভাবে সমর্থনও ম্যাটার করে। জনসমর্থন। আর তার জন্য মানুষের কাছ সত্যি ছড়িয়ে যাওয়া, দেওয়া, সেসবও দরকার। লড়তে টাকাপয়সা দরকার। এসব পি আই এল এর কম খরচ?

    লড়াইখ্যাপা হয়ার ক্যাপা কম লোকের হয়, কিন্তু তাদের পিছনের লোক অনেক হলেও অনেক।

    আর যা আচ্ছে দিনকাল পড়েছে, এসব ইস্যুর বিপক্ষে খোলাখুলি বলার লোক অনেক বেশি, ভাুয়াল আইটিসেল তো আরৈ বেশি।
  • | ***:*** | ৩০ মে ২০১৮ ১০:৩৫62737
  • অবশেষে পড়ে উঠলাম। কি দারুণ একজন লোক এই হায়ারমাথ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন